Blog

  • সুখী হতে চাইলে অন্যের কাছে প্রত্যাশাগুলো কমিয়ে দিন

    সুখী হতে চাইলে অন্যের কাছে প্রত্যাশাগুলো কমিয়ে দিন

    জীবন পথের প্রতিটি বাঁকে চাওয়া-পাওয়ার অগ্রাধিকারগুলো পরিবর্তিত হয়। শান্তি, পরিপূর্ণতা এবং সুখ খুঁজতে মানুষের মনোযোগ বাড়তে থাকে। তবে সুখী হতে চাইলে অন্যের কাছ থেকে প্রত্যাশা যত কমানো যাবে ততই ভালো। অন্যদের কাছ থেকে বেশি আশা করা বন্ধ করলে নিজেদেরকে অনেক অপ্রয়োজনীয় হতাশা থেকে দূরে রাখা সম্ভব।

    ঠিক কী ধরনের প্রত্যাশা অন্যের প্রতি রাখা ঠিক নয় চলুন জেনে নেওয়া যাক-

    ১. কেউ আপনার মনের কথা পড়বে, এমন আশা করা বন্ধ করুন

    আমরা বেশিরভাগই এটা মনে মনে ভেবে থাকি যে, মানুষ আমাদের মনের কথা না বলতেই বুঝতে পারবে। কিন্তু সত্যিটা হলো, কেউ অন্যের মন পড়তে পারে না। অন্যরা আপনার মনের কথা জানুক এই আশা আপনাকে কেবল হতাশার জন্য প্রস্তুত করবে। আপনার যা প্রয়োজন তা বলুন। সাহায্য, মনোযোগ অথবা সামান্য সহানুভূতি যাই হোক না কেন, আপনি কী চান সে সম্পর্কে স্পষ্ট থাকুন।

    ২. অন্যদের কাছ থেকে পারফেক্টনেস আশা করা বন্ধ করুন

    অন্যদের নিখুঁত হওয়ার আশা করা হতাশার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার একটি দ্রুত উপায়। প্রত্যেকেরই নিজস্ব ত্রুটি রয়েছে এবং ভুল করে – এটি মানুষের অংশ। মানুষকে নিজের আদর্শ সংস্করণে নিখুঁত করার চেষ্টা করা উচিত নয়। পরিবর্তে মানুষের বৈচিত্র এবং অসম্পূর্ণতাগুলোকে গ্রহণ করুন। আপনি প্রায়শই দেখতে পাবেন যে সেসব অনন্য বৈশিষ্ট্যই তাদের আরও বিশেষ এবং প্রেমময় করে তোলে।

    ৩. মানুষ সর্বদা এভয়লেবল হবে বলে আশা করা বন্ধ করুন

    আজকের দ্রুতগতির পৃথিবীতে কেউ আপনার জন্য ২৪ ঘণ্টা এভয়লেবল থাকবে না। প্রত্যেকেরই তাদের দায়িত্ব রয়েছে – কাজ, পরিবার এবং ব্যক্তিগত সময় রয়েছে। যখন এটা আশা করা বন্ধ করবেন যে কেউ আপনার জন্য সারাক্ষণ ফ্রি থাকবে, তখন সম্পর্কের মধ্যে বোঝাপড়া এবং স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য আরও জায়গা তৈরি হবে। মানুষকে তাদের প্রয়োজনীয় স্পেস দিন, এতে উভয়েই লাভবান হবেন।

    ৪. মানুষ সবসময় আপনার দৃষ্টিভঙ্গী বুঝতে পারবে বলে আশা করা বন্ধ করুন

    প্রত্যেকেরই ভিন্ন ভিন্ন অভিজ্ঞতা এবং পটভূমি থাকে। বিশ্বকে দেখার দৃষ্টিভঙ্গী একেকজনের একেক রকম। অন্যরা সবসময় আপনার দৃষ্টিভঙ্গীর সঙ্গে একমত হবে বা সম্পূর্ণরূপে বুঝতে পারবে বলে আশা ঠিক নয়।

