Blog

  • ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে মিলল রহস্যময় আয়নাঘরের খোঁজ!

    ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে মিলল রহস্যময় আয়নাঘরের খোঁজ!

    গতকাল রাত থেকেই ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। শেখ হাসিনার ভাষণকে কেন্দ্র করে বিক্ষুব্ধ জনতা ভবনটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর সেখানে গরু জবাই করে জেয়াফতের আয়োজন করেছেন।

    তবে এরই মধ্যে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে উপস্থিত স্থানীয় বাসিন্দা ও উৎসুক জনতা একটি অদ্ভুত দাবি তুলেছেন—তাদের মতে, ওই ভবনের বেসমেন্টে একটি আয়নাঘর তৈরি করা হচ্ছিল।

    স্থানীয়দের দাবি, বেসমেন্টে কিছু গোপন কার্যক্রম চলছিল, যা অনেকের কাছে সন্দেহজনক মনে হচ্ছে। যদিও বেসমেন্টে কার পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে, তবে সেখানে আরও একটি সিঁড়ি দেখতে পাওয়া গেছে, যা প্রশ্ন তুলছে। বিক্ষুব্ধ ছাত্রজনতা ও স্থানীয়রা মনে করছেন, সিঁড়িটি সম্ভবত আরো গভীরে চলে গেছে, যেখানে কিছু বিশেষ বা রহস্যময় কার্যক্রম চলতে পারে।

    এছাড়া, কিছু স্থানীয় বাসিন্দা মজা করে বলছেন, “এটা হয়তো একটি আয়নাঘর হতে পারে, তবে হয়তো এখানে অন্য কিছুই চলছে।” তাদের মতে, এমন সন্দেহজনক কার্যক্রমের তদন্ত হওয়া উচিত এবং তা উন্মোচিত হওয়া প্রয়োজন।

    অতীতে গণঅভ্যুত্থান বা রাজনৈতিক আন্দোলনের সময়ও আয়নাঘর সম্পর্কে কথাবার্তা শোনা গেছে। তবে, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের নতুন ভবনের বেসমেন্টে সত্যিই কোনো গোপন আয়নাঘর তৈরি হচ্ছিল কিনা, তা নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি। এখন পর্যন্ত এই রহস্যময় ঘটনাটি স্থানীয় জনগণের মধ্যে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে, তবে পরিস্থিতি সম্পর্কে আরও তথ্য পাওয়া না গেলে এর সত্যতা সম্পর্কে কিছু বলা কঠিন।

  • এবার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে ভুয়া ডক্টরেট ডিগ্রি কেনার অভিযোগ

    এবার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে ভুয়া ডক্টরেট ডিগ্রি কেনার অভিযোগ

    এবার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে শত শত কোটি টাকা অপচয় করে বিদেশ ভ্রমণ ও ভুয়া ডক্টরেট ডিগ্রি কেনার অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

    তিনি জানান, দুদকের গোয়েন্দা অনুসন্ধানে অভিযোগের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ার পর প্রকাশ্যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদেশ সফরে গেলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজ ভাড়া করতেন সরকারি টাকায়। নিয়ে যেতেন সফরসঙ্গীদের বিশাল বহর। টানা ১৬ বছর ক্ষমতায় থাকাকালে প্রায় প্রতি জাতিসংঘের অধিবেশনে সরকার প্রধান হিসেবে যোগ দিয়েছেন তিনি। প্রতিবারই নিউইয়র্ক নিয়ে যেতেন বিশাল বহর। শেখ হাসিনা ২০১৫ সালে ২২৭ জনের একটি দল নিয়ে নিউইয়র্কে ৭০তম সাধারণ অধিবেশন এবং টেকসই উন্নয়ন বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে যান। ২০১৪ সালে ৬৯তম সাধারণ অধিবেশনে এই সংখ্যা ছিল ১৭৮ এবং ২০১৩ সালে এই সংখ্যা ছিল ১৩৪।

    অন্যদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভুয়া ডক্টরেট সংগ্রহ করেছেন। দেশের সরকারি টাকা লবিস্ট এর পিছনে ব্যয় করে মানদন্ড ভংগ করে সংগ্রহকৃত উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ভুয়া ডক্টরেট হলো-ভারতের ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়, বেলজিয়ামের ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয় অব ব্রাসেলস, ভারতের বিশ্ব-ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। জানা যায় তিনি যে সকল পদক ও ডিগ্রী সংগ্রহ করেছেন তার প্রায় সবগুলোর পিছনে প্রচুর খরচ বা জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী চুক্তির বিনিময়ে বাগিয়ে নিয়েছেন।

  • ধানমন্ডি ৩২ বাড়ি ভাঙচুরের জন্য যাকে দায়ী করলেন অন্তর্বর্তী সরকার

    ধানমন্ডি ৩২ বাড়ি ভাঙচুরের জন্য যাকে দায়ী করলেন অন্তর্বর্তী সরকার

    ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকার। সরকার এ ঘটনার জন্য পলাতক শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্যকেই দায়ী করেছেন। সরকার জানায়, গত জুলাই মাসে অভ্যুত্থান নিয়ে শেখ হাসিনার মন্তব্যের ফলে জনগণের মধ্যে ক্রোধ সৃষ্টি হয়েছিল, যার ফলস্বরূপ এই সহিংস ঘটনা ঘটেছে।

    অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, গত ছয় মাসে ৩২ নম্বর বাড়িটিতে কোনো ধরনের আক্রমণ, ধংসযজ্ঞ হয়নি। গতকাল রাতে এটি ঘটেছে পলাতক শেখ হাসিনার বক্তব্য ঘিরে যার দুটো অংশ আছে।

    একটা অংশ হলো, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা আত্মদান করেছেন শেখ হাসিনা তাদেরকে অপমান করেছেন, অবমাননা করেছেন। শহিদের মৃত্যু সম্পর্কিত অবান্তর, আজগুবি ও বিদ্বেষমূলক কথা বলে পলাতক শেখ হাসিনা জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে অবজ্ঞা করেছেন ও অশ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

    দ্বিতীয়ত, শেখ হাসিনা দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও অমানবিক প্রক্রিয়ায় নিপীড়ন চালিয়ে ক্ষমতায় থাকাকালীন যে সুরে কথা বলতেন গণঅভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে যাওয়ার পরেও তিনি একই হুমকি-ধামকির সুরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে, গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া প্রতিটি মানুষের বিরুদ্ধে কথা বলে চলেছেন, হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। শেখ হাসিনা দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির হুমকি দিয়েছেন।

    বিবৃতিতে আরো বলা হয়, মানুষের মনে জুলাই গণহত্যা নিয়ে যে ক্ষত রয়েছে সে ক্ষততে শেখ হাসিনা একের পর এক আঘাত করে চলছেন। তার এই সহিংস আচরণের প্রতিক্রিয়া হিসেবে ৩২ নম্বরের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

    অন্তর্বর্তী সরকার দেশ ও জনগণের জানমালের রক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্ক আছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বাত্মকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার যথাযথ চেষ্টা করছে। মানবতাবিরোধী অপরাধে একজন ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি শেখ হাসিনা বক্তব্য দেয়া থেকে বিরত থাকলে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়ানো সম্ভব।

    সরকার আশা করে, ভারত যেন তার ভূখণ্ডকে বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে এমন কাজে ব্যবহৃত হতে না দেয় এবং শেখ হাসিনাকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ না দেয়। অন্তর্বর্তী সরকার ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি চায় না।

    জুলাই হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত ছিল তাদের বিচারকাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। এই বিচার নিশ্চিত করে গণহত্যাকারীদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কী কী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া যায় তা সরকার খতিয়ে দেখবে।

  • ছাত্র-জনতাকে তাচ্ছিল্য করে আবারো পোস্ট দিলেন শাওন

    ছাত্র-জনতাকে তাচ্ছিল্য করে আবারো পোস্ট দিলেন শাওন

    ভারতে পলাতক ফ্যাসিস্ট হাসিনার ভাষণের প্রতিবাদে গর্জে ওঠা ছাত্র-জনতাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে আবারো পোস্ট দিলেন প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের দ্বিতীয় স্ত্রী বিতর্কিত অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন।

    এবার তার পোস্টে লিখেছেন: “বাচ্চারা… এত্ত ভয় পেয়েছো???” আজ বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে এই পোস্ট দেন খুনি হাসিনার এই দোসর।

    আজ রাতে ছাত্র-জনতার ধানমন্ডি ৩২ অভিমুখে বুলডোজার মিছিল কর্মসূচি নিয়ে এই লেখাটি লিখেন‌ শাওন। এর আগে অমর একুশে বইমেলায় হাসিনা ডাস্টবিন নিয়ে দেওয়া এক পোস্টে গণঅভ্যুত্থানকে নিয়ে কটাক্ষ করে মন্তব্য করেন তিনি।

    উল্লেখ্য, দিল্লিতে বসে পলাতক ফ্যাসিস্ট হাসিনা ভাষণ দেয়ার ঘোষণা দেয়ায় নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। কর্মসূচি অনুযায়ী, বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টায় ঢাকা শহরের প্রতিটি মোড়ে জুলাই গণহত্যার ভিডিও, ডকুমেন্টারি, ছবি প্রদর্শন করার ঘোষণা দেয় সংগঠনটি।

    মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ঘোষণা অনুযায়ী, ধানমন্ডি ৩২ এর বাড়িটি গুঁড়িয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা।

  • ড. ইউনূস শাহবাগে না আসলে জুলাই হত্যা মামলা প্রত্যাহারের হুঁশিয়ারি শহীদ পরিবারের

    ড. ইউনূস শাহবাগে না আসলে জুলাই হত্যা মামলা প্রত্যাহারের হুঁশিয়ারি শহীদ পরিবারের

    জুলাই গণহত্যার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দ্রুত বিচারের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ করেছেন শহীদ পরিবারের সদস্যরা। এসময় তারা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস শাহবাগে এসে তাদের সাথে দেখা না করলে জুলাই হত্যা মামলা প্রত্যাহারের হুঁশিয়ারি দেন।

    বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে শাহবাগে অবস্থান নেন তারা। এতে শাহবাগ ও তার আশেপাশের সড়কগুলোতে তীব্র যানজট তৈরি হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।

    শহীদ পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, তারা গত কয়েক মাস ধরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করা চেষ্টা করে আসছেন, তবে তাদের সে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। জুলাই গণহত্যায় চলমান বিচারিক কার্যক্রমের সমালোচনা করে তারা বিষয়টিকে ‘সার্কাস’ বলে অভিহিত করেছেন।

    তারা জানান, মারাত্মক ক্র্যাকডাউনের আদেশ দানকারী এবং পরিকল্পনা বাস্তবায়নকারী অনেকেই এখনো বিচারের সম্মুখীন হয়নি। অধিকাংশ অপরাধী প্রকাশ্যে স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এটা শহীদদের স্মৃতির প্রতি অপমান।

    আন্দোলনে ছেলে হারানো এক অভিভাবক বলেন, আমরা গণহত্যার বিচার ও সরকারি স্বীকৃতির দাবিতে অনেকের দুয়ারে দুয়ারে গিয়েছি, কিন্তু সহানুভূতির পরিবর্তে পেয়েছি অবহেলা ও অসম্মান।

    শহীদ ইমাম হোসেনের ভাই রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমাদেরকে গত ৩০ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করিয়ে দেওয়ার কথা তবে তারা দেখা করেননি তিনি। তাহলে শহীদ পরিবার যাবে কোথায়? আজকে ড. ইউনূস এখানে আসবে। তা না হলে আমরা শহীদ পরিবার সকল মামলা প্রত্যাহার করে নেব।’

  • ধানমন্ডিত ৩২ এ এক নারীকে যে কারণে গণপিটুনি

    ধানমন্ডিত ৩২ এ এক নারীকে যে কারণে গণপিটুনি

    ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে আজ (বৃহস্পতিবার) সকালেও বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ভাঙচুর চালাচ্ছে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সেখানে নারীসহ দুজন গণপিটুনির শিকার হন। এর মধ্যে ওই নারী গণপিটুনির শিকার হন কারণ তিনি বার বার “আপা, আপা” বলছিলেন, আর ভাঙার দৃশ্যে আক্ষেপ করে বলছিলেন, ‘আপার বাড়ি ভাঙতেছে।’

    কিছু লোক দাবি করছেন যে, ওই ব্যক্তি জয় বাংলা স্লোগান দিয়েছিলেন, আবার কিছু লোক বলছেন তিনি ভিডিও করছিলেন এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছিলেন। এর পরই তাকে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট দালাল বলে মারধর করা হয়।

    ঠিক পাঁচ মিনিট পর, ধানমন্ডি-৩২-এ আরেক নারী বেধড়ক মারপিটের শিকার হন। তিনি বার বার “আপা, আপা” বলছিলেন এবং ভাঙার দৃশ্যে আক্ষেপ করে বলছিলেন, “আপার বাড়ি ভাঙতেছে”। এতে প্রথমে তাকে তোপের মুখে পড়তে হয়, পরে গণপিটুনি শুরু হয়। তাকে মারতে মারতে ধানমন্ডি-৩২ এর বাইরে মূল সড়কের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় ওই নারী চিৎকার করে বলেন, “মাইরেন না, মাইরেন না ভাই।”

    এ ঘটনাতে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্যকে ঘটনাস্থলে দেখা যায়নি, তবে ১০-১২ জন পুলিশ সদস্য মেট্রো শপিং সেন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

  • ৩৪ মিনিট আগেভবন ভাঙতে বুলডোজার কোথা থেকে এলো- এ নিয়ে প্রশ্ন

    ৩৪ মিনিট আগেভবন ভাঙতে বুলডোজার কোথা থেকে এলো- এ নিয়ে প্রশ্ন

    বুধবার রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাসভবনসহ দেশের নানা স্থানে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

    এসময় ভেকু ও বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিতে দেখা যায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িটি। খুলনা ও কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়ি ভাঙার সময়ও ভেকু ও বুলডোজার ব্যবহার করতে দেখা গেছে।

    অনেকেই বলছেন, আগেই ঘোষণা দেয়া কর্মসূচি ঠেকাতে সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি কেন? একইসঙ্গে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় এসব বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে কিনা, এমন প্রশ্নও তুলছেন কেউ কেউ।

    এ নিয়ে ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতা নুরুল হক নূর বিবিসি বাংলাকে বলেন, “এখানে মনে হয় সরকারের ভেতর থেকে সমর্থন রয়েছে। না হলে তো এভাবে পূর্ব ঘোষণা দিয়ে এই পদক্ষেপ নেয়া কিংবা এই কর্মযজ্ঞে পাবলিককে উত্তেজিত করে অস্থিরতা তৈরি করা – এটা তো সরকারের ভেতরের সমর্থন ছাড়া হওয়ার কথা না।”

    একইসঙ্গে উপদেষ্টাদের দিকেও আঙুল তুলে তিনি বলেন, “আমরা তো দেখি নাই সরকারের ভেতর থেকে এই ধরনের কর্মকাণ্ডকে নিরুৎসাহহিত করা হচ্ছে। বরং সরকারের উপদেষ্টাদের কারও কারও ফেসবুকে লেখাতেও আমরা দেখেছি যে এটাতে সমর্থন রয়েছে। সরকার যদি এই ধরনের কর্মকাণ্ডে সমর্থন দেয় তাহলে তো নৈরাজ্য তৈরি হবেই।”

    অন্যদিকে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলছেন, এই ঘটনায় সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী খুবই দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে।

    বিশেষ করে এই বুলডোজার কোথা থেকে এলো- এমন প্রশ্নও তুলে তিনি বলেন, “সরকার যদি এভাবে এটাতে ইনভলভ হয়ে যায় সেটা খুবই দুঃখজনক এবং খুবই উদ্বগের কারণ। এরকম পথ থেকে সরকারকে অবিলম্বে সরে আসা উচিত।”

  • পটুয়াখালীতে ৪টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে জামায়াত

    পটুয়াখালীতে ৪টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে জামায়াত

    পটুয়াখালীতে ৪টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে জামায়াত
    আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী জেলার চারটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

    বুধবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় পটুয়াখালী ইসলামী ফাউন্ডেশনের হলরুমে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়। দলের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মোয়াযযম হোসাইন হেলাল প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন।

    ঘোষিত প্রার্থীরা হলেন

    পটুয়াখালী-১ (সদর, মির্জাগঞ্জ ও দুমকি) আসনে জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট নাজমুল আহসান, পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ঢাকা মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনে সাবেক জেলা আমির অধ্যাপক শাহ আলম এবং পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসন থেকে কলাপাড়া উপজেলা জামায়াতের আমির আব্দুল কাওয়ুম নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন।

    মতবিনিময় সভায় বরিশাল মহানগর জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর, জামায়াতের বরিশাল অঞ্চল টিম সদস্য মাওলানা একেএম ফখরুদ্দিন খান রাযী, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা মোশাররফ হোসেনসহ দলটির স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

    সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট নাজমুল আহসান এবং সঞ্চালনা করেন জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম আল কায়সারী।

    উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলেও জামায়াতে ইসলামী সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।

  • শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ সাদ্দামের ২৬ সেকেন্ডের নসিহত!

    শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ সাদ্দামের ২৬ সেকেন্ডের নসিহত!

    গেল ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার প্রবল গণ আন্দোলনের মুখে সাবেক স্বৈরাচার শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে আশ্রয় গ্রহণ করেন।তারপর থেকেই দলটির অনেক নেতাকর্মীই রয়েছেন পলাতক,অনেকেই বিচারের মুখোমুখি।

    গত একদিনে লংমার্চ টু ধানমন্ডি ৩২ কর্মসূচি নিয়ে নানান প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে । গেল ৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা থেকে শাহবাগ থেকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর অভিমুখে ছাত্র জনতার জমায়েত শুরু হয়। এরপরই সারাদেশে রাতভর চলে ফ্যাসিস্টদের চিহ্ন উৎখাতের বন্দোবস্ত ।

    সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ তাঁর ব্যাক্তিগত ভেরিফায়েড ফেসবুকে গতকাল ৫ ফেব্রুয়ারি একটি ভিডিও পোস্ট করেন।যেখানে ভিডিওর ক্যাপশনে হাসনাত লিখেন,হাসিনার উদ্দেশ্য সাদ্দামের নসিহত।তিনি আরো উল্লেখ করেন,আওয়ামীলীগের পলাতক নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মূল্যবান নছীহত করছে সাদ্দাম হোসাইন।

    ২৬ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাদ্দাম বলছেন, কর্মীদের সাথে থেকে রাজপথে থেকে লড়াই সংগ্রাম করতে হবে।যেখানে তিনি বলেন পৃথিবীর ইতিহাসে এমন কোন গণতান্ত্রিক দেশ আছে যেখানে নেতা পালিয়ে গিয়ে বিদেশে বিলাসী জীবনযাপন করছেন আর কর্মীদেরকে রাজপথে থাকার আহ্বান জানাচ্ছেন। আর আন্দোলন সফল হয়েছে।আজকে ভিডিও কনফারেন্স দিয়ে বড় বড় কথা বলছেন।সাহস থাকলে বাংলাদেশে এসে আইন আদালতের মুখোমুখি হন।

    মূলত ভিডিওটি সাবেক স্বৈরাচার,ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলের দেওয়া একটি বক্তব্য সাদ্দামের।মূলত এর মাধ্যমে সাদ্দামের কথা সাদ্দামকেই ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে মনে করেন নেটিজেনরা।

  • পিনাকী ভট্টাচার্যের বাড়ির নামফলকের দাবিতে প্রচারিত ছবিটি সম্পাদিত

    পিনাকী ভট্টাচার্যের বাড়ির নামফলকের দাবিতে প্রচারিত ছবিটি সম্পাদিত

    সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি বাড়ির নামফলকের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে লেখা – “ডাক্তার বাড়ী | ডাঃ পিনাকী ভট্টাচার্য | ইউটিউব চ্যানেল মালিক (৩টি) ভ্লগার, লেখক চিন্তাবিদ, মানবাধিকার কর্মী, ফেসবুক পেইজের মালিক (১২টি) গ্রাম: নেয়ামতপুর পো: দেওগ্রাম, থানা: কাহালু, জেলা বগুড়া”।

    এটি অনলাইন একটিভিস্ট ও লেখক পিনাকী ভট্টাচার্যের বাড়ি বলে দাবি করা হচ্ছে। তবে এ ছবিটি সম্পাদিত চলে রিউমর স্ক্যানার বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

    তাদের অনুসন্ধানে জানা যায়, অনলাইন একটিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্যের বাড়ির নামফলক দাবিতে প্রচারিত ছবিটি আসল নয় বরং ভিন্ন এক ব্যক্তির বাড়ির নামফলকের ছবি ডিজিটাল প্রযুক্তির সাহায্যে সম্পাদনা করে তৈরি করা হয়েছে।

    এছাড়া ছবিটি নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে ‘এএনএম ইশতিয়াক আহাম্মেদ’ নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ২০২৩ সালের ২৩ জানুয়ারি তারিখে “একজন পিওর অলরাউন্ডার ব্যক্তি! যার মধ্যে সব গুণই আছে।” শীর্ষক ক্যাপশনে একটি পোস্ট পাওয়া যায়।

    এই ছবির পারিপার্শ্বিক অবস্থার সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবিটির তুলনা করলে নামফলকের লেখা ছাড়া সবকিছুর সঙ্গে মিল পাওয়া যায়। এ থেকে বোঝা যায়, বর্তমানে পিনাকী ভট্টাচার্যের বাড়ির নামফলকের যে ছবি প্রচারিত হচ্ছে সেটি ডিজিটাল প্রযুক্তির সাহায্যে সম্পাদিত করা হয়েছে।

    আসল ছবিটি ২০২৩ সালে আরও একাধিক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকেও পোস্ট হতে দেখা যায়। এছাড়া, স্যাটায়ার প্ল্যাটফর্ম ইয়ার্কির ফেসবুক পেজেও ২০২৩ সালে মিম প্রচার হতে দেখা যায়। সুতরাং, ডাক্তার বাড়ী নামে পিনাকী ভট্টাচার্যের বাড়ির নামফলক দাবিতে প্রচারিত ছবিটি সম্পাদিত।