Blog

  • নতুন ভূমি আইনে যেসব কাগজপত্র না থাকলে জমি হারাতে হবে

    নতুন ভূমি আইনে যেসব কাগজপত্র না থাকলে জমি হারাতে হবে

    ভূমি সংক্রান্ত জটিলতা, মামলা এবং দীর্ঘদিন ধরে চলা পারিবারিক বিরোধ অনেক সময়ই দেখা যায় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকার কারণে। নতুন ভূমি আইনে যে কাগজপত্র না থাকলে জমি হারাতে হবে- এই বাস্তবতা থেকে রক্ষা পেতে হলে এখনই সচেতন হওয়া জরুরি। জমির মালিকানা, ভোগদখল ও বিক্রয়ের ক্ষেত্রে যেসব দলিল অপরিহার্য, সেগুলো সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করলে ভবিষ্যতে নানাবিধ সমস্যা দেখা দিতে পারে।

    জমির দখল ও মালিকানা নির্ধারণে প্রমাণপত্রের গুরুত্ব

    জমি ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে রেজিস্ট্রার অফিসে সম্পাদিত স্ট্যাম্পে সইকৃত চুক্তিপত্রই জমির দলিল। এতে সাক্ষীর স্বাক্ষর ও রেজিস্ট্রারের সিল থাকে। এই দলিলের পূর্ববর্তী দলিলগুলোকেই বলা হয় বায়া দলিল।জেলা রেজিস্ট্রার অফিস থেকে দলিলের কপি সংগ্রহ করা যায়। জমির মালিক হিসেবে দলিল সংরক্ষণের দায়িত্ব মূলত আপনার।

    পর্চা ও খতিয়ানের ভূমিকা

    জমির খতিয়ান বা পর্চা হলো জরিপে প্রাপ্ত ভূমি সংক্রান্ত সরকারি নথির অনুলিপি। জমির মালিক পর্চা সংগ্রহের পর সেই নথিকে বলা হয় পর্চা। পর্চার মূল দলিল ভূমি অফিসে সংরক্ষিত থাকে, যাকে খতিয়ান বলা হয়।

    দাখিলা হলো খাজনা পরিশোধের সরকারি প্রমাণ

    ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা প্রদানের পর তহসিল অফিস থেকে যে রশিদ প্রদান করা হয়, সেটিই হলো দাখিলা। জমি বিক্রয়ের সময় দাখিলা দাখিল করা বাধ্যতামূলক। এটি জমি বর্তমানে কার দখলে আছে, তার বৈধতা প্রমাণ করে। এমনকি খাজনা মওকুফ থাকলেও দুই টাকা প্রদান করে দাখিলা সংগ্রহ করা সম্ভব।

    ওয়ারিশ সনদ ও সাকসেসন সার্টিফিকেট

    উত্তরাধিকার সূত্রে জমি পেতে হলে ওয়ারিশ বা উত্তরাধিকার সনদ অত্যন্ত জরুরি। এটি ইউপি চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র বা সিটি করপোরেশনের মেয়রের মাধ্যমে ইস্যু করা হয়। আদালতের মাধ্যমে যে উত্তরাধিকার সনদ ইস্যু হয়, সেটি সাকসেসন সার্টিফিকেট নামে পরিচিত।

    মিউটেশন (নামজারি) কপি

    জমির মালিকানার পরিবর্তনের রেকর্ড হিসেবে সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে মিউটেশন করতে হয়। দুই জরিপের মাঝামাঝি সময়ে জমির মালিকানা পরিবর্তন হলে তার দলিল হচ্ছে নামজারি বা মিউটেশন। এটি জমির মালিকানা প্রতিষ্ঠায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দলিল।

    আদালতের রায় ও ডিক্রি

    ভূমি সংক্রান্ত কোনো বিরোধ আদালতের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হলে সেই রায় বা ডিক্রি হচ্ছে চূড়ান্ত দলিল। আদালতের এই সিদ্ধান্ত ভূমি মালিকানা নির্ধারণে অন্যতম প্রমাণপত্র হিসেবে গণ্য হয়।

    মৌজা ম্যাপ ও বাস্তব খণ্ডচিত্র

    মৌজা ম্যাপ হলো ভূমির একাধিক খণ্ডচিত্রের ভিজ্যুয়াল প্রতিচ্ছবি। প্রতিটি জেলা প্রশাসকের অফিসে মৌজা ম্যাপ সংরক্ষিত থাকে এবং নির্ধারিত ফি দিয়ে তা সংগ্রহ করা যায়। এটি ভূমির সীমানা ও অবস্থান সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেয়।

    জমির দখল ও ব্যবহার

    জমির দখল প্রমাণের জন্য আলাদা সরকারি কাগজপত্র না থাকলেও দাখিলা বা রশিদই দখলের প্রমাণ হিসেবে কাজ করে। তবে জোরপূর্বক দখল নয়, বরং বৈধ মালিকানার ভিত্তিতে জমি ব্যবহার করাকেই আইন স্বীকৃতি দেয়।

    ভূমি আইনের বর্তমান বাস্তবতায় নিজের জমির দখল, মালিকানা এবং ব্যবহার নিশ্চিত করতে হলে উপরোক্ত নয়টি গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র সংগ্রহ ও সংরক্ষণ আবশ্যক। সচেতন না থাকলে শুধু জমি নয়, হারিয়ে যেতে পারে প্রজন্মের অর্জনও। এখনই সময় প্রয়োজনীয় দলিলগুলো সঠিকভাবে প্রস্তুত ও সংরক্ষণ করার, যাতে ভবিষ্যতে জমি সংক্রান্ত বিরোধ বা মামলার ঝুঁকি কমানো যায়।

    এ বিষয়ে আরও তথ্য জানার জন্য সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিস, আইনজীবী বা রেজিস্ট্রার দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

  • পুকুরটা সুন্দর ছিলো, পানি সব ঘোলা করে ফেলেছি : পরীমণি

    পুকুরটা সুন্দর ছিলো, পানি সব ঘোলা করে ফেলেছি : পরীমণি

    ঢাকাই সিনেমার আলোচিত অভিনেত্রী পরীমণি এবার ঈদুল আজহায় কাটিয়েছেন নানাবাড়ি পিরোজপুরে। শৈশবের স্মৃতি বিজড়িত একটি পুকুরে সাঁতার কাটছেন তিনি। ঠিক শৈশবের দিনগুলোর মতো আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতেছিলেন এ অভিনেত্রী।

    ভিডিওতে দেখা যায়, পরীমণি তার শৈশবের স্মৃতি বিজড়িত একটি পুকুরে জলকেলিতে মেতেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ভিডিও শেয়ার করেন অভিনেত্রী। সেই পুকুরে কাঁচের বাড়ি নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

    এই ভিডিওর ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘এখানেই আমার সমস্ত শৈশব! এখানে আসলেই আমি ছোটবেলায় ফিরে যাই। এই একটা ছোট্ট পুকুরে আমরা এত জন মিলে পুকুরের পানি সব ঘোলা করে ফেলেছি হিহি।’

    ভিডিওটি প্রকাশের পর থেকেই পরীমণির ভক্ত এবং অনুরাগীরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন। অনেকেই তার শৈশবের স্মৃতি রোমন্থন এবং প্রকৃতির সঙ্গে মিশে যাওয়ার দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। একজন মন্তব্য করেছেন, ‘পরীমণিকে অনেক সুন্দর লাগছে, ভিডিওটি অনেক সুন্দর হয়েছে।’

    তবে পরীমণির পোস্টের শেষ অংশটিই আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি ক্যাপশনে আরও উল্লেখ করেছেন, ‘কয়েকদিন পর এইখানে এই পুকুরটা থাকবে না। এখানে একটা কাঁচের বাড়ি বানাবো ইনশাআল্লাহ।’

    এই ঘোষণা অনেকের মনে প্রশ্ন ও উদ্বেগ তৈরি করেছে। একজন মন্তব্য করেছেন, ‘স্মৃতি বিজড়িত পুকুরটি নষ্ট করবেন কেন? বাড়িটি অন্য কোথাও বানালেও পারেন।’

    চলচ্চিত্র শিল্পে পরীমণি যেমন তার সাহসী ভূমিকা এবং স্পষ্টবাদীতার জন্য পরিচিত, তেমনি তার ব্যক্তিগত জীবনের বিভিন্ন দিকও বরাবরই আলোচনার বিষয় হয়েছে। এবার তার শৈশবের পুকুর এবং সেটিকে ভেঙে কাঁচের বাড়ি বানানোর পরিকল্পনা তাকে আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছে।

    প্রসঙ্গত, কয়েক বছর আগে পরীমণির নানা মারা গেছেন। তিনি ছিলেন অভিভাবক ও তার আশ্রয়স্থল। বর্তমানে ‘সিঙ্গেল মাদার’ হিসেবেই দুই সন্তানকে নিয়েই সময় কাটছে তার। পর্দা ও বাস্তবের পরীর সৌন্দর্যে মুগ্ধ সবাই।

  • ছেলে সন্তান পেতে কোন পদ্ধতি আছে কিনা, জানালেন ডা. তাসনিম জারা

    ছেলে সন্তান পেতে কোন পদ্ধতি আছে কিনা, জানালেন ডা. তাসনিম জারা

    ভারতীয় উপমহাদেশে ছেলে সন্তান পাওয়া নিয়ে মানুষের আগ্রহ অনেক। এ বিষয়ে সমাজে অনেক মিথ প্রচলিত আছে। প্রাচীনকালে অদ্ভূত কিছু পদ্ধতিও গ্রহণ করতেন নারী-পুরুষেরা। এখনও বিভিন্ন সমাজে এসবের প্রচলন রয়ে গেছে।

    আসলে পুত্রসন্তান পাওয়ার জন্য সহবাসের সময় কোনো বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি আছে কিনা? এমন প্রশ্নে জবাব দিয়েছেন ডা. তাসনিম জারা। এ বিষয়ে তিনি প্রাচীন ফ্রান্সের একটি উদাহরণ টানেন।

    তিনি বলেন, আজ থেকে প্রায় ২০০-২৫০ বছর আগের কথা। ফ্রান্সের সম্ভ্রান্ত পরিবারের পুরুষরা তাদের বাঁদিকের অণ্ডকোষ বেঁধে রাখতেন। আবার কেউ কেউ অণ্ডকোষ কেটেও ফেলতেন যাতে পুত্রসন্তান হয়। এ কাজটা করার পেছনে তাদের একটা চিন্তা ছিল, বৈজ্ঞানিক শোনা যায় এমন একটা ব্যাখ্যাও ছিল।

    ব্যাখ্যাটা হলো পুরুষের দুটি অণ্ডকোষ কাজ আলাদা। কেননা, অণ্ডকোশ দুটির আকার আলাদা, ডান দিকেরটা সাধারণত বড় থাকে। তাই তারা চিন্তা করতো ডান দিকের অণ্ডকোষ থেকে ছেলে হয় আর বাঁদিকে অণ্ডকোষ থেকে মেয়ে হয়। যেহেতু বাঁদিকের অণ্ডকোষ থেকে মেয়ে হয় তাই তারা সেটাকে কেটে ফেলতো বা বেঁধে রাখতো।

    এই কাজটি করার পেছনে একটি কারণ ছিল, সেখানকার একজন বিজ্ঞানী তার বইয়ে লিখেছিলেন যে, এই অণ্ডকোষ কেটে ফেলা খুব সহজ একটা অপারেশন। দাঁত ফেললে যেমন ব্যথা লাগে এটি কাটলে ঠিক তেমনই একটু ব্যথা লাগবে। তাই অণ্ডকোষ কেটে ফেলা পুত্রসন্তান পাওয়ার একটি কার্যকর উপায় হতে পারে।

    অন্যদিকে অণ্ডকোষ কাটার সাহস যাদের ছিল না তাদের জন্য ওই বিজ্ঞানী একটি উপায় বের করেছিলেন। সেটি হল- তাদের স্ত্রীরা সহবাসের পর যেন এক দিকে কাত হয়ে শুয়ে থাকে। পুরুষের যেমন অণ্ডকোষ দুইটা তেমনই মেয়েদেরও ডিম্বাশয় দুইটা থাকে। একদিকের ডিম্বাশয় ছেলে আর অন্য দিকেরটায় মেয়ে সন্তান হয়। সুতরাং যেই লিঙ্গের সন্তান সে চায় সেই দিকে সে কাত হয়ে শুয়ে থাকবে।

    এই কথাগুলো বর্তমান সময় শুনতে খুব হাস্যকর শোনালেও তখনকার সময়ে এ পদ্ধতিটা খুবই জনপ্রিয় ছিল। ওই বিজ্ঞানীর লেখা সেই বইটির অনেকগুলো কপি বিক্রি হয়েছিল সে সময়। বইটির নাম ছিল ‘দ্য আর্ট অব হেভিং বয়েস’ অর্থাৎ পুত্রসন্তান পাওয়ার আর্ট।

    পুত্রসন্তান পাওয়া জন্য যদি আপনাদেরকে কেউ কোনো চমকপ্রদ পদ্ধতির কথা বলে সেটা এড়িয়ে চলবেন। এটা এড়িয়ে চলাই ভালো। কেননা, এতে আপনার অর্থের ক্ষতি হতে পারে, সময়ের ক্ষতি হতে পারে এবং শারীরিক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। সত্যিকারার্থে ছেলে ও মেয়ে সন্তান জন্ম হওয়ার বিষয়টি পুরোটাই নির্ভর করে স্রষ্টার ইচ্ছার ওপর। এখানে মনুষ্য ইচ্ছার কোনো সুযোগ নেই।

  • ঘন্টা চুক্তিতে টয়লেটে যান কলেজের ছাত্রীরা, রইল লিংকসহ

    ঘন্টা চুক্তিতে টয়লেটে যান কলেজের ছাত্রীরা, রইল লিংকসহ

    ডিজিটাল বাংলাদেশে স’বকিছুই যেন ডি’জিটালের হাওয়া। ডিজিটাল হওয়ায় ভা’লোর পাশাপাশি আ’ছে খা’রাপ। এরই অংশ হিসাবে বর্তমা’নে রা’জধানীতে অবাধে চলছে ফোনে অশ্লি’লতা। আর ঢাকার তরুণীরা এক ঘন্টা বা দুই ঘন্টার চুক্তিতে এই ফোন ক’রতে বি’জ্ঞাপনের জ’ন্য ব্যবহার করছে বিভিন্ন ওয়েবসাইট, পাশাপাশি আ’ছে ফেস’বুকেরও ব্যবহার।ফলশ্রুতিতে এ বাণিজ্য মহা’নগরীতে এখন জমজমাট ব্য’বসা। তবে ফোনে গো’পন কাজ করার জ’ন্য আ’পনাকে ঘন্টা প্র’তি গু’নতে হবে টাকা।

    আর এই জ’ন্য আ’পনাকে অগ্রিম বিকাশ বা ফেলিক্সিলোড ক’রতে হবে নির্ধা’রিতফোন নম্বরে। নচেৎ সাড়া দেয়া হয় না। এ সং’ক্রা’’ন্ত অনেক ওয়েব সাইটে বি’জ্ঞাপনও প্র’চার করা হচ্ছে।ওই স’ব বি’জ্ঞাপনে ব’লে দেয়া হচ্ছে, বিকাশ বা ফেক্সিলোড মাধ্যম ছাড়া টাকা না পাঠিয়ে দয়া করে কেউ বি’র’ক্ত করবেন না। মিস ক’ল দেবেন না।

    আরও পড়ুন : হাতের নখের মধ্যে- হস্ত্ররেখা বিজ্ঞান আর জ্যোতিষ শাস্ত্রে এমন কিছু কথা বলা হয়েছে, যেগুলি সব কিছু জানার পর আপনি আপনার ভবিষ্যৎ খুব সহজেই জানতে পারবেন । আর এর সাহায্যে আপনি ভবিষ্যেতের ঘটনাগুলি আন্দাজ করতে পারবেন ।

    আর আমাদের হাতে আর পায়ে একম কিছু জিনিস থাকে যা আমাদের ভবিষ্যতের কথা বলে থাকে । আর আমাদের হাতের মধ্যে যে রেখা গুলি আছে তাদের অর্থ কিছু না কিছু হয়ে থাকে । আর মানুষের হাতের নখ তাদের নিয়ে অনেক কিছু বলে ।

    আর আপনারা নিজেদের নখ দেখেছেন আর আপনি লক্ষ করেছেন এই হাতের নখের মধ্যে একটি নখ থাকে। কিন্তু এই চিহ্নটি সকলেই নখে থাকে না । আর নখের উপর এই চিহ্ন আপনার নিয়ে অনেক রহস্য খুলে দিতে পারে । আর আজ আমরা এই নখের নিয়ে কিছু অজানা কথা আপনাদের জানাব ।

    আসলে এই অর্ধ চন্দ্রের মানে কি হয়ে থাকে ? আসলে যে মানুষের নখে এই ধরনের চিহ্ন থাকে তাদের জীবন খুব ভালো ভাবে কেটে থাকে । কিন্তু এই সব লোকেদের প্রথমে কঠিন পরিশ্রমের মাধ্যমে দিন কাটাতে হয়ে থাকে । কিন্তু পরিশ্রমের ফল সব সময় মিষ্টি হয়ে থাকে । আর যারা পরিশ্রম করে তারা ভালো জীবন কাটিয়ে থাকে ।

    আর যাদের নখের মধ্যে এই রকম চিহ্ন থাকে তাদের জীবন সঙ্গির জন্যে খুব ভাগ্যশালী হয়ে থাকে । আর এদের যারা জীবন সঙ্গী হবে তারা খুব পরিষ্কার মনের হবে । আর সে আপনাকে খুব ভালো বাসবে । কিন্তু তাঁর সব সময় খেয়াল রাখতে হবে নাহলে সে আপনার প্রতি অভিমান করতে পারে ।

    আর যাদের নখের মধ্যে এই চিহ্ন থাকে তারা খুব পরিশ্রমি হয়ে থাকে । আর তারা কঠিন থেকে কঠিন কাজ পরিশ্রম করতে কোন দিন পিছুপা হয় না । আর তারা নিজেদের কাজের জন্যে খুব সিরিয়াস হয়ে থাকে । তারা যে কাজটি একবার করব ভাবে তারা তা করেই ছাড়ে । আর তাঁর জন্যে কঠিন পরিশ্রম করে থাকে । আর যাদের নখে এই রকমের চিহ্ন থাকে তাদের নিজের দেশের জন্যে কিছু করে দেখানোর সৌভাগ্য পেয়ে থাকে । আর তাদের সব সময় সততার সাথে এগিয়ে যেতে হবে , আর কোন আশা সুযোগ কে কোন দিন হাতছাড়া করা উচিত নয়।

