Blog

  • কর্মকর্তাদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার নিন্দা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের

    কর্মকর্তাদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার নিন্দা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আদালতের কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করলেও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) বিচারিক কাজ চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। একইসঙ্গে আদালত তার কর্মকর্তাদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার নিন্দা জানিয়েছে।

    শুক্রবার বিবৃতি দিয়ে আইসিসি এই নিন্দা জানায় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।

    আইসিসির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আইসিসি তার কর্মকর্তাদের ওপর (আমেরিকা) নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় এবং আদালতের স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচারিক কাজের ক্ষতি করার চেষ্টা করার জন্য (মার্কিন) নির্বাহী আদেশ জারির নিন্দা জানাচ্ছে।’

    বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত এর কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং বিশ্বজুড়ে নৃশংসতার শিকার লাখ লাখ নিরীহ ভুক্তভোগীকে ন্যায়বিচার সরবরাহ ও আশা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।’

    এর আগে বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাহী আদেশে বলা হয়, ‘আমেরিকা ও আমাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে অবৈধ এবং ভিত্তিহীন পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে আইসিসির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো।’

    এই আদেশের আওতায় মার্কিন নাগরিক বা তাদের মিত্রদের বিরুদ্ধে আইসিসির তদন্তে সহায়তাকারী ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারের ওপর আর্থিক এবং ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে।

    ট্রাম্প এমন এক সময় আইসিসির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন যখন ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ওয়াশিংটন সফরে রয়েছেন।

    আইসিসির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেন ট্রাম্পআইসিসির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেন ট্রাম্প
    গত নভেম্বরে গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আইসিসি। তবে আইসিসির অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইসরায়েল। আইসিসি একই সময়ে হামাসের একজন কমান্ডারের বিরুদ্ধেও পরোয়ানা জারি করেছিল।

    এর আগে গত সপ্তাহে মার্কিন সিনেটের ডেমোক্র্যাটরা আইসিসির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের রিপাবলিকান-সমর্থিত প্রস্তাব আটকে দিয়েছিল। ওই নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাবটি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তাঁর সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানার প্রতিবাদে এনেছিল রিপাবলিকানরা। তবে শেষ পর্যন্ত নির্বাহী আদেশে আইসিসির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

    আইসিসির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা এবারই প্রথম নয়। এর আগে ২০২০ সালে আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনীর ‘কথিত’ যুদ্ধাপরাধ তদন্তের জন্য আইসিসির তৎকালীন প্রধান প্রসিকিউটর ফাতু বেনসুদা ও তাঁর এক সহযোগীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন

    আইসিসি সাম্প্রতিক বছরগুলোয় ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের দায়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, আফগান তরুণী ও নারীদের অত্যাচারের দায়ে তালেবান নেতাদের এবং রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য মিয়ানমারের সামরিক নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।

    আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) সদস্য রাষ্ট্রের সংখ্যা ১২৫টি। এই আদালত যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ, গণহত্যা ও সদস্য রাষ্ট্রের ভূখণ্ড বা তাদের নাগরিকদের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের অপরাধের জন্য ব্যক্তিদের বিচার করতে পারে। তবে গুরুত্বপূর্ণ চারটি দেশ যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া ও ইসরায়েল আইসিসির সদস্য নয়।

  • নারায়ণগঞ্জকে সন্ত্রাসের রাজধানী বানিয়ে রাখা হয়েছিল: জামায়াত আমির

    নারায়ণগঞ্জকে সন্ত্রাসের রাজধানী বানিয়ে রাখা হয়েছিল: জামায়াত আমির

    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, নারায়ণগঞ্জকে সন্ত্রাসের রাজধানী বানিয়ে রাখা হয়েছিল। আমার আরও অনেক আগে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর একজন আমীর ছিলেন। সেই আমীরের নামে এই নারায়ণগঞ্জের একজন দুর্ধর্ষ লোক মহাসড়কের পাশে ৭২ ফুট লম্বা একটা ব্যানার টানিয়ে লিখে রেখেছিল এই লোকের নারায়ণগঞ্জে প্রবেশ নিষেধ।

    আমিরে জামায়াত বলেন, জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারের উপস্থিতিতে একটা সভায় বলে রেখেছিলেন, এসপি সাহেব আমার নামে একটা অগ্রীম মামলা দায়ের করে রাখেন। আমি অধ্যাপক গোলাম আযমকে খুন করবো।

    শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ার ওসমানী পৌর স্টেডিয়াম মাঠে আয়োজিত বিরাট জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নারায়ণগঞ্জ মহানগর ও জেলা জামায়াত এ জনসভার আয়োজন করে।

    এর আগে সকাল ৯টায় মুফতি শাইখ ইউসুফ সাকিম আল আযহারীর পবিত্র কালামে হাকিম থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে সমাবেশ শুরু হয়। মহানগর জামায়াতের আমির মুহাম্মদ আবদুল জব্বারের সভাপতিত্বে ও মহানগর সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার মনোয়ার হোসাইন ও জেলা সেক্রেটারি হাফিজুর রহমানের যৌথ সঞ্চালনায় জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ অঞ্চল পরিচালক সাইফুল আলম খান মিলন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য নূরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর জামায়াতের সাবেক আমির মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমদ, মাওলানা আব্দুল মান্নান, এডভোকেট মশিউল আলম। অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করে ঢাকার সাইমুম শিল্পী গোষ্ঠি, শিহরণ সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংসদ, ঐতিহ্য সাংস্কৃতিক সংসদ ও শীতলক্ষা সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংসদ।

    আলহামদুলিল্লাহ স্বৈরাচারের জুলুমের শিকার হয়ে তিনি কারাগারে থাকা অবস্থায় দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন। কিন্তু গডফাদারের সুযোগ হয়নি তাকে সরাসরি খুন করতে। অধ্যাপক গোলাম আযম সাহেবকে তিনি নিষিদ্ধ করেছিলেন নারায়ণগঞ্জের মাটিতে। তিনি প্রশ্ন রাখেন, যে ভাই নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন আজকে তিনি কোথায়? তিনি কি নারায়ণগঞ্জে আছেন? মাঠ থেকে জবাব আসে ‘না’। তিনি বলেন, দম্ভ-অহংকার করতে নাই।

    আওয়ামী লীগ জাতিকে বিভক্ত করে রেখেছিল অভিযোগ করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, প্রথমেই তারা পার্বত্যবাসীকে উস্কানি দিলো। ৫৩টা বছর জাতিকে টুকরা টুকরা করে রাখা হয়েছে। তাদের বলা হলো বাংলাদেশে যারা বসবাস করে তারা বাঙালি। এখানে যারা থাকবে বাঙালি হয়ে থাকতে হবে। পার্বত্যবাসী তার একথায় প্রতিবাদ করলো। অস্থির হয়ে উঠলো। তারা বললো আমরা বাঙালি নই, আমরা পাহাড়ি। এভাবে প্রথমেই একটা বিভক্তি টেনে দিলেন। সেই পার্বত্য অঞ্চল অশান্ত হলো আজ পর্যন্ত আর শান্ত হলো না। শান্তি বাহিনী নামে একটা বাহিনী গঠন হলো। তাদের হাতে ১০ হাজার সামরিক কর্মকর্তা এবং সৈনিক নিহত হলো। এরপর তারা বলা শুরু করলো স্বাধীনতার পক্ষের একদল বিপক্ষের আরেক দল।

    তিনি সকল ধর্মের লোকজনের উদ্দেশে বলেন, সংবিধান তাকে যে কয়টা মৌলিক অধিকার দিয়েছে সব কয়টাই এই দেশে নিশ্চিত হবে। এটা আমাদের দায়িত্ব হবে। এটা কারো দয়ার দান নয়। এটা তার বাঁচার অধিকার, সম্মান পাওয়ার অধিকার, বিচার পাওয়ার অধিকার। সব অধিকার তার হাতে তুলে দিতে হবে। এটাই হবে স্বাধীনতার মূল চেতনা। এ সমাজটা হবে বৈষম্যহীন ও মানবিক। কিন্তু আওয়ামী লীগ সবকিছু ধ্বংস করেছে। সবগুলো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে তারা নষ্ট করেছে। তিনি বলেন, মনে করেছিলাম তারা পালিয়ে গিয়েছে, দেশ শান্তিতে থাকবে। কিন্তু না পালিয়ে গিয়েও উস্কানি দিচ্ছে। কয়েকদিন আগে তারা দিয়েছিলেন। হাজার হাজার মানুষ খুন হলো। অনেক মানুষ হাসপাতালের বেডে পড়ে আছে, অথচ এমন সময় তারা আবার উস্কানি দিলেন। সুতরাং উস্কানির কারণে যত পরিবেশ সৃষ্টি হবে তার দায় উস্কানিদাতাদের নিতে হবে।

    ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা এমন একটা বাংলাদেশ চাই, যেখানে গরীব থাকবে না ইনশা আল্লাহ। যদি দেশের মানুষের ভালবাসা এবং সমর্থন পাই, তাহলে সর্বপ্রথম হাত দিবো শিক্ষা ব্যবস্থায়। কারণ আমাদের বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা হচ্ছে কেরানিগিরির শিক্ষাব্যবস্থা। আমাদের শিক্ষা বিজ্ঞানী তৈরির শিক্ষা নয়। এ কারণে আমাদের সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বুয়েট। সেখান থেকে প্রতিবছর অনেক শিক্ষিত মানুষ বের হচ্ছেন। তারা জাতিকে কিছু দিতে পারে না। ভাল হওয়ার সুযোগও দিতে পারে না। তাদের নৈতিক শিক্ষা না থাকার কারণে জাতির পকেটে আস্তে করে হাত ঢুকিয়ে দেয়। তারা পকেট খালি করে লুটপাট করে, ব্যাংক ডাকাতি করে সমস্ত অর্থ তারা বিদেশে পাচার করে। সাড়ে ১৫ বছরে তারা ২৬ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। সরকারের কাছে দাবি পাচারকৃত সকল টাকা ফেরত আনতে হবে। ২৬ লাখ মানুষের নগরী নারায়ণগঞ্জ কেন বঞ্চিত? বঞ্চিত এ কারণে ছিল যে, গডফাদারদের ধান্ধা ছিল জমিদারি টিকিয়ে রাখা আর গডফাদারগিরি করা।

    তিনি বলেন, দেশ সেবার সুযোগ পেলে আমরা সবার আগে শিক্ষা ব্যবস্থায় হাত দিবো। আমরা এমন শিক্ষাব্যবস্থা চালু করবো যাতে শিক্ষার্থীরা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সার্টিফিকেট এর সাথে একটা কর্মও পেয়ে যাবে। বর্তমানে শিক্ষাব্যবস্থার অবস্থা এমন করে রাখা হয়েছে যে, শিক্ষার্থীরা জাতিকে কিছু দিতে পারে না। নৈতিক শিক্ষার অভাবে তারা জাতিকে কিছু দেওয়ার পরিবর্তে দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে।

    তিনি আরও বলেন, আগামি দিনে আমাদের সন্তানেরা যখন শিক্ষার পাঠ চুকিয়ে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বের হবে; একইসাথে তাদের হাতে যেমন সার্টিফিকেট আসবে, তেমনি তাদের হাতে উপযুক্ত কাজও চলে আসবে ইনশা আল্লাহ। একটা সন্তানকেও বেকারত্বের অভিশাপে ধুঁকতে হবে না। ডা. শফিকুর রহমান উদাহরণ টেনে বলেন, পথ শিশু নামের শব্দটি আমরা শুনতে চাই না। যে শিশু এই দেশে জন্মগ্রহণ করেছে তাকে আমরা মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবো।

    দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনটি শিল্পের অগ্রাধিকারের কথা জানিয়ে বলেন, প্রথম মানব শিল্প, দ্বিতীয়টা হলো ইলেকট্রনিক মেকানিক্যাল শিল্প। আমাদের জায়গা কম; তাই জায়গা নষ্ট করবেন না। আকাশ দখল করেন। কিন্তু আমার দেশে নানাভাবে জমি নষ্ট হচ্ছে। নদীর বুকে চাষাবাদ হয়। তিন নম্বর ইন্ডাট্রি কৃষিজ ইন্ডাট্রিজ। সবশেষে সম্মান ও ভালবাসার দেশ গড়ার প্রত্যাশা জানিয়ে বলেন, আমাদের সন্তানরা ন্যায়ের দেশ গড়তে চায়। দয়া করে এখানে আর চাঁদাবাজি করবেন না। দখলবাজি করবেন না। বিনয়ের সাথে বলবো। হাতজোর করে বলি এসবছেড়ে দেন। এরপরও এসব করা হলে ১৮ কোটি মানুষ অভিশাপ দিবে। আহতরা অভিশাপ দিবে। এরপরও যদি এসব কাজ অব্যাহত রাখেন, যুব সমাজকে কথা দিচ্ছি, তোমাদের কাক্সিক্ষত বাংলাদেশ গড়ার ব্যাপারে জামায়াত ওয়াদাবদ্ধ। আমরা একসাথে যুদ্ধ করবো। আর ভুল করা যাবে না। করতে দেওয়া যাবে না।

    আমরা একটি অহিংসার বাংলাদেশ দেখতে চাই। সবাই ভাইবোন হিসেবে থাকবো। সবার নিরাপত্তার দায়িত্ব নিবো। সত্য ন্যায়ের পক্ষে যতক্ষণ আছি, দেশ গড়ার জন্য আপনাদের পাশে চাই। আপনাদের ভালবাসা চাই। কথা দিচ্ছি দাবি করতে হবে না। সব দাবি পূরণ করবো।

    মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, বিচার সংস্কার আর নির্বাচন। খুনীদের বিচার আগে হতে হবে। নারায়ণগঞ্জে চার বছরের শিশু হত্যা করা হয়েছে হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে। তিনি তক্বী হত্যা ও ৭ খুনের বিচার দাবি করেন। সেই সাথে আগামিতে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সংস্কারের দাবি জানান। বৈষম্যহীন সমাজের জন্য ছাত্ররা স্লোগান দিয়েছে। তিনি বলেন, আসুন পতিত স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নতুন দেশ গঠনে এগিয়ে আসি।

    সাইফুল আলম খান মিলন বলেন, হাসিনা বলেছিল পালায় না। বাংলাদেশের জমিনে ফ্যাসিস্টরা আর আসতে পারবে না। এলে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। বিচার হলে ফাঁসিতে ঝুলতে হবে। তিনি জুলাই বিপ্লবে আহতদের চিকিৎসা দেওয়ার আহ্বান জানান। সেইসাথে শহীদ পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথাও বলেন তিনি। জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে সুন্দর দেশ গড়ার আহ্বান জানান সিনিয়র এই নেতা।

    নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, সবাই জেনে গেছে জামায়াতের লোকজন জীবন দিতে পারে, তাদের কেনা যায় না। আধিপত্যবাদীরা জামায়াত নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছে। কিনে নিতে চেয়েছে। কিন্তু পারেনি। আগামি দিনে নতুন বাংলাদেশ গড়তে জামায়াতে ইসলামীর হাত শক্তিশালী করতে হবে। নারায়ণগঞ্জকে ইসলামের ঘাঁটি বানাতে হবে।

    মোবারক হোসাইন বলেন, নারায়ণগঞ্জে প্রায়ই শোনা যেত ‘খেলা’ হবে। এখন ‘খেলা’ কার সাথে হবে। তিনি বলেছিলেন শামীম উসমান পালায় না। কিন্তু এখন কোথায় গেলেন? তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী একটি সুন্দর সমাজ গড়তে চায়। এজন্য ডা. শফিকুর রহমান দিনরাত কাজ করছেন। জামায়াতের পক্ষেই সম্ভব সুন্দর সমাজ গঠন করা।

    মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমদ বলেন, হাসিনা ও শামীম উসমান পালানোর পরও দোসর রয়ে গেছে। তাদের গ্রেফতার করা না হলে দেশে শান্তি আসবে না। বাসযোগ্য নারায়ণগঞ্জ বানাতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

    উদ্বোধনী বক্তব্যে আবদুল জব্বার বলেন, বৈষম্য মুক্ত রাষ্ট্র বানাতে হলে বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়া দরকার। জামায়াতে ইসলামী সেই কাজটি করে যাচ্ছে। নারায়ণগঞ্জের মানুষ আর কোন বৈষম্য মেনে নিবে না। তিনি সবার আগে খুনিদের বিচার দাবি করেন।

    বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নারায়ণগঞ্জ জেলা সেক্রেটারি মিজানুর রহমান বলেন, নিরেট খেলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

    নারায়ণগঞ্জ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের ভাইস চেয়ারম্যন জয় কে রায় চৌধুরী বাপ্পি বলেন, ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও ১৫ বছর চা খেতে পারিনি। আমরা এরকম নারায়ণগঞ্জ চাইনি। এটা চলতে দেওয়া যাবে না। বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান মুসলমানদের মাটি। আমরা আছি আমরা একসাথে থাকবো। একসাথে আওয়াজ তুলবো। এখানে কোন সংখ্যালঘু নেই। পূজা উদযাপনের সময় আমাদের যেভাবে পাহারা দিয়েছে তা আমরা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করি।

    জনসভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নারায়ণগঞ্জ জেলার আমীর মমিনুল হক সরকার, ঢাকা জেলার আমীর মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন, নরসিংদী জেলা আমীর মাওলানা মোছলেহ উদ্দিন, মুন্সিগঞ্জ জেলা আমীর আ জ ম রুহুল কুদ্দুস, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ড. ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া, নারায়ণগঞ্জ জেলার নায়েবে আমীর আবদুল কাইয়ুম, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের নারায়ণগঞ্জ মহানগর সভাপতি ও কার্যকরী সদস্য হাফেজ ইসমাঈল হোসেন, জেলা সভাপতি আবু সুফিয়ান, আড়াইহাজার উপজেলার আমীর অধ্যাপক ইলিয়াস আলী মোল্লা ও রূপগঞ্জ উপজেলা আমীর আনোয়ার হোসেন মোল্লা প্রমুখ।

  • ‘গাজীপুরে আজই হবে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের শেষদিন’

    ‘গাজীপুরে আজই হবে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের শেষদিন’

    গাজীপুরে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ খ ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে এলাকাবাসীর হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে আহতরা দাবি করেছেন, মোজাম্মেলের বাড়িতে তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এমন সময় শুক্রবার দিবাগত রাতে ফেসবুকে পোস্ট দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম। এতে তিনি লিখেছেন, “গাজীপুরে আজকেই হবে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের শেষদিন, আমরা আসছি…।”

    এদিকে মোজাম্মেলের বাড়িতে হামলায় অন্তত ১৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। হামলায় কয়েকজন নিহত হয়েছেন এমন খবর ছড়িয়ে পড়লেও, বিষয়টি কেউ এখনো নিশ্চিত করেননি।

    স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকেই আ ক ম মোজ্জামেলের ধীরাশ্রমের পৈত্রিক বাড়ির আশপাশে কিছু লোকজন অবস্থান নেয়। এরপর রাতে হঠাৎ তারা বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করতে থাকে। এ সময় মসজিদে মাইকে ডাকাত পড়েছে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর এলাকাবাসী সেখানে এসে তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

    এ ব্যাপারে গাজীপুর মহানগর পুলিশের সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ছাত্র–জনতার পরিচয় দিয়ে সাবেক মন্ত্রীর বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় স্থানীয় লোকজন তাদের আটক করে মারধর করেছেন। এতে ১২-১৩ জন আহত হয়েছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি।

    এরমধ্যে গুরুতর আহত পাঁচজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়েছে। তারা হলেন— শুভ শাহরিয়া (১৬), ইয়াকুব (২৪), সৌরভ (২২), কাশেম (১৭) ও হাসান (২২)।

    আহত সৌরভের বন্ধু পিয়াস বলেছেন, “রাত সাড়ে আটটার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা আ খ ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে যায়। এরপর আওয়ামী লীগের লোকজন মাইকিং করে তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমার বন্ধুসহ অনেকেই আহত হয়। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে এখন পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়েছে।”

  • গোপালগঞ্জ-১ আসনে জামায়াতের প্রার্থী ঘোষণা

    গোপালগঞ্জ-১ আসনে জামায়াতের প্রার্থী ঘোষণা

    আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জ ১ আসনে (মুকসুদপুর- কাশিয়ানী আংশিক) এম.পি প্রার্থী ঘোষণা করেছে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কাশিয়ানী উপজেলা শাখার প্রচার সম্পাদক এবং শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সভাপতি আলহাজ্ব আশরাফ ফারুকী।

    গোপালগঞ্জ এস কে কামিল মাদ্রাসার সাবেক প্রিন্সিপাল ও বাংলাদেশ মাজলিসুল মোফাসসেরিন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা আবদুল হামিদকে।

    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কাশিয়ানী উপজেলা শাখার প্রচার সম্পাদক এবং শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সভাপতি আলহাজ্ব আশরাফ ফারুকী বলেন, গোপালগঞ্জের হাতেগোনা যে ক’জন আলেম সারাদেশে পরিচিত, তাদের একজন মাওলানা আব্দুল হামিদ।

    তিনি বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরিনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও গোপালগঞ্জ আলিয়া মাদ্রাসার সাবেক প্রিন্সিপাল। জ্ঞান ও গবেষণায় তিনি সমকালীন আলেমদের মধ্যে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। তার মতো একজন আলেমকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জ-১ আসনের জন্য প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেছে। আমি মনে করি প্রার্থী হিসেবে তিনি যোগ্য ও মানুষ হিসেবে ভদ্র। আমি তার মঙ্গল কামনা করি

  • হামলা-ভাঙচুরে বাধা দেয়ায় গৃহবধূকে গুলি করে হত্যা

    হামলা-ভাঙচুরে বাধা দেয়ায় গৃহবধূকে গুলি করে হত্যা

    নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় পূর্ব শত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তারের জেরে শ্রীনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজ মুর্শেদ খান রাসেলের বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুর করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ সময় বাধা দিতে গিয়ে হামলাকারীদের গুলিতে শান্তা ইসলাম (২৪) নামে এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন।

    শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের শ্রীনগর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত শান্তা ওই এলাকার শাকিল খানের স্ত্রী।

    এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রায়পুরা সদর হাসাপাতালে নেয়া হয়েছে। অন্যদিকে আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

    নিহতের স্বজনরা জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জেরে দুপুরে শ্রীনগর ইউনিয়নের নূরুল ইসলামের ছেলে সোহেল ও তার দলবল অস্ত্র নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজ মোর্শেদ খান রাসেলের বাড়ি-ঘরে হামলা চালায়। এ সময় রাসেলের চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রী শান্তা বাধা দিলে তাকে গুলি করা হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে রায়পুরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

    রায়পুরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ইসমাইল হোসেন রাজিব জানান, শান্তা নামে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তার পিঠের দিকে গুলি পাওয়া গেছে।

    শ্রীনগর ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজ মোর্শেদ খান সাংবাদিকদের জানান, সোহেলের লোকজন আমার বাড়ি এবং ইউনিয়ন পরিষদে ভাঙচুর চালিয়েছে। বাড়িতে আমার দুই চাচা ও মহিলারা ছিল। বাধা দিতে গেলে মহিলাসহ কমপক্ষে ৫ থেকে ৬ জন আহত হয়। এ সময় চাচাতো ভাই শাকিলের স্ত্রীকে গুলি করে হত্যা করে তারা।

    এ ব্যাপারে রায়পুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আদিল মাহমুদ বলেন, দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এখন সবকিছু বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না। এলাকায় পুলিশ সদস্যরা রয়েছে।

  • বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে পাল্টা তলব ভারতের

    বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে পাল্টা তলব ভারতের

    বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ব্যক্তিগত অবস্থান থেকে বক্তব্য-বিবৃতি দিচ্ছে, তাতে ভারতের কোনো ভূমিকা নেই। তার বক্তব্যের সঙ্গে ভারত সরকারের অবস্থানকে এক করে ফেললে তা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে কোনো ইতিবাচক মাত্রা যোগ করতে সহায়ক হবে না। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে তলব করে এসব কথা বলেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

    শুক্রবার বিকেলে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মো. নুরাল ইসলামকে তলব করা হয়। এর আগে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে শেখ হাসিনার বক্তব্য দেয়া নিয়ে সৃষ্ট উত্তেজনার মধ্যে গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে তলব করে প্রতিবাদ জানিয়েছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

    শেখ হাসিনা ক্রমাগত মিথ্যা ও বানোয়াট মন্তব্য ও বিবৃতি দিচ্ছেন উল্লেখ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, হাসিনার এ ধরনের কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের প্রতি একটি শত্রুতামূলক কাজ হিসেবে বিবেচিত এবং দুই দেশের মধ্যে একটি সুস্থ সম্পর্ক স্থাপনের প্রচেষ্টার জন্য সহায়ক নয়।

    তার পরের দিন নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে তলব করা হয়। এ নিয়ে গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়ালের বক্তব্য দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে তুলে ধরা হয়।

    রণধীর জয়সোয়াল বলেন, ‘বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে এ বার্তা দেয়া হয়েছে যে ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে একটি ইতিবাচক, গঠনমূলক ও উভয়ের জন্য লাভজনক সম্পর্ক চায়, যা সম্প্রতি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকগুলোতে বেশ কয়েকবার পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে। তবে এটা দুঃখজনক যে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের নিয়মিত বিবৃতিগুলোতে ভারতকে নেতিবাচকভাবে চিত্রায়িত করা হচ্ছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ শাসনসংক্রান্ত বিষয়গুলোর জন্য তারা আমাদের দায়ী করছে। বাস্তবিক অর্থে বাংলাদেশের এসব বিবৃতি বিরাজমান নেতিবাচক পরিস্থিতির জন্য দায়ী।’

    তিনি আরও বলেন, ‘ভারত সরকার যখন পারস্পরিক স্বার্থের সহায়ক সম্পর্কের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাবে, তখন আমাদের প্রত্যাশা থাকবে যে বাংলাদেশও পরিবেশের অবনতি না হয়, সে ব্যাপারে সচেষ্ট থেকে সম্পর্কের স্বার্থে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।’

  • রাষ্ট্রপতিকে কারা সরাতে দেয়নি জানালেন উপদেষ্টা নাহিদ

    রাষ্ট্রপতিকে কারা সরাতে দেয়নি জানালেন উপদেষ্টা নাহিদ

    রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে অপসারণের দাবিতে ছাত্রদের চরম বিক্ষোভের পরও অন্তর্বর্তী সরকার তাঁকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেয়নি, কারণ বিএনপির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সমর্থন পাওয়া যায়নি। এক সাক্ষাৎকারে এই তথ্য জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

    নাহিদ ইসলাম জানান, বর্তমান সরকার একটি নিরপেক্ষ প্রশাসন হিসেবে কাজ করছে এবং বড় সিদ্ধান্তগুলো নিতে বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করছে। তিনি বলেন, “রাষ্ট্রপতিকে পরিবর্তনের বিষয়ে ছাত্ররা দাবি জানালেও বিএনপির সমর্থন না থাকায় সরকার ঐক্যমত্য ছাড়া এ বিষয়ে এগোয়নি।”

    এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে বিএনপির বক্তব্য এবং আওয়ামী লীগের অবস্থানের মধ্যে মিল দেখা যাচ্ছে। বিএনপি সরকারকে ‘অনির্বাচিত’ বললেও আওয়ামী লীগও একে ‘অবৈধ’ ও ‘অসাংবিধানিক’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ফলে সরকারকে দেখার দৃষ্টিভঙ্গির ক্ষেত্রে দুই দলের বক্তব্যে সাযুজ্য দেখা যাচ্ছে বলে মত দেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

    তিনি বলেন, “বিএনপি যদি আওয়ামী লীগের মতো একই ভাষায় সরকারকে ব্যাখ্যা করা শুরু করে, তাহলে জনগণ তাদের মধ্যে পার্থক্য খুঁজে পাবে না।”

    সাক্ষাৎকারে তিনি আরও জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে বিএনপির দূরত্ব কিছুটা তৈরি হলেও সরকার এখনও আলোচনার জন্য প্রস্তুত। পাশাপাশি, তিনি তাঁর পদত্যাগের সম্ভাবনা সম্পর্কেও মন্তব্য করেন। তাঁর কথায়, সরকার ছাড়ার সিদ্ধান্ত এখনো চূড়ান্ত হয়নি, তবে ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয়ার্ধে একটি রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশের চিন্তা চলছে, যা ১৫ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হতে পারে।

    শহীদ পরিবারদের জন্য সরকারি সহায়তার বিষয়েও তিনি বলেন, সরকার প্রতিটি শহীদ পরিবারের জন্য ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ করেছে, যা এই মাস থেকে দেওয়া শুরু হবে। আহতদের জন্যও ১০ লাখ টাকা করে সহায়তার পরিকল্পনা রয়েছে।

    জুলাই ঘোষণাপত্রের বিষয়ে বিএনপির অবস্থান প্রসঙ্গে তিনি জানান, বিএনপি এখনো তাদের খসড়া দেয়নি, তবে দ্রুত তা পাঠানোর কথা জানিয়েছে। অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর খসড়া সরকার ইতোমধ্যে পেয়েছে এবং সরকার প্রস্তুত রয়েছে। এখন মূলত বিএনপির অংশগ্রহণের অপেক্ষা করা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

  • আমুর বরিশালের বাড়িতে বুলডোজার চালাচ্ছে ছাত্র-জনতা

    আমুর বরিশালের বাড়িতে বুলডোজার চালাচ্ছে ছাত্র-জনতা

    বরিশালে বুলডোজারের আঘাতে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল আমির হোসেন আমুর বাড়ি

    আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও ঝালকাঠি-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমুর বরিশালের বাসভবন বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ছাত্র-জনতা।

    বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ২টার দিকে জনতার একাংশ ভবনটি ভাঙতে শুরু করে। এর আগে, দেড়টার দিকে বুলডোজার ও মিছিল নিয়ে ভবনের সামনে অবস্থান নেয় বিক্ষুব্ধ জনতা।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ১২টার দিকে নগরীর কালীবাড়ি রোডে সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর বাসভবন ধ্বংসের পর ছাত্র-জনতা জীবনানন্দ দাশ সড়কে অবস্থিত আমুর বাড়ির দিকে অগ্রসর হয়। পরে তারা বুলডোজার দিয়ে বাড়িটির কাঠামো ভাঙতে শুরু করে।

    শিক্ষার্থী আকিব বলেন, ফ্যাসিবাদের আস্তানাগুলো একে একে গুঁড়িয়ে দেব। জনগণের টাকায় ফ্যাসিস্টরা যে প্রাসাদ গড়েছে, তা টিকতে দেওয়া হবে না।

    স্থানীয় এক বাসিন্দা মোস্তাফিজ জানান, ভারতে পালিয়ে গিয়েও ফ্যাসিস্ট হাসিনা আমাদের হুমকি দিচ্ছে। আমরা জানিয়ে দিতে চাই, বাংলার মাটিতে আওয়ামী লীগের কোনো স্থান নেই। তাদের ইতিহাস মুছে ফেলা হবে।

    এর আগে, সাদিক আব্দুল্লাহর বাসভবন ভাঙার সময় সেনাবাহিনী বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও আমুর ভবন ভাঙার সময় তেমন প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয়নি ছাত্র-জনতাকে।

    উল্লেখ্য, ঝালকাঠির স্থায়ী বাসিন্দা হলেও আমির হোসেন আমু বরিশালের এই ভবন থেকেই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেন।

  • বিপিএলে কে কত টাকা পুরস্কার পেলেন

    বিপিএলে কে কত টাকা পুরস্কার পেলেন

    চিটাগং কিংস ও ফরচুন বরিশালের ফাইনালের মধ্য দিয়ে পর্দা নামলো বিপিএল একাদশ আসরের। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ১২ বছর পর ফাইনাল খেলা চিটাগংকে হতাশায় ডুবিয়ে বিপিএল ট্রফি জেতে তামিম ইকবালের বরিশাল। বিপিএল ফাইনালে ছিল পুরস্কারের ছড়াছড়ি। আর বেশিরভাগ পুরস্কারই গেছে বরিশালের ক্রিকেটারদের পকেটে।

    গত আসরের তুলনায় এবার প্রাইজমানি বেড়েছে। গত আসরে ২ কোটি পাওয়া ফরচুন বরিশাল এবার চ্যাম্পিয়ন হিসেবে পেয়েছে আড়াই কোটি টাকা। আর রানার্স আপ হিসেবে দেড় কোটি টাকা পেয়েছে চিটাগং কিংস। ফাইনালে ব্যাট হাতে ৫৪ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে ম্যাচসেরার পুরস্কার নিজের করে নেন তামিম।

    টুর্নামেন্টের সেরা রান সংগ্রাহক ছিলেন খুলনা টাইগার্সের ওপেনার নাঈম শেখ। সর্বোচ্চ ৫১১ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। অন্যদিকে, বোলিংয়ে সর্বোচ্চ ২৫টি উইকেট নিয়েছেন দুর্বার রাজশাহীর পেসার তাসকিন আহমেদ। যা বিপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। পেছনে ফেলেছেন সাকিব আল হাসানের রেকর্ডকেও।

    কে কোন পুরস্কার এবং কত টাকা পেয়েছেন:-

    ফাইনালসেরা—তামিম ইকবাল (৫ লাখ টাকা)

    টুর্নামেন্টসেরা—মেহেদী হাসান মিরাজ (১০ লাখ টাকা)

    সেরা ফিল্ডার—মুশফিকুর রহিম (৩ লাখ টাকা)

    উদীয়মান তারকা—তানজিদ হাসান তামিম (৩ লাখ টাকা)

    সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি—তাসকিন আহমেদ (৫ লাখ টাকা)

    সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক—নাঈম শেখ (৫ লাখ টাকা)

    তৃতীয় স্থান—খুলনা টাইগার্স (৬০ লাখ টাকা টাকা)

    চতুর্থ স্থান—রংপুর রাইডার্স (৪০ লাখ টাকা)

  • রাষ্ট্র পরিচালনায় নির্বাচিত সরকারের বিকল্প নেই: গয়েশ্বর

    রাষ্ট্র পরিচালনায় নির্বাচিত সরকারের বিকল্প নেই: গয়েশ্বর

    আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বুলডোজার কর্মসূচির খবর কেনো সরকারকে জানানো হয়নি এমন প্রশ্ন রেখেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে রাষ্ট্র পরিচালনায় নির্বাচিত সরকারের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

    তিনি বলেন, শেখ হাসিনা উষ্কানীমূলক কথা বললেও তাতে গুরুত্ব দেয়া ঠিক হবে না। রাষ্ট্র পরিচালনায় নির্বাচিত সরকারের কোনো বিকল্প নেই। এ সময় তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, শেখ হাসিনার উস্কানিমূলক কথা বললে কেনো তাতে পা দিবো।

    গয়েশ্বর আরও বলেন, আইন জনগণ হাতে তুলে নিতে পারে না, যারা এমন কাজ করেছে তাদের বিচার করতে হবে। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর এই সরকার গঠিত হয়েছে। এ সরকার কে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিকল্প ভাবে দেখা যায়। সরকার সংস্কার নিয়ে ব্যস্ত, কিন্তু সংস্কারের জন্য নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।