Blog

  • জন্মদাত্রী মায়ের ঠাঁই মুরগির খোপে! সন্তানদের অবহেলায় মানবেতর জীবন পটুয়াখালীর নুরজাহানের

    জন্মদাত্রী মায়ের ঠাঁই মুরগির খোপে! সন্তানদের অবহেলায় মানবেতর জীবন পটুয়াখালীর নুরজাহানের

    পটুয়াখালী সদর উপজেলার লাউকাঠী ইউনিয়নের দক্ষিণ লাউকাঠী গ্রামে ঘটেছে হৃদয়বিদারক এক ঘটনা। যে মা এক সময় বাড়ি বাড়ি ভিক্ষা করে সন্তানদের মানুষ করেছেন, সেই মা নুরজাহান বেগম এখন আশ্রয় নিয়েছেন একটি পুরনো মুরগির খোপে। বছরের পর বছর ধরে স্যাতস্যাতে ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করছেন এই জনমদুঃখিনী মা।

    মুরগি রাখার ওই খোপটিতে নেই কোনো কাঁথা, বালিশ বা বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা। সেখানে কোনোরকমে বসে থাকেন নুরজাহান বেগম। মাঝে মাঝে খাবারের আশায় চিৎকার করলেও, কেউ তাঁর ডাকে সাড়া দেন না।

    স্থানীয়রা জানান, বৃদ্ধা মাকে প্রতিদিন সকালে মুরগির খোপে রেখে সন্তান ও পুত্রবধূরা কাজে চলে যান। ঘরটি তালাবদ্ধ করে তারা দিনভর অনুপস্থিত থাকেন। সারাদিন নিরুপায় নুরজাহান বেগম খাবারের আশায় বাড়ি থেকে বাড়ি ছুটে বেড়ান নড়বড়ে শরীর নিয়ে।

    সম্প্রতি পড়ে গিয়ে মাথা ফেটে যায় এবং হাত ভেঙে যায় তাঁর। সারা দিন ধরে যন্ত্রণায় ছটফট করছেন তিনি। একটু পানি চাওয়ার জন্য তীব্র আর্তনাদ করলেও, শোনার মতো কেউ নেই পাশে।

    বর্তমানে বন্যা পরিস্থিতির কারণে তাঁর থাকার জায়গার চারপাশে জমে আছে জোয়ারের পানি। এতে তাঁর মধ্যে কাজ করছে অজানা আতঙ্ক।

    দশ মাস দশ দিনের যন্ত্রণা, সন্তানদের না খেয়ে খাইয়ে বড় করা, তাদের শখ-আহ্লাদ পূরণ করে বড় করে তোলার পরও শেষ বয়সে এমন নির্মম পরিণতি! মানবিকতার এই চরম অবক্ষয়ের ঘটনায় নুরজাহান বেগমের দুই সন্তানের কাছে জানতে চাইলেও তারা কারো নাগালে পাওয়া যায়নি।

  • দুই মণ গাঁজাসহ ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার

    দুই মণ গাঁজাসহ ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার

    কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ এক ছাত্রদল নেতা আটক হয়েছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম রাসেল মাহমুদ। তিনি উপজেলার শশীদল ইউনিয়ন ছাত্রদলের আহ্বায়ক। তাকে আটক করেছেন র‌্যাব-১০-এর সদস্যরা। বৃহস্পতিবার রাজধানীর শ্যামপুর থানার দোলাইরপাড় মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।

    জানা গেছে, আটক রাসেল শশীদল ইউনিয়ন বাগড়া গ্রামের রুপ মিয়ার ছেলে। তার সঙ্গে আরো তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন— ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা শশীদল ইউনিয়ন মানরা গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মো. ইউসুফ, ব্রাহ্মণপাড়া সদর ছাতিয়ানি গ্রামের বারেক মিয়ার ছেলে সুজন, একই উপজেলার মাধবপুর গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে সাইফুল ইসলাম সাব্বির। এ সময় তাদের সঙ্গে একটি পিকআপ ভ্যানও জব্দ করা হয়।

    র‌্যাব জানায়, ঢাকার শ্যামপুর থানার দোলাইরপাড় মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাসেলকে আটক করা হয়। এ সময় ৮২ কেজি গাঁজাসহ তার সহযোগী তিনজন এবং একটি পিকআপ ভ্যানও জব্দ করা হয়। তিনি একজন চিহ্নিত মাদক কারবারি। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

    কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ফয়সাল আহমেদ ভূঁইয়া আমার দেশকে বলেন, ‘মাদকসহ গ্রেপ্তারের বিষয়টি সঠিক। আমরা আজ রাতেই তাকে বহিষ্কার করব।’

  • ‘বিএনপি ফু দিলে এনসিপিসহ বাকি সব দল বাতাসে উড়ে যাবে’

    ‘বিএনপি ফু দিলে এনসিপিসহ বাকি সব দল বাতাসে উড়ে যাবে’

    বিএনপির নেতা আ. খালেক বলেছেন, আজ এনসিপির ছোট ছোট বাচ্চারা শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছে। তারা বিএনপিকে ভয় দেখায়। আরে বাংলাদেশে গতকাল যে জনসভা হলো, মাত্র ৩ টা সংগঠনের সভা, ৫০ লক্ষ লোক হলো; তারা ফু দিলে তোমাদের এনসিপি আর বাংলাদেশের বাকি সব দল কোথায় উড়ে যাবে বাতাসে খুঁজে পাওয়া যাবে না।

    শুক্রবার বিএনপি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

    তিনি আরো বলেন, এনসিপি হলো বাংলাদেশ চিলড্রেন পার্টি। ছোটবেলায় আমরা পড়েছি, ‘মৌমাছি মৌমাছি/কোথা যাও নাচি নাচি/দাঁড়াও না একবার ভাই/ঐ ফুল ফোটে বনে/যাই মধু আহরণে/ দাঁড়াবার সময় তো নাই।’ এনসিপি এখন বলে, ‘এনসিপি এনসিপি/কোথা যাও চুপি চুপি/ দাঁড়াও না একবার ভাই/টাকা পাই যেই খানে/ যাই মোরা সেই খানে/ দাঁড়াবার সময় তো নাই।

    এনসিপির নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আগে বিএনপির একটা ওয়ার্ডের নেতা হওয়ার যোগ্যতা অর্জন কর, তারপরে স্বপ্ন দেখ।

    আমরা চাই তোমরা আমাদের সঙ্গে থাকো। ছোটো ছেলে, বাচ্চা ছেলে, অনেক কিছু আবেগ দিয়ে বলে ফেল।
    তিনি বলেন, আমাদের ৬০ লক্ষ নেতাকর্মী জেল খেটেছেন। তারা বন্দুকের গুলির সামনে আন্দোলন করেছেন।

    বিএনপিকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করবেন না। এই ৬০ লক্ষ বাঘ যদি একবার ডাক দিয়ে ওঠে তাহলে ইউনূস আপনি কিন্তু ফানুস হয়ে উড়ে যাবেন।
    প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে বিএনপির এ নেতা বলেন, আপনি নোবেল পেয়েছেন, আপনাকে সম্মান দিতে চাই। সম্মান রক্ষা করে ডিসেম্বরেই ভালোই ভালো নির্বাচন দিয়ে দেন। আর ভোট করার করার ইচ্ছা থাকলে আসেন নির্বাচন করে প্রেসিডেন্ট হোন, মেনে নেব, সমস্যা নাই।

    আর পায়তারা করে ভোট বানচালের চেষ্টা করলে বাংলাদেশের মানুষ কিন্তু ক্ষমা করবে না।
    এ সময় সরকার, এনসিপি ও জামায়াতের ব্যাপারে নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকতে বলেন বিএনপির এ নেতা।

  • আর কখনও নির্বাচন হবে না

    আর কখনও নির্বাচন হবে না

    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, যদি ডিসেম্বর মাসে নির্বাচন না হয়, তবে এই দেশে আর কখনও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। তিনি অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান সরকার নির্বাচনকে ঘিরে নানা ধরনের টালবাহানা করছে এবং পরিকল্পিতভাবে নির্বাচনকে বিলম্বিত করার চেষ্টা চলছে।

    মির্জা আব্বাস বলেন, “ডিসেম্বরেই নির্বাচন না হলে বাংলাদেশ মূলত বিদেশি প্রভাব ও স্বার্থে পরিচালিত হবে। আমরা সেটা চাই না। দেশের ভবিষ্যৎ রক্ষার স্বার্থেই ডিসেম্বরে নির্বাচন অত্যাবশ্যক।”