  • প্রকাশ্যে ইরানের পাশে পরমাণু শক্তিধর ৪ দেশ

    প্রকাশ্যে ইরানের পাশে পরমাণু শক্তিধর ৪ দেশ

    এবার ইরান আর একা নেই ইরান। পাশে দাড়িয়েছে ৪ পরমাণু শক্তিধর দেশ। শক্ত বার্তা দিয়েছে মুসলিম বিশ্বও। সৌদি আরব, তুরস্ক থেকে শুরু করে সংযুক্ত আরব আমিরাত পর্যন্ত প্রকাশ্যে এসেছে নেতানিয়াহু বিরোধী অবস্থানে। যুক্তরাষ্ট্র পাশে থাকলেও চাপে পড়েছেনবেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। যুদ্ধ শুরু করেই যেন হাওয়া হয়ে গেছেন। তার অবস্থান নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।

    এদিকে যুদ্ধের সমীকরণ পাল্টে দিতে এবার মাঠে নেমেছে চারটি পরমাণু শক্তিধর দেশ। তারা সরাসরি ইরানের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে। তেহরানে হামলার পর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিন্দার ঝড় উঠেছে। মুসলিম দেশগুলোর বাইরেও ইরানের মিত্র রাষ্ট্রগুলো এই হামলার বিরোধিতা করেছে।

    সম্প্রতি প্রতিবেশী দেশ ভারতকে হঠাৎ অস্বস্তিতে ফেলেছিল পাকিস্তান। দেশটির সঙ্গে ইরানের সীমান্ত রয়েছে, এবং দুই দেশের মধ্যে রয়েছে গভীর বন্ধুত্ব, বিশেষ করে নেতানিয়াহুর দেশ ইস্যুতে। এবার বড় সংকটে ইরানের পাশে দাঁড়িয়েছে পাকিস্তান। দেশটির দাবি, এই হামলা ইরানের সার্বভৌমত্ব এবং ভূখণ্ডগত অখণ্ডতা লঙ্ঘন করেছে। এটি জাতিসংঘ সনদ ও আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী।

    অন্যদিকে, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গেও ইরানের সম্পর্ক বরাবরই ইতিবাচক। কিম জং উন ও তেহরানের মধ্যে গোপন সমঝোতা রয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। কমন বন্ধু রাশিয়ার কারণে এই সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। ফলে উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে উত্তর কোরিয়াও ইরানের পাশে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো চীনের অবস্থান। চীন এখন কেবল অর্থনীতিতে নয়, সামরিক ও কূটনৈতিক প্রভাবেও বড় খেলোয়াড়। জাতিসংঘে চীনের প্রতিনিধি বলেছেন, তেল আবিব ইরানের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও অভ্যন্তরীণ অখণ্ডতা লঙ্ঘন করেছে। এবং তারা আরও একটি রেড লাইন অতিক্রম করেছে।”

    এদিকে রাশিয়ার প্রতিক্রিয়াও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। প্রেসিডেন্ট পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এক বিবৃতিতে বলেন, “এই হামলা অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং এটি আঞ্চলিক উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলবে।”

    উল্লেখ্য, পরমাণু অস্ত্র ইস্যুতে দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ফলে, ইরানের মিত্র রাশিয়াকে বিরক্ত করলে তার মূল্য দিতে হতে পারে যুক্তরাষ্ট্র ও নেতানিয়াহুকে। এমনই হুঁশিয়ারি শোনা যাচ্ছে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মুখে।

  • হামলা বন্ধে ইরানকে প্রস্তাব দিল জার্মানি-ফ্রান্স-যুক্তরাজ্য

    হামলা বন্ধে ইরানকে প্রস্তাব দিল জার্মানি-ফ্রান্স-যুক্তরাজ্য

    ইরান-ইসরায়েল পাল্টাপাল্টি হামলায় উভয়পক্ষেই প্রাণহানি ঘটছে। সামরিক স্থাপনার পাশাপাশি ধ্বংস হচ্ছে বেসামরিক সম্পদও। শক্তিশালী পক্ষের সংঘাত ঘিরে মধ্যপ্রাচ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধ ছড়ানোর আশঙ্কাও প্রবল। এমন পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন সারা বিশ্ব মূলত দুই ভাগে বিভক্ত।

    সৌদি আরব, তুরস্ক, কাতার, পাকিস্তান, ভেনেজুয়েলাসহ আরও অনেক দেশ ইসরায়েলকে উত্তেজনার জন্য দোষারোপ করেছে। তারা অবিলম্বে ইসরায়েলকে দখলদারি মনোভাব পরিহার করে শান্তির পথে হাঁটার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। কিন্তু অপরপক্ষ ইরানকেই সংঘাতের জন্য দায়ী করছে।

    সে কারণেই জার্মানি, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্য ইরানের সঙ্গে তার পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে। সংঘাত বন্ধে উদ্যোগটি গ্রহণ করার চাপ দিচ্ছে তেহরানকে।

    রয়টার্সের বরাতে দ্য টাইম অব ইসরায়েল জানায়, জার্মানি, ফ্রান্স ও ব্রিটেন মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি শান্ত করার লক্ষ্যে ইরানের সঙ্গে তার পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে তাৎক্ষণিক আলোচনা করতে প্রস্তুত। জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহান ওয়াদেফুল বলেছেন এসব কথা।

    মধ্যপ্রাচ্য সফরে থাকা ওয়াদেফুল বলেছেন, তিনি ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সংঘাত কমাতে অবদান রাখার চেষ্টা করছেন এবং উল্লেখ করেছেন যে তেহরান পূর্বে গঠনমূলক আলোচনায় প্রবেশের সুযোগ গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।

    জার্মান পাবলিক ব্রডকাস্টার এআরডিকে তিনি বলেন, আমি আশা করি এটি এখনও সম্ভব। জার্মানি, ফ্রান্স এবং ব্রিটেন একসঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত। আমরা ইরানকে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে তাৎক্ষণিক আলোচনার প্রস্তাব দিচ্ছি। আমি আশা করি (প্রস্তাব) গৃহীত হবে।

    ওয়াদেফুল বলেন, এই সংঘাতের শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পূর্বশর্ত। যাতে ইরান এই অঞ্চলের জন্য, ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্য বা ইউরোপের জন্য কোনো বিপদ না আনে।

  • ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সাংবাদিক ঢুকতে দিচ্ছে না ই*স*রা*য়েল

    ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সাংবাদিক ঢুকতে দিচ্ছে না ই*স*রা*য়েল

    ইরান জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের দুই সদস্যকে আটক করেছে।

    আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিম জানিয়েছে, অভিযুক্তদের আলবোরজ প্রদেশে আটক করা হয়েছে। তাঁরা বিস্ফোরক এবং ইলেকট্রনিক ডিভাইস প্রস্তুত করছিলেন।

    ইসরায়েলের সঙ্গে কয়েক দশক ধরে চলা ছায়াযুদ্ধে জড়িত ইরান মোসাদের সঙ্গে কথিত সংযোগের অভিযোগে অসংখ্য ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার ও মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। বিশেষ করে পারমাণবিক কর্মসূচিকে দুর্বল করার লক্ষ্যে নাশকতা ও গুপ্তহত্যার প্রচেষ্টার অভিযোগে অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়েছে ইরান।

  • ইরানের পাশে দাঁড়িয়ে ইসরায়েলকে যে বার্তা চীনের

    ইরানের পাশে দাঁড়িয়ে ইসরায়েলকে যে বার্তা চীনের

    ইরানে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলাকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং এক বিপজ্জনক উত্তেজনা বৃদ্ধির পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত করে চীন কড়া সমালোচনা করেছে।

    রোববার (১৫ জুন) চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পারমাণবিক ইস্যুর রাজনৈতিক সমাধানে কূটনৈতিক পথ এখনো পুরোপুরি বন্ধ হয়নি—এমন সময় এই হামলা অগ্রহণযোগ্য।

    ওয়াং ই আলাদাভাবে ইরান ও ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিওন সারকে তিনি বলেন, ‘ইরানে বলপ্রয়োগ করে হামলা চালিয়ে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে। বলপ্রয়োগ দিয়ে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি আনা যায় না।’

    তিনি দুই পক্ষকে আলোচনার টেবিলে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘কূটনীতির পথ এখনো শেষ হয়ে যায়নি।’

    ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচির সঙ্গে আলাপে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, ‘ইসরায়েলের হামলা ইরানের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও ভৌগোলিক অখণ্ডতার বিরুদ্ধে গুরুতর লঙ্ঘন। চীন এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।’

    তিনি আরও বলেন, পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা মধ্যপ্রাচ্যে বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে যা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি।

    চীনের এই অবস্থান এমন এক সময়ে এলো যখন ইরান তার ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি’ এর অংশ হিসেবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এ সংঘাতে ইতোমধ্যে তেলআবিব ও হাইফাসহ বিভিন্ন ইসরায়েলি শহরে অন্তত ১৫ জন নিহত ও শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।

    ইসরায়েলের লক্ষ্যভিত্তিক হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও পরমাণু বিজ্ঞানীদের মৃত্যুর ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে যুদ্ধ আরও বিস্তৃত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

    এমন উত্তপ্ত প্রেক্ষাপটে চীন নিজেদের আবারও সম্ভাব্য মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তুলে ধরছে। উল্লেখ্য, এর আগেও চীন ইরান-সৌদি আরব কূটনৈতিক পুনঃসম্পর্ক স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। তারা বরাবরই বহুপক্ষীয়তা ও সংলাপের মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের পক্ষে অবস্থান নিয়ে আসছে।

    সূত্র: সামা টিভি

  • নতুন ভূমি আইনে যেসব কাগজপত্র না থাকলে জমি হারাতে হবে

    নতুন ভূমি আইনে যেসব কাগজপত্র না থাকলে জমি হারাতে হবে

    ভূমি সংক্রান্ত জটিলতা, মামলা এবং দীর্ঘদিন ধরে চলা পারিবারিক বিরোধ অনেক সময়ই দেখা যায় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকার কারণে। নতুন ভূমি আইনে যে কাগজপত্র না থাকলে জমি হারাতে হবে- এই বাস্তবতা থেকে রক্ষা পেতে হলে এখনই সচেতন হওয়া জরুরি। জমির মালিকানা, ভোগদখল ও বিক্রয়ের ক্ষেত্রে যেসব দলিল অপরিহার্য, সেগুলো সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করলে ভবিষ্যতে নানাবিধ সমস্যা দেখা দিতে পারে।

    জমির দখল ও মালিকানা নির্ধারণে প্রমাণপত্রের গুরুত্ব

    জমি ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে রেজিস্ট্রার অফিসে সম্পাদিত স্ট্যাম্পে সইকৃত চুক্তিপত্রই জমির দলিল। এতে সাক্ষীর স্বাক্ষর ও রেজিস্ট্রারের সিল থাকে। এই দলিলের পূর্ববর্তী দলিলগুলোকেই বলা হয় বায়া দলিল।জেলা রেজিস্ট্রার অফিস থেকে দলিলের কপি সংগ্রহ করা যায়। জমির মালিক হিসেবে দলিল সংরক্ষণের দায়িত্ব মূলত আপনার।

    পর্চা ও খতিয়ানের ভূমিকা

    জমির খতিয়ান বা পর্চা হলো জরিপে প্রাপ্ত ভূমি সংক্রান্ত সরকারি নথির অনুলিপি। জমির মালিক পর্চা সংগ্রহের পর সেই নথিকে বলা হয় পর্চা। পর্চার মূল দলিল ভূমি অফিসে সংরক্ষিত থাকে, যাকে খতিয়ান বলা হয়।

    দাখিলা হলো খাজনা পরিশোধের সরকারি প্রমাণ

    ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা প্রদানের পর তহসিল অফিস থেকে যে রশিদ প্রদান করা হয়, সেটিই হলো দাখিলা। জমি বিক্রয়ের সময় দাখিলা দাখিল করা বাধ্যতামূলক। এটি জমি বর্তমানে কার দখলে আছে, তার বৈধতা প্রমাণ করে। এমনকি খাজনা মওকুফ থাকলেও দুই টাকা প্রদান করে দাখিলা সংগ্রহ করা সম্ভব।

    ওয়ারিশ সনদ ও সাকসেসন সার্টিফিকেট

    উত্তরাধিকার সূত্রে জমি পেতে হলে ওয়ারিশ বা উত্তরাধিকার সনদ অত্যন্ত জরুরি। এটি ইউপি চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র বা সিটি করপোরেশনের মেয়রের মাধ্যমে ইস্যু করা হয়। আদালতের মাধ্যমে যে উত্তরাধিকার সনদ ইস্যু হয়, সেটি সাকসেসন সার্টিফিকেট নামে পরিচিত।

    মিউটেশন (নামজারি) কপি

    জমির মালিকানার পরিবর্তনের রেকর্ড হিসেবে সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে মিউটেশন করতে হয়। দুই জরিপের মাঝামাঝি সময়ে জমির মালিকানা পরিবর্তন হলে তার দলিল হচ্ছে নামজারি বা মিউটেশন। এটি জমির মালিকানা প্রতিষ্ঠায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দলিল।

    আদালতের রায় ও ডিক্রি

    ভূমি সংক্রান্ত কোনো বিরোধ আদালতের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হলে সেই রায় বা ডিক্রি হচ্ছে চূড়ান্ত দলিল। আদালতের এই সিদ্ধান্ত ভূমি মালিকানা নির্ধারণে অন্যতম প্রমাণপত্র হিসেবে গণ্য হয়।

    মৌজা ম্যাপ ও বাস্তব খণ্ডচিত্র

    মৌজা ম্যাপ হলো ভূমির একাধিক খণ্ডচিত্রের ভিজ্যুয়াল প্রতিচ্ছবি। প্রতিটি জেলা প্রশাসকের অফিসে মৌজা ম্যাপ সংরক্ষিত থাকে এবং নির্ধারিত ফি দিয়ে তা সংগ্রহ করা যায়। এটি ভূমির সীমানা ও অবস্থান সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেয়।

    জমির দখল ও ব্যবহার

    জমির দখল প্রমাণের জন্য আলাদা সরকারি কাগজপত্র না থাকলেও দাখিলা বা রশিদই দখলের প্রমাণ হিসেবে কাজ করে। তবে জোরপূর্বক দখল নয়, বরং বৈধ মালিকানার ভিত্তিতে জমি ব্যবহার করাকেই আইন স্বীকৃতি দেয়।

    ভূমি আইনের বর্তমান বাস্তবতায় নিজের জমির দখল, মালিকানা এবং ব্যবহার নিশ্চিত করতে হলে উপরোক্ত নয়টি গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র সংগ্রহ ও সংরক্ষণ আবশ্যক। সচেতন না থাকলে শুধু জমি নয়, হারিয়ে যেতে পারে প্রজন্মের অর্জনও। এখনই সময় প্রয়োজনীয় দলিলগুলো সঠিকভাবে প্রস্তুত ও সংরক্ষণ করার, যাতে ভবিষ্যতে জমি সংক্রান্ত বিরোধ বা মামলার ঝুঁকি কমানো যায়।

    এ বিষয়ে আরও তথ্য জানার জন্য সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিস, আইনজীবী বা রেজিস্ট্রার দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

  • নেতানিয়াহু একটি জাতিকে ধ্বংস করছে, ভারত তাকে সমর্থন ও উৎসাহ দিচ্ছে : প্রিয়াঙ্কা

    নেতানিয়াহু একটি জাতিকে ধ্বংস করছে, ভারত তাকে সমর্থন ও উৎসাহ দিচ্ছে : প্রিয়াঙ্কা

    যখন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু একটি গোটা জাতিকে ধ্বংস করছেন, তখন ভারত শুধু নীরব সমর্থক নয়, বরং ইরানে হামলা এবং দেশটির শীর্ষ নেতৃত্বকে হত্যার ঘটনাতেও ইসরায়েলকে পরোক্ষভাবে উৎসাহিত করছে। এটি আন্তর্জাতিক নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।”

    জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতি ও মানবাধিকার রক্ষার প্রস্তাবে ভারত ভোটদানে বিরত থাকার ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তিনি একে ‘লজ্জাজনক ও হতাশাজনক’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। খবর ইকোনমিক টাইমস।

    শনিবার (১৪ জুন) এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া এক পোস্টে প্রিয়াঙ্কা বলেন, “এই সিদ্ধান্তের কোনো নৈতিক বা কূটনৈতিক ভিত্তি নেই। প্রকৃত আন্তর্জাতিক নেতৃত্ব মানে হলো ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানো, যার জন্য সাহসের প্রয়োজন।”

    তিনি আরও বলেন, “যখন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু একটি গোটা জাতিকে ধ্বংস করছেন, তখন ভারত শুধু নীরব সমর্থক নয়, বরং ইরানে হামলা এবং দেশটির শীর্ষ নেতৃত্বকে হত্যার ঘটনাতেও ইসরায়েলকে পরোক্ষভাবে উৎসাহিত করছে। এটি আন্তর্জাতিক নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।”

    প্রিয়াঙ্কার ভাষ্য অনুযায়ী, গাজায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৬০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। “একটি জাতিকে অবরুদ্ধ করে অনাহারে মারা হচ্ছে, অথচ ভারত কোনও অবস্থান নিচ্ছে না—এটা গভীরভাবে দুঃখজনক।”

    তিনি এই অবস্থানকে ভারতের উপনিবেশবিরোধী ঐতিহ্য ও সংবিধানের নীতিমালার “করুণ পশ্চাদপসরণ” হিসেবে উল্লেখ করেন। প্রশ্ন রেখে বলেন, “কীভাবে আমরা আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনের মূল্যবোধ বিসর্জন দিতে পারি, যা শান্তি ও মানবতার পক্ষে ভারতের অবস্থানকে শক্ত করেছে?”

    প্রিয়াঙ্কা গান্ধী মনে করেন, অতীতে ভারত ন্যায় ও অহিংসার পক্ষে বারবার সাহসিকতা দেখিয়েছে। “আজকের বিভক্ত ও বিপর্যস্ত বিশ্বে ভারতের উচিত সাহসিকতার সঙ্গে মানবতার পক্ষে, সত্য ও শান্তির পক্ষে কথা বলা।”

    উল্লেখ্য, গত শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গাজায় অবিলম্বে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির পক্ষে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়। এতে ১৪৯টি দেশ সমর্থন দিলেও ভারতসহ ১৯টি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে।

    প্রসঙ্গত, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী পূর্বেও ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছেন। গত বছর সংসদ অধিবেশনে তার বহন করা একটি ব্যাগে লেখা ছিল ‘Palestine’ এবং তাতে তরমুজের প্রতীক ছিল, যা ফিলিস্তিন সংহতির আন্তর্জাতিক প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।