Blog

  • ঢাকায় ১৩ তলা থেকে লিফট ছিঁড়ে আহত ৯

    ঢাকায় ১৩ তলা থেকে লিফট ছিঁড়ে আহত ৯

    রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিডিবিএল ভবনের লিফট ছিঁড়ে ৯ জন আহত হয়েছেন। আহতদের রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরমধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।

    মঙ্গলবার (২৭ মে) সকাল পৌনে ৯টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। জানা যায়, ১৮তলা ভবনটি বিডিবিএল ব্যাংকের। এতে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অফিস রয়েছে। সংবাদমাধ্যম বণিক বার্তা ও একাত্তর টেলিভিশনের অফিস রয়েছে ওই ভবনে।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভবনটির ৪টি লিফটের মধ্যে তিনটিই দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট। বহুবার তাগিদ দেয়ার পরও বিডিবিএল কর্তৃপক্ষ কর্ণপাত করেনি। ভবনের বিভিন্ন অফিসের কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে, লিফট-অফিস বন্ধ করে পালিয়েছে বিডিবিএল কর্তৃপক্ষ।

    এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ভবনটিতে কর্মরত বিভিন্ন অফিসের কর্মীরা।

  • জামায়াত নেতা আজহারের খালাসের রায়ে আসিফ নজরুলের প্রতিক্রিয়া

    জামায়াত নেতা আজহারের খালাসের রায়ে আসিফ নজরুলের প্রতিক্রিয়া

    মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম আজ খালাস পেয়েছেন। আদালতের এ রায়ের পর নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

    মঙ্গলবার (২৭ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তিনি এ প্রতিক্রিয়া জানান।

    আসিফ নজরুল লিখেছেন, নির্দোষ প্রমাণ হওয়ায় মুক্তিযুদ্ধকালের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ থেকে খালাস পেয়েছেন জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম। দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে তার করা রিভিউ সর্বসম্মতিতে মঞ্জুর করেছেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

    তিনি আরও লিখেছেন, আজহারুলকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায় এবং মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে এর আগে আপিল বিভাগের দেওয়া রায় বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে আজকের রায়ে।

    সবশেষে এই উপদেষ্টা লিখেছেন, এই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টির কৃতিত্ব জুলাই গণ-আন্দোলনের অকুতোভয় নেতৃত্বের। এই সুযোগকে রক্ষা করার দায়িত্ব এখন আমাদের সবার।

  • কোরবানিতে ভারতকে বয়কট, গরু রপ্তানিতেও টেক্কা বাংলাদেশের!

    কোরবানিতে ভারতকে বয়কট, গরু রপ্তানিতেও টেক্কা বাংলাদেশের!

    এই ঈদে কোরবানির জন্য বাংলাদেশে আর কোনো আমদানিকৃত বা সীমান্ত ঘেঁষা চোরাই গরুর প্রয়োজন নেই। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সর্বশেষ হিসাব বলছে, এবছর কোরবানির জন্য দেশে পশুর চাহিদা দাঁড়াবে প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখে। এবং আশাব্যঞ্জক তথ্য হলো—এই সম্পূর্ণ চাহিদাই পূরণ করা সম্ভব হবে দেশীয় উৎস থেকেই।

    এর ফলে দীর্ঘদিন ধরে চলা সীমান্ত নির্ভরতা ও ভারতীয় গরুর আমদানি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে ভারতের পশু-ভিত্তিক কৃষি অর্থনীতিতে। দেশটির সীমান্তবর্তী রাজ্য—পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড ও আসামে—৩০ লাখেরও বেশি গরু অবিক্রীত অবস্থায় পড়ে আছে। শুধু পশ্চিমবঙ্গেই আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৮ হাজার কোটি রুপি, বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার, হিন্দুস্তান টাইমস ও দৈনিক ভাস্করের মতো শীর্ষস্থানীয় ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।

    ২০১৪ সালে ভারতের মোদি সরকার ‘কাউ প্রোটেকশন’ নীতির আওতায় গরু জবাই নিষিদ্ধ করে। সেই নিষেধাজ্ঞার দীর্ঘমেয়াদি প্রতিক্রিয়ায় ২০২৫ সালে এসে বাংলাদেশ আমদানি পুরোপুরি বন্ধ করলে এই গরুগুলো হয়ে ওঠে অর্থনৈতিক বোঝা।

    এদিকে বাংলাদেশে গরু উৎপাদনের ক্ষেত্রে আশাব্যঞ্জক অগ্রগতি ঘটেছে। চুয়াডাঙ্গা, রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়াসহ অন্তত ৩০টি জেলায় খামারভিত্তিক উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। লক্ষাধিক খামারি এখন গরু বিক্রি করছেন অনলাইন হাটের মাধ্যমে। তাদের পাচ্ছেন ডিজিটাল স্বাস্থ্য সনদ ও মূল্য যাচাইয়ের সুবিধা।

    সরকারের লক্ষ্য এখন কেবল অভ্যন্তরীণ বাজার নয়, বরং আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানিও। ইতোমধ্যে সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, ওমান ও কিছু আফ্রিকান দেশ বাংলাদেশি গরু আমদানিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। চট্টগ্রাম বন্দরে দুটি আন্তর্জাতিক গরু রপ্তানি চুক্তিও সই হয়েছে।

    সরকারি পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষ গরু রপ্তানিকারক দেশে পরিণত হতে চায়। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO) এবং আন্তর্জাতিক পশু স্বাস্থ্য সংস্থা আশাবাদ ব্যক্ত করেছে—বাংলাদেশ এই গতিতে এগোলে ২০২৭ সালের মধ্যে গবাদিপশু খাত থেকে ৫০০ মিলিয়ন ডলার আয় করতে পারবে।

    বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই চীন, মালয়েশিয়া ও ওমানের সঙ্গে হালাল মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণ সংক্রান্ত চুক্তির কথাবার্তা শুরু করেছে। এক সময় আমদানি নির্ভর খাত হিসেবে পরিচিত পশু খাত এখন পরিণত হয়েছে একটি পূর্ণাঙ্গ রপ্তানিমুখী অর্থনীতিতে। এ উন্নয়ন এসেছে সুপরিকল্পিত উৎপাদন ও ডিজিটাল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে।

    বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি কেবল একটি অর্থনৈতিক অর্জন নয়, বরং দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের প্রভাব হ্রাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত। বাংলাদেশ এখন শুধু গরু নয়, ধাপে ধাপে ভারতীয় পেঁয়াজ, আলু, রসুন, ওষুধ ও নির্মাণসামগ্রীর বিকল্প উৎসও খুঁজছে। ভারতের জন্য এটি কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিকভাবে এক বড় ধাক্কা।

    বাংলাদেশ দেখিয়ে দিয়েছে—একটি খামার নয়, গোটা একটি অর্থনীতি দাঁড় করানো সম্ভব সঠিক পরিকল্পনা, স্বনির্ভরতা ও প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারে।
    সূত্র: জনকণ্ঠ

  • সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ! এবার বাংলাদেশকে ভাগ করতে চায় ভারত

    সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ! এবার বাংলাদেশকে ভাগ করতে চায় ভারত

    ভারতের আসাম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা সম্প্রতি আবারও বাংলাদেশকে ঘিরে বিতর্কিত মন্তব্য করে কূটনৈতিক মহলে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। তার বক্তব্য অনুযায়ী, যেমন ভারতের একটি ‘চিকেন নেক’ আছে, তেমন বাংলাদেশেও রয়েছে দুটি, যেগুলো ভৌগোলিকভাবে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

    সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন,“আমাদের একটা চিকেন নেক আছে, কিন্তু বাংলাদেশের দুটি। যদি বাংলাদেশ আমাদের আক্রমণ করে, আমরাও বসে থাকবো না।”

    তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশের প্রথম ‘চিকেন নেক’ হলো দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে শুরু হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম গাড়ো পাহাড় পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি করিডর, যা রংপুর বিভাগকে দেশের বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিতে পারে। দ্বিতীয় করিডরটি হলো দক্ষিণ ত্রিপুরা থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সংযোগপথ, যেটি বাংলাদেশের প্রধান বন্দর চট্টগ্রাম ও রাজধানী ঢাকার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ লিংক।

    ভারতের শিলিগুড়ি করিডর, যেটিকে ‘চিকেন নেক’ বলা হয়, সেটি মাত্র ২২ কিলোমিটার চওড়া এবং এটি ভারতের মূল ভূখণ্ডকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত করে। এই করিডরটি যদি কখনো সামরিকভাবে আক্রমণের শিকার হয়, তাহলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারে। এজন্যই এর কৌশলগত গুরুত্ব অনেক বেশি।

    রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের আসন্ন নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে এই ধরনের মন্তব্য একপ্রকার রাজনৈতিক চাল। হেমন্ত বিশ্বশর্মা বিজেপির একজন ঘনিষ্ঠ এবং কট্টর হিন্দুত্ববাদী নেতা হিসেবে পরিচিত। জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টিকে সামনে এনে তিনি হয়তো নিজের জনসমর্থন শক্তিশালী করার চেষ্টা করছেন।

    বাংলাদেশে অবশ্য হেমন্তর এই মন্তব্যকে অপ্রয়োজনীয় উত্তেজনা সৃষ্টির প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে। কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এমন মন্তব্য দুই দেশের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি করতে পারে এবং সীমান্ত অঞ্চলে অস্থিরতা বাড়াতে পারে।

    এখন প্রশ্ন উঠছে, এটি কি একজন রাজ্য নেতার ব্যক্তিগত মতামত, নাকি ভারতের কেন্দ্রীয় রাজনীতির একটি কৌশলগত ইঙ্গিত? যদিও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি, তবুও দুই দেশের সীমান্তে এমন কথাবার্তা সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

  • যে চার নেতা হাসিনাকে ক্ষমতা ছাড়তে নিষেধ করেন

    যে চার নেতা হাসিনাকে ক্ষমতা ছাড়তে নিষেধ করেন

    জুলাই অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) রোববার দাখিল করা হয়েছে।

    প্রসিকিউশনের পক্ষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এই চার্জ দাখিল করা হয়।

    দাখিল করা এক নথিতে ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, গণ-অভ্যুত্থান এবং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের প্রেক্ষাপট ঘিরে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে।

    নথিতে বলা হয়, ৪ আগস্ট রাতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ‘গ্যাং অব ফোর’ নামে পরিচিত চারজন শীর্ষ নেতা-ওবায়দুল কাদের, আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান এবং আসাদুজ্জামান খান কামালের পরামর্শে কঠোর অবস্থানে যায়।

    তারা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা ছাড়তে নিষেধ করেন এবং সেনা-পুলিশ সমন্বয়ে আন্দোলন দমনের পরিকল্পনা নেন।

    নথিতে উল্লেখ করা হয়, জুলাই আন্দোলনের সময় ৪ আগস্ট রাতে গণভবনে শেখ হাসিনার সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের গোপন বৈঠক হয়।

    সেখানে শেখ হাসিনা আন্দোলনকারীদের দমন করতে গুলি চালানোর নির্দেশ দিতে চান। তবে উপস্থিত সামরিক কর্মকর্তারা পরিস্থিতির ভয়াবহতা বুঝিয়ে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা ছাড়ার পরামর্শ দেন।

    এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাকে গুলি করে মেরে ফেলো, গণভবনে কবর দিয়ে দাও।’

    ৪ আগস্ট দুপুর থেকে ৫ আগস্ট দুপুর পর্যন্ত গণভবনে চলা নানা বৈঠকে শেখ হাসিনা আন্দোলন দমন করতে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নিতে বলেন।

    নথিতে বলা হয়, সেনাবাহিনী প্রধানসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে শেখ হাসিনা বলেন, যা হওয়ার হবে, আমি ক্ষমতা ছাড়ব না।

    ওই বৈঠকে শেখ হাসিনা শক্ত হয়ে বিক্ষোভ দমনের নির্দেশ দিলে উপস্থিত অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল তারেক সিদ্দিকী এতে সমর্থন জানিয়ে বলেন, গুলি চালিয়ে কিছু লোককে মেরে ফেললেই বিক্ষোভ এমনিতেই দমন হয়ে যাবে।

    ওই বৈঠকে শেখ হাসিনা শক্ত হয়ে বিক্ষোভ দমনের নির্দেশ দিলে উপস্থিত অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল তারেক সিদ্দিকী এতে সমর্থন জানিয়ে বলেন, গুলি চালিয়ে কিছু লোককে মেরে ফেললেই বিক্ষোভ এমনিতেই দমন হয়ে যাবে।

    এছাড়া তারেক সিদ্দিকী বিমানবাহিনীকে হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালানোর কথা বলায় বৈঠকে উপস্থিত এক সামরিক কর্মকর্তা ভীষণ রেগে যান।

    তিনি শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বলেন, এই লোকটি আপনাকে ডুবিয়েছে এবং আরও ডুবাবে। ঠিক এ সময় একজন অপরিচিত ব্যক্তি গণভবনে প্রবেশ করলে শেখ হাসিনা সভা শেষ করেন।

    নথিতে আরও উল্লেখ করা হয়, শেখ হাসিনা চেয়েছিলেন একটি বিদায়ি ভাষণ টেলিভিশনে প্রচার করতে, তবে সামরিক কর্মকর্তারা তা অনুমতি দেননি।

    ৫ আগস্ট দুপুরে শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগপত্র দেন এবং পরে ভারতে পালিয়ে যান।

    গণভবনে রুদ্ধদ্বার অবস্থায় কাটানো শেষ দুই দিনে তিনি যে কোনো মূল্যে আন্দোলন দমন করতে চেয়েছিলেন।

    নথিতে বলা হয়, শেখ হাসিনার নির্দেশে অপরাপর আসামিরা ঢাকা মহানগরীর চানখাঁরপুল এলাকায় নিরস্ত্র ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের ওপর প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে।

    গুলিতে স্কুলছাত্র শাহরিয়ার খান আনাস, শেখ মাহদি হাসান জুনায়েদ, মো. ইয়াকুব, মো. রাকিব হাওলাদার, মো. ইসমামুল হক ও মানিক মিয়া শাহরিয়ার শহীদ হন।

  • ঈদুল আজহায় খালেদা জিয়াকে ৩৫ মণ ওজনের ‘কালো মানিক’ উপহার দিতে চান কৃষক

    পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ৩৫ মণ ওজনের ‘কালো মানিক’ উপহার দিতে চান সোহাগ মৃধা নামে এক কৃষক। ফ্রিজিয়ান জাতের এই ষাঁড়টি ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য ইতিমধ্যে ৬০ হাজার টাকায় দুটি মিনি ট্রাক ভাড়া করেছেন তিনি। ঢাকায় যাওয়ার সময় যারা তার যার সফর সঙ্গী হবেন তাদের জন্য বানানো হয়েছে বিশেষ গেঞ্জি। যাত্রাপথে তাদের সঙ্গে থাকবে বাদকদল, ব্যানার ও দলীয় প্রতীক ধানের শীষ।

    জানা গেছে, সোহাগ মৃধার বাড়ি পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার উত্তর ঝাটিবুনিয়া গ্রামে। তিনি ইউনিয়ন বিএনপির একজন কর্মী। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ২০২৩ সালে এক কৃষক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গরু উপহার দিয়েছিলেন—সংবাদমাধ্যমে তা দেখে অনুপ্রাণিত হন সোহাগ। তখনই ঠিক করেন, নিজের পালন করা ষাঁড়টি খালেদা জিয়াকে উপহার দেবেন তিনি।

    সোহাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের শেষের দিকে স্থানীয় চৈতা বাজার থেকে ১ লাখ ৩৭ হাজার টাকায় একটি ফ্রিজিয়ান জাতের গাভি কেনেন সোহাগ মৃধা। সপ্তাহ যেতে না যেতেই গাভিটি একটি বাছুরের জন্ম দেয়। পরে গাভিটি স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে দেন আর বাছুরটিকে ভুসি, খৈল, সবুজ ঘাস, খড়কুটা খাইয়ে পরিবারের সদস্যরা মিলে ছয় বছর ধরে লালন–পালন করেন। এটি লম্বায় ১০ ফুট, উচ্চতায় ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি আর ওজন প্রায় ১ হাজার ৪০০ কেজি।জা

    সোহাগ মৃধা বলেন, ‘আমার বাবা বিএনপির রাজনীতি করতেন। আমিও বিএনপিকে ভালোবাসি। ভাইরাল হওয়ার জন্য না, আবেগ থেকেই প্রিয় নেত্রীকে আমার প্রিয় কালো মানিককে উপহার দিতে চাই। আর কিছুই চাই না। এতে লাভ-লোকসানের কিছু নেই।’

    সোহাগের মা হাজেরা বেগম বলেন, ছোটবেলা থেকেই তার ছেলে বিএনপিকে ভালোবাসে। বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচিতে যান। অনেক দিন আগে থেকে তিনি বলে আসছেন ষাঁড়টি খালেদা জিয়াকে উপহার দেবেন। সোহাগের বাবা নেই। সামান্য জমি চাষাবাদ করে সংসারের খরচ চলে। খেয়েপরে কোনো রকম দিন চলে যায় তাদের।

    এ বিষয়ে আমড়াগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, সোহাগ বিএনপির একজন একনিষ্ঠ কর্মী। বাড়িতে মা, স্ত্রী ও দুটি শিশুসন্তান আছে। তাদের সহায়তায় ষাঁড়টি লালন-পালন করছেন ছয় বছর ধরে। এটি তিনি খালেদা জিয়াকে উপহার দিতে চান। প্রথমে তার কথা স্থানীয় লোকজনের বিশ্বাস হয়নি। কিন্তু সোহাগ নাছোড়বান্দা। ষাঁড়টি উপহার দিতে কয়েক দিনের মধ্যে ঢাকায় রওনা দেবেন তিনি।

  • রাস্তার কারণে বিয়ে হয় না যে এলাকার মেয়েদের

    রাস্তার কারণে বিয়ে হয় না যে এলাকার মেয়েদের

    রাস্তা না থাকায় গ্রামের মেয়েদের হচ্ছে না বিয়ে। অ্যাম্বুলেন্স আসতে না পারায় গর্ভবতী মায়েরা পড়ছেন বিড়ম্বনায়। তবে দ্রুতই রাস্তাটি নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছেন গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাহিদুর রহমান।

    জানা গেছে, গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের হাজী গফুর মন্ডল পাড়া গ্রামে ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে একমাত্র চলাচলের রাস্তাটি এখনো অনুপযোগী হয়ে আছে। এত লোকের বসবাস থাকলেও এখনো রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়নি। চলাচলের রাস্তা না থাকায় প্রতিনিয়ত নানা সমস্যায় ও বিড়ম্বনায় পড়ছেন এ অঞ্চলের হাজার মানুষ।

    বিশেষ করে শিশুসহ বয়স্ক ও শিক্ষার্থী, গর্ভবতী নারীরা পড়ছেন মারাত্মক সমস্যায়। এ ছাড়া জরুরি কোনো রোগীদের জন্য অ্যাম্বুলেন্স আসার মতোও কোনো ব্যবস্থা নেই এ গ্রামে। বর্ষাকালে ও সামান্য বৃষ্টি হলেই আরও বেশি কষ্ট হয় এ এলাকার বাসিন্দাদের। রাস্তা না থাকায় এ গ্রামের মেয়েদের ভালো জায়গা থেকে বিয়ের সমন্ধও আসে না এবং বিয়েও হচ্ছে না নারীদের।

    জানা গেছে, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অধিদপ্তরের কাবিটা প্রকল্পের আওতায় চলতি বছরের ৩১ মার্চ থেকে ১১০০ ফিট রাস্তা নির্মাণের কথা ছিল। তবে নির্মাণাধীন চলাচলের রাস্তার সম্মুখ ভাগে ঘর তুলে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী রফ শেখ গং এর বিরুদ্ধে। ফলে কয়েকটি গ্রামের নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীসহ প্রায় অসংখ্য মানুষের চলাচলে ভোগান্তি বাড়ছে।

    তবে এলাকাবাসীর দাবি, অবিলম্বে নির্মিত ঘরটি অপসারণ করে রাস্তা নির্মাণকাজ শেষ করলে মানুষের দুর্ভোগ কমবে। আর স্থানীয় প্রশাসনের কার্যকর হস্তক্ষেপে সমস্যা সমাধানসহ অবরুদ্ধ যোগাযোগ ব্যবস্থা আবারও সচল হবে এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয় এলাকাবাসীর। স্থানীয়রা বলছেন, বৃষ্টির সময় এ দুর্ভোগের মাত্রা আরও কয়েক গুণ বেড়ে যায়।

    ফজলুর রহমান খান ফেলু নামের এক বাসিন্দা কালবেলাকে বলেন, ৪০ বছর ধরে আমাদের এখানে বাড়ি করা। বৃষ্টি আসলে আমাদের সমস্যা হয়। আমাদের এ গ্রামটায় প্রায় ৬০০-৭০০ মানুষের বসবাস। বন্যা বা রাস্তায় পানি উঠলে আমার ভোগান্তি চরমে ওঠে।

    শিক্ষার্থী লিমিয়া বলেন, আমাদের চাওয়া এই রাস্তাটা। এই রাস্তাটা হলে আমরা শিক্ষার্থীরা ভালোভাবে যাতায়াত করতে পারি। আমাদের খুব উপহার হয়। সরকারের কাছে একটাই দাবি, এ রাস্তাটা যেন ভালোভাবে হয়ে যায়।

    মর্জিনা নামের এক গৃহবধূ কালবেলাকে বলেন, আমাদের এলাকায় এ রাস্তার জন্য বিশেষ করে মুরুব্বিদের আর গর্ভবতী যারা তাদের বেশি সমস্যা হচ্ছে। হঠাৎ করে যদি অসুস্থ হয়ে যায় ইমার্জেন্সি এখানে অ্যাম্বুলেন্স আসতে পারে না। এজন্য মাঝে মধ্যেই দুর্ঘটনা হয়। সরকারের কাছে আমাদের একটাই দাবি, শুধু আমরা রাস্তাটাই চাই।

    গোয়ালন্দ উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ও স্থানীয় বাসিন্দা মনির খান কালবেলাকে বলেন, এ এলাকায় আমরা চলাফেরা করি। এ এলাকায় প্রত্যেকটা লোক অসহায়। স্কুলে যেতে পারে না। ছেলে-মেয়েরা পড়ালেখা করতে পারে না। প্রতিবন্ধী আছে। এলাকার সবাই রাস্তার জন্য রাজি থাকলেও দুইটা বাড়ির মানুষ রাজি না।

    তবে সরকারি জমিতে নয় নিজস্ব জায়গায় ঘর তোলা হয়েছে বলে জানান অভিযুক্ত রফ শেখ। তিনি কালবেলাকে বলেন, এ রাস্তাটি আমাদের নিজস্ব জমি। কোনো গলি নেই এখানে। এক পায়ের হাঁটার একটা পথ। আমাদের নিজস্ব জমির ওপর দিয়ে রাস্তা দেব না। আজও দেব না কালও দেব না।

    তবে দ্রুতই রাস্তাটি নির্মাণের আশ্বাস দিয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইএনও) মো. নাহিদুর রহমান কালবেলাকে বলেন, এই রাস্তাটিতে আমরা বেশ কিছু দিন ধরে কাজ শুরু করেছি। যাদের জমির ওপর দিয়ে এতদিন মানুষ যাতায়াত করেছে, তাদের কোনো আপত্তি ছিল না। তবে রাস্তার কাজ শুরু হলেই জমির বিষয়ে তাদের আপত্তি ওঠে। এটি একটি স্থানীয় সমস্যা, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও মেম্বারের ওপর সমাধানের দায়িত্ব। তারা বিষয়টি সমাধান করবে।

  • পুলিশ পেটানো সেই আসামি খুন করল স্ত্রীকে

    পুলিশ পেটানো সেই আসামি খুন করল স্ত্রীকে

    বগুড়ায় দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে মারধরের মামলায় পলাতক আসামি রোহান ব্যাপারী এবার ছুরিকাঘাতে স্ত্রী ববি আক্তারকে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

    রোববার (২৫ মে) রাত ১১টার দিকে শহরের নুরানি মোড় এলাকার একটি ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।

    পরে স্ত্রীকে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর রোহান সেখান থেকে পালিয়ে যান।

    ববি আক্তারের স্বজন জানান, সাত বছর আগে প্রেমের সম্পর্কের পর তাদের বিয়ে হয়। তাদের একটি ছেলে ও একটি মেয়ে রয়েছে।

    জানা গেছে, গত ১৫ এপ্রিল রাতে বগুড়া শহরের কালীতলা এলাকায় রোহান ও তার কিশোর গ্যাংয়ের কয়েকজন সদস্য মদ্যপ অবস্থায় দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে মারধর করেন। সম্প্রতি বেলী নামের এক নারীর সঙ্গে রোহানের পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। স্ত্রী ববি ওই সম্পর্কে বাধা দিলে দুজনের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। রোববার রাতে ঝগড়ার একপর্যায়ে রোহান ধারালো ছুরি দিয়ে স্ত্রীর বুক ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি আঘাত করেন।

    বগুড়ার সদর থানার ওসি হাসান বাসির কালবেলাকে জানান, ববির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর রোহানের বাবা রবিউল ব্যাপারী ও মা পপি আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

  • নিহত মাদ্রাসা শিক্ষককে যেভাবে ‘সন্ত্রাসী’ বানাল ভারতীয় মিডিয়া

    নিহত মাদ্রাসা শিক্ষককে যেভাবে ‘সন্ত্রাসী’ বানাল ভারতীয় মিডিয়া

    কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের সাম্প্রতিক সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। এরই মধ্যে আরেকটি যুদ্ধও চলছে—তা হলো তথ্যের যুদ্ধ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও মূলধারার অনেক সংবাদমাধ্যমেও ছড়িয়েছে বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত খবর।

    তারই এক করুণ উদাহরণ কাশ্মীরের পুঞ্চ শহরের বাসিন্দা এবং সম্মানিত মাদ্রাসা শিক্ষক মোহাম্মদ ইকবাল। ৭ মে সকালে সীমান্তবর্তী এলাকায় গোলাগুলির সময় নিহত হন মোহাম্মদ ইকবাল। পুঞ্চের জিয়া-উল-উলূম মাদ্রাসায় দুই দশকেরও বেশি সময় শিক্ষকতা করতেন তিনি।

    পরিবারের সদস্যরা জানালেন, নিহত হওয়ার আগেই রাতভর পাকিস্তান ও আজাদ কাশ্মীর লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারতীয় বাহিনী। তারই ধারাবাহিকতায় পরদিন সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনায় ইকবাল নিহত হন।

    তবে ইকবালের মৃত্যুর পর পরিবার যখন শোক ও দাফন-কাফনে ব্যস্ত, তখন কিছু ভারতীয় টিভি চ্যানেল তাকে সন্ত্রাসী বলে চিহ্নিত করে বিভ্রান্তিকর প্রচার শুরু করে। ভাই ফারুক আহমেদ বলেন, আমার ভাই একজন নিরীহ শিক্ষক ছিলেন। তারা তার দাড়ি-টুপি দেখে তাকে সন্ত্রাসী বলেছে। আমরা তাকে হারিয়েছি, তার ওপর মিডিয়া অপমান করেছে—এটা আমাদের ক্ষতে লবণ ছিটানোর মতো।

    জি নিউজ, এবিপি, নিউজ ১৮-এর মতো ভারতের নামি কিছু চ্যানেল দাবি করে যে ইকবাল ‘পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরে সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে ভারতীয় অভিযানে নিহত হয়েছেন।’ এমনকি তার ছবি ব্যবহার করে দাবি করা হয়, তিনি পাকিস্তানভিত্তিক একটি জঙ্গি সংগঠনের সদস্য ছিলেন।

    পরিবার তখনও জানত না যে মিডিয়ায় কী প্রচার চলছে। হঠাৎ এক আত্মীয় হোয়াটসঅ্যাপে একটি ভিডিও পাঠান, যেখানে দেখা যায়—একটি চ্যানেল দাবি করছে, ভারতীয় সেনারা একজন সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে, আর স্ক্রিনে দেখানো হচ্ছে ইকবালের ছবি।

    এই অপপ্রচারে ক্ষুব্ধ ইকবালের ভাই বলেন, আমরা তো কাশ্মীরেই থাকি, আমাদের পরিবার বহু প্রজন্ম ধরে পুঞ্চে বসবাস করছে। তারা কীভাবে বলে যে আমার ভাই পাকিস্তানে থাকত?

    ভারতের সংবাদমাধ্যমে এই গুজব এত দ্রুত ছড়ায় যে, পরদিন—৮ মে—পুঞ্চ জেলা পুলিশ বাধ্য হয় একটি স্পষ্ট বিবৃতি দিতে। বিবৃতিতে জানানো হয়, মাওলানা মোহাম্মদ ইকবাল সীমান্তে গোলাবর্ষণে নিহত হয়েছেন। তিনি একজন সম্মানিত ধর্মীয় শিক্ষক ছিলেন এবং তার কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে কোনো সংযোগ নেই। পুঞ্চ পুলিশ এই মিথ্যা প্রচারের তীব্র নিন্দা জানায়।

    তবে এরপরও বেশির ভাগ টিভি চ্যানেল এই ভুলের জন্য ক্ষমা চায়নি। শুধু নিউজ১৮ পরিবারটির কাছে ভুল তথ্য প্রচারের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে। অন্য কেউ কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি।

    এ ঘটনা শুধু একটি পরিবারের ক্ষোভ আর অপমানের বহিঃপ্রকাশ নয়—এটি ভারতীয় মিডিয়ার দায়িত্বজ্ঞানহীনতার নগ্ন উদাহরণ। নিউজলন্ড্রি-র সম্পাদক মনীষা পাণ্ডে বলেন, রেটিংয়ের প্রতিযোগিতায় পড়েই মিডিয়াগুলো যাচাই না করেই খবর ছড়িয়ে দিচ্ছে—যেটা অত্যন্ত ভয়ংকর। একজন নিরীহ নাগরিক, বিশেষ করে মৃত ব্যক্তি সম্পর্কে এমন মিথ্যা রটানো মানবিকতার চরম অবমাননা।

    কাশ্মীর পরিস্থিতি জটিল, সেনা সংঘর্ষ চলছেই—কিন্তু সেই সঙ্গে যদি তথ্য যুদ্ধেও নিরীহরা প্রতিনিয়ত অপমানের শিকার হয়, তবে তা শুধু সাংবাদিকতার ব্যর্থতাই নয়, এক ধরনের নীরব সহিংসতাও বটে।

    সূত্র : বিবিসি

  • বিচারপতি মানিক মারা গেছেন

    বিচারপতি মানিক মারা গেছেন

    বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুল হুদা মানিক (৮২) মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রোববার রাত সাড়ে ১১টায় ঢাকায় ইব্রাহীম মেমোরিয়াল কার্ডিয়াক হাসপাতালে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি ইন্তেকাল করেন।

    সোমবার (২৬ মে) জোহরবাদ গোপালগঞ্জ কোর্ট মসজিদ প্রাঙ্গণে শামসুল হুদা মানিকের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে বাদ আছর রাবেয়া খাতুন হাফিজিয়া মাদ্রাসার মাঠে মরহুমের দ্বিতীয় জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়, এতে অসংখ্য মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

    জানাজা শেষে মরদেহ টুঙ্গিপাড়ার গিমাডাঙ্গা গ্রামে পৈতৃক বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সন্তান ও স্বজনরা শেষবারের মতো তাকে বিদায় জানান। পরে পারিবারিক কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়।

    মৃত্যুকালে তিনি দুই কন্যা, এক ছেলে এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে টুঙ্গিপাড়া উপজেলাজুড়ে ও বিচার বিভাগে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

    বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী বিচারপতি শামসুল হুদা মানিক ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে একজন সংগঠক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ’৮০-এর দশকে দীর্ঘদিন তিনি পর্যায়ক্রমে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন।

    ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে তিনি হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে অবসর গ্রহণের পরে তিনি দীর্ঘদিন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।