Blog

  • ২৩ বছরে ১১ শিশুর মা, নিতে চান ১০০ সন্তান!

    ২৩ বছরে ১১ শিশুর মা, নিতে চান ১০০ সন্তান!

    ২৩ বছর বয়সেই ১১ সন্তানের মা হয়েছেন জর্জিয়ার বসবাসরত এক তরুণী।

    তবে শুধু তাই নয়, এখানেই না থেমে ১০০ সন্তানের মা হতে চান। শিশুদের প্রতি অগাধ মমত্ব থেকেই তিনি ১০০ সন্তানের মা হতে চান। জানা গেছে, ওই তরুণীর পুরো নাম ক্রিস্টিনা উজটার্ক। তার স্বামীর গালিপ উজটার্ক। জর্জিয়ায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন তারা। তাদের জর্জিয়ায় বড় একটি হোটেল রয়েছে।

    এই দম্পতির অর্থের কোনো অভাব নেই। ক্রিস্টিনাসহ তার স্বামীও বাচ্চা খুব ভালোবাসেন। তাই তারা দুজনেই চান, বহু সন্তান তাদের সংসারে আসুক।

    ক্রিস্টিনা সম্প্রতি, এক ভিডিওতে ক্রিস্টিনা বলেন তিনি একশ’রও বেশি সন্তানের মা হতে চান। বাচ্চাদের ছাড়া তিনি কিছুই বোঝেন না। সবকিছুরই সময় আছে, তবে এটুকু বলি আমরা এখানেই থামছি না।

    তার স্বামী গ্যালিপ বলেন, আমি ক্রিস্টিনার মত জীবনসঙ্গীই চেয়েছিলাম। সে একটা হীরার টুকরা। আমি জানি কতটা সুন্দর মানুষ সে। ক্রিস্টিনার ১১ সন্তানের মধ্যে ১০ জনেরই জন্ম হয়েছে অন্য নারীর গর্ভ ভাড়া নিয়ে। জর্জিয়ায় গর্ভ ভাড়া বেআইনি নয়।

    তাদের মধ্যে শুধু একটি সন্তান ক্রিস্টিনার গর্ভে বেড়ে উঠেছে। ক্রিস্টিনা জানান, ছয় বছর আগে একজন কন্যাসন্তানের জন্ম দেন তিনি। সেই সন্তানের নাম ভিকা। ভিকার পর তাদের সব সন্তান অন্য নারীর গর্ভে বেড়ে উঠেছে।

  • বয়স ত্রিশ হলে মেয়েদের যা করতে ইচ্ছা করে

    বয়স ত্রিশ হলে মেয়েদের যা করতে ইচ্ছা করে

    এই দুনিয়ায় মানুষকে দুটি রুপ দিয়ে পৃথিবীতে পাঠিয়েছে। একটি হল পুরুষ আরেকটি হল মহিলা। সৃষ্টিকর্তার তৈরি করা দুটি চেহারা সবার থেকে সুন্দর হয়ে থাকে। কিন্তু মহিলাদের সুন্রতায় সব থেকে বেশি মহত্ব দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু মেয়েদের মন কে বোঝা দুনিয়ার সব থেকে কঠিন কাজ। কারন তারা রেগে থাকলেও মনের দিক থেকে সব সময় কমল হয়ে থাকে।

    আর ১৮ থেকে ২০ বছরের মেয়েরা একটি লাজুক হয়ে থাকে।আর একটি সমীক্ষায় জানা গেছে ২০ বছর একটি মেয়ের সব থেকে গুরুত্ব পূর্ণ বয়স। কিন্তু একটি মেয়ের ২০ থেকে ৩০ বছর বয়স বেশী গুরুত্বপূর্ণ।কারন ২০ বছরের তারা সব কিছু ভালো ভাবে বুঝতে পারেনা কিন্তু ২০ পর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা অনেক কিছু বুঝতে থাকে ৩০ বছরে তা পূর্ণ হয়ে থাকে।

    এই বয়সে সবার খেয়াল রাখতে তারা ভালো পারে। আর এটা জেনে নিন মেয়েদের ৩০ বছর বয়স একটি গুরুত্ব পূর্ণ বয়স। আর ৩০ বছর বয়সের এই সব তথ্য গুলি আপনাকে চমকে দিতে পারে। কিন্তু এটাই সত্যি ।

    আর এর পেছনে অনেক অবাক করা কারন আছে আজ আমরা আপনাদের সেই সব কারন গুলি বলব …আসলে ৩০ বছর বয়সে মেয়েদের মধ্যে তাদের ছোটো বেলা ফুটে উঠে।

    আর তার আগের সময় মেয়েদেরা বেশীর ভাগ সিদ্ধান্ত ভেবে ভালো ভাবে নিতে পারেনা।কিন্তু এই ৩০ বছর পর তারা সব কিছু ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।আর এই বয়সে তারা সব কিছু সামলে নিতে পারে কোন জিনিসের তাদের আর অসুবিধা হয় না।এই বয়সে মেয়েদের আত্মবিশ্বাস সব থেকে বেশী বেড়ে যায়।

    আর এই বয়সে তারা অনেক ছোটো ছোটো জিনিস নিয়ে ঝগড়া করে ছেড়ে দিয়ে থাকে যেগুলি তারা আগে করত। আর এই বয়স তারা তাদের ভুল গুলই বুঝে সেগুলিকে ঠিক করার কথা ভাবে।

    আসলে ৩০ নীচে তারা নিজের সব ভুল লুকিয়ে থাকে এড়িয়ে চলে।কিন্তু ৩০ বছর বয়স তাদের সব কিছু বদলে যায়। আর এই বয়সে তাদের পোশাক অনেক পরিবর্তন আসে তারা সব কিছু একদম সঠিক ভাবে বুঝতে থাকে।

    যে বিষয়গুলো মেনে চললে না’রীদের ব’য়স দশ বছর ক’ম দেখাবে : দীর্ঘ দিন তারুণ্য ধরে রাখতে কে না চায়। কিন্তু কিছু ভুল অভ্যাসের কারণে আমাদের দেখতে আসল বয়সের থেকেও অনেক বেশি বয়স্ক মনে হয়।তবে খুব সাধারণ কিছু বিষয় মেনে চললে আসল বয়সের চেয়ে দশ বছর কম দেখাবে নারীদের। চলুন জেনে নেয়া যাক সেই বিষয়গুলো-১. ঘুমানোর সময় উপুড় হয়ে না শুয়ে সোজা থাকুন।

    উপুড় হয়ে ঘুমালে ত্বক ঝুলে যায়, র’ক্ত চলাচল বাধা পায়। ২. সকালের মিষ্টি রোদ থেকে যেমন আম’রা প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি পাই।তেমনি প্রখর রোদে সূর্যের অ’তিবেগুনি রশ্মি চোখের জন্য ক্ষতিকর। আমাদের চোখের চারপাশের ত্বক বেশি কোমল হয়। ফলে ক্ষতিটাও দ্রুত হয়, বয়সের ছাপ পড়ে, ডার্ক সার্কেল দেখা দেয়। এজন্য রোদে অবশ্যই সানগ্লাস ব্যবহার করুন।

    ৩. চিপস বা চিকেন ফ্রাই খেতে যতই পছন্দ করেন, স্বাস্থ্য আর সৌন্দর্যের কথা মা’থায় রাখু’ন। প্রচুর ফল-সবজি, মাছ আর লাল-চাল, আটার তৈরি খাবার খান।৪. দীর্ঘ সময় এসিতে থাকার ফলেও আমাদের ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। সব থেকে ভালো হয় এসিতে কম থাকলে।

    আর যদি থাকতেই হয়, তবে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন নিয়মিত। ৫. সারাদিন যারা স্মা’র্টফোনে থাকেন, তখন হাতটা কোনো টেবিলে রাখু’ন। অথবা কথা বলার সময় ফোনটি হাত দিয়ে কানে ধরে রাখু’ন। নয়তো ত্বকে ভাঁজ পড়ে, ডাবল চিন হয়, চেহারা বুড়িয়ে যায়।

  • মিরপুরে মেট্রোরেলের বগি লাইনচ্যুত হয়ে নিচের সড়কে পড়ে যাওয়ার দাবি: যা জানা গেল

    মিরপুরে মেট্রোরেলের বগি লাইনচ্যুত হয়ে নিচের সড়কে পড়ে যাওয়ার দাবি: যা জানা গেল

    সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে মেট্রোরেলের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে রেললাইনের নিচের সড়কে পড়ে যাচ্ছে। ভিডিওটিতে দাবি করা হচ্ছে, ঘটনাটি রাজধানীর মিরপুরের। ফেসবুকে ছড়ানো এই ভিডিওটি গতকাল সোমবার দুপুর পর্যন্ত দেখেছে প্রায় ৫৬ লাখ বার এবং শেয়ার হয়েছে ১ হাজার ৭০০ বার।

    তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা গেছে, ভিডিওটি আদতে কোনো বাস্তব ঘটনার চিত্র নয়। এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে।

    রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে ভিডিওটির কয়েকটি কী-ফ্রেম বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ভিডিওটির মূল সংস্করণ ‘the.worldai’ নামের একটি ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে গত ২৩ মার্চ প্রকাশিত হয়েছিল। আলোচিত ভিডিওটির সঙ্গে সেই ভিডিওর মিল রয়েছে, শুধু এটি মিরর ইফেক্ট দিয়ে সম্পাদনা করা হয়েছে।

    উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ওই ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে নিয়মিত এআই দিয়ে তৈরি করা নানা ধরনের কনটেন্ট প্রকাশ করা হয়। ভিডিওটির শিরোনামেও এমন কিছু হ্যাশট্যাগ রয়েছে, যা এআই ব্যবহারের ইঙ্গিত দেয়।

    এ ছাড়া রাজধানীর মিরপুরে মেট্রোরেল দুর্ঘটনার এমন কোনো ঘটনা গণমাধ্যম কিংবা দায়িত্বশীল কোনো সূত্রে পাওয়া যায়নি।

    ফলে, এটি স্পষ্ট- ভিডিওটি বাস্তব নয়। এটি এআই দিয়ে তৈরি করা একটি ভিজ্যুয়াল, যেটিকে মিরপুরে মেট্রোরেল দুর্ঘটনার নামে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে ভুয়া তথ্য প্রচার করা হচ্ছে।

  • যুদ্ধবিরতি কার্যকর, কেউ লঙ্ঘন করবেন না: ট্রাম্প

    যুদ্ধবিরতি কার্যকর, কেউ লঙ্ঘন করবেন না: ট্রাম্প

    ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে বলে ফের দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দুই দেশের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘দয়া করে, কেউ এটা লঙ্ঘন করবেন না।’

    স্থানীয় সময় মঙ্গলবার নিজের ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা লেখেন ট্রাম্প। এর আগে ট্রুথ সোশ্যালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, ইসরায়েল ও ইরান পুরোপুরি ও সর্বাত্মক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। খবর বিবিসির।

    এদিকে ইসরায়েল-ইরানের গণমাধ্যমেও যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

    ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেন, এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি বা সামরিক অভিযান বন্ধের বিষয়ে কোনো চুক্তি হয়নি। তবে ইসরায়েল যদি তেহরানের স্থানীয় সময় অনুযায়ী ভোর ৪টার মধ্যে ইরানি জনগণের বিরুদ্ধে তাদের অবৈধ হামলা বন্ধ করে, তাহলে আমরা আর পাল্টা হামলা চালিয়ে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা রাখি না।

    যদিও আজ মঙ্গলবার ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা চলেছে। ইসরায়েলের হামলায় ইরানে এক পরমাণুবিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন তিনজন।

  • ইন্টারনেটে আপত্তিকর কন্টেন্টের নিশানায় নারী রাজনীতিকরা

    ইন্টারনেটে আপত্তিকর কন্টেন্টের নিশানায় নারী রাজনীতিকরা

    ইন্টারনেটভিত্তিক বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে নারী রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে ছড়ানো হচ্ছে ভুয়া ও আপত্তিকর কনটেন্ট। প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) পরিচালিত ফ্যাক্ট চেক ও মিডিয়া রিসার্চ শাখা ‘বাংলাফ্যাক্ট’ তাদের অনুসন্ধানে এ তথ্য শনাক্ত করেছে।

    ‘বাংলাফ্যাক্ট’ জানায়, বিগত কয়েক বছর ধরে ফেসবুক, এক্স (সাবেক টুইটার), ইউটিউব ও টিকটকের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী ব্যক্তিত্বদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ এবং মিথ্যা তথ্য ছড়ানো একটি নিয়মিত চর্চায় পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি এই প্রবণতা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে, আর সবচেয়ে বেশি টার্গেট হচ্ছেন রাজনীতি সংশ্লিষ্ট নারী ব্যক্তিত্বরা, বিশেষত সরকারপন্থী নারী নেতারা।

    গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পতনের পর আলোচনায় আসা কয়েকজন নারী রাজনীতিককে ঘিরে এই ধরনের মিথ্যা ও বিকৃত প্রচারণা নতুন মাত্রা পায়। তাদের নামে ভুয়া সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট খোলা, মেইনস্ট্রিম মিডিয়ার লোগো ব্যবহার করে বানানো ভুয়া ফটোকার্ড ছড়ানো, এডিট করা আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও প্রচার, ডিপফেক প্রযুক্তির মাধ্যমে ভিডিও তৈরি ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য জুড়ে ভুয়া কনটেন্ট তৈরি করে তা অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।

    ‘বাংলাফ্যাক্ট’-এর তথ্যমতে, দেশের পাঁচজন উদীয়মান নারী রাজনীতিক, একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিক এবং একজন নারী উপদেষ্টাকে ঘিরে ইন্টারনেটে ছড়ানো ২৭টি আপত্তিকর কনটেন্ট বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে—সব কনটেন্টই ভিত্তিহীন ও ভুয়া। তবে যাচাইয়ের সীমাবদ্ধতার কারণে আরও অনেক কনটেন্ট থেকে থাকতে পারে যা এই তালিকায় আসেনি। অন্যান্য ফ্যাক্টচেক প্রতিষ্ঠানও এসবের বেশ কয়েকটিকে ভুয়া হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

    পরিসংখ্যান অনুযায়ী-

    বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক রুমিন ফারহানাকে নিয়ে ছড়ানো কনটেন্টের সংখ্যা ৬টি (২২.২২%)

    পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানকে নিয়ে ৫টি (১৮.৫২%)

    জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারাকে নিয়ে ৫টি (১৮.৫২%)

    একই দলের যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুমকে নিয়ে সর্বাধিক ৭টি (২৫.৯৩%)

    উমামা ফাতেমাকে নিয়ে ২টি (৭.৪১%)

    এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনূভা জাবীন ও অর্পিতা শ্যামা দেবকে নিয়ে ১টি করে (প্রত্যেকেই ৩.৭০%)

    বিশ্লেষণে দেখা যায়, মোট ২৭টি ভুয়া কনটেন্টের মধ্যে মাত্র ৩টি (রুমিন ফারহানাকে নিয়ে ছড়ানো) কনটেন্ট ছড়ানো হয়েছে অভ্যুত্থানপূর্ব সময়, অর্থাৎ জুলাইয়ের আগে; বাকি ২৪টি কনটেন্টই ছড়ানো হয়েছে অভ্যুত্থানের পর।

  • সাবেক সিইসিকে হেনস্তার ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আটক

    সাবেক সিইসিকে হেনস্তার ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আটক

    সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদাকে হেনস্তা ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছনার ঘটনায় জড়িত সবাইকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

    আইন লঙ্ঘন করে মব সৃষ্টির এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। ইতোমধ্যে সেনাবাহিনীর একটি দল অভিযুক্ত উত্তরা পশ্চিম থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব হানিফ মিয়াকে আটক করেছে।

    সোমবার (২৩ জুন) রাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি বলেন, সাবেক সিইসি নুরুল হুদাকে আটকের সময় মব সৃষ্টি ও হেনস্তার ঘটনায় রাতেই উত্তরা পশ্চিম থানায় পুলিশের পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে রাতেই গ্রেপ্তার নুরুল হুদাকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।

    ডিসি মহিদুল ইসলাম বলেন, সেনাবাহিনীর একটি দল উত্তরা পশ্চিম থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব হানিফ মিয়াকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে। অন্য জড়িতদেরও আটক করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

    এর আগে রোববার সাবেক সিইসি কে এম নুরুল হুদাকে রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় পুলিশের উপস্থিতিতেই তাকে নানাভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। এ ঘটনার সময়ের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। এরপরই এটি নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে।

    সূত্র : আমার দেশ

  • অবশেষে ভোট নিয়ে যে সিদ্ধান্ত জানালেন প্রধান উপদেষ্টা: ড. ইউনুস

    অবশেষে ভোট নিয়ে যে সিদ্ধান্ত জানালেন প্রধান উপদেষ্টা: ড. ইউনুস

    জাতীয় নির্বাচনের আগে দেশের ১২টি সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে নতুন করে ভাবছে সরকার। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মূলত নাগরিক সেবা সচল রাখতে সিটি করপোরেশন নির্বাচন আয়োজন জরুরি। এই নির্বাচনের মাধ্যমে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনেরও একটি ‘ট্রায়াল রান’-এর সুযোগ তৈরি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। শিগগির সরকারের তরফ থেকে সিটি করপোরেশন নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা আসতে পারে। তবে আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, নাকি স্থানীয় সরকার নির্বাচন—এ নিয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য হয়নি। বিএনপির মতো বড় দল আগে জাতীয় নির্বাচন চায়। জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদ, এবি পার্টিসহ আরও কয়েকটি দল জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি করে আসছে।

    রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনৈতিক ঐকমত্য ছাড়া স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য আরেকটা চ্যালেঞ্জ হয়ে যাবে। স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেছেন, বিচ্ছিন্নভাবে সিটি করপোরেশন নির্বাচন করা ভুল হবে। স্থানীয় সরকার সিস্টেমে সংস্কার করে নির্বাচন আয়োজন সহজ ও বুদ্ধিমানের কাজ হবে। সংস্কার করতে সর্বোচ্চ এক মাস লাগবে বলেও মত তার।

    গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকার পতনের পর ঢাকার দুই সিটিসহ দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলরদের অপসারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। পরে সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভায় আওয়ামী লীগ সমর্থক মেয়র, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, কাউন্সিলররা অনুপস্থিত থাকায় নাগরিক সেবা ব্যাহত হওয়ার প্রেক্ষাপটে আইন সংশোধন করে সরকার। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গত ১৯ আগস্ট ঢাকাসহ সব সিটি মেয়রকে অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়। এর মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায়ে জিতে বিএনপির শাহাদাত হোসেন মেয়র পদে বসেছেন। তবে ৪০ দিনের আন্দোলনেও ঢাকা দক্ষিণে বিএনপির ইশরাক হোসেনের শপথ হয়নি।

    নির্বাচনের সময় বিষয়ে স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইনের ৩৪ (১) (খ) ধারায় করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে এবং ৩৪ (১) (গ) ধারায় করপোরেশন গঠন বাতিলের ক্ষেত্রে—বাতিলাদেশ জারির পরবর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের কথা বলা হয়েছে।

    ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণে ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি, চট্টগ্রামে ২০২০ সালের ২৯ মার্চ, নারায়ণগঞ্জে ২০২২ সালের ১৬ জানুয়ারি, কুমিল্লায় ২০২২ সালের ১৫ জুন, রংপুরে ২০২২ সালের ২৭ ডিসেম্বর, গাজীপুরে ২০২৩ সালের ২৫ মে, খুলনা ও বরিশালে ২০২৩ সালের ১২ জুন, রাজশাহী ও সিলেটে ২০২৩ সালের ২১ জুন এবং ময়মনসিংহে ২০২৪ সালের ৯ মার্চ ভোট হয়েছিল।

    জাতীয় নির্বাচনের আগে দেশের নাগরিক সেবা সচল রাখতে সিটি করপোরেশন নির্বাচন আয়োজন জরুরি বলে মনে করেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি বলেন, ‘যেহেতু এখন জাতীয় নির্বাচন পেছানোর আর কোনো সুযোগ নেই। ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটা ডেডলাইন হয়েছে। আমাদের সিটি করপোরেশনগুলো যে ধরনের সেবা দিয়ে থাকে, সে সেবাগুলো বিঘ্নিত হচ্ছে। জাতীয় নির্বাচনের আগে যে সময়টা আছে; জনগণের ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে রাজনৈতিক দলগুলো ও সরকারের একটা জায়গায় আসা উচিত। স্থানীয় সরকার নির্বাচন বলতে শুধু অন্তত সিটি করপোরেশন পর্যায়ে আমরা নির্বাচন আয়োজন করতে পারি।’

    তিনি বলেন, ‘২০২৪ সালের ৫ আগস্টের ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মনোবলে বড় ধরনের ধাক্কা লাগে এবং নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। ফলে জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে অন্তত একটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজন করলে এ প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা ও নিরপেক্ষতা যাচাই করার সুযোগ মিলত। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য ছাড়া কোনো ধরনের সিদ্ধান্তই নেওয়া হবে না। আমরা যদি রাজনৈতিক ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারি, তাহলে এটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব।’

    সম্প্রতি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে স্থানীয় সরকারের নির্বাচনের বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, সরকার বিএনপিকে একটি বার্তা দেবে, তা হলো—ইশরাক যদি নগর ভবনে বিশৃঙ্খলা বন্ধ না করেন, তবে সরকার স্থানীয় সরকারের নির্বাচনের দিকে এগোবে। জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন, এনসিপিসহ অধিকাংশ দল স্থানীয় সরকার নির্বাচন চাইছে।

    জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ কালবেলাকে বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন। তবে সরকার জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নিলে ইসি তা বাস্তবায়ন করবে।’

    তিনি আরও বলেন, ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচন কতটুকু হবে এবং কোন কোন প্রতিষ্ঠানের হবে, সে সিদ্ধান্তও নেবে সরকার। এখানে ইসি অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচনের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করবে।’

    রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিক্রিয়া:

    বিএনপি বরাবরই স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আগে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু কালবেলাকে বলেন, ‘আমরা তো পরিষ্কারভাবে বলেছি, আগে জাতীয় নির্বাচন, তারপর অন্যান্য নির্বাচন। এখন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কোনো প্রয়োজনই নেই।

    জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী আগামী ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে জাতীয় নির্বাচন চায়, এপ্রিলে হলেও আমাদের আপত্তি নেই। তবে আমরা স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে চাই। ডিসেম্বরের মধ্যে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন হতে পারে, তারপরই জাতীয় নির্বাচন।’

    এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘নতুন স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলে জনপ্রতিনিধি আসবে, নাগরিক সমস্যা লাঘব হবে। সরকারের কাছে আমরা দাবি জানাচ্ছি, যেন দ্রুত নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দিকে আমরা যেতে পারি।’

    তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কিন্তু বলিনি যে, জাতীয় নির্বাচন পিছিয়ে স্থানীয় নির্বাচন দিতে হবে। প্রয়োজনে গণপরিষদ নির্বাচন এবং জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হোক। তারিখ ঘোষণার মাধ্যমে সবাইকে আশ্বস্ত করে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিক। আমাদের সে বিষয়ে কোনো আপত্তি নেই।’

    চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান কালবেলাকে বলেন, ‘আমরা অনেকদিন ধরেই জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দাবি করে আসছি। তবে কেউ কেউ এই দাবির বিরোধিতা করছে। অবশ্যই স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে হওয়া যুক্তিসংগত। কারণ বাসিন্দারা ভোগান্তিতে পড়ছেন। অনেক সেবা পাচ্ছেন না।’

    জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, ‘সিটি করপোরেশন নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে সরকারের পক্ষে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। তাই এ বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। দলীয় ফোরামে আলোচনার পর আমরা সিদ্ধান্ত জানাব।’

    অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমির মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানী কালবেলাকে বলেন, ‘কোন নির্বাচন আগে হওয়া দরকার—এটা সরকারই বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিক। তা ছাড়া অধিকাংশ মতামত কোনদিকে সেটিও তাদের বিবেচনায় নিতে হবে।’

    গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর কালবেলাকে বলেন, ‘সিটি করপোরেশন নির্বাচন যদি সরকার করতে পারে আমরা স্বাগত জানাই। আমরা শুধু ১২টি সিটি করপোরেশন নয়, শুরু থেকেই জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচনের দাবি জানিয়েছিলাম দলীয়ভাবে। কারণ, গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী প্রশাসনের মধ্যে অস্থিরতা, দুর্বলতা রয়ে গেছে। একই সঙ্গে ১০ মাস পর এসেও বিভিন্ন ধরনের মব জাস্টিস চলছে। প্রশাসনেও অনেক ক্ষেত্রে আগের মতোই দলীয়করণ আমরা দেখতে পাচ্ছি। সে জায়গায় বলছি, জাতীয় নির্বাচন যে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হবে, তার পূর্বে স্থানীয় নির্বাচনগুলো করার মধ্য দিয়ে প্রশাসেনর একটা অ্যাসিড টেস্ট করা উচিত।’

    আরও পড়ুনঃ সকালে ভেজানো কিশমিশ খেলেই মিলবে যে ৮ উপকার!
    এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু কালবেলাকে বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের আগে সরকার যদি সিটি করপোরেশনগুলোর নির্বাচনের আয়োজন করে, তাহলে এটা নির্বাচন কমিশনের জন্য একটা ভালো এক্সপেরিমেন্ট হতে পারে। এতে প্রশাসনিক দুর্বলতা ও ত্রুটিবিচ্যুতি যা আছে, তাও চিহ্নিত করা সম্ভব হবে এবং সমাধানের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের দক্ষতা-অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ হবে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, স্থানীয় সরকার পরিষদগুলো থেকে সাধারণ নাগরিকরা দীর্ঘদিন ধরে সেবা বঞ্চিত হওয়ার যে অভিযোগ, তারও একটা সমাধান হতে পারে।’

    বিশ্লেষকরা যা বলছেন: স্থানীয় সরকার বিভাগের সাবেক সচিব ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক আবু আলম শহীদ খান কালবেলাকে বলেন, ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচন নাকি জাতীয় নির্বাচন আগে হবে এটা নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। ঐকমত্য কমিশনে এটা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। রাজনৈতিক ঐকমত্যে ছাড়া স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজন করা হলে এর উদ্দেশ্য নিয়ে মানুষের মধ্যে সন্দেহ, অবিশ্বাস ও আস্থাহীনতা তৈরি হবে। সেটা এ সরকারের জন্য আরেকটা চ্যালেঞ্জ হয়ে যাবে।’

    স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বিচ্ছিন্নভাবে সিটি করপোরেশন নির্বাচন করা ভুল হবে। আগে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন যে প্রতিবেদন দিয়েছে, সেই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কিছু সংস্কার করতে হবে। ইচ্ছা থাকলে এ সংস্কার একমাসে করা যায়। তারপর নির্বাচনে যান। কোনো সংস্কার ছাড়া নির্বাচন কেন হবে। আমরা তো সিটি করোপোরেশনে কিছু পরিবর্তন সাজেস্ট করেছি। সংস্কার কমিশন করেছে, কমিশনের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করেন। সংস্কার করেন আগে, তারপর নির্বাচন। সংস্কার করে নির্বাচন করতে কোনো সমস্যা নেই। সংস্কারের তো অনেক বিষয় রয়েছে। স্থানীয় সরকার সিস্টেমে সংস্কার করে নির্বাচন করাটা সহজ ও বুদ্ধিমানের কাজ।’

    তিনি আরও বলেন, ‘শুধু সিটি করপোরেশন নির্বাচন করাও অসংগত। কারণ কমিশনের প্রস্তাবনা মতে একটি সিঙ্গেল শিডিউলে সব স্থানীয় সরকারের নির্বাচন করা যায়। এটার জন্য সর্বসাকুল্যে ৪৫ দিন সময় লাগবে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলো হয়ে গেলে জাতীয় নির্বাচন করতেও সহজ হবে। কারণ শূন্যস্থানগুলো পূরণ হবে, আইনশৃঙ্খলাসহ নানা কাজে সব জায়গা লোক থাকবে। এখন তো একটা শূন্যতার মধ্যে চলছে।

  • আজ থেকে দেশে প্রথমবার চালু হচ্ছে গুগল পে, যেসব সুবিধা পাওয়া যাবে

    আজ থেকে দেশে প্রথমবার চালু হচ্ছে গুগল পে, যেসব সুবিধা পাওয়া যাবে

    বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হচ্ছে গুগলের ডিজিটাল পেমেন্ট সেবা গুগল পে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই সেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। সিটি ব্যাংক গুগলের সঙ্গে অংশীদার হয়ে এই সেবা চালু করতে যাচ্ছে। সহযোগী হিসেবে রয়েছে আন্তর্জাতিক কার্ড ব্র্যান্ড মাস্টারকার্ড এবং ভিসা। দেশের মধ্যে প্রথমবারের মতো সিটি ব্যাংকই সরাসরি গুগল পে’র সঙ্গে যুক্ত হলো।

    গুগল পে চালুর মাধ্যমে দেশের গ্রাহকরা এখন থেকে তাদের অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ব্যবহার করেই সহজ, দ্রুত ও নিরাপদ উপায়ে লেনদেন করতে পারবেন। পেমেন্টের জন্য আর আলাদা করে কার্ড বহন করার প্রয়োজন হবে না। ফোন ট্যাপ করেই দেশে বা বিদেশে যেকোনো পয়েন্ট-অব-সেল (POS) টার্মিনালে অর্থ প্রদান সম্ভব হবে। এই সেবায় গুগল কোনো ফি নিচ্ছে না, ফলে ব্যবহারকারীরা সম্পূর্ণ ফ্রি-তে গুগল পে ব্যবহার করতে পারবেন।

    প্রাথমিকভাবে এই সুবিধা সিটি ব্যাংকের মাস্টারকার্ড ও ভিসা কার্ডধারীদের জন্য চালু হচ্ছে। সেবাটি ব্যবহারের জন্য গ্রাহকদের একটি অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে গুগল পে অ্যাপ ডাউনলোড করে নিজেদের কার্ডের তথ্য যুক্ত করতে হবে। একবার কার্ড যুক্ত হয়ে গেলে, যেকোনো দোকান, শপিং মল বা রেস্তোরাঁয় স্মার্টফোন ট্যাপ করেই তা দিয়ে পেমেন্ট করা যাবে।

  • জেনে নিন জাল টাকা চেনার নতুন উপায়

    জেনে নিন জাল টাকা চেনার নতুন উপায়

    চকচক করলে যেমন সোনা হয় না, ঠিক তেমনই দেখতে অবিকল টাকার মতো হলেই টাকা হয় না। জাল টাকার জালে আটকা পড়েছেন তো ঠকেছেন! এমন যেন ঠকতে না হয়, তার জন্যই এই লেখা। জাল টাকা চেনার সঠিক কৌশল জানা এখন সময়ের দাবি।

    কীভাবে বুঝবেন টাকা আসল না জাল?
    বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত নির্দেশনা মেনে চললে সহজেই জাল নোট থেকে নিজেকে বাঁচানো সম্ভব। নিচে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরা হলো—

    ১. নিরাপত্তা সুতা খেয়াল করুন
    ১০০, ২০০ ও ৫০০ টাকার নোটে ডান পাশ দিয়ে ওপর থেকে নিচে চলে যাওয়া ৪ মিমি চওড়া প্যাঁচানো নিরাপত্তা সুতা থাকে।

    ১০০০ টাকার ক্ষেত্রে এই সুতা হয় ৫ মিমি চওড়া এবং রঙ বদলায় সোনালি থেকে সবুজে।

    এই সুতার মধ্যে টাকার মান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগোও লেখা থাকে যা নাড়াচাড়া করলে চকচক করতে দেখা যায়—জাল নোটে যা অনুপস্থিত।

    ২. লুকানো লেখা খুঁজে দেখুন
    বঙ্গবন্ধুর ছবির নিচে সূক্ষ্মভাবে লুকানো থাকে টাকার সংখ্যা।

    আতশি কাচ বা মোবাইলের জুম ব্যবহার করে এটি সহজেই দেখা যাবে।

    ২০০ টাকার নোটে ‘TWO HUNDRED TAKA’ এবং বাঁ পাশে ক্ষুদ্রাকৃতির “200” লেখা থাকে।

    ৩. রঙের পরিবর্তন লক্ষ করুন
    ১০০ ও ১০০০ টাকার কোনায় থাকা সংখ্যার রঙ সোনালি থেকে সবুজে বদলায়।

    ৫০০ টাকার ক্ষেত্রে ম্যাজেন্টা থেকে সবুজে পরিবর্তন হয়।

    আলোর পরিবর্তনে লেখা দৃশ্যমান হয়, যা জাল টাকায় থাকে না।

    ৪. স্পার্ক ইফেক্ট বা জ্বলে ওঠা কালি
    ২০০ টাকার নোটে বিশেষ চৌম্বকীয় কালি ব্যবহার করা হয়, যা কাত করলে ঠিকরে আলো পড়ে।

    একটি উজ্জ্বল রেখা উপরে-নিচে নড়াচড়া করে—এটি জাল টাকায় তৈরি করা সম্ভব নয়।

    ৫. ছোঁয়া দিয়েই ধরুন আসল না জাল
    আসল নোট হাতে নিলে হালকা খসখসে অনুভূত হয়,

    বিপরীতে জাল টাকা হয় অতিরিক্ত মসৃণ ও পাতলা।

    বাজারে সহজলভ্য UV মেশিন দিয়েও নোটের সত্যতা যাচাই করা যায়।

    ঈদ কিংবা উৎসবের সময় বাজারে লেনদেনের চাপ বেশি থাকে। এই সুযোগে প্রতারক চক্ররা সচেতনতার ঘাটতি কাজে লাগিয়ে জাল নোট গছিয়ে দেয়। তাই—

    টাকা লেনদেনের সময় খেয়াল রাখুন উল্লিখিত বৈশিষ্ট্যগুলো,
    প্রয়োজন হলে দোকানে UV লাইট মেশিন ব্যবহার করুন,
    সন্দেহজনক নোট পেলে সঙ্গে সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বা বাংলাদেশ ব্যাংকে জানান।
    জাল টাকা শুধু অর্থনৈতিক ক্ষতিই নয়, আইনি জটিলতার কারণও হতে পারে। তাই সচেতন থাকুন, নিরাপদ থাকুন।

  • মেজর নুরের বিরুদ্ধে নারীর গোপন তথ্য ফাঁস করলেন ইলিয়াস হোসেন

    মেজর নুরের বিরুদ্ধে নারীর গোপন তথ্য ফাঁস করলেন ইলিয়াস হোসেন

    সামরিক পোশাকের আড়ালে প্রতারণা ও হুমকি: মেজর নুরের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ, তদন্ত দাবি ইলিয়াস হোসেনের

    সম্প্রতি সাংবাদিক ও বিশ্লেষক ইলিয়াস হোসেন তার ফেসবুক পেজে একটি বিস্ফোরক স্ট্যাটাস প্রকাশ করেন, যেখানে সেনাবাহিনীর মেজর পদে অধিষ্ঠিত এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক নারীর গুরুতর অভিযোগ তুলে ধরেন। অভিযুক্ত কর্মকর্তার নাম ‘নুর’—যিনি নিজের পরিচয়ে স্ত্রী-সন্তান থাকা সত্ত্বেও ডিভোর্সড দাবি করে এক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন বলে অভিযোগ।

    ইলিয়াস হোসেনের স্ট্যাটাস অনুযায়ী, কয়েকদিন আগে এক নারী তার পরিচিত এক সাংবাদিকের অফিসে গিয়ে নুরের বিরুদ্ধে বিস্তারিত অভিযোগ করেন। ওই নারী জানান, নুর শুরুতে নিজেকে অবিবাহিত ও ডিভোর্সড দাবি করে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি করেন। পরে বিভিন্ন সময় ঢাকার অভিজাত হোটেলগুলোতে নিয়ে গিয়ে সময় কাটাতেন।

    প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বিয়ের বিষয়ে নারীর আগ্রহ ও চাপ বাড়লে নুর সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন এবং রাত কাটানোর ক্ষেত্রে সবসময় গড়িমসি করেন। এ থেকেই নারীর মনে সন্দেহ জন্ম নেয়—নুর আদৌ বিবাহবিচ্ছিন্ন কিনা।

    পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে যখন ওই নারী সম্পর্ক ছিন্ন করার চেষ্টা করেন। তখনই নুর তার উপর শারীরিক সম্পর্কের চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। বিয়ে না করলে বিষয়টি ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দিলে নুর পাল্টা হুমকি দিয়ে বলেন—“তাহলে তোকে মেরে ফেলব।” নারীটির ভাষ্যমতে, সম্প্রতি তার বাসার সামনে একটি গাড়ি নিয়মিত দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় এবং সন্দেহজনকভাবে নজরদারি চালানো হচ্ছিল।

    নিজের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে তিনি এক সাংবাদিকের কাছে আশ্রয় নেন এবং নুরের সামরিক পোশাক পরা ছবিসহ বিষয়টি বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন। তার ভাষ্য অনুযায়ী, কিছু অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি সাংবাদিককে দেখানোর কথা থাকলেও তিনি এরপর থেকেই নিখোঁজ।

    ইলিয়াস হোসেন স্ট্যাটাসে আরও দাবি করেন, “আমার খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নুর একজন মেজর পদধারী সেনা কর্মকর্তা। তার স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে এবং স্ত্রীর সঙ্গে তার ডিভোর্স হয়নি। এমনকি ২০২২ সালে তার চাকরির মেয়াদ শেষ হলেও বর্তমান সরকার তাকে আরও দুই বছরের জন্য মেয়াদ বাড়িয়েছে।”

    এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ইলিয়াস হোসেন সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “এই লম্পটকে দ্রুত গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। সেনাবাহিনীর মতো একটি গর্বিত প্রতিষ্ঠানের সদস্য যদি এমন অনৈতিক ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকে, তবে এর প্রভাব পুরো বাহিনীর ভাবমূর্তিতে আঘাত হানে। সেইজন্যই প্রয়োজন অবিলম্বে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত এবং ভুক্তভোগী নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।”

    এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে সামাজিক মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যেও এই বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জোরালো হচ্ছে।