    তিনি বলেন, “ড. ইউনূস সাহেবকে আমরা অনেক আগ্রহ নিয়ে পাশে থাকার শর্ত দিয়েছিলাম, এখনো দিচ্ছি। কিন্তু তিনি বিএনপিকে তার মুখোমুখি করে ফেলেছেন। তিনি জাপানে বসে বিএনপি-বিরোধী অবস্থান প্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন, একমাত্র বিএনপিই নির্বাচন চায়। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, ডিসেম্বর নির্বাচনের কথা তিনিই প্রথম বলেছিলেন।”

    আব্বাস বলেন, “আমরা যখন বের হই, সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ড. ইউনূস সাহেবের প্রেস সেক্রেটারি বলেন জুন মাসে নির্বাচন হবে। তাহলে এটা কীভাবে এক কথা হয়? এসব বিভ্রান্তিকর কথা বলে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করবেন না।”

    তিনি আরও বলেন, দেশের বর্তমান অবস্থা অত্যন্ত করুণ। “মানুষের খাওয়ার ব্যবস্থা নেই, পরনের কাপড় নেই, সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে পারছে না। অথচ এই দুঃসহ অবস্থার কোনো সঠিক চিত্র তুলে ধরা হচ্ছে না,” বলেন তিনি।

    টার্মিনাল প্রসঙ্গে মির্জা আব্বাস বলেন, “৩শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই টার্মিনাল আন্তর্জাতিক মানের সুবিধা নিয়ে তৈরি হয়েছে। এটা আমরা বিদেশিদের হাতে তুলে দেব কেন? বিদেশিরা এখানে এসে শুধু লাভই করবে, কিন্তু সেই অর্থ দেশে থাকবে না। তাই দেশের প্রতি ভালোবাসা দেখান, বিদেশিদের প্রতি অন্ধ প্রেম নয়।”

    বক্তব্যে তিনি বলেন, “আমরা যেমন ছিলাম তেমনই থাকতে চাই— ভালো হতে চাই, খারাপ না। কারো মুখাপেক্ষী হয়ে নয়, আমরা নিজেরা আমাদের দেশ গড়ে তুলতে চাই।”

  • রাতের মধ্যে ঢাকাসহ ১০ জেলায় ঝড়ের শঙ্কা

    রাতের মধ্যে ঢাকাসহ ১০ জেলায় ঝড়ের শঙ্কা

    আজ রাতের মধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের ১০ জেলায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। দুপুরে আবহাওয়া অধিতপ্তরের নদীবন্দরের জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এ শঙ্কার কথা জানানো হয়েছে।

    পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালি, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ঢাকা, ময়মনসিংহ এবং সিলেট অঞ্চল সমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো
    হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

    এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

    পূর্বাভাসে আরো বলা হয়েছে, এ ছাড়া দেশের অন্যত্র একই দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

  • নায়িকা হতে ১৫ বছর ঘর ছাড়া, বিক্রি করলেন বাবার জমিও

    নায়িকা হতে ১৫ বছর ঘর ছাড়া, বিক্রি করলেন বাবার জমিও

    সিনেমার শীর্ষ নায়িকা হবেন বলে ছোটবেলায় চট্টগ্রামের আনোয়ার এলাকার বাড়ি ছেড়েছিলেন সুলতানা রোজ নিপা। প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, নায়িকা হয়েই ঘরে ফিরবেন। গত ১৫ বছর ধরে নায়িকা হওয়ার চেষ্টা করেও বার বার ব্যর্থ হয়েছেন তিনি।

    ‘টাকা বড় না শিক্ষা বড়’, ‘বাবার প্রতিশোধ’, ‘আমাদের বাউল’, ‘টাইটানিক’সহ বেশ কটি ছবিতে অভিনয় করলেও সেইসব আলোর মুখ দেখেনি। হতাশা কাটাতে নিপা তার পৈতৃক সম্পত্তির কিছু অংশ বিক্রি করেন। এদিক সেদিক থেকে ম্যানেজ করে ৮৬ লাখ টাকা খরচ করে নিজেই প্রযোজক হয়ে ছবি নির্মাণের উদ্যোগ নেন।