    এর পরিবর্তে পার্থক্যগুলোকে শেখার এবং বেড়ে ওঠার সুযোগ হিসাবে দেখার চেষ্টা করুন, মতবিরোধ হিসাবে নয়। যখন আপনি এই সত্যটি গ্রহণ করেন যে প্রত্যেকের দৃষ্টিভঙ্গি বৈধ, তখন আপনার সংযোগ স্থাপন করা এবং সাধারণ ভিত্তি খুঁজে পাওয়া সহজ হবে।

    ৫. অন্যরা আপনাকে খুশি করবে বলে আশা করা বন্ধ করুন

    এটি একটি বড় ব্যাপার। আমরা প্রায়ই নিজের সুখের জন্য অন্যদের ওপর নির্ভর করি, আমাদের বন্ধুবান্ধব, পরিবার, আপনজনদের ওপর। সত্যি কথা হলো, সুখ নিজেকেই খুঁজে নিতে হয়। সুখ তৈরি করার জন্য অন্যদের ওপর নির্ভর করা আপনাকে অতৃপ্ত করতে পারে। এর পরিবর্তে আপনার আনন্দ গড়ে তোলার দিকে মনোনিবেশ করুন। এমন কাজ করুন যা আপনাকে শান্তি দেয় – তা সে শখ, আবেগ অথবা দৈনন্দিন রুটিন যা আপনার মেজাজ উন্নত করে।

  • বিয়ের আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা কেন করবেন

    বিয়ের আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা কেন করবেন

    পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিয়ের আগেই পাত্রপাত্রীরা জেনে নেন তার হবু জীবন সঙ্গী কোনো ধরনের অসুখে ভুগছেন কিনা। আমাদের দেশের মানুষ এ ব্যাপারে খুব একটা সচেতন না হলেও ইদানীং তরুণ-তরুণীদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আগ্রহ বাড়ছে।

    জেনে নিই বিয়ের আগে কেন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা দরকার-

    ১. বংশগত রোগ নির্ণয়: কিছু রোগ যেমন থ্যালাসেমিয়া, সিকেল সেল অ্যানিমিয়া, বা অন্য কোনো জেনেটিক সমস্যা উত্তরাধিকার সূত্রে সন্তানের মধ্যে আসতে পারে। তাই এগুলো নির্ণয় করা জরুরি।

    ২. সংক্রামক রোগের ঝুঁকি: এইচআইভি/এইডস, হেপাটাইটিস বি এবং সি, সিফিলিসের মতো সংক্রামক রোগ পরীক্ষা করলে সঙ্গী বা ভবিষ্যৎ সন্তানের ওপর ঝুঁকি কমানো যায়।

    ৩. প্রজনন ক্ষমতার মূল্যায়ন: বিয়ের আগে উভয়ের প্রজনন ক্ষমতা পরীক্ষা করে নিলে ভবিষ্যতে সন্তান ধারণে কোনো সমস্যা থাকলে তা আগে থেকেই জানা যায় এবং চিকিৎসা শুরু করা যায়।

    ৪. রক্তের গ্রুপ সামঞ্জস্যতা: রক্তের গ্রুপ ও আরএইচ ফ্যাক্টর যাচাই করলে গর্ভাবস্থায় সম্ভাব্য জটিলতা এড়ানো যায়।

    ৫. মানসিক স্বাস্থ্য মূল্যায়ন: মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকাও একটি সুস্থ সম্পর্কের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ডিপ্রেশন বা অ্যাংজাইটির মতো সমস্যাগুলি আগে থেকেই চিহ্নিত করা গেলে সম্পর্ক ভালোভাবে পরিচালনা করা সহজ হয়।

  • ২০২৪ সালে পবিত্র হজ ও ওমরাহ করেছেন ১ কোটি ৮৫ লাখ মানুষ

    ২০২৪ সালে পবিত্র হজ ও ওমরাহ করেছেন ১ কোটি ৮৫ লাখ মানুষ

    ২০২৪ সালে সৌদি আরবের বাইরে থেকে আসা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের এক কোটি ৮৫ লাখেরও বেশি মুসলিম পবিত্র হজ ও ওমরাহ পালন করেছেন। সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রী ড. তৌফিক আল রাবিয়াহ এই তথ্য জানিয়েছেন। মঙ্গলবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইংরেজি দৈনিক গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

    সৌদি আরবের বন্দরনগরী জেদ্দায় চতুর্থ হজ ও ওমরাহ সম্মেলন এবং প্রদর্শনীতে বক্তৃতা দিতে গিয়ে আল রাবিয়াহ বলেছেন, পবিত্র হজ ও ওমরা পালনে আসা অতিথিদের অভিজ্ঞতা সম্প্রসারণের জন্য এই ব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি আনা হয়েছে।

    তিনি মসজিদে নববীতে আল-রওজা আল শরিফায় বাস্তবায়ন করা নতুন ব্যবস্থার সাফল্যের দিকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, নতুন ব্যবস্থার ফলে রওজা শরিফে জিয়ারতকারীদের সংখ্যা অতীতের তুলনায় ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২২ সালে ৪০ লাখ মুসলিম পবিত্র রওজা শরিফ জিয়ারত করলেও ২০২৪ সালে তা বেড়ে ১ কোটি ৩০ লাখে পৌঁছেছে।

    ওমরাহ যাত্রীদের জন্য সৌদি আরবের চালু করা নুসুক অ্যাপের নতুন সংস্করণের উদ্বোধন করেছেন আল রাবিয়াহ। নতুন এই সংস্করণের অ্যাপে ওমরাহযাত্রীদের জন্য শতাধিক অতিরিক্ত সেবা যুক্ত করা হয়েছে।

    অনলাইন প্ল্যাটফর্ম নুসুক অ্যাপের মাধ্যমে সারা বিশ্বের ওমরাহ পালনকারীরা পুরো ওমরাহ যাত্রার পরিকল্পনা করতে পারেন। এটি ভ্রমণকারীদের ওমরাহ যাত্রার জন্য প্রয়োজনীয় ভিসা এবং পারমিট পেতে সহায়তা করে।

  • পুলিশ এখনো মামলা বাণিজ্য অব্যাহত রেখেছে : হাসনাত আব্দুল্লাহ

    পুলিশ এখনো মামলা বাণিজ্য অব্যাহত রেখেছে : হাসনাত আব্দুল্লাহ

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, আমোদের স্বপ্ন ছিল ৫ আগস্টের পর আমাদের ইতিবাচক পরিবর্তন হবে। কিন্তু আমরা দেখছি কামার, কুমার, খেটে খাওয়া মানুষ, রাজমিস্ত্রি রিকশাচালক, শ্রমজীবী, পেশাজীবী মানুষ তাদের অভ্যুত্থানে কোনো পরিবর্তন হয়নি। তারা যে অবস্থায় ছিল, সেই অবস্থায় রয়েছে। আমরা যখন সিএনজিওয়ালাদের সঙ্গে কথা বলে তখন শুনি তাদেরকে চাঁদা দিয়ে রাস্তায় সিএনজি চালাতে হয়। টেম্পুওয়ালা যারা, স্ট্যান্ডে টেম্পু নামাতে হলে স্থানীয় চাঁদাবাজদের চাঁদা দিতে হয়। ব্যবসায়ীদের চাঁদা দিয়ে ব্যবসা করতে হয়।

    মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের কাঁচপুরে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের দাবিতে পথসভা ও গণসংযোগে তিনি এসব কথা বলেন।

    হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, পুলিশ এখনো মামলা বাণিজ্য অব্যাহত রেখেছে। ৫ আগস্টের পর পুলিশ হওয়ার কথা ছিল জনতার পুলিশ। আমরা চেয়েছিলাম জনতার পুলিশ ক্ষমতার কাঠামো ভেঙে জনতার কাতারে নিমে আসবে। কিন্তু দেখছি মামলা বাণিজ্য। মামলা দিয়ে এই দেশে ব্যবসার নতুন একটা উপলক্ষ্য তৈরি করা হয়ছে। আমরা ৫ আগস্টের পর যে স্বপ্ন দেখেছি তা দিন দিন স্থিত হতে যাচ্ছে। এই স্বপ্ন দিন দিন আশাহত হয়েছে। আমরা স্পষ্ট বলতে চাই আমাদের প্রোক্লেমেশন রেজুলেশনে সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করতে হবে। এই রেজুলেশনে আমাদের নাগরিক অধিকার দিয়ে প্রোক্লেমেশন ঘোষণা করতে হবে।

    তিনি বলেন, আপনারা জানেন আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছর যে শাসন ব্যবস্থা প্রণয়ন করছে, কায়েম করছে, সে শাসন ব্যবস্থা হলো আইয়ামে জাহেলিয়া। এই আইয়ামে জাহেলিয়ায় আমরা মানুষ হিসেবে স্বীকৃত ছিলাম না। আমরা নাগরিক হিসাবে স্বীকৃত ছিলাম না। এ আইয়ামে জাহেলিয়ার সময় এই নারায়ণগঞ্জ ছিল শামীম ওসমানের, সেলিম ওসমানের নারায়ণগঞ্জ।

    হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যেকটি নাগরিকের সমান নায্য হিস্যা রয়েছে। এখানে কোনো ব্যক্তির ইতিহাস হিস্যা রাখবেন না। এদেশ কারো বাবার পেতৃক সম্পত্তি না।

    তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগকে নিয়ে পরবর্তী বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা সম্ভব না। সুতরাং যেসব রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে কম্প্রোমাইজ করছেন, আপনাদেরকে সতর্ক করতে চাই। ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশ আপনাদের কম্প্রোমাইজ পলিটিক্সকে আমরা নির্বাসনের ব্যবস্থা করব। আপনারা যদি মনে করেন আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করবেন, আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে ফিরে আনবেন। আমাদের লাশের ওপর দিয়ে তাদের রাজনীতিতে ফিরে আসতে হবে। ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশে হয় ছাত্র নাগরিক থাকবে না হয় আওয়ামী লীগ থাকবে। আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করতে হবে, শাপলা চত্বরের বিচার নিশ্চিত করত হবে। আমরা বিগত ৩টা ইলেকশনে ভোট দিতে পারিনি। আবার যারা ভোট দিয়েছে ১০টি দিয়েছে। তারা দিনের ভোট রাতে দিয়েছে। এই যে গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে, তার জন্য অবশ্যই বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

    গণসংযোগ ও পথসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহসান জোনায়েদ, মুখপাত্র আরেফীন মুহাম্মাদ হিজবুল্লাহ, কেন্দ্রীয় সদস্য তুহিন মাহমুদ, শওকত আলী, তামিম আহমেদ প্রমুখ।

  • ৩ বছর আগেই স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ, জানালেন ওয়াজেদ জয়

    ৩ বছর আগেই স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ, জানালেন ওয়াজেদ জয়

    যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এ ফবিআই) এর রিপোর্ট নিয়ে নানামুখী আলোচনার মধ্যেই নিজের অবস্থান তুলে ধরে রিপোর্টটিকে ‘ভুল ও বিভ্রান্তিকর’ বলে দাবি করেছেন শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।

    সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের এক পোস্টে জয় লিখেন, ‘সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে এফবিআই এর একটি রিপোর্ট ফাঁস করা হয়। তবে তাদের অসাবধানতা ও বোকামির কারণে রিপোর্টটির মিথ্যা প্রমাণ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। রিপোর্টে কয়েকটি গুরুতর ভুলও রয়েছে।’

    এফবিআইয়ের তদন্তে জানা গেছে, হাসিনা ও জয় যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যে ৩০ কোটি ডলার (প্রায় ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা) পাচার করেছেন। গোয়েন্দা সংস্থাটি দাবি করেছে, তারা জয়ের আর্থিক কর্মকাণ্ডে উল্লেখযোগ্য অনিয়ম উদ্‌ঘাটন করেছে। এফবিআইয়ের অনুসন্ধানের ভিত্তিতে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন ২০২৪ সালের ২২ ডিসেম্বর হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগের তদন্ত শুরু করে।

    জয়ের বিলাসবহুল ৮টি গাড়ি, পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জয়ের সম্পৃক্ততা পেয়েছে এফবিআই। যদিও জয়ের দাবি, এসব গাড়ি অনেক পুরোনো এবং অধিকাংশই বহু আগে বিক্রি হয়ে গেছে। ২০২৩ সালের ২৩ এপ্রিল মার্কিন বিচার বিভাগের অপরাধ বিভাগের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে এফবিআইয়ের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। এফবিআইয়ের প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি দুদক হাতে পেয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

    এফবিআইয়ের প্রতিবেদনে তাদের গোপন তথ্যদাতা জয়ের দুই সহযোগীর নামও জানিয়েছেন। এরা হলেন যুক্তরাষ্ট্র মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সম্পাদক নিজাম চৌধুরি। এফবিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা হংকং ও কেম্যান আইল্যান্ডে সজীবের ব্যাংক হিসাব খুঁজে পেয়েছে। স্থানীয় একটি মানি এক্সচেঞ্জ কোম্পানির মাধ্যমে ওয়াশিংটন ডিসি, নিউইয়র্ক ও লন্ডনে সন্দেহজনক অর্থ স্থানান্তরের বিষয়টি জানা যায়।

    এতে আরও বলা হয়েছে, স্পেশাল এজেন্ট লা প্রিভোটের সঙ্গে মার্কিন বিচার বিভাগের সিনিয়র ট্রায়াল অ্যাটর্নি লিন্ডা স্যামুয়েলসের যোগাযোগ হয়। তিনি বাংলাদেশ থেকে ৩০০ মিলিয়ন ডলার চুরি এবং যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাচার সংক্রান্ত একটি মামলায় ওয়াশিংটন ফিল্ডের সহায়তা চেয়েছিলেন।

    ‘ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে ১৭ বছর নোয়াখালীতে ওয়াজ-মাহফিল বন্ধ ছিল’‘ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে ১৭ বছর নোয়াখালীতে ওয়াজ-মাহফিল বন্ধ ছিল’
    তবে ফেসবুক পোস্টে সজীব ওয়েজদ জয় দাবি করেন, রিপোর্টে যে এফবিআই এজেন্টের কথা বলা হয়েছে তিনি বহু বছর আগেই সংস্থা থেকে অবসরে গেছেন। যে বিচার বিভাগের যে আইনজীবীর কথা বলা হয়েছে, তিনি ২০১৩ সালে মারা গেছেন। তার মৃত্যু সংবাদের খবরের লিংক শেয়ার করেন জয়।

    শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ যুক্তরাষ্ট্র ও কেম্যান আইল্যান্ডে অর্থ পাচার করেছেন উল্লেখ করে এফবিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিচার বিভাগের সম্পদ বাজেয়াপ্তকরণ বা মানি লন্ডারিং বিভাগ এসব তহবিল খুঁজে বের করতে, সংযত করতে, জব্দ করতে ওয়াশিংটন ফিল্ডের সহায়তা চেয়েছিল। আমাদের তদন্তে ওয়াজেদ কনসাল্টিং ইনকর্পোরেটেড নামে সন্দেহজনক কার্যকলাপও পাওয়া গেছে। ওয়াজেদ কনসালট্যান্ট বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে অসংখ্য ব্যবসায় নিয়োজিত ছিল এবং বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট প্রকল্পের যুক্ত ছিল। তবে জয় দাবি করছেন, তার কোনো অফশোর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই। তিনি পুরো বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ করে এই অভিযোগগুলি প্রমাণ করে দেখাতে বলেছেন।

    তদন্তে ম্যাচাচুসেটস ও ভার্জিনিয়ায় স্ত্রী ক্রিস্টিন এবং সজীব ওয়াজেদের সঙ্গে সন্দেহজনক ব্যাংক কার্যক্রমের তথ্য পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করলেও জয় তার ফেসবুক পোস্টে লিখেন, ‘ক্রিস্টিন এবং আমি আর বিবাহিত নই। আমরা প্রায় তিন বছর আগে আলাদা হয়েছি এবং আমাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে।’

  • আসছে আরেকটি শৈত্যপ্রবাহ, দাপট দেখাবে শীত

    আসছে আরেকটি শৈত্যপ্রবাহ, দাপট দেখাবে শীত

    আগামী সপ্তাহেই দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে একটি শৈত্যপ্রবাহ। ১৯ থেকে ২২ জানুয়ারির মধ্যে মাঝারি ধরনের এই শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

