Blog

  • অপারেশন ডেভিল হান্ট- সারা দেশে গ্রে’প্তার ১৩০৮

    অপারেশন ডেভিল হান্ট- সারা দেশে গ্রে’প্তার ১৩০৮

    দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে শুরু হওয়া ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’-এ রাজধানীসহ সারা দেশে এখন পর্যন্ত এক হাজার ৩০৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার রাত থেকে রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পর্যন্ত চলা অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে দেশের আটটি মেট্রোপলিটন এলাকায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২৭৪ জনকে। আর দেশের রেঞ্জ এলাকায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে একহাজার ৩৪ জনকে।

    রবিবার রাতে পুলিশ সদরদপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) ইনামুল হক সাগর ঢাকা টাইমসকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

    তিনি বলেন, ‘অপারেশন ডেভিল হান্টে গতকাল রাত থেকে আজ পর্যন্ত ১ হাজার ৩০৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

    এর আগে শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠকের পর জানানো হয়, দেশজুড়ে শুরু হচ্ছে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’। দেশবিরোধী চক্র, সন্ত্রাসী ও দুষ্কৃতকারীদের আইনের আওতায় আনতে গতরাত থেকেই শুরু হয় এই অভিযান। ডেভিল অর্থ হচ্ছে ‘শয়তান’ আর হান্ট অর্থ ‘শিকার’। ডেভিল হান্ট, যার ইংরেজি শাব্দিক অর্থ গিয়ে দাঁড়ায় ‘শয়তান শিকার’।

    ৭ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। যাতে নাম আসে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের নেতা-কর্মীদের। হামলার ফলে বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন।

  • ১৫ আগস্ট বিয়ে করার জন্য আমার চাকরি চলে গেছে

    ১৫ আগস্ট বিয়ে করার জন্য আমার চাকরি চলে গেছে

    সম্প্রতি চাকরিচ্যুত বিজিবি সদস্যরা রাজধানীতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। তারা অভিযোগ করেছেন, তৎকালীন সরকার সামান্য অজুহাতে তাদের চাকরি থেকে বহিষ্কার করেছে।

    চাকরিচ্যুত এক সদস্য বলেন, “আমাকে বলা হয়েছিল, আপনি ১৫ আগস্ট বিয়ে করেছেন—এটাই আপনার চাকরি যাওয়ার অন্যতম কারণ।”

    বিক্ষোভে অংশ নেওয়া সদস্যদের ভাষ্য অনুযায়ী, তৎকালীন সরকার বিজিবিকে পঙ্গু করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল। তারা দাবি করেন, অনেক সদস্যকে দাড়ি রাখার কারণে ‘জঙ্গি’ আখ্যা দিয়ে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এছাড়া, যারা দেশপ্রেমিক ও ভারতবিরোধী মনোভাব পোষণ করতেন, তাদেরও তুচ্ছ অজুহাতে চাকরি হারাতে হয়েছে।

    এক চাকরিচ্যুত সদস্য অভিযোগ করে বলেন, “আমাদের অনেককে জোরপূর্বক দাড়ি কাটিয়ে হেনস্থা করা হয়েছে।”

    তারা আরও দাবি করেন, ২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহ ছিল পূর্বপরিকল্পিত, এবং তৎকালীন সরকার দেশপ্রেমিক সৈন্যদের দুর্বল করতে এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল।

    এক চাকরিচ্যুত সৈনিক বলেন, “আমি শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের এবং তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ছাড়া সব জায়গায় চাকরিতে পুনর্বহালের সুপারিশের জন্য গিয়েছিলাম। কিন্তু সবাই এক বাক্যে বলেছে, ১৫ আগস্ট বিয়ে করা আমার অপরাধ ছিল।”

    সমাবেশ শেষে চাকরিচ্যুত বিজিবি সদস্যরা ২০১২ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বহিষ্কৃত দেশপ্রেমিক সৈনিকদের পুনর্বহালের দাবি জানান।

  • আ. লীগের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের প্রস্তুতিকালে বিএনপি নেতাকে পেটাল দলীয় নেতাকর্মীরা

    আ. লীগের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের প্রস্তুতিকালে বিএনপি নেতাকে পেটাল দলীয় নেতাকর্মীরা

    বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আপেল মাহমুদ ও তার সমর্থকরা নিজ দলের নেতাকর্মীদের হামলার শিকার হয়েছেন। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সামাবেশের প্রস্তুতিকালে এই হামলা চালানো হয়।

    রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় ধুনট উপজেলার হুকুম আলী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শহীদ মুগ্ধ চত্বরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। তবে বিএনপি নেতা আপেল মাহমুদ দাবি করেন এই মামলায় তিনি ও তার ছেলেসহ কমপক্ষে ২৫-৩০ জন আহত হয়েছেন। আহতরা বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ জেলা শহরের বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি রয়েছে।

    দলীয় সূত্র জানা যায়, বিএনপি নেতা আপেল মাহমুদ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দুই দিন আগে ৯ ফেব্রুয়ারি সকালে হুকুম বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। কিন্তু ওই কর্মসূচির বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ কমিটির কোনো নেতা-কর্মীকে জানানো হয়নি। এ কারণে দলের এক অংশের নেতা-কর্মীরা আপেল মাহমুদের উপর ক্ষুব্ধ হয়। তারা রোববার সকাল থেকে হুকুম আলী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থান নেন।

    এদিকে রোববার সকাল পৌনে ১০টায় বিএনপি নেতা আপেল মাহমুদ তার সমর্থকদের নিয়ে হুকুম আলী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সমবেত হতে থাকেন। এ সময় আপেলের চামড়া তুলে নেব আমরা স্লোগান দিয়ে আপেল ও তার সমর্থদের উপর হামলা চালানো হয়। প্রতিপক্ষের হামলার শিকার বিএনপি নেতা আপেল মাহমুদ তার সমর্থকদের নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

    এ বিষয়ে বিএনপি নেতা আপেল মাহমুদ বলেন, আমি বগুড়া-৫ আসনের এমপি প্রার্থী হওয়ার মতপ্রকাশ করার পর থেকে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আমার বিরোধিতা শুরু করেন। আর আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কোনো কর্মসূচি নিতে দলের কোনো অনুমতি প্রয়োজন হয় না। তারপরও বিষয়টি জেলা ও উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দকে অবগত করা হয়েছে। আমি দলের কাজ করতে গিয়ে নিজ দলের নেতা-কর্মীদের হামলার শিকার হয়েছি। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

    উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল মুনছুর আহমেদ পাশা বলেন, নিজ দলের নেতা-কর্মীদের না জানিয়ে আপেল মাহমুদ দলের নাম ভাঙিয়ে মনগড়াভাবে বহিরাগত লোকজন ভাড়া করে নিয়ে এসে বিক্ষোভ সমাবেশের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পরিকল্পনা করেছিলেন। এ কারণে তাকে সমাবেশ করতে দেয়া হয়নি।

    ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদুল আলম বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • মায়ের খণ্ডিত মাথা উদ্ধারের পর এবার মিললো গর্তে পুঁতে রাখা শিশুর মরদেহ

    মায়ের খণ্ডিত মাথা উদ্ধারের পর এবার মিললো গর্তে পুঁতে রাখা শিশুর মরদেহ

    রংপুরের পীরগঞ্জে গত ৭ ফেব্রুয়ারি চাঞ্চল্যকর দেলোয়ারা বেগম ঝিনুক (৩৫) এর মস্তকবিহীন মরদেহ উদ্ধারের দুদিন পর তার পাঁচ বছরের শিশুকন্যা সাইমার মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে বড় বদনাপাড়া গ্রামের আতিকুল ইসলামের বাড়ির পেছনে বাগান থেকে গর্তে পুঁতে রাখা অবস্থায় শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত দেলোয়ারা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের দিলালপুর গ্রামের রেজাউল করিমের স্ত্রী।

    পীরগঞ্জ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ এমএফ ফারুক জানান, বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে আটক আতিকুল এর কাছ থেকে সঠিক তথ্য উদঘাটন করে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও জানান, এই হত্যাকে এলাকাবাসী মেনে নিতে না পারায় বিক্ষুব্ধ হয়ে অভিযুক্ত আতিকুলের বাড়িতে আগুন দেয়।

    এর আগে গত শুক্রবার বড় বদনাপাড়ায় মরিচ ক্ষেত থেকে মাথাবিহীন মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে সিআইডির অপরাধ অনুসন্ধান দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে নিহতের নাম-পরিচয় শনাক্ত করে। এ ঘটনায় পুলিশের এসআই অনন্ত কুমার বর্মণ বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। পরে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বড় বদনাপাড়া গ্রামের মুনছুর আলী মণ্ডলের ছেলে আতিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

    এদিকে, গ্রেপ্তার আতিকুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে, দেড়মাস আগে শিশু সাইমাকে হত্যার পর লুঙ্গিতে পেঁচিয়ে বাড়ির পেছনের গাছের বাগানে গোবরের স্তুপের পাশে ৩ থেকে ৪ ফুট গর্ত করে পুঁতে রাখে আতিকুল। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রোববার শিশু সায়মার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তে মর্গে পাঠানো হয়।

  • সাতসকালে বন্দুকযুদ্ধ, ভারতীয় দুই সেনাসহ নিহত ১৪

    সাতসকালে বন্দুকযুদ্ধ, ভারতীয় দুই সেনাসহ নিহত ১৪

    সাতসকালে বন্দুকযুদ্ধে ভারতীয় দুই সেনাসহ অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় নিরাপত্তা কর্মীরা অভিযানে যান। এসময় তাদের সঙ্গে মাওবাদীদের ভয়ঙ্কর বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। এতে অন্তত ১২ জন মাওবাদী এবং দুই সেন সদস্য নিহত হন।

    এনকাউন্টার চলাকালীন দুই জওয়ান প্রাণ হারানোর পাশাপাশি অপর দু’জন সেনা সদস্যও আহত হয়েছে। তাদরেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

    একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নিরাপত্তা কর্মীদের একটি দল যখন মাওবাদী বিরোধী অভিযান চালাচ্ছিলেন, তখন সকালের সময় ইন্দ্রাবতী জাতীয় উদ্যান এলাকার একটি ঘন জঙ্গলে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। “প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, বন্দুকযুদ্ধে ১২ জন মাওবাদী নিহত হয়েছে।”

    তিনি যোগ করেন, যে এলাকায় একটি বিরতিহীন গুলি বিনিময় এখনও চলছে, আরও বিশদ বিবরণের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি এখনও উত্তেজনাপূর্ণ, এবং কর্তৃপক্ষ উচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

    পিওকে সীমান্তে ভারতীয় সেনাদের সঙ্গে গোলাগুলি, হতাহতের বিষয়ে যা জানা গেল
    এদিকে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, বস্তার রেঞ্জের পুলিশ মহাপরিদর্শক সুন্দররাজ পি, নিশ্চিত করেছেন যে এনকাউন্টারে নিহত একজন জওয়ান ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) এবং অপরজন মাওবাদী বিরোধী অভিযানে বিশেষজ্ঞ স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) রাজ্য-স্তরের সদস্য ছিলেন।

  • ফেনীতে ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫

    ফেনীতে ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫

    ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার ইকবাল মেমোরিয়াল কলেজ রোডে এ ঘটনা ঘটে।

    আহতরা হলেন- রাজিব, মানিক, জাবেদ, মিরাজ, সোহেল, হৃদয়, সাদ্দাম, মামুন, পারভেজ, জিতু, জনিসহ অন্তত ১৫ জন। তারা স্থানীয় ছাত্রদল ও যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

    স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে দেড় মাস ধরে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর ভাই ও দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আকবর হোসেন এবং জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি কাজী জামশেদুর রহমান ফটিকসহ বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। রোববার আকবর হোসেনের অনুসারী ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ একটি মিছিল বের করলে জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি কাজী জামশেদুর রহমান ফটিকের অনুসারীরা বাধা দেন। পরে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। পাকিস্তান বাজার থেকে শুরু হয়ে দাগনভূঞা বাজার ও পরে ইকবাল মেমোরিয়াল কলেজ রোডে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে এ সংঘর্ষ। একপর্যায়ে কাজী জামশেদুর রহমান ফটিক ঘটনাস্থলে এলে দুই পক্ষ আবারও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

    উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আকবর হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে একটি মিছিল বের করেছিলেন। এতে জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি কাজী জামশেদুর রহমান ফটিকের নেতৃত্বে তার লোকজন ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। পরে তারা জাবেদের বাড়িতে হামলা করেছে। হামলায় ছাত্রদল নেতা রাজিব, মানিক, জাবেদসহ অন্তত ১০-১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

    জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি কাজী জামশেদুর রহমান ফটিক বলেন, উপজেলা বিএনপির এ বিতর্কিত কমিটিকে কোনো কর্মসূচি পালন না করার জন্য জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা বারবার তা উপেক্ষা করছেন। আজও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আকবর হোসেনের লোকজন ছাত্রদলের ব্যানারে একটি মিছিল বের করলে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা বাজারে তাদের বাধা দেয়। পরে তাদের লোকজন আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে গুলি, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও হামলা চালিয়ে আমাদের বেশকিছু নেতাকর্মীদের আহত করেছেন।

    এ ব্যাপারে দাগনভূঞা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

    প্রসঙ্গত, গত বছরের ২২ ডিসেম্বর ফেনী জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আলাল উদ্দিন আলালের একক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে সোনাগাজী এবং দাগনভূঞা উপজেলা ও পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। তারপর থেকেই এ কমিটি বাতিলের দাবিতে দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিলসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। সর্বশেষ গত ২৮ জানুয়ারি দাগনভূঞা উপজেলার সদর ইউনিয়নের করিমপুর এলাকায় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর আগে ১৮ জানুয়ারি ফেনী প্রেসক্লাবের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন এ দুই উপজেলা থেকে আসা নেতাকর্মীরা।

  • রাজশাহী কলেজ মুসলিম ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগ কর্মী আ’টক

    রাজশাহী কলেজ মুসলিম ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগ কর্মী আ’টক

    রাজশাহী কলেজ মুসলিম ছাত্রাবাসে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের এক কর্মীকে আটকের পর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

    রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২:৩০ মিনিটের দিকে মুসলিম ছাত্রাবাসের সামনে এক চায়ের দোকানে সন্দেহজনকভাবে অবস্থান করছিল মোঃ আতিকুর রহমান। সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিষয়টি নজরে এনে তাকে ছাত্রাবাসে নিয়ে আসার পর জিজ্ঞাসাবাদ ও মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করে।

    আটককৃত আতিকুর রহমান রাজশাহীর বাগমারা থানার আঃ খালেকের ছেলে এবং রাজশাহী কলেজ হিসাববিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

    প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে আতিক মুসলিম ছাত্রাবাসের বি-ব্লকের বাসিন্দা ছিল। তখন থেকেই সে শিক্ষার্থীদের ওপর বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন ও হয়রানি চালিয়ে আসছিল। তার মোবাইল ফোন ঘেঁটে দেখা গেছে, সে এখনো নিয়মিত ছাত্রলীগের বিভিন্ন পোস্ট শেয়ার করে এবং সংগঠনটির বিভিন্ন গ্রুপের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত রয়েছে।

    রাজশাহী কলেজ ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন বলেন, নিষিদ্ধ সংগঠনের কর্মীদের কোনোভাবেই কলেজ ক্যাম্পাসে বা ছাত্রাবাসে থাকার সুযোগ দেওয়া হবে না। সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে আতিকুর রহমানকে আটক করা হয়েছে, যা প্রশংসনীয়। ভবিষ্যতে এমন কাউকে দেখলে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    রাজশাহী কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মু: যুহুর আলী বলেন, আমাকে ছাত্ররা ফোন দিয়েছিল দিয়ে বলেছে একজন ছাত্রলীগ কর্মীকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ধরে আটকে রেখেছে। আমি তখন সঙ্গে সঙ্গে থানায় ফোন দিয়ে পুলিশ যেতে বলি। পুলিশ এসে তাকে থানায় নিয়ে গেছে।

    বোয়ালিয়া থানার ডিউটি অফিসার খাতামুন আম্বিয়া বলেন, তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে, এখন পর্যন্ত তাকে কোন মামলা দেওয়া হয়নি।

  • অপারেশন ডেভিল হান্ট নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিলেন সারজিস

    অপারেশন ডেভিল হান্ট নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিলেন সারজিস

    গাজীপুরসহ সারা দেশে সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে সরকার যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে গতকাল শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) থেকে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়। এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডি থেকে একটি পোস্ট দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য আহ্বায়ক মো. সারজিস আলম।

    আজ রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ওই পোস্টে সারজিস জানান, এ পর্যন্ত অপারেশনে গাজীপুরের ১৩ থানায় ৮৫ জন জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন।

    পোস্টে তিনি লিখেন, “গাজীপুরে ‘অপারেশন ডেভিল হান্টে’ ১৩ থানায় এখন পর্যন্ত আটক ৮৫ জন।

    অভিযান চলমান…”
    এ ছাড়া ওই পোস্টের মন্তব্যের ঘরে তিনি লিখেছেন, ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’-এ শেখ হাসিনার দোসর ডিআইজি মোল্লা নজরুল, এসপি মান্নান, এসপি হাসনাত এবং এসপি আসাদুজ্জামান গ্রেপ্তার।

  • গাজীপুরে হামলায় আহত একজন লাইফ সাপোর্টে

    গাজীপুরে হামলায় আহত একজন লাইফ সাপোর্টে

    গাজীপুরের দাক্ষিণখান এলাকায় সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলার শিকার একজনকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে।

    রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এ তথ্য জানান।

    তিনি বলেন, ঢামেকে চিকিৎসাধীন গাজীপুরে হামলার ঘটনায় আহত ৮ জনের মধ্যে দুই জনকে রাখা হয়েছে আইসিইউতে। তার মধ্যে একজনকে নেওয়া হয়েছে লাইফ সাপোর্টে।

    এছাড়া বাকি ৬ জনকে রাখা হয়েছে বার্ন ইউনিটে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত বিশেষায়িত ওয়ার্ডে।

    হাসপাতালের পরিচালক বলেন, আহতদের চিকিৎসার জন্য পাঁচ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হবে। আগামীকাল থেকে মেডিক্যাল বোর্ড তাদের সার্বিক চিকিৎসার ব্যাবস্থা নিবেন।

    আইসিইউতে ডিউটিরত চিকিৎসক ডা. সৌমেন দে জানিয়েছেন, আমাদের এখানে কাশেম (১৭) ও ইয়াসিন আরাফাত সাগর (২৫) নামে দু’জন রোগী রয়েছে।

    এর মধ্যে কাশেমকে প্রথম দিন আনা হয়। আর রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে গুরুতর অবস্থায় আনা হয় ইয়াসিন আরাফাতকে ।

    তিনি আরো বলেন, কাশেমের মাথায় অপারেশন করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে আগের থেকে কিছুটা ভালোর দিকে।

    ইয়াসিন আরাফাতের অবস্থা অবনতি হওয়ায় তাকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে। আমরা যথাসাধ্য চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি।
    বাকি ছয় জনকে রাখা হয়েছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত বিশেষায়িত ওয়ার্ডে। তারা হচ্ছেন, কাজী অমর হামজা (১৭), শুভ শাহরিয়া (১৬), ইয়াকুব আলী (২৪), আব্দুর রহমান ইমন (২০), সাব্বির খান হিমেল (২২) ও আবির খান (২২)। এদের সবাই মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত।