Blog

  • সকল প্রকার রেকর্ড খতিয়ান বাতিল? নতুন নিয়মে মালিকানা নির্ণয় হবে যেভাবে…..

    সকল প্রকার রেকর্ড খতিয়ান বাতিল? নতুন নিয়মে মালিকানা নির্ণয় হবে যেভাবে…..

    বাংলাদেশে ভূমি মালিকানা নিয়ে একটি আলোচিত ও বিতর্কিত বিষয় হলো—“সকল প্রকার রেকর্ড খতিয়ান বাতিল”—এই প্রশ্নটি। অনেকেই উদ্বিগ্ন হয়ে জানতে চাচ্ছেন, খতিয়ান বাতিল হলে কিভাবে জমির মালিকানা নির্ধারণ হবে? কিভাবে নামজারি বা খাজনা প্রদান করা হবে? এসব প্রশ্নের উত্তর নিয়েই আজকের প্রতিবেদন।

    খতিয়ান বাতিলের বাস্তবতা ও মিথ

    প্রথমেই পরিষ্কার করে বলা জরুরি, সরকার এখন পর্যন্ত কোনো আইনে “সকল প্রকার খতিয়ান বাতিল” ঘোষণা করেনি। বরং, প্রতিটি খতিয়ানের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেই মালিকানা যাচাই হয়। সিএস (ক্যাডাস্ট্রাল সার্ভে), এসএ (স্টেট অ্যাকুইজিশন), আরএস (রিভিশনাল সার্ভে), বিএস (বাংলাদেশ সার্ভে) এবং সর্বশেষ বিডিএস (বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে)—এই প্রতিটি খতিয়ানই মালিকানা প্রমাণে গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে বিবেচিত।

    খতিয়ানের ইতিহাস: কোথা থেকে শুরু?

    সিএস খতিয়ান শুরু হয় ব্রিটিশ আমলে, ১৮৮৮ সাল থেকে ১৯৪০ সাল পর্যন্ত সময়ে। এরপর পাকিস্তান আমলে এসএ খতিয়ান (১৯৫৬-১৯৬২), স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশে আরএস ও বিএস খতিয়ান প্রবর্তিত হয়। ২০২৫ সাল পর্যন্ত, সিএস খতিয়ান প্রায় ১৩৭ বছরের পুরনো। এই খতিয়ানের ভিত্তিতে মালিকানা শুরু হলেও, পরবর্তী খতিয়ানগুলোর সঙ্গে মালিকানা হস্তান্তরের ইতিহাস থাকা অপরিহার্য।

    কখন খতিয়ান কার্যত “বাতিল” হয়ে যায়?

    যদি পূর্বপুরুষের নামে থাকা সিএস বা এসএ খতিয়ানের সম্পত্তি পরবর্তীতে দলিলের মাধ্যমে বিক্রি করে দেওয়া হয়ে থাকে, এবং সেই বিক্রয়ের ভিত্তিতে নতুন মালিক দখল ও নামজারি করে থাকে, তাহলে সেই পুরনো খতিয়ান ওই উত্তরাধিকারীদের জন্য কার্যকারিতা হারায়। তবে একে আইনত “বাতিল” বলা চলে না; বরং, প্রাসঙ্গিকতা হারানো বলাই সঠিক।

    অর্থাৎ, যিনি সম্পত্তি বিক্রি করে দিয়েছেন, তার খতিয়ান ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য প্রমাণ হিসেবে কাজ করবে না। কিন্তু যিনি ক্রয় করেছেন, তার জন্য সেই খতিয়ান ‘পাওয়ারফুল’ দলিল।

    বিডিএস জরিপ ও স্মার্ট খতিয়ান

    বর্তমানে ডিজিটাল জরিপ (বিডিএস) কার্যক্রমের আওতায় নতুন ধরনের মালিকানা ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। এক জমিতে এক মালিকের নাম থাকবে এবং স্মার্ট কার্ডে ডিজিটালভাবে মালিকানার তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। এই স্মার্ট কার্ডে জমি ক্রয় করলে ‘যোগ’ হবে এবং বিক্রয় করলে ‘বিয়োগ’ হবে। এতে প্রতারণার সুযোগ কমবে এবং স্বচ্ছতা বাড়বে।

    তবে বিডিএস জরিপ বলছে, আগামী ১০০ বছরের মধ্যে নতুন করে আর খতিয়ান হবে না। তবে এটি পুরনো সিএস, এসএ, আরএস, বিএস খতিয়ানকে অকার্যকর করে না—বরং তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বজায় রেখেই স্মার্ট খতিয়ান কার্যকর হবে।

    কিছু ব্যতিক্রম

    পার্বত্য এলাকা ও সিলেট অঞ্চলে সিএস খতিয়ান করা হয়নি। সেখানে এসএ খতিয়ান থেকেই মালিকানা নির্ধারণ হয়।

    উপসংহার

    সরকার আইন করে বা প্রশাসনিকভাবে “সকল খতিয়ান বাতিল” ঘোষণা করতে পারে না, এবং এখন পর্যন্ত তেমন কিছু হয়নি। খতিয়ানের ধারাবাহিকতা ও দলিলপত্রই মালিকানা নির্ধারণের মূল ভিত্তি। বিডিএস স্মার্ট খতিয়ান আধুনিক পদ্ধতি হলেও এটি আগের খতিয়ানকে বাদ দিয়ে এককভাবে কার্যকর হবে না।

    তাই, যারা আতঙ্কিত হচ্ছেন—“সকল খতিয়ান বাতিল?”—তাদের জন্য সুসংবাদ হলো, আপনার বৈধ খতিয়ান এবং দলিল থাকলে আপনি নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন।

  • ছাত্রদল সভাপতির পদ হারানোর গুঞ্জন

    ছাত্রদল সভাপতির পদ হারানোর গুঞ্জন

    বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব পদ হারিয়েছেন বলে গুঞ্জন ছড়িয়েছে। শুক্রবার (৩০ মে) গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। তবে এই গুঞ্জনের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।

    এর আগে আজ সকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছাত্রদল সভাপতি পদ হারিয়েছেন বলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। যদিও এই গুঞ্জনের সত্যতার ব্যাপারে কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।

    এই গুঞ্জনের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন বলেন, তিনি (রাকিব) অসুস্থ থাকায় আজকের প্রোগ্রামে উপস্থিত হতে পারেননি। খবরটি সম্পূর্ণ ভুয়া। এমন কিছুই ঘটেনি।

  • সন্ধ্যার মধ্যে যেসব জেলায় ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা ‎

    সন্ধ্যার মধ্যে যেসব জেলায় ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা ‎

    দেশের সাত জেলার ওপর দিয়ে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

    শুক্রবার (৩০ মে) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের জন্য দেওয়া সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টিসহ ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরকে ২ নম্বরসতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

    এছাড়া দেশের অন্যত্র একই দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

  • স্বামীর সাথে ঘর ভাড়া করতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার নববধূ

    স্বামীর সাথে ঘর ভাড়া করতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার নববধূ

    যশোরে স্বামীর সাথে ঘরভাড়া করতে গিয়ে নববধূ ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার ওই বধূূ বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দুুপুরে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন।

    মামলায় রামনগর এলাকার রুবেল হোসেনের স্ত্রী বৃষ্টি খাতুনসহ অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করা হয়।

    মামলা সূত্রে জানা গেছে, এক মাস আগে ওই নববধূর বিয়ে হয়। তার স্বামীর পূর্ব পরিচিত ছিলেন আসামি বৃষ্টি। বৃষ্টির বাড়ি শেখহাটি এলাকায় হলেও তিনি বর্তমানে রামনগরের ইফাদ অটোর গলিতে ভাড়া থাকেন।

    আরও পড়ুনঃ গাজীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে জামায়াতের চমক!
    সেই সুবাধে ওই এলাকায় বাড়ি ভাড়া নেওয়ার উদ্দেশ্যে নবদম্পতি বৃষ্টির বাড়িতে যান। বৃষ্টির সঙ্গে একটি বাসা দেখে পছন্দ হওয়ার পর নববধূকে বৃষ্টির বাসায় রেখে স্বামী সংসারের প্রয়োজনীয় মালামাল কিনতে বাইরে যান। স্বামী বাইরে যাওয়ার পরপরই তিনজন অপরিচিত ব্যক্তি বৃষ্টির বাড়িতে প্রবেশ করে। তারমধ্যে একজনের চুল লম্বা।

    পরে ভুক্তভোগী নববধূ একটি ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। এ সুযোগে বৃষ্টি লম্বা চুলওয়ালা এক ব্যক্তিকে তার ঘরে ঢুকিয়ে বাইরে থেকে দরজা লক করে দেন। ওই ব্যক্তি তার হাত ও মুখ বেধে ধর্ষণ করেন। অন্যরা বাইরে থেকে পাহারা দিতে থাকেন। পরে নববধূর কাছে থাকা সোনার চেইন, কানের দুল ও আঙটি ছিনিয়ে নেওয়া হয়, যার আনুমানিক মূল্য দুই লাখ টাকা।

    আরও পড়ুনঃ ইশরাককে শপথ পড়ানোর বিষয়ে যা জানাল স্থানীয় সরকার বিভাগ
    পরে এ বিষয়টি কাউকে কিছু বললে হত্যা করা হবে হুমকি দিয়ে ওই তিনজন চলে যান। নববধূ স্বামীকে বিষয়টি বলেন। স্বামী বৃষ্টিকে ওই তিনজন কারা ছিলেন তা জানতে চাইলে নানা তালবাহানা করেন।

    এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই দেবাশীষ হালদার বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বৃষ্টি পালিয়েছে। বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখছেন।

  • নাহিদের সাবেক পিএর বিরুদ্ধে ১৫০ কোটি টাকা বেহাতের অভিযোগ

    নাহিদের সাবেক পিএর বিরুদ্ধে ১৫০ কোটি টাকা বেহাতের অভিযোগ

    অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা ছিলেন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতা নাহিদ ইসলাম। পরে পদত্যাগ করে নতুন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা হন নাহিদ। জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি নামে নতুন দল খুলেছেন তিনি। নাহিদ ইসলাম তথ্য উপদেষ্টা থাকা অবস্থায় তার পিএ ছিলেন আতিক মোর্শেদ।

    এবার এই আতিক মোর্শেদের বিরুদ্ধে গুরুত্বর অভিযোগ উঠেছে। মোবাইল ব্যাংকিং নগদের ১৫০ কোটি টাকা বেহাতের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। এ ছাড়া নগদের গুরুত্বপূর্ণ পদে স্ত্রীসহ আত্মীয়দের চাকরি দেওয়ার অভিযোগও তার বিরুদ্ধে।

    নাহিদ ইসলামের পরামর্শেই আতিক মোর্শেদ এসব কাজে জড়িত কি না- এমন প্রশ্ন তুলেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন।

    আজ শুক্রবার দুপুরে নিজের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এমন প্রশ্ন তোলেন।
    ফেসবুক পোস্টে রাশেদ খাঁন বলেন, সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের বিশেষ সহকারী (পিএ) আতিক মোর্শেদের বিরুদ্ধে বেশকিছু গুরুতর অভিযোগ আসলেও নাহিদ ইসলাম দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ বা মন্ত্রণালয় থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করেননি। এক্ষেত্রে প্রশ্ন থেকে যায় নাহিদ ইসলামের পরামর্শেই আতিক মোর্শেদ এসব কাজে জড়িত কি না? অন্যথায় এসব বিষয়ে নাহিদ ইসলাম কেন চুপ ছিলেন বা এখনো চুপ আছেন?

    আরও পড়ুনঃ জাপান সফরে ‘ইউনূস-ম্যাজিক!’
    একটি পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের বরাত দিয়ে রাশেদ খাঁন জানান, এবার আতিক মোর্শেদের বিরুদ্ধে নগদ থেকে দেড়শ কেটি টাকা বেহাতের তথ্য প্রকাশ হয়েছে।নগদের ডেপুটি সিইও মুয়ীজ নাসনিম ত্বকির সাথে মিলিত হয়ে এই কাজ করেছে আতিক মোর্শেদ।

    তিনি বলেন, নগদের সীমাহীন লুটপাটের সঙ্গে জড়িত ও মূল হোতাদের একজন প্রতিষ্ঠানটির ডেপুটি সিইও মুয়ীজ নাসনিম ত্বকিকে গত ১৮ মে রাতে বেইলি রোডের বাসা থেকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে পরদিন বিকেলে বিভিন্ন দেনদারের তাকে কারাগারে না পাঠিয়ে ডিবি থেকেই ছেড়ে দেওয়া হয়। আতিক মোর্শেদের সরাসরি হস্তক্ষেপে ডিবি পুলিশ তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। এক্ষেত্রে প্রশ্ন থেকে যায় পিছন থেকে কে আতিক মোর্শেদকে এখনো সাপোর্ট করে যাচ্ছে? কেই বা তাকে নগদের পরিচালনার দায়িত্ব দিলো?

    আরও পড়ুনঃ ঈদুল আজহা ঘিরে পুলিশ সদর দপ্তরের যেসব সতর্কবার্তা
    ওই সংবাদের তথ্য তুলে ধরে রাশেদ খাঁন জানান, ডেপুটি সিও এবং আতিক মোর্শেদ মিলে নগদের সবকিছু সামলাচ্ছেন। নগদ ভবনের ৬ তলার একই রুমে নিয়মিত অফিস করছেন আতিক মোর্শেদ।

    অথচ আতিক মোর্শেদ নগদের কোন কর্মকর্তা নন। এমনকি আতিক মোর্শেদ ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তার স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা জুঁইকে নগদের ম্যানেজার কমপ্লায়েন্স পদে বসিয়েছেন। তাছাড়া চাকরি দিয়েছেন অনেক নিকট আত্মীয়দের।
    গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, নাহিদ ইসলামের একটা কথা আমার প্রায় কানে বাজে আমাদের ডোনেট করছে ধনীরা। কিন্তু সেই ধনীরা কারা? নাহিদ ইসলাম কি পারবে এসবের দায় এড়াতেই আজকেই পুলিশের হাতে আতিক মোর্শেদকে তুলে দিতে? অবশ্যই বিশেষ সহকারীর এসব কাজের দায়ভার সুষ্ঠু তদন্ত ছাড়া নাহিদ ইসলামের এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।

  • দুই বছরের আতিকের মৃত্যু ‘দুর্ঘটনা’ ছিল না,ভাবীর কল রেকর্ডেই ফাঁস পুরো সত্য

    দুই বছরের আতিকের মৃত্যু ‘দুর্ঘটনা’ ছিল না,ভাবীর কল রেকর্ডেই ফাঁস পুরো সত্য

    কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায় আতিকুল ইসলাম নামে দুই বছরের এক শিশুকে গলা টিপে হত্যার পর বালতির পানিতে চুবিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে ভাবী খাদিজা আক্তারের বিরুদ্ধে। ঘটনার প্রায় এক বছর পর কল রেকর্ডের সূত্র ধরে হত্যার রহস্য উন্মোচিত হয়। মঙ্গলবার (২৭ মে) আদালতের নির্দেশে পিবিআই শিশুটির মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

    নিহত আতিকুল ইসলাম উপজেলার মাইজখার ইউনিয়নের আলিকামোড়া গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে আতিক ছিল সবার ছোট।

    স্থানীয়রা ও মামলার নথি থেকে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১৮ মে ঘটনার দিন আতিক ঘরে পানি ফেলায় ক্ষিপ্ত হয়ে ভাবী খাদিজা আক্তার তাকে গলা টিপে হত্যা করেন। পরে মরদেহ বাথরুমের বালতির পানিতে চুবিয়ে রেখে তিনি অপমৃত্যুর নাটক সাজান। পরিবারের সবাই শিশুটির মৃত্যু পানিতে ডুবে হয়েছে বলে ধরে নিয়ে দাফন সম্পন্ন করে।

    তবে শিশুটির মা হাছিনা আক্তার প্রথম থেকেই সন্তানের মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। বালতির পানিতে পড়ে মৃত্যুর কথা তিনি কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না। চার মাস পর প্রবাসে থাকা বড় ছেলে হানিফের সঙ্গে ভাবী খাদিজার ফোনালাপের একটি রেকর্ডে হত্যার বিষয়টি প্রকাশ পায়। কল রেকর্ডে খাদিজা নিজের মুখেই হত্যার কথা স্বীকার করেন। এরপর হাছিনা আক্তার আদালতে মামলা দায়ের করেন।

    মঙ্গলবার আদালতের নির্দেশে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কুমিল্লার পরিদর্শক মো. দিদারুল ফেরদৌসের নেতৃত্বে মরদেহ উত্তোলন করা হয়। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চান্দিনা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়সাল আল নুর।

    পিবিআই পরিদর্শক দিদারুল ফেরদৌস বলেন, “মামলার গুরুত্ব বিবেচনায় এবং সঠিক তদন্তের স্বার্থে আদালতের নির্দেশে মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।”

    শিশুটির মা হাছিনা আক্তার বলেন, “আমার ছোট ছেলে আতিক খুব দুষ্টু ছিল। সেদিন আমি পাশের বাড়িতে গেলে সে ঘরে পানি ফেলে। এই ঘটনায় আমার পুত্রবধূ তাকে গলা টিপে হত্যা করে। বাড়ি ফিরে ছেলেকে খুঁজতে গিয়ে দেখি সে বালতির পানিতে মাথা নিচু করে পড়ে আছে। আমি তখনই বলেছিলাম, ‘আমার ছেলেকে মেরে ফেলা হয়েছে।’ কিন্তু কেউ বিশ্বাস করেনি।”

    তিনি আরও বলেন, “১৫ দিন পর খাদিজা তার বাবার বাড়ি চলে যায়। পরে সেখানে থেকে আমার বড় ছেলে হানিফের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় হত্যার কথা স্বীকার করে।”

    স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মৃত্যুর সময় শিশুটির গলায় দাগ ছিল। তবে সবাই সেটিকে বালতির কিনারায় লেগে যাওয়া আঘাত বলে মনে করে গুরুত্ব দেয়নি। কল রেকর্ড প্রকাশ হওয়ার পর সবার ভুল ভেঙে যায়। এলাকাবাসীর দাবি, এ ঘটনার সুষ্ঠু ও দ্রুত বিচার হওয়া উচিত।

    অভিযুক্ত খাদিজা আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। পিবিআই জানিয়েছে, তদন্তের স্বার্থে কল রেকর্ডের ফরেনসিক বিশ্লেষণও করা হবে।

    সূত্র: জনকণ্ঠ

  • ভয়ে জানালা দিয়ে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা ফেলে দিলেন সরকারি কর্মকর্তা

    ভয়ে জানালা দিয়ে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা ফেলে দিলেন সরকারি কর্মকর্তা

    ভারতের ওড়িশার ভুবনেশ্বরে দুর্নীতি দমন দপ্তরের অভিযানে রাজ্য সরকারের পল্লী উন্নয়ন দপ্তরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার বৈকুন্ঠ নাথ শরণগীর বিরুদ্ধে বড় ধরনের দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে। একসাথে সাতটি স্থানে অভিযান চালিয়ে এখন পর্যন্ত প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ টাকা নগদ উদ্ধার করেছে তদন্তকারীরা।

    ভুবনেশ্বর, আনুগুল ও পিপিলির বিভিন্ন ফ্ল্যাট ও বাড়িতে এই তল্লাশি চালানো হয়। তার মধ্যে শুধু আনুগুলের বাড়ি থেকেই পাওয়া গেছে ১ কোটি ১০ লাখ টাকা, আর ভুবনেশ্বরের একটি ফ্ল্যাট থেকে পাওয়া গেছে আরও ১ কোটি টাকা।

    আরও পড়ুনঃ হঠাৎ কেন সরে দাঁড়ালেন ইলন মাস্ক? ট্রাম্প প্রশাসনের ভেতরের গল্প ফাঁস!
    অভিযানের সময় সবচেয়ে চমকপ্রদ ঘটনা ঘটে ভুবনেশ্বরের ফ্ল্যাটে। দুর্নীতি দমন কর্মকর্তারা দরজায় পৌঁছানোর আগেই বৈকুন্ঠ নাথ শরণগী জানালা দিয়ে বান্ডিল বান্ডিল টাকা বাইরে ছুঁড়ে ফেলেন। পরে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের উপস্থিতিতে এসব টাকা জব্দ করা হয়।

    তার বিরুদ্ধে আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এই তল্লাশি অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ২৬ জন কর্মকর্তা, যাদের মধ্যে ছিলেন আটজন ডিএসপি, ১২ জন ইন্সপেক্টর ও ৬ জন এএসআই।

    দলটি এখনো জব্দকৃত টাকার হিসাব গুনে চলেছে। নগদ অর্থ ছাড়াও কিছু জমি-সম্পত্তি, ফ্ল্যাট, স্বর্ণালঙ্কার ও মূল্যবান নথিপত্র জব্দ করা হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ ‘কাশ্মীর আমাদের আত্মার অংশ’—ভারতের প্রতি ফের কড়া বার্তা পাকিস্তান সেনাপ্রধানের
    এ ঘটনায় ওড়িশায় সরকারি স্তরে দুর্নীতির বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় এসেছে। তদন্ত অব্যাহত রয়েছে এবং প্রয়োজনে আরও অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

  • নতুন করে যে বার্তা দিলেন সেনাপ্রধান

    নতুন করে যে বার্তা দিলেন সেনাপ্রধান

    জুলাই আন্দোলনের পর থেকে দেশের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা রক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা রেখে চলেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে নানা পদক্ষেপে প্রশংসা কুড়িয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকারুজ্জামান। এবার আন্তর্জাতিক পরিসরে শান্তিরক্ষায় নতুন বার্তা দিলেন তিনি।

    বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আহত শান্তিরক্ষীদের সংবর্ধনা ও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রম বিষয়ক বিশেষ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সেনাপ্রধান। সেখানে তিনি বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের সক্ষমতা ও আন্তরিকতা তুলে ধরেন।

    অনুষ্ঠানে শুরুতেই তিনি জাতিসংঘ মিশনে নিহত ১৬৮ জন বাংলাদেশি সেনা ও পুলিশ সদস্যের আত্মত্যাগ গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, এই আত্মত্যাগ জাতি চিরকাল সম্মানের সঙ্গে স্মরণ রাখবে।

    সেনাপ্রধান জানান, বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা সব সময় উন্নত প্রশিক্ষণ, নৈতিক মূল্যবোধ ও দক্ষতা নিয়ে মিশনে অংশ নেয়। তারা সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সর্বদা প্রস্তুত।

    তিনি বলেন, বিশ্ব শান্তি রক্ষায় বাংলাদেশ এখন একটি বিশ্বস্ত ও গ্রহণযোগ্য নাম। ১৯৮৮ সাল থেকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ। বর্তমানে সেনাবাহিনীর ৪৮৮০ জন, নৌবাহিনীর ৩৪৩ জন, বিমান বাহিনীর ৩৯৬ জন এবং পুলিশের ১৯৯ জনসহ মোট ৫৮১৮ জন শান্তিরক্ষী বিশ্বের নয়টি দেশে দায়িত্ব পালন করছেন।

    সেনাপ্রধান আরও জানান, সম্প্রতি কঙ্গোতে বাংলাদেশি একটি হেলিকপ্টার কন্টিজেন্ট মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া ক্যারিবিয়ানে একটি বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয়কারী যান ও সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক অনুদান হিসেবে হস্তান্তর করা হয়েছে, যা এখন স্থানীয় জনগণকে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে।

    আহত শান্তিরক্ষীদের সম্মানার্থে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সরকারের উপদেষ্টা, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, গণমাধ্যমকর্মী এবং সামরিক ও বেসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। একই দিন সকালে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উপলক্ষে ‘পিসকিপার্স রান’ কর্মসূচির আয়োজনও করা হয়।

  • সেনাবাহিনীর হাতে এনসিপি নেতা আটক

    সেনাবাহিনীর হাতে এনসিপি নেতা আটক

    দিনাজপুরের পার্বতীপুরে ট্রাকের গতিরোধ করে চাঁদিবাজির অভিযোগে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)র নেতা তারিকুল ইসলাম (৪০)কে আটক করেছে সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাতে মিঠাপুকুর-ফুলবাড়ী রোডে চাঁদাবাজির সময় তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে পার্বতীপুর মডেল থানা হস্তান্তর করা হয়।

    আটককৃত তারিকুল ইসলাম উপজেলার পশ্চিম রাজাবাসর গ্রামের মৃত মাহমুদুল সরকারের ছেলে। তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পার্বতীপুরের সংঘঠক।

    পাবতীপুর মডেল থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    থানা সূত্রে জানা যায়, কিছুদিন আগে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির পরিত্যক্ত মালামাল (স্ক্র্যাব) টেন্ডারের মাধ্যমে পায় সেনা কল্যাণ সংস্থ্যা। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সন্ধ্যার পর টেন্ডারকৃত মালামালসহ দুটি ট্রাকে করে কয়লাখনি থেকে বের হলে রাত পৌনে ৮ টার দিকে ট্রাকটি কয়লাখনি-মধ্যপাড়া সড়কের রসুলপুর নামক এলাকায় গতিরোধ করে তারিকুলসহ কয়েকজন। এ সময় তারা চাঁদা দাবি করে।

    খবর পেয়ে পার্বতীপুরে দায়িত্বরত সেনা ক্যাম্পের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তারিকুলকে আটক করে। এ সময় পালিয়ে যায় অন্যরা। পরে সেনাবাহিনী ও র‍্যাব-১৩ এর একটি দল তাকে মডেল থানায় সোপর্দ করে।

    এ ঘটনায় রাতেই সেনা কল্যাণ সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে পার্বতীপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

    সূত্র: চ্যানেল২৪

  • ভারত থেকে সুব্রত বাইনকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়! উদ্দেশ্য কী ছিল?

    ভারত থেকে সুব্রত বাইনকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়! উদ্দেশ্য কী ছিল?

    প্রায় দেড় বছর আগে শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনকে বাংলাদেশ পাঠানো হয়। রাজনৈতিক গুপ্তহত্যার উদ্যেশ্যে তাকে তৈরি করা হচ্ছিল। গ্রেপ্তার সুব্রন বাইন সম্পর্কে এমন তথ্য দিয়েছেন অনুসন্ধান সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের।

    গতকাল বৃহস্পতিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এসব তথ্য জানান তিনি।

    ওই পোস্টের সঙ্গে একটি ভিডিও দিয়েছেন তিনি। যাতে দেখা যায়, গ্রেপ্তারের পর তিনি বাংলাদেশে আসার কারণ জানাচ্ছেন। জুলকারনাইন ওই পোস্টে বলেন, প্রায় দেড় বছর আগে বিশেষ ব্যবস্থায় ভারত থেকে সুব্রত বাইনকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়। উদ্দেশ্য ছিলো টার্গেটেড রাজনৈতিক গুপ্তহত্যার উদ্দেশ্যে ভিন্ন পরিচয়ে যুক্তরাজ্যে পাঠানোর, তৈরিও করা হচ্ছিলো সেভাবে।

    তিনি আরো বলেন, কিন্তু ৫ আগস্ট ২০২৪ পরবর্তী সময়ে তার আশ্রয়দাতারা ক্ষমতাচ্যুত হয়ে যাওয়ার কারণে পেশাদার এই অপরাধী সাধারণ জনগণের সাথে মিশে যায়।

    পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কোন-কোন ব্যক্তিকে গুপ্তহত‍্যার পরিকল্পনা করছিলো সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদ এবং কারা তাদের সহায়তা করছিলেন এ বিষয়ে শিগগিরই প্রকাশ করবেন বলে জানিয়েছেন জুলাকারনাইন।

    এদিকে রাজধানীর হাতিরঝিল থানার অস্ত্র মামলায় সুব্রত বাইনকে ৮ দিন ও অপর তিনজনকে ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। পুলিশের আবেদনে বুধবার এ অনুমতি দেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইনের আদালত।

    ২০০১ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সুব্রত বাইন ও তাঁর সহযোগী মোল্লা মাসুদসহ ২৩ জনকে শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে তালিকাভুক্তির পর তাঁদের ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করে। এরপর থেকেই সুব্রত বাইন পলাতক ছিলেন। খবর পাওয়া যায়, তিনি ভারতে গ্রেপ্তার হয়ে জেলও খাটেন। তবে তিনি ভারত থেকে ঠিক কবে দেশে ফিরেছেন, সে তথ্য পাওয়া যায়নি। গতকাল বুধবার আদালতে সুব্রত বাইন দাবি করেছেন, তিনি আড়াই বছর ধরে আয়নাঘরে ছিলেন।

    তিনি বলেন, ‘আমাকে আড়াই বছর ধরে আয়নাঘরে রাখা হয়। আমাকে ৫ তারিখ (আগস্ট) রাত ৩টার দিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আমাকে মাথায় রড দিয়ে পিটিয়ে শেষ করে দিয়েছে।’

    সূত্র: কালের কণ্ঠ