Blog

  • বাড়িতে ১২০০ বস্তা চাল উদ্ধারের খবর প্রচার, কী বললেন উপদেষ্টা আসিফ

    বাড়িতে ১২০০ বস্তা চাল উদ্ধারের খবর প্রচার, কী বললেন উপদেষ্টা আসিফ

    সম্প্রতি এমন একটি পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে ভিডিওর সঙ্গে ক্যাপশনে উল্লেখ করে লেখা হয়, ‘উপদেষ্টা আসিফের বাড়িতে মিলল ১২০০ বস্তা চাল। পোস্টদাতা এ-ও দাবি করে বলেন যে এ সময় তার বাবাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি পুলিশদের ঘুষ দিয়ে বিষয়টি মিটমাট করার চেষ্টা করেন।

    মঙ্গলবার (৩ জুন) দুপুর সোয়া ২টার দিকে এ বিষয়টি নিয়ে খোলাসা করেছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।

    তিনি বিষয়টিকে গুজব হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, নিষিদ্ধ সংগঠনের বিভিন্ন সাইবার সেল থেকে এই গুজব ছড়ানো হয়েছে এবং কোনো প্রকার যাচাই ছাড়াই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা তা প্রচার করেছেন।

    আসিফ মাহমুদ পোস্টে লেখেন, ‌‘প্রথমে চাঁদপুরের একটি ঘটনাকে আমার বাড়ির ঘটনা বলে গুজব ছড়ানো হয় নিষিদ্ধ সংগঠনের বিভিন্ন সাইবার সেল থেকে। কোন প্রকার যাচাই ছাড়াই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা নিষিদ্ধ সংগঠনের ছড়ানো গুজব সার্কুলেট করলেন।’

    ‘এর প্রেক্ষিতে নগর ভবন অবরোধ কারী জনৈক নেতার কর্মীরা আমার বাবাকে চালচোর, গমচোর বলে শ্লোগান দিচ্ছে। আমাদের ফ্যাসিবাদ বিরোধী লড়াইয়ের বন্ধুরাও শুধুমাত্র প্রতিহিংসা বশত নিষিদ্ধ সংগঠনের ছড়ানো গুজব দিয়ে আমার এবং আমার পরিবারের মানহানি করছেন।’

    ‌‘অথচ জুলাই পরবর্তী বাংলাদেশে আমরা গঠনমূলক রাজনীতি প্রত্যাশা করেছিলাম। দুঃখজনক ভাবে তরুণ নেতৃত্ব ও গঠনমূলক রাজনীতির পরিবর্তে প্রতিহিংসা এবং ব্যক্তি আক্রমণের রাজনীতি বেছে নিচ্ছে। উক্ত ঘটনাটি চাঁদপুরের শাহরাস্তির।’

    এদিকে এ বিষয়ে তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বাড়িতে ১২০০ বস্তা চাল পাওয়ার দাবিটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলা এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যের ঘর থেকে চাল উদ্ধার করার ভিডিওকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

    ভিডিওটির বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত ভিডিওর কয়েকটি কি-ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার প্রেসক্লাবের অর্থ সম্পাদক ও এশিয়ান টিভির প্রতিনিধি মো. জামাল হোসেনের ফেসবুক আইডিতে গত ২ জুন প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

    রিউমর স্ক্যানার জানায়, আলোচিত ভিডিওর দাবির জব্দের সঙ্গে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ কিংবা তার বাবার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। এ ছাড়া ১২০০ বস্তা নয়, আলোচিত ভিডিওর ঘটনায় ১৬ বস্তা চাল জব্দ করা হয়েছে।

  • প্রধান উপদেষ্টার সামনে যে ইস্যুতে ‘তর্কে’ জড়ালেন সালাহউদ্দিন ও নাহিদ

    প্রধান উপদেষ্টার সামনে যে ইস্যুতে ‘তর্কে’ জড়ালেন সালাহউদ্দিন ও নাহিদ

    প্রধান উপদেষ্টার সামনে বৈঠকে তর্কে জড়ান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। নির্বাচনের রোডম্যাপ বা সময় নিয়ে তাদের মধ্যে তর্ক হয় বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।

    আজ মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে বৈঠক হয়। গতকাল সোমবার এই আলোচনা শুরু হয়।

    বৈঠকে শুরুতে প্রধান উপদেষ্টা বক্তব্য দেন। পরে তিনি ও কমিশনের সদস্যরা রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্য শোনেন।

    এ সময় বিএনপির পক্ষ থেকে কথা বলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি ৩১ ডিসেম্বরের পরে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার সুযোগ নেই বলে অন্তর্বর্তী সরকারকে জানান।

