Blog

  • সিভিল এভিয়েশনে ২১০ জনের বিশাল নিয়োগ, এসএসসি পাসেও আবেদনের সুযোগ

    সিভিল এভিয়েশনে ২১০ জনের বিশাল নিয়োগ, এসএসসি পাসেও আবেদনের সুযোগ

    জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। অস্থায়ী ভিত্তিতে পৃথক ১২ পদে মোট ২১০ জনকে নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে আগামী ২৯ জুন পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

    প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ
    পদের সংখ্যা: ১২টি
    লোকবল নিয়োগ: ২১০ জন

    পদের বিবরণ:

    আবেদনের প্রক্রিয়া: আগ্রহী প্রার্থীরা এই http://caab.teletalk.com.bd/ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। এছাড়াও বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।

    আবেদনের সময়সীমা: আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ২৯ জুন, ২০২৫ ইং তারিখ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

  • চাকরি দিচ্ছে অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ, আবেদন অনলাইনে

    চাকরি দিচ্ছে অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ, আবেদন অনলাইনে

    জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ (এএবি)। ‘ম্যানেজার’ পদে জনবল নেবে প্রতিষ্ঠানটি। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে আগামী ১৭ জুন পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

    প্রতিষ্ঠানের নাম: অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ
    বিভাগের নাম: ক্যাম্প ম্যানেজমেন্ট
    পদের নাম: ম্যানেজার
    পদের সংখ্যা: ০১ জন

    শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক অথবা সমমান
    অভিজ্ঞতা: ০৫ বছর
    বেতন: ১৫৫,৬৫১ টাকা

    চাকরির ধরন: ফুল টাইম
    প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ
    বয়স: নির্ধারিত নয়
    কর্মস্থল: কক্সবাজার (টেকনাফ)।

    আবেদনের প্রক্রিয়া: আগ্রহী প্রার্থীরা বিডি জবসের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
    আবেদনের সময়সীমা: আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ১৭ জুন, ২০২৫ ইং তারিখ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

  • নিজের প্রেমিককে দিয়ে মেয়েকে ধর্ষণ করান বিজেপি নেত্রী!

    নিজের প্রেমিককে দিয়ে মেয়েকে ধর্ষণ করান বিজেপি নেত্রী!

    ভারতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপির এক নেত্রী নিজের ১৩ বয়সী কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণে ওই নারীর প্রেমিককে সহায়তা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

    ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে, এ ঘটনায় জড়িত সবাইকে আটক করা হয়েছে।

    এই নারী বিজেপির সদস্য ছিলেন। তার নাম আনিকা শর্মা। তিনি নিজ মেয়ের সর্বনাশ করতে দিয়েছেন তার বয়ফ্রেন্ড ও তার বন্ধুকে।

    অভিযুক্ত আনিকা এবং তার বয়ফ্রেন্ড সুমিত পাতওয়ালকে হরিদোয়ারের একটি হোটেল থেকে গত বুধবার গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে ওই কিশোরী তার মা ও তার মায়ের বয়ফ্রেন্ডের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে। মেডিকেল পরীক্ষায় এর সত্যতা পাওয়া যায়। এরপরই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

    এনডিটিভি জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার এ ঘটনা প্রথম জানাজানি হয়। ওইদিন ধর্ষণের শিকার কিশোরী তার বাবার কাছে ঘটনা খুলে বলে।


    ওই পাষণ্ড মা মোদির বিজেপির হরিদোয়ার বিভাগের নারী মোর্চার প্রধান ছিলেন। তার বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ ওঠার পর তাকে বহিষ্কার করেছে দলটি।

    পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ওই কিশোরী তার মায়ের সহায়তায় একাধিকবার গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। তার মায়ের বয়ফ্রেন্ড ও বয়ফ্রেন্ডর বন্ধু উভয়ের বয়স ৩০ বছর।

    তারা কিশোরীটিকে হরিদোয়ার, আগ্রা এবং বৃন্দাবনে জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ধর্ষণ করেছে।

    তারা কিশোরীটির মায়ের সম্মতি ও উপস্থিতিতে ধর্ষণকাণ্ড গুলো ঘটিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, কিশোরীকে তারা হুমকি দিয়েছিল যদি সে কাউকে কিছু বলে তাহলে তার বাবাকে হত্যা করা হবে।

    ধর্ষিতার মা আনিকা শর্মা তার স্বামীর থেকে আলাদা হয়ে তার বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে একটি হোটেলে থাকতেন। অপরদিকে কিশোরীটি তার বাবার সঙ্গে থাকত।

  • প্রকাশিত ভাইরাল ৩ মিনিটের ভিডিও দেখুন কমেন্টস থেকে

    প্রকাশিত ভাইরাল ৩ মিনিটের ভিডিও দেখুন কমেন্টস থেকে

    সৌদি আরবের উত্তর-পশ্চিমের একটি শহরে দ্বিতল ভবনের জানালার কার্নিশে দাঁড়িয়ে আছেন কালো আবায়া পরা এক তরুণী। পরবর্তী ছবিতে দেখা যায়, একদল পুরুষ তাঁকে ক্রেনের সাহায্যে নিচে নামিয়ে আনছেন। ওই তরুণীর পরিচয় জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি ‘অবাধ্যতা’, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক অথবা পরিবারের অনুমতি ছাড়াই বাড়ি ছাড়ার কারণে ‘দার আল-রায়া’ নামক নারীদের জন্য নির্জন এক আটক কেন্দ্রে বন্দী ছিলেন। এই কেন্দ্রগুলোতে পরিবারের কিংবা স্বামীর রোষে পড়ে নির্বাসিত নারীদের ‘সংশোধনের’ জন্য রাখা হয়।

    এটি ছিল বিরল এক দৃশ্য—যেখানে জনসমক্ষে ধরা পড়ল সেই শত শত সৌদি তরুণী ও নারীদের বাস্তবতা, যাদের ওই সব সংশোধনাগারে আটকে রাখা হয়। এসব প্রতিষ্ঠানকে বাহ্যিকভাবে ‘আশ্রয়কেন্দ্র’ বা সংশোধনাগার বলা হলেও বাস্তবে সেগুলোকে বন্দিশিবির বা ‘নরক’ বলে অভিহিত করেছেন অনেকে। সেখানে রয়েছে বাধ্যতামূলক ধর্মীয় শিক্ষা, নির্জনতা, বাইরে যোগাযোগের নেই অনুমতি, এমনকি প্রতি সপ্তাহে একবার করে মারা হয় চাবুক।

    সেখানকার অবস্থা এতটাই ভয়াবহ যে আত্মহত্যা বা আত্মহত্যার চেষ্টা নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। বছরের পর বছর ধরে নারীরা সেখানে আটক থাকেন। বের হতে পারবেন না পরিবার বা পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া।

    লন্ডনে অবস্থানরত সৌদি মানবাধিকারকর্মী মরিয়ম আলদোসারি বলেন, ‘একজন তরুণী ততক্ষণ সেখানে থাকবে, যতক্ষণ না সে সমাজের প্রচলিত নিয়ম মেনে নিতে রাজি হয়।’

    খেয়াল করুন, সৌদি আরব এখন যখন পুরুষদের ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ পেয়ে বিশ্বমঞ্চে নিজেদের সংস্কারপ্রবণ দেশ হিসেবে তুলে ধরছে। ঠিক এর বিপরীতে, দেশটির নারীরা যাঁরা একটু অধিক অধিকার ও স্বাধীনতার দাবি তুলছেন, তাঁদের ভাগ্য জুটেছে গৃহবন্দিত্ব, কারাবাস কিংবা নির্বাসন। মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, এই ‘সংশোধনাগার’ বা দার আল-রায়া মূলত নারীদের নিয়ন্ত্রণ ও শাস্তি দেওয়ার এক গোপন কারাগার।

    ষাটের দশকে দেশজুড়ে গড়ে ওঠা এসব ‘সংশোধনাগার’ সম্পর্কে সৌদি কর্মকর্তারা বলছেন, এটি ‘বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্ত বা দণ্ডিত’ নারীদের আশ্রয়স্থল। সেখানে মানসিক চিকিৎসক ও পরামর্শদাতাদের সহায়তায় নারীদের পরিবারে ফিরিয়ে নেওয়ার উপযোগী করে তোলা হয়।

    কিন্তু এই ব্যবস্থাকে চরম নির্যাতনমূলক বলে অভিহিত করেছেন সারা আল-ইয়াহিয়া। তিনি এসব সংশোধনাগার বিলুপ্ত করার আন্দোলন শুরু করেছিলেন। সারা বলেন, এসব কেন্দ্রে পৌঁছেই নারীদের দেহতল্লাশির পাশাপাশি কুমারীত্ব পরীক্ষা করা হয়। ঘুমানোর আগে দেওয়া হয় ঘুমের ওষুধ।

    তিনি বলেন, ‘তারা এটিকে সেবাকেন্দ্র বা সংশোধনাগার বললেও এটা একপ্রকার জেলখানা। সেখানে মেয়েরা নাম ধরে নয়, নম্বর ধরে পরিচিত। যেমন নম্বর ৩৫, সামনে এসো। কেউ যদি নিজের পারিবারিক নাম বলে, তাহলে তাকে চাবুক মারা হয়। নামাজ না পড়লেও চাবুক মারা হয়। আর যদি কোনো নারীর সঙ্গে একা দেখা যায়, তাহলে বলা হয় সে সমকামী। তারপর শুরু হয় নির্যাতন। প্রহরীরা মজা করে দাঁড়িয়ে দেখে নারীদের চাবুক মারা।’

    ৩৮ বছর বয়সী ইয়াহিয়া বর্তমানে নির্বাসনে আছেন। তিনি বলেন, মাত্র ১৩ বছর বয়স থেকেই তাঁর বাবা তাঁকে দার আল-রায়ার ভয়ে ভীত করে তুলেছিলেন। সারা বলেন, ‘যদি আমি তাঁর যৌন নির্যাতন মেনে না নিতাম, তাহলে তিনি বলতেন—তোমাকে ওইখানে (দার আল-রায়া) পাঠিয়ে দেব।’

    তিনি আরও জানান, এসব কেন্দ্রের ভয়ে অনেকে নির্যাতনের শিকার হলেও ঘর ছাড়তে ভয় পান। সারা বলেন, ‘আমি একজন নারীকে চিনি, যিনি পারিবারিক সহিংসতা থেকে পালিয়ে আসা একজন নারীকে সাহায্য করেছিলেন। এই অপরাধে তাঁকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। কারণ, সৌদি আরবে কাউকে আশ্রয় দেওয়া—‘যদি সে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়’, তাহলে সেটি অপরাধ।’

    আরও ভীতিকর তথ্য জানিয়ে ইয়াহিয়া বলেন, ‘যদি কেউ পরিবারের সদস্য দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হয় বা গর্ভবতী হয়, তাহলে পরিবারের সম্মান রক্ষার জন্য তাঁকেই দার আল-রায়ায় পাঠানো হয়।’

    ২৫ বছর বয়সী আমিনা (ছদ্মনাম) বলেন, বাবার নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে তিনি মধ্য সৌদি আরবের বুরাইদাহ শহরের একটি সংশোধনাগারে আশ্রয় নেন। কিন্তু সেখানে গিয়েই তিনি আরেক ভিন্ন রকম নির্যাতনের মুখোমুখি হন।

    আমিনা বলেন, ‘ভবনটি ছিল পুরোনো ও ধ্বংসপ্রায়। আর এর কর্মীরা ছিলেন নির্দয় ও অমানবিক।’ তিনি আরও জানান, যখন নিজের কষ্টের কথা তাদের বলা হয়, তাদের কাছে সেটা তুচ্ছ মনে হয়েছিল। তারা বলেছিল, ‘অনেকেই তোমার চেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে। তাদেরকে ঘরেই শিকলে বেঁধে রাখা হয়েছে। তুমি এখানে আসতে পেরেছ, তার জন্য আল্লাহর শুকরিয়া করো।’

    পরদিন ওই সংশোধনাগারের কর্মীরা তাঁর বাবাকে ডেকে আনেন। এরপর উভয়ের কাছ থেকে ‘শর্ত’ লিখে নিতে বলা হয়। আমিনা বলেন, ‘আমি লিখি, আমাকে যেন মারধর না করা হয়, জোর করে বিয়ে না দেওয়া হয় এবং আমাকে কাজ করতে দেওয়া হয়। আর আমার বাবা লিখলেন, আমাকে সবার প্রতি সম্মান দেখাতে হবে, অনুমতি ছাড়া বাইরে যাওয়া যাবে না এবং সব সময় সঙ্গে একজন পুরুষ সঙ্গী সঙ্গে থাকতে হবে। আমি ভয়ে স্বাক্ষর করি—এ ছাড়া আর কোনো বিকল্প ছিল না।’

    বাড়ি ফেরার পর, আমিনার ওপর আবার নির্যাতন শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। তিনি বলেন, ‘নিজেকে একা আর অসহায় মনে হতো। আমার জীবনের যেন কোনো মূল্য নেই। মনে হতো, আমি যদি মরে যাই, কেউ কিছু বলবে না।’

    শামস (ছদ্মনাম) নামের আরেক তরুণী বলেন, ‘আমি তখন ১৬, আমাদের স্কুলে এক নারীকে নিয়ে আসা হয়। তিনি দার আল-রায়ায় ছিলেন। তিনি বললেন, তিনি এক ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক করেছিলেন। নীতি পুলিশেরা তাঁকে ধরে এবং তাঁর বাবার কাছে এই কথা স্বীকার করতে বাধ্য করে। গর্ভবতী হওয়ার পর পরিবার তাঁকে আর বাড়িতে থাকতে দেয়নি। এদিকে ছেলেটিও তাঁকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। তখন তাকে পাঠানো হয় ওই সংশোধনাগারে। তিনি আমাদের বললেন, যদি কোনো নারী সম্পর্ক করে বা যৌন সম্পর্ক করে, তাহলে সে সস্তা হয়ে যায়। পুরুষদের জন্য সমাজে সবকিছু জায়েজ হলেও নারী আজীবন সস্তাই রয়ে যায়।’

    লায়লা (ছদ্মনাম) নামের এক নারী বলেন, তিনি বাবা ও ভাইদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে নির্যাতনের অভিযোগ করেছিলেন। এরপর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারীদের অধিকারের বিষয়ে কথা বলেছিলেন। এটা জানাজানি হলে তাঁর পরিবার দাবি করে, সে পরিবারকে ‘লজ্জায় ফেলেছে’। তাঁকে পাঠানো হয় দার আল-রায়ায়, সেখান থেকে মুক্তি পান কেবল তখনই, যখন তাঁর বাবা অনুমতি দেন। অথচ তাঁর বাবাই ছিলেন সেই নির্যাতনকারী।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সৌদি মানবাধিকারকর্মী বলেন, ‘এই নারীদের পাশে কেউ নেই। কোনো অপরাধ না করেও তারা বছরের পর বছর ধরে আটক থাকতে পারে। এই জায়গা থেকে বের হওয়ার একমাত্র উপায়—পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি, বিয়ে কিংবা আত্মহত্যার চেষ্টা।’

    আরেক নির্বাসিত মানবাধিকারকর্মী ফাওজিয়া আল-ওতাইবি বলেন, ‘এই সংশোধনাগারগুলো নিয়ে কেউ কথা বলে না, কেউ টুইট করে না। কেউ জানতেও চায় না—আপনি কোথায় গেলেন। তারা ভিকটিমদেরই লজ্জা দেয়।’

    মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, সৌদি সরকার যদি সত্যিই নারীদের অধিকার রক্ষা করতে চায়, তাহলে এ ধরনের সংশোধন কেন্দ্রগুলো বিলুপ্ত করে প্রকৃত নিরাপদ সংশোধনাগার গড়ে তুলতে হবে। নির্বাসনে থাকা একজন সৌদি নারী বলেন, ‘অনেক নারীর পরিবার ভালো—তারা নির্যাতন করে না। কিন্তু বহু নারী কঠিন নিষেধাজ্ঞার মধ্যে বাস করে, চুপচাপ সব নির্যাতন সহ্য করে। আর এই প্রতিষ্ঠানগুলো সেই নির্যাতনকে বৈধতা দেয়।’

    সৌদি মানবাধিকার সংস্থা এএলকিউএসটি বলছে, দার আল-রায়া হলো এমন এক ধরনের প্রতিষ্ঠান, যা সৌদি সরকারের নারীবান্ধব ভাবমূর্তির সঙ্গে একেবারে সাংঘর্ষিক। সংস্থাটির ক্যাম্পেইন কর্মকর্তা নাদিন আবদুল আজিজ বলেন, ‘যদি তারা সত্যিই নারীর অগ্রগতি চায়, তাহলে এই বৈষম্যমূলক প্রথাগুলো বিলুপ্ত করে প্রকৃত নিরাপত্তা প্রদানকারী আশ্রয়কেন্দ্র গড়ে তুলতে হবে।’

    এ বিষয়ে সৌদি সরকারের একজন মুখপাত্র জানান, নারীদেরকে সহিংসতা থেকে রক্ষায় বিশেষায়িত কেন্দ্র রয়েছে। তিনি বলেন, ‘এখানে জোর করে আটক রাখা বা নির্যাতনের অভিযোগ মিথ্যা। এগুলো আটক কেন্দ্র নয়। নারীরা চাইলে স্কুল, কাজ কিংবা অন্য যেকোনো ব্যক্তিগত কারণে বের হতে পারেন। এর জন্য পরিবার বা অভিভাবকের অনুমতির প্রয়োজন নেই।’

    কিন্তু সৌদি আরবের নির্বাসিত বাসিন্দা ও অধিকারকর্মীদের বর্ণনায় এটিই প্রমাণিত হয়, কথিত ‘সংশোধনাগার’গুলো আসলে নারীদের দমন করার এক নির্মম স্থানে পরিণত হয়েছে।

  • গরুর হাটে পকেট মারতে গিয়ে গণপিটুনি খেলেন ইউপি সদস্য

    গরুর হাটে পকেট মারতে গিয়ে গণপিটুনি খেলেন ইউপি সদস্য

    সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে কোরবান আলী নামের এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যকে পকেট মারার অভিযোগে পিটিয়েছে জনতা। বুধবার (৪ জুন) সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বড়হর গরুর হাটে এ ঘটনা ঘটে।

    অভিযুক্ত পকেটমার উপজেলার ঝাঐল ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কোরবান আলী।

    প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, হাটে ভিড়ের মধ্যে এক ব্যক্তির পকেট কাটার সময় কোরবান আলীকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা। এরপর উত্তেজিত জনতা তাকে পেটায়। আত্মরক্ষার জন্য তিনি পানিতে লাফ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করলেও প্রায় ১০ মিনিট পর তাঁকে ধরে ফেলে জনতা।

    আরও পড়ুনঃ ট্রেনে ঝুলানো সেই মতিউরের রক্তমাখা প্যান্ট হাতে কাঁদছে মেয়ে
    ঘটনার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ইতিমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে।

    পুলিশের একটি সূত্র জানায়, কোরবান আলীর বিরুদ্ধে চুরি, ডাকাতি, মাদক ও অস্ত্র আইনে প্রায় ২৫টি মামলা রয়েছে। তিনি একাধিকবার গ্রেপ্তারও হয়েছেন বলে জানা যায়।

    উল্লাপাড়ার বড়হর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. ছাইফুল ইসলাম বলেন, ‘চোরের বিষয়টি শুনেছি, তবে হাটের ভিড়ের কারণে চোর পর্যন্ত পৌঁছাতে পারিনি।’

    বড়হর হাটের ইজারাদার মোবারক হোসেন মুঠোফোনে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। হাটে সেনাবাহিনী ছিল, তাদের সাথেই ছিলাম।’

    আরও পড়ুনঃ ছাত্রলীগ নেতাকে গাছে বেঁধে পিটুনি, পরে কুপিয়ে জখম
    এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার ইউপি সদস্য কোরবান আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বড়হর হাটের বাইরে জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে তারা আমাকে মারধর করে। ফেসবুকে যা দেখেছেন, এসব মিথ্যা জিনিস। কেউ লিখলে বা বললে তো ঠেকানো যাবে না।’ তিনি বলেন, ‘আমার সব মামলা শেষ, এখন ৫টা মামলা আছে।’

    কামারখন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনামিকা নজরুল বলেন, ‘ইউপি সদস্যের কাছে এটা অবশ্যই আশা করা যায় না। এর আগেও তিনি গ্রেপ্তার ছিলেন। এটা অবশ্যই ভালো না।

  • ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার ইঙ্গিত ফ্রান্সের

    ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার ইঙ্গিত ফ্রান্সের

    ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বর্বরতা চালানোয় দখলদার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে ফ্রান্স। দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বৃহস্পতিবার (৫ জুন) বলেছেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা তারা তা আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন।

    এ মাসের মাঝামাঝিতে জাতিসংঘে সৌদি আরবের সঙ্গে ফিলিস্তিন নিয়ে একটি যৌথ সম্মেলনের আয়োজন করবে ফ্রান্স। সেখানে ফিলিস্তিনকে ফ্রান্স স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    আজ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আসেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। সেখানে সাংবাদিকদের ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘গাজায় উগ্রপন্থী ইসরায়েলি সরকার পূর্বপরিকল্পিত গণহত্যা’ চালাচ্ছে।

    এদিকে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি না দিতে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যকে গোপনে সতর্কতা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে মার্কিনিদের এ সতর্কতায় ফ্রান্স কর্ণপাত করবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।

  • কোরবানির ঈদে কারাবন্দিদের জন্য বিশেষ আয়োজন

    কোরবানির ঈদে কারাবন্দিদের জন্য বিশেষ আয়োজন

    ঢাকা বিভাগের কারা উপমহাপরিদর্শক বলেন, ঈদের আগের দিন কারা এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান, দুস্থ বন্দিদের মাঝে নতুন বস্ত্র বিতরণ, বন্দিদের অংশগ্রহণে ফুটবল প্রতিযোগিতা, কিরাত, আজান, সিরাত, কুইজ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ঈদের দিন আরপি গেটে বন্দিদের আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে উপহার ও সুভিনিয়র বিতরণ, বন্দিদের মাঝে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন ও বন্দিদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।

    তিনি আরও জানান, ঈদের পরের দিন আত্মীয়-স্বজনদের পক্ষ থেকে বন্দিদের জন্য বাইরের রান্না করা খাবার গ্রহণ ও বিতরণ করা হবে। আর ঈদের তৃতীয় দিন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাধারণের অংশগ্রহণে প্রিজন ম্যারাথন-২০২৫ আয়োজন ও পুরস্কার বিতরণ, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারদের অংশগ্রহণে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।

    সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ঢাকা বিভাগের কারা উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন্স) মো. জাহাঙ্গীর কবিরের তত্ত্বাবধানে রয়েছে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারসহ ঢাকা বিভাগের মোট ১৭টি কারাগার। আওতাভুক্ত কারাগারগুলোর মধ্যে রয়েছে: ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার, কাশিমপুরস্থ চারটি কেন্দ্রীয় কারাগার, মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদী, গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, ফরিদপুর, টাঙ্গাইল, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, মাদারীপুর ও নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার।

    এদিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জের জেলার এ কে এ এম মাসুদ বলেন, কেরানীগঞ্জের বন্দিরা ঈদের দিন শুরুতেই নাশতায় পাবেন পায়েস-মুড়ি। দুপুরে মুরগির রোস্ট, গরু ও খাসি। এ ছাড়া কোমল পানীয়, সালাত, পান-সুপারি ও মিষ্টান্ন। রাতে ভাত, মাছ ও আলুর দম। এ ছাড়া ঈদের তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭, ৮ ও ১০টায়। একটি বন্দিদের নিয়ে দুটি স্টাফদের।

    আরও পড়ুনঃ জমি নিয়ে বিরোধের জেরে চাচার হাতে ২ ভাতিজি খুন
    পাশাপাশি কারা অধিদফতর থেকে জানা যায়, দেশের সব কারাগারেই বন্দিরা ঈদের আনন্দে মেতে থাকবেন, খাবেন ঈদের বিশেষ খাবার।

  • ‘১৫ দিনের মধ্যে ড. ইউনূস নির্বাচনের রোডম্যাপ দেবেন’

    ‘১৫ দিনের মধ্যে ড. ইউনূস নির্বাচনের রোডম্যাপ দেবেন’

    বিএনপির সহ-শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান বলেছেন, ‘অবিশ্বাসীরা সবসময় আশেপাশে থাকে, অবাধে অবিশ্বাসীরা সবসময় ক্রিটিক্যাল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায়। নিজের সফলতাকেও উনারা নষ্ট করে দেয়, এরকম মানুষও আছে। বাংলাদেশ সবসময়ই এসব সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে। সবকিছু কাটিয়ে আশা করি আগামি ১৫ দিনের মধ্যে আমাদের নেতা নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুস বিচার ব্যবস্থার রোডম্যাপ দেবেন। জুলাই ঘোষণাপত্র দেবেন। নির্বাচনের রোডম্যাপও ঘোষণা করবেন।’

    আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার বালুরচর উচ্চ বিদ্যালয়ে বিএনপির ওয়ার্ড নেতা নির্বাচনের ভোট কেন্দ্র পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

    আরও পড়ুনঃ জামায়াত নিবন্ধন ফিরে পাওয়া নিয়ে যা বলল বিএনপি
    উল্লেখ্য, আশরাফ উদ্দিন নিজান লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি ও কমলনগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। আশরাফ উদ্দিন নিজান আরও বলেন, ‘দলের কর্মী হিসেবে নয়, একজন রাজনীতিবিদ ও ফিলোসোফির ছাত্র হিসেবে এটি আমি বিশ্বাস করি। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশের আকাশ একদম চকচকে হয়ে যাবে। নির্বাচনের জন্য সবাই নেমে যাবে। তখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও সকল অবিশ্বাস কেটে যাবে।’

    তিনি বলেন, ‘১০ শতাংশ আওয়ামী লীগ ছাড়া বাংলাদেশের ৯০ শতাংশ মানুষ ড. ইউনুসকে নিরঙ্কুশ সমর্থন দিয়ে এনেছেন। সারাবিশ্ব যাকে ভালো মানুষ মনে করেন, উনার থ্রি জিরো ফিলোসোফি সারা বাংলাদেশে সমাদৃত। সেই মানুষ কাউকে স্টাবলিশ করার জন্য নির্বাচন নিয়ে কিছু করতে পারেন, তা আমি বিশ্বাস করি না।’

    আরও পড়ুনঃ আপনাদের শেষ সুযোগ দেওয়া হচ্ছে, নিজেদের সংশোধন করুন : ইশরাক
    এ সময় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাবুদ্দিন সাবু, যুগ্ম-আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান, রামগতি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জামাল উদ্দিন, রামগতি পৌর বিএনপির আহ্বায়ক সাহেদ আলী পটুসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

  • যমুনা নদীতে রিলস বানাতে গিয়ে নদীতে ডুবে ৬ কিশোরীর মৃত্যু

    যমুনা নদীতে রিলস বানাতে গিয়ে নদীতে ডুবে ৬ কিশোরীর মৃত্যু

    যমুনা নদীতে গোসল করার সময় মোবাইলে রিলস বানাতে যেয়ে ছয় কিশোরীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের আগ্রার সিকান্দরা থানা এলাকায়।

    মঙ্গলবারের (৩ জুন) এ ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পুরো এলাকায়।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশোরীরা কাছাকাছি কৃষিজমিতে কাজ শেষে যমুনার পাড়ে বিশ্রাম নিতে যায়। প্রচণ্ড গরমে শরীর ঠান্ডা করতে তারা নদীতে নামে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শুরুতে তারা নদীর তীরে খেলছিল ও মোবাইল ফোনে রিলস ভিডিও করছিল। ধীরে ধীরে গভীর পানিতে চলে গেলে স্রোতের টানে তারা তলিয়ে যায়।

    আরও পড়ুনঃ নারীর আবেগে রাজনীতি, মোদির সিঁদুর কৌশলে সরব সুনায়না চৌটালা
    দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ঘটনায় চারজন ডুবে যায় এবং বাকি দু’জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়। তবে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দুই কিশোরীও মারা যায়। এর ফলে সেখানে পানিতে ডুবে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ছয়জনে দাঁড়িয়েছে।

    মারা যাওয়া সবাই একটি স্থানীয় গ্রামের বাসিন্দা। খবর পেয়ে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান।

    মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, ছয়জনই পানিতে ডুবে মারা গেছে। জেলা প্রশাসন শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলোর পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে এবং দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু করেছে।

  • মীর মুগ্ধকে কারা হ..ত্যা করেছে, দেখা মিলল ভিডিও ফুটেজে

    মীর মুগ্ধকে কারা হ..ত্যা করেছে, দেখা মিলল ভিডিও ফুটেজে

    জুলাই গণঅভ্যুত্থানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান মীর মুগ্ধর হত্যার ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করেছেন তার পরিবার। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) ট্রাইব্যুনালে এসে অভিযোগ দায়ের করেন মুগ্ধর যমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ ও বড় ভাই মীর মাহমুদুর রহমান দীপ্ত।

    অভিযোগ দাখিলের পর সাংবাদিকদের শহিদ মুগ্ধের যমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বলেন, মুগ্ধ গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়ে একটা বিতর্ক ছিল যে, গুলিটা পুলিশের মধ্যে থেকে করা হয়েছে নাকি বাইরের কারো থেকে করানো হয়েছে। অথবা স্নাইপার থেকে করা হয়েছে কিনা। তবে আমাদেরকে কাছে যে প্রমাণাদি আছে, তার মাধ্যমে আমরা বলতে পারি পুলিশের পক্ষ থেকে এই গুলি চালানো হয়েছে। আমরা যে ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেছি সেখানে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে, পুলিশের গুলিতেই মুগ্ধের জীবন গেছে।

