Blog

  • পুতিনের প্রস্তাব নাকচ করে বিপদে ইরান

    পুতিনের প্রস্তাব নাকচ করে বিপদে ইরান

    ইরানকে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা নিয়ে যৌথ প্রকল্পের প্রস্তাব দিয়েছিল রাশিয়া; কিন্তু তেহরান তখন সে বিষয়ে আগ্রহ দেখায়নি। এমনটা জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

    বৃহস্পতিবার রুশ বার্তা সংস্থা তাস আয়োজিত বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রধানদের এক বৈঠকে এই মন্তব্য করেন তিনি।

    পুতিন বলেন, ‘আমরা একসময় আমাদের ইরানি বন্ধুদের সঙ্গে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা নিয়ে কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। তখন আমাদের অংশীদাররা বিশেষ কোনো আগ্রহ দেখাননি।’

    চলতি বছরের জানুয়ারিতে কৌশলগত চুক্তির সময়ে ইরানকে এ প্রস্তাব দেওয়া হয়।

    পুতিন বলেন, ‘আমাদের বন্ধুদের (ইরান) সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারত্ব নিয়ে চুক্তিতেও প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত কোনো ধারা ছিল না। এটা দ্বিতীয় বিষয়। তৃতীয় বিষয় হলো, আমাদের ইরানি বন্ধুরাও আকাশ প্রতিরক্ষা চাইছে না। বাস্তবতা হলো, এ নিয়ে আলোচনার মতোও কিছু নেই।’

    গত মে মাসে মস্কো ও তেহরানের মধ্যে ২০ বছর মেয়াদি কৌশলগত অংশীদারত্ব চুক্তি অনুমোদন করে ইরানের পার্লামেন্ট। পুতিন ও ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান ১৭ জানুয়ারি এই কৌশলগত দলিলে স্বাক্ষর করেছিলেন।

    এদিকে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে রাশিয়া। একই সঙ্গে ইরানে মার্কিন এই হামলাকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ ও আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন বলেও অভিহিত করেছে মস্কো।

    রোববার (২২ জুন) রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘যে কোনো যুক্তিই দেখানো হোক না কেন, একটি সার্বভৌম দেশের ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমা হামলা চালানোর মতো এই দায়িত্বজ্ঞানহীন সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবনার স্পষ্ট লঙ্ঘন।’

    বিবৃতিতে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতের ঝুঁকি ‘অত্যন্ত’ বাড়িয়ে দিয়েছে।

    যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি প্রধান পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। ইরানের যে তিন গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক কেন্দ্রে যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালিয়েছে, সেগুলো হলো౼নাতানজ, ফোরদো ও ইসফাহান। এগুলো ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির মূল কেন্দ্রবিন্দু, যেগুলোর ওপর আগেও ইসরায়েল হামলা চালিয়েছিল।

    স্থানীয় সময় শনিবার (২১ জুন) মধ্যরাতে ইসরায়েলের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে ইরানের ৩টি উচ্চ-নিরাপত্তাসম্পন্ন পারমাণবিক স্থাপনায় তীব্র বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

    হামলার পর আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি।

    পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি রোববার ভোরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ ঘটনাকে জাতিসংঘের সনদ, আন্তর্জাতিক আইন ও পরমাণু অস্ত্র প্রসার রোধ চুক্তির (এনপিটি) সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন এবং এই হামলার ‘গুরুতর পরিণতি’ সম্পর্কে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।

    বিবৃতিতে তিনি বলেন, ইরান নিজেদের সুরক্ষার জন্য যেকোনো পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার রাখে।

    ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক পৃথক বিবৃতিতে জানায়, ‘জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে জাতিসংঘের সনদ, আন্তর্জাতিক আইন এবং পরমাণু অস্ত্র প্রসার রোধ চুক্তির চরম লঙ্ঘন করেছে।’

  • শামীম ওসমানের ২টি প্লট ক্রোক, ২৯ ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ

    শামীম ওসমানের ২টি প্লট ক্রোক, ২৯ ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ

    দুর্নীতির অভিযোগ চলমান থাকায় নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের নিজ নামে থাকা পূর্বাচল ও উত্তরার ২টি প্লট ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

    এছাড়া শামীম ওসমান, তার স্ত্রী সালমা ওসমান, ছেলে ইমতিনান ওসমান, মেয়ে লাবিবা জোহা অঙ্গনা, পুত্রবধূ ইরফানা আহমেদ রাশমী ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ২৯ ব্যাংক হিসাবের ১২ কোটি ৮৭ লাখ ৭৪ হাজার ৫২০ টাকা ফ্রিজ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

    রোববার (২২ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। এদিন দুদকের পক্ষে সংস্থাটির উপপরিচালক রেজাউল করিম এসব সম্পদ ক্রোক ও ফ্রিজ চেয়ে আবেদন করেন।

    দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) তানজির আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

    আবেদনে বলা হয়েছে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি পলাতক অবস্থায় স্থাবর সম্পদ বিক্রয় এবং ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা উত্তোলন ও স্থানান্তর করার পরিকল্পনা করছেন। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এসব সম্পত্তি দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা, ২০০৭ (সংশোধিত বিধিমালা ২০১৯) এর বিধি- ১৮ এবং মানিলন্ডারিং আইন ২০১২ এর ধারা-১৪ অনুযায়ী ক্রোক এবং ফ্রিজ করা প্রয়োজন।

  • আর পিছু হাটবে না ইরান, হাতে রয়েছে অসংখ্য বিকল্প

    আর পিছু হাটবে না ইরান, হাতে রয়েছে অসংখ্য বিকল্প

    গত ১৩ জুন শুরু হওয়া ইরান-ইসরায়েল সংঘাত দ্বিতীয় সপ্তাহে গড়ালেও থামার কোনো লক্ষণ নেই। আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক তৎপরতা চলছে বটে, তবে বাস্তবে কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। বরং দিন দিন পাল্টাপাল্টি হামলা আরও তীব্র হয়ে উঠছে। দুই পক্ষই নিজেদের অবস্থানে অনড়।

    ইসরায়েল দাবি করছে, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি তাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। এই কারণেই তারা একের পর এক হামলা চালাচ্ছে। এর জবাবে ইরানও ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, ইসরায়েল হামলা বন্ধ না করলে কোনো শান্তিপূর্ণ আলোচনার সুযোগ নেই।

    এ অবস্থায় ইরানের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের কর্মকর্তা মাজিদ ফারাহানী একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি করেছেন। তিনি সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চাইলেই এই যুদ্ধ থামাতে পারেন। শুধুমাত্র একটি ফোনকলেই ইসরায়েলকে হামলা বন্ধ করতে বলা সম্ভব, আর তাতেই আলোচনার দরজা খুলে যেতে পারে।

    পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ফারাহানী জানান, ইরান এখনো সরাসরি বা পরোক্ষভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী। তবে এর আগে ইসরায়েলকে আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দেন, ইরান পুরোপুরি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধের প্রস্তাব মেনে নেবে না। যদিও কিছুটা নমনীয়তা দেখানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

    বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্র এই সংঘাতে সরাসরি জড়ালে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠবে। ফারাহানী হুঁশিয়ার করে বলেছেন, যদি আমেরিকা সরাসরি যুক্ত হয়, তাহলে ইরান হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না। তেহরানের হাতে অনেক বিকল্প খোলা রয়েছে।

    এদিকে চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে দেশ ছাড়ছেন অনেক সাধারণ মানুষ। আকাশপথ বন্ধ থাকায় আর্মেনিয়ার সীমান্ত হয়ে পালিয়ে যাওয়াই একমাত্র বিকল্প হয়ে উঠেছে। তবে এই পাহাড়ি পথও সহজ নয়। ট্যাক্সিচালকরা ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে তিনগুণ, তবুও মানুষজন বেরিয়ে পড়েছে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে।

    অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ইউরোপীয় দেশগুলোও ইসরায়েলের পাশে অবস্থান নিয়েছে। তারা চাইছে, ইরান যেন শূন্য মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে ফিরে যায়। তবে ইরানের দাবি, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে।

    এই অবস্থায় পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, তা নির্ভর করছে আন্তর্জাতিক চাপ, কূটনীতি এবং প্রতিপক্ষের কার্যকলাপের ওপর। তবে একথা নিশ্চিত— ইরান আর পিছিয়ে যাবে না।

  • হিন্দু ছেলের হাত ধরে নোয়াখালী থেকে ঢাকায়, শেষমেশ পতিতালয়ে বিক্রি

    হিন্দু ছেলের হাত ধরে নোয়াখালী থেকে ঢাকায়, শেষমেশ পতিতালয়ে বিক্রি

    নোয়াখালীর সদর উপজেলার এক মাদরাসা ছাত্রী কিশোরীকে (১৭) প্রেমের ফাঁদে ফেলে ঢাকার যাত্রা বাড়ির একটি পতিতালয়ে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

    ভুক্তভোগী মাদরাসা ছাত্রী উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং স্থানীয় ফাজিল মাদরাসা থেকে চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন।

    রোববার (২২ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম। এর আগে, গত ৭ মে জেলা শহর মাইজদী থেকে ভিকটিমকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাগিয়ে নেয় কথিত প্রতারক প্রেমিক।

    অভিযুক্ত শুভ জিৎ মন্ডল (১৯) সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার বদরতলা গ্রামের শংকর মন্ডলের ছেলে।

    পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম স্থানীয় একটি মাদরাসায় পড়ালেখার পাশাপাশি চাকরি করত। কয়েক মাস আগে ওই কিশোরীর সাথে সাতক্ষীরার শুভ জিৎ মন্ডল নামে এক যুবকের ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে প্রথম পরিচয় হয়। এরপর শুভ মন্ডল তার ধর্মীয় পরিচয় গোপন করে টেলিগ্রামে কথাবার্তা বলে কিশোরীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরবর্তীতে কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত ৭ মে জেলা শহর মাইজদী থেকে ঢাকায় নিয়ে যায়। সেখানে ওই কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে তাকে পতিতালয়ে বিক্রি করে দেয়। ভুক্তভোগী কিশোরী সেখানে থাকা আরেক মেয়ের মোবাইল থেকে বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়। পরিবারের সদস্যরা ১৫ জুন বিকেলে একটি সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহায়তায় ঢাকার যাত্রা বাড়ির জুরাইন এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে উদ্ধার করে। নির্যাতিত কিশোরী বর্তমানে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

    সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, ভিকটিম পড়ালেখার পাশাপাশি চাকরি করে। একটা ছেলের সাথে টেলিগ্রামে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়। প্রেমের সম্পর্কের পরে ভিকটিম ছেলের সঙ্গে নোয়াখালী থেকে চলে যায়। পরে ভিকটিম ধর্ষণের শিকার হয়। এরপর প্রেমিক তার এক বন্ধুর কাছে তাকে দিলে সে আবার তাকে পতিতালয়ে দিয়ে দেয় বলে ভুক্তভোগীর অভিযোগ। তবে ভিকটিম জায়গা চিনে না। এ ঘটনায় মামলা নেওয়া হচ্ছে। তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • যে ৫টি প্রমাণ থাকলেই আপনি জমির মালিক, দলিল না থাকলেও চলবে!

    যে ৫টি প্রমাণ থাকলেই আপনি জমির মালিক, দলিল না থাকলেও চলবে!

