Blog

  • সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য অনেক বড় সুখবর

    সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য অনেক বড় সুখবর

    জানেন এবার কী বড় খুশির বার্তা সব সরকারি কর্মচারীদের জন্য? প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম বলেছেন, সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতার সিদ্ধান্ত খুবই যৌক্তিক। আজ রবিবার (১৯ জানুয়ারি) প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) এ কৃষি সাংবাদিকতা বিষয়ক এক প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

    শফিকুল আলম বলেন, ‘আশপাশের দেশের চেয়ে বাংলাদেশের সরকারি কর্মচারীরা খুবই কম বেতন পান। অমানবিক বেতন দেওয়া হয় তাদের। তাদেরকে মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হচ্ছে, এটা খুবই যৌক্তিক। আরেকটু বুস্টআপ করা গেলে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে।’

    তিনি আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার এতদিন দেশবাসীকে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে। বলেছে, বছরের পর বছর উৎপাদন বেড়েছে।কিন্তু ঘটনা উল্টো। যার ফলেই অন্তর্বর্তী সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে।’

    সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে জানিয়ে প্রেসসচিব বলেন, ‘আলুর উৎপাদন কম হওয়ায় দাম বেড়েছে। যদিও বিগত সরকার আলুর বাম্পার দেখিয়েছে।

  • প্রধান উপদেষ্টাকে যে প্রতিশ্রুতি দিল যুক্তরাষ্ট্র!

    প্রধান উপদেষ্টাকে যে প্রতিশ্রুতি দিল যুক্তরাষ্ট্র!

    বাংলাদেশে মার্কিন দূতাবাসের নতুন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন দেশের উন্নয়ন এবং সন্ত্রাস দমনসহ বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি তার দেশের সমর্থনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন বিষয়ে সরকারকে সমর্থন করার জন্য প্রস্তুত বলে জানান।

    আজ সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।

    প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এখন পর্যন্ত আমি কোনো ভিন্নমতের কণ্ঠস্বর শুনিনি। সরকার শুধু সহায়কের ভূমিকা পালন করবে। আমার কাজ একটি ঐকমত্য তৈরি করা।

    মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স কিছু সাংবাদিকের গ্রেপ্তার এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে কিছু সহিংসতার প্রতিবেদন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তার সরকার দেশের প্রত্যেকের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

  • বিসিবির সভাপতি হচ্ছেন তামিম ইকবাল!

    বিসিবির সভাপতি হচ্ছেন তামিম ইকবাল!

    তামিম ইকবালের বিসিবি প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনাগুলো বেশ উত্তেজনাপূর্ণ এবং বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে পারে। মোহাম্মদ আশরাফুল ও আমিনুল হকের বক্তব্যে তামিমের অভিজ্ঞতা, নেতৃত্বগুণ, এবং দেশের ক্রিকেটে তার অবদানের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

    তামিম ১৭-১৮ বছরের দীর্ঘ ক্রিকেট ক্যারিয়ারে নেতৃত্ব, কৌশলগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং দলের মধ্যে স্থিতিশীলতা আনার ক্ষেত্রে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। তার বয়স কম হলেও অভিজ্ঞতার দিক থেকে তিনি অনেকের চেয়ে এগিয়ে। আশরাফুলের মন্তব্যে বোঝা যায়, তিনি মনে করেন নেতৃত্বের জন্য বয়স কোনো বাধা নয়; বরং অভিজ্ঞতা, দূরদর্শিতা, এবং দেশের ক্রিকেটের প্রতি আন্তরিকতা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

    অন্যদিকে, আমিনুল হক ক্রিকেট প্রশাসনে লিজেন্ডারি খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। তার মতে, এমন ব্যক্তিরা বোর্ডে এলে দেশের ক্রিকেট উন্নয়নে আরও গঠনমূলক পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে।

    অক্টোবরে তামিমের বিসিবি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি যদি সত্যি হয়, তবে এটি একটি নতুন দিক উন্মোচন করতে পারে। তামিমের মত একজন সফল খেলোয়াড় বোর্ডে আসলে তার অভিজ্ঞতা ও খেলোয়াড়দের চাহিদা বোঝার ক্ষমতা দেশের ক্রিকেটকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে।

    তবে, প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে তার চ্যালেঞ্জগুলোও কম নয়। বর্তমান প্রশাসনিক কাঠামো, রাজনৈতিক প্রভাব, এবং অভ্যন্তরীণ কৌশলগত জটিলতা তাকে সামলাতে হবে। ক্রিকেটপ্রেমীরা তার সিদ্ধান্তকে ইতিবাচকভাবে দেখছে এবং তার নেতৃত্বে নতুন কিছু আশা করছে।

  • যে কারণে হাসিনাসহ সব বাংলাদেশিকে ভারত থেকে বের করে দেওয়ার আহ্বান!

    যে কারণে হাসিনাসহ সব বাংলাদেশিকে ভারত থেকে বের করে দেওয়ার আহ্বান!

    গত বছরের ৫ আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই নানা কারণে প্রতিবেশি দেশটির সাথে টানাপড়েন চলছে কূটনৈতিক সম্পর্কে।

    এবার বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সব বাংলাদেশিকে ভারত থেকে বের করে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির শিবসেনা এমপি সঞ্জয় রাউত। খবর হিন্দুস্তান টাইমস ও এএনআই।

    মুম্বাই পুলিশের তথ্যমতে, বলিউড তারকা সাইফ আলি খানের ওপর হামলাকারী একজন বাংলাদেশি। এমন ঘোষণার পর ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে সোমবার এ দাবি করেন এই শিবসেনা এমপি।

    সঞ্জয় রাউত বলেন, ভারত থেকে সব বাংলাদেশিকে তাড়িয়ে দেওয়া উচিত। এটা শুরু হওয়া উচিত বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দিয়ে। যাকে এ দেশে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগ দাবি করেন তিনি।

    সাইফ আলি খানের ওপর হামলাকারী সম্পর্কে প্রশ্ন রেখে সঞ্জয় রাউত বলেন, কে বলেছে তিনি বাংলাদেশি? বিজেপি? তারা দাবি করছে সাইফ আলি খানের ওপর হামলা একটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র কী? একজন অভিনেতার ওপর ছুরি দিয়ে হামলা হয়েছে। তার নেপথ্যের রহস্য কী, জনগণকে সত্যটা বলা উচিত। যদি হামলাকারী বাংলাদেশি হন, তাহলে এর জন্য দায়ী কেন্দ্রীয় সরকার। এটা অমিত শাহের দায় এবং এজন্য তার পদত্যাগ করা উচিত।

    সঞ্জয় রাউত আরও বলেন, সব বাংলাদেশিকে ভারত থেকে বের করে দেওয়া উচিত। আর এটা শুরু হওয়া উচিত শেখ হাসিনাকে দিয়ে। তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। তারা শুধুই আতঙ্ক সৃষ্টি করছেন।

    তিনি বলেন, যখনই আমরা পার্লামেন্টে বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে কথা বলতে চাই, তখনই বিজেপি আমাদের থামিয়ে দেয়। এ ক্ষেত্রে তারা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের কথা বলে। এর কারণ, মুম্বাই মিউনিসিপ্যাল নির্বাচন।

    গত ১৬ জানুয়ারি বান্দ্রায় নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তের হামলার শিকার হন জনপ্রিয় বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খান। এ সময় তার ঘাড়ে ও মেরুদণ্ডে ছুরিকাঘাত করা হয়। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন তিনি।

    সাইফ আলি খানের ওপর ছুরি হামলার অভিযোগে মুম্বাই পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম শেহজাদকে আটক করে রিমান্ডে নিয়েছে। পুলিশ বলেছে, তার বাড়ি বাংলাদেশের ঝালকাঠিতে। কিন্তু শেহজাদের আইনজীবীর দাবি, তিনি বাংলাদেশি নন, ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে মুম্বাই পুলিশ।

  • সমন্বয়ক রাফির ওপর হামলা, থানায় অভিযোগ

    সমন্বয়ক রাফির ওপর হামলা, থানায় অভিযোগ

    রাউজানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভায় বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। চট্টগ্রাম জেলা সমন্বয়ক খান তালাত মাহামুদ রাফি ও রাসেল আহমেদের উপস্থিতিতে সোমবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।

    জানা যায়, রাউজান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে বিকেলে রাউজান উপজেলা অডিটোরিয়ামে গণ-অভ্যুত্থান-উত্তর বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনাসভা ও মতবিনিময়সভার আয়োজন করা হয়। এ অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা সমন্বয়ক খান তালাত মাহামুদ রাফি ও রাসেল আহমেদ।

    এ ছাড়া রাউজানের সমন্বয়ক, জেলার নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
    অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে সমন্বয়ক দাবি করা ১২-১৫ জন হলে ঢুকে রাফির সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। এ সময় আরেক পক্ষ আপত্তি তুললে দুই পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

    এ ঘটনায় রাতেই রাউজান থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। সমন্বয়ক রাফির ওপর হামলা হয়েছে, এমনটা দাবি করা হয়েছে অভিযোগে। রাউজান থানার ওসি এ কে এম সফিকুল আলম চৌধুরী অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    রাউজানের ছাত্র প্রতিনিধি (সমন্বয়ক হিসেবে পরিচিত) এম আবেদীন সাজিদ বলেন, আবদুল্লাহ আল হামিদ নামে একজন পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে।

    তারা ছাত্রলীগ ও সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজানের সদস্য।

  • খেলার মাঠে আবারও মুখোমুখি হতে পারেন সাকিব-তামিম

    খেলার মাঠে আবারও মুখোমুখি হতে পারেন সাকিব-তামিম

    জাতীয় দলের অধ্যায় শেষ দুজনেরই। সব ধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন তামিম ইকবাল। সাকিব আল হাসান ওয়ানডে থেকে অবসরে না গেলেও সার্বিক পরিস্থিতিতে বলা যায়, তার জন্য বন্ধ জাতীয় দলের দরজা। মাঠের ক্রিকেটে একসঙ্গে খেলার আর সুযোগ নেই সাকিব-তামিমের।

    এবারের বিপিএলেও নেই সাকিব। তবে ভক্তদের জন্য সুখবর হলো—বাংলাদেশ ক্রিকেটের দুই মহাতারকা আবারও একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মুখোমুখি হতে পারেন। সম্প্রতি ‘লিজেন্ড নাইন্টি’ ক্রিকেট লিগে নাম লিখিয়েছেন তামিম। যে লিগে আগে থেকেই আছেন সাকিব। ভারতের রায়পুরে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই টুর্নামেন্ট।

    টুর্নামেন্টে তামিমকে দলে ভিড়িয়েছে বিগ বয়েজ। সাকিব খেলবেন দুবাই জায়ান্টসের হয়ে। লিজেন্ডস লিগে সুযোগ পাওয়ার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিশ্চিত করেছেন তামিম।

    লিজেন্ড নাইন্টির পেজে তামিম বলেন, ‘আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমি লিজেন্ড নাইন্টির অংশ হতে যাচ্ছি। আমি বিগ বয়েজের হয়ে খেলব। ৬ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি আমাকে দেখা যাবে অন্য কিংবদন্তিদের সঙ্গে। লিজেন্ডারি একটি ব্যাপার হতে যাচ্ছে এটি।’

    এতেই তৈরি হয়েছে সাকিব-তামিমের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা। তবে সেটি কবে কখন, তা এখনও জানা যায়নি।

  • হোয়াইট হাউজ থেকে বেরিয়ে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় যান কমলা হ্যারিস

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবারের এই শপথ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দ্বিতীয় মেয়াদে দেশটির রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসলেন তিনি। ওয়াশিংটন ডিসির কংগ্রেস ভবনের ভেতরে ক্যাপিটল রোটুন্ডায় তিনি শপথ নেন।

    ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনসহ বেশ কয়েকজন সাবেক প্রেসিডেন্ট ও তাদের ফার্স্ট লেডিরা। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী ও সদ্য বিদায়ী ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস।

    অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগদানের পর হোয়াইট হাউজ থেকে বেরিয়ে নিজ রাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ার সাধারণ জীবনে ফিরে গেছেন কমলা। এ সময় লস অ্যাঞ্জেলেসে পৌঁছে তিনি দু’টি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় যান।

    দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার সাম্প্রতিক ভয়াবহ দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য খাবার বিতরণ করতে প্রথমে তিনি ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনে যান। ওই দাবানলে ২৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন ও হাজার হাজার ঘরবাড়ি পুড়ে গেছে।

    এরপর কমলা দমকল বাহিনীর কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন, যারা প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে দাবানলের আগুন নিভিয়েছিলেন।

    শোনা যাচ্ছে, নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে ভাবার জন্য কিছুটা সময় নেবেন কমলা। অনেকেই ধারণা করছেন, হয়তো তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর পদে প্রার্থী হতে পারেন। অথবা তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন। তবে এখনো তিনি এসব বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।

  • ভারতের সঙ্গে করা গোপন চুক্তি ফাঁ’স!

    ভারতের সঙ্গে করা গোপন চুক্তি ফাঁ’স!

    ২০০৭ সালের এক এগারোর সময়, বাংলাদেশে সেনাবাহিনী সমর্থিত একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদের নেতৃত্বে এই সরকার দেশের রাজনৈতিক উত্তেজনা প্রশমিত করার উদ্যোগ নেয়। কিন্তু সেই সময়ের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড এবং ভারতের সঙ্গে একটি চুক্তি বাংলাদেশি রাজনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলে।

    চুক্তির গুরুত্বপূর্ণ দিকসমূহভারতের সঙ্গে এই চুক্তি অনুযায়ী চারটি মূল বিষয় আলোচনায় উঠে আসে:

    আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনা

    চুক্তির অন্যতম শর্ত ছিল ভারতের সমর্থনে আওয়ামী লীগকে পুনরায় ক্ষমতায় আনা।জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধ

    জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে ইসলামী রাজনৈতিক শক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করা।যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু

    যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম শুরু করা, যা ইসলামী দলের রাজনৈতিক প্রভাব হ্রাস করার উদ্দেশ্যে গৃহীত হয়েছিল।

    মইন ইউ আহমেদকে রাষ্ট্রপতি করার প্রতিশ্রুতি

    মইন ইউ আহমেদকে রাষ্ট্রপতি করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল চুক্তির বিনিময়ে।এক এগারোর রাজনৈতিক পরিণতিএই চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশে রাজনৈতিক ভারসাম্যের পরিবর্তন ঘটে। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ জয় এবং জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপির ক্রমবর্ধমান সংকট সেই পরিবর্তনের প্রতিফলন।

    ভারত ও পশ্চিমা প্রভাবনির্বাচনে পশ্চিমা শক্তি এবং ভারতের কৌশলগত ভূমিকা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। বিএনপির ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন ঠেকানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়, যা এই চুক্তির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বলে ধারণা করা হয়।

    মইন ইউ আহমেদের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক ভূমিকাচুক্তির অংশ হিসেবে রাষ্ট্রপতির পদে যাওয়ার সুযোগ তৈরির কথা থাকলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। তবে এই ঘটনাগুলো তার সামগ্রিক রাজনৈতিক প্রভাব এবং তৎকালীন সরকার পরিচালনায় ভারতের ভূমিকার বিষয়টি প্রকাশ করে।

    বিতর্ক ও প্রতিক্রিয়াএ ঘটনা বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিতর্কের জন্ম দেয়। জাতীয় স্বার্থে বিদেশি প্রভাবের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা এবং এক এগারোর সময়ের সিদ্ধান্তগুলোর সঠিকতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এই চুক্তি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়।

  • ঢাকায় বৈষম্যবিরোধীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ,আহত ছয় জন

    ঢাকায় বৈষম্যবিরোধীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ,আহত ছয় জন

    রাজধানীর ডেমরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই পক্ষের মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় অফিসে মানববন্ধনের সময় দুটি পক্ষের হাতাহাতি ও বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন ছয় জন। তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

    মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর বাংলা মোটরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

    আহতরা হলেন, আসিফ (২১), মোছা. জান্নাতুল মীম (২২), মো. আবরার (২৩), আল-আমিন (২৩), মো. ইমরান (২৩) ও মাসুদ (২২)।

    বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানান, সোমবার ডেমরায় মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজকে তারা মানববন্ধনের উদ্যোগ নেন। এসময় তাদের বাঁধা দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় অফিস থেকে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়। এসময় হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে।

    বিক্ষোভকারীদের দাবি, ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রিফাত রশিদ।

    নিরাপদ-মানবিক দেশ গড়তে যুদ্ধ চলবে: জামায়াত আমিরনিরাপদ-মানবিক দেশ গড়তে যুদ্ধ চলবে: জামায়াত আমির
    এদিকে কেন্দ্রীয় অফিসের নিচে বিক্ষোভ করার সময় ঘটনাস্থলে আসেন সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি উপস্থিত শিক্ষার্থীদের বক্তব্য শোনেন। তবে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেন নাই।

  • পুতুলকে ডব্লিউএইচও থেকে অপসারণে অনলাইনে স্বাক্ষর গ্রহণ চলছে, ব্যাপক সাড়া

    পুতুলকে ডব্লিউএইচও থেকে অপসারণে অনলাইনে স্বাক্ষর গ্রহণ চলছে, ব্যাপক সাড়া

    পুতুলকে ডব্লিউএইচও থেকে অপসারণে অনলাইনে স্বাক্ষর গ্রহণ চলছে, ব্যাপক সাড়া

    ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার কন্যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে হু থেকে অপসারণের পক্ষে একটি পিটিশন ক্যাম্পেইন চালু করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে পুতুলকে জরুরি অপসারণের দাবিতে খোলা পিটিশনটিতে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেল পর্যন্ত প্রায় ২৪শ মানুষ সাইন করেছেন।

    গত ১৩ জানুয়ারি বিশ্বের বৃহত্তম পিটিশন প্ল্যাটফর্ম চেঞ্জ ডট ওআরজি-তে পিটিশন ক্যাম্পেইনটি চালু করেছে মুক্ত, গণতান্ত্রিক এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশের জন্য কাজ করা মানবাধিকার কর্মীদের প্ল্যাটফর্ম ‘অ্যাক্ট নাও বাংলাদেশ’।

    পিটিশনের লিংক শেয়ার করে প্ল্যাটফর্মটি ফেসবুকে লিখেছে, দয়া করে স্বাক্ষর করুন এবং শেয়ার করুন! মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত শাসনব্যবস্থার অধীনে নীতিমালা সমর্থন দেয়ার কারণে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে হু থেকে অপসারণের দাবিতে আমাদের সাথে যোগ দিন।বিশ্ব স্বাস্থ্য নেতৃত্বে সততা এবং নিরপেক্ষতা বজায় রাখার জন্য আমাদের আবেদনে স্বাক্ষর করুন।
    পিটিশনের কারণ বর্ণনা করে বলা হয়েছে, আমরা নিম্নস্বাক্ষরকারীরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালকের পদ থেকে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে জরুরি পুনর্মূল্যায়ন এবং অপসারণের আহ্বান জানাচ্ছি। তার মা বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নীতির প্রতি তার প্রকাশ্য সমর্থন নিয়ে গভীর উদ্বেগের প্রেক্ষিতে এই অনুরোধ জানানো হচ্ছে। হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত, যা হু এর নীতির সাথে স্বার্থের গভীর সংঘাত তৈরি করে।

    পিটিশনের পটভূমিতে উল্লেখ করা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের সাথে জড়িত ছিল। বিশেষ করে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহের সময়। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের উপর সরকারের সহিংস দমনের ফলে অসংখ্য আহত ও মৃত্যু ঘটে, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হয়।

    পিটিশনে কয়েকটি উদ্বেগ তুলে ধরে বলা হয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল মায়ের দমনমূলক কর্মকাণ্ডে সরাসরি সমর্থন দিয়েছেন। এই কর্মকাণ্ডের প্রতি তার সোচ্চার সমর্থন হু-এর নিরপেক্ষতা এবং মানবতার নীতির সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক।