Blog

  • এবার তুরস্কসহ ৪ দেশ নিয়ে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠনের প্রস্তাব

    এবার তুরস্কসহ ৪ দেশ নিয়ে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠনের প্রস্তাব

    মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা জোরদারে যৌথ ‘ইসলামিক সেনাবাহিনী’ গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে ইরান। দেশটির প্রভাবশালী নেতা মহসেন রেজাই জানিয়েছেন, সৌদি আরব, পাকিস্তান এবং তুরস্ককে সঙ্গে নিয়ে এই বাহিনী গঠনের উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে।

    তার মতে, একটি শক্তিশালী ইসলামিক সামরিক জোট গড়ে তোলা গেলে তা মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাতের জবাবে কার্যকর প্রতিরোধ গড়তে পারবে। ইরান বলছে, মুসলিম দেশগুলোর একতাবদ্ধ হয়ে আত্মরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

    বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এমন সেনাবাহিনী গঠিত হলে তা অঞ্চলটির ক্ষমতার ভারসাম্যে বড় পরিবর্তন আনতে পারে। তবে একইসঙ্গে এতে নতুন করে সংঘাত ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও তৈরি হচ্ছে।

    এদিকে, ইরান সোমবার আবারও ইসরায়েলের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এতে রাজধানী তেল আবিব ও হাইফা শহরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। নিহত হয়েছেন অন্তত পাঁচজন এবং আহত হয়েছেন আরও অনেকে। হামলায় আবাসিক এলাকায় আগুন ধরে যায় এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থাও আঘাতপ্রাপ্ত হয়।

    এই হামলায় মার্কিন দূতাবাসও আংশিক ক্ষতির শিকার হয়েছে। দূতাবাস সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং সেখানকার মার্কিন নাগরিকদের ঘরে অবস্থান করতে বলা হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, প্রায় সাত লাখ মার্কিনি এই পরিস্থিতিতে ঘরবন্দি অবস্থায় রয়েছেন।

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ বা ঘাঁটিতে হামলা হলে তার জবাব দেওয়া হবে ‘সম্পূর্ণ শক্তি’ দিয়ে।

  • নারী কর্মীকে কুপ্রস্তাব এনসিপি নেতার, অডিও ফাঁস

    নারী কর্মীকে কুপ্রস্তাব এনসিপি নেতার, অডিও ফাঁস

    জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষারের বিরুদ্ধে দলের এক নেত্রীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই নেত্রীর সঙ্গে তুষারের কথোপকথনের একটি অডিও ফাঁস করে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ তোলেন সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝর।

    জাওয়াদ নির্ঝর দাবি করেন অডিওটি ৪৭ মিনিটের। তবে তিনি ৩ মিনিট ৫০ সেকেন্ডের একটি অডিও নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে প্রকাশ করেছেন।

    যা ওই কথোপকথনের চুম্বক অংশ।

    সোমবার (১৬ জুন) সকালে সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝর তার ফেসবুকে অডিও ফাঁস করে লিখেছেন, ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার তার দলের নারী কর্মীকে **(কুপ্রস্তাব) দিচ্ছে! গভীর রাতে মেয়েদের ছবি চায়! ওই নারীর সঙ্গে তার ৪৭ মিনিটের কথোপকথনের চুম্বক অংশ দেওয়া হলো। গোটা অডিও নিচের লিংকে আছে!’

    আরেক পোস্টে তুষারকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান নির্ঝর সারোয়ার। তিনি বলেন, ‘জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষারকে দল থেকে বহিষ্কার করা হোক।

    জাতীয় নাগরিক পার্টির নারীর আদৌ নিরাপদ কি না, সে বিষয়েও ব্যাখ্যা দেওয়া হোক। আগে থেকে পরিচিত যৌন নিপীড়ক সারোয়ার তুষারকে কেনো ছাত্রদের দলের বড় নেতা বানানো হয়েছে?

    জাওয়াদ নির্ঝরের পোস্ট করা ওই অডিওতে শোনা যায়, সারোয়ার তুষারের কণ্ঠসদৃশ একজন এক নারীর সঙ্গে কথা বলছেন। এতে ওই নারীকে অভিযোগ করতে শোনা যায়, তাকে কুপ্রস্তাব দেওয়া হয়। একই সঙ্গে তার ছবিও চাওয়া হয়।

    তাতে ওই নারী অবাক হন। তবে ছবি চাওয়ার পেছনে অন্য কোনো ইনটেনশন নেই বলে দাবি করেন তুষার কণ্ঠসদৃশ ব্যক্তির। একপর্যায়ে এমন প্রস্তাবের জন্য ওই নারীর কাছে দুঃখপ্রকাশ করেন ওই ব্যক্তি।

    তাদের কথোপকথন থেকে বোঝা যায়, এটি গত রমজানের কোনো একসময়ের অডিও। যেখানে ইফতারের পর ওই নারীকে দেখা করার অনুরোধ জানানো হয়। তবে কল রেকর্ডের ওই দুই জনের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।

  • ‘সব মুসলিম দেশের সঙ্গে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক চাই, কারণ তারা আমাদের ভাই’

    ‘সব মুসলিম দেশের সঙ্গে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক চাই, কারণ তারা আমাদের ভাই’

    ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, আজ ইরানি জনগণের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য ও সংহতি। তিনি বলেন, আমাদের এখন এক হয়ে দাঁড়াতে হবে গণহত্যাকারী ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে।

    আজ সোমবার (১৬ জুন) পার্লামেন্ট অধিবেশনে দেওয়া এক ভাষণে তিনি ইসরায়েলি হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা, বিজ্ঞানী এবং অসংখ্য সাধারণ নাগরিকের শহীদ হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান।

    পেজেশকিয়ান বলেন, শত্রুদের সহিংসতা, হত্যা বা সন্ত্রাসের মাধ্যমে আমাদের জাতিকে ধ্বংস করা সম্ভব নয়। যারা শহীদ হন, তাদের স্থানে শত শত মানুষ উঠে আসে পতাকা বহনের জন্য—অত্যাচার, অন্যায় ও বিশ্বাসঘাতকতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে।

    তিনি বলেন, ইরানি জনগণ বারবার প্রমাণ করেছে যে, তারা কোনো বর্বরতা বা আগ্রাসনের মুখে মাথা নত করে না।

    তিনি আরও বলেন, ইরান এই যুদ্ধের শুরুকারী নয়। আজ আমাদের দরকার ঐক্য ও সম্মিলিত প্রতিরোধ। সব মতভেদ ভুলে পুরো জাতিকে একত্রিত হয়ে এই আগ্রাসনের মোকাবিলা করতে হবে। আমাদের মধ্যে যেসব ভিন্নতা ও সমস্যা আছে, সেগুলো এখন পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সময়। এখন দরকার সাহসিকতা ও সংহতি।

    তিনি বলেন, পারমাণবিক শক্তি ও গবেষণায় অংশ নেওয়া ইরানের অধিকার, যা কেউ কেড়ে নিতে পারে না। আমরা আমাদের এই ন্যায্য অধিকার অর্জনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং কোনো শক্তিকেই ভয় করি না।

    ইরানি প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, আমরা সব মুসলিম দেশের সঙ্গে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক চাই, কারণ তারা আমাদের ভাই। আজ অধিকাংশ মুসলিম দেশ আমাদের পাশে আছে।

    পেজেশকিয়ান অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক নীতিমালাকে উপেক্ষা করে ইসরায়েলকে হামলার সুযোগ দিয়েছে এবং ইরানের বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালাতে উৎসাহ দিচ্ছে। আমরা যুদ্ধ চাই না, কখনো যুদ্ধ শুরুও করিনি। কিন্তু ইসরায়েল আমাদের বিজ্ঞানীদের, সামরিক নেতাদের ও সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে।

    তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘একজন পরমাণু বিজ্ঞানী কী অপরাধ করেছিল যে, সপরিবারে তাকে হত্যা করা হলো? বিশ্বের আরেক প্রান্ত থেকে এসে একজন বিজ্ঞানীকে হত্যা করার অধিকার কে দিয়েছে?’

    উল্লেখ্য, শুক্রবার ভোরে ইসরায়েলি হামলায় শহীদ হয়েছেন ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাকেরি, আইআরজিসি প্রধান হোসেইন সালামি, মহাকাশ বিভাগের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরআলি হাজিজাদেহ, জ্যেষ্ঠ কমান্ডার জেনারেল গোলাম আলি রাশিদ এবং আইআরজিসি গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ কাজেমি। এ ছাড়া শহীদ হয়েছেন পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ফেরেইদুন আব্বাসি, ড. মোহাম্মদ মেহদি তেহরাঞ্চি এবং ড. আবদুলহামিদ মিনুচেহর।

    ইরানের বিপ্লবী গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) ইতোমধ্যে ইসরায়েলের অধিকৃত অঞ্চলে আট দফায় পাল্টা হামলা চালিয়েছে, যার সর্বশেষ ধাপকে সংস্থাটি ‘এখন পর্যন্ত সবচেয়ে শক্তিশালী ও বিধ্বংসী’ আখ্যা দিয়েছে।

    ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস থ্রি’ নামে চালানো এই পাল্টা আঘাতে ইরান জানিয়ে দিয়েছে, তারা নির্যাতনের জবাব দিতেই জানে। প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান বলেন, আমরা শহীদ হয়েছি, কিন্তু নত হইনি। আমরা প্রতিরোধে আছি, থাকব।

    সূত্র: প্রেস টিভি

  • বিএনপির এমপি মনোনয়ন পেতে লাগবে যে তিনটা যোগ্যতা

    বিএনপির এমপি মনোনয়ন পেতে লাগবে যে তিনটা যোগ্যতা

    বিএনপি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য জোরালো প্রস্তুতি নিচ্ছে। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন হতে পারে- এ লক্ষ্যকে সামনে রেখেই আগাচ্ছে দলটি। প্রার্থী বাছাইয়ে দলটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে এবং এর জন্য ইতোমধ্যে একাধিক জরিপ সম্পন্ন করেছে।

    দলীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে তিনটি যোগ্যতাকে অন্যতম মানদণ্ড হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। সেগুলো হলো- ত্যাগ ও সংগ্রাম: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে দেশ ও দলের জন্য সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকারকারী প্রার্থী। সততা ও সুনাম: সততার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং স্থানীয় জনগণের কাছে ভালো মানুষ হিসেবে সুপরিচিত ব্যক্তি। জনপ্রিয়তা: নির্বাচনী এলাকায় ভোটের রাজনীতিতে জনপ্রিয় প্রার্থী।

    বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, তরুণ প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হতে পারে, তবে নবীন ও প্রবীণের সমন্বয়ে একটি চমৎকার প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হবে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পরিবারের একাধিক সদস্যও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। এ ছাড়া, মিত্র দলগুলোর জন্য কিছু আসন ছাড় দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। বিশেষ করে যারা বিগত ১৫ বছরের শাসনকালে বিএনপির সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল।

    আরও পড়ুনঃ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাদ্দাম-ইনান যেভাবে দেশত্যাগ করেন
    লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকে নির্বাচনের সন্তোষজনক সময় নির্ধারণের পর ভোটের প্রস্তুতি শুরু করেছে বিএনপি। প্রার্থী বাছাই দলটির জন্য এখন বড় চ্যালেঞ্জ। বিএনপির হয়ে নির্বাচন করতে আগ্রহী অসংখ্য প্রার্থী ইতোমধ্যে গণসংযোগে নেমেছেন। যদিও দলটির হাইকমান্ড উপযুক্ত প্রার্থী বাছাইয়ে ইতোমধ্যে কয়েক দফা জরিপ চালিয়েছে। এখনো জরিপ চলছে।

    অবশ্য নির্বাচন কমিশনের তফশিল ঘোষণার পর দলীয়ভাবে মনোনয়নপত্র বিক্রি ও জমা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হবে। সম্ভাব্য প্রার্থীদের সাক্ষাৎকারের পর একক প্রার্থী চূড়ান্ত করবে বিএনপির পার্লামেন্টারি বোর্ড।

    আওয়ামী আমলে তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়। ২০১৪ ও ২০২৪ এর নির্বাচন বিএনপিসহ বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল বর্জন করে। তবে ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নেয় বিএনপি। তবে রাতে ভোটের অভিযোগ এনে নির্বাচন থেকে সরে আসে দলটি।

    আরও পড়ুনঃ প্রেস অফিসারদের জন্য আইফোন বরাদ্দ বাড়াবাড়ি মনে হয়নি: মারুফ কামাল
    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ ও মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ এটি নিশ্চিত করেছেন, জোর দিয়ে বলেছেন যে ত্যাগী, সৎ, এবং জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। অপকর্মে জড়িত বা জনপ্রিয়তাহীন ব্যক্তিরা মনোনয়ন পাবেন না। ওই নির্বাচনে একটি আসনের বিপরীতে একাধিক প্রার্থীকে চিঠি দিয়েছিল বিএনপি।

    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, দলের সিদ্ধান্ত হলো একক প্রার্থী নির্ধারণ করা। ২০১৮ সালের মতো একাধিক প্রার্থী হবে না।

    বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, দলের প্রতি কার কতটুকু ত্যাগ রয়েছে, নিঃস্বার্থভাবে দলকে সেবা করেছেন এবং দুর্দিনে যারা দলের সঙ্গে ছিলেন তাদের আমরা নিশ্চয়ই সেগুলোকে অগ্রাধিকার দেব। তারেক রহমান কয়েকটি জরিপ করেছেন, আরও করবেন। নিশ্চয়ই যোগ্য ব্যক্তি উঠে আসবে এবং তাকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে।

    আরও পড়ুনঃ বন্দরে ৩ নম্বর সংকেত, ১০ ফুট জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা
    বিএনপির স্থায়ী কমিটির একাধিক নেতা বলেন, এবার প্রার্থী মনোনয়নে অনেক চমক থাকতে পারে। কিছু আসনে এমন ব্যক্তিদের প্রার্থী দেওয়া হবে, যার কথা অনেকের চিন্তার মধ্যেও থাকবে না। আবার অনেক সিনিয়র ও প্রভাবশালী নেতাও শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন টিকিট পাবেন না। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ত্যাগী, সৎ-যোগ্য ও সর্বোপরি জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য প্রার্থীকেই বেছে নিতে পারেন। যার বিরুদ্ধে অপকর্মের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে এবং মাঠে গ্রহণযোগ্যতা নেই, তিনি প্রার্থী হতে পারবেন না।

    বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, বিএনপি সবসময় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক, ত্যাগ ও আনুগত্যের ভিত্তিতে প্রার্থী মূল্যায়ন করা হবে।

  • জমি থেকে লুট হওয়া ৬০ মণ ভুট্টা উদ্ধার করল সেনাবাহিনী

    জমি থেকে লুট হওয়া ৬০ মণ ভুট্টা উদ্ধার করল সেনাবাহিনী

    জমি থেকে লুট হওয়া ৬০ মণ ভুট্টা উদ্ধার করল সেনাবাহিনী
    নাটোরের নলডাঙ্গায় জমি থেকে ভুট্টা লুটের ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে উপজেলার মহিষমারি এলাকার একটি গোডাউন থেকে লুটকৃত প্রায় ৬০ মণ ভুট্টা উদ্ধার করা হয়।

    এ সময় মনির সরদার ও সেন্টু মন্ডল নামে দুইজনকে আটক করা হয়। আটককৃতরা পশ্চিম মাধনগর এলাকার বাসিন্দা।

    বিষয়টি নিশ্চিত করে নলডাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, পূর্ব মাধনগরের বাসিন্দা আসমা বেগমের চাষ করা ভুট্টা লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। বিষয়টি সেনাবাহিনী অবগত হয়ে অভিযান চালিয়ে মনির সরদার ও তার শ্যালক সেন্টুকে আটক করে থানার হস্তান্তর করে। সেই সঙ্গে ভুট্টাগুলো উদ্ধার করে আসমা বেগমকে বুঝিয়ে দেওয়া। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

  • ফরিদপুরে এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী আ.লীগ নেত্রীর মেয়ে

    ফরিদপুরে এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী আ.লীগ নেত্রীর মেয়ে

    ফরিদপুরে সদ্যঘোষিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমন্বয় কমিটি নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব মো. সোহেল রানা।

    সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের আইডিতে এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

    ২৩ সদস্যের এ কমিটিতে ‘তৎকালীন আওয়ামী লীগের দোসর’ ও ‘ফ্যাসিবাদের কোলে বসে থাকা মুখোশধারীদের’ স্থান দেওয়ায় তিনি হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

    সোহেল রানা বলেন, জুলাই-গণঅভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা এনসিপি ছিল শহীদদের রক্ত ও বীরদের ত্যাগে নির্মিত। কিন্তু আজ সেই দলে জায়গা পাচ্ছে তারা, যারা সেই সময় বিরোধিতা করেছিল।

    জানা যায়, ফরিদপুর জেলা শাখার ঘোষিত সমন্বয় কমিটিতে প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে আছেন ফরিদপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহমুদা বেগমের মেয়ে ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ফরিদপুরের ছাত্রজনতার বুকে গুলি চালানোর অভিযোগে অভিযুক্ত ফরিদপুর জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি ও বিতর্কিত ঠিকাদার গোলাম মোহাম্মদ নাসিরের ভাগ্নি সৈয়দা নীলিমা দোলা। যুগ্ম সমন্বয়কারী হিসেবে রয়েছেন এসএম জাহিদ, সাইফ হাসান খান, জিল্লুর রহমান, মো. বায়েজিদ হোসেন ও মো. কামাল হোসাইন। এ ছাড়াও ১৭ জন সদস্য রয়েছেন যারা জেলার বিভিন্ন পেশা ও পটভূমি থেকে এসেছেন।

    আরও পড়ুনঃ ১০ মাসে ৩ দল বদল করে এখন এনসিপির নেতা
    গত ৫ জুন এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমোদনে এ কমিটি ঘোষণা করেন সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। কমিটির মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে তিন মাস বা আহ্বায়ক কমিটি গঠনের পূর্ব পর্যন্ত। এ ছাড়া গত ৩ জুন এনসিপির শ্রমিক উইংসের ৩৬ সদস্যের আরেকটি জেলা কো-অর্ডিনেশন কমিটি গঠিত হয়। যার প্রধান সমন্বয়কারী এসএম জুনায়েদ।

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ফরিদপুরের সদস্যসচিব সোহেল রানা ফেসবুকে তার নিজস্ব আইডিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে মন্তব্য করেন।

    আরও পড়ুনঃ ভুল বুঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে জাতীয় ঐক্যের ডাক বিএনপির : মির্জা ফখরুল
    ওই মন্তব্যে সোহেল রানা লেখেন, উল্টে যাচ্ছে গণেশ। জুলাই- গণঅভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা দল এনসিপি। শদীদের রক্ত, হায়েনার হাত থেকে বেঁচে যাওয়া বীরদের ত্যাগের ওপরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি রাজনৈতিক দল। দেখতে পাচ্ছি আমরা তৎকালীন সময়ের আওয়ামী লীগের সম্মানিত দালালরা, ফ্যাসিবাদের কোলে বসে থাকা দোসররা মুখ লুকিয়ে গুরুত্বপূর্ণ যায়গা নিচ্ছেন এই দলে। বাদ যাচ্ছে না সহযোগী সংগঠন গুলোর গুরুত্বপূর্ণ পদ।

    তিনি আরও উল্লেখ করেন, এমন গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়ার আগে কখনও খতিয়ে দেখার চেষ্টাও করেন নাই, জুলাইয়ে তাদের ভূমিকা ছিল। কার অবস্থান কি ছিল! জুলাইয়ের পক্ষে নাকি বিপক্ষে? যাদের পদ/পদবি দেবেন, তারা কি চায়! মানুষের জন্য রাজনীতি নাকি, টেন্ডারবাজি, দখলদারী, করে নিজের পকেট ভারী। সময় ভালো চলছে…বসন্তের কোকিল আসবে ঝাঁকে ঝাঁকে, সময় খারাপ হলে, এদের কি আদৌ খুঁজে পাওয়া যাবে? রীতিমতো অবাক করে দিচ্ছেন আমাদের! যেটার ফলাফল হবে- সাপের ডিম সাপেই খাবে!

    আরও পড়ুনঃ “জাতীয় স্বার্থে ড. ইউনূসের প্রয়োজন আছে” — তারেক রহমান
    এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য ও ফরিদপুর জেলা শাখার প্রধান সমন্বয়কারী সৈয়দা নীলিমা দোলা বলেন, রাজনীতিতে কিছু বিতর্ক থাকবেই। আমরা ছবির রাজনীতি করি না। আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে কারও ছবি থাকলে সেটাই সব নয়। তবে কারও বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটিতেও নানান মন মানসিকতার অনেকে রয়েছে। তাই কারও পুরোনো রাজনৈতিক পরিচয় বা সম্পর্কের ভিত্তিতে না দেখে আমরা তার বর্তমান অবস্থান ও ভূমিকা দেখছি।

  • মোসাদের স্পাইক ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চার উদঘাটন করলো ইরান

    মোসাদের স্পাইক ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চার উদঘাটন করলো ইরান

    ইন্টারনেট-ভিত্তিক অটোমেশন এবং রিমোট কন্ট্রোল সিস্টেম দিয়ে সজ্জিত মোসাদের তৈরি কাস্টমাইজড স্পাইক ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চার উদঘাটন করেছে ইরানের গোয়েন্দা বাহিনী। ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যাহত করতে এই লঞ্চারগুলো ব্যবহার করা হয়।

    মেহর নিউজের প্রতিবেদনে, স্পাইক ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের (ফায়ার-এন্ড-ফরগেট অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল এবং অ্যান্টি-পার্সোনেল) বেশ কিছু ছবি প্রকাশ করা হয়েছে।

    প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানে হামলার সময় সন্ত্রাসী মোসাদ এজেন্টরা লঞ্চারগুলো ব্যবহার করে।

  • মেয়েসন্তান হওয়ায় মিষ্টির প্যাকেটে মাটি- ইটের গুঁড়া পাঠালেন স্বামী অতঃপর…

    মেয়েসন্তান হওয়ায় মিষ্টির প্যাকেটে মাটি- ইটের গুঁড়া পাঠালেন স্বামী অতঃপর…

    কুড়িগ্রামের রৌমারীতে মেয়ে সন্তান জন্মের পর শ্বশুরবাড়িতে উপহার হিসেবে মিষ্টির বদলে একটি প্যাকেটে মাটি ও ইটের গুঁড়া পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে জামাই মোকছেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। বুধবার (১১ জুন) উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের কাজাইকাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শনিবার (১৪ জুন) বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

    জানা গেছে, উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের বড় ধনতোলা এলাকার সাহেব আলী ওরফে সব্দুল হকের ছেলে মোকছেদুল ইসলামের সঙ্গে একই ইউনিয়নের কাজাইকাটা এলাকার আফতার আলীর মেয়ে আছমা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছর পর তাদের ঘরে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম হয়।

    আরও পড়ুনঃ বিদেশে পালানোর সময় বিমানবন্দরে গ্রেফতার আওয়ামী লীগ নেতা
    সন্তান জন্মের সংবাদ পেয়ে স্বামী মোকছেদুল ইসলাম বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় শ্বশুরবাড়িতে যান। এ সময় শাশুড়ির হাতে একটি মিষ্টির কার্টন ধরিয়ে দেন। পরে মিষ্টিমুখ করার জন্য শাশুড়ি কার্টন খুলে দেখতে পান সেখানে কোনো মিষ্টি নেই, আছে মাটি ও ইটের গুঁড়া।

    এ বিষয়ে স্ত্রী আছমা আক্তার বলেন, বিয়ের পর থেকে আমার স্বামী আমাকে নির্যাতন করতেন। মাঝেমধ্যে আমার পরিবারের কাছে টাকা চাইতেন। আমরা গরিব মানুষ, তাই টাকা দিতে পারি নাই। এদিকে আমার গর্ভে সন্তান এসেছে, এ খবর জানার পর আরও বেশি নির্যাতন করতেন। আমার স্বামী ছেলে সন্তান চেয়ে বলেছিল, ছেলে হলে সুখ পাবে, আর মেয়ে হলে দুঃখ পাবে না।

    আরও পড়ুনঃ প্রতিশোধ না নেওয়ার মানে আইন হাতে তুলে নেব না: জামায়াত আমির
    আছমা আরও বলেন, পরে আমার মেয়ে সন্তান জন্ম হয়। এ সংবাদ পেয়ে আমার স্বামী আমাদের বাড়িতে মিষ্টির কার্টন নিয়ে হাজির হন। বাড়ির লোকজন ও পাড়া প্রতিবেশীকে মিষ্টি দিতে গেলে কার্টনে মাটি ও ইটের গুঁড়া পাওয়া যায়।

    এ বিষয়ে মোকছেদুল ইসলাম বলেন, আমার কন্যাসন্তান জন্ম হওয়ার কথা শুনে আনন্দে শ্বশুরবাড়িতে এক কেজি মিষ্টি ও মেয়ের পোশাক নিয়ে গিয়েছিলাম। এখন শ্বশুরবাড়ির লোকজন মিষ্টির কার্টনে নাকি মাটি-ইটের গুঁড়া দেখছে। এগুলো সব সাজানো।

    আরও পড়ুনঃ ছেলে-মেয়ের মোবাইল দেখা নিয়ে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করল স্বামী
    তিনি আরও বলেন, আমার স্ত্রীকে কখনো কোনো নির্যাতন করিনি। যারা এসব করাচ্ছে যারা আল্লাহ তাদের বিচার করবে।

    এ বিষয়ে দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) আবু সাঈদ বলেন, এ বিষয়ে আমার কিছুই জানা নেই। তবে খোঁজখবর নিয়ে জানা যাবে আসলে ঘটনাটি কী ঘটেছিল।

  • ৪ কারণে বাংলাদেশিদের জন্য সীমিত হচ্ছে ভিসা

    ৪ কারণে বাংলাদেশিদের জন্য সীমিত হচ্ছে ভিসা

    বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য বিদেশ ভ্রমণ দিন দিন কঠিন হয়ে পড়ছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ ভিসা নীতিমালা কঠোর করে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়াকে জটিল করে তুলেছে। এতে বড় ধরনের প্রভাব পড়ছে দেশের পর্যটন শিল্প, ট্রাভেল এজেন্সি, ট্যুর অপারেটর ও এয়ারলাইনস খাতের ওপর।

    জনপ্রিয় গন্তব্য হিসেবে পরিচিত থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম ও সংযুক্ত আরব আমিরাত— এসব দেশে এখন ট্যুরিস্ট ভিসা পাওয়া আগের চেয়ে অনেক কঠিন হয়ে গেছে। কোথাও ভিসা পেতে সময় লাগছে এক থেকে দুই মাস, আবার অনেক আবেদন সরাসরি প্রত্যাখ্যাত হচ্ছে।

    ভিয়েতনাম সরকার তাদের ই-ভিসা ও অন-অ্যারাইভাল সুবিধা বন্ধ করেছে। দেশটিতে পর্যটক হিসেবে গিয়ে অনেক বাংলাদেশি নির্ধারিত সময়ের বেশি অবস্থান করায় এবং অনেকে অবৈধ অভিবাসনের চেষ্টা করায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুধু গত দুই বছরেই সেখানে ৩০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি ভিসার শর্ত লঙ্ঘন করেছেন বলে জানা গেছে।

    কম্বোডিয়া, লাওস ও ফিলিপাইনের মতো দেশগুলোতেও ভিসা প্রক্রিয়ায় জটিলতা বেড়েছে। আগে যেখানে ১০ দিনের মধ্যে ফিলিপাইনের ভিসা মিলতো, এখন তা পেতে সময় লাগছে দেড় মাস পর্যন্ত।

    ২০২৩ সাল থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশিদের জন্য ট্যুরিস্ট ভিসা বন্ধ রেখেছে। সীমিত কিছু ভিসা ইস্যু হলেও তা সাধারণ নাগরিকদের নাগালের বাইরে। একই বছর ভারতও বাংলাদেশিদের ট্যুরিস্ট ভিসা বন্ধ করে দেয়, ফলে উপমহাদেশীয় ভ্রমণেও বাধা তৈরি হয়েছে।

    এদিকে ইউরোপের শেনজেনভুক্ত দেশগুলো বাংলাদেশিদের ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পরিমাণ প্রত্যাখ্যান করছে। ২০২৪ সালে জমা পড়া ৩৯ হাজার ৩৪৫টি আবেদনের মধ্যে ৫৪.৯ শতাংশ অর্থাৎ ২০ হাজার ৯৫৭টি আবেদন বাতিল হয়েছে।

    বিশ্বব্যাপী পাসপোর্ট র‍্যাংকিংয়েও বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়েছে। হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স সূচকে বাংলাদেশ এখন ৯৫তম এবং নোমাড ক্যাপিটালিস্ট সূচকে রয়েছে ১৮১তম স্থানে।

    ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) পরিচালক মো. তাসলিম আমিন শোভন জানান, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো বাংলাদেশিদের অতিরিক্ত অবস্থান ও ভিসা অপব্যবহারের কারণে সীমিত নীতি গ্রহণ করছে। ভিসা কালোবাজারির অভিযোগও রয়েছে।

    এয়ারলাইনস খাত থেকেও হতাশা প্রকাশ করা হয়েছে। টাস গ্রুপের পরিচালক কাজী শাহ মুজাক্কের আহাম্মেদুল হক বলেন, বর্তমানে ফ্লাইট যাত্রীদের বড় অংশই প্রবাসী শ্রমিক, পর্যটকদের সংখ্যা কমে যাওয়ায় কিছু রুটে ফ্লাইট সংখ্যা হ্রাস করা হয়েছে।

    পর্যটন বিশ্লেষক কাজী ওয়াহেদুল আলম বলেন, ওভারস্টে ও অবৈধ অভিবাসনের প্রবণতার কারণেই আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের পাসপোর্টের গ্রহণযোগ্যতা কমে গেছে। বৈধ ও শিক্ষিত উপায়ে বিদেশ ভ্রমণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।

  • ইরানে নজিরবিহীন হামলা: ইসরায়েলের লক্ষ্য কি শুধু পরমাণু কর্মসূচি, নাকি সরকার পতন?

    ইরানে নজিরবিহীন হামলা: ইসরায়েলের লক্ষ্য কি শুধু পরমাণু কর্মসূচি, নাকি সরকার পতন?

    ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে বিপর্যয় সৃষ্টি এবং দেশটির পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে বিলম্ব ঘটানোর উদ্দেশ্যে নজিরবিহীন হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। গত শুক্রবার ভোরে চালানো ওই হামলায় পরমাণু স্থাপনা, ক্ষেপণাস্ত্র কারখানা, শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা এবং পরমাণুবিজ্ঞানীদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়। তবে কেবল পরমাণু কর্মসূচি নয়—হামলার ধরন, লক্ষ্যবস্তু এবং ইসরায়েলি নেতাদের বক্তব্যে ইঙ্গিত মিলছে আরও বড় উদ্দেশ্যের। বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন, ইসরায়েলের এই আক্রমণের মূল লক্ষ্য হতে পারে ইরানের বর্তমান শাসনব্যবস্থার পতন।

    হামলার পর ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউট ফর নিয়ার ইস্ট পলিসির জ্যেষ্ঠ গবেষক ও সাবেক মার্কিন কর্মকর্তা মাইকেল সিং বলেন, “আংশিকভাবে শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের আশায় ইসরায়েল হামলা চালাচ্ছে—এমনটি ধরে নেওয়া যেতে পারে।” তার মতে, সাধারণ মানুষের ওপর সরাসরি আঘাত না করে রাজনৈতিক বার্তা দেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল স্পষ্ট।

    শুক্রবারের হামলার কয়েক ঘণ্টা পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইরানের জনগণের উদ্দেশে ভিডিও বার্তায় বলেন, “ইসলামি শাসনব্যবস্থার নামে আপনাদের প্রায় ৫০ বছর ধরে দমন করা হচ্ছে। এখন সেই শাসনই আমাদের ধ্বংসের হুমকি দিচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের হামলার লক্ষ্য শুধু সামরিক নয়, আপনাদের স্বাধীনতার পথও আমরা খুলে দিচ্ছি।”

    নেতানিয়াহু দাবি করেন, “এই শাসকগোষ্ঠী কীভাবে আঘাত করা হয়েছে, তা বুঝতেই পারেনি। এখন তারা সবচেয়ে দুর্বল অবস্থায় রয়েছে। এটাই আপনাদের সুযোগ—উঠে দাঁড়ান, কথা বলুন, নিজেরা নিজেদের ভাগ্য গড়ুন।”

    তবে এত বড় হামলার পরও ইরানে সরকারবিরোধী জনমত গড়ে উঠবে কিনা, তা নিয়ে বিশ্লেষকরা দ্বিধায় রয়েছেন। কারণ, দীর্ঘদিন ধরে দেশটির জনগণের একটি বড় অংশের মধ্যে ইসরায়েলবিরোধী মনোভাব গড়ে উঠেছে। একই সঙ্গে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী এখনো শাসকদের প্রতি অনুগত।

    মাইকেল সিং বলেন, “ইরানে জনবিক্ষোভ গড়ে তোলার জন্য কী ধরনের পরিস্থিতি দরকার, তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারে না।”

    বিশ্লেষকদের মতে, ইসরায়েলের এই হামলা একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার প্রথম ধাপ হতে পারে। ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে ধারাবাহিক হামলা চালিয়ে দেশটিকে পরমাণু বোমা তৈরির পথ থেকে বিরত রাখার লক্ষ্য রয়েছে।

    ইসরায়েলের প্রথম দফার হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ধ্বংস হয়েছে ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার বড় একটি অংশ ও একটি গুরুত্বপূর্ণ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র। ইসরায়েলি দূতাবাস জানিয়েছে, “ইসরায়েল একটি গণতান্ত্রিক দেশ এবং আমরা বিশ্বাস করি, প্রতিটি দেশের জনগণ নিজেদের সরকার নির্বাচনের অধিকার রাখে।”

    এদিকে, ইরান দাবি করে আসছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে। তবে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (IAEA) জানিয়েছে, ইরান সম্প্রতি বৈশ্বিক পারমাণবিক নিয়ন্ত্রণ চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করেছে।

    হামলার পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইরানও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে এবং দেশজুড়ে উদ্ধারকাজ অব্যাহত রয়েছে। ইসরায়েলের উপকূলীয় শহর ব্যাট ইয়ামে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র পাওয়া গেছে।

    মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ইরান সরকার পরিবর্তনের পক্ষে অবস্থান নেওয়া হয়নি। তবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার ইসরায়েলের হামলাকে সমর্থন করেছে এবং পাল্টা হামলা ঠেকাতে দেশটিকে সহায়তা দিচ্ছে।

    রয়টার্সের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে হোয়াইট হাউস ও জাতিসংঘে ইরানের মিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।

    বিশেষজ্ঞদের মতে, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে এবং আঞ্চলিক রাজনীতিতে নতুন করে অস্থিরতা তৈরি হতে পারে। ইসরায়েল-ইরান সংঘর্ষ এখন আর শুধু প্রতিরক্ষা বা পরমাণু নিরাপত্তার প্রশ্ন নয়, বরং দুই দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক চেহারা নিয়েও দ্বন্দ্বের দিকেই এগোচ্ছে।