    দলিল না থাকলেও আপনি জমির মালিক হতে পারেন—শুনে অবাক হচ্ছেন? হ্যাঁ, বাংলাদেশে জমির মালিকানা প্রমাণের জন্য দলিল ছাড়াও পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র বা প্রমাণ থাকলেই আইনি স্বীকৃতি পাওয়া সম্ভব। সুপ্রিম কোর্টের রায় ও বিদ্যমান ভূমি ব্যবস্থাপনার আলোকে এই সুযোগ এখন বাস্তব।

    দলিল হারিয়ে গেলেও ভয় নেই
    অনেক সময় দেখা যায় জমির দলিল হারিয়ে যায়, পুড়ে যায় বা শত্রুতাবশত নষ্ট হয়ে যায়। এমনকি কখনো তা করা হয় পারিবারিক বিরোধের জের ধরে। এই অবস্থায় চিন্তার কিছু নেই—যদি আপনি নিচের ৫টি মূল প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেন, তাহলে আপনি আইনত জমির প্রকৃত মালিক বলে বিবেচিত হবেন।

    ✅ জমির মালিকানা দাবি করার জন্য ৫টি মূল প্রমাণ
    ১. খতিয়ান (CS, SA, RS, BS ইত্যাদি)
    খতিয়ান হলো সরকার কর্তৃক পরিচালিত ভূমি জরিপের একটি নথি, যেখানে মালিকের নাম, জমির পরিমাণ, দাগ নম্বর, সীমানা, অবস্থান, খাজনার পরিমাণ প্রভৃতি তথ্য থাকে। এটি আপনার জমির ঐতিহাসিক মালিকানার প্রাথমিক প্রমাণ।
    Ezoic

    ২. নামজারি/খারিজ (Mutation Record)
    আপনি যদি ক্রয়সূত্রে বা উত্তরাধিকারসূত্রে জমি পান, তবে আপনাকে অবশ্যই জমি নিজের নামে নামজারি করতে হবে। এটি সরকারী খতিয়ানে আপনার নাম অন্তর্ভুক্ত করে। খতিয়ানের একাধিক মালিক থাকলে জমা খারিজের মাধ্যমে আলাদা আলাদা খতিয়ান তৈরি করা হয়।

    ৩. ভোগদখল প্রমাণ
    আপনি কত বছর ধরে জমি ব্যবহার করছেন, তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনার বা আপনার পূর্বপুরুষের দখলে থাকা জমি আপনি নিয়মিত চাষ করছেন বা ঘরবাড়ি বানিয়ে বসবাস করছেন—এমন তথ্যই “ভোগদখল” হিসেবে গণ্য হয়। আইনে তিন ধরনের দখল বৈধ: প্রকৃত, গঠনমূলক এবং যৌথ দখল।

    জমির মালিকানা দাবি করার জন্য ৫টি মূল প্রমাণ
    ১. খতিয়ান (CS, SA, RS, BS ইত্যাদি)
    খতিয়ান হলো সরকার কর্তৃক পরিচালিত ভূমি জরিপের একটি নথি, যেখানে মালিকের নাম, জমির পরিমাণ, দাগ নম্বর, সীমানা, অবস্থান, খাজনার পরিমাণ প্রভৃতি তথ্য থাকে। এটি আপনার জমির ঐতিহাসিক মালিকানার প্রাথমিক প্রমাণ।

    ২. নামজারি/খারিজ (Mutation Record)
    আপনি যদি ক্রয়সূত্রে বা উত্তরাধিকারসূত্রে জমি পান, তবে আপনাকে অবশ্যই জমি নিজের নামে নামজারি করতে হবে। এটি সরকারী খতিয়ানে আপনার নাম অন্তর্ভুক্ত করে। খতিয়ানের একাধিক মালিক থাকলে জমা খারিজের মাধ্যমে আলাদা আলাদা খতিয়ান তৈরি করা হয়।

    ৩. ভোগদখল প্রমাণ
    আপনি কত বছর ধরে জমি ব্যবহার করছেন, তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনার বা আপনার পূর্বপুরুষের দখলে থাকা জমি আপনি নিয়মিত চাষ করছেন বা ঘরবাড়ি বানিয়ে বসবাস করছেন—এমন তথ্যই “ভোগদখল” হিসেবে গণ্য হয়। আইনে তিন ধরনের দখল বৈধ: প্রকৃত, গঠনমূলক এবং যৌথ দখল।

    ৪. খাজনা রশিদ (Tax Receipt)
    আপনি নিয়মিত জমির খাজনা পরিশোধ করছেন কি না, তা একটি বড় প্রশ্ন। বর্তমানে অনলাইনেও খাজনা পরিশোধ সম্ভব এবং সেই রশিদ জমির ব্যবহারের প্রমাণ হিসেবে কাজ করে।

    ৫. ডিসিআর (Duplicate Carbon Receipt)
    এটি হলো দলিলভিত্তিক রেকর্ড পরিবর্তনের প্রমাণপত্র, যেখানে সরকার প্রদত্ত ফি দিয়ে আপনার নাম সরকারী খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়ার সাক্ষ্যপত্র থাকে। দলিল না থাকলেও নামজারির মাধ্যমে আপনি ডিসিআর পাবেন, যা আইনি মালিকানার বড় দলিল।

  • হিরো আলমের স্ত্রী রিয়া মনি ও ম্যাক্স অভিকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিল এলাকাবাসী

    হিরো আলমের স্ত্রী রিয়া মনি ও ম্যাক্স অভিকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিল এলাকাবাসী

    আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলমের তৃতীয় স্ত্রী রিয়ামনি ও বার ড্যান্সার ম্যাক্স অভি রিয়াজকে গ্রেপ্তারের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কয়েকমাস আগে, রিয়ামনি ও অভির অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ তুলেছিলেন হিরো আলম। বিষয়টি ঘিরে তুমুল আলোচনা হয়। এরইমধ্যে গতকাল রিয়ামনি ও ম্যাক্স অভিকে হাতেনাতে ধরার অভিযোগ করেন হিরো আলম।

    হিরো আলমের স্ত্রীএ সময় হিরো আলমকে মারধরও করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এরপরই ভাইরাল হয় রিয়ামনির গ্রেপ্তারের ভিডিওটি।

    এরইমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে ম্যাক্স অভিকে টেনে হিঁচড়ে গাড়িতে তুলছে পুলিশ।

    তার কপালে রক্ত দেখা যায়। এর কিছুক্ষণের মধ্যে রিয়ামনিকেও গাড়িতে তোলা হয়। এ সময় এলাকাবাসী বেশ হৈচৈ করছিলেন। ভুয়া ভুয়া বলে চেচাতে দেখা গেছে সবাইকে।

    জানা গেছে, ম্যাক্স অভি ও রিয়ামনিকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।

    হিরো আলমের সহকারী জানিয়েছেন, গতকাল রামপুরার উলন রোডের বাড়িতে গিয়ে দুজনকে হাতেনাতে ধরেছেন হিরো আলম। এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরেই তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে আসছিলেন। যেহেতু বাসাটা হিরো আলম ভাড়া নিয়েছিলেন তাই তাকে ফোন দিয়ে প্রায়ই অভিযোগ করতেন এলাকাবাসী। কিছুদিন পরপরই রিয়া মনির বাসায় অবস্থান করতেন ম্যাক্স অভি রিয়াজ।

    দুজনের এ অনৈতিক সম্পর্ক মেনে নিতে না পেরে হিরো আলমকে অবগত করেন এলাকাবাসী। তাই গতকাল হিরো আলম হাজির হন বাসায়। এক পর্যায়ে হিরো আলমকেই মারধর ও হেনস্তা করেন রিয়া মনি। এরপর এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে গণধোলাই দেন রিয়া মনি ও ম্যাক্স অভি রিয়াজকে।

    এর আগে গতকাল বিকালে হিরো আলমের একটি ভিডিও ভাইরাল হয় যেখানে রিয়ামনির সঙ্গে ধস্তাধস্তি করতে দেখা যায় তাকে। এ সময় ম্যাক্স অভিকেও খালি গায়ে দেখা যায়। হিরো আলম অভিযোগ করে বলেন, দুজনকে হাতেনাতে ধরেছেন তিনি। হিরো আলমের সঙ্গে এখনও ডিভোর্স সম্পন্ন হয়নি রিয়ামনির। তাই দুজনের এ অনৈতিক সম্পর্কে বাধা দেওয়ায় হিরো আলমকে মারধর করে রিয়ামনি। ধারনা করা হচ্ছে, আক্রমনের শিকার হিরো আলম পুলিশের দ্বারস্থ হলে পুলিশ রাতে ম্যাক্স অভি ও রিয়ামনিকে গ্রেপ্তার করে। এ বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।

    এর আগে, হিরো আলমের বাবার মৃত্যুর সময় অভিযোগ তোলেন, তার বাবার দেখভাল করেন না স্ত্রী রিয়ামনি। এজন্য তিনি রিয়ামনিকে ডিভোর্সের ঘোষণা দেন। তখনই সামনে ম্যাক্স অভির অধ্যায়। অন্যদিকে ম্যাক্স অভির স্ত্রী ইতির অভিযোগ, তার স্বামীর সঙ্গে রিয়ামনির অবৈধ সম্পর্কের কারণেই ঘর ভেঙেছে তারও।

    সূত্র: কালের কণ্ঠ

  • দুপুরের মধ্যে যেসব জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস

    দুপুরের মধ্যে যেসব জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস

    দেশের ৯ জেলায় দুপুরের মধ্যে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়সহ বৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ অবস্থায় এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

    রবিবার ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    এতে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

    এ জন্য এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

    সূত্র: আরটিভি

  • ইরানে শক্তিশালী ভূমিকম্পের রহস্য উদঘাটন

    ইরানে শক্তিশালী ভূমিকম্পের রহস্য উদঘাটন

    ইরানের উত্তরে শুক্রবার (২০ জুন) শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ইরান গোপনে পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর কারণে ভূমিকম্প হয়েছে কি না, এমন গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। তবে ভূকম্পবিদরা এই দাবি নাকচ করে দিয়েছেন। তারা ভূমিকম্পটির প্রাকৃতিক উৎস সম্পর্কে পরিষ্কার বৈজ্ঞানিক প্রমাণ তুলে ধরেন।

    শনিবার (২১ জুন) সংবাদমাধ্যম শাফাক নিউজ এক প্রতিবেদনে এই তথ্য দিয়েছে। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৫.০-এর বেশি এবং এটি ১০ কিলোমিটার গভীরতায় আলবোর্জ পর্বতমালায় আঘাত হানে।

    সুমের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূকম্পবিদ্যার অধ্যাপক ড. আলি রামথান বলেন, এই ভূমিকম্প অঞ্চলের অতীতের ভূ-তাত্ত্বিক গতিবিধির সঙ্গে মিল রেখে ঘটেছে। এটি ছিল একটি ‘ক্লাসিক রিভার্স ফল্ট’ ভূমিকম্প; যা বিশ্বজুড়ে ১৪৯টি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকে রেকর্ড করা হয়েছে। এই গভীরতায় কোনো পারমাণবিক পরীক্ষা চালানো সম্ভব নয়—এটা ভূ-ভৌতভাবে অসম্ভব।’

    তিনি জানান, ভূমিকম্পের তরঙ্গগুলোর প্রাথমিক ও গৌণ ঢেউয়ের ধরন স্পষ্টভাবে প্রাকৃতিক উৎসের সঙ্গে মিলে যায়, যা টেকটোনিক গতিবিধির বৈশিষ্ট্য বহন করে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থাসহ (ইউএসজিএস) আন্তর্জাতিক ভূকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রগুলোও ভূমিকম্পটির প্রাকৃতিক চরিত্র নিশ্চিত করেছে।

    গোপন পারমাণবিক বিস্ফোরণের সম্ভাবনাও নাকচ করে দেন রামথান। সতর্ক করেন, সক্রিয় ফল্ট লাইনের কাছাকাছি এমন পরীক্ষা চালানো হলে তা বিপর্যয়কর ভূমিকম্প ঘটাতে পারে—যা সব পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্রই এড়িয়ে চলে।

    তিনি বলেন, ‘পারমাণবিক পরীক্ষাজনিত ভূমিকম্পগুলো সাধারণত অগভীর এবং খুব কমই ৩.০ মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। এই ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৫.০-এর বেশি, যার জন্য কয়েক মিলিয়ন টন টিএনটির সমপরিমাণ শক্তির প্রয়োজন—যেটা বর্তমান কোনো পারমাণবিক ক্ষমতার আওতার বাইরে।’

    তিনি এই গুজবকে ‘বৈজ্ঞানিক অজ্ঞতা বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে আখ্যা দেন এবং নিশ্চিত করেন যে ভূমিকম্পটি ছিল সম্পূর্ণরূপে প্রাকৃতিক।

    আলবোর্জ পর্বতমালা, যা কাস্পিয়ান সাগর ও ইরানের কেন্দ্রীয় মালভূমির মাঝে অবস্থিত, দেশটির সবচেয়ে ভূমিকম্প-প্রবণ অঞ্চলগুলোর একটি এবং সাম্প্রতিক দশকগুলোতে এখানে একাধিক বড় ধরনের ভূমিকম্প ঘটেছে।

  • দেশব্যাপী বাড়ছে ডেঙ্গু-করোনার প্রকোপ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে আসছে কঠোর সিদ্ধান্ত

    দেশব্যাপী বাড়ছে ডেঙ্গু-করোনার প্রকোপ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে আসছে কঠোর সিদ্ধান্ত

    ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন দীর্ঘ ছুটি শেষে আগামীকাল (রোববার) থেকে পুনরায় খুলছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে সাম্প্রতিক সময়ে করোনা ও ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা হঠাৎ বাড়তে থাকায় অভিভাবক ও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে গেলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে পারে সরকার।

    শনিবার (২১ জুন) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আজাদ খান আরটিভিকে জানান, এখনো পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামীকাল থেকে ক্লাস শুরু হবে।

    তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ইতোমধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে পরিস্থিতি খারাপ হলে তাৎক্ষণিকভাবে সরকারকে জানানো হবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

    স্বাস্থ্যবিধি পালনে সচেতনতা বৃদ্ধির অংশ হিসেবে বিভিন্ন স্থানে মতবিনিময় সভা করা হচ্ছে বলেও জানান ড. আজাদ খান। তিনি বলেন, “আজ আমি নিজেই চারটি সভায় অংশ নিয়েছি সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে।”

    বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, করোনা ও ডেঙ্গু—উভয়ের প্রাদুর্ভাব বর্তমানে সমানভাবে বাড়ছে। এমন অবস্থায় শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে প্রয়োজনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের উদ্যোগ নিতে হবে।

    ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান বলেন, “ডেঙ্গু প্রতিরোধে শুধু ওষুধ ছিটানো নয়, পাশাপাশি সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাতে হবে। জনগণকেও সচেতন হতে হবে।”

    এদিকে, ১৫ জুন মাউশি থেকে জারি করা এক নির্দেশনায় ডেঙ্গু ও করোনা প্রতিরোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মানতে বলা হয়েছে।

    নির্দেশনায় বলা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে ডেঙ্গু ও করোনা মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের নির্দেশ বাস্তবায়ন ও তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

    ডেঙ্গু প্রতিরোধে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সবার অংশগ্রহণে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইনের আয়োজন করতে বলা হয়েছে। এর আওতায় আলোচনা সভা, র‍্যালি, দেয়াল পত্রিকা, পোস্টার, লিফলেট বিতরণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

    করোনা প্রতিরোধে কঠোরভাবে অনুসরণযোগ্য পাঁচটি স্বাস্থ্যবিধি হলো:

    সাবান ও পানি দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে নিয়মিত হাত ধোয়া।

    জনবহুল স্থান এড়িয়ে চলা ও বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক পরা।

    করোনা আক্রান্ত বা সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা (কমপক্ষে তিন ফুট)।

    চোখ, নাক বা মুখে হাত দেওয়ার আগে ভালোভাবে হাত ধোয়া।

    হাঁচি বা কাশির সময় মুখ ঢাকতে টিস্যু, রুমাল বা কনুই ব্যবহার করা।

    পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

  • জামানত ছাড়া ৫ লক্ষ পর্যন্ত ঋণ দিচ্ছে কৃষি ব্যাংক

    জামানত ছাড়া ৫ লক্ষ পর্যন্ত ঋণ দিচ্ছে কৃষি ব্যাংক

    আপনি কি কৃষি ব্যাংক থেকে সহজ শর্তে ঋণ নিতে চান? কত টাকা পর্যন্ত ঋণ নেওয়া যাবে, জামানত লাগবে কিনা, কিংবা কীভাবে আবেদন করবেন—এসব প্রশ্নের উত্তর নিয়েই আজকের এই প্রতিবেদন।

    কৃষি ব্যাংকের ঋণের ধরন
    প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক, কৃষি ব্যাংক কোন কোন ধরনের ঋণ প্রদান করে। সাধারণত পাঁচ ধরনের ঋণ দিয়ে থাকে এই ব্যাংকটি। সেগুলো হলো—

    সাধারণ কৃষি ঋণ
    মাঝারি ও দীর্ঘমেয়াদী কৃষি ঋণ
    প্রবাসীদের জন্য বিশেষ ঋণ
    নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ঋণ
    ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য এসএমই ঋণ

    কত টাকা পর্যন্ত ঋণ?
    কৃষি ব্যাংক জামানত ছাড়া ৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিয়ে থাকে। আর জামানত সহ ঋণের পরিমাণ এক লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ২৫ লক্ষ টাকারও বেশি।

    মাসিক কিস্তি কত?
    একটি চার্ট অনুযায়ী, ১০% সুদে এক লক্ষ টাকা ঋণের মাসিক কিস্তি হবে—

    ১ বছর মেয়াদে: ৯,১৬৭ টাকা
    ৩ বছর মেয়াদে: ৩,২২৭ টাকা
    ৫ বছর মেয়াদে: ২,১২৫ টাকা
    ১০ বছর মেয়াদে: ১,২৫২ টাকা
    কারা এই ঋণ পেতে পারেন?
    কৃষি ব্যাংকের ঋণ পেতে পারেন নিম্নোক্ত পাঁচ শ্রেণির মানুষ:

    কৃষক: সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পান।
    ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা
    প্রবাসী বাংলাদেশি: সর্বোচ্চ ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জামানতসহ ঋণ পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
    নতুন ব্যবসায়ী উদ্যোক্তা
    নারী উদ্যোক্তা
    আবেদন করতে যা লাগবে:

    জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট (প্রবাসীদের জন্য)
    ঠিকানার প্রমাণ (বিদ্যুৎ বিল, বাসা ভাড়ার চুক্তিপত্র ইত্যাদি)
    ব্যবসার কাগজপত্র (যদি থাকে)
    আয়ের প্রমাণ
    প্রবাসীদের জন্য ওয়ার্ক পারমিট বা ভিসার কপি
    আবেদন পদ্ধতি:
    নিকটস্থ কৃষি ব্যাংকের শাখায় গিয়ে সরাসরি আবেদন করা যাবে। এছাড়াও অনলাইনে কৃষি ব্যাংকের ওয়েবসাইটে গিয়ে ফর্ম পূরণ করেও আবেদন করা সম্ভব। প্রয়োজনে নির্দিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তার সঙ্গে পরামর্শ করতে পারেন।

    টাকা উত্তোলনের প্রক্রিয়া:
    আবেদন অনুমোদন হলে টাকা ব্যাংক একাউন্টে ট্রান্সফার করা হবে। এজন্য অবশ্যই কৃষি ব্যাংকে একটি একাউন্ট খুলতে হবে।