    বড় ভাই মীর মাহমুদুর রহমান দিপ্ত বলেন, বলেন, এই ছয় মাসে হত্যাকাণ্ডের বিষয় যতটুকু প্রমাণ বের করা সম্ভব তা আমরা নিজ উদ্যোগেই করেছি। যেহেতু প্রথম দিকে প্রশাসন পুরোপুরি অকার্যকর অবস্থা ছিল, তাই আমরা নিজ উদ্যোগে এই কাজ করেছি। নিজ উদ্যোগে আমাদের সব ধরনের ভিডিও ফুটেজ, সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহ করতে হয়েছে।

    দীপ্ত আরও বলেন, মুগ্ধের হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে পাওয়া ভিডিওর পুরোটা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া হয়েছে। যেহেতু তার হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ফুটেজ আছে, তার বিচারের বিষয়ে সেটা আমরা সরকারের কাছে আশা করতেই পারি। কিন্তু এই ফুটেজ কালেক্ট করা আমাদের দায়িত্ব ছিল না, এটা প্রশাসনের দায়িত্ব ছিল। যেহেতু এটা নিজ উদ্যোগে করেছি, তাই আমাদের এখন আশা থাকবে ভিডিওটিকে ফরেনসিকের মাধ্যমে তাদের চেহারাকে পরিষ্কার করে, একজন একজন করে আসামিদেরকে নিয়ে এসে এক সুষ্ঠু বিচার কার্য করবে। আমাদের মুখ্য উদ্দেশ্য শুধু ন্যায়বিচার পাওয়া।

    দীপ্ত বলেন, আমরা ট্রাইবুনালে অভিযোগ করেছি মুগ্ধের পুরো ঘটনাটার ওপর। চিত্র প্রসিকিউটরও আমাদের এ বিষয়ে সম্মত হয়েছেন। আমরা প্রাথমিক অভিযোগে কোনো নাম দিইনি। তারাই এটিকে নিয়ে তদন্ত করবে এবং তদন্ত সাপেক্ষে প্রমাণাদিসহ ক্রমান্বয়ে যে নামগুলো আসবে। এই প্রাণঘাতী অস্ত্রকে ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছে এসবসহ একে একে নামগুলো আসবে। যে কারণে আমাদের অভিযোগে কোনো নাম দেইনি আমরা। আমরা আশা রাখছি এই সরকার এবং ট্রাইবুনাল আমাদের আশা পূরণ করতে সক্ষম হবে।

    তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে সুপেরিয়র হিসাবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর এর দায়ভার যায়, যা আমরা সবাই জানি। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় তথ্য প্রমাণের কারণে সেই পর্যন্ত যাওয়া সম্ভব হয় না। বিচারকার্যে প্রমাণাদি হচ্ছে সবচেয়ে মুখ্য বিষয়। তাই কোনো এভিডেন্স ছাড়া যদি আমরা সেই প্রক্রিয়ায় যাই, তাহলে বিচারকার্য বাধাগ্রস্ত হতে পারে। আমরা চাই না এ বিচারকার্য বাধাগ্রস্ত হোক। আমরা যাতে ন্যায় বিচার পাই সেজন্যই আমরা এভাবে চেয়েছি।

    ১৮ জুলাই মুগ্ধের হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বড় ভাই দীপ্ত বলেন, মুগ্ধ যেখানে মারা যায় তার ১০ কদম দূরেই হাসপাতাল ছিল। হাসপাতালে নেওয়ার পর ডাক্তাররা তাকে স্পটডেড ঘোষণা করেন। সেখানে আমাদের পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয়েছে। তখন হাসপাতালে ডাক্তাররা আমাদেরকে বারবার বলছিল লাশ দিয়ে যাওয়ার জন্য। কারণ, পুলিশ আসলে পরবর্তীতে আমরা লাশ নাও পেতে পারি। পরে সেখান থেকে ডেথ সার্টিফিকেট নিয়ে আমরা দ্রুত বাসায় লাশ নিয়ে যাই।

    তিনি বলেন, মুগ্ধর লাশ কবরস্থ করার সময় ও আমাদের অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। লাশ দাফন করার জন্য পুলিশের এনওসি’র প্রয়োজন হয়। এর জন্য আমরা থানায় গিয়েছি। কিন্তু থানা থেকে আমাদেরকে বলে দেওয়া হয়েছে, তাদের এখন কলমের একটি দাগ দেওয়ার পর্যন্ত অনুমতি নেই।