    আজ (মঙ্গলবার) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এ তথ্য জানায়। পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানায়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। তবে শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তরাংশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এ ছাড়া সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

    বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। তবে শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এ ছাড়া সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। তবে শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এ ছাড়া সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। আগামী পাঁচদিনের মধ্যে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে বলে জানায় সংস্থাটি।

  • সেন্টমার্টিনে ভয়াবহ আগুন, কয়েকটি রিসোর্ট পুড়ে ছাই

    সেন্টমার্টিনে ভয়াবহ আগুন, কয়েকটি রিসোর্ট পুড়ে ছাই

    প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কয়েকটি রিসোর্ট পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। দ্বীপে কোনো ফায়ার সার্ভিস না থাকায় আগুনে এই বড় ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন দ্বীপের বাসিন্দারা। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দিবাগত রাত আড়াইটার পরে দ্বীপের পশ্চিম সৈকতের গলাচিপা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান।

    তিনি বলেন, মধ্যরাতে সেন্টমার্টিনে ভয়াবহ আগুনে শায়রী, বিচ ভ্যালি ও কিংশুক রিসোর্ট পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এই ঘটনায় কোনো পর্যটক ও স্থানীয় হতাহত হয়নি। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য উন্নত মানের কোনো যন্ত্র না থাকায় ক্ষতি বেশি হয়েছে।

    সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা আব্দুল মালেক বলেন, সাধারণত দ্বীপের বর্জ্য পোড়ানো হয় বালিয়াড়িতে, যা থেকে এ ঘটনা হতে পারে। দ্বীপে কোনো ফায়ার সার্ভিস না থাকায় আগুনে এই বড় ক্ষতি।

  • ছাগলকাণ্ডে আলোচিত সেই মতিউর ও তার স্ত্রী গ্রে প্তা র

    ছাগলকাণ্ডে আলোচিত সেই মতিউর ও তার স্ত্রী গ্রে প্তা র

    বহুল আলোচিত ছাগলকাণ্ডে জড়িত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজকে (প্রথম স্ত্রী) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশের একটি দল।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

    তবে কোন মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য জানাতে পারেননি ডিসি তালেবুর রহমান। যদিও এ দম্পতির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। সবশেষ গত ৬ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করেছে দুদক। ১২৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মতিউর রহমান, তার প্রথম স্ত্রী (লায়লা কানিজ) ও ছেলে-মেয়ের বিরুদ্ধে মামলাগুলো দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

    এর মধ্যে প্রথম মামলার আসামি করা হয় লায়লা কনিজ ও মতিউর রহমানকে। মামলার এজাহারে বলা হয় আসামি লায়লা কানিজ ১৩ কোটি ১ লাখ ৫৮ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। পাশাপাশি লায়লা কানিজের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৫৩ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

    অন্যদিকে তার মেয়ে ফারজানা রহমানের নামে ২ কোটি ৪৫ লাখ গোপন ও ৫৩ কোটি ৪১ লাখ টাকার বেশি অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে দ্বিতীয় মামলায়। ওই মামলায় মতিউর রহমানকে সহযোগী আসামি করা হয়েছে।

    আর তৃতীয় মামলায় প্রথম ঘরের ছেলে আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের বিরুদ্ধে ১৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা সম্পদের তথ্য গোপন ও ৪২ কোটি ২২ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এই মামলায়ও মতিউরকে সহযোগী আসামি করা হয়েছে।

    এর আগে, গত ১৫ ডিসেম্বর মতিউর রহমান ও তার দ্বিতীয় স্ত্রীর (শাম্মী আখতার শিবলী) বিরুদ্ধে ১১ কোটি ১৮ লাখ ৮৬ হাজার ১২০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুই মামলা দায়ের করা হয়।

    প্রথম মামলায় এনবিআরের সাবেক সদস্য মতিউরের বিরুদ্ধে ৫ কোটি ২৮ লাখ ৭৫ হাজার ৯৩৯ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ ও ১ কোটি ২৭ লাখ ৬৬ হাজার ২১৬ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

    আর দ্বিতীয় মামলায় মতিউরের সঙ্গে আসামি হয়েছেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আখতার শিবলী। শিবলীর বিরুদ্ধে ১ কোটি ৮৭ লাখ ১৫ হাজার ৪৯০ টাকার অবৈধ সম্পদ ও ২ কোটি ৭৫ লাখ ২৮ হাজার ৪৭৫ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ও ২৬ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

    কোরবানির জন্য ১৫ লাখ টাকা দিয়ে একটি ছাগল কিনতে গিয়ে আলোচনায় আসেন মুশফিকুর রহমান ইফাত নামের এক যুবক। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল আলোচনা শুরু হয়। বলা হয়, তার বাবা এনবিআর সদস্য এবং কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট মতিউর রহমান।

    এরপর আলোচনা চলে মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের কোথায় কী পরিমাণ সম্পদ রয়েছে এসব নিয়ে। এসব আলোচনার মধ্যে একের পর এক বেরিয়ে আসতে থাকে মতিউর পরিবারের বিপুল বিত্তবৈভবের চাঞ্চল্যকর তথ্য।

    পরে গত বছরের ৪ জুন মতিউর ও তার পরিবারের সদস্যদের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অনুসন্ধানের নামে দুদক। অনুসন্ধানে মতিউর ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে ৬৫ বিঘা জমি, আটটি ফ্ল্যাট, দুটি রিসোর্ট ও পিকনিক স্পট এবং তিনটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের তথ্য পায় দুদক। মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ব্যাংক হিসাব, মোবাইল ফোনে আর্থিক সেবার হিসাব ও শেয়ারবাজারের বিও হিসাব জব্দ করা হয়।

    পরে ২৪ জুন মতিউর ও তার প্রথম পক্ষের স্ত্রী এবং সন্তানের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।

    এরপর গত ২ জুলাই মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদ বিবরণী চেয়ে পৃথক নোটিশ পাঠায় দুদক। এসব নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে ২৯ আগস্ট মতিউর, তার দুই স্ত্রী এবং ছেলে-মেয়েসহ পাঁচজনের সম্পদ বিবরণী দুদকে জমা দেন।

  • অব্যাহতি পাওয়া এসআইদের আন্দোলনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ নেতা

    অব্যাহতি পাওয়া এসআইদের আন্দোলনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ নেতা

    শৃঙ্খলা ভঙ্গসহ বিভিন্ন কারণে বাদ পড়া শিক্ষানবিশ ৩২১ জন এসআই চাকরি ফিরে পেতে আন্দোলন শুরু করেছেন। গত দুই দিন ধরে তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। আর এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মামুনুর রশীদ মামুন।

    ছাত্রলীগ নেতা মামুন অব্যাহতি পাওয়া এসআই সদস্যদের পুনর্গঠনে বড় ভূমিকা পালন করছেন। সবাইকে উদ্বুদ্ধ করছেন। তিনি একাধিক মিডিয়ার সামনে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আর্তনাদ করে সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা জানান, এখানে ৩২১টা পুলিশ বসে আছে ৩২১টা পরিবারকে না, দেশের ১৮ কোটি মানুষকে সেবা দেওয়ার জন্য। একটা পুলিশ সদস্য কখন কাফনের কাপড় পড়ে। আপনারা সরকারের কাছে জবাবদিহি নেন। আমাদের কারো অপরাধ থাকলে তাকে জানায় দিয়ে বাকিদের চাকরিতে বহাল করেন। যা করে প্রকাশ্যে করেন।’

    খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মামুন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ইতিহাস বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেছেন। তিনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক ছিলেন। দ্বিতীয় কমিটিতে তিনি ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। আর তৃতীয় কমিটি ঘোষণার আগে তিনি সভাপতি প্রার্থী হিসেবে কেন্দ্রে লবিং করেছিলেন। তবে সেই কমিটিতে পদ না পেলেও তিনি কেন্দ্রীয় কমিটিতে সদস্য হিসেবে পদ পান।

    ছাত্রলীগের এ নেতার বিরুদ্ধে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চাঁদাবাজি, মাদক সেবন, শিক্ষার্থীদের মারধরসহ নানাবিধ অভিযোগ রয়েছে।

    বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী প্রক্টরের দায়িত্ব পালন করা একজন শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মামুন ছাত্রলীগের পরিচয়ে নানাবিধ অপকর্মে লিপ্ত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে প্রক্টর অফিসে একাধিক অভিযোগ জমা হয়। যার বেশিরভাগই মারধর, চাঁদাবাজি, হলের সিট বাণিজ্য, মাদক সেবন।

    জানা যায়, মামুনুর রশীদ মামুনের বাড়ি দিনাজপুরে হওয়ায় সাবেক নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।

    এ ছাড়া, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বীরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আবু হুসাইন বিপুর সঙ্গে তার সখ্যতা ছিল।

    বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম বলেন, মামুন খুব প্রভাবশালী ছিলেন। তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারতেন না। তিনি নিজের ক্ষমতা প্রকাশ করতে খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাতের ছবি কয়েকদিন পর পর ফেসবুকে পোস্ট করতেন।

    অভিযোগ আছে, মামুন পুলিশের এসআই পদে নিয়োগ পেতে অসাধু উপায় অবলম্বন করেছেন। তাকে নিয়োগ দিতে সুপারিশ করেছিলেন পলাতক সাবেক নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

    এদিকে চাকরি থেকে বাদ পড়ায় এসআইদের আন্দোলনে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতার নেতৃত্ব দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ছাত্র-জনতা। মঙ্গলবার ছাত্রলীগ নেতা মামুনের একটি ভিডিও সংবাদ মাধ্যমে প্রচার হলে এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়।

    এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বেরোবির অন্যতম সমন্বয়ক এস এম আশিকুর রহমান বলেন, পুলিশ প্রশাসনে অধিকাংশই যে ছাত্রলীগ কোটায় চাকরি পেয়েছে—এইটা বলার অপেক্ষা থাকে না। তাদের মাঝে একদল ছিল পুলিশ প্রশাসনের বিভিন্ন পদে, যাদেরকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এইটা একদম উপযুক্ত সিদ্ধান্ত বলে আমরা মনে করি। প্রশাসন থেকে স্বৈরাচারের দোসরদের সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের নেতৃত্বে অনশনের নামে পুনরায় ছাত্রলীগকে প্রশাসন পুনর্বহাল যে অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে তা বলার অপেক্ষা থাকে না। অনশনের নামে সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের এসব অপচেষ্টা রুখে দিতে হবে। স্বৈরাচারের দোসরদের কোনো স্থান প্রশাসনে হবে না। দোসরদের রুখে দিতে আমরা সর্বদা প্রস্তুত। প্রয়োজনে আবারও রাজপথে নামবো। তবু কোনো ছাড় নয়।

    এ বিষয়ে মামুনুর রশীদ মামুনের মুঠোফোনে কল দিলে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

    উল্লেখ্য, গত ১৩ জানুয়ারি সকাল থেকে সচিবালয়ের সামনে ৪০তম (ক্যাডেট) সাব-ইন্সপেক্টর ২০২৩ ব্যাচের অব্যাহতি প্রাপ্তদের চাকরিতে পুনর্বহাল দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় তারা চাকরি ফিরে পাওয়ার আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলনের ঘোষণা দেন।

  • জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা, দণ্ড থেকে খালাস পেলেন খালেদা জিয়া

    জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা, দণ্ড থেকে খালাস পেলেন খালেদা জিয়া

    জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের সাজা থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে বিচারিক আদালত ও হাইকোর্টের রায় বাতিল করা হয়েছে। এ কারণে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অন্য আসামিরাও সাজা থেকে খালাস পেয়েছেন।

    বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদসহ আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতি সর্বসম্মতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। হাইকোর্টের সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল মঞ্জুর করে সর্বোচ্চ আদালত এ রায় দেন।

    রায়ে আদালত বলেছেন, প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে এ মামলা করা হয়েছিল।