Blog

  • ভারত থেকে সুব্রত বাইনকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়! উদ্দেশ্য কী ছিল?

    ভারত থেকে সুব্রত বাইনকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়! উদ্দেশ্য কী ছিল?

    প্রায় দেড় বছর আগে শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনকে বাংলাদেশ পাঠানো হয়। রাজনৈতিক গুপ্তহত্যার উদ্যেশ্যে তাকে তৈরি করা হচ্ছিল। গ্রেপ্তার সুব্রন বাইন সম্পর্কে এমন তথ্য দিয়েছেন অনুসন্ধান সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের।

    গতকাল বৃহস্পতিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এসব তথ্য জানান তিনি।

    ওই পোস্টের সঙ্গে একটি ভিডিও দিয়েছেন তিনি। যাতে দেখা যায়, গ্রেপ্তারের পর তিনি বাংলাদেশে আসার কারণ জানাচ্ছেন। জুলকারনাইন ওই পোস্টে বলেন, প্রায় দেড় বছর আগে বিশেষ ব্যবস্থায় ভারত থেকে সুব্রত বাইনকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়। উদ্দেশ্য ছিলো টার্গেটেড রাজনৈতিক গুপ্তহত্যার উদ্দেশ্যে ভিন্ন পরিচয়ে যুক্তরাজ্যে পাঠানোর, তৈরিও করা হচ্ছিলো সেভাবে।

    তিনি আরো বলেন, কিন্তু ৫ আগস্ট ২০২৪ পরবর্তী সময়ে তার আশ্রয়দাতারা ক্ষমতাচ্যুত হয়ে যাওয়ার কারণে পেশাদার এই অপরাধী সাধারণ জনগণের সাথে মিশে যায়।

    পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কোন-কোন ব্যক্তিকে গুপ্তহত‍্যার পরিকল্পনা করছিলো সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদ এবং কারা তাদের সহায়তা করছিলেন এ বিষয়ে শিগগিরই প্রকাশ করবেন বলে জানিয়েছেন জুলাকারনাইন।

    এদিকে রাজধানীর হাতিরঝিল থানার অস্ত্র মামলায় সুব্রত বাইনকে ৮ দিন ও অপর তিনজনকে ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। পুলিশের আবেদনে বুধবার এ অনুমতি দেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইনের আদালত।

    ২০০১ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সুব্রত বাইন ও তাঁর সহযোগী মোল্লা মাসুদসহ ২৩ জনকে শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে তালিকাভুক্তির পর তাঁদের ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করে। এরপর থেকেই সুব্রত বাইন পলাতক ছিলেন। খবর পাওয়া যায়, তিনি ভারতে গ্রেপ্তার হয়ে জেলও খাটেন। তবে তিনি ভারত থেকে ঠিক কবে দেশে ফিরেছেন, সে তথ্য পাওয়া যায়নি। গতকাল বুধবার আদালতে সুব্রত বাইন দাবি করেছেন, তিনি আড়াই বছর ধরে আয়নাঘরে ছিলেন।

    তিনি বলেন, ‘আমাকে আড়াই বছর ধরে আয়নাঘরে রাখা হয়। আমাকে ৫ তারিখ (আগস্ট) রাত ৩টার দিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আমাকে মাথায় রড দিয়ে পিটিয়ে শেষ করে দিয়েছে।’

    সূত্র: কালের কণ্ঠ

  • ৪৮ ঘণ্টায় অতি ভারি বৃষ্টির শঙ্কা, নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে কিনা জানা গেল

    ৪৮ ঘণ্টায় অতি ভারি বৃষ্টির শঙ্কা, নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে কিনা জানা গেল

    বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সুস্পষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার বেগে সমুদ্রবন্দরের দিকে ধেয়ে আসছে। এতে বাড়তে পারে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ এবং সেই সঙ্গে উপকূলীয় এলাকায় প্রবল বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তবে নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে না বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

    বৃহস্পতিবার ১০টার দিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

    এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক, নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। যেহেতু নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা নেই সেহেতু সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর সতর্কসংকেতই অব্যাহত থাকছে। সতর্কসংকেত উন্নীত করার সম্ভাবনাও নেই। সাধারণত ঘূর্ণিঝড় হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে প্রথমে চার নম্বর সতর্কসংকেত এবং পরে ক্রমান্বয়ে ৫ থেকে ৭ নম্বর সতর্কসংকেত জারি করা হয়। এবার সে ধরনের কোনো সম্ভাবনা নেই।

    নিম্নচাপের প্রভাবে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশেই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। এ অবস্থা আরও দুই থেকে তিনদিন থাকতে পারে। কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে।

    আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক বলেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে।

    তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগরের সুস্পষ্ট লঘুচাপটি আজ ভোরের দিকেই নিম্নচাপে পরিণত হয়। এরপর নিম্নচাপটি দুপুর একটার দিকে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৪৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ–পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ–পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ–পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ–পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে আরও ঘনীভূত হতে পারে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

    এ আবহাওয়াবিদ বলেন, সারাদেশেই আজ সারা দিন বৃষ্টি থাকতে পারে। এছাড়া আরো ২-৩ দিন বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে দেশের চার সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। দেশের চার বিভাগেই ভারী বর্ষণের সতর্কবার্তা ইতোমধ্যেই দিয়ে রেখেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

    সাধারণত ২৪ ঘণ্টায় ১ থেকে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে সেটি হালকা, ১১ থেকে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে মাঝারি ও ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে সেটিকে মাঝারি ধরনের ভারি বৃষ্টি ধরা হয়। সাধারণত ২৪ ঘণ্টায় ১ থেকে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে সেটি হালকা, ১১ থেকে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে মাঝারি ও ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে সেটিকে মাঝারি ধরনের ভারি বৃষ্টি ধরা হয়। আর ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার হলে ভারী এবং তার চেয়ে বেশি বৃষ্টি রেকর্ড হলে সেটিকে ধরা হয় অতিভারী বৃষ্টিপাত হিসেবে।

  • বাংলাদেশে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচনের আহ্বান ভারতের

    বাংলাদেশে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচনের আহ্বান ভারতের

    দ্রুততম সময়ের মধ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছে ভারত। ওয়ার্ল্ড ইন ওয়ান নিউজের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সিদ্ধান্ত সিবাল এক্সে এ বিষয়ে একটি পোস্ট করেছেন।

    সেখানে বলা হয়েছে, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধির জয়সওয়াল বলেছেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছা ও ম্যান্ডেট নিশ্চিত করতে হবে।

  • আ.লীগের সময়ে পাচারের ২.৫ লাখ কোটি টাকার সন্ধান মিলেছে

    আ.লীগের সময়ে পাচারের ২.৫ লাখ কোটি টাকার সন্ধান মিলেছে

    আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পাচার হওয়া ২০ বিলিয়ন অর্থের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, এটা প্রাথমিক হিসাব। এখনো অধিকতর তদন্ত চলছে। দিন দিন এ অর্থের পরিমাণ বাড়ছে।

    গতকাল মঙ্গলবার (২৮ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকে এক সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর এ কথা বলেন।

    তিনি আরও বলেন, একজনই ৩৫০টি বাড়ি কিনেছেন। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে এসব অর্থ পাচার করা হয়েছে। এসব ঘটনা উদঘাটন করা গেছে। অর্থ পাচার প্রতিরোধে সমন্বয়কের দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    এক প্রশ্নের জবাবে গভর্নর বলেন, ‘পাচারের অর্থ ফেরত আনতে হবে, এ ধরনের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের জন্য নতুন। আমরা কেউ এ ধরনের কাজ করার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। পাচারের অর্থ ফেরত আনার কাজ গতিশীল করতে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। সে জন্য আইনে পরিবর্তন আনা হবে। ১১টি গ্রুপ নিয়ে যৌথ তদন্ত চলছে।

    আরও পড়ুনঃ হেফাজতের আলটিমেটামের পর কলেজশিক্ষক নাদিরাকে বদলি, ফেসবুকে সমালোচনা
    পাচারের অর্থ কবে নাগাদ ফেরত আসতে পারে, এমন এক প্রশ্নের জবাবে গভর্নর বলেন, ‘পাচারের অর্থ ফেরত আনতে তিন থেকে পাঁচ বছর সময় লেগে যাবে। ইতোমধ্যে বিদেশে একজনের সম্পদ জব্দ হয়েছে। সামনে আরও সম্পদ জব্দ হবে। আমাদের উদ্দেশ্য, পাচারকারীদের ওপর চাপ তৈরি করা, যাতে আদালতের বাইরে গিয়ে অর্থ উদ্ধার করা যায়। কাউকে জেলে নিয়ে হয়রানি করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। কারও ব্যবসা বন্ধ করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমরা কারও ব্যবসা বন্ধ করিনি। যাদের ব্যবসা বন্ধ হয়েছে, অন্য কারণে তা হয়েছে।

    দুর্বল ব্যাংকগুলোকে আগে সরকারের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে পরে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ছেড়ে দেওয়া হবে উল্লেখ করে আহসান মনসুর বলেন, এতে আমানতকারীদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই, কারণ তারা একটি শক্তিশালী ব্যাংকের অংশ হয়ে যাবেন।

    আরও পড়ুনঃ আবরার ফাহাদকে হত্যা জায়েজ ছিল
    তিনি আমানতকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, তারা যেন টাকা উত্তোলন না করেন, কারণ সরকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ায় তাদের আমানত নিরাপদই থাকবে। একীভূতকরণের আগে ব্যাংক রেজল্যুশন ফান্ড গঠনের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক তহবিল সংগ্রহ করবে।

    ঋণ জালিয়াতি ও অনিয়মের কারণে আর্থিকভাবে দুর্বল ছয়টি ব্যাংককে আগামী জুলাইয়ের মধ্যে একীভূত করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

    সভায় জানানো হয়, চলতি অর্থবছরে বিএফআইইউতে মোট ১৭ হাজার ৩৪৫টি সন্দেহজনক লেনদেন ও কার্যক্রম সংক্রান্ত প্রতিবেদন (এসটিআর/এসএআর) দাখিল হয়েছে; আগের বছরের তুলনায় যা প্রায় ২৩ শতাংশ বেশি। এ ছাড়া বিএফআইইউ গত অর্থবছরে ১১৪টি আর্থিক গোয়েন্দা প্রতিবেদন বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থার কাছে পাঠিয়েছে। আইন প্রয়োগকারী, নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ মোট ১ হাজার ২২০টি তথ্য বিনিময়ও হয়েছে, আগের বছরের তুলনায় যা ১৩ দশমিক ৯১ শতাংশ বেশি।

    আরও পড়ুনঃ নতুন নোটের ছবি প্রকাশ করল বাংলাদেশ ব্যাংক, কোন নোটে কোন ছবি
    বিএফআইইউর প্রধান এ এফ এম শাহীনুল ইসলাম বলেন, অর্থ পাচার ও হুন্ডি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতা ও লেনদেন ভারসাম্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে এই প্রবণতা। অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দেশনা ও পৃষ্ঠপোষকতায় স্থিতিশীলতা ফেরাতে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পাচার করা অর্থ ফেরত আনতে কাজ চলছে। ১১টি গ্রুপ নিয়ে যৌথ তদন্ত চলছে। এ কাজে পরামর্শ ও সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে বিশ্বব্যাংক।

    সভায় বিএফআইইউর পরিচালক মুহাম্মদ আনিছুর রহমান বলেন, অর্থ পাচার ধরা ও উদ্ধার করা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এটা চলতেই থাকবে। গত বছরের জুলাই মাসের পর বিএফআইইউর কাজ কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। সন্দেহজনক প্রতিবেদন অনেক বেড়েছে। বিভিন্ন সংস্থার প্রতিবেদন পাঠানো চার গুণ বেড়েছে।

  • চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীর কবজি কেটে দিলেন বিএনপির কর্মী

    চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীর কবজি কেটে দিলেন বিএনপির কর্মী

    নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে মো. নবীর উদ্দিন (৬০) নামে এক ব্যবসায়ীর হাতের কবজি কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির এক কর্মীর বিরুদ্ধে। বুধবার (২৮ মে) রাত ১১টার দিকে উপজেলার হরণী ইউনিয়নের হাতিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

    আহত ব্যবসায়ী জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতালে) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

    আহত নবীর উপজেলার হরণী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব রসূলপুর গ্রামের নবীর মিস্ত্রি বাড়ির মৃত মো. হোসেনের ছেলে। অভিযুক্ত ফারুক খলিফা (৪৫) একই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম রসূলপুর গ্রামের মো. জাবের খলিফার ছেলে। তিনি বিএনপির কর্মী বলে জানা গেছে।

    আরও পড়ুনঃ আদলতেই শরীরে আগুন দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যাচেষ্টা
    হামলার শিকার নবীর উদ্দিনের ছেলে মো. আবু ছায়েদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, হাতিয়া বাজারে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে বড় পশুর হাট বসে। হাটে গরু রাখার জায়গা না হলে স্থানীয়রা তাদের জায়গা বা দোকানের সামনে বাঁশ পুঁতে দিয়ে গরু বিক্রির ব্যবস্থা করে। পশুর হাটের বাহিরে কারো জায়গা বা দোকানের সামনে গরু বিক্রি হলে তারা কিছু টাকা নেয়। আমার বাবা হাতিয়া বাজারের পশুর হাটের দক্ষিণ পাশে আমাদের দোকানের সামনের জায়গায় বাঁশ পুঁতে গরু বিক্রির ব্যবস্থা করেন। গত মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ওই জায়গায় এসে বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত বলে চাঁদা দাবি করেন ফারুক খলিফা। আমার বাবা তাকে বলেন- এখানে কি তোমার কোনো পুঁজি আছে, তোমাকে কেন টাকা দেব। তখন তিনি আমার বাবাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়।

    আরও পড়ুনঃ মা আমি চিপস চুরি করিনি’, চিরকুট লিখে চিরবিদায় ছেলের
    তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে হাতিয়া বাজারের হাতিয়া টাওয়ারের সামনে ফারুক ফের টাকা চায়। আমার বাবা অস্বীকৃতি জানালে সে তার সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে ছুরি দিয়ে আমার বাবার ডান হাতের কবজি কেটে দেয়। এতে হাতের প্রায় সবগুলো রগ কেটে বিচ্ছিন্ন হওয়ার মতো হয়ে গেছে।

    অভিযোগের বিষয়ে জানতে একাধিকবার ফারুক খলিফার মুঠোফোনে কল করা হলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি। তাই এ বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য সংযুক্ত করা যায়নি।

  • ছাত্রাবাসের টর্চারসেল থেকে ৫ ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করল সেনাবাহিনী, বিএনপির নেতার ছেলে আটক

    ছাত্রাবাসের টর্চারসেল থেকে ৫ ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করল সেনাবাহিনী, বিএনপির নেতার ছেলে আটক

    মুক্তিপণ আদায়ের জন্যে মাগুরার পৌর এলাকার সাজিয়াড়া গ্রামের একটি ছাত্রাবাসে গড়ে তোলা টর্চারসেলে আটক পাঁচ ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করেছেন সেনা সদস্যরা।

    এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইসতিয়াক আহমেদ শান্ত নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে।

    শান্ত মাগুরা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক তানজেল হোসেনের বড় ভাই রফিকুল ইসলামের ছেলে।

    গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাগুরা ক্যাম্পের দায়িত্বরত সেনা সদস্যরা বুধবার রাত ১০টার দিকে সাজিয়াড়া গ্রামের এসএম ছাত্রাবাসে আটকে রাখা ব্যবসায়ীদের উদ্ধার করেন।

    আরও পড়ুনঃ ছাত্রদল নেতাসহ ইমো হ্যাকার চক্রের তিন সদস্য আটক
    রাজীব সরদার, হৃদয় সরদার, বাবু শেখ, ওসমান শেখ এবং রিয়াদ ইসলাম নামের ওই পাঁচ ব্যবসায়ীর বাড়ি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বড়ফা গ্রামে।

    নানা ধরণের ইলেক্ট্রনিক পণ্য ফেরি করে বিক্রির উদ্দেশ্যে গত ২১ মে মাগুরা এসে ইসতিয়াক আহমেদ শান্তর খপ্পড়ে পড়েন তারা।

    ইসতিয়াক হোসেন শান্ত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাদেরকে কৌশলে সাজিয়াড়া গ্রামের ওই ছাত্রাবাসে নিয়ে গিয়ে আটকে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন।

    কিন্তু তারা নিজেদের আর্থিক অসংগতির কথা জানালে শান্ত আরও ৭ থেকে ৮ জনকে সঙ্গে নিয়ে মঙ্গলবার রাতভর এবং বুধবার দিনের বিভিন্ন সময়ে পালাক্রমে তাদের ওপর নির্যাতন চালায়।

    আরও পড়ুনঃ ছাত্রদল নেতাসহ ইমো হ্যাকার চক্রের তিন সদস্য আটক
    এলাকাবাসী জানায়, মাগুরার মহম্মদপুরে বাড়ি মহসিন নামে এক প্রবাসী ওই ছাত্রাবাসটির মালিক। হুরাইরা নামে সাজিয়াড়া গ্রামের একটি ছেলের মাধ্যমে তিনি ছাত্রাবাসটি পরিচালনা করে আসছিলেন।

    কিন্তু ৫ আগস্টের পর ইসতিয়াক আহমেদ শান্ত ছাত্রাবাসে বসবাসরত ভাড়াটিয়াদের উচ্ছেদ করে সেটির বিভিন্ন কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দখলে দেয়। পরে নিয়মিত দিনে এবং রাতের বিভিন্ন সময়ে সেখানে বন্ধুদের নিয়ে মাদকের আড্ডা বসিয়ে আসছিলেন।

    মঙ্গলবার ওই পাঁচ ব্যবসায়ীকে আটকের পর তারা সেখানে সাউন্ড বক্সের মাধ্যমে উচ্চমাত্রায় মিউজিক চালায় তাদেরকে নির্যাতন করে বলেও জানায় এলাকাবাসী।

    আরও পড়ুনঃ ছাত্রদল নেতাসহ ইমো হ্যাকার চক্রের তিন সদস্য আটক
    বুধবার রাতে ওই ছাত্রাবাস থেকে আটক ব্যবসায়ীদের ছাড়াও নানা ধরণের মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে সেনা সদস্যরা। পরে রাতেই তাদেরকে সদর থানা পুলিশের হেফাজতে দেওয়া হয়।

    মাগুরা সদর থানার ভাররাপ্ত কর্মকর্তা মো. আইয়ুব আলী জানান, এ ঘটনায় আরও কয়েকজন জড়িত রয়েছে বলে জানা গেছে। তাদেরকেও আটকের চেষ্টা চলছে।

  • ভাইরাল না হলে টনক নড়ে না প্রশাসনের! মেলে না আইনি সহায়তাও

    ভাইরাল না হলে টনক নড়ে না প্রশাসনের! মেলে না আইনি সহায়তাও

    ফেসবুক আর বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল না হলে প্রশাসনের টনক নড়ে না! আইনি সহায়তাও পায় না ভুক্তভোগী। এমন কথার প্রমাণ মিলেছে আরও একবার।

    সম্প্রতি রাজধানীর মগবাজারে ছিনতাইয়ের শিকার এক যুবকের জবানিতে উঠে এসেছে ভয়াবহ এমন অভিজ্ঞতার কথা। প্রথম দিকে থানায় গিয়ে পাত্তাই পাননি তিনি। কিন্তু, ঘটনা সামাজিকমাধ্যমে ভাইরালের পর নড়েচড়ে বসে পুলিশ।

    ছিনতাইকৃত ব্যাগ ফিরিয়ে দেয়ার অনুরোধ করলে বাইক থেকে নেমে পুনরায় ভুক্তভোগী যুবককে আক্রমণ করে ছিনতাইকারীরা। ছবি: সিসিটিভি ফুটেজ থেকে নেয়া।
    ঘটনা চলতি মাসের ১৮ তারিখের। সেদিন ভোর ৫টা ২২ মিনিটে রাজধানীর মগবাজারের গ্রিনওয়ে গলি ধরে ঘাড়ে ব্যাগ নিয়ে হেটে যাচ্ছিলেন এক যুবক। হঠাৎ অপরপ্রান্ত থেকে একটি মোটরসাইকেলে আসে তিনজন। বাইক থামিয়ে চকচকে চাপাতি হাতে নেমে আসে দু’জন। ঘিরে ধরে ওই যুবককে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই এলোপাতারি কোপাতে শুরু করে; ছিনিয়ে নেয় যুবকের ব্যাগ, মোবাইল ও টাকা।

    ছিনতাইয়ের এই ঘটনার অনুসন্ধানে নামে যমুনা টেলিভিশন। খুঁজে বের করা হয় ভুক্তভোগী যুবক আব্দুল্লাহকে।