    আসছে ঈদে নিপার নায়িকা হওয়ার সেই কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে। তিনি জানালেন, বহু কাঠখড় পুড়িয়ে নায়িকা হয়েছেন। তার অভিনীত সেই সিনেমার নাম ‘বড্ড ভালোবাসি’, পরিচালনা করেছেন জুয়েল ফারসি।

    তিনি জানান, নায়িকা হওয়ার জেদ করেছিলেন। সেই জেদ পূরণ করছেন। ১৫ বছর পর ঈদে বাড়ি ফিরতে যাচ্ছেন সুলতানা রোজ নিপা। সোমবার দুপুরে নিপার সঙ্গে যখন মুঠোফোনে আলাপ হচ্ছিল তার কথাগুলো শুনে কোনো সিনেমার গল্প মনে হচ্ছিল! আলাপকালে তিনি অনেক কথাই না লিখতে অনুরোধ করেন।

    চ্যানেল আই অনলাইনকে সুলতানা রোজ নিপা বলেন, নায়িকা হওয়ার জন্য কত শ্রম দিয়েছি সেগুলো ‘অন রেকর্ড’ বলা সম্ভব না। কোনো কিছুতেই লাভ হয়নি। পরে নিজেই প্রযোজনা করে ‘বড্ড ভালোবাসি’ নির্মাণ করেছি। ছবির মালিকানা পুরোটা আমার।

    এই নবাগতা জানান, আগামীতে তার প্রযোজক সমিতির নির্বাচনে অংশ নেয়ার ইচ্ছে আছে। সে কারণে ছবি মুক্তি দিচ্ছেন। আরও জানান, তার ‘বড্ড ভালোবাসি’র বেশীরভাগ শিল্পী কলকাতার। নিপার ইচ্ছে ছিল, আগে কলকাতায় ছবিটি মুক্তি দেবেন।

    বললেন, আমার আব্বু মা.রা যাওয়ার পর আর কলকাতায় মুক্তি দেয়া সম্ভব হয়নি। পরে করোনা চলে আসে। এবার ঈদে মুক্তি দিচ্ছি। গলুই, বিদ্রোহী এসবের আগেই আমার এই ছবি মুক্তি দেব সিদ্ধান্ত নিই। কিন্তু মুক্তি দিতে গিয়েও ‘ফিল্ম পলিটিক্সি’-এ পড়ি।

    ঈদের দিন সাতেক বাকি থাকলেও নিপা জানেন না তার প্রযোজিত ‘বড্ড ভালোবাসি’ কত সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে। বললেন, মানুষগুলোর নাম প্রকাশ করতে চাই না, তবে এরা কাকরাইলের গ্রুপ। আমাকে প্রলোভনে ফেলে পলিটিক্স করছে। তারা সিনেমারই মানুষ। শুরুতে বলছিল আমার ছবির সুন্দর পরিবেশনা করবে।

    কিন্তু গত কয়েকদিন থেকে যাতে মুক্তি না দেই সেই চেষ্টা করছে। তারা বলছে, ঈদের পর ডিসট্রিবিউট করে কোটি টাকা তুলে দেবে! আমাকে অন্য ছবিতে কাজের সুযোগ দেবে। আমি তাদের প্রলোভনে পড়তে চাই না আমি ছবি মুক্তি দেবই! ঈদে ছবি মুক্তি দেয়ার জন্য গত তিন বছর এই ছবি নিয়ে অপেক্ষা করছি। দুই-চারটি সিনেমা হল পেলেও আমি মুক্তি দেব।

    ‘বড্ড ভালোবাসি’রর প্রসঙ্গ টেনে এই নবাগতা বলেন, ৯০ দশকের ধাঁচে ছবি বানানো হয়েছে। কারণ ওই সময়ের ছবিগুলো মানুষ বেশি দেখতো। আমিও তখনকার ছবি দেখে নায়িকা হতে আগ্রহী হই। ৯০ দশকে যেসব দর্শক ছবি দেখতে পছন্দ করতেন আমার বিশ্বাস তারা হলে গিয়ে আমার এই ছবিটা দেখবে।

    আমি এখানে ডাবল ক্যারেক্টার করেছি। রিস্ক নিয়ে কাজ করেছি। শারীরিক মানসিক আর্থিক সবদিক থেকে ‘বড্ড ভালোবাসি’ বানাতে গিয়ে কষ্ট করেছি। তাই আমার কাছে এই ছবিটা সবচেয়ে দামি। এর জন্য আমি ৮৬ লাখ টাকা খরচ করেছি। এখনও পর্যন্ত একটি টাকা তুলতে পারিনি বা কোনো স্পন্সর পাইনি। সুলতানা রোজ নিপা বলেন, কয়েকটি হলে কথা বলা ছিল তাও মৌখিক। হয়তো কাল-পরশুর মধ্যে জানতে পারব হল ক’টি পাচ্ছি।

    নিপার কাছে প্রশ্ন ছিল ছবির জন্য লগ্নী করা এই ৮৬ লাখ টাকা কোথায় পেলেন? উত্তরে নিপার স্বরল স্বীকারোক্তি, ‘আমার বিউটি পার্লারের ব্যবসা আছে, গার্মেন্টস এর টুকটাক ব্যবসা করি। পারিবারিক কিছু জমি ছিল সেখান থেকে বিক্রি করে ছবি বানিয়েছি। এই ছবিটি বানাতে গিয়ে আমাকে অনেকেই ঠকিয়েছে।

    বাধ্য হয়ে তাদের নামও বলতে পারছি না। যারা আমাকে ঠকিয়েছে তাদের বিচার উপরওয়ালার কাছে ছেড়ে দিয়েছি। আর নিজের টাকা দিয়ে ছবি বানাবো না। এতদিন রীতিমত যুদ্ধ করেও মনের শান্তি মত কাজ করতে পারিনি। তবে যদি আমাকে কেউ ভালো কাজে নেয় তাহলে করবো।’

  • কৌশলে নাম পাল্টিয়ে মাসুদ রানা থেকে আজ শাকিব খান!

    কৌশলে নাম পাল্টিয়ে মাসুদ রানা থেকে আজ শাকিব খান!

    ১৯৯৮ সালে নৃত্য পরিচালক আজিজ রেজার আমন্ত্রণে সায়েদাবাদে তার ড্যান্স একাডেমিতে যাবার পর সুদর্শন যে তরুণটি হাত বাড়িয়ে বলেছিলেন ‘আমি মাসুদ রানা’, তিনিই আজকের শাকিব খান!

    ঢাকাই সিনেমার সিংহাসনে প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় ধরে সাফল্যের সঙ্গে বসে আছেন শাকিব। বছরের ব্যবসা সফল ছবির মধ্যে সবসময় এগিয়ে থাকে তার ছবি। তাকে ভালোবেসে কেউ কেউ ঢালিউড কিং বলে ডাকেন।

    ১৯৭৯ সালের ২৮ মার্চে তিনি নারায়ণগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তবে তার পৈতৃক বাড়ি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার রাঘদী গ্রামে।

    শাকিব খানের প্রকৃত নাম মাসুদ রানা। তার বাবা ছিলেন একজন সরকারি চাকরীজীবী। মা গৃহিণী। তারা এক ভাই ও এক বোন। শাকিব খানের ইচ্ছে ছিল ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার। মনের অজান্তেই অভিনয়ের প্রতি ঝোঁক চলে আসে তার। এরপর দর্শকের ভালোবাসা, বিনোদনের প্রতি নিজের ভালোলাগা, সবকিছু মিলিয়েই এখন তিনি বেশ আনন্দের সঙ্গে অভিনয় চালিয়ে যাচ্ছেন।

    আফতাব খান টুলুর পরিচালনায় শাকিবের প্রথম ছবি ‘সবাইতো সুখী হতে চায়’। ছবিটির শুটিং চলাকালীনই শাকিব খানের সুনাম ছড়িয়ে পড়ে ঢালিউডের পরিচালক-প্রযোজকদের মাঝে। এটা ১৯৯৯ সালের কথা। সিনেমা হলে শাকিব খানের মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম ছবি সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘অনন্ত ভালোবাসা’। ১৯৯৯ সালের ২৮ মে ‘অনন্ত ভালোবাসা’ মুক্তি পায়।

    এ ছবিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনয় শিল্পী মৌসুমীর ছোট বোন ইরিন। কিন্তু এ ছবিটি শাকিবকে নায়ক হিসেবে খ্যাতি এনে দিতে না পারলেও পরবর্তীতে বিভিন্ন ব্যবসাসফল সিনেমার কারণে তিনি দ্রুত সবচেয়ে সফল এবং জনপ্রিয় নায়ক হয়ে ওঠেন।

    অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে মোট চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন শাকিব খান। ২০১২ সালে ‘ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না’, ২০১৪ সালে ‘খোদার পরে মা’, ২০১৬ সালের ‘আরও ভালোবাসবো তোমায়’ ও ২০১৭ সালে ‘সত্তা’ ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।

    ঢালিউডে একচ্ছত্র অধিপতি হিসেবে শাকিবের উত্থানটা ২০০৮ সালের দিকে। তারপর থেকে ঢাকাই ছবির শীর্ষ নায়ক তিনি। তাকে ঘিরেই এখানে টাকা লগ্নি হয়; ব্যবসার বীজ বোনেন প্রযোজক-হল মালিকরা। অনেক নতুন মুখ আসে আবার হারিয়েও যাচ্ছে। কিন্তু শাকিব বহাল তবিয়তে রাজার আসনে বসে আছেন বাংলা ছবির নায়কদের রাজত্বে।

    সমসাময়িক প্রায় সব প্রবীণ-নবীন নির্মাতার সাথেই কাজ করেছেন শাকিব। নায়ক হয়েছেন মৌসুমী-শাবনূর থেকে শুরু করে আজকের নবাগতা কয়েকজন নায়িকার সঙ্গেও। তার ক্যারিয়ারে মোট নায়িকার সংখ্যা ৬৪ জন। তালিকায় আছেন রচনা ব্যানার্জি, স্বস্তিকা ব্যানার্জি, নুসরাত জাহান, শুভশ্রী গাঙ্গুলী, সায়ন্তিকা, শ্রাবন্তীর মতো কলকাতার নায়িকারাও।

    ক্যারিয়ারজুড়ে অনেক সমালোচনারও জন্ম দিয়েছেন তিনি। দেশের পরিচালক-প্রযোজক ও শিল্পীদের সম্মানহানি করা মন্তব্য করে চলচ্চিত্র পরিবারে বয়কট ছিলেন অনেকদিন। বিবাদে জড়িয়েছেন চিত্রনায়ক ফারুকসহ আরও অনেক সিনিয়র জুনিয়রদের সঙ্গেই। অনেক প্রযোজকের শিডিউল ফাঁসিয়েছেন। দুই একজন তার প্রতিবাদও করেছেন। কেউ কেউ মামলার হুমকি ধামকিও দিয়েছেন। তবে সবকিছুই শাকিব খান নিয়ন্ত্রণ করেছেন কৌশলে।

  • রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরীক্ষায় ১০০ তে ১৫১ নম্বর পেলেন শিক্ষার্থী

    রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরীক্ষায় ১০০ তে ১৫১ নম্বর পেলেন শিক্ষার্থী

    বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক পড়ছেন এক শিক্ষার্থী। মাসখানেক আগে সেখানেই পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি। পরীক্ষায় পূর্ণ নম্বর ছিল ১০০। তবে ফল প্রকাশিত হতেই দেখা গেল, ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় ওই শিক্ষার্থী পেয়েছেন ১৫১ নম্বর। আর সেই মার্কশিট হাতে নিয়ে চক্ষু চড়কগাছ খোদ শিক্ষার্থীরও।

    পরীক্ষায় পাস করবেন বলে আশা করেছিলেন ঠিকই, কিন্তু মোট নম্বরের থেকেও যে ৫১ নম্বর বেশি পাবেন, তা দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করেননি ওই শিক্ষার্থী। অবিশ্বাস্য বলে মনে হলেও এমনই ঘটনা ঘটেছে ভারতের বিহার রাজ্যে।

    রাজ্যটির দ্বারভাঙা জেলার ললিত নারায়ণ মিথিলা বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা অনুষদের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় ১৫১ নম্বর পেয়েছে! সোমবার (১ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এবং টাইমস নাউ।

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে বিহার রাজ্যের ললিত নারায়ণ মিথিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। তাতে এক শিক্ষার্থী দেখেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের চতুর্থ পত্রে ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় তার প্রাপ্ত নম্বর ১৫১।

    এই নম্বর দেখে নিজেই বিস্মিত হয়ে যায় ওই শিক্ষার্থী। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হলে তারা জানান, ছাপার ভুলের কারণে নম্বরে গরমিল হয়েছে। শিগগিরই সংশোধন করে নতুন রেজাল্ট দেওয়া হবে।

    নম্বরে কার্যত ‘রেকর্ড করা’ ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘রেজাল্ট হাতে নিয়ে আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। এটা প্রভিশনাল মার্কশিট হলেও, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল রেজাল্ট প্রকাশ করার আগে তা একবার দেখে নেওয়া। তাহলে এমন পরিস্থিতির মুখে কাউকে পড়তে হতো না।’

    তবে ওই ছাত্র একা নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুলের মাশুল দিতে হচ্ছে আরও অনেক শিক্ষার্থীকেই। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, তিনি বাণিজ্য বিভাগের ছাত্র। অ্যাকাউন্টিং ও ফাইন্যান্সের চতুর্থ পত্রে তাকে ১০০ নম্বরের মধ্যে শূন্য দেওয়া হয়েছে, অথচ পরবর্তী শ্রেণিতে তাকে উত্তীর্ণ করে দেওয়া হয়েছে।

    ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হলে, তারা জানান যে ছাপানোর ভুল হয়েছে। নতুন মার্কশিট ছাপিয়ে আমাকে দেওয়া হয়েছে। সেখানে আমি অ্যাকাউন্টিং পেপারে পাস মার্কই পেয়েছি।’

    এই বিষয়ে ললিত নারায়ণ মিথিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুস্তাক আহমেদ বলেন, ‘দু’টি ঘটনাতেই মার্কশিট ছাপানোর ভুল হয়েছে। ছাত্ররা বিষয়টি নজরে আনতেই তা সংশোধন করে নতুন মার্কশিট দেওয়া হয়েছে। এটা কেবলমাত্র ছাপানোর ভুল, আর কিছুই নয়।’

  • সকল প্রকার রেকর্ড খতিয়ান বাতিল? নতুন নিয়মে মালিকানা নির্ণয় হবে যেভাবে…..

    সকল প্রকার রেকর্ড খতিয়ান বাতিল? নতুন নিয়মে মালিকানা নির্ণয় হবে যেভাবে…..

    বাংলাদেশে ভূমি মালিকানা নিয়ে একটি আলোচিত ও বিতর্কিত বিষয় হলো—“সকল প্রকার রেকর্ড খতিয়ান বাতিল”—এই প্রশ্নটি। অনেকেই উদ্বিগ্ন হয়ে জানতে চাচ্ছেন, খতিয়ান বাতিল হলে কিভাবে জমির মালিকানা নির্ধারণ হবে? কিভাবে নামজারি বা খাজনা প্রদান করা হবে? এসব প্রশ্নের উত্তর নিয়েই আজকের প্রতিবেদন।

    খতিয়ান বাতিলের বাস্তবতা ও মিথ

    প্রথমেই পরিষ্কার করে বলা জরুরি, সরকার এখন পর্যন্ত কোনো আইনে “সকল প্রকার খতিয়ান বাতিল” ঘোষণা করেনি। বরং, প্রতিটি খতিয়ানের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেই মালিকানা যাচাই হয়। সিএস (ক্যাডাস্ট্রাল সার্ভে), এসএ (স্টেট অ্যাকুইজিশন), আরএস (রিভিশনাল সার্ভে), বিএস (বাংলাদেশ সার্ভে) এবং সর্বশেষ বিডিএস (বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে)—এই প্রতিটি খতিয়ানই মালিকানা প্রমাণে গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে বিবেচিত।

    খতিয়ানের ইতিহাস: কোথা থেকে শুরু?

    সিএস খতিয়ান শুরু হয় ব্রিটিশ আমলে, ১৮৮৮ সাল থেকে ১৯৪০ সাল পর্যন্ত সময়ে। এরপর পাকিস্তান আমলে এসএ খতিয়ান (১৯৫৬-১৯৬২), স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশে আরএস ও বিএস খতিয়ান প্রবর্তিত হয়। ২০২৫ সাল পর্যন্ত, সিএস খতিয়ান প্রায় ১৩৭ বছরের পুরনো। এই খতিয়ানের ভিত্তিতে মালিকানা শুরু হলেও, পরবর্তী খতিয়ানগুলোর সঙ্গে মালিকানা হস্তান্তরের ইতিহাস থাকা অপরিহার্য।

    কখন খতিয়ান কার্যত “বাতিল” হয়ে যায়?

    যদি পূর্বপুরুষের নামে থাকা সিএস বা এসএ খতিয়ানের সম্পত্তি পরবর্তীতে দলিলের মাধ্যমে বিক্রি করে দেওয়া হয়ে থাকে, এবং সেই বিক্রয়ের ভিত্তিতে নতুন মালিক দখল ও নামজারি করে থাকে, তাহলে সেই পুরনো খতিয়ান ওই উত্তরাধিকারীদের জন্য কার্যকারিতা হারায়। তবে একে আইনত “বাতিল” বলা চলে না; বরং, প্রাসঙ্গিকতা হারানো বলাই সঠিক।

    অর্থাৎ, যিনি সম্পত্তি বিক্রি করে দিয়েছেন, তার খতিয়ান ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য প্রমাণ হিসেবে কাজ করবে না। কিন্তু যিনি ক্রয় করেছেন, তার জন্য সেই খতিয়ান ‘পাওয়ারফুল’ দলিল।

    বিডিএস জরিপ ও স্মার্ট খতিয়ান

    বর্তমানে ডিজিটাল জরিপ (বিডিএস) কার্যক্রমের আওতায় নতুন ধরনের মালিকানা ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। এক জমিতে এক মালিকের নাম থাকবে এবং স্মার্ট কার্ডে ডিজিটালভাবে মালিকানার তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। এই স্মার্ট কার্ডে জমি ক্রয় করলে ‘যোগ’ হবে এবং বিক্রয় করলে ‘বিয়োগ’ হবে। এতে প্রতারণার সুযোগ কমবে এবং স্বচ্ছতা বাড়বে।

    তবে বিডিএস জরিপ বলছে, আগামী ১০০ বছরের মধ্যে নতুন করে আর খতিয়ান হবে না। তবে এটি পুরনো সিএস, এসএ, আরএস, বিএস খতিয়ানকে অকার্যকর করে না—বরং তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বজায় রেখেই স্মার্ট খতিয়ান কার্যকর হবে।

    কিছু ব্যতিক্রম

    পার্বত্য এলাকা ও সিলেট অঞ্চলে সিএস খতিয়ান করা হয়নি। সেখানে এসএ খতিয়ান থেকেই মালিকানা নির্ধারণ হয়।

    উপসংহার

    সরকার আইন করে বা প্রশাসনিকভাবে “সকল খতিয়ান বাতিল” ঘোষণা করতে পারে না, এবং এখন পর্যন্ত তেমন কিছু হয়নি। খতিয়ানের ধারাবাহিকতা ও দলিলপত্রই মালিকানা নির্ধারণের মূল ভিত্তি। বিডিএস স্মার্ট খতিয়ান আধুনিক পদ্ধতি হলেও এটি আগের খতিয়ানকে বাদ দিয়ে এককভাবে কার্যকর হবে না।

    তাই, যারা আতঙ্কিত হচ্ছেন—“সকল খতিয়ান বাতিল?”—তাদের জন্য সুসংবাদ হলো, আপনার বৈধ খতিয়ান এবং দলিল থাকলে আপনি নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন।

  • ছাত্রদল সভাপতির পদ হারানোর গুঞ্জন

    ছাত্রদল সভাপতির পদ হারানোর গুঞ্জন

    বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব পদ হারিয়েছেন বলে গুঞ্জন ছড়িয়েছে। শুক্রবার (৩০ মে) গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। তবে এই গুঞ্জনের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।

    এর আগে আজ সকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছাত্রদল সভাপতি পদ হারিয়েছেন বলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। যদিও এই গুঞ্জনের সত্যতার ব্যাপারে কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।

    এই গুঞ্জনের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন বলেন, তিনি (রাকিব) অসুস্থ থাকায় আজকের প্রোগ্রামে উপস্থিত হতে পারেননি। খবরটি সম্পূর্ণ ভুয়া। এমন কিছুই ঘটেনি।