Blog

  • নোয়াখালীতে ‘মার্চ টু কাউয়া কাদেরের বাড়ি’ কর্মসূচির ডাক, বিপ্লবীদের প্রস্তুতির আহ্বান

    নোয়াখালীতে ‘মার্চ টু কাউয়া কাদেরের বাড়ি’ কর্মসূচির ডাক, বিপ্লবীদের প্রস্তুতির আহ্বান

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন – নোয়াখালী ফেসবুক পেজ থেকে একটি স্ট্যাটাসের মাধ্যমে কর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।

    এতে উল্লেখ করা হয়েছে, “নোয়াখালীর বিপ্লবীরা, বুলডোজার নিয়ে প্রস্তুত থাকুন। মার্চ টু কাউয়া কাদেরের বাড়ি! আজ সকাল ১১টা।”

    এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে এখনো কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

  • জিয়াউর রহমানের বাড়ি ভাঙতে হাসিনার বুক কাঁপে নাই, ৩২ ভাঙতে আমাদেরও কাঁপবে না

    জিয়াউর রহমানের বাড়ি ভাঙতে হাসিনার বুক কাঁপে নাই, ৩২ ভাঙতে আমাদেরও কাঁপবে না

    ২০১০ সালের ১৩ নভেম্বর, এক স্মরণীয় দিনে বেগম খালেদা জিয়াকে টেনেহিঁচড়ে মঈনুল রোডের ৬ নম্বর বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্মৃতিধন্য এই বাড়িটি রাতের অন্ধকারে খালি করা হয়, আর সেই ঘটনাটি আজও দেশের রাজনীতিতে গভীর প্রভাব রেখে গেছে। বাড়িটি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।

    তার পরদিন বেগম খালেদা জিয়া এক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে অঝোরে কেঁদে তিনি বলেছিলেন, কার কাছে আমি বিচার চাইবো? দীর্ঘদিনের সংসারের সকল মালামাল রেখে আমাকে এক কাপড়ে বের করে দেওয়া হলো। তারা আমার বেডরুমে দরজা ভেঙে আমাকে রীতিমতো টেনেহিঁচড়ে বের করে দিয়েছে। পুরুষ মানুষ হয়ে বলছে, উনাকে কোলে করে তুলে নিয়ে আসেন। ধাক্কা দিয়ে আমাকে গাড়িতে তুলেছেন। আমি এর বিচারের ভার মহান আল্লাহ ও দেশবাসীর ওপর ছেড়ে দিলাম।

    অন্যদিকে, একই দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দম্ভের সঙ্গে মিডিয়ায় বলেছিলেন, প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, ওই ক্যান্টনমেন্টে আর বসবাস করা লাগবে না। যেদিন সুযোগ পাব বের করে দেব। বের করেও দিয়েছি। শেষ!

    যদিও সেদিন বেগম জিয়ার প্রতি কারো বিবেকবোধ কাজ করেনি, এবং কেউ সেই ইনজাস্টিসের প্রতিবাদও করেনি, তবে আজও সেই ঘটনাটি দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক যন্ত্রণাদায়ক অধ্যায় হয়ে রয়েছে। বেগম জিয়া নিজেই নিজের বিচার মহান আল্লাহ ও দেশের জনগণের কাছে ছেড়ে দেন।

    এই ঘটনায় দেশের রাজনৈতিক চিত্রে অনেকেই ভেবেছিলেন, এমন কর্মকাণ্ডে কারো বিবেক বা সহানুভূতি জাগবে না। তবে আজও সেই দিনের স্মৃতি জীবিত আছে, বিশেষ করে শহীদ জিয়াউর রহমানের বাড়ি ভাঙা এবং বেগম জিয়ার এই দুর্দশার ঘটনা স্মরণে রয়ে গেছে।

    আজকের দিনেও এই স্মৃতির দিকে ফিরে তাকালে ৩২ নম্বরের ইট খুলে নেয়ার’ মতো কিছু ঘটনা ঘটলে, দেশবাসী সেই দিনগুলোর মতো দৃঢ় থাকতে প্রস্তুত হবে—এটা স্পষ্ট। এখন চয়েস শেখ হাসিনার উপর। তিনি চুপ থাকবেন, নাকি দিল্লিতে বসে উস্কানি দেবেন, তা সময়ই বলে দেবে।

  • ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে আওয়ামী লীগ সন্দেহে বিএনপি নেতাকে গণধোলাই

    ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে আওয়ামী লীগ সন্দেহে বিএনপি নেতাকে গণধোলাই

    ধানমন্ডি-৩২ নম্বর এলাকায় আওয়ামী লীগ সন্দেহে এক বিএনপি নেতাকে গণধোলাই দিয়েছেন ছাত্র-জনতা। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বিএনপির ওই নেতার নাম আক্তার হোসেন। তার বাড়ি ফিরোজপুরে। এছাড়া তিনি স্থানীয় বিএনপির সদস্য বলে দাবি করেন।

    জানা যায়, কেউ একজন তাকে আওয়ামী লীগের দালাল বলে চিৎকার দেয়। পাশে থাকা কয়েকজন তাকে ধরতে বলে। কথা রটে গেলে আশেপাশের কয়েকজন তাকে আওয়ামী লীগের কেউ ভেবে গণধোলাই শুরু করে। পরে পরিচয় জানার পর ছাত্র-জনতার মধ্য থেকে কয়েকজন তাকে উদ্ধার করে।

    সরেজমিনে দেখা যায়, আক্তার হোসেন নামের ওই ব্যক্তিকে কয়েকজন ঘিরে রয়েছেন। এ সময় তিনি দাবি করে বলেন, ‘আপনাদের মত ৫ আগস্টের আন্দোলনে আমিও ছিলাম, যদি এখানে আওয়ামী লীগের কোনও লোকও আসে তাহলে কি তাকে এভাবে মারধর করবেন।’

    এর আগে বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২ টার দিকে বুলডোজার দিয়ে ধানমন্ডি-৩২ নম্বরের বাড়িটি ভাঙ্গা শুরু করা হয়। পূর্বঘোষিত ‘লং মার্চ টু ধানমন্ডি-৩২’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সন্ধ্যা থেকেই শাহবাগ থেকে ধানমন্ডি-৩২ নম্বর অভিমুখে ছাত্র-জনতার জমায়েত শুরু হয়। রাত ৮টার পর থেকে ধানমন্ডি-৩২ নম্বরের বাড়িটির মূল ফটক, শেখ মুজিবের ভাস্কর্য, মুর‌্যাল, দরজা জানালাসহ অনেক কিছুই ভাঙ্গা হয়েছে।

    সরেজমিনে দেখা যায়, সন্ধ্যার পর থেকেই ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে ছাত্র-জনতা জড়ো হতে থাকেন। প্রতিবাদকারীরা ‘জ্বালো জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও, ফ্যাসিবাদের আস্তানা’—এমন নানা স্লোগানে এলাকাকে মুখরিত করে তোলেন। তারা দাবি করেন, ‘আমরা বুলডোজার দিয়ে বাংলাদেশের প্রথম স্বৈরাচারের চিহ্ন মুছে দিতে চাই।’এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ওই বাড়িতে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার ভাঙচুর চলছিল।

  • ধানমন্ডি-৩২ থেকে এবার রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভ

    ধানমন্ডি-৩২ থেকে এবার রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভ

    এবার রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন ছাত্র-জনতা। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে রাজধানীর ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে বিক্ষোভ করে স্লোগান দিতে থাকেন তারা। এ সময় ছাত্র-জনতা ‘একদফা এক দাবি, চুপ্পু তুই এবার যাবি’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

    এর আগে বুধবার রাত ১২ টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি-৩২ নম্বরের বাড়িটি ভাঙ্গা শুরু করা হয়। পূর্বঘোষিত ‘লং মার্চ টু ধানমন্ডি-৩২’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সন্ধ্যা থেকেই শাহবাগ থেকে ধানমন্ডি-৩২ নম্বর অভিমুখে ছাত্র-জনতার জমায়েত শুরু হয়। রাত ৮টার পর থেকে ধানমন্ডি-৩২ নম্বরের বাড়িটির মূল ফটক, শেখ মুজিবের ভাস্কর্য, মুর‌্যাল, দরজা জানালাসহ অনেক কিছুই ভাঙ্গা হয়েছে।

    সরেজমিনে দেখা যায়, সন্ধ্যার পর থেকেই ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে ছাত্র-জনতা জড়ো হতে থাকেন। প্রতিবাদকারীরা ‘জ্বালো জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও, ফ্যাসিবাদের আস্তানা’—এমন নানা স্লোগানে এলাকাকে মুখরিত করে তোলেন। তারা দাবি করেন, ‘আমরা বুলডোজার দিয়ে বাংলাদেশের প্রথম স্বৈরাচারের চিহ্ন মুছে দিতে চাই।’এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ওই বাড়িতে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার ভাঙচুর চলছিল।

  • ৩২-এর পর এবার নুহাশ পল্লী নিয়ে পিনাকীর পোস্ট

    ৩২-এর পর এবার নুহাশ পল্লী নিয়ে পিনাকীর পোস্ট

    ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর নিয়ে স্ট্যাটাস দেওয়ার পর এবার কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের স্মৃতিবিজড়িত নুহাশ পল্লী নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও ব্লগার পিনাকী ভট্টাচার্য। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে এই নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাসটি দেন তিনি।

    স্ট্যাটাসে তিনি, নুহাশ পল্লীকে জাতীয় সম্পদ উল্লেখ করে এটিকে জাতীয়করণ করার দাবি উত্থাপন করেন।

    তিনি লিখেন, ‘নুহাশ পল্লী জাতীয় সম্পদ। নুহাশ পল্লী জাতীয় করণ করে ওইখানে হুমায়ুন আহমেদ যাদুঘর করা হোক।’

    এর আগে, বুধবার সন্ধ্যায় এক পোস্টে শেখ হাসিনার পৈতৃক বাড়ি ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে মানুষকে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

    তিনি বলেন, হাতুড়ি, শাবল, গাঁইতি নিয়ে আসুন। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে আসুন। ইতিহাসের দায় মোচন করতে আসুন।

    পিনাকী বলেন, ফ্যাসিবাদের আতুরঘর নিশ্চিহ্ন করতে আসুন। গান গাইতে গাইতে আসুন, স্লোগান দিতে দিতে আসুন, সন্তানের হাত ধরে আসুন, প্রেমিক প্রেমিকাকে সাথে নিয়ে আসুন, মুখে হাসি আর বুকে প্রতিরোধের আগুন নিয়ে আসুন। ফ্যাসিবাদের ধ্বংসস্তূপের ওপরে ছাত্র জনতার বিজয় নিশান উড়াতে আসুন।

    তিনি বলেন, আজ রাত ৯টায়। ইতিহাস রচিত হোক। আবু সাঈদ, মুগ্ধরাও আসবে আপনাদের দেখানো পথে। আসুন অসমাপ্ত কাজ আজ আমরা সম্পাদন করি। ইতিহাসের দায় মোচন করি। ছাত্র জনতা সৈনিক ঐক্য জিন্দাবাদ। ইনকিলাব জিন্দাবাদ।

  • দেশের মানুষ আলেম-ওলামাদের ক্ষমতায় দেখতে চায়: হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব

    দেশের মানুষ আলেম-ওলামাদের ক্ষমতায় দেখতে চায়: হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব

    বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক বলেন, এখন থেকে ২০০ বছর আগে, এই বাংলার মনের কথা বলেছিল কুসুম কুমারী দাস। ২০০ বছর পরে, বাংলার যে আশা আকাঙ্ক্ষা, সেই আশা আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলন ঘটিয়েছে জামায়াতে ইসলাম। যে কাজ অন্যেরা কেউ করে নাই, সেই কাজ আজকে জামায়াতে ইসলামী করেছে। আজকে শহীদের যে স্মৃতি, সেই স্মৃতির বই রচনা করা উচিত ছিল সরকারের। অন্য বড় দলের, তাদের পাশে দাঁড়ানোর কথা ছিল অন্যান্যদের, কিন্তু সেই কাজটা তারা করে নাই।

    শুধু তাই না, বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িকতার নামে, সেকুলারিজমের নামে, বহু ভন্ডামি দেখেছি। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, জামায়াতে ইসলাম যে কার্যক্রম করেছে, তার কাজ প্রমাণ করে যে একমাত্র বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশের একমাত্র সাম্প্রদায়িক দল সেটা তারা প্রমাণ করেছে। শুধু আজকে না, অতীতে আমরা দেখেছি, বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গে হিন্দু তীর্থযাত্রীরা জলে ডুবে মারা গেছে, তাদেরকে আমরা জানার আগেই, তারা তাদেরকে মানে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। তাদেরকে সেই ব্যবস্থা করেছে।

    আজকে আমাদের এই দেশের রাজনীতির কথা শুনলে মানুষের মধ্যে এই করে, যে রাজনীতি করেন না। বাংলাদেশের মানুষ সেবক চায় এবং জামায়াত ইসলামী জনগণের সেবক হিসেবে সেই কাজগুলো করছে।

    তিনি আরো বলেন, প্রচলিত ধারার যে রাজনীতি, সেই রাজনীতি মানুষ এখন চায় না। এখন মানুষ উদগ্রীব হয়ে আছে যে, এই দেশ সব সংগঠনকে দেখেছে, এই দেশের আলেম-ওলামাদের দ্বারা, ধার্মিক লোকদের দ্বারা, এই দেশ পরিচালনা হোক সেইটা চায়। এবং আমরা চাই, যে আগামী দিনে জামায়াত ইসলামের নেতৃত্বে এই দেশ পরিচালিত হবে। রাজনৈতিক ক্ষমতা না, তারা দেশের সেবা করে, ইতিমধ্যে প্রমাণ করেছে। যে দেশের জনগণের আমরা সেবা করতে চাই এবং সেবা করে ক্ষমতা তাদের কাছে বড় চাওয়া না, সেটা অলরেডি জামায়াতে ইসলাম প্রমাণ করে দিয়েছে।

    এই দেশ স্বামী প্রণবানন্দ বলেছে যে, এটা হচ্ছে নীতি, আদর্শ এবং ধর্ম আধ্যাত্মিকতার দেশ। আমরা চাই, এই দেশ ধার্মিক লোকদের দ্বারা পরিচালিত হোক। এই দেশ আধ্যাত্মিক লোকদের দ্বারা পরিচালিত হোক। তাহলে এই দেশ সৎ এবং আদর্শ মানুষ গড়ে উঠবে। আমরা জামায়াতে ইসলামীর আগে দুইজন মন্ত্রীকে দেখেছি, যে তাদের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ থাকতে পারে কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আসে নাই। আমি আজকে আসার পথে একজন বলছিল, যে একজন চোর, সে চোরও চায় না, যে তার রুমের মধ্যে আরো দুইটা চোর থাক, অসৎ লোক থাক। কারণ তার চুরি করা, যেন চুরি না হয়ে যায়, তো সেই কারণে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ চায়, যে একটা সৎ, আদর্শ এবং সৃষ্টিকর্তার আইন দ্বারা এই দেশ পরিচালিত হবে, সেটা চায় এবং আমরা সেই দিনের অপেক্ষায় আছি।

  • এক বক্তব্যে গদি শেষ, এক লাইভে বাড়ি শেষ

    এক বক্তব্যে গদি শেষ, এক লাইভে বাড়ি শেষ

    বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আরিফা সুলতানা রুমার একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে।

    তিনি স্ট্যাটাসে লেখেন, “এক বক্তব্যে গদি শেষ, এক লাইভে বাড়ি শেষ,,,”

    তার এই মন্তব্য রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। অনেকে মনে করছেন, এটি সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ এবং সরকারবিরোধী আন্দোলনের প্রতিফলন।

    তবে স্ট্যাটাসটির উদ্দেশ্য সম্পর্কে তিনি আরও বিস্তারিত কিছু বলেননি। এ বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকেও কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

  • নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের গোপন সভায় উপস্থিত ছিলেন মেহের আফরোজ শাওন

    নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের গোপন সভায় উপস্থিত ছিলেন মেহের আফরোজ শাওন

    বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, কলকাতার হোটেল পার্কে আওয়ামীলীগ-ছাত্রলীগের গোপন সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় স্বশরীরে ও ভার্চুয়ালি কারা উপস্থিত ছিলেন এবং কী সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য উঠে এসেছে।

    প্রখ্যাত ইনভেস্টিগেটিভ সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, সভায় অংশগ্রহণকারীদের পরিচয় ও তাদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়া, গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের জন্য কারা দায়িত্ব পেয়েছেন, তার তালিকাও প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

    তবে, এই সভার প্রকৃত উদ্দেশ্য ও এর সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে বলে জানা গেছে।

  • বাংলাদেশির ওপর বিএসএফের গুলি-পাল্টা হামলা বিসএফ সদস্য আহত

    বাংলাদেশির ওপর বিএসএফের গুলি-পাল্টা হামলা বিসএফ সদস্য আহত

    ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ও বাংলাদেশি গরু পাচারকারীদের সংঘর্ষে হিলি সীমান্তের কাছে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মল্লিকপুর বিওপি এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। গুলি-পাল্টা ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম হয়েছেন এক বিএসএফ জওয়ান ও এক বাংলাদেশী নাগরিক। আহতদের পশ্চিমবঙ্গের গঙ্গারামপুর সরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

    বিএসএফের স্থানীয় বর্ডার আউটপোস্ট সূত্রে খবর, বুধবার ভোররাতে ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর ব্লকের মল্লিকপুর সীমান্তে ওই ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ ওই বাংলাদেশির নাম মোহম্মদ আলাউদ্দিন (৩২) তিনি বাংলাদেশের দিনাজপুরের বাসিন্দা। আহত বিএসএফ জাওয়ানের নাম ওরফেজ কুমার (২৭) তিনি পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার রামপুরহাট এলাকার বাসিন্দা। আহত ৯১ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের বিএসএফ ব্যাটেলিয়নের জওয়ান ওয়াফেজ এদিন মল্লিকপুর বিওপিতে কর্তব্যরত ছিলেন।

    সূত্রের খবর, বুধবার ভোররাতে প্রায় পাঁচজন সশস্ত্র বাংলাদেশি পাচারের উদ্দেশে ভারতীয় সীমান্তে ঢুকে পড়ে। এসময় কর্তব্যরত ওই জওয়ান দুষ্কৃতীদের বাধা দিতে গেলে তারা অতর্কিত হামলা চালায়। এক পর্যায়ে বিএসএফ জাওয়ানের রাইফেল ছিনিয়ে নেয়ারও চেষ্টা করে তারা। বাধা দিলে ধরানো অস্ত্রের কোপ দিয়ে বিএসএফ সদস্যকে গুরুতর আহত করা হয়। পরে পাচারকারীদের উদ্দেশে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় ওই বিএসএফ জওয়ান। এ ঘটনায় মোহম্মদ আলাউদ্দিন নামে ওই বাংলাদেশি পাচারকারী গুলিবিদ্ধ হলে, বাকিরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

    এদিকে এমন খবর প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায় সীমান্তবর্তী এলাকায়। সীমান্তে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। অন্যদিকে আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। পরে খবর পেয়ে সীমান্তে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ।

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি গঙ্গারামপুরের সুখদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই মল্লিকপুরের উন্মুক্ত সীমান্ত এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া দেয়ার কাজ শুরু হয়েছে। ফলে এই এলাকায় বিএসএফ-বিজিবির নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

  • শেখ হাসিনার যেকোনো রাজনৈতিক পদক্ষেপের জন্য ভারত দায়ী থাকবে: উপদেষ্টা নাহিদ

    শেখ হাসিনার যেকোনো রাজনৈতিক পদক্ষেপের জন্য ভারত দায়ী থাকবে: উপদেষ্টা নাহিদ

    তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হলে ভারত দায়ী থাকবে।

    আজ বুধবার বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান মিলনায়তনে ‘সংবাদপত্রে জুলাই অভ্যুত্থান’ শীর্ষক একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তথ্য উপদেষ্টা।

    নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘ভারত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে এবং এর জন্য তাদের কাছে কিছু ব্যাখ্যা আছে। আমরা ভারতকে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দিতে বলেছি এবং এটি একটি কূটনৈতিক বিষয়। কিন্তু শেখ হাসিনা যদি সেখান থেকে রাজনীতি করার চেষ্টা করেন, ভারতে রাজনৈতিক সভা করেন, তাহলে এর জন্য ভারত সরকার দায়ী থাকবে।’

    জুলাই গণ–অভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অনন্য ঘটনা উল্লেখ করে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের ইতিহাস সঠিকভাবে তুলে ধরার জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সংবাদপত্রে জুলাই অভ্যুত্থান’ গ্রন্থটি ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক অভ্যুত্থানের একটি প্রামাণ্য দলিল। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংবাদপত্রের ভূমিকা অবিস্মরণীয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে কোনো কোনো পত্রিকা অভ্যুত্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে, যা দুঃখজনক।

    নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা ছাত্র-জনতা, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে যেকোনো সম্ভাব্য নৈরাজ্যের জবাব দিতে রাজপথে থাকব। আমরা আমাদের প্রতিরোধ অব্যাহত রাখব। জনগণকে উদ্বিগ্ন করার এবং আমাদের ঐক্যে বিভেদ তৈরি করার চেষ্টা চলছে। আমরা সর্ব অবস্থায় প্রস্তুত রয়েছি।’

    জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় বিতর্কিত ভূমিকা পালনকারী সংবাদপত্রের সম্পাদকদের তাঁদের ভূমিকা স্পষ্ট করার আহ্বান জানিয়ে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় সংবাদপত্রগুলো ইতিবাচক ও নেতিবাচক উভয় ভূমিকাই পালন করেছে। গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংবাদপত্রগুলোক নির্ধারিত সংবাদ প্রকাশ করতে বাধ্য করা হয়েছিল। কিন্তু অনেক সংবাদপত্র ইচ্ছাকৃতভাবে ক্ষমতাসীন সরকারকে সমর্থন করার জন্য বয়ান তৈরি করেছিল।

    নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘যাদেরকে শাসকের ন্যারেটিভ প্রকাশ করতে বাধ্য করা হয়েছিল, তাদের জনগণের কাছে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করা উচিত, অন্যথায় তারা বিশ্বাসযোগ্যতা হারাবে।’ এ সময় দেশের কল্যাণের জন্য জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।

    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থানকে কেউ তুলে ধরেছেন ছবির মাধ্যমে, আবার কেউ তুলে ধরেছেন গ্রাফিতি ও ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে। এ ছাড়া জাতীয় দৈনিকগুলোও চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানকে তুলে ধরেছে স্বমহিমায়।

    ২৫টি জাতীয় দৈনিক থেকে চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থান নিয়ে সংকলিত ‘সংবাদপত্রে জুলাই অভ্যুত্থান’ গ্রন্থের মাধ্যমে মুক্তিকামী মানুষের লড়াই–সংগ্রামের অবদান অম্লান হয়ে থাকবে বলে উল্লেখ করেন প্রেস সচিব।

    অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বইটির লেখক ও প্রধান উপদেষ্টার জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রেস সচিব আহমেদ ফয়েজ, প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ প্রমুখ।