Blog

  • এবার মাত্র ৫০০ টাকায় রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার দেয়ার ঘোষণা

    এবার মাত্র ৫০০ টাকায় রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার দেয়ার ঘোষণা

    দিল্লির ভোটে প্রতিশ্রুতির বন্যা। কয়েকদিন আগেই কংগ্রেস ঘোষণা করেছিল ক্ষমতায় এলে তারা প্রত্যেক মহিলাকে আড়াই হাজার টাকা ভাতা দেবে। আরও এক কদম এগিয়ে এবার তাদের ঘোষণা মাত্র ৫০০ টাকায় দেওয়া হবে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার।

    দ্রব্যমূল্য নিয়ে নাজেহাল ভারতবাসী। দিল্লি নির্বাচনের আগে সেই ইস্যুকে হাতিয়ার করছে কংগ্রেস, আমআদমি পার্টির মতো দল। দিল্লিতে ক্ষমতায় এলে একাধিক সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে নাগরিকদের। এই দাবি করেছে বিজেপি ও অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল। প্রতিশ্রুতি দেওয়ার সেই দৌড়ে পিছিয়ে নেই কংগ্রেসও।

    দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন তেলাঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা রেভান্থ রেড্ডি। ‘মেহঙ্গায় মুক্তি’ নামে এক প্রকল্পের সঙ্গে পরিচিত করিয়ে তিনি জানান, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে ৫ প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে। এই সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দিল্লির কংগ্রেস নেতা দেবেন্দ্র যাদব-সহ অন্য সিনিয়ার নেতারা। প্রসঙ্গত, এর আগেই কংগ্রেস ঘোষণা করেছিল বেকার যুবকদের সাড়ে আট হাজার টাকা ভাতা দেওয়া হবে।

    একই সঙ্গে কংগ্রেসের দাবি, ৩০০ ইউনিট পর্যন্ত ফ্রিতে বিদ্যুৎ দেওয়া হবে। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গণনা ৮ তারিখ। এবছর ভোটে জিতলে হ্যাটট্রিক করবে আম আদমি পার্টি। ২০১৫ সাল থেকে ক্ষমতায় রয়েছে তারা।

  • হাসিনা পলাতক, কনডেম সেলে কীভাবে সময় কাটছে মিন্নির

    হাসিনা পলাতক, কনডেম সেলে কীভাবে সময় কাটছে মিন্নির

    প্রায় তিন বছর ধরে কারাগারের ১০ হাত দৈর্ঘ্য ও ছয় হাত প্রস্থের একটি ঘরে বন্দী আছেন বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার আসামি আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি। স্বামী হত্যার প্রধান সাক্ষি থেকে পরিকল্পনার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মিন্নির বাস এখন কাশিমপুর মহিলা কারাগারের কনডেম সেলে। প্রায় দুই বছর আগে কয়েদির পোশাক পরা একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল। ওই ছবিতে তাকে খুব হতাশাগ্রস্ত দেখা যায়। এখন কেমন আছেন তিনি?

    কারাগারের একটি সূত্র বলছে, সপ্তাহে একদিন পাঁচ মিনিট পরিবারের সাথে কথা বলার সুযোগ আছে মিন্নির। অন্য আসামিরা সেলের বাইরে যেতে পারলেও মৃত্যুদণ্ডের আসামি হওয়ায় মিন্নিকে থাকতে হয় কনডেম সেলে ও বারান্দায়। কারাগারে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলছেন তিনি। কারাসূত্র জানায়, কারাগারের দেয়া অন্যসব খাবার খেলেও কোনো এক কারণে মাংস খান না মিন্নি।

    এ ব্যাপারে কাশিমপুর মহিলা কারাগারের জেলার ফারহানা আক্তার ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘মিন্নির শরীর এখন ভালো আছে। কারাবিধি অনুযায়ী তিনি সব সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকেন।’ মৃত্যুদণ্ড মাথায় নিয়ে দেশের ৬৮টি কারাগারে রয়েছেন অর্ধ শতাধিক নারী। মিন্নি যে কারাগারে আছেন সেই কাশিমপুর মহিলা কারাগার উদ্বোধন হয় ২০০৭ সালে। দেশের অন্য কারাগারে ফাঁসির মঞ্চ থাকলেও এই কারাগারে কোনো ফাঁসির মঞ্চ নেই। কারণ স্বাধীনতার পরে কোনো নারী আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ইতিহাস নেই।

    চলতি বছরের ১৭ অক্টোবর হাইকোর্টে আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির জামিন আবেদন করেছেন তার আইনজীবীরা। হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চে তার জামিন আবেদন উপস্থাপন করা হয়। মিন্নির আইনজীবী জামিউল হক ফয়সাল বলেন, ‘আবেদনটি যাতে শুনানির জন্য কার্যতালিকায় তোলা হয় সেজন্য মেনশন স্লিপ দেয়া হয়েছে। আশা করছি এই সপ্তাহেই আবেদনটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় উঠবে। মৃত্যুদণ্ডের আসামিদের জামিনের নজির নেই। তবে কোথাও নিষেধও নেই যে মৃত্যুদণ্ডের আসামিরা জামিন পেতে পারেন না। কিন্তু এ মামলার বিষয়টা ভিন্ন। আবেদন মঞ্জুর হলে একটা নজির সৃষ্টি হবে।’

    ২০১৯ সালের ২৬ জুন দুপুরে বরগুনা জেলা শহরের কলেজ রোডে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয় রিফাত শরীফকে। ওই ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে বরগুনা থানায় মামলা করেন। মামলায় রিফাতের স্ত্রী বরগুনার সরকারি কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের ছাত্রী মিন্নিকে ১ নম্বর সাক্ষী করা হয়। একপর্যায়ে মিন্নির শ্বশুরই হত্যাকাণ্ডে পুত্রবধূর জড়িত থাকার অভিযোগ তুললে মামলা নতুন মোড় নেয়। ওই বছরের ১৬ জুলাই মিন্নিকে বরগুনার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে রাতে তাকে রিফাত হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরদিন আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠান। রিমান্ডের তৃতীয় দিনেই মিন্নিকে আদালতে হাজির করা হয়।

    পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, ওই তরুণী হাকিমের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোরের অভিযোগ, নির্যাতন করে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে মিন্নিকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে বাধ্য করেছে পুলিশ। ওই বছরের ২৯ আগস্ট হাইকোর্ট মিন্নির জামিন মঞ্জুর করেন। হত্যাকাণ্ডের দুই মাসের মাথায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক মো. হুমায়ুন কবির বরগুনার আদালতে মিন্নিসহ ২৪ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জনের বিচারের রায় ঘোষণা করেন। রায়ে রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয় আসামির মৃত্যুদণ্ড হয়, বাকি চার আসামি বেকসুর খালাস পান।

  • সমন্বয়ককে লোহার পাইপ দিয়ে পেটাল ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা!

    সমন্বয়ককে লোহার পাইপ দিয়ে পেটাল ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা!

    পাবনার ঈশ্বরদীতে এক মাসের ব্যবধানে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের আরেক ছাত্র সংগঠক ইব্রাহিম রহমানকে (২১) লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

    বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে ঈশ্বরদী সরকারি কলেজ গেটের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

    আহত ইব্রাহিম ঈশ্বরদী শহরের পূর্বটেংরী এলাকার আব্দুস সালাম ডালুর ছেলে ও পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র। এর আগে আরেক সংগঠক তানজিদুর জাহান দিহানকে হত্যার চেষ্টায় পিটিয়ে আহত করে।

    আহত ইব্রাহিম জানান, ঘটনার সময় তার বন্ধু শান্তকে নিয়ে সরকারি কলেজ গেট-সংলগ্ন চায়ের দোকানে চা পান করতে যান। এ সময় শাকিল ও রিফাতের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন লোহার পাইপ, চাপাতি ও পিস্তল হাতে নিয়ে তার ওপর হামলা করেন। সেখানে তারা পিটিয়ে ইব্রাহিমকে আহত করেন। এ সময় শাকিল পিস্তল বের করে ইব্রাহিমকে গুলি করার চেষ্টা করেন। পরে তাকে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হয়।

    ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দায়িত্বরত চিকিৎসক তাসনিম তাবাসসুম স্বর্ণা জানান, ইব্রাহিমকে পিটিয়ে আহত করেছে। তাকে চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।

    ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহীদুল ইসলাম শহিদ জানান, হামলার খবর পেয়েই ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী, থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলামকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। অপরাধীদের ধরতে পুলিশের কয়েকটি দল অভিযান শুরু করেছে।

  • থানায় হামলা, ছাত্রদল নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা, ৫ পুলিশ গুরুতর আহত

    থানায় হামলা, ছাত্রদল নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা, ৫ পুলিশ গুরুতর আহত

    রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মোহাম্মদ হোসাইন ওরফে মিথুন (৩৫) নামে এক ছাত্রদল নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে নিউমার্কেট থানা পুলিশ।

    জানা গেছে, আটক মিথুনকে বহনকারী পুলিশের গাড়ি নিউমার্কেট থানা প্রাঙ্গণে প্রবেশকালে বাধা দেন মিথুনের সমর্থকরা। পরে ছাত্রদল নেতা মিথুনকে পুলিশের হেফাজত থেকে ছিনিয়ে নিতে নিউমার্কেট থানায় হামলা করেন ছাত্রদল-যুবদলের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী।

    হামলায় নিউমার্কেট জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) তারিক লতিফসহ চার থেকে পাঁচ জন পুলিশ কর্মকর্তা গুরুতর আহত হন।

    শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) ভোরে এ ঘটনা ঘটে। পরে হামলায় জড়িত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

    পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তাররা হলেন– বশির ইসলাম (২৮), মোহাম্মদ হাসান (২১), মোহাম্মদ ইমন (২৫), মাসুম মাহমুদ (৩২), মোহাম্মদ আলামিন (৩০) ও আকবর আলী।

    এ ঘটনায় নিউমার্কেট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওমর ফারুক বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।

    থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ জানুয়ারি রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারের সামনে মাল্টিপ্ল্যান দোকান মালিক সমিতির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হককে কুপিয়ে আহত করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ‘ইমন গ্রুপ’ এর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে নিউমার্কেট থানায় মামলা করেন সমিতির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুল হাসান।

    মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, এ ঘটনায় রিমান্ডে নেওয়া এক আসামি জানায় তাকে ঘটনাস্থলে যেতে নির্দেশ দিয়েছিলেন ছাত্রদল নেতা মিথুন। ইমন গ্রুপের মূলহোতা সানজিদুল হাসান ইমনের হয়ে ধানমন্ডি এলাকার চাঁদা তোলার কাজ করেন মিথুন। সেই মিথুনকে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে রাজধানীর পূর্বাচল ৩০০ ফিট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে নিউমার্কেট থানায় আনা হয়।

    বিষয়টি নিশ্চিত করে নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহসিন উদ্দিন আতিক বলেন, মিথুনকে পুলিশের গাড়ি থেকে ছাড়িয়ে নিতে তার সমর্থকরা চেষ্টা করেছিল, তবে পারেনি। এ ঘটনায় পৃথক একটি মামলা হয়েছে এবং গ্রেপ্তারদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

    কার নির্দেশে হামলা হয়েছে– এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত করে বের করবেন কার নির্দেশে এ হামলা হয়েছে।

  • ফেসবুকে প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের গুজব শুনে শোডাউন, ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ

    ফেসবুকে প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের গুজব শুনে শোডাউন, ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ

    নোয়াখালীর চাটখিলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রধান উপদেষ্টার ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের গুজব শুনে শোডাউন করায় ইব্রাহিম খলিল ওরফে রাসেল ও গোলাম কিবরিয়া ওরফে লিটন নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

    গ্রেপ্তার ইব্রাহিম খলিল ওরফে রাসেল (৪২) উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের বানসা গ্রামের জমাদার বাড়ির মৃত রুহুল আমিনের ছেলে ও গোলাম কিবরিয়া ওরফে লিটন (৪৫) একই গ্রামের ইসমাইল বেপারী বাড়ির মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে।

    শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে আসামিদের নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে। এর আগে, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের বানসা বাজার থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

    পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ফেসবুকে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের পদত্যাগের গুজব শুনে শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের বানসা বাজারে শোডাউন করে যুবলীগের একদল নেতাকর্মী। এতে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। একপর্যায়ে স্থানীয়দের সহায়তায় দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। রাসেল মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য ও লিটন স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত।

    ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ উদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ২৫-৩০ নেতাকর্মী শোডাউনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। এ ঘটনায় মামলা নেওয়া হচ্ছে। ওই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার দুপুরের দিকে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হবে।

  • ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথের পর সবচেয়ে বড় চুক্তিটি হলো বাংলাদেশের সঙ্গে

    ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথের পর সবচেয়ে বড় চুক্তিটি হলো বাংলাদেশের সঙ্গে

    যুক্তরাষ্ট্রের তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান আর্জেন্ট এলএনজির সঙ্গে নন-বাইন্ডিং চুক্তি হয়েছে বাংলাদেশের। প্রতিষ্ঠানটি বছরে বাংলাদেশে ৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন তরল গ্যাস সরবরাহ করবে। গতকাল শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) আর্জেন্ট এলএনজি এ তথ্য জানায় বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

    বার্তাসংস্থাটি বলেছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের পর এটিই যুক্তরাষ্ট্রের গ্যাস সরবরাহের সবচেয়ে বড় চুক্তি। ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর ঘোষণা দেন, দেশটিতে জ্বালানির অনুসন্ধান বাড়াবেন তিনি। বাংলাদেশের সঙ্গে আর্জেন্ট এলএনজির চুক্তি প্রমাণ করছে ট্রাম্প প্রশাসনের ওপর এই খাত সংশ্লিষ্টদের আস্থা রয়েছে।

    আর্জেন্ট এলএনজি লুজিয়ানাতে ২৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন পার এনুম (এমটিপিএ) অবকাঠামো তৈরি করছে। যা তাদের সরবরাহ ব্যবস্থাকে অনেক শক্তিশালী করবে।

    যেসব দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নেই, সেসব দেশে গ্যাস পাঠানোর ক্ষেত্রে মার্কিন জ্বালানি বিভাগ লাইসেন্স প্রদান স্থগিত করে রেখেছিল। তবে গত সোমবার ক্ষমতা গ্রহণের পর নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে এটি রহিত করেন ট্রাম্প। কারণ তিনি বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের গ্যাস সরবরাহ বাড়াতে চান। বর্তমানে বিশ্বের তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু তারা ২০২৮ সালের মধ্যে সরবরাহের পরিমাণ দ্বিগুণ করতে চায়।

    লুজিয়ানার পোর্ট ফোরচনে আর্জেন্ট এলএনজির অবকাঠামো তৈরি সম্পন্ন হলে তারা বাংলাদেশের পেট্রোবাংলার কাছে গ্যাসের কার্গো বিক্রি করা শুরু করতে পারবে।

    বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী রয়টার্সকে বলেছেন, “এই চুক্তি শুধুমাত্র আমাদের বর্ধমান শিল্পের গ্যাসের সরবরাহ নিশ্চিত করবে না, সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক শক্তিশালী করবে।”

    বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরেই জ্বালানি চাহিদার দীর্ঘমেয়াদি সমাধান খুঁজছে। এক্ষেত্রে তরলীকৃত গ্যাসের দিকে ঝুঁকছে সরকার। তবে ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর বিশ্বব্যাপী যখন গ্যাসের দাম বেড়ে যায় তখন কম দামি কয়লার দিকে আবারও ঝোঁকা শুরু করে ঢাকা। সূত্র: রয়টার্স

  • ফ্রেব্রুয়ারিতে সরকার পতন আন্দোলনের ঘোষণা দিল আওয়ামী লীগ!

    ফ্রেব্রুয়ারিতে সরকার পতন আন্দোলনের ঘোষণা দিল আওয়ামী লীগ!

    জুলাই অভ্যুত্থানে পতনের পরও থেমে নেই আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্র। নানাভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত দলটি। ফেব্রুয়ারি মাসে হরতাল অবরোধসহ নানা কর্মসূচি দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে তারা। এ ব্যাপারে ১৪ দলসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে গোপনে আলোচনা চলছে। দেশের বেসরকারি একটি টেলিভিশনকে এসব কথা জানালেন দলটির পলাতক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাসিম।

    গণহত্যার দায় মাথায় নিয়ে বেশিরভাগ নেতা কর্মী পালিয়ে থাকায় সরকারবিরোধী এই কর্মসূচি কীভাবে সফল হবে এমন প্রশ্নের জবাবে জনগণ তাদের সঙ্গে রয়েছে বলে দাবি করেন নাসিম। তবে তাঁর বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে তাতে তিনি অপারগতা জানান।

    জুলাইয়ের ছাত্রজনতার আন্দোলন দমনে ঝাঁপিয়ে পড়ে আওয়ামী লীগের দলীয় ক্যাডার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুগত সদস্যরা। প্রাণ হারান প্রায় দুই হাজার ছাত্রজনতা। আহত হন হাজার হাজার মানুষ। দেড় দশকের সীমাহীন লুটপাট, দুর্নীতি, গুম, খুন আর নানা অপকর্মের পর ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত পাঁচ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে দলটির বিভিন্ন স্তরের অসংখ্য নেতা কর্মী ভারতসহ বিভিন্ন দেশে পালিয়ে যায়। যারা দেশের ভেতরে আছেন তাদের অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    এখনো গা ঢাকা দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন দলটির নেতা কর্মীরা। নিষিদ্ধ করা হয়েছে ছাত্রলীগকে। চৌদ্দ দলের নেতাদেরও নেই কোনো হদিস। এমন বাস্তবতায় আগামী ফেব্রুয়ারিতে দেশব্যাপী হরতাল, অবরোধসহ নানা কর্মসূচি পালনের চিন্তা করছে দলটি।

    এ বিষয়ে বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন, আমরা কর্মসূচি তৈরি করেছি, আলাপ আলোচনার জন্য। দল সহ অন্যান্য জেলায় বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার আছে। ছাত্র, যুবক, শ্রমজীবী, মেহনতি মানুষ, শ্রেণি পেশা আছে। তাদের সাথে আমাদের এই কমিউনিকেশন হচ্ছে একুশে ফেব্রুয়ারিকে সামনে রেখেই। আগেই আমরা কর্মসূচিগুলো একে একে পালন করি এবং একপর্যায়ে আমরা সর্বাত্মক হরতালের আহ্বান জানাব দেশবাসীকে।

    এ কল দিয়ে বাহাউদ্দিন নাসিম দাবি করেন, আওয়ামী লীগের যুগ ছিল দেশের স্বর্ণযুগ। বর্তমানে দেশের মানুষ অনেক কষ্টে আছে বলে মনে করেন দলটির পলাতক এই নেতা। তবে পালিয়ে থাকা নেতা কর্মীরা কীভাবে আন্দোলন সফল করবে সেই প্রশ্ন ছিল তাঁর কাছে।

    যে কর্মসূচি নিয়ে আসবেন তো মাঠে তো কর্মীদেরকে থাকতে হবে কর্মসূচি বাস্তবায়নে। সেটি কীভাবে করবেন প্রশ্নের জবাবে নাসিব বলেন,জনগণের অংশগ্রহণ থাকবে। জনগণের অংশগ্রহণেই হবে।

    গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রজনতার উপর চালানো হত্যাযজ্ঞের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পৃক্ততার বিষয়টি নাকচ করে দিয়ে নাসিম আরো বলেন, কীভাবে এদেরকে হত্যা হয়েছে তার জন্য তো তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছিল। তো আন্তর্জাতিকভাবে আসার জন্য জাতিসংঘকে আহ্বান জানানো হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা করেছিলেন তাদেরকে সহযোগিতা করার কথা। আসার জন্য সব কাজই তো সম্পন্ন করার পরও। এমনকি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন করা হয়েছে সেগুলোকে কারা বাদ দিয়েছে? কেন বাদ দেওয়া হয়েছে?

    ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে বলে দম্ভোক্তি করেন এই নেতা। তবে দেশে এসে বিচারের মুখোমুখি হবেন কি না সেই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনকার যে পরিস্থিতি, এই পরিস্থিতি থেকে উনি ফিরে আসবেন?

    জবাবে নাসিম বলেন, গরিব মানুষের, কর্মজীবী মানুষের, তৃণমূলের, মানুষের, কৃষক স্বার্থ আজকে সংরক্ষিত হচ্ছে। এরাই দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের মর্যাদার সাথে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে।

    এই মুহূর্তে তিনি দেশে নাকি দেশের বাইরে আছেন জানতে চাইলে এভাবেই তার জবাব দেন।আমরা আত্মগোপনে আছি। সেই পাঁচ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে নিধন, হত্যা, গণগ্রেফতার, মিথ্যা মামলা, শত শত মামলা। আমার বিপক্ষে কতগুলো মামলা দেওয়া হয়েছে।

    দেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ আবারও একদিন ফিরে আসবে বলে দাবি করেন সাবেক এই এমপি।

    ভিডিও: https://youtu.be/N-OaNruibM4?si=U9KkujC0bGiB-VWw

  • ভারতকে মরণ জ্বালা ধরিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প,যেকোন সময় হতে পারে দেউলিয়া!

    ভারতকে মরণ জ্বালা ধরিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প,যেকোন সময় হতে পারে দেউলিয়া!

    ভারতের কপালের ভাঁজ শুরুতেই চওড়া করেছিলেন খ্যাপাটে বিশ্ব নেতা হিসেবে পরিচিত ট্রাম্প। শপথ অনুষ্ঠানে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে দাওয়াত দিয়েছিলেন ট্রাম্প। সেই দাওয়াতে জিনপিং সায় দিতে পারবেন না বুঝেই হয়তো তার সাথে ফোনে আলাপ করেছেন ট্রাম্প। চীনের সাথে ঘনিষ্ঠ না হতে চাইলেও আপাতত বৈরীতা বাড়াতে চাইছেন না তিনি। সেই আভাসই দিয়েছেন টিকটকের উপর দিয়ে যাওয়া নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে।

    ট্রাম্পের এমন চীন ঘনিষ্ঠতা নিশ্চয়ই ভারতের বুকে মরণ জ্বালা ধরিয়ে দিয়েছে। কারণ বর্তমানে আবারো চীনের সাথে ভারতের বৈরিতা শুরু হয়েছে নতুন করে। সীমান্তে সেনা সামন্ত আর মহড়ার সংখ্যা বাড়িয়েছে জিনপিংয়ের দেশ।

    ঠিক এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে আগের মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে গলায় গলায় ভাব জমানো ট্রাম্প এবার তাকে শপথ অনুষ্ঠানেই ডাকলেন না, দিলেন না কোন ফোনও। এমনকি ভারতের জন্যও কোন আশ্বাস বাণীও এখন পর্যন্ত দেয়নি ট্রাম্প প্রশাসন। এমন ঘোর সময়ে আরও অন্ধকার ঘনিয়ে এল ভারতের দরজায়। ট্রাম্প সাম্রাজ্য থেকে এলো বড় দুঃসংবাদ। এবার বহু ভারতীয়কে আমেরিকা ছাড়া করবেন ট্রাম্প। সেই লক্ষ্যে পূর্ণ উদ্যমে কাজও শুরু হয়ে গেছে। বিনা নথিতে অবৈধভাবে আমেরিকায় থাকা ভারতীয়দের এবার বের করেই ছাড়বেন ট্রাম্প।

    সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী প্রায় আঠারো হাজার অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদেরকে ভারতে পাঠানোর কার্যক্রমও শুরু হয়ে গেছে। তবে আঠারো হাজারেই ক্ষান্ত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। মার্কিন মুলুকে লাখ লাখ অবৈধ ভারতীয় অভিবাসী আছেন। ফলে ফেরত পাঠানোর তালিকায় থাকা ভারতীয় নাগরিকের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়তেই থাকবে। পিউ রিসার্চ সেন্টারের তথ্য বলছে, আমেরিকায় অবৈধ অভিবাসনের দিক থেকে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন ভারতীয়রা।

    প্রায় ৭ লাখ ২৫ হাজার ভারতীয় বিনা অনুমতিতে আমেরিকায় বসবাস করছেন। যদি এই পরিমাণ ভারতীয়কে ফেরত পাঠানো হয়, তবে নয়াদিল্লির অর্থনীতি বড় ধাক্কা খাবে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা ডলারে টান পড়লে ভারতের রিজার্ভ ধসে যেতে পারে। ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার খবরের পর থেকে তরতর করে কমছে ভারতীয় রুপির দাম। বিদেশি বিনিয়োগও রয়েছে তলানির দিকে। এশিয়ায় আধিপত্য খাটাতে মরিয়া মোদি রাজ্যের জন্য এটা মোটেও সুসংবাদ নয়। এমনকি জোট বেঁধে ক্ষমতায় গার্ড ধরে রাখা মোদির গদিতে আঘাত লাগতে পারে।

    তাই তড়িঘড়ি করে ট্রাম্পের নীতির সাথে সুর মিলিয়েছে মোদি সরকারও। দিল্লির প্রথম ধাপে শনাক্ত হওয়া এই অবৈধ ভারতীয়দের ফেরত আনতে চায়। রাজনৈতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলছেন, অল্পের মধ্যে ধাক্কা সামলাতেই দিল্লি কোনো কথা খরচ না করে ট্রাম্পের এই মতে সায় দিয়েছে। সেই সাথে ট্রাম্পের সুরে সুর মিলিয়ে নয়া মার্কিন সম্রাটকে বাগে আনতে চাইছে মোদি প্রশাসন। কারণ ট্রাম্প বেঁকে বসলে কেবল অবৈধ অভিবাসী নয়, ভারতের ওপর বহু নিষেধাজ্ঞার বোঝাও চাপানো হতে পারে। বড় ট্রাম্প অ্যাটাক ঠেকাতে আগে থেকেই রক্ষণাত্মক অবস্থান নিয়েছে ভারত।

    এরই মধ্যে আগামী মাসে ওয়াশিংটনে মোদি ও ট্রাম্পের একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক আয়োজনের চেষ্টা করা হচ্ছে। জানা গেছে, এই বৈঠকে চীনকে মোকাবেলা করার আর বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধির পাশাপাশি ভারতীয় নাগরিকদের সহজে দক্ষ কর্মী ভিসা পাওয়ার ব্যবস্থার বিষয়ে আলোচনা করা হবে।

    ভিডিও: https://youtu.be/5peekYZgthg?si=2P0MaSOckBOnvN4X

  • প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য বড় সুখবর

    প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য বড় সুখবর

    সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য বড় সুখবর দিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার থেকে শিক্ষকদের অনলাইন বদলির কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।

    প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম খান এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সোমবার (২০ জানুয়ারি) থেকে দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের আন্ত উপজেলা বা থানা (একই উপজেলা বা থানার ভেতর) অনলাইন বদলির কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।

    প্রতিবছর ১ জানুয়ারি থেকে বদলি কার্যক্রম শুরু হলেও এবার তা কিছুদিন পিছিয়ে যায়। বদলির এ কার্যক্রম চলবে মার্চ পর্যন্ত।

  • পুলিশ, র‌্যাব, আনসারের নতুন পোশাক চূড়ান্ত

    পুলিশ, র‌্যাব, আনসারের নতুন পোশাক চূড়ান্ত

    সোমবার (২০ জানুয়ারি) আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

    জানা গেছে, বৈঠকে আয়রন, রয়েল ব্লু, ডিপখাকি, ডিপব্লু, জলপাইসহ কয়েকটি রংয়ের পোশাকের মডেল উপস্থাপন করা হয়।

    সেখান থেকে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে তিন বাহিনীর জন্য আলাদা আলাদা রংয়ের পোশাক চূড়ান্ত করা হয়।

    বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পুলিশের পোশাকের রং হচ্ছে ‘আয়রন’। র‌্যাবের পোশাক হচ্ছে জলপাই বা অলিভ রংয়ের এবং আনসারের পোশাকের রং হচ্ছে ‘গোল্ডেন হুইট’।

    পোশাক পরিবর্তনের কারণ হিসেবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘এসব সদস্যদের মানসিকতার পরিবর্তন করতেই পোশাকের পরিবর্তন করা হচ্ছে। মনোবল বৃদ্ধি ও দুর্নীতিরোধসহ নানান বিষয়কে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।’

    নতুন পোশাকে বড় ধরনের অর্থ সংকুলান হবে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের কিছু হবে না। নিয়মিত এসব বাহিনীর সদস্যদের নতুন পোশাক তৈরি হচ্ছে। সে ধারাবাহিকতায় ধীরে ধীরে পরিবর্তিত পোশাক তৈরি হবে। এটার জন্য বাড়তি অর্থের খুব একটা দরকার হবে না।’

    এর আগে, ১১ আগস্ট পুলিশের ইউনিফর্ম ও লোগো পরিবর্তন করা হবে বলে জানিয়েছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।

    তিনি বলেছিলেন, ‘পুলিশের ইউনিফর্ম, লোগো সব পরিবর্তন করা হবে। অনেকের মন ভেঙে গেছে, এই ইউনিফর্ম পরে পুলিশ আর কাজ করতে চাইছে না। খুব দ্রুতই তা পরিবর্তন করা হবে। এসব বিষয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

    তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ কমিশন হওয়া উচিত। সেই কমিশনের অধীনে পুলিশ পরিচালিত হবে। তারা কোনো রাজনৈতিক দলের অধীনে থাকবে না। পুলিশকে যেন রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার না করা হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।’

    পরে ১২ আগস্ট পুলিশের ইউনিফর্ম ও লোগো পরিবর্তনের বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। ১০ সদস্যের কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।

    এদিকে পুলিশের লোগো পরিবর্তনের প্রক্রিয়া অনেকটা এগিয়েছে। নতুন লোগো নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া পুলিশের নির্ধারিত নতুন লোগো পাঠানো হয়েছে মন্ত্রণালয়ে। তা এখন অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে বলে জানা গেছে।