Blog

  • একা নয়, বন্ধুদের নিয়েই একুশে পদক নিবেন অভ্রর নির্মাতা মেহেদী

    একা নয়, বন্ধুদের নিয়েই একুশে পদক নিবেন অভ্রর নির্মাতা মেহেদী

    ইন্টারনেটে বাংলা ভাষায় লেখাকে সহজতর করতে অবিস্মরণীয় অবদানের জন্য একুশে পদকের জন্য মনোনীত অভ্র কি-বোর্ডের আবিষ্কারক মেহেদী হাসান খান। তবে তিনি এককভাবে এই পুরস্কার নিতে চান না। কারণ অভ্র তৈরিতে তার আরও তিন বন্ধুও কাজ করেছিলেন, তাই পুরস্কারটা সবার প্রাপ্য বলে জানিয়েছেন মেহেদী।

    রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এ তথ্য জানিয়েছেন।

    এর আগে গত বৃহস্পতিবার মেহেদীসহ ১৫ জনকে একুশে পদকের জন্য মনোনীত করে নাম ঘোষণা করা হয়।

    সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে ফারুকী জানান, মেহেদী একা এই কৃতিত্ব নিতে চাননি। তার আরো তিন বন্ধু রিফাত নবী, তানবিন ইসলাম সিয়াম এবং শাবাব মুস্তাফা; যারাও অভ্র তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তাদের ছাড়া তিনি পুরস্কার নিতে চাননি।

    তিনি বলেন, ‘আমরা আনন্দের সাথে জানাচ্ছি, স্রোতের বিপরীতে এগিয়ে যাওয়া এই চার গুণীকেই অভ্র’র জন‍্য দলগতভাবে একুশে পদকে সম্মানিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।’

    তিনি আরো বলেন, ‘তাঁরা চার বন্ধুই পৃথিবীর ভিন্ন ভিন্ন প্রান্ত থেকে বাংলাদেশে আসছেন পুরস্কার গ্রহণ করতে। ক্যান্ট ওয়েট টু ওয়েলকাম ইউ অল। আই অ্যাম শিওর দিজ ইজ গোয়িং টু ইনসপায়ার আ লট অব ইয়াং পিপল টু মুভ ফরওয়ার্ড নো ম্যাটার হোয়াট। বাংলাদেশ, অনওয়ার্ডস অ্যান্ড আপওয়ার্ডস।’

  • ইন্টার্ন চিকিৎসক অর্ঘ্যের মৃত্যুর ১০ দিন পর চলে গেলেন বাগ্‌দত্তাও

    ইন্টার্ন চিকিৎসক অর্ঘ্যের মৃত্যুর ১০ দিন পর চলে গেলেন বাগ্‌দত্তাও

    সড়ক দুর্ঘটনায় ইন্টার্ন চিকিৎসকের মৃত্যুর ১০ দিন পর চলে গেলেন বাগ্‌দত্তাও। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

    নিহত প্রতিভা সরকার (২১) সাতক্ষীরার বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত বিপ্রজিৎ সরকার ও তালা উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসের প্রধান সহকারী দেবকী রায় দম্পতির মেয়ে। তারা দীর্ঘদিন ধরে তালা উপজেলা সদরে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। তাদের গ্রামের বাড়ি খুলনার কয়রা উপজেলার মঠবাড়িয়া গ্রামে। প্রতিভা ছিলেন ঢাকার পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।

    নিহত অর্ঘ্য অমৃত মণ্ডল (২৬) সাতক্ষীরার শ্যামনগরের সদরের চণ্ডীপুর গ্রামের অচিন্ত্য কুমার মণ্ডল ও মিনতি রানী মণ্ডল দম্পতির ছেলে। অচিন্ত্য কুমার মণ্ডল কালীগঞ্জ উপজেলার রতনপুর তারকানাথ বিদ্যাপীঠের ক্রীড়াশিক্ষক। অর্ঘ্য মা-বাবার একমাত্র সন্তান ছিলেন। তাদের গ্রামের বাড়ি শ্যামনগরের পদ্মপুকুর ইউনিয়নের কামালকাটি গ্রামে। অর্ঘ্য ঢাকার পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক ছিলেন।

    পরিবার সূত্রে জানা যায়, অর্ঘ্য অমৃত মণ্ডলের সঙ্গে প্রতিভা সরকারের বিয়ে ঠিক হয়। বিয়ের তারিখ ছিল ২৫ জানুয়ারি। কিন্তু ১৭ জানুয়ারি অর্ঘ্যের এক জেঠা (বাবার চাচাতো ভাই) মারা যাওয়ায় বিয়ে পিছিয়ে দিয়ে পারিবারিকভাবে তারিখ পরে ঠিক করার সিদ্ধান্ত হয়। মৃত জেঠার শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে যোগ দিতে ৩০ জানুয়ারি ঢাকা থেকে সাতক্ষীরার শ্যামনগরের বাড়িতে আসছিলেন অর্ঘ্য। বাগ্‌দত্তা প্রতিভাও ছিলেন তার সঙ্গে। ইচ্ছা ছিল, ৩১ জানুয়ারি শ্রাদ্ধানুষ্ঠান শেষে সবাই বসে তাদের বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করবেন।

    প্রতিভার বাবা বিপ্রজিৎ সরকার বলেন, অর্ঘ্য ও প্রতিভা গত ৩০ জানুয়ারি ঢাকা থেকে মোটরসাইকেলে সাতক্ষীরায় আসছিলেন। পথে গোপালগঞ্জে তারা দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। ঘটনাস্থলে মারা যান অর্ঘ্য। প্রতিভাকে ভর্তি করা হয় ঢাকার পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে ১০ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে শনিবার বেলা ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

    তিনি জানান, প্রতিভার মরদেহ শনিবার রাত ১০টার দিকে তালায় নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে দিবাগত রাত ১২টায় মরদেহ নেয়া হয় গ্রামের বাড়ি কয়রা উপজেলার মঠবাড়িয়ে গ্রামে। রোববার বিকেলে গ্রামের শ্মশানে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ পল্লী বিদ্যুতের ব্ল্যাক আউট: প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
    এই তরুণ চিকিৎসক দম্পতির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরার তালা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার ও তালা উপজেলা অফিসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী।

  • পুলিশের এক ডিআইজি ও তিন এসপি গ্রেপ্তার

    পুলিশের এক ডিআইজি ও তিন এসপি গ্রেপ্তার

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা, হত্যাসহ একাধিক মামলায় পুলিশের একজন ডিআইজি ও তিনজন পুলিশ সুপারকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা গোয়েন্দা কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।

    শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে রংপুর, রাজশাহী ও নীলফামারী থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের পর তাদেরকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা কার্যালয়ে আনা হয়।

    রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলী বলেন, রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান ও আবুল হাসনাত এবং নীলফামারীর ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যাসহ একাধিক মামলায় অভিযোগ রয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ নাশকতা নয়, পলকের নির্দেশে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়!
    অন্যদিকে রাজশাহী জেলা পুলিশ একাডেমির সহায়তায় শুক্রবার রাতে রাজশাহী সারদা একাডেমিতে সংযুক্ত থাকা গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।

    পুলিশ সূত্র জানায়, বিসিএস ২৭ ব্যাচের আবুল হাসনাত বাগেরহাটের পুলিশ সুপার থাকাকালীন ২০২৪ সালের নির্বাচন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। আর পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান কুমিল্লা ও সিলেটে এসপি থাকাকালীন নির্বাচন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শক্তি প্রয়োগ করেন। এর আগে সিটিটিসিতে পুলিশ সুপার থাকাকালীন তার বিরুদ্ধে জঙ্গি নাটক সাজানোর একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ জামায়াতের ইসলামীর এখন রাজনৈতিক কোন কর্মসূচী নেই- সৈয়দপুরে মাওলানা আব্দুল হালিম
    অন্যদিকে ২৫ ব্যাচের কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান নোয়াখালী জেলার পুলিশ সুপার ছিলেন। নির্বাচন ও পরবর্তীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শক্তি প্রয়োগ ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।

    আটক ডিআইজি মোল্লা নজরুল ইসলাম গাজীপুর মেট্রোপলিটনের সাবেক কমিশনার ও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন। একটা সময় তার বিরুদ্ধে খুন-গুমসহ অনৈতিকভাবে শক্তি প্রয়োগের অনেক অভিযোগ উঠেছিল।

  • ৩২ নম্বর বাড়ি কেনায় শেখ মুজিবের অর্থের উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুললেন আমান আযমী

