Blog

  • উপবৃত্তির অর্থ বিতরণ শিগগিরই শুরু, কোন শ্রেণির শিক্ষার্থী কত টাকা পাবে?

    উপবৃত্তির অর্থ বিতরণ শিগগিরই শুরু, কোন শ্রেণির শিক্ষার্থী কত টাকা পাবে?

    সরকারি উপবৃত্তির অর্থ খুব শীঘ্রই শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ শুরু হবে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। ইতোমধ্যেই স্কুল ও কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির পরিমাণ নির্ধারণ করে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে নিচে বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হলো – কোন শ্রেণির শিক্ষার্থী উপবৃত্তি বাবদ কত টাকা করে পাবে।
    স্কুল ও মাদ্রাসা পর্যায় (ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি):
    ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণি:
    মাসিক উপবৃত্তির হার ২০০ টাকা।
    👉 ছয় মাসে ১২০০ টাকা,
    👉 বারো মাসে ২৪০০ টাকা।

    অষ্টম শ্রেণি:
    মাসিক ২৫০ টাকা।
    👉 বারো মাসে মোট ৩০০০ টাকা।
    নবম ও দশম শ্রেণি:
    মাসিক ৩০০ টাকা।
    👉 বারো মাসে ৩৬০০ টাকা।
    এছাড়া দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ফরম পূরণ, পরীক্ষার ফি ও বই ক্রয়ের খরচ বাবদ অতিরিক্ত অর্থ পায়। যারা এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে, তারাও ফরম পূরণের টাকা ফেরত পেয়ে থাকে।
    কলেজ/আলিম পর্যায় (একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি):
    একাদশ শ্রেণি (বিজ্ঞান বিভাগ):
    মাসিক উপবৃত্তি ৪০০ টাকা।
    👉 বারো মাসে মোট ৪৮০০ টাকা,
    👉 বই ক্রয় বাবদ অতিরিক্ত ১৫০০ টাকা।
    ➤ সর্বমোট: ৬৩০০ টাকা।
    একাদশ শ্রেণি (মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ):
    উপবৃত্তির হার একই – ৪০০ টাকা করে।
    👉 বারো মাসে মোট ৪৮০০ টাকা,
    👉 বই ক্রয়ের জন্য ১০০০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত সহায়তা পাওয়া যায়।
    ➤ সর্বমোট: প্রায় ৫৮০০ টাকা।
    দ্বাদশ শ্রেণি শিক্ষার্থীরাও একাদশ শ্রেণির অনুরূপ সুবিধা পায়। তবে মাঝে মাঝে এই টাকা দুটি কিস্তিতে – যেমন ২৪০০ টাকা ও ৩৯০০ টাকা করে দেওয়া হয়।

    গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
    উপবৃত্তি বছরে দুইবার কিস্তিতে প্রদান করা হয়ে থাকে, ছয় মাস পর পর।

    যেসব শিক্ষার্থীরা ষষ্ঠ শ্রেণিতে নাম অন্তর্ভুক্ত করে, তারা মৃত্যু, পড়ালেখা বন্ধ করা (Break of Study) অথবা নির্ধারিত নিয়ম ভঙ্গ না করলে দশম শ্রেণি পর্যন্ত উপবৃত্তি পেয়ে থাকে।
    এই অর্থ বিতরণ সংক্রান্ত আপডেট ICT কর্নার, শিক্ষা বিষয়ক ফেসবুক গ্রুপ ও সরকারি মাধ্যম থেকে পাওয়া যাচ্ছে।

    শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অনুরোধ করা হচ্ছে—এ বিষয়ে সচেতন থাকতে ও সময়মতো তথ্য যাচাই করে উপবৃত্তির অর্থ সংগ্রহ করতে।

  • ‘প্লিজ! সব বিষয়ে কথা বলবেন না’— শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে রনি

    ‘প্লিজ! সব বিষয়ে কথা বলবেন না’— শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে রনি

    সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে অনুরোধ জানিয়ে সাবেক সংসদ সদস্য ও কলামিস্ট গোলাম মাওলা রনি বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রতি অনুরোধ! প্লিজ! সব বিষয়ে কথা বলবেন না! অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে—আপনি এখনো অনুমান করতে পারছেন না যে, আপনি নিজে এবং আপনার স্নেহধন্য সালমান আনিসুল গং এবং এস আলম গং দেশের কী সর্বনাশ করেছেন!’

    মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাতে রনি তার ফেসবুক পেজে এই মন্তব্য করে একটি স্ট্যাটাস দেন।

    গোলাম মাওলা রনির স্ট্যাটাসটি ইত্তেফাক ডিজিটালের পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো—

    ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রতি অনুরোধ! প্লিজ! সব বিষয়ে কথা বলবেন না! অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে- আপনি এখনো অনুমান করতে পারছেন না যে আপনি নিজে এবং আপনার স্নেহধন্য সালমান আনিসুল গং এবং এস আলম গং দেশের কি সর্বনাশ করেছেন!

    দ্বিতীয়ত আপনি হয়তো মনে করছেন- ড. ইউনুস ব্যর্থ আর দেশবাসী ফুলের মালা নিয়ে আপনার জন্য অপেক্ষা করছে! কিন্তু বাস্তবতা যে কতটা নির্মম তা আপনার নিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার জনাব নুরুল হুদার গালে জুতার আঘাত এবং গলায় জুতার মালার ঘটনা থেকেই আপনার অনুমান করা উচিত।

    রাষ্ট্র জনাব হুদার পাশে দাঁড়িয়েছে! দেশের সুশীল সমাজ রাষ্ট্রীয় সংহতির স্বার্থে নুরুল হুদার পক্ষে কথা বলছেন বটে কিন্তু আম জনতা এই ঘটনায় খুশি এবং আগামীতে এমন ঘটনা আরও কত নির্মম হতে পারে যা যদি পরখ করতে চান তবে আপনার বেনজির বিপ্লবদেরকে একটু দেশে পাঠিয়ে দেখতে পারেন!

    আপনি যখন নুরুল হুদা সাহেবের পক্ষে বলেন তখন রাষ্ট্র আর সুশীল সমাজের আর মুখ থাকে না। তারা তখন আম জনতার পক্ষে চলে যেতে বাধ্য হয়! আপনার দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আপনার কথার যে মূল্য রয়েছে তা সঙ্গে সঙ্গে বুমেরাং হয়ে যায় যখন আপনি আম জনতার উদ্দেশে কিছু বলার চেষ্টা করেন!

    আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন!’

  • মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশে ভয়াবহ বিস্ফোরণ

    মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশে ভয়াবহ বিস্ফোরণ

    মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সিরিয়ায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে। দেশটিতে অন্তত ১০টি শক্তিশালী বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।

    বুধবার (২৫ জুন) মেহের নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়ায় একের পর এক শক্তিশালী বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছে লাতাকিয়া প্রদেশের গ্রামীণ এলাকা। স্থানীয় ও আঞ্চলিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, সিরিয়ার লাতাকিয়া প্রদেশের গ্রামীণ এলাকায় অবস্থিত কুরফায়েস গ্রামের কাছে ১০টিরও বেশি শক্তিশালী বিস্ফোরণ সংঘটিত হয়েছে। এই বিস্ফোরণগুলো ক্ষমতাসীন আল জোলানি গোষ্ঠীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিদেশি জঙ্গি গোষ্ঠীর ঘাঁটিগুলোকে নিশানা করে সংঘটিত হয়েছে।

    আল মায়াদিন টিভি জানিয়েছে, জোলানি শাসনের তথাকথিত প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ড্রোন ইউনিটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট স্থাপনাগুলোতে এই হামলা হয়েছে। স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, এই বিস্ফোরণগুলোর তীব্রতা এতটাই প্রবল ছিল, আশপাশের এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ঘটনার বিস্তারিত তথ্য এখনো প্রকাশ করা হয়নি। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, এলাকাটিতে ১০টিরও বেশি তীব্র বিস্ফোরণ হয়েছে। তবে এসব হামলার পেছনে কে বা কারা রয়েছে বা ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত কিছু এখনো জানা যায়নি। সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থল ঘিরে তদন্ত শুরু করেছে।

  • ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দাঁড়াল ভারত-চীন-রাশিয়া জোট

    ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দাঁড়াল ভারত-চীন-রাশিয়া জোট

    ভারত-চীন-রাশিয়া নেতৃত্বাধীন জোট-ব্রিকস ইরানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। পাশাপাশি ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে এ জোট। খবর আলজাজিরার।

    ব্রাজিল, চীন, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, রাশিয়াসহ উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর একটি জোট ব্রিকস। ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের ইরানের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক হামলার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এটিকে আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘের সনদের লঙ্ঘন হিসেবে বর্ণনা করেছে তারা।

    মঙ্গলবার (২৪ জুন) ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর জারি করা এক বিবৃতিতে, ব্রিকস ইরানের “শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনা”গুলোতে হামলার সমালোচনা করেছে। তাদের মতে, আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘের পারমাণবিক নিয়ন্ত্রক সংস্থার নিয়ম লঙ্ঘন করে হামলা পরিচালিত হয়েছে।

    জোটটি যুদ্ধরত পক্ষগুলোকে কূটনীতিতে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেছে, ‘পরিস্থিতি উত্তেজনামুক্ত করার এবং শান্তিপূর্ণ উপায়ে তাদের মতভেদ নিরসনের লক্ষ্যে আলোচনার বিকল্প নেই।’

    ইরান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতও ব্রিকস সদস্য। জোটের মতে, সংলাপের মাধ্যমে ‘হিংসার চক্র ভাঙা এবং শান্তি পুনরুদ্ধারের প্রয়োজন’ রয়েছে।

  • ছেলের বউকে ধর্ষণের দায়ে শ্বশুরের যাবজ্জীবন

    ছেলের বউকে ধর্ষণের দায়ে শ্বশুরের যাবজ্জীবন

    ফরিদপুরে ছেলের বউকে (২২) ধর্ষণের দায়ে গণি খাঁ (৫৬) নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। মঙ্গলবার ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভীন এ আদেশ দেন।
    বুধবার (২৫ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া।

    জানা যায়, দণ্ডপ্রাপ্ত গণি খাঁ নগরকান্দা উপজেলার গোয়াইলপোতা গ্রামের আমির খার ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে পুলিশ প্রহরায় জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
    ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূর পরিবার জানায়, স্বামী প্রবাসে থাকায় ২০১৯ সালের ২০ এপ্রিল ওই গৃহবধূ শ্বশুরের ধর্ষণের শিকার হন। একপর্যায়ে তিনি গর্ভবতী হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে একই বছরের ২৮ জুন নগরকান্দা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন ওই গৃহবধূর ভগ্নিপতি। মামলাটি তদন্ত করেন ফরিদপুরের নগরকান্দা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুস সালাম খান। তিনি তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ২০ আগস্ট গনি খাঁকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেন।

    আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া বলেন, এ ঘটনাটি পারিবারিক নিরাপত্তা ও সামাজিক মর্যাদার জন্য হুমকি স্বরূপ। এ রায়টি একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে।

  • ইরানের পরমাণু স্থাপনা ধ্বংস হয়নি, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা প্রতিবেদনের দাবি

    ইরানের পরমাণু স্থাপনা ধ্বংস হয়নি, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা প্রতিবেদনের দাবি

    যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ইরানের পরমাণু কর্মসূচির মূল কাঠামো ধ্বংস হয়নি এবং এতে দেশটির প্রকল্প মাত্র কয়েক মাস পিছিয়েছে বলে জানিয়েছে পেন্টাগনের গোয়েন্দা সংস্থা ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (ডিআইএ)।

    ডিআইএ-এর প্রাথমিক গোয়েন্দা মূল্যায়নের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমগুলো জানায়, গত সপ্তাহান্তে যুক্তরাষ্ট্রের বোমারু বিমানের হামলায় ইরানের ফোর্দো, নাতানজ ও ইসফাহান পরমাণু স্থাপনাগুলো লক্ষ্যবস্তু করা হয়। তবে এসব হামলায় মূল ভূগর্ভস্থ অবকাঠামো ও ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ প্রযুক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।

    সূত্রগুলোর বরাতে জানানো হয়, হামলার সময় ইরান বেশিরভাগ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম ও গুরুত্বপূর্ণ সেন্ট্রিফিউজ সরিয়ে নিয়েছিল। ভূগর্ভস্থ স্থাপনাগুলোর বেশিরভাগ অংশ রয়ে গেছে অক্ষত। হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মূলত ভূ-পৃষ্ঠের কাঠামো, বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা ও পরমাণু ধাতুতে রূপান্তরের কিছু অংশ।

    ডিআইএ-এর এই মূল্যায়ন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথের দাবির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তারা দুজনেই দাবি করেছিলেন যে, হামলায় ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ‘সম্পূর্ণ ধ্বংস’ হয়েছে। ট্রাম্প এক বক্তব্যে বলেন, “৩০,০০০ পাউন্ডের বোমা যখন নির্ভুলভাবে ফেলা হয়, তখন ধ্বংস নিশ্চিত।”

    তবে হোয়াইট হাউস ডিআইএ-এর এই মূল্যায়নকে “ভুল” এবং “গোপন তথ্য ফাঁসের উদাহরণ” হিসেবে বর্ণনা করেছে। প্রেস সেক্রেটারি কারোলাইন লেভিট বলেন, “এটি একটি নিম্নপদস্থ কর্মকর্তার গোপন তথ্য লিক করার অপচেষ্টা, যার একমাত্র উদ্দেশ্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও সাহসী পাইলটদের সম্মানহানি করা।”

    ডিআইএ ছাড়াও মিডলবারি ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ-এর অস্ত্র বিশেষজ্ঞ জেফ্রি লুইস বাণিজ্যিক স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ করে জানান, হামলায় ইরানের পরমাণু কর্মসূচির মূল অংশ অক্ষত রয়েছে। তিনি বলেন, “ফোর্দো, নাতানজ ও ইসফাহান—এই ভূগর্ভস্থ সুবিধাগুলো এখনো কার্যকর এবং ইরান এখান থেকে দ্রুত কর্মসূচি পুনরায় শুরু করতে পারে।”

    অন্যদিকে, ইসরায়েলের গোয়েন্দা মূল্যায়ন বলছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের যৌথ হামলায় ইরানের কর্মসূচি প্রায় দুই বছর পিছিয়েছে—যদিও তাদের আশঙ্কা, ইরান যদি বাধাহীনভাবে পুনর্গঠন করতে পারে, তবে এই ধাক্কা তেমন বড় প্রভাব ফেলবে না।

    এদিকে, হামলার বিষয়ে মার্কিন কংগ্রেসে নির্ধারিত গোপন ব্রিফিং হঠাৎ স্থগিত করা হয়েছে। কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট সদস্যরা এর কারণ জানতে চেয়েছেন।

    সব মিলিয়ে, ইরানের পরমাণু সক্ষমতা কতটা ব্যাহত হয়েছে—তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্থার মূল্যায়নে মতভেদ থাকলেও, অধিকাংশ বিশ্লেষকের ধারণা, দেশটির কর্মসূচি পুরোপুরি ধ্বংস না হয়ে অস্থায়ীভাবে থমকে গেছে।

  • ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের হামলায় ৭ ইসরায়েলি সেনা নিহত

    ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের হামলায় ৭ ইসরায়েলি সেনা নিহত

    সম্প্রতি ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের হামলায় নিহত ছয় সৈন্যের নাম প্রকাশ করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)। তবে সপ্তম সেনার নিহতের খবর তার পরিবারকে এখনও না জানানোর কারণে তার নাম গোপন রাখা হয়েছে।

    বুধবার (২৫ জুন) ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, মঙ্গলবার গাজায় নিহত হওয়া সাত সেনার বয়স ১৯ থেকে ২১ বছরের মধ্যে। তারা সবাই ইসরায়েলের ৬০৫তম কমব্যাট ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাটালিয়নের সদস্য ছিলেন।

    মঙ্গলবার রাতে গাজায় ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের অতর্কিত হামলায় একই ইউনিটের অষ্টম সৈন্যও গুরুতর আহত হন এবং তার চিকিৎসার জন্য ইসরায়েলে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে দখলদার বাহিনী।

    নিহত ছয় ইসরায়েলি সেনা হলেন— লেফটেন্যান্ট মাতান শাই ইয়াশিনোভস্কি (২১), স্টাফ সার্জেন্ট রোনেল বেন-মোশে (২০), স্টাফ সার্জেন্ট নিভ রাদিয়া (২০), সার্জেন্ট রোনেন শাপিরো (১৯), সার্জেন্ট শাহার মানোভ(২১) এবং সার্জেন্ট মায়ান বারুচ পার্লস্টেইন (২০)।

    ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর (আইডিএফ) প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী, খান ইউনিসে সৈন্যরা যখন গাড়ি চালাচ্ছিল তখন একজন ফিলিস্তিনি যোদ্ধা পুমা সাঁজোয়া কমব্যাট ইঞ্জিনিয়ারিং গাড়িতে বিস্ফোরক ডিভাইস ব্যবহার করে হামলা চালায়। এতে গাড়িটি বিস্ফোরিত হয় এবং আগুন লেগে যায়। ভেতরে থাকা সব সৈন্য আগুনে পুড়ে মারা যায়। তাদের পোড়া দেহাবশেষ পরে টেনে বের করা হয়।

    আইডিএফ জানিয়েছে, খান ইউনিস এলাকায় আরেকটি পৃথক ঘটনায় গোলানি ব্রিগেডের ৫১তম ব্যাটালিয়নের দুই সৈন্য আরপিজির গুলিতে আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।

    এর আগে মঙ্গলবার গাজার উত্তরে জাবালিয়ায় তিন ইসরায়েলি সেনা নিহত হওয়ার দাবি করে হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড। অন্যদিকে আল-কুদস ব্রিগেড মধ্য খান ইউনিসে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিভাইস দিয়ে একটি ইসরায়েলি সামরিক যান ধ্বংস করার দাবি করে।

    সূত্র: আল জাজিরা, টাইমস অব ইসরায়েল

  • জ্বর আতঙ্কে জনজীবন, অবহেলা না করার পরামর্শ চিকিৎসকদের

    জ্বর আতঙ্কে জনজীবন, অবহেলা না করার পরামর্শ চিকিৎসকদের

    দুই দিন ধরে জ্বরে ভুগছেন বেসরকারি চাকরিজীবী শাকিরুল। শরীরব্যথাও রয়েছে। এমন জ্বর সাধারণত ‘মৌসুমি ফ্লু’ ভেবে অবহেলা করলেও এবার দুশ্চিন্তায় পড়ে যান তিনি। কারণ, সম্প্রতি ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ও করোনাভাইরাস—এই তিন ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েছে। ফলে সংক্রমণের আশঙ্কায় নিজের পরিবারের সদস্যদের দিকেও চোখে চোখে রাখছিলেন। শেষ পর্যন্ত পরীক্ষা করে দেখা যায়, তার জ্বর সাধারণ ভাইরাসজনিত।

    তবে শুধু শাকিরুল নন, এখন জ্বর হলেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে সাধারণ মানুষের মাঝে। আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে বাড়ছে ভাইরাসঘটিত নানা রোগ। টাইফয়েড, মৌসুমি ফ্লু কিংবা ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, করোনা—এদের উপসর্গ একে অপরের সঙ্গে মিলে যাওয়ায় মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছে। অনেক ক্ষেত্রেই পরীক্ষায় ফলাফল নেগেটিভ এলেও উপসর্গ থেকেই যাচ্ছে।

    হাসপাতাল ঘুরে জানা গেছে, জ্বর নিয়ে রোগী আসার সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে। সরকারি ১৮টি হাসপাতালে বর্তমানে ২৪২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন। এর মধ্যে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এছাড়া ঢাকার ৫৯টি বেসরকারি হাসপাতালে আরও ৬৮ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন।

    স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর বরিশাল বিভাগে ডেঙ্গুর প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। সেখানে সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরে ৩ হাজার ৮৬৬ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন, যা মোট আক্রান্তের প্রায় অর্ধেক। এছাড়াও চট্টগ্রামে ১ হাজার ৩১২ জন, ঢাকার বাইরে ৭৯৬ জন, খুলনায় ২৫৯ জন, রাজশাহীতে ২৬১ জন, ময়মনসিংহে ১১৩ জন, রংপুরে ২৬ জন এবং সিলেটে ২১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

    আর ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় ৬৮২ জন এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ১ হাজার ২০৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন। মৃত্যুর দিক থেকেও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকাই সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। এখানে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বরিশালে ৮ জন, চট্টগ্রামে ৪ জন, খুলনায় ২ জন এবং ঢাকা ও ময়মনসিংহে ১ জন করে মারা গেছেন।

    চিকুনগুনিয়া নিয়েও উদ্বেগ বাড়ছে। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র আইসিডিডিআর,বি’র তথ্যে দেখা গেছে, চলতি জুন মাসের প্রথম তিন সপ্তাহে তাদের ল্যাবে পরীক্ষা করাতে আসা ১৭১ জনের মধ্যে ১৪০ জনের দেহে চিকুনগুনিয়া ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার প্রায় ৮২ শতাংশ। অন্যদিকে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর বলছে, তাদের পরীক্ষায় ৩৩৭টি নমুনার মধ্যে ১৫৩ জনের দেহে ভাইরাস পাওয়া গেছে, শনাক্তের হার ৪৫ শতাংশ। তবে প্রকৃত রোগী সংখ্যার সঠিক চিত্র সরকারের কাছে নেই, কারণ সমন্বিত কোনও তথ্যভান্ডার এখনও তৈরি হয়নি।

    মঙ্গলবার (২৪ জুন) বাংলাদেশ মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত একটি ‘কনটিনিউয়িং মেডিক্যাল এডুকেশন (সিএমই)’ সেশনে দেশের ভাইরাসজনিত জ্বরের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আবেদ হোসেন খান উপস্থাপনায় জানান, বর্ষা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাস জ্বরের প্রকোপ বেড়েছে। ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া এবং কোভিড-১৯ এর নতুন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বাড়ছে উদ্বেগজনক হারে।

    তিনি বলেন, ‘জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সময়কালকে ভাইরাসজনিত জ্বরের জন্য সবচেয়ে সংবেদনশীল ধরা হয়। এই তিন ভাইরাস মিলে দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার ওপর বড় চাপ সৃষ্টি করছে। চিকিৎসা খাতের অবকাঠামো, প্রশিক্ষণ ও জনসচেতনতা না বাড়ালে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে।’

    ২০১৭ সালের পর ফের দেশে চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে জানিয়ে ডা. আবেদ বলেন, এই ভাইরাসে মৃত্যুর হার কম হলেও রোগের পরে দীর্ঘমেয়াদি উপসর্গ—যেমন গিটে ব্যথা, র‌্যাশ ও দুর্বলতা—রোগীর দৈনন্দিন জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তাই এটি সাধারণ জ্বর ভেবে অবহেলা করা উচিত নয়।

    ডেঙ্গু সংক্রমণের বিষয়ে তিনি জানান, বর্তমানে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ বরিশাল ও বরগুনা জেলায়। চলতি জুন মাসে ১ হাজার ৮৭৭ জন রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শুধু এ সপ্তাহেই বরিশালে ৫ জন এবং ঢাকায় ২ জন মারা গেছেন। বর্তমানে ডেঙ্গুর মধ্যে ডেন-১, ডেন-২ এবং ডেন-৩ সেরোটাইপ সবচেয়ে বেশি সক্রিয়। অপরিকল্পিত নগরায়ন, মশা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা এবং জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রধান কারণ।

    এসময় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের বিষয়েও কথা বলেন তিনি। বলেন, তিন ডোজ টিকা নেওয়ারা তুলনামূলকভাবে নিরাপদ হলেও নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘ফ্লুরোনা’ (ফ্লু ও করোনা একসঙ্গে সংক্রমণ) রোগীদের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। বিশেষ করে ডায়াবেটিস, স্থুলতা, ক্যান্সার বা কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি।

    বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. ফজলে রাব্বি চৌধুরী বলেন, বর্তমানে করোনায় জ্বরের সঙ্গে শরীরব্যথা, মাথাব্যথার উপসর্গও বাড়ছে, ফলে পরীক্ষার আগে এটি শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ছে। ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার পার্থক্য করতে গিয়ে তিনি বলেন, চিকুনগুনিয়ায় হাড়ের জয়েন্ট ও মাংসপেশিতে ব্যথা বেশি হয় এবং র‌্যাশ দেখা দেয় দ্রুত। ডেঙ্গুতে চোখের পেছনে ব্যথা, পাতলা পায়খানা ও পেটব্যথা বেশি লক্ষ্য করা যায়। সাধারণ ভাইরাস জ্বরে সর্দি-কাশির সঙ্গে হালকা গায়ে ব্যথা থাকে এবং তা চার দিনের মধ্যে সেরে যায়। তবে এর চেয়ে বেশি স্থায়ী হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

    জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, ‘স্বাস্থ্য বিভাগকে কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে নমুনা সংগ্রহের ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি যেসব এলাকায় রোগী বেশি, সেখানে দ্রুত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমও জোরদার করতে হবে, না হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে পারে।’

    অন্য এক জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমানে একসঙ্গে একাধিক ভাইরাস বাড়ছে—করোনা, ডেঙ্গু, ডায়রিয়া ইত্যাদি। সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছে যে কোনটা কোন রোগ। এজন্য ভয়ের কিছু নেই, সচেতনতা জরুরি। লক্ষণ দেখা দিলেই পরীক্ষা ও চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।’

  • স্বাধীন বাংলাদেশে দুদকের চা খাওয়ার বিল ১ লাখ টাকা: হাসনাত

    স্বাধীন বাংলাদেশে দুদকের চা খাওয়ার বিল ১ লাখ টাকা: হাসনাত

    দুর্নীতির কোনো অভিযোগ না থাকলেও ক্লিয়ারেন্স নিতে স্বাধীন বাংলাদেশে ১ লাখ টাকা দিতে হয় বলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ।

    মঙ্গলবার (২৪ জুন) ফেসবুকের এক পোস্টে এই অভিযোগ করেছেন হাসনাত আবদুল্লাহ।

    হাসনাত আবদুল্লাহর ফেসবুক পোস্ট হুবহু তুলে ধরা হলো: আপনার নামে দুর্নীতির কোন অভিযোগ না থাকলেও সেটার ক্লিয়ারেন্স নিতে আপনাকে ১ লাখ টাকা দিতে হবে। সম্প্রতি মাহমুদা মিতুর কাছে থেকে এই টাকা চাওয়া হয়েছে দুদকের ডিজি আকতার আর তার ডিডি পরিচয়ে। মাহমুদা মিতুকে বলা হয় আপনি একজন ডাক্তার, আপনার তো টাকা পয়সার অভাব থাকার কথা না, আপনি এক লাখ টাকা দিয়ে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে যান।

    দুদকের সর্বনিম্ন রেট নাকি ১ লাখ টাকা। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আকতার আবার ফোন দিয়ে জানতে চায়, টাকা দিবে কি না? টাকা না দিলে নাকি খবর করে ছেড়ে দেওয়া হবে। রেড ক্রিসেন্টে মাহমুদা মিতু যোগ দিয়েছেন ৫ আগস্টের পরে। দুদক এখন তদন্ত করছে আওয়ামী লীগের সময়ের দুর্নীতি নিয়ে।

    অথচ হাস্যকরভাবে আওয়ামী আমলের কর্মকর্তাদের নাম না দিয়ে তখনকার দায় চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে এখনকার লোকজনের উপর। এখানে বড় অংকের টাকার লেনদেনের সমূহ সম্ভাবনা আছে। কিছু না করাদের কাছে থেকেই যদি ১ লাখ করে নেয়, আওয়ামী লীগ আমলের কর্মকর্তাদের থেকে তাহলে কত করে নিয়েছে?

    দুদকের এইসব কাজকারবার এই প্রথম না। হাসিনার আমলে খালেদা জিয়াসহ বিরোধী দলের বহু নেতাকে এরা হয়রানি করেছে। অথচ আওয়ামী লীগের হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি নিয়ে এরা কিছুই বলেনি। আমরা আশা করেছিলাম, ৫ আগস্টের পর এদের মধ্যে পরিবর্তন আসবে। কিন্তু আসেনি। বরং এরা এখন চা খাওয়ার জন্য ১ লাখ করে টাকা চাওয়া শুরু করেছে। মাহমুদা মিতু সাহস করে ভিডিও করে রেখেছেন, অন্যায় ঘুষ দেন নাই, কিন্তু কত সাধারণ মানুষ এদের এই চায়ের বিল দিতে বাধ্য হয়েছে জানা নেই।

    আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। মাহমুদা মিতু কেন, যদি আমার নামেও এক পয়সা দুর্নীতির অভিযোগ আসে, সেটা মানুষের সামনে প্রকাশ করে দিন। কাউকে ফোন করারও দরকার নেই দুর্নীতি পেলেই সেগুলো প্রকাশ করে মামলা করে দেন। আইনের হাতে তুলে দিন। তা না করে নিরীহ লোকজনের উপরে এই চাঁদাবাজি কেন করছেন? কেন চা খাওয়ার বিল চান, কেন টাকা না দিলে হুমকি দেন? ফ্যাসিবাদের পতনের পর আমরা একটা নতুন বাংলাদেশ চাই। হাসিনার করে যাওয়া দুর্নীতির পথে যেন আর কেউ না যেতে পারে সেজন্য দুদককেও আমরা নতুন রূপে দেখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু নতুন বাংলাদেশেও দুদক সেই পুরনো পথেই হাঁটা শুরু করেছে। আমলাতন্ত্র আবারও বিষদাঁত নিয়ে কামড় বসাতে হাজির হয়েছে। এই বিষদাঁত ভাঙতে না পারলে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন হেরে যাবে, আমরাও হেরে যাবো। আমরা দুদকের এই দুর্নীতির বিচার চাই। আমলাদেরকে এক লাখ টাকার চা খাওয়ানোর জন্যই কি জুলাইতে বাংলাদেশের মানুষ জীবন দিয়েছিল?

  • যেসব এলাকায় ২ দিন বিদ্যুৎ থাকবে না

    যেসব এলাকায় ২ দিন বিদ্যুৎ থাকবে না

    চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন এলাকায় দুই দিনব্যাপী বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। আগামী ২৫ ও ২৬ জুন সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এসব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)।

    মঙ্গলবার (২৪ জুন) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে সংস্থাটি।

    বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২৫ জুন (বুধবার) সকাল ৭টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-পাহাড়তলীর আওতাধীন একে খান মোড়, অলংকার, পিসি রোড, নয়া বাজার, মৌসুমী আবাসিক এলাকা, অলংকার, ১ নম্বর পানির কল, জোলার হাট, সাগরিকা রোড, বিসিক শিল্প নগরী, ওয়াসা এক্সপ্রেস, কোটস বাংলাদেশ, হাক্কানী আয়রন মার্ট, ধোপা পাড়া, বণিক পাড়া, পাঠান পাড়া, পিসি রোড, সাগরিকা রোড, নয়া বাজার, কাজীরদীঘি, মৌসুমি আবাসিক এলাকা, লোহার পুল, গ্রিন ভিউ আবাসিক এলাকা মোহনা আবাসিক এলাকা, বাচামিয়া রোড, আমতলা, কাঁচা রাস্তা, ফইল্যাতলী, ছধু চৌধুরী রোড, বাইন্না পাড়া, জেলে পাড়া, খেজুর তলা, কাস্টম একাডেমি সংলগ্ন, লবণ ফ্যাক্টরি রোড, মহাশ্মশান, গলিচিপা পাড়া, বারুনী ঘাটা, বশির শাহ মাজার, একতা আবাসিক এলাকা, চৌধুরী আনাসিক এলাকা, সূচনা আবাসিক এলাকা, নাথপাড়া আশ-পাশের এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।

    ২৬ জুন (বৃহস্পতিবার) সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-পাহাড়তলীর আওতাধীন বিশ্বকলোনি, নোয়াপাড়া, আলী আজম সড়ক, পশ্চিম ফিরোজশাহ, একে খান মোড়, অলংকার, পিসি রোড, নয়া বাজার, মৌসুমী আবাসিক এলাকা, সাগরিকা রোড, বিটাক বাজার, জঙ্গল সলিমপুর, বাগান বাড়ি, কালির হাট শিল্প এলাকা, উত্তর কাট্টলী, মুন্সী পাড়া, বিশ্বাস পাড়া, ঈশান মহাজন রোড, মোস্তফা হাকিম কলেজ রোড, ফইল্যাতলী বাজার কলেজ রোড, ছধু চৌধুরী রোড, বাইন্না পাড়া, পণ্ডিত বাড়ি, সেন বাড়ি, বশির শাহ মাজার, একতা আবাসিক এলাকা, জেলেপাড়া, ধোপাপাড়া, আশ-পাশের এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।

    বিপিডিবি জানিয়েছে, নির্ধারিত সময়ের আগেই কাজ শেষ হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরায় চালু করা হতে পারে। তবে গ্রাহকদের নিরাপত্তার স্বার্থে সব সময় বিদ্যুৎ লাইন সচল রয়েছে ধরে নিয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।

    সাময়িক অসুবিধার জন্য গ্রাহকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড।