Blog

  • প্রধান উপদেষ্টার কাছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদন হস্তান্তর: গুম ও হত্যার নির্দেশ দিতেন হাসিনা

    প্রধান উপদেষ্টার কাছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদন হস্তান্তর: গুম ও হত্যার নির্দেশ দিতেন হাসিনা

    স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা নিজেই গুম ও হত্যার নির্দেশদাতা ছিলেন। তার সরাসরি নির্দেশে গুম ও হত্যার মত ঘটনা ঘটেছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) এক প্রতিবেদনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের এমন সব ভয়ংকর তথ্য উঠে এসেছে।

    আজ মঙ্গলবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এইচআরডব্লিউ’র এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ইলেইন পিয়ারসনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল অধ্যাপক ইউনূসের সাথে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তারা প্রধান উপদেষ্টার কাছে জুলাই বিপ্লবের ওপর একটি প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন। এই প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

    এইচআরডব্লিউ’র প্রতিনিধিদলটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার কর্মসূচি এবং দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়ন প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।

    এইচআরডব্লিউ’র এশিয়া প্রধান বলেন, ‘আপনারা এখন পর্যন্ত যে অগ্রগতি করেছেন তাকে আমরা সাধুবাদ জানাই।’ জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান সময়ের মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ এখন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মানবাধিকারের গুরুত্ব উপলব্ধি করছে।’

    এইচআরডব্লিউ র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) বিলুপ্ত করার সুপারিশ তুলে ধরে বলেছে, গুম ও হত্যার জন্য দায়ী কর্মকর্তাদের অপরাধের জন্য জবাবদিহিতার আওতায় আনা উচিত। তিনি বলেন, ‘এখানে জবাবদিহিতা থাকা জরুরি।’

    স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শাসনামলের কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের যে প্রচেষ্টা ছিল- তার প্রশংসা করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘গত ১৬ বছর আপনাদের প্রতিবেদনগুলোতে ১৬ বছরের একনায়ক শাসনামলের ব্যাপক অপরাধ উন্মোচনে সহায়ক হয়েছে।’

    তিনি আরও বলেন, র‌্যাব তাদের অপরাধের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছে, তবে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং গুমের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের ‘বিচারের মুখোমুখী হতে হবে এবং শাস্তি পেতে হবে।’

    পিয়ারসন বলেন, ‘২০০৯-২০২৪ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনার শাসনামলে নিরাপত্তা বাহিনী রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত ছিল এবং তারা শাসক দলের ক্যাডারের মতো আচরণ করত।’

    তিনি আরও বলেন, ‘এ জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার প্রয়োজন।’

    প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমরা উন্মুক্ততা এবং স্বচ্ছতায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সমস্ত সংস্কার সুপারিশ প্রকাশ করছি এবং জনগণকে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার নির্ধারণের সুযোগ দিচ্ছি। ১৬ বছরের দমন-পীড়ন এবং অপরাধের ক্ষতি পূরণ করা একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ হবে।’

    এইচআরডব্লিউ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘গুমের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে জানিয়েছেন যে শেখ হাসিনা বা সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে জানতেন এবং কিছু ক্ষেত্রে হাসিনা সরাসরি গুম ও হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন।’

    এইচআরডব্লিউ’র এশিয়া প্রধান ঢাকা সফরকালে সংস্কার কমিশনের প্রধান এবং রোহিঙ্গা বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেনটেটিভ খলিলুর রহমানসহ একাধিক ব্যক্তির সাথে সাক্ষাৎ করেন।

    এইচআরডব্লিউ বলেছে, সংস্কারগুলোকে দৃঢ় করতে হবে এবং নিরাপত্তা বাহিনীকে যথাযথ নজরদারির আওতায় আনতে হবে।

    প্রধান উপদেষ্টা জানান, তিনি রাখাইনে বাস্তুচ্যুত হাজার হাজার রোহিঙ্গার জন্য একটি নিরাপদ অঞ্চল তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং মিয়ানমারের প্রধান বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি ‘নিরাপদ অঞ্চল’-এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।

  • জেলা বিএনপির সম্মেলন ঠেকাতে জুতা মিছিল

    জেলা বিএনপির সম্মেলন ঠেকাতে জুতা মিছিল

    জীবন দিয়ে হলেও আগামী পহেলা ফেব্রুয়ারী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রতিহত করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে জেলা বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাতে সম্মেলনের প্রতিবাদে আয়োজিত জুতা মিছিল থেকে এই হুঁশিয়ারি দেয়া হয়। মিছিলটি শহরের শিমরাইলকান্দি এলাকা থেকে বের হয়ে কালিবাড়ি মোড়, টিএরোড, কোর্ট রোড, কুমারশীল মোড়সহ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে লোকনাথ টেংকের পাড় মাঠ প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়।

    পরে জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি গোলাম সারোয়ার খোকন, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আনিসুর রহমান মঞ্জু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মঈনুল হাসান চপল, সাবেক কোষাধক্ষ্য জসিম উদ্দিন রিপন, জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা প্রমুখ।

    এ সময় বক্তারা বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির ১৪টি ইউনিটের মূল ধারার ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাকর্মীদের ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিয়ে একটি প্রহসনের সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। মূলত বিএনপির লেবাসধারী কবির আহমেদের কূট কৌশলে জেলা বিএনপির নামে এই অপচেষ্টা চালিয়ে জেলা বিএনপির রাজনৈতিক পরিবেশ নষ্ট করছে। তারা আরও বলেন, সম্মেলন করতে হলে আহ্বায়ক কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে প্রতি থানায় থানায় নতুন করে সম্মেলনের মাধ্যমে জেলা বিএনপির সম্মেলনের আয়োজন করতে হবে। অন্যথায় জীবন দিয়ে হলেও এই সম্মেলন করতে দেয়া হবে না। পরে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কবির আহমেদ ভুঁইয়া কুশপুত্তলিকা দাহ করে ক্ষোভ জানানো হয়।জুতা মিছিলে জেলা বিএনপির একাংশের নেতাকর্মী ছাড়াও যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

    উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৮ ডিসেম্বর ও ১৮ জানুয়ারি জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু একপক্ষ সম্মেলনের সকল প্রস্তুতি নিলেও অপরপক্ষের বিরোধিতার জন্য দুটি তারিখই পরিবর্তন করে কেন্দ্রীয় বিএনপি।

  • বসতঘরে আগুন, দেয়াল ভেঙে স্কুলছাত্রকে বাঁচালেন স্থানীয়রা

    বসতঘরে আগুন, দেয়াল ভেঙে স্কুলছাত্রকে বাঁচালেন স্থানীয়রা

    বসতঘরে জ্বলছে আগুন, চার দেওয়ালের মাঝে আটকা পড়েছে এক স্কুলছাত্র। হাতুড়ি, কুড়ালসহ বিভিন্ন ভারী বস্তু দিয়ে ঘরের দেওয়াল ভেঙে সেই স্কুলছাত্রকে উদ্ধার করে কয়েকজন যুবক ও এলাকাবাসী।

    মঙ্গলবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের জুড়ান মোল্লা পাড়ায় হাসেম বেপারীর বাড়িতে এ আগুনের ঘটনা ঘটে।

    উদ্ধারকৃত নিতুন (১৪) দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তাকে দগ্ধ অবস্থায় বের করে গোয়ালন্দ উপজেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

    জানা গেছে, আগুনে দগ্ধ হয়েছেন আরও ২ জন। পুড়ে গেছে বড় একটি চৌচালা টিনশেড ঘর এবং ঘরের ভেতরে বসবাসকারী ৪ ভাড়াটিয়ার সব মালামাল। এতে সর্বমোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৫/২০ লাখ টাকা। ক্ষতিগ্রস্ত ৪ জন ভাড়াটিয়া হলেন দীন বন্ধু, কাঞ্চন বিশ্বাস, পলাশ ও জাহিদুল ইসলাম।

    ফায়ার সার্ভিসের অগ্নি নির্বাপন গাড়ি ঘটনাস্থলের কাছাকাছি সরকারি গোয়ালন্দ কামরুল ইসলাম কলেজের পাশে সড়কের মধ্যে বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রাখায় এবং অপরিকল্পিত একটি ভবনের দেয়ালের জন্য দ্রুত সময়ে ঘটনাস্থলেই পৌঁছাতে পারেনি বলে অভিযোগ উঠেছে।

    ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া দীনবন্ধুর ঘর থেকে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট হতে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আগুন আশপাশের মোট ৪টি ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় আশপাশের প্রতিবেশীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে আগুন নেভাতে চেষ্টা করতে থাকেন। এর মধ্যেই ঘরে নিতুন আটকে পড়ে। তাকে দেয়াল ভেঙে উদ্ধার করা হয়। সে বাড়ির ভাড়াটিয়া ফরিদপুর জেলার মধুখালী থানার নিমাই সরকারের ছেলে। আগুনে আরও দগ্ধ হয়েছেন ভাড়াটিয়া জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী সোমা বেগম (৪০) এবং অজ্ঞাতনামা আরও একজন। তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    সংবাদ পেয়ে গোয়ালন্দঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

    গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের টিম লিডার মো. সাবেকুল ইসলাম বলেন, বৈদ্যুতিক শার্ট শার্কিট হতে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। আমরা সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর চেষ্টা করি। কিন্তু সরকারি কামরুল ইসলাম কলেজ সংলগ্ন সড়কের মধ্যে বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রাখায় এবং অপরিকল্পিত একটি ভবনের দেয়ালের জন্য আমাদের গাড়ি ঘটনাস্থলেই পৌঁছাতে পারেনি। পরে পাইপ টেনে নিয়ে আমরা কাজ শুরু করি।

  • জামায়াত-বিএনপির মধ্যে কোনো সংঘাত নেই: শামসুজ্জামান দুদু

    জামায়াত-বিএনপির মধ্যে কোনো সংঘাত নেই: শামসুজ্জামান দুদু

    বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, জামায়াত-বিএনপির মধ্যে কোনো সংঘাত নেই। প্রয়োজনীয় সংস্কার করে সকল রাজনৈতিক দল চায় দ্রুত নির্বাচন। অতিরিক্ত সময় ব্যয় কেউ চায় না।

    মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় স্থানীয় স্কাইভিউ রেস্টুরেন্টে নীলফামারী জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সভার শুরুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শামসুজ্জামান দুদু এসব কথা বলেন।

    বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আরও বলেন, ১৭ বছর আন্দোলনে জঞ্জাল মুক্ত হয়েছে। এখন সঠিক, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে জনগণের ভোটে সরকার নির্বাচিত হবে।

    সাংগঠনিক সভায় নীলফামারী জেলা বিএনপির সভাপতি আ খ ম আলমগীর সরকারের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

    বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, অধ্যাপক আমিনুল হক, সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহুরুল হক।

    এসময় জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সাংগঠনিক বক্তব্য দেন।

  • কমতে পারে ইন্টারনেটের দাম: ৫০০ টাকার ইন্টারনেট ৩০০

    কমতে পারে ইন্টারনেটের দাম: ৫০০ টাকার ইন্টারনেট ৩০০

    কমতে পারে ইন্টারনেটের দাম: ৫০০ টাকার ইন্টারনেট ৩০০
    বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার (বিটিআরসি)র এক প্রস্তাবনায় সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ দাম কমানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে দেশে ৫০০ টাকার ৫ এমবি ইন্টারনেটের দাম হবে ৪০০ টাকা। প্রস্তাবনাটি এখন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায়।

    এদিকে এই প্রস্তাবনায় জোড় আপত্তি তুলেছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)। তারা বলছেন, দাম কমলে কোয়ালিটি সার্ভিস নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না।

    দেশে বর্তমানে দিনে ৬ হাজার ৪০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ চাহিদার ৪০ শতাংশই ব্যবহার হয় ব্রডব্যান্ড সেবায়। এক কোটি ৩৭ লাখ গ্রাহকের জন্য ২০২১ সালে পাঁচ থেকে ২০ এমবিপিএস পর্যন্ত তিন ক্যাটাগরিতে সর্বনিম্ন ৫০০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত দাম নির্ধারণ করে বিটিআরসি। এই রেটে সাড়ে তিন বছর ধরে ইন্টারনেট সেবা দিয়ে আসছে আইএসপিগুলো।

    গ্রাহক বান্ধব ইন্টারনেট সেবা দিতে তৎপর বিটিআরসি। গত বছরের ৩ ডিসেম্বর গ্রাহক পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ কমানোর প্রস্তাবনা অনুমোদনের জন্য টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে পাঠায় বিটিআরসি।

    বিটিআরসি বলছে, অনুমোদন পেলে মাসে ৫০০ টাকার পাঁচ এমবিপিএস সংযোগে খরচ কমবে ১০০ টাকা। ১০ এমবিপিএসে ৮০০ টাকার পরিবর্তে ৭০০ টাকা এবং ১২০০ টাকার পরিবর্তে ১১০০ টাকায় মিলবে ২০ এমবিপিএস।

  • ‘১৬ বছর জেলখানায় কষ্টে ছিলাম, জামিনে বাড়ি এসে আরেক কষ্ট’

    ‘১৬ বছর জেলখানায় কষ্টে ছিলাম, জামিনে বাড়ি এসে আরেক কষ্ট’

    ২০০৯ সালে আলোচিত পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দীর্ঘ ১৬ বছর কারাভোগের পর বাড়ি ফিরেছেন মজিবুর রহমান (৬৭)। গত ২৩ জানুয়ারি নিজ গ্রামে ফেরেন তিনি। দীর্ঘদিন কারাগারে থাকার পর মুক্ত হওয়ায় পরিবারের সবাই খুব খুশি হয়েছেন। তাকে এক পলক দেখার জন্য ছুটে আসছেন আত্মীয়স্বজন ও আশপাশের লোকজন।

    মজিবুর রহমান কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার ধরমপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর ভবানী গ্রামের বাসিন্দা। পরিবারে তার তিন মেয়ে ও স্ত্রী রয়েছেন। তিনি দৌলতপুর উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের আমদানি ঘাট গ্রামের মৃত রেহান উদ্দিন দেওয়ানের ছেলে। ১৯৮৭ সালে পদ্মা নদীর ভাঙনে তাদের বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। তারপর দরিদ্র পরিবারের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় বসবাস করেন। ২০০০ সাল থেকে মজিবুর রহমান শ্বশুর বাড়ি উত্তর ভবানী গ্রামে বসবাস করেন। তিনি ১৯৮৬ সালের মার্চে বিডিআরে সদস্য হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন।

    ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। ওই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। পিলখানা ট্র্যাজেডির ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে করা মামলার আসামি তিনি। পিলখানায় বাবুর্চি পদে চাকরিরত অবস্থায় ঘটনার দিন খাবার রান্নার কাজ করছিলেন। সেদিন সাড়ে ৩টায় বের হন পিলখানা থেকে। এরপর বিকেল ৪টার দিকে বেড়িবাঁধ থেকে তাকে আটক করে র‍্যাব। তারপর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। ২৯ তারিখে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর ২০১০ সালের আগস্টে খালাস পান। তারপর গ্রামের বাড়িতে আসেন এবং কক্সবাজারে চাকরি নেন। ২০১১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারে হোটেলে কর্মরত অবস্থায় পুলিশ ও বিজিবি তাকে আবার গ্রেপ্তার করে। এরপর থেকে তিনি কারাগারে বন্দি ছিলেন।

    কাঁদতে কাঁদতে মজিবুর রহমান বলেন, আমি কোনো অপরাধ করিনি। তবুও এতটা বছর জেলে বন্দি ছিলাম। ১৬ বছর জেলখানায় কষ্টে ছিলাম, জামিনে বাড়ি এসে আরেক কষ্ট। টাকার অভাবে বাজার করতে পারি না, চিকিৎসা করাতে পারি না, চোখে দেখি না, আমার হাত-পায়ের অবস্থা খারাপ। অর্থের অভাবে আমি কোনো দিশা পাচ্ছি না। বাজার করবো কি দিয়ে? কাপড়চোপড় কিনবো কি দিয়ে? সরকারের কাছে আকুল আবেদন, আমি যেন সাহায্য পাই। আমার ছেলে সন্তান নেই, তিনটা মেয়ে। তাদেরকে নিয়ে আমি যেন বাঁচতে পারি। সরকার যেন সাহায্য দেন, যাতে সংসার ও চিকিৎসা চালাতে পারি। আমাদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া হোক। আমাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক। বিস্ফোরক মামলা থেকে খালাস দেওয়া হোক। আমার ভিটেবাড়ি নেই, কি নিয়ে বাঁচবো?

    তিনি আরও বলেন, আমি যখন জেলে ছিলাম। তখন আমাকে কেউ দেখাশোনা করতে পারেনি, ১০টা টাকা দিতে পারেনি। টাকার অভাবে স্ত্রী ও মেয়েরা ভাড়া দিয়ে জেলখানায় যেতে পারেনি আমাকে দেখতে। টেলিফোনে কথা হতো। পরিবারের টাকার অভাবে বাজার করতে পারেনি। অনাহারে-অর্ধাহারে তাদের দিন কেটেছে। আমার তিনটা মেয়ে রাস্তায় রাস্তায় কান্নাকাটি করে বেড়িয়েছে। ছেলে সন্তান থাকলেও তো রিকশা চালিয়ে ইনকাম করতে পারতো। আল্লাহ ছেলে সন্তান দেয়নি। সংসার চালাবে না মামলা চালাবে? এভাবে অনেক কষ্টে ১৬ বছর কাটিয়েছে তারা। যাইহোক আল্লাহ মুখ তুলে তাকিয়েছেন।

    মজিবুর রহমান আরও বলেন, আমি বিডিআরের সাধারণ সদস্য ছিলাম। আমার র‍্যাংক বাছক। আমি নিরপরাধ, আমি কোনো অন্যায় করি নাই। তবুও ১৬ বছর ৫ মাস জেল খেটেছি। জেল থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য সরকার, সাংবাদিক ও আইনজীবীদের ধন্যবাদ। তাদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে আমরা জেল থেকে মুক্তি পেয়েছি। ছাত্র-জনতার প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা।

    মজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে রিমি খাতুন বলেন, আমার বয়স যখন তিন বছর তখন থেকে আমার বাবা জেলখানায় বন্দি ছিলেন। বাবাকে ছাড়া আমরা খুব কষ্ট করেছি। আমরা তিন বোন, কোনো ভাই নেই। বাবাই একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন। বাবার আদর পায়নি, বাবাকে দেখতে পায়নি, বাবা বলে ডাকতে পারিনি। টাকার অভাবে আমরা তিন বোন পড়াশোনা করতে পারিনি। অসুস্থ হলে চিকিৎসা করাতে পারিনি। কোনো শখ ইচ্ছে পূরণ হয়নি। আমরা এতোটা বছর খেয়ে না খেয়ে পার করেছি। মহাবিপদের সময় আমাদের পাশে কেউ ছিল না। আব্বুকে জেল থেকে মুক্তি দেওয়ায় আমরা খুশি। কিন্তু আমার আব্বু কোনো কাজ করতে পারে না। আমাদের খুব অভাব, আমাদের খুব কষ্ট। সংসার চালানোর টাকা নেই। আমরা সরকারের কাছে সাহায্য চাই।

    মজিবুর রহমানের স্ত্রী নূরুন নাহার বলেন, আমাদের জায়গা-জমি নাই। টাকার অভাবে ঠিকমতো খেতে পারিনি। তিনটা মেয়েকে পড়াতে পারিনি। খুব কষ্ট করেছি আমরা। কেউ সাহায্য করেনি। তিন মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি, জামাইরা সাহায্য করে। এভাবে আমার সংসার চলে। আমার স্বামী জেল থেকে বাড়িতে এসেছেন। তিনি অসুস্থ, আমিও অসুস্থ, টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছি না। আমরা সরকারের কাছে সাহায্য চাই।

    প্রতিবেশী ও স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, তাদের সংসার ভালোই চলছিল। কিন্তু জেলখানায় বন্দি হওয়ার পর থেকে তাদের সংসারে কষ্ট নেমে আসে। টাকার অভাবে তারা খুব কষ্ট করেছেন। ঠিকমতো খেতে, চিকিৎসা করাতে, কিংবা মেয়েদের লেখাপড়া করাতে পারেননি। জেল থেকে মুক্তি পাওয়ায় আমরা খুশি। কিন্তু তিনি অসুস্থ, কাজ করে উপার্জন করার অবস্থায় নাই। তাদের সংসার চালানোর ক্ষমতা নেই। তাদের কষ্ট দেখে আমাদেরও খুব কষ্ট লাগে। এরা গরীব অসহায় মানুষ। তাই সরকারের পক্ষ থেকে তাদের সাহায্য করা হোক।

    মজিবুর রহমানের বড় মেয়ে রত্না বলেন, আমার বাবা নির্দোষ নিরপরাধ মানুষ। তবুও প্রায় ১৭ বছর জেলে বন্দি ছিলেন। এই ১৭ বছর আমরা খুব কষ্ট করেছি৷ আমার বাবাই একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন। তিনি জেলে যাওয়ার পর থেকে আমরা অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাঠিয়েছি। পড়াশোনা করতে পারিনি। আত্মীয়-স্বজনরা ছোটবেলায় আমাদের বিয়ে দিয়ে দেন। আমার স্বামী ও বোনের স্বামীর সহযোগিতায় আমাদের সংসার চলে কোনোমতে। আব্বু জেল থেকে বাড়িতে এসেছেন। টাকার অভাবে সংসার চলছে না, চিকিৎসা করাতে পারি না। আমার মা-বাবা দুজনেই অসুস্থ। আমরা সরকারের কাছে সাহায্য চাই।

  • ফেসবুক কেন লাস্ট ওয়ারনিং দিল আজহারীকে?

    ফেসবুক কেন লাস্ট ওয়ারনিং দিল আজহারীকে?

    জনপ্রিয় ইসলামী বক্তা মাওলানা ড. মিজানুর রহমান আজহারী জানিয়েছেন, নতুন করে রেস্ট্রিকশনে পড়েছে তার ফেসবুক পেইজ! রিচ ডাউন করে দেওয়া হয়েছে।

    গতকাল মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড পেজ থেকে এক পোস্টের মাধ্যমে তিনি বিষয়টি জানান। ওই পোস্টে তিনি বলেন, ‘ফেসবুকে কয়েক দফা রেস্ট্রিকশন পার করে আসার পর, বিগত ৬ মাস পূর্বের একটি পোস্টের জের ধরে আবারও নতুন করে রেস্ট্রিকশন এসেছে। নির্যাতিত ভাইদের নিয়ে কথা বলাসহ আরো বেশ কিছু বিষয়ে শক্ত অবস্থান ব্যক্ত করায় এর আগেও রেস্ট্রিকশনের কবলে পড়েছি আমরা।

    তিনি আরো বলেন, ‘ভাষা ও শব্দগত বিকৃতি ঘটিয়ে, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের চোখ ফাঁকি দেওয়াটা এখন সহজসাধ্য নয়। প্রতিটা রেস্ট্রিকশন মানেই দাওয়াহ প্রচারের এই বড় প্লাটফর্মটা হারানোর ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া। এবার ফেসবুক লাস্ট ওয়ারনিং দিয়ে জানিয়েছে যে—আর কোনো ভায়োলেশন হলে পেইজটি আমাদের হাত ছাড়া হয়ে যাবে।’

    শুভানুধ্যায়ীদের প্রত্যাশা থাকে—যেন চলমান প্রতিটি ইস‍্যুতেই আমরা কথা বলি বা শক্ত অবস্থান প্রকাশ করি উল্লেখ করে আজহারী বলেন, ‘আমাদেরও অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে এটা বুঝাতেই আজকের এই পোস্ট।

    স্পর্শকাতর অনেক বিষয়ে চাইলেও আমরা ইচ্ছেমতো সব বলতে বা লিখতে পারি না। প্রজেক্ট আলফা সংক্রান্ত বেশ কিছু আপডেট দেওয়ার ছিল। লেটেস্ট পোস্টে যে হারে রিচ ডাউন করা হয়েছে, এটা জারি থাকলে জানি না প্রজেক্ট সংক্রান্ত আপডেটগুলো আপনাদের পর্যন্ত কতটুকু পৌঁছবে। সপ্তাহে প্রতি জুমার নামাজের পর পরই আমাদের নিয়মিত আপডেট থাকে।

  • ফেব্রুয়ারিতে অবরোধ ও ‘কঠোর’ হরতাল ডেকেছে আওয়ামী লীগ

    ফেব্রুয়ারিতে অবরোধ ও ‘কঠোর’ হরতাল ডেকেছে আওয়ামী লীগ

    অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পদত্যাগ ও ‘অপশাসন-নির্যাতনের প্রতিবাদে আগামী ১৬ই ফেব্রুয়ারি ও ১৮ই ফেব্রুয়ারি হরতালের ডাক দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

    মঙ্গলবার রাতে দলটির ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

    এতে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগের দাবিতে এবং হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি বাস্তবায়নে পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকেই মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছে দলটি।

    ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আগামী পহেলা ফেব্রুয়ারি শনিবার থেকে ৫ই ফেব্রুয়ারি বুধবার পর্যন্ত দাবির লিফলেট বা প্রচারপত্র বিলি করবে দলটি।

    ছয়ই ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার দেশে প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ১০ই ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ।

    আর ১৬ই ফেব্রুয়ারি রোববার অবরোধ এবং ১৮ই ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক ‘কঠোর’ হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

    প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ অন্যান্য মামলা প্রত্যাহার এবং ‘প্রহসনমূলক বিচার’ বন্ধেরও দাবি জানানো হয়।

    এই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে শেখ হাসিনাকে ‘প্রধানমন্ত্রী’ হিসেবে উল্লেখ করেছে ক্ষমতাচ্যুত দলটি।

    ক্ষমতাচ্যুত এই দলের পক্ষ থেকে এর আগে গত ১০ই নভেম্বর রাস্তায় নামার ঘোষণা দিয়েও নামতে পারেনি আওয়ামী লীগ।

    এমন অবস্থার মধ্যেই মঙ্গল হরতাল, অবরোধ, সমাবেশ ও বিক্ষোভের ডাক দিলো আওয়ামী লীগ।

    যদিও ৫ই অগাস্ট ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের কোথাও দলটির সক্রিয় কোন কর্মকাণ্ড দেখা যায়নি। দলটির বেশিরভাগ শীর্ষ নেতাই দেশের বাইরে, পলাতক অথবা কারাগারে রয়েছেন। গণআন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে যাওয়ার পর থেকে সেখানেই রয়েছেন।

  • জুলাই হেলিকপ্টার গোপন মিশনে ৪ কমান্ডিং অফিসারের নাম জানালেন পিনাকী!

    জুলাই হেলিকপ্টার গোপন মিশনে ৪ কমান্ডিং অফিসারের নাম জানালেন পিনাকী!

    রামপুরায় কার্নিশে ঝুলে থাকা বিক্ষোভকারীকে ঠাণ্ডা মাথায় গুলি করা জল্লাদ ধরা পড়েছে। সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিছে। ঠাণ্ডা মাথায় বলছে নিজ মুখে ক্যামেরার সামনে যে সে গুলি করেছে। জুলাই আগস্ট বিপ্লবের সময় যারা যারা আমাদের সন্তানদের শহীদ করেছে, আহত করছে, কাউকে ছাড়া হবে না। আমরা নরক পর্যন্ত ওদের তাড়া করে বেড়াব। আরও নতুন নতুন খবর আসছে। জাল বললাম ছোট হয়ে আসছে।

    পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনীকে আহ্বান জানায়, যারা গণহত্যার সাথে যুক্ত ছিল তাদের বাঁচানোর চেষ্টা করবেন না। তাইলে আরও বড় বিপদে পড়বেন। কারা কারা বাঁচানোর চেষ্টা করতেছে আমরা খেয়াল রাখতেছি।

    হেলিকপ্টারে কারা ছিলেন, কয়টার সময় কী কী অস্ত্র ছিল, খরচা কী কী, গুলিগোলা কয়টায় ল্যান্ড করছে? হেলিকপ্টার থেকে গুলি করা অপারেশনের সব। ট্র্যাক টাইম, ফ্লাইট আর হতাহতের সাথে। হেলিকপ্টার হত্যাকাণ্ডের ডিটেল হাতে এসেছে। হেলিকপ্টারে উঠেছিলেন যারা তারা ভাবতেছেন ফাঁকা আওয়াজ দিতেছি নাকি?

    প্রথম হেলিকপ্টার মিশন শুরু হয় ১৯ জুলাই বেলা ১ টা চল্লিশে আকাশে উঠে হেলিকপ্টার নামে ৩ টা ১০এ। কমান্ডিং অফিসারের নাম লেফটেন্যান্ট কর্নেল টা টা টা। যে আসলে সে ঠিকই বুঝেছে, তাই না? মুনিম ফেরদৌস আপনিসহ মোট চারজন আছিলেন।

    একজন সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার, একজন সার্জেন্ট, একজন কর্পোরাল। নাম কইলাম না কী করছিলেন। অন্যান্য কিছুর সাথে সাউন্ড গ্রেনেড খর্চা করছিলেন। প্রচেষ্টা ফ্লাইটের সাউন্ড গ্রেনেড সেবার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনিম ফেরদৌস।

  • পুলিশের ভুলে বউ ও চাকরি দুটোই হারালেন যুবক

    পুলিশের ভুলে বউ ও চাকরি দুটোই হারালেন যুবক

    মুম্বাইয়ের একটি একটি ভ্রমণ সংস্থার ড্রাইভার হিসেবে কাজ করতেন ৩১ বছর বয়সি আকাশ কৈলাশ কানোজিয়া। ছোটবেলা থেকে দারিদ্র্যের সঙ্গে যুদ্ধ করতে করতে জীবনের এতগুলো বছর পর এই জায়াগায় এসেছিলেন তিনি। ইতোমধ্যে নতুন জীবন শুরু করার জন্য বিয়ের জন্য কনেও ঠিক হয়। কিন্তু সবকিছু্ একমুহূর্তেই শেষ হয়ে গেছে আকাশের।

    বলিউড তারকা সাইফ আলি খানের বাড়িতে হামলার ঘটনায় সন্দেহ করে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও সিসিটিভি ফুটেজের সঙ্গে তার মিল না পাওয়া নিজেদের ভুল বলে তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। কিন্তু এরইমাঝে নিজের জীবনে সবকিছু তছনছ হয়ে যায় আকাশের। খবর প্রকাশের পর বিয়ে ভেঙে দেয় কনেপক্ষ, জীবিকার একমাত্র অবলম্বন গাড়ির চালানোর কাজ থেকে তাকে অব্যাহতি দেয় পুলিশ। বাবা-মাকে প্রতিনিয়ত শুনতে হচ্ছে প্রতিবেশীদের কটাক্ষ। পুলিশ তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিলেও এ অভিযোগ এখনো পেছন ছাড়ছে না আকাশ ও তার পরিবারের।

    আকাশ জানিয়েছেন, ১৭ জানুয়ারি ট্রেন দিয়ে হবু শশুরবাড়ি যাচ্ছিলেন তিনি। সেই ট্রেন থেকেই তাকে গ্রেফতার করে ভারতীয় রেল পুলিশ।

    সম্প্রতি গণমাধ্যমের কাছে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে আকাশ বলেন, পুলিশ আমাকে শুধু আটকই করেনি। আমার ছবি দিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে বিবৃতিও দিয়েছিল। তার ফলে আমার চাকরি গিয়েছে। ভেঙে গিয়েছে বিয়ের সম্বন্ধও।

    পুলিশ তাকে আটকের পর কোনো তথ্য যাচাই না করেই সংবাদমাধ্যমের কাছে বিস্তারিত তুলে দয়ে বলে আকাশের দাবি। যার ফলে মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় তার ছবি।

    আকাশ বলেন, সিসিটিভি ফুটেজে যার ছবি দেখা গিয়েছে, তার তো দাড়ি-গোঁফ নেই। আমার গোঁফ আছে। পুলিশ সেটাই দেখতে পেল না! অথচ তারা অভিনেতার বাড়ি থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছিল।

    আটকের পর পুলিশ তাকে চরম হেনস্থা করে বলে আকাশ দাবি করেন। সেসময় কোনো রকমে নিজের মালিকের সঙ্গে ফোন করেন তিনি। দীর্ঘক্ষণ জেরার পর পুলিশের হাত থেকে ছাড়া পান তিনি। কিন্তু জানতে পারেন, ইতোমধ্যে তার আটকের খবরটি ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র এবং বিয়ে ভেঙে দিয়েছে পাত্রীপক্ষ। আর গাড়ি চালকের চাকরি থেকেও অব্যহতি পেয়েছেন।

    এ ঘটনার একদিন পর সাইফকে হামলার অভিযোগে মুম্বাইয়ের ঠান এলাকা থেকে শরিফুল ইসলাম শেহজাদ নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে মামলার তদন্ত প্রতিনিয়ত নতুন মোড় নিচ্ছে। এরইমধ্যে গণমাধ্যমে প্রচার হয়েছে সিসিটিভি ফুটেজের সঙ্গে মিল নেই শরিফুলেরও। এমনকি সাইফের বাড়ি থেকে পাওয়া ১৯টি আঙুলের ছাপের সঙ্গেও শরিফুলের আঙুলের ছাপের মিল নেই।