    রাজধানীর একটি ৪ তারকা হোটেলে চাকরি করেন সেদিনের ওই ঘটনার ভুক্তভোগী আব্দুল্লাহ। জানান, সেদিনের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা।

    আব্দুল্লাহ বলেন, দুজন চাপাতি দিয়ে আঘাত করা শুরু করলে ভয়ে-আতঙ্কে সব দিয়ে দেই। চোখের সামনে আমার সব টাকা নিয়ে যাচ্ছে ভেবে আমি বারবার ব্যাগটা ফিরিয়ে দিতে বলি। এসময় তারা আমাকে চাপাতি দিয়ে অনেকগুলো কোপ দেয়। হাত, মাথা, বুক ও বাহুতে কুপিয়ে জখম করে তারা।

    আব্দুল্লাহ জানান, ছিনতাইয়ের পর গিয়েছিলেন পার্শ্ববর্তী হাতিরঝিল থানায়। আইনি সহায়তা চাইলেও মেলেনি কোনো সহযোগিতা। উল্টো মেডিকেল রিপোর্ট আনার কথা বলে হয়রানি করা হয়।

    ভুক্তভোগী বলেন, থানায় গিয়ে আমি আমার জখমগুলো দেখাই এবং মামলার আবেদন করি। কিন্তু তারা আমাকে হাসপাতালে গিয়ে রিপোর্ট আনতে বলে। পরে আমি মালিবাগের একটি হাসপাতালে গেলে তারা আমাকে রিপোর্ট দেয়নি। রেফার করে ঢাকা মেডিকেলে।

    চাঞ্চল্যকর ছিনতাইয়ের বিষয়ে যমুনা টিভির এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলছেন হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাজু।
    এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে থানায় আইনি সহায়তা না পাওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখবে বলে জানায় পুলিশ। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় সম্পৃক্ত দু’জনকে শনাক্ত করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।

    হাতিরঝিল থানার ওসি মোহাম্মদ রাজু বলেন, কেউ অভিযোগ নিয়ে আসলে আমরা যেন মামলা নেই সে বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। তবে এ বিষয়ে ভুক্তভোগী যে অভিযোগ করেছেন সেটি তার অগোচরে হয়েছে বলে দাবি করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। বলেন, খোঁজ নিয়ে এর কারণ অনুসন্ধান করবেন তিনি।

    এদিকে, ১৮ তারিখের ছিনতাইয়ের এ ঘটনাটি অনলাইনে ভাইরাল হয় ২৫ মে। এরপরই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। ভুক্তভোগীকে খুঁজে বের করে মামলাও নেয়া হয়। তবে লাগেনি কোন মেডিকেল রিপোর্ট।

    আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এমন আচরণকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন সাধারণ মানুষ। তারা বলছেন, কেউ বিপদে পড়লে তখন তারা প্রশাসনের কাছেই প্রথমে যায়। কিন্তু সেখানে নানা হয়রানির শিকার হতে হয় ভুক্তভোগীকে, যা খুবই দুঃখজনক।

    পুলিশের এমন মামলা না নেয়া ও ভুক্তভোগীদের পাশে না দাঁড়ানোর প্রবণতায় অপরাধ দিন দিন বাড়ছে বলেও ধারণা নগরবাসীর।

  • কারও দোসর ছিলাম না, ফ্যাসিবাদের শিকার হয়েছি : জিএম কাদের

    কারও দোসর ছিলাম না, ফ্যাসিবাদের শিকার হয়েছি : জিএম কাদের

    রংপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কথা বলেন জিএম কাদের। ছবি : কালবেলা

    জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, আমরা কারও দোসর ছিলাম না, আমরা নিজস্ব রাজনীতি করেছি। কিছু কিছু সময়ে আমাদের অনেক ক্ষেত্রে অনেক কিছু বাধ্য করা হয়েছে। যেটা ফ্যাসিবাদ বলা হয়, সেই ফ্যাসিবাদের শিকার সবাই যেমন হয়েছে আমরাও হয়েছি।

    বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বিকেলে রংপুর নগরীর সেনপাড়ায় তার বাসভবন ‘দ্য স্কাই ভিউতে’ সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা জানান।

    এসময় জিএম কাদের বলেন, যারা আমাদের দোসর বলছেন তারা বাংলাদেশের রাজনীতিতে কতটুকু ধারণা রাখেন তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে আমাদের দোসর খুব শত্রুরাও খুব সহজে বলতে পারবেন না, কথার কথা বলতে পারেন। কোনোভাবেই আমরা দোসর নই। যেখানে আওয়ামী লীগ খারাপ কাজ করেছে, তার সবচেয়ে বেশি প্রতিবাদ করেছি এবং অন্য যেকোনো দলের চেয়ে বেশি সোচ্চার ছিলাম।

    তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা এবং তার সঙ্গে তরুণ নেতৃত্ব যাদের তিনি তার অভিভাবক এবং নিয়োগকর্তা হিসেবে পরিচয় করিয়েছিলেন তারা মিলে দেশকে সুস্পষ্টভাবে বিভক্ত করে ফেলেছেন। এই বিভক্তি দিনকে দিন আরও শক্তিশালী হচ্ছে এবং একজন আরেকজনের ওপরে সংঘাতপূর্ণ একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সামনের দিকে বড় ধরনের সংঘাতের দিকে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছি।

    প্রধান উপদেষ্টা জাপাকে রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছেন না জানিয়ে তিনি বলেন, রাজনৈতিকভাবে তিনি আমাদেরকে বাদ দিয়ে গেছেন, মানে হিসেবে আমরা নাই। তার হিসেবে রাজনীতি করার অধিকার আমাদের নাই। আইনগতভাবে এখনো আমরা নিবন্ধনভুক্ত একটি দল। কোনো ধরনের ঘাটতি না থাকা সত্ত্বেও আমাদের রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বীকৃতি দিতে চাচ্ছেন না। তারা রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করে আমাদের রাজনৈতিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। আমাদের লোকজনদের ধরে নিয়ে গিয়ে আটক করে রাখা হচ্ছে। পৃথকীকরণ নীতি গ্রহণ করে বর্তমান সরকার রাজনীতিতে কোণঠাসা করার জন্য দেশের একটি বৃহৎ অংশকে সমস্ত রাজনৈতিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে।

    এনসিপিকে সরকারি দল হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা নির্বাচনে নিজস্ব একটি দল তৈরি করেছেন এবং সেই দল এখন পর্যন্ত সম্পূর্ণ সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায়। এখন পর্যন্ত কোনো রেজিস্ট্রেশন পায়নি। আমি মনে করি, তারা আইনসিদ্ধভাবে রাজনৈতিক দলের স্বীকৃতি পায় না। কিন্তু তাদেরকে সমস্ত ক্ষেত্রে প্রায়োরিটি দেওয়া হচ্ছে। নিজস্ব দল করে তৈরি করে সেই দলের মাধ্যমে এবং একই সঙ্গে নির্বাচন হলে সেই নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কখনোই সম্ভব না। একটা উপযুক্ত নির্বাচন দেওয়ার দরকার কিন্তু এই সরকার তা পারবেন না। তাদের উপযুক্ত নির্বাচন দেওয়ার ক্ষমতা এবং ইচ্ছা কোনোটাই নেই।

    জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, সীমান্তে পুশ ইনের ঘটনায় এটা স্পষ্ট যে, এই সরকার দুর্বল এবং ব্যর্থ। এটা সরকারের কাজ, এক্ষেত্রে আমরা তো কিছু করতে পারি না।

    এসময় দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম ইয়াসির, জেলা কমিটির আহ্বায়ক আজমল হোসেন লেবু, সাংগঠনিক সম্পাদক হাসানুজ্জামান নাজিমসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

    এর আগে চার দিনের সফরে বৃহস্পতিবার বিকেলে রংপুরে যান তিনি। দলীয় ও ব্যক্তিগত কাজ শেষে আগামী রোববার ঢাকায় ফিরবেন।

  • মুজিব করেছি, এবার জিয়ার চরিত্রেও অভিনয় করতে প্রস্তুত আরিফিন শুভ

    মুজিব করেছি, এবার জিয়ার চরিত্রেও অভিনয় করতে প্রস্তুত আরিফিন শুভ

    এবার ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আরিফিন শুভ। শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিক ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’-এ অভিনয় করে ব্যাপক আলোচনায় ওঠে এসেছিলেন তিনি। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে পর্দার বাইরে শুভ। তাকে আর অভিনয়ে দেখা যায়নি। আড়ালেই চলে যান তিনি। সিনেমায় মুজিব চরিত্রে অভিনয়ের জন্য বেশ বিপাকে পড়তে হয়েছে অভিনেতাকে।

    তবে শুভ জানালেন, সুযোগ হলে তিনি জিয়ার চরিত্রেও অভিনয় করবেন। কারণ তিনি একজন অভিনয়শিল্পী। সম্প্রতি আড়াল ভেঙে সামনে এসেছেন আরিফিন শুভ। কোরবানির ঈদে ‘নীলচক্র’ দিয়ে পর্দায় ফিরছেন এ নায়ক। নিজের আসন্ন সিনেমা নিয়ে শুভ কথা বললেন কালের কণ্ঠের সঙ্গে। সেখানেই উঠে আসে নানান প্রসঙ্গ।

    এদিকে সাক্ষাৎকারে শুভ কথা বলেন মুজিব সিনেমা নিয়েও। মুজিবের চরিত্র তো করেছেন, আগামীতে জিয়াউর রহমানের বায়োপিকে অভিনয় করতে বলা হলে কি করবেন তিনি, এমন প্রশ্নের জবাবে শুভ বলেন, ‘আমি একজন অভিনেতা। আমার কাজ চরিত্রে ঢুকে সেই চরিত্রকে সত্য করে তোলা। আমাকে যেকোনো চরিত্রে পরিচালক যোগ্য মনে করলে, আমি বরাবরই প্রস্তুত।’

    এদিকে নিজেকে অরাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে দাবি করে শুভ বলেন, “যখনই ‘মুজিব’ করলাম, তখন থেকেই নানা গুঞ্জন আমি নাকি এমপি হচ্ছি, এক টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছি সুবিধা পাওয়ার জন্য।

    অথচ বাস্তবে এমন কিছু ঘটেছে কি? ‘মুজিব’ করে আমি যদি কোনো বিশেষ সুবিধা নিয়ে থাকি, আপনি অনুসন্ধান করে প্রমাণসহ সবাইকে জানান। আর এই ছবি করার অনেক আগেই স্পষ্ট করে বলেছি, আমি কখনো রাজনীতিতে জড়াব না। এটি আমার সচেতন এবং ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। কেউ চাইলে সেই বক্তব্যের রেকর্ডও খুঁজে পাবেন। রাজনীতি আমার পথ নয়, আমি শুধু অভিনয়টা বুঝি, আর সেটা নিয়েই থাকতে চাই।’

    এবার ঈদে মুক্তি পাবে শুভর ‘নীলচক্র’। এতে আরো অভিনয় করেছেন মন্দিরা চক্রবর্তী, ফজলুর রহমান বাবু, শিরীন আলম, খালেদা আক্তার কল্পনা, শাহেদ আলী, প্রিয়ন্তী ঊর্বী, মাসুম রেজওয়ান প্রমুখ। ‘নীলচক্র’ ছাড়াও দেশে ও দেশের বাইরে কিছু কাজের কথা চলছে শুভর। দ্রুতই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে বলেও জানান তিনি।

  • বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল ভারত

    বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল ভারত

    জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে দ্রততম সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছে ভারত। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেছেন।

    এদিন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘নয়াদিল্লি বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে’ বলে করা অভিযোগ অস্বীকার করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র বলেন, ‘‘বাংলাদেশের এসব অভিযোগ প্রকৃত সমস্যা থেকে দৃষ্টি সরানোর চেষ্টা মাত্র।’’

    তার কথায়, ‘‘বাংলাদেশের সরকার যেহেতু উদ্বিগ্ন, সেক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও শাসনব্যবস্থার পূর্ণ দায়ভার তাদের সরকারের ওপরই বর্তায়। এমন পরিস্থিতিতে যদি কেউ বলেন, বাইরের কোনও শক্তি বা অন্য কেউ এই অস্থিতিশীলতার জন্য দায়ী, তখন এটা মনে হয় যে, আসল সমস্যাগুলো থেকে মনোযোগ সরিয়ে অন্যদের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা চলছে। এই ধরনের বক্তব্য সমস্যার সমাধান করে না, বরং দায় এড়ানোর কৌশল বলেই মনে হয়।’’

    রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘‘দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা প্রয়োজন; যাতে জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও ম্যান্ডেট নিশ্চিত হয়।’’