Blog

  • ড. ইউনূসের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন ইলন মাস্ক, পাশেই ছিলেন ট্রাম্প

    ড. ইউনূসের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন ইলন মাস্ক, পাশেই ছিলেন ট্রাম্প

    প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম ধনাঢ্য ব্যবসায়ী ও এক্স (সাবেক টুইটার) এর মালিক ইলন মাস্ক। ফোনে কথা বলার সময় মাস্কের পাশেই ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

    বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় তাদের মধ্যে কথোপকথন হয়।

    অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি জানান, তাদের আলোচনার বিষয়টি নির্ধারিত সময়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

    প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এখন দুবাই রয়েছেন। ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিট ২০২৫ সম্মেলনে অংশ নিতে দুই দিনের সফরে সেখানে যান তিনি। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুবাই স্থানীয় সময় রাত ১১টা ১৫ মিনিটে দুবাই পৌঁছান প্রধান উপদেষ্টা।

    এর আগে ১৩ জানুয়ারি দুবাইয়ে ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিট ২০২৫ সম্মেলনে অংশ নিতে আমিরাতের উপ-রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাইয়ের শাসক আমির শাইখ মুহাম্মাদ বিন রাশিদ আল মাখতুম প্রধান উপদেষ্টাকে একটি আমন্ত্রণপত্র পাঠান।

    এবারের সম্মেলন সরকারগুলোর মধ্যে কার্যকরী অংশীদারি ও বৈশ্বিক মতবিনিময় এবং সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সরকার ও জনগণের মধ্যকার সেতুবন্ধ সৃষ্টিতে প্ল্যাটফরমটির উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে। প্রধান উপদেষ্টার সম্মেলনে যোগদানের মাধ্যমে বৈশ্বিক বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে তার চিন্তা এবং বৈশ্বিক বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরার সুযোগ রয়েছে।

  • জামায়াত মুনাফেকি ছাড়া কিছুই করেনি: রিজভী

    জামায়াত মুনাফেকি ছাড়া কিছুই করেনি: