Blog

  • ৭ ভাগে কোরবানি দিলে মানতে হবে যেসব নিয়ম!

    ৭ ভাগে কোরবানি দিলে মানতে হবে যেসব নিয়ম!

    কোরবানি ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি হজরত ইব্রাহিম (আ.) ও মহানবী মুহাম্মাদ (সা.)-এর ত্যাগের আদর্শকে অনুসরণ করার প্রতীক। কোরবানির পশু জবাইয়ের মাধ্যমে একজন মুমিন আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে এই ইবাদত সম্পাদন করেন।

    যাদের সামর্থ্য আছে, তাদের জন্য একা একটি পশু কোরবানি করা উত্তম। তবে গরু, মহিষ ও উটের মতো বড় পশুতে সাতজন পর্যন্ত শরিক হয়ে কোরবানি করা বৈধ। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, গাভি ও উট সাতজনের পক্ষ থেকে কোরবানি দেওয়া যায়। (আবু দাউদ: ২৭৯৯)। সাহাবাদের যুগেও এই প্রথা অনুসরণ করা হতো।

    তবে শরিক হওয়ার কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত আছে। অংশগ্রহণকারীদের সবার নিয়ত একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি হওয়া চাই। যদি কেউ শুধু মাংস পাওয়ার উদ্দেশ্যে শরিক হয়, বা কোনো অমুসলিম কোরবানিতে অংশ নেয়, তাহলে সেই কোরবানি সহিহ হবে না।

    ছাগল, ভেড়া বা দুম্বা এক ব্যক্তির পক্ষ থেকেই কোরবানি করা বৈধ। এসব পশুতে একাধিক ব্যক্তির অংশগ্রহণ করলে কোরবানি গ্রহণযোগ্য হবে না। অন্যদিকে, গরু, মহিষ বা উটে সর্বোচ্চ সাতজন শরিক হতে পারবেন। যদি সাতের বেশি লোক শরিক হন, তাহলে কারও কোরবানি বৈধ হবে না। (বাদায়েউস সানায়ে ৫/৭০)

    হজরত জাবের (রা.) বলেন, তিনি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে হজ করেছিলেন এবং সেখানে সাতজন মিলে একটি উট ও একটি গরু কোরবানি দিয়েছিলেন (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১৩১৮)।

    গরু, মহিষ বা উটে সাতের কম অংশ, যেমন—দুই, তিন, চার, পাঁচ কিংবা ছয়জনও শরিক হতে পারেন। তবে কারও অংশ এক-সপ্তমাংশের কম হলে কোরবানি গ্রহণযোগ্য হবে না। (বাদায়েউস সানায়ে ৫/৭১)

    যদি কোনো ধনী ব্যক্তি একা একটি গরু বা মহিষ কোরবানি দেওয়ার নিয়তে ক্রয় করেন, তবে তিনি চাইলে অন্য কাউকে শরিক করতে পারেন। তবে শরিক না করে পুরোটা নিজেই কোরবানি করাই উত্তম। আর যদি শরিক করেন, তাহলে তার অংশের সমমূল্যের টাকা সদকা করাও ভালো কাজ।

    অন্যদিকে, যদি কোনো গরিব ব্যক্তি, যার ওপর কোরবানি ফরজ নয়, একটি পশু একা কোরবানি দেওয়ার উদ্দেশ্যে ক্রয় করে, তবে পরে আর কাউকে শরিক করা ঠিক নয়। যদি শরিক করতে চান, তাহলে কেনার সময় থেকেই নিয়ত পরিষ্কার করতে হবে। অন্যথায়, শরিক করলে তার অংশের মূল্য সদকা করা জরুরি হয়ে যাবে। (হেদায়া ৪/৪৪৩, কাযিখান ৩/৩৫০-৩৫১)

    একাধিক ব্যক্তি শরিক হয়ে কোরবানি করলে গোশত অবশ্যই ওজন করে সমানভাবে বণ্টন করতে হবে। অনুমান বা আন্দাজে ভাগ করে নেওয়া বৈধ নয়।

  • তেল বাজারে আলোড়ন, দুই দেশে আবিষ্কার হলো নতুন তেলের খনি

    তেল বাজারে আলোড়ন, দুই দেশে আবিষ্কার হলো নতুন তেলের খনি

    সৌদি আরব ও কুয়েত সম্প্রতি এমন এক খবরে বিশ্ব তেল বাজারে আলোড়ন তুলেছে, যা তাদের শক্তির জোগানদাতা হিসেবে গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে তুলবে। দুই দেশ যৌথভাবে পার্টিশনড জোন নামে পরিচিত সীমান্তবর্তী অঞ্চলে নতুন একটি তেলক্ষেত্রের সন্ধান পেয়েছে।

    এই অঞ্চলটি মূলত দুই দেশের মাঝে ১৯২২ সালে চুক্তির মাধ্যমে নির্ধারিত হয়েছিল। এবার সেই পার্টিশনড জোনের উত্তর ওয়াফরা অঞ্চলে, ওয়ারা-বুরগান নামের একটি কূপ থেকে দৈনিক ৫০০ ব্যারেলের বেশি তেল উৎপাদন শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখানে উৎপাদিত তেলের মান (API গ্র্যাভিটি ২৬-২৭) খুবই ভালো।

    এই আবিষ্কার শুধু আরেকটি তেলক্ষেত্র নয়— এটি ২০২০ সালে এই অঞ্চলে উৎপাদন কার্যক্রম আবার শুরু হওয়ার পর প্রথম বড় সাফল্য। তাই এর গুরুত্ব অনেক বেশি। সৌদি ও কুয়েত উভয়েই বলছে, এই খোঁজ তাদের জ্বালানি সরবরাহকারীর হিসেবে বিশ্বে নির্ভরযোগ্যতা আরও বাড়াবে।

    সৌদি আরব এই মুহূর্তে ওপেক প্লাসের নেতৃত্ব দিচ্ছে, যেখানে তাদের লক্ষ্য বাজারে ভারসাম্য রক্ষা করা। অন্যদিকে, কুয়েত আগামী পাঁচ বছরে প্রতিদিন তিন মিলিয়ন ব্যারেল তেল উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জনে প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে।

    আরও বড় পরিকল্পনাও রয়েছে— ২০৪০ সালের মধ্যে কুয়েত তাদের টেকসই উৎপাদন ক্ষমতা চার মিলিয়ন ব্যারেল পর্যন্ত বাড়াতে চায়। এর অংশ হিসেবে এই নতুন তেল আবিষ্কার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।

    সব মিলিয়ে, এই খোঁজ শুধু দুই দেশের জন্য নয়, গোটা বিশ্বের জ্বালানি ভবিষ্যতের জন্যই একটি আশার আলো। বিশ্ব যখন জ্বালানির নিরাপত্তা ও পরিবেশগত ভারসাম্য নিয়ে চিন্তিত, তখন এমন এক সাফল্য কিছুটা হলেও আশ্বস্ত করে।

    সূত্র: জনকণ্ঠ

  • শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন সহযোগীসহ গ্রেপ্তার

    শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন সহযোগীসহ গ্রেপ্তার

    অস্ত্রসহ দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনকে কুষ্টিয়ার একটি বাসা থেকে তার এক সহযোগীসহ গ্রেফতার করেছে সেনাবাহিনীর একটি চৌকস দল। গ্রেফতারের পর তাকে ঢাকায় আনা হচ্ছে।

    মঙ্গলবার (২৭ মে) সরকারের একটি দায়িত্বশীল সূত্র থেকে তথ্য জানানো হয়েছে।

    ঢাকার অপরাধ জগতের দুই কুখ‍্যাত সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদকে কুষ্টিয়া জেলা কারাগারের পেছনের একটি বাসা থেকে সকালে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

    এ সময় ২টি পিস্তল, ৪ টি ম্যাগাজিন, ১০ রাউন্ড গুলিও উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে সেনা বাহিনীর চৌকস সদস‍্যদের একটি দল বাসাটি ঘিরে রাখে। দুজনকেই ঢাকায় নিয়ে আসা হচ্ছে।

    সূত্র বলছে, আজ যে কোনো সময় সংবাদ সম্মেলন করে অভিযানের বিস্তারিত জানানো হতে পারে।

  • এনসিপি নেতা গাজী সালাউদ্দিনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা, এনআইডি ব্লক

    এনসিপি নেতা গাজী সালাউদ্দিনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা, এনআইডি ব্লক

    দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্যসচিব (সাময়িক অব্যাহতি প্রাপ্ত) গাজী সালাউদ্দিন তানভীরের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা ও জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) ব্লকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

    মঙ্গলবার (২৭ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

    এদিন দুদকের পক্ষে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান তানভীরের দেশত্যাগ নিষেধাজ্ঞা ও এনআইডি ব্লকের আবেদন করেন।

    আবেদনে বলা হয়, তানভীরের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, তদবির বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, টেন্ডার বাণিজ্যসহ নানাবিধ দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে নামে বেনামে শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি দেশ ছেড়ে বিদেশে পলায়ন করতে পারেন বলে অনুসন্ধানকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তার বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা ও জাতীয় পরিচয়পত্র ব্লক করা একান্ত প্রয়োজন।

  • নানামুখী আন্দোলনে চাপে পড়েছে ইউনূস সরকার: রয়টার্স

    নানামুখী আন্দোলনে চাপে পড়েছে ইউনূস সরকার: রয়টার্স

    বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান অসন্তোষ এবং রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে সোমবার (২৬ মে) প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে ‘সরকারি খাতের কর্মীদের বিক্ষোভে’ যোগ দিয়েছেন।

    গত আগস্টে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন ৮৪ বছর বয়সী নোবেল শান্তি পুরস্কারপ্রাপ্ত মুহাম্মদ ইউনূস। ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভের পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে চলে যান।

    সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগে দেশকে একটি পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে পরিচালিত করার চেষ্টার সময় ইউনূসের প্রশাসন বেসামরিক কর্মচারী, শিক্ষক, রাজনৈতিক দল এবং সামরিক বাহিনীর চাপের সম্মুখীন হয়েছে।

    রোববার (২৫ মে) সরকার একটি অধ্যাদেশ জারি করেছে, যার মাধ্যমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় দীর্ঘ প্রক্রিয়া ছাড়াই অসদাচরণের জন্য সরকারি কর্মচারীদের বরখাস্ত করতে পারবে। এটি আমলাতন্ত্রজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।

    আজ সোমবার টানা তৃতীয় দিনের মতো সরকারি কর্মচারীরা তাদের বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছেন, এই অধ্যাদেশকে ‘দমনমূলক’ বলে অভিহিত করেছেন এবং অবিলম্বে এটি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।

    বেতন বৃদ্ধির দাবিতে সোমবার থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হাজার হাজার শিক্ষক অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘ছুটি’ শুরু করেছেন।

    জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মচারীদের বিক্ষোভের মুখে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রোববার কর সংস্থাটি ভেঙে দিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে দুটি বিভাগ স্থাপনের আদেশ প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়। এরপর ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়।

    গত সপ্তাহে একজন শীর্ষ ছাত্র নেতার বক্তব্যের পর রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা আরও গভীর হয়, যখন ইউনূস বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার এবং নির্বাচনের সময়সূচীর বিষয়ে একমত হতে না পারলে তিনি পদত্যাগ করতে পারেন।

    তবে ইউনূসের মন্ত্রিসভার পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করছেন না। ওয়াহিদউদ্দিন বলেন, ‘আমাদের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা কোথাও যাচ্ছি না।’

    ড. ইউনূস বাধাগুলো স্বীকার করেছেন কিন্তু একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছেন।

    অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দ্রুত সাধারণ নির্বাচন এবং সংস্কারের দাবির মধ্যে আটকে আছে। ইউনূস বলেছেন, ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। অন্যদিকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের জন্য জোর দিচ্ছে।

    বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান গত সপ্তাহে এক ভাষণে ডিসেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানিয়ে চাপ আরও বাড়িয়ে দেন এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

    ইউনূস শনিবার তার উপদেষ্টা পরিষদের শেষ মুহূর্তের একটি সভা আহ্বান করেন এবং সপ্তাহান্তে দেশের প্রধান রাজনৈতিক শক্তিগুলোর সাথে আলোচনা করেন। যার মধ্যে রয়েছে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী এবং ছাত্র-নেতৃত্বাধীন জাতীয় নাগরিক পার্টি। অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারাও ইউনূসের সাথে দেখা করেছিলেন।

    ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম রোববার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতিতে আছি।’ তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার পর, বিভিন্নভাবে আমাদের অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে। আমাদের এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’

    হাসিনার আওয়ামী লীগ দলের নিবন্ধন এই মাসে স্থগিত করা হয়েছিল, যার ফলে দলটি পরবর্তী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে না।

  • সাকিবের বাবাকে এক নম্বর আসামি করে মামলা দায়ের

    সাকিবের বাবাকে এক নম্বর আসামি করে মামলা দায়ের

    দেশের ক্রীড়াঙ্গনের সবচেয়ে বড় তারকা সাকিব আল হাসান। কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে নিরব থাকা, হত্যা মামলা যুক্ত থাকা ও আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হওয়ায় দেশে ফিরতে পারছেন তিনি। এর মাঝেই নতুন এক মামলায় এক নম্বর আসামি করা হয়েছে সাকিবের বাবা খন্দকার মাসরুর রেজাকে।

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে মাগুরায় বিএনপির অফিস ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনায় খন্দকার মাসরুর রেজাসহ ৭৯ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে অজ্ঞাত আরও ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

    গত ১৮ মে মাগুরা সদর থানায় মামলাটি করা হলেও সোমবার (২৬ মে) বিষয়টি জানাজানি হয়। মামলার বাদী মো. আবু তাহের মাগুরা সদর উপজেলার পাথরা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি নিজেকে বিএনপির একজন কর্মী এবং ওই কার্যালয়ের কেয়ারটেকার হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

    সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আইয়ুব আলী মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত বছরের ৪ আগস্টের ঘটনায় এ মামলা হয়েছে। তবে এ মামলায় এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি, তদন্ত চলছে।

    মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত বছর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মাগুরা শহরের ইসলামপুরপাড়ায় অবস্থিত বিএনপি কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়। এ সময় ভেতরে থাকা চেয়ার, টেবিল, আলমারিসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়।

    পরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। এ সময় বিএনপি অফিসের পশ্চিম পাশে অবস্থিত মাগুরা জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান হাবিব কিশোর এর বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়।

    এতে আরও বলা হয়, আসামিরা পরস্পর সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী। তারা সবাই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মী। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, এক নম্বর আসামি খন্দকার মাসরুর রেজা ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে বিএনপি কার্যালয় পুড়িয়ে দেয়ার হুকুম দেন।

    মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিরা হচ্ছেন- জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাখারুল ইসলাম শাকিল, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক শেখ রেজাউল ইসলাম ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ফজলুর রহমান।

  • ঢাকায় ১৩ তলা থেকে লিফট ছিঁড়ে আহত ৯

    ঢাকায় ১৩ তলা থেকে লিফট ছিঁড়ে আহত ৯

    রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিডিবিএল ভবনের লিফট ছিঁড়ে ৯ জন আহত হয়েছেন। আহতদের রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরমধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।

    মঙ্গলবার (২৭ মে) সকাল পৌনে ৯টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। জানা যায়, ১৮তলা ভবনটি বিডিবিএল ব্যাংকের। এতে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অফিস রয়েছে। সংবাদমাধ্যম বণিক বার্তা ও একাত্তর টেলিভিশনের অফিস রয়েছে ওই ভবনে।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভবনটির ৪টি লিফটের মধ্যে তিনটিই দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট। বহুবার তাগিদ দেয়ার পরও বিডিবিএল কর্তৃপক্ষ কর্ণপাত করেনি। ভবনের বিভিন্ন অফিসের কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে, লিফট-অফিস বন্ধ করে পালিয়েছে বিডিবিএল কর্তৃপক্ষ।

    এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ভবনটিতে কর্মরত বিভিন্ন অফিসের কর্মীরা।

  • জামায়াত নেতা আজহারের খালাসের রায়ে আসিফ নজরুলের প্রতিক্রিয়া

    জামায়াত নেতা আজহারের খালাসের রায়ে আসিফ নজরুলের প্রতিক্রিয়া

    মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম আজ খালাস পেয়েছেন। আদালতের এ রায়ের পর নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

    মঙ্গলবার (২৭ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তিনি এ প্রতিক্রিয়া জানান।

    আসিফ নজরুল লিখেছেন, নির্দোষ প্রমাণ হওয়ায় মুক্তিযুদ্ধকালের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ থেকে খালাস পেয়েছেন জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম। দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে তার করা রিভিউ সর্বসম্মতিতে মঞ্জুর করেছেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

    তিনি আরও লিখেছেন, আজহারুলকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায় এবং মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে এর আগে আপিল বিভাগের দেওয়া রায় বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে আজকের রায়ে।

    সবশেষে এই উপদেষ্টা লিখেছেন, এই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টির কৃতিত্ব জুলাই গণ-আন্দোলনের অকুতোভয় নেতৃত্বের। এই সুযোগকে রক্ষা করার দায়িত্ব এখন আমাদের সবার।

  • কোরবানিতে ভারতকে বয়কট, গরু রপ্তানিতেও টেক্কা বাংলাদেশের!

    কোরবানিতে ভারতকে বয়কট, গরু রপ্তানিতেও টেক্কা বাংলাদেশের!

    এই ঈদে কোরবানির জন্য বাংলাদেশে আর কোনো আমদানিকৃত বা সীমান্ত ঘেঁষা চোরাই গরুর প্রয়োজন নেই। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সর্বশেষ হিসাব বলছে, এবছর কোরবানির জন্য দেশে পশুর চাহিদা দাঁড়াবে প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখে। এবং আশাব্যঞ্জক তথ্য হলো—এই সম্পূর্ণ চাহিদাই পূরণ করা সম্ভব হবে দেশীয় উৎস থেকেই।

    এর ফলে দীর্ঘদিন ধরে চলা সীমান্ত নির্ভরতা ও ভারতীয় গরুর আমদানি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে ভারতের পশু-ভিত্তিক কৃষি অর্থনীতিতে। দেশটির সীমান্তবর্তী রাজ্য—পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড ও আসামে—৩০ লাখেরও বেশি গরু অবিক্রীত অবস্থায় পড়ে আছে। শুধু পশ্চিমবঙ্গেই আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৮ হাজার কোটি রুপি, বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার, হিন্দুস্তান টাইমস ও দৈনিক ভাস্করের মতো শীর্ষস্থানীয় ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।

    ২০১৪ সালে ভারতের মোদি সরকার ‘কাউ প্রোটেকশন’ নীতির আওতায় গরু জবাই নিষিদ্ধ করে। সেই নিষেধাজ্ঞার দীর্ঘমেয়াদি প্রতিক্রিয়ায় ২০২৫ সালে এসে বাংলাদেশ আমদানি পুরোপুরি বন্ধ করলে এই গরুগুলো হয়ে ওঠে অর্থনৈতিক বোঝা।

    এদিকে বাংলাদেশে গরু উৎপাদনের ক্ষেত্রে আশাব্যঞ্জক অগ্রগতি ঘটেছে। চুয়াডাঙ্গা, রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়াসহ অন্তত ৩০টি জেলায় খামারভিত্তিক উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। লক্ষাধিক খামারি এখন গরু বিক্রি করছেন অনলাইন হাটের মাধ্যমে। তাদের পাচ্ছেন ডিজিটাল স্বাস্থ্য সনদ ও মূল্য যাচাইয়ের সুবিধা।

    সরকারের লক্ষ্য এখন কেবল অভ্যন্তরীণ বাজার নয়, বরং আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানিও। ইতোমধ্যে সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, ওমান ও কিছু আফ্রিকান দেশ বাংলাদেশি গরু আমদানিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। চট্টগ্রাম বন্দরে দুটি আন্তর্জাতিক গরু রপ্তানি চুক্তিও সই হয়েছে।

    সরকারি পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষ গরু রপ্তানিকারক দেশে পরিণত হতে চায়। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO) এবং আন্তর্জাতিক পশু স্বাস্থ্য সংস্থা আশাবাদ ব্যক্ত করেছে—বাংলাদেশ এই গতিতে এগোলে ২০২৭ সালের মধ্যে গবাদিপশু খাত থেকে ৫০০ মিলিয়ন ডলার আয় করতে পারবে।

    বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই চীন, মালয়েশিয়া ও ওমানের সঙ্গে হালাল মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণ সংক্রান্ত চুক্তির কথাবার্তা শুরু করেছে। এক সময় আমদানি নির্ভর খাত হিসেবে পরিচিত পশু খাত এখন পরিণত হয়েছে একটি পূর্ণাঙ্গ রপ্তানিমুখী অর্থনীতিতে। এ উন্নয়ন এসেছে সুপরিকল্পিত উৎপাদন ও ডিজিটাল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে।

    বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি কেবল একটি অর্থনৈতিক অর্জন নয়, বরং দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের প্রভাব হ্রাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত। বাংলাদেশ এখন শুধু গরু নয়, ধাপে ধাপে ভারতীয় পেঁয়াজ, আলু, রসুন, ওষুধ ও নির্মাণসামগ্রীর বিকল্প উৎসও খুঁজছে। ভারতের জন্য এটি কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিকভাবে এক বড় ধাক্কা।

    বাংলাদেশ দেখিয়ে দিয়েছে—একটি খামার নয়, গোটা একটি অর্থনীতি দাঁড় করানো সম্ভব সঠিক পরিকল্পনা, স্বনির্ভরতা ও প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারে।
    সূত্র: জনকণ্ঠ

  • সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ! এবার বাংলাদেশকে ভাগ করতে চায় ভারত

    সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ! এবার বাংলাদেশকে ভাগ করতে চায় ভারত

    ভারতের আসাম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা সম্প্রতি আবারও বাংলাদেশকে ঘিরে বিতর্কিত মন্তব্য করে কূটনৈতিক মহলে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। তার বক্তব্য অনুযায়ী, যেমন ভারতের একটি ‘চিকেন নেক’ আছে, তেমন বাংলাদেশেও রয়েছে দুটি, যেগুলো ভৌগোলিকভাবে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

    সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন,“আমাদের একটা চিকেন নেক আছে, কিন্তু বাংলাদেশের দুটি। যদি বাংলাদেশ আমাদের আক্রমণ করে, আমরাও বসে থাকবো না।”

    তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশের প্রথম ‘চিকেন নেক’ হলো দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে শুরু হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম গাড়ো পাহাড় পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি করিডর, যা রংপুর বিভাগকে দেশের বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিতে পারে। দ্বিতীয় করিডরটি হলো দক্ষিণ ত্রিপুরা থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সংযোগপথ, যেটি বাংলাদেশের প্রধান বন্দর চট্টগ্রাম ও রাজধানী ঢাকার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ লিংক।

    ভারতের শিলিগুড়ি করিডর, যেটিকে ‘চিকেন নেক’ বলা হয়, সেটি মাত্র ২২ কিলোমিটার চওড়া এবং এটি ভারতের মূল ভূখণ্ডকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত করে। এই করিডরটি যদি কখনো সামরিকভাবে আক্রমণের শিকার হয়, তাহলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারে। এজন্যই এর কৌশলগত গুরুত্ব অনেক বেশি।

    রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের আসন্ন নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে এই ধরনের মন্তব্য একপ্রকার রাজনৈতিক চাল। হেমন্ত বিশ্বশর্মা বিজেপির একজন ঘনিষ্ঠ এবং কট্টর হিন্দুত্ববাদী নেতা হিসেবে পরিচিত। জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টিকে সামনে এনে তিনি হয়তো নিজের জনসমর্থন শক্তিশালী করার চেষ্টা করছেন।

    বাংলাদেশে অবশ্য হেমন্তর এই মন্তব্যকে অপ্রয়োজনীয় উত্তেজনা সৃষ্টির প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে। কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এমন মন্তব্য দুই দেশের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি করতে পারে এবং সীমান্ত অঞ্চলে অস্থিরতা বাড়াতে পারে।

    এখন প্রশ্ন উঠছে, এটি কি একজন রাজ্য নেতার ব্যক্তিগত মতামত, নাকি ভারতের কেন্দ্রীয় রাজনীতির একটি কৌশলগত ইঙ্গিত? যদিও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি, তবুও দুই দেশের সীমান্তে এমন কথাবার্তা সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।