    সালাহউদ্দিন বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার বিষয়ে ৩১ ডিসেম্বরের এক দিন পরেও সময় দিতে রাজি নয়।’

    সালাহউদ্দিনের এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘কিছু দল ভারতের কথার সঙ্গে সুর মিলিয়ে ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায়। তাদের বক্তব্যের সঙ্গে ভারতের বক্তব্যের পার্থক্য নেই। তারা ভারতের সুরেই নির্বাচনের কথা বলছে।

    ’ সঙ্গে সঙ্গে এ কথার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
    তিনি বলেন, ‘ডিসেম্বরে নির্বাচন চাইলে যদি ভারতের সুরে কথা বলা হয়, তাহলে যারা নির্বাচন পেছাতে চায় তারা নিশ্চয়ই যুক্তরাষ্ট্র কিংবা চীনের সুরে কথা বলছে।’

    এ নিয়ে দুই দলের নেতাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। পরে উপস্থিত রাজনৈতিক নেতারা তাদের নিবৃত করেন।

    বৈঠক শেষে বিএনপির সিনিয়র নেতা সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা সম্ভব।

    নির্বাচন নিশ্চিত করতে যেসব সংস্কার দরকার, বিশেষ করে নির্বাচনী সংস্কার, সেগুলো চিহ্নিত করে সম্মতির ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা জরুরি।’

    অন্যদিকে এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ বলেন, ‘জুলাই সনদের বাস্তবায়নের আগে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা ঠিক হবে না। আগেভাগে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলে সংস্কার প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটতে পারে।’

  • প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি ও এনসিপি মধ্যে কি হয়েছিল?

    প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি ও এনসিপি মধ্যে কি হয়েছিল?

    রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্বের আলোচনা চলছে। সোমবার বিকেলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আলোচনা শুরু হয়।

    বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমি মিলনায়তনে এ আলোচনার শুরুতে দলগুলোকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি সারা দিনে যত মিটিং করি সবচেয়ে বেশি আনন্দ পাই যখন আপনাদের সঙ্গে এ রকম বসার সুযোগ পাই, আলাপ করার সুযোগ পাই। কারণ এখানেই সবাই মিলে বাংলাদেশের প্রকৃত ভবিষ্যৎ রচনা করা হচ্ছে।

    এটা আমাকে শিহরণ জাগায় যে এ রকম একটা কাজে আমি জড়িত হতে পেরেছি, নিজেকে যুক্ত করতে পেরেছি। আপনাদের কথা শোনার জন্য, এটা কিভাবে আপনারা গাইড করবেন, কোথায় নিয়ে যাবেন।’
    প্রধান উপদেষ্টা বক্তব্য দেওয়ার পর তিনি ও কমিশনের সদস্যরা রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্য শোনেন।

    এ সময় বিএনপির পক্ষ থেকে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার বিষয়ে ৩১ ডিসেম্বরের এক দিন পরেও সময় দিতে রাজি নয়।


    তিনি বলেন, সংবিধান সংশোধন ছাড়া প্রয়োজনীয় অন্যান্য সব ধরনের সংস্কার এক মাসেই সম্পন্ন করা সম্ভব।

    এর পরই জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নেতা নাহিদ বলেন, ‘কিছু দল ভারতের কথার সঙ্গে সুর মিলিয়ে ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায়। তাদের বক্তব্যের সঙ্গে ভারতের বক্তব্যের পার্থক্য নেই। তারা ভারতের সুরেই নির্বাচনের কথা বলছে।


    সঙ্গে সঙ্গে এ কথার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ডিসেম্বরে নির্বাচন চাইলে যদি ভারতের সুরে কথা বলা হয়, তাহলে যারা নির্বাচন পেছাতে চায় তারা নিশ্চয়ই যুক্তরাষ্ট্র কিংবা চীনের সুরে কথা বলছে।’

    বৈঠকে উপস্থিত কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তারা বলেন, এ নিয়ে বিএনপি ও এনসিপির প্রতিনিধিদের মধ্যে তীব্র বিতণ্ডা শুরু হয়।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, ‘বৈঠকে মূলত সংস্কার নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়ে দাঁড়ায় নির্বাচনের সময়কাল নিয়ে বিতর্কে।