    ৩২ নম্বর বাড়ি কেনায় শেখ মুজিবের অর্থের উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুললেন আমান আযমী

    জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির প্রয়াত গোলাম আজমের ছেলে সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমীর একটি ফেসবুক পোস্ট নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
    তিনি দাবি করেছেন যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কখনো চাকরি বা ব্যবসা করেননি, অথচ ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ি কেনার অর্থের উৎস রহস্যজনক।

    রবিবার এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন,“শেখ সাহেব কোনদিন চাকরি করেননি, কোনো ব্যবসাও ছিল না তার। উনার লেখা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে’ আছে, উনার বাবা ‘সেরেস্তাদার’, অর্থাৎ কেরানি ছিলেন। কেরানির আয় আর কতই বা হতে পারে? উনার বইতে আরও আছে, একসময় উনার পূর্বপুরুষদের অনেক ধনসম্পত্তি ছিল, কিন্তু উনার আমলে এসবের কিছুই ছিল না। তাহলে প্রশ্ন হলো, তিনি ৩২ নম্বরের জায়গাটা কেনার এবং সেখানে বিল্ডিং নির্মাণের অর্থ কোথা থেকে পেলেন? কেউ কি আমাকে এর কোনো জবাব দিতে পারেন?”

    যদিও ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ির মালিকানা ও কেনার ইতিহাস সম্পর্কে ঐতিহাসিকভাবে বহু তথ্য বিদ্যমান, তবুও আযমীর প্রশ্নটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

  • জাসদ কার্যালয়ের জায়গায় ‘শহীদ আবু সাঈদ জামে মসজিদ’ নির্মাণের ঘোষণা

    জাসদ কার্যালয়ের জায়গায় ‘শহীদ আবু সাঈদ জামে মসজিদ’ নির্মাণের ঘোষণা

    বগুড়া শহরের জিরো পয়েন্ট সাতমাথা সংলগ্ন এলাকায় ভেঙ্গে ফেলা জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) জেলা কার্যালয়ের স্থানে ব্যানার টাঙিয়ে দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

    শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টায় এ ব্যানার টাঙানো হয়। এতে লেখা আছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের গেজেটিভুক্ত পরিত্যক্ত অর্পিত সম্পত্তি।

    এ বিষয়ে বগুড়া জেলা প্রসাশক হোসনা আফরোজ বলেন, ‘ওটা সরকারী সম্পত্তি, তাই সব সাইনবোর্ড খুলে অর্পিত সম্পত্তি হিসাবে সাইন বোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

    তিনি আরো বলেন, ‘কেউ যদি ওই সম্পত্তি নিজের বলে দাবি করেন তাহলে তাকে সঠিক কাগজপত্র উপস্থাপন করতে হবে। এরপর আমরা যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নিবো।’

    এর আগে, শনিবার বিকেলে সেখানে ভবনটির ধ্বংসাবশেষের শীর্ষে ‘জুলাই ২০২৪ স্মৃতিকরণ মসজিদের জন্য নির্ধারিত স্থান, বাস্তবায়নে : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা’ লেখা দু’টি ব্যানার ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।

    বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে ডা. আব্দুল্লাহ সানি নামে একজন সেখানে মসজিদ নির্মাণের ঘোষণা দিয়ে বলেন, জুলাই বিপ্লবের শহীদ আবু সাঈদের নামে ‘শহীদ আবু সাঈদ জামে মসজিদ’ এখানে স্থাপন করা হবে।

    তিনি জানান, জুলাই বিপ্লবের সর্বাধিনায়ক শহীদ আবু সাঈদের পিতা বলেছিলেন তোমরা আমার সন্তানের জন্য কোনো মূর্তি বানাবে না। তোমরা পারলে আমার ছেলের নামে মসজিদ করবে। সেজন্য আমরা এখানে মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি।

    এর আগে দুপুরে কিছু ব্যক্তি ওই জায়গাটিকে নিজেদের সম্পত্তি দাবি করে সেখানে ব্যানার ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন।

    তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ব্যানারে একদল যুবক বিকেল ৫টার দিকে সেটি খুলে ফেলেন এবং ঝুলিয়ে দেন মসজিদ নির্মাণ সম্বলিত ব্যানার।

    এসময় একই সংগঠনের অপর কয়েকজন পাশে ভেঙ্গে ফেলা আওয়ামী লীগের অফিসকে টয়লেট হিসেবে ব্যবহারের কথাও জানান।

    জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে একদল যুবক শহরের সাতমাথায় আওয়ামী লীগ কার্যালয়, পাশের আওয়ামী লীগের এক নেতার ব্যক্তিগত কার্যালয়, টাউন ক্লাব এবং জেলা জাসদ কার্যালয় ভেঙ্গে ফেলে। একই সময় তারা শহরের কবি নজরুল ইসলাম সড়কে জাতীয় পার্টির অফিসও ভেঙ্গে ফেলে।

    এরপর শনিবার দুপুরে কয়েকজন ব্যক্তি ভেঙ্গে ফেলা জাসদ কার্যালয়ের জায়গাটিকে নিজেদের দাবি করে তার ধ্বংসাবশেষের ওপরে একটি ব্যানার ঝুলিয়ে দেয়।

    ব্যানারটিতে লেখা ছিল ‘এই সম্পত্তি ১৯৫২ সালে ক্রয় সূত্রে মালিক কোরবান আলী, আব্দুর রহমান, রুস্তম আলী, বাবু কালি গোপাল, তফশীল সম্পত্তির বিবরণ দাগ নং ১৫৮০, মৌজা: সুত্রাপুর, জে.এল নং: ৮২ জমির পরিমাণ:১৩২৫ শতক কাতে .০৬২৫, যোগাযোগঃ মোঃ উজ্জল:০১৭১১-৪৭৩৬৮২’।

    তাদের পক্ষে মিজানুর রহমান এবং মোখলেছুর রহমান দাবি করেন, জাসদ অফিসের সম্পত্তি তার দাদার কেনা সম্পত্তি। তার দাদা ১৯৫২ সালে সেটি কিনেছিলেন। তবে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় জায়গাটি বেহাত হয় এবং পরবর্তীতে জাসদের দলীয় কার্যালয় হিসেবে সেটি ব্যবহার করা হয়।

    তারা বলেন, রাজনৈতিক দলের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহারের কারণে এতদিন তারা জায়গাটির দখল পাচ্ছিলেন না। এখন সেটি ভেঙ্গে ফেলায় দখল নিতে এসেছি।

    অবশ্য বগুড়া জেলা জাসদ (ইনু) সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, ওই সম্পত্তি ছিল হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকজন ব্যক্তির নামে। ১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান বিভক্ত হওয়ার সময় তারা ভারতে চলে যান। পরে সরকার জায়গাটির কর্তৃত্ব গ্রহণ করে। তবে ১৯৭২ সাল থেকে আমরা সেখানে আছি এবং লীজের জন্য আবেদন করি। আবেদন করার পর মালিকানা দাবি করে বগুড়া মোটর মালিক গ্রুপ মামলা করলে আবেদনটি ঝুলিয়ে থাকে। এক বছর আগে ওই মামলাটি খারিজ হয়ে যায়। সে কারণে লিজ প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয়। তবে আবেদনটি এখনও প্রক্রিয়াধীন।

  • সৌদিতে রোজার চাঁদ দেখা যাবে ২৮ ফেব্রুয়ারি

    সৌদিতে রোজার চাঁদ দেখা যাবে ২৮ ফেব্রুয়ারি

    জ্যোতির্বিদ্যার হিসাব-নিকাশ অনুযায়ী, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় সৌদি আরবে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যাবে বলে জানিয়েছেন দেশটির জ্যোতির্বিদ্যা বোর্ডের সদস্য ও রয়্যাল কোর্টের উপদেষ্টা শেখ আব্দুল্লাহ বিন সুলেইমান আল-মানেয়া। ফলে সৌদি আরবে ১ মার্চ শুরু হবে মহিমান্বিত মাস রমজান।

    তিনি আরও জানিয়েছেন, এ বছরের রমজান মাসটি হবে ২৯ দিনের। সে হিসেবে রমজানের শেষদিন হবে আগামী ২৯ মার্চ। আর ঈদুল ফিতর পালিত হবে ৩০ মার্চ। তবে রমজানের চাঁদ দেখা যাওয়ার বিষয়টি ঘোষণা দেবে সুপ্রিম কোর্ট।

    রয়্যাল কোর্টের এই সদস্য বলেছেন, ১৪৪৬ হিজরি সনের রমজান মাসের চাঁদটির জন্ম হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার রাত ৩টা ৪৪ মিনিটে। ওইদিন সন্ধ্যায় সুর্যাস্তের ৩২ মিনিট পর্যন্ত চাঁদটি আকাশে অবস্থান করবে। যার অর্থ খুব সহজেই চাঁদটি খালি চোখে দেখা যাবে।

    আবহাওয়াবিদরা বলেছেন, এ বছরের রমজান মাসটি শুরুর সঙ্গে সঙ্গে শেষ হবে শীত মৌসুমের। রমজানের প্রথম দিনটি হবে বসন্তে। ফলে রোজার দিনগুলো তুলনামূলক ঠান্ডা থাকবে। মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, মিসর ও কাতারের মুসলিমদের প্রায় ১৩ ঘণ্টা করে রোজা রাখতে হবে।

    এদিকে সাধারণত মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর একদিন পর বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ দেশে রমজান মাস শুরু হয়। সে হিসেবে এ বছর বাংলাদেশের মুসল্লিরা ২মার্চ প্রথম রমজান পালন করবেন।

  • ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে ৩২ এর আয়নাঘর রহস্য: পাওয়া গেল স্কুল ড্রেস!

    ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে ৩২ এর আয়নাঘর রহস্য: পাওয়া গেল স্কুল ড্রেস!

    আগেই ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ির নিচে বহুতলের সন্ধান পাওয়ার দাবি করেছেন ছাত্র-জনতা। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, মাটির নিচে একাধিক তলা রহস্যজনকভাবে পানিতে পরিপূর্ণ!

    ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ির আন্ডারগ্রাউন্ডে ‘আয়নাঘর’ রয়েছে— এমন চাঞ্চল্যকর খবর শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। দাবি করা হচ্ছে, সেখানে মানুষের মাথার চুলও পাওয়া গেছে। এ নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা চলছে। অনেকে সামাজিক মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়ে এ বিষয়ে মতামত দিচ্ছেন, কেউ কেউ বিষয়টির সত্যতা যাচাই করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দ্রুত তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছেন।

    আজ ৮ ফেব্রুয়ারি, বেসরকারি একটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের ক্যামেরায় উঠে এসেছে আয়না ঘর সন্দেহ করা ৩২ এর ভবনটির নিচের কক্ষগুলোয় স্কুল কলেজের ছাত্রদের প্যান্ট,ব্যাগ,জুতা।যেটিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন জুলাই আন্দোলন চলাকালীন নিহত স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের এখানে এনে লাশ গুম করা হয়েছে।প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি যত দ্রুত সম্ভব ঘটনার সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তির আওয়াত নিয়ে আসতে হবে।

  • ১২ বছরের ব্যবধানে একই স্থানে একই ভাবে বাবা-ছেলের মৃত্যু

    ১২ বছরের ব্যবধানে একই স্থানে একই ভাবে বাবা-ছেলের মৃত্যু

    প্রায় ১২ বছর আগে ২০১৩ সালে নিজ ঘেরে বৈদ্যুতিক পাম্প চালু করতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা যান বাবা মৃত উজ্জ্বল সরকার। ঠিক একই স্থানে একইভাবে এক যুগ পর বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা গেল ছেলে সুজল সরকার (২৫)। তিনিও বৈদ্যুতিক পাম্প চালু করতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা যান।

    ঘটনাটি ঘটেছে রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার হরিশপুর গ্রামে।

    নিহত সুজল সরকারের বন্ধু অনিক রায় বলেন, রোববার দুপুর ১২টার দিকে সুজলের বাড়ির পাশে থাকা বৈদ্যুতিক পাম্পটি চালু করবে বলে তাকে আসতে বলে ৷ তার আসতে দেরি হওয়ায় সুজল নিজেই বৈদ্যুতিক সংযোগ দেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় সাড়ে ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে বন্ধু অনিক দেখতে পান একটি বৈদ্যুতিক তারের সঙ্গে জড়িয়ে সুজল পড়ে আছে। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে জানালে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এরপর সুজলকে উদ্ধার করে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ভবদহের জলাবদ্ধতার কারণে মাছের একটি ঘের জলাবদ্ধ ছিল। সুজল সেখানে অন্যের সেচ পাম্পের মাধ্যমে পানি সেচে বোরো ধান আবাদ করেছিল। সম্প্রতি বাবার নামে থাকা বৈদ্যুতিক পাম্পের বৈদ্যুতিক সংযোগটি পল্লীবিদ্যুতে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পুনরায় ফিরে পান সুজল সরকার।

    অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রকিবুল ইসলাম বলেন, সুজল সরকারকে মৃত অবস্থাতেই দুপুর ১টা ১০ মিনিটে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়।

    অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমাদুল করিম জানিয়েছেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • এবার আলোচনায় শেখ হাসিনার ড্রাইভারের ছেলে

    এবার আলোচনায় শেখ হাসিনার ড্রাইভারের ছেলে

    এবার আলোচনায় শেখ হাসিনার ড্রাইভারের ছেলে
    বিশিষ্ট প্রবাসী সাংবাদিক জুলকার নাইন সায়ের আজ বাংলাদেশ সময় দুপুর ১ টা ৫০ এ তাঁর ব্যাক্তিগত ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করেন।

    যেখানে সায়ের উল্লেখ করেন,সম্প্রতি প্রকাশিত বিশেষ একটি সংস্থার গোয়েন্দা প্রতিবেদনে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা এবং শেখ হাসিনার গাড়ি চালকের ছেলে রুবেলের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

    গণভবন কোয়ার্টারের কথা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন,বলা হয়েছে রুবেলকে; গণভবন কোয়ার্টার, আদাবের, প্রশাসনের কর্মকর্তা ও সেনাকর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

  • বিশেষ দায়িত্বে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ১০ নেতা!

    বিশেষ দায়িত্বে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ১০ নেতা!

    বিশেষ দায়িত্বে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ১০ নেতা!
    সম্প্রতি দেশকে অস্থিতিশীল করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে আটক হয়েছেন অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন। একই অভিযোগে আটক হয়েছেন আরেক অভিনেত্রী সোহানা সাবা। কিন্তু আসলে কোন ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত তারা।

    বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন। অভিযোগ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত তিনি। ঠিক একদিন পরেই একই অভিযোগে আটক হয়েছেন আরেক অভিনেত্রী সোহানা সাবা। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ডিবি কার্যালয়ে তাঁদের দুজনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

    বিদেশের মাটিতে দেশকে অস্থিতিশীল করার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। সম্প্রতি এমন সংক্রান্ত একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদন সামনে আসার পর রীতিমতো তোলপাড় সামাজিক মাধ্যমে।

    জানা গেছে চক্রান্তের অংশ হিসেবে গত ১৫ জানুয়ারি কলকাতায় এ নিয়ে বৈঠক হয়। বৈঠকে রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে অস্থির করে তুলতে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয় আওয়ামী লীগের ১০ নেতা কর্মীকে।

    সূত্র জানায়, গত জানুয়ারি কলকাতায় অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে কেউ উপস্থিত ছিলেন সশরীরে। আবার কেউ কেউ যুক্ত ছিলেন ভার্চুয়ালি। তারা হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, অসীম কুমার উকিল, অধ্যাপিকা অপু উকিল, ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট, সাবেক এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা গোলাম রাব্বানী, আল নাহিয়ান খান জয়, লেখক ভট্টাচার্য, ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন , সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনানসহ আওয়ামী লিগের বেশ কিছু নেতা কর্মীরা।

    ওই গোপন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, আলোচিত আলো আসবে গ্রুপের অ্যাডমিন ও চিত্রনায়িকা সোহানা সাবা এবং অভিনেত্রী ও গায়িকা মেহের আফরোজ শাওন ।জানা গেছে, ওই বৈঠকে আলোচনার মূল বিষয় ছিল বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাকে কীভাবে অস্থিতিশীল করা যায়, সেই মিটিংয়ে উপস্থিত থাকার অভিযোগেই মূলত পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয় ওই দুই অভিনেত্রীকে। মূলত এই দুই অভিনেত্রী আওয়ামী সুবিধাভোগী।

    গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন হলে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে সামাজিক মাধ্যমে সোচ্চার হন তাঁরা। এর আগে জুলাই আন্দোলনের সময় আলো আসবে নামে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেও সক্রিয় ছিলেন অভিনেত্রী সোহানা সাবা। সেই গ্রুপে আন্দোলনরত ছাত্রদের দমন করতে আঁকা হয়েছিল নীল নকশা ।