    বিএনপি ও এনসিপির মধ্যে তর্ক হয় নির্বাচন ডিসেম্বরে হওয়া উচিত কি না তা নিয়ে।’
    তবে বৈঠক শেষে বিএনপির সিনিয়র নেতা সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা সম্ভব। নির্বাচন নিশ্চিত করতে যেসব সংস্কার দরকার, বিশেষ করে নির্বাচনী সংস্কার, সেগুলো চিহ্নিত করে সম্মতির ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা জরুরি।’

    অন্যদিকে এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ বলেন, ‘জুলাই সনদের বাস্তবায়নের আগে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা ঠিক হবে না। আগেভাগে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলে সংস্কার প্রক্রা‌য় বিঘ্ন ঘটতে পারে।’

  • রাতের মধ্যে দেশের ১০ জেলায় ঝড়ের আভাস দিল আবহাওয়া অফিস

    রাতের মধ্যে দেশের ১০ জেলায় ঝড়ের আভাস দিল আবহাওয়া অফিস

    রাতের মধ্যে দেশের ১০ অঞ্চলে বজ্রসহ ঝড় হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এসব অঞ্চলের নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে সংস্থাটি।

    মঙ্গলবার (৩ জুন) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবিরের দেওয়া রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরসমূহের পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়।

    আবহাওয়া অফিস জানায়, রাত ১টার মধ্যে ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কি.মি. বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে সংস্থাটি।

    এর আগে সকালের পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানায়, বুধবার (৪ জুন) সকাল ৯টার মধ্যে ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; রংপুর, ঢাকা, চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী এবং সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।

    এ ছাড়া, সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা বিস্তার লাভ করতে পারে।

  • হু হু করে বাড়ছে ৮ নদীর পানি, বন্যার ঝুঁকিতে যেসব জেলা

    হু হু করে বাড়ছে ৮ নদীর পানি, বন্যার ঝুঁকিতে যেসব জেলা

    দেশজুড়ে কয়েক দিনের টানা বর্ষণ এবং ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বিভিন্ন স্থানে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। বাড়িঘর ও রাস্তাঘাটে পানি উঠে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দারা। সিলেট বিভাগের চার জেলা, তিন পার্বত্য জেলা, নেত্রকোণা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও লালমনিরহাটে পানি বাড়ছে। বন্যাপ্রবণ তিন নদীর মধ্যে সিলেটের সুরমা, কুশিয়ারা ও মৌলভীবাজারের মনু নদ পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে এ অঞ্চলের নিচু এলাকা বানের পানিতে প্লাবিত হয়েছে।

    মঙ্গলবার (৩ জুন) আরও বাড়তে পারে এসব নদ-নদীর পানি। আর বুধবার (৪ জুন) তিন জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। সোমবার (২ জুন) পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে দেওয়া পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

    পূর্বাভাসে বলা হয়, সিলেট জেলার সুরমা, কুশিয়ারা নদী ও মৌলভীবাজার জেলার মনু নদের পানি সমতল বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের সুরমা, কুশিয়ারা নদী, মনু ও খোয়াই নদের পানি সমতল আগামী ৪৮ ঘণ্টা বাড়তে পারে এবং বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। এর পাশাপাশি সারি, গোয়াইন, যাদুকাটা, ধলাই ও সোমেশ্বরীর পানি সমতল বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এসময়ে সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে এবং সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার নদ-নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৫০ কি.মি. গতিবেগে ধেয়ে আসছে নিম্নচাপ, যা জানা গেল
    এতে বলা হয়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগের মুহুরী, ফেনী, হালদা, সাঙ্গু, মাতামুহুরী ইত্যাদি নদীগুলোর পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে, দ্বিতীয়য় দিন স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং পরবর্তী এক দিন হ্রাস পেতে পারে। এই সময়ে মুহুরী, ফেনী, হালদা সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে।

  • কেএনএফের ৪৭ হাজার ইউনিফর্ম জব্দ: সাবেক এমপির ভাইসহ গ্রেপ্তার ৪

    কেএনএফের ৪৭ হাজার ইউনিফর্ম জব্দ: সাবেক এমপির ভাইসহ গ্রেপ্তার ৪

    সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) জন্য পোশাক তৈরির কাপড় সরবরাহের অভিযোগে চট্টগ্রামের চান্দগাঁওয়ের কালুরঘাট বিসিক শিল্প এলাকায় ওয়েল কম্পোজিট নিট লিমিটেড নামক একটি ফেব্রিক্স কারখানায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সোমবার রাতের এই অভিযানে কারখানার মালিক আবদুচ ছালামের ছোট ভাই তারেকুল ইসলামসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে।

    আটককৃত বাকি তিনজন হলেন—প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার তৌহিদুল ইসলাম, সহকারী ম্যানেজার (মাস্টিং) জামালুল ইসলাম এবং সিনিয়র প্রোডাকশন ম্যানেজার আতিকুর রহমান। পুলিশের দাবি, তারা কেএনএফের পোশাক তৈরির জন্য কাপড় সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

    আবদুচ ছালাম চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এবং ওয়েল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। এর আগে তিনি একাধিকবার চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০২৪ সালে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চট্টগ্রাম-৮ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

    পুলিশ জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে কেএনএফের প্রায় অর্ধলক্ষ পোশাক জব্দ করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ওয়েল ফেব্রিকস কারখানায় অভিযান চালানো হয়। ঘটনাস্থল থেকে কিছু কাপড়ের রোল উদ্ধার করা হয়েছে, যা দিয়ে কেএনএফের পোশাক তৈরি করা হতো বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব আহমদ জানান, কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সদস্যদের জন্য তৈরি পোশাক উদ্ধারের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ওয়েল গ্রুপের পরিচালক তারিকুল ইসলামসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত দুই সপ্তাহে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে কেএনএফের প্রায় অর্ধলক্ষ পোশাক জব্দ করা হয়েছে। এর আগে ২৭ মে রাতে পাহাড়তলী থানার ডিটি রোডে অবস্থিত নুর ফ্যাশন অ্যান্ড গার্মেন্টস কারখানা থেকে ১৫ হাজার পোশাক জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় বায়েজিদ বোস্তামী থানার এসআই আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে পাহাড়তলী থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন।

    মামলার এজাহারে বলা হয়, মহালাসিন মারমা নামের এক ব্যক্তি ৫০ লাখ টাকার চুক্তিতে পোশাকগুলো তৈরির অর্ডার দেয়। এ ঘটনায় নুর ফ্যাশন অ্যান্ড গার্মেন্টস কারখানার মালিক মতিউর রহমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    রবিবার (১ জুন) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইব্রাহীম খলিল শুনানি শেষে মতিউর রহমানের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

    এর আগে ২৬ মে রাতে নগরের অক্সিজেন নয়াহাট এলাকার একটি কারখানা থেকে ১১ হাজার ৭৮৫টি পোশাক উদ্ধার করে পুলিশ। এছাড়া, ১৭ মে রাতে বায়েজিদ বোস্তামী থানার নয়ারহাট এলাকার রিংভো অ্যাপারেলস থেকে ২০ হাজার ৩০০টি পোশাক জব্দ করে গোয়েন্দা পুলিশ। এই ঘটনায় নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে ১৮ মে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন।

    এজাহারে পুলিশ উল্লেখ করে, দুই কোটি টাকার চুক্তিতে পোশাকগুলো প্রস্তুতের অর্ডার নেওয়া হয়। এ ঘটনায় কারখানাটির মালিক সাহেদুল ইসলাম, গোলাম আজম ও নিয়াজ হায়দারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই মামলায় গ্রেফতারকৃত তিনজন ছাড়াও রাঙামাটির মহালাসিন মারমাকে আসামি করা হয়েছে।

  • যে কারণে পাকিস্তানের ব্যাট কোম্পানিতে গিয়েছিলেন তামিম

    যে কারণে পাকিস্তানের ব্যাট কোম্পানিতে গিয়েছিলেন তামিম

    যে কারণে পাকিস্তানের ব্যাট কোম্পানিতে গিয়েছিলেন তামিম
    বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান সফর শেষ হয়েছে রোববার। গতকালই দুই ভাগে ভাগ হয়ে বাংলাদেশে পৌছেছে লিটন দাসের দল। সিরিজ চলাকালীন সময়ে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। পরে সাবেক এই অধিনায়ক মুখোমুখি হয়েছিলেন গণমাধ্যমের। জানিয়েছিলেন পাকিস্তানে যাওয়ার কারণও।

    কিছুদিন আগে বাংলাদেশে একটি ব্যাট কোম্পানির শো-রুম দিয়েছেন তামিম। মূলত পাকিস্তানে সেই সিএ ব্যাটের ফ্যাক্টরিতেই গিয়েছিলেন তিনি। পরে জানান সেই গল্পের কথা।

    তামিম বলছিলেন, ‘আমি ব্যবসা করে তো প্লেন কিনতে পারবো না বাড়ি করতে পারব না। এটা আমার খুবই শখের একটা জিনিস। আমি অবসর নেওয়ার পরে ওরা (সিএ) একটা ব্যাট বানাচ্ছে। আমার যারা ফ্যান ছিলেন আমার খেলা পছন্দ করতেন তাদের জন্য তৈরি করা। এই ব্যাট যারা নিবেন কিনবেন তারা একটা মেমোরি হিসেবে রাখতে পারবেন, তো এটাই বড় কারণ এখানে আমার আসার।’

    দেশের মার্কেটে ব্যাটের দাম বেড়ে যাওয়া নিয়ে তামিম বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশের মার্কেটে দাম হয়েছে ব্যাটের এত পরিমান হওয়ার কথা না তো। একটা ব্যাটের দাম যদি পনের হাজার বা বিশ হাজার দাম যদি কমিয়ে নিয়ে আসতে পারি তাহলে তো ভালো। যারা একাডেমি বা নতুন লিগ খেলছে তাদের জন্য এটা একটা সুবিধা হবে।’

  • ওজু করার সময় মাথায় পানির ট্যাংক পড়ে মাদরাসাছাত্রীর মৃত্যু

    ওজু করার সময় মাথায় পানির ট্যাংক পড়ে মাদরাসাছাত্রীর মৃত্যু

    রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে মাথায় পানির ট্যাংক পড়ে কানিজ ফাতেমা (১৩) নামে এক মাদরাসাছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এসময় আহত হয়েছে আরও এক ছাত্রী।

    মঙ্গলবার (৩ জুন) ভোরে উপজেলার বহরপুর নুরে মদিনা হাফিজিয়া মহিলা মাদরাসা ও এতিমখানায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

    মৃত কানিজ ফাতেমা কালুখালী উপজেলার মাজবাড়ী ইউনিয়নের চর শ্রীপুর গ্রামের মো. কাউসারের মেয়ে। সে ওই মাদরাসায় মক্তব বিভাগে পড়তো। আহত ছাত্রীর নাম মিম আক্তার (১৪)। সে বহরপুর ইউনিয়নের পাকালিয়া গ্রামের মো. জসিম উদ্দিনের মেয়ে। সে ওই মাদরাসায় হেফজ বিভাগে পড়ে।

    অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সামাদ বলেন, ভোর ৪টা ৫০ মিনিটে ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ পড়ার জন্য মাদরাসার ওজুখানায় ওজু করতে যায় কানিজ ফাতেমা ও মিম। এসময় ওজু খানার পাশে সিমেন্টের খুঁটির ওপর বসানো এক হাজার লিটার পানির ট্যাংক খুঁটি ভেঙে কানিজ ফাতেমা ও মিমের মাথার ওপর পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই কানিজ ফাতেমা মারা যায়। আহত অবস্থায় মিমকে উদ্ধার করে বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। মিমের মাথায় সেলাই লেগেছে। সে এখন নিজের বাড়িতে অবস্থান করছে।

    বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জামাল উদ্দিন জানান, নিহত ছাত্রীর মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

  • ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গাড়িতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, নিহত ৩

    ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গাড়িতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, নিহত ৩

    গাজার উত্তরের জাবালিয়া এলাকায় সোমবার একটি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গাড়িতে অ্যান্টি-ট্যাংক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। এতে তিন ইসরায়েলি সেনা নিহত হন এবং আরও দুইজন গুরুতর আহত হন।

    ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জানায়, এটা ছিল একটি পরিকল্পিত ও ভয়াবহ হামলা। নিহত সেনারা নবম ব্রিগেডের সদস্য ছিলেন। আহতদের উদ্ধার করতে হেলিকপ্টার পাঠানো হলেও আশপাশে তীব্র গোলাগুলির কারণে অভিযান ব্যাহত হয়। পরে আরও হেলিকপ্টার এসে এলাকায় গোলাবর্ষণ করে উদ্ধার চেষ্টা চালায়। এক হেলিকপ্টারকে লক্ষ্য করে গুলিও ছোড়া হয়। পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় কিছু সময় উদ্ধার অভিযান বন্ধ রাখতে হয়।

    এই ঘটনার পর গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা আরও বেড়ে যায়। সোমবার সারাদিন গাজার বিভিন্ন স্থানে বিমান হামলায় অনেক ফিলিস্তিনি নিহত হন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৫৪ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন এবং ১ লাখ ২৪ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন।

    হামাস অভিযোগ করেছে, ইসরায়েল বেসামরিক স্থাপনা, হাসপাতাল ও চিকিৎসাকেন্দ্রে হামলা চালাচ্ছে। এতে অনেক অসুস্থ মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছেন না, বিশেষ করে নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা সবচেয়ে বেশি বিপদে আছেন।

    আরও পড়ুনঃ বিমানযাত্রীর লাগেজে অর্ধশত বিষধর সাপ, এরপর যা ঘটল
    হামাস আরও বলেছে, ইসরায়েলের এসব কাজ আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে। তারা যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের বিষয়টি তুলে ধরে বলেছে, আমেরিকার সহযোগিতায় ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে।

  • বাজারে নতুন ডিজাইনের টাকা, আসল-নকল চিনবেন যেভাবে

    বাজারে নতুন ডিজাইনের টাকা, আসল-নকল চিনবেন যেভাবে

    গভর্নর ড. আহসান হাবিব মনসুর স্বাক্ষরিত নতুন ডিজাইন ও সিরিজের ১০০০, ৫০ ও ২০ টাকা মূল্যমানের ব্যাংক নোট আজ ১ জুন থেকে বাজারে ছেড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস থেকে পাওয়া যাচ্ছে নতুন ব্যাংক নোট। বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যান্য অফিস থেকে পরবর্তীতে ইস্যু করা হবে নতুন নোট ।

    বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, সকল মূল্যমানের নতুন নোটের পাশাপাশি বর্তমানে প্রচলিত সকল কাগুজে নোট এবং ধাতব মুদ্রাও যথারীতি চালু থাকবে। বাংলাদেশের ঐতিহাসিক এবং প্রতœতাত্ত্বিক স্থাপত্য’ শীর্ষক নতুন ডিজাইন ও সিরিজের ১০০০, ৫০ ও ২০ টাকা মূল্যমান ব্যাংক নোটের ডিজাইন ও নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সম্পর্কেও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

    ১০০০ টাকা মূল্যমান ব্যাংক নোটের ডিজাইন ও নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য-

    বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান হাবিব মনসুর স্বাক্ষরিত ১০০০ টাকা মূল্যমান ব্যাংক নোটটির আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬০ মি.মি.x ৭০ মি.মি.। নোটটি ১০০ শতাংশ কটন কাগজে মুদ্রিত এবং নোটে জলছাপ হিসেবে ‘রয়েল বেঙ্গল টাইগার এর মুখ’, ‘১০০০’ এবং ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম’ রয়েছে। নোটিতে বেগুনি রঙের আধিক্য রয়েছে।

    নোটের সম্মুখভাগে বাম পাশে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের ছবি ও মাঝখানে ‘প্রতিশ্রুত বাক্য’ ও মূল্যমান (এক হাজার টাকা) মুদ্রিত রয়েছে। নোটের মাঝখানে ব্যাকগ্রাউন্ডে ‘পাতা ও কলিসহ প্রস্ফুটিত জাতীয় ফুল শাপলা’র ছবি মুদ্রিত রয়েছে। নোটের ওপরে বাঁ দিকে নোটের মূল্যমান ‘১০০০’, ডান কোণে ‘১০০০’ ও নিচে ডানকোণে ‘৳১০০০’ মুদ্রিত রয়েছে। নোটের পেছন ভাগের ডিজাইন হিসেবে জাতীয় সংসদ ভবনের ছবি মুদ্রিত রয়েছে। নোটের ওপরে বাঁ কোণে মূল্যমান ‘১০০০’ ও ডান কোণে ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম’ এবং নিচে ডান কোণ এবং বাঁ কোণে মূল্যমান ‘১০০০’ মুদ্রিত রয়েছে। নোটের ডান পাশে উলম্বভাবে ‘১০০০’ মুদ্রিত রয়েছে।

    নোটটিতে মোট ১৩ ধরনের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সংযোজন করা হয়েছে। নোটটির সম্মুখভাগে বাঁ পাশে ৫ মি.মি. চওড়া নিরাপত্তা সুতা সংযোজন করা হয়েছে, যাতে ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম’ এবং ‘১০০০ টাকা’ খচিত রয়েছে। নোটটি নাড়াচাড়া করলে ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম’ অংশের নিরাপত্তা সুতার রং লাল থেকে সবুজ রংয়ে পরিবর্তিত হয় এবং ‘১০০০ টাকা’ অংশে একটি উজ্জ্বল রংধনু বার ওপর থেকে নিচে উঠা-নামা করে। নোটের ডান দিকের কোণায় মুদ্রিত মূল্যমান ‘১০০০’ রং পরিবর্তনশীল উন্নতমানের নিরাপত্তা কালিতে মুদ্রিত, যাতে নোটটি নাড়াচাড়া করলে এর রং ম্যাজেন্টা থেকে সবুজ রংয়ে পরিবর্তিত হয় এবং মূল্যমানের ভেতরে কোনাকুনিভাবে মুদ্রিত ‘১০০০’ লেখাটি দৃশ্যমান হয়। পাশাপাশি, নোটের সম্মুখভাগের পাতা ও কলিসহ প্রস্ফুটিত জাতীয় ফুল শাপলা দিয়ে মুদ্রিত, যা ইউভি ডিটেক্টর মেশিনের মাধ্যমে দৃষ্টিগোচর হয়। নোটটিতে গভর্নরের স্বাক্ষরের ডান পাশে সি-থ্রু ইমেজ হিসেবে একটি প্যাটার্ন মুদ্রিত রয়েছে, যা আলোর বিপরীতে ধরনে ‘১০০০’ লেখা দৃশ্যমান হবে।
    নোটটির সম্মুখভাগের বাঁ দিকে ‘BANGLADESH BANK’ লেখার নিচে মাইক্রোপ্রিন্ট হিসেবে উলম্বভাবে ‘BANGLADESH BANK’ মুদ্রিত রয়েছে। পাশাপাশি নোটের পেছন ভাগে বাঁ দিকের ওপরে ‘১০০০’ এবং নিচে ‘১০০০’ লেখার ব্যাকগ্রাউন্ডে ‘BANGLADESH BANK’ এবং এর নিচে ‘ONE THOUSAND TAKA’ পুনঃপুনঃ মুদ্রিত রয়েছে; যা শুধু আতশি কাচে দেখা যাবে।
    ব্যাংক নোটটিতে অন্যান্য নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য হিসেবে অসমতল ছাপা (সম্মুখভাগে জাতীয় স্মৃতিসৌধ’র ছবি, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক’ লেখা, গ্যারান্টি ক্লজ, বাংলা ও ইংরেজি মূল্যমান, আড়াআড়িভাবে ৬টি সমান্তরাল লাইন, পেছন ভাগে জাতীয় সংসদ ভবনের ছবি, ‘BANGLADESH BANK’, ‘ONE THOUSAND TAKA’ লেখা ইত্যাদি ইন্টাগ্লিও কালিতে মুদ্রিত), লুকানো ছাপা (সম্মুখ ভাগের নিচে মূল্যমান ‘১০০০’), ওৎরফবংপবহঃ ঝঃৎরঢ়ব (পেছন ভাগে উলম্বভাবে হালকা সোনালী রংয়ে ‘BANGLADESH BANK’ লেখা) দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের সুবিধার্থে ছয়টি বৃত্ত রয়েছে।

    বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর স্বাক্ষরিত ৫০ টাকা মূল্যমান ব্যাংক নোটটির আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩০ মি.মি.x ৬০ মি.মি.। নোটটি ১০০ শতাংশ কটন কাগজে মুদ্রিত এবং নোটে জলছাপ হিসেবে ‘রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মুখ’, ‘৫০’ এবং ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম’ রয়েছে। নোটটিতে গাড় বাদামী রঙের আধিক্য রয়েছে।

    ব্যাংক নোটটির সম্মুখভাগের বাঁ পাশে ঢাকার আহসান মঞ্জিলের ছবি এবং মাঝখানে ‘প্রতিশ্রুত বাক্য’ মূল্যমান (পঞ্চাশ টাকা) মুদ্রিত রয়েছে। নোটের মাঝখানে ব্যাকগ্রাউন্ডে পাতা ও কগিসহ প্রস্ফুটিত জাতীয় ফুল শাপলা’র ছবি মুদ্রিত রয়েছে।

    নোটটির ওপরে বাম দিকে মূল্যমান ‘৫০’, ডান কোণে ‘৫০’ ও নিচে ডান কোণে ‘৳৫০’ মুদ্রিত রয়েছে। নোটের পেছন ভাগে জলছাপ এলাকার ডান পাশে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের বিখ্যাত চিত্রকর্ম ‘সংগ্রাম’ মুদ্রিত রয়েছে। নোটের ওপরে বাঁ কোণে মূল্যমান ‘৫০’ ও ডান কোণে ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম’ এবং নিচে ডানকোণ এবং বামকোণে মূল্যমান ‘৫০’ মুদ্রিত রয়েছে। নোটের ডান পাশে উলম্বভাবে ‘৫০’ মুদ্রিত রয়েছে।

    নোটটিতে মোট ৮ ধরনের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সংযোজন করা হয়েছে। নোটটির সম্মুখভাগে বাম পাশে ২ মি.মি. চওড়া নিরাপত্তা সুতা সংযোজন করা হয়েছে যাতে ‘৳৫০’ পঞ্চাশ টাকা খচিত রয়েছে। নোটটি নাড়াচাড়া করলে নিরাপত্তা সুতার রং লাল থেকে সবুজ রংয়ে পরিবর্তিত হয়। নোটটিতে গভর্নর স্বাক্ষরের ডানপাশে See-Through image হিসেবে একটি প্যাটার্ন মুদ্রিত রয়েছে, যা আলোর বিপরীতে ধরলে ‘৫০’ লেখা দৃশ্যমান হবে। এছাড়া, নোটের সম্মুখভাগে অহসান মঞ্জিল, ঢাকা লেখাটির উভয়পাশে Microprint হিসেবে ‘BANGLADESH BANK’ এবং পেছনভাগের বামদিকের উপরে ‘৫০’ ও নিচে ‘৫০’ লেখার ব্যাকগ্রাউন্ডে Microprint হিসেবে যথাক্রমে ‘50 TAKA’ এবং ‘BANGLADESH BANK’ মুদ্রিত রয়েছে।

    ব্যাংক নোটটিতে অন্যান্য নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য হিসেবে অসমতল ছাপা (সম্মুখভাগের আহসান মঞ্জিন এর ছবি, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক’, গ্যারান্টি ক্লজ, বাংলা ও ইংরেজিতে মূল্যমান, আড়াআড়িভাবে ৬টি সমান্তরাল লাইন ইত্যাদি ইন্টাগ্লিও কালিতে মুদ্রিত), লুকানো ছাপা (সম্মুখভাগের নিচে মূল্যমান ৫০), দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের সুবিধার্থে ২টি বৃত্ত রয়েছে। ২০ টাকা মূল্যমান ব্যাংক নোটের ডিজাইন ও নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য

    বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান হাবিব মনসুর স্বাক্ষরিত ২০ টাকা মূল্যমান ব্যাংক নোটটির আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ১২৭মি.মি.x ৬০ মি.মি.। নোটটি ১০০ শতাংশ কটন কাগজে মুদ্রিত এবং নোটে জলছাপ হিসেবে ‘রয়েল বেঙ্গল টাইগার এর মুখ’, ‘২০’ এবং ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম’ রয়েছে। নোটটিতে সবুজ রঙের আধিক্য রয়েছে।

    ব্যাংক নোটটির সম্মুখভাগের বামপাশে ঐতিহাসিক স্থাপনা কান্তজিউ মন্দির, দিনাজপুর এর ছবি এবং নোটের মাঝখানে ‘প্রতিশ্রুত বাক্য’ ও মূল্যমান (বিশ টাকা) মুদ্রিত রয়েছে। নোটের মাঝখানে ব্যাকগ্রাউন্ডে পাতা ও কালিসহ প্রস্ফুটিত জাতীয় ফুল শাপলা’র ছবি মুদ্রিত রয়েছে। এছাড়া, নোটের উপরে বামদিকে মুল্যমান ‘২০’, ডানকোণে ‘২০’ ও নিচে ডানকোণে ‘৳২০’ মুদ্রিত রয়েছে।

    নোটের পেছনভাগে জলছাপ এলাকার ডানপাশে পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার, নওগাঁ এর ছবি মুদ্রিত রয়েছে। নোটের উপরে বামকোণে মূল্যমান ‘২০’ ও ডানকোণে ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম’ এবং নিচে ডানকোণে মূল্যমান ‘২০’ মুদ্রিত রয়েছে। এছাড়া, নোটের ডানপাশে উলম্বভাবে ‘২০’ মুদ্রিত রয়েছে।

    নোটটিতে মোট ৫ ধরনের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সংযোজন করা হয়েছে। নোটটির সম্মুখভাগে বামপাশে ২ মি.মি. চওড়া নিরাপত্তা সুতা সংযোজন করা হয়েছে যাতে ‘৳২০ বিশ টাকা’ খচিত রয়েছে। নোটটি নাড়াচাড়া করলে নিরাপত্তা সুতার রং লাল হতে সবুজ রংয়ে পরিবর্তিত হয়। নোটটিতে গভর্নর স্বাক্ষরের ডানপাশে See-Through image হিসেবে একটি প্যাটার্ন মুদ্রিত রয়েছে। যা আলোর বিপরীতে ধরলে ‘২০’ লেখা দৃশ্যমান হবে।
    নোটের সম্মুখভাগের ডানদিকে এবং পেছনভাগের বামদিকের গ্লিউইশ প্যাটার্নের ভিতরের অংশে Microprint হিসেবে উলম্বভাবে ‘BANGLADESH BANK’ মুদ্রিত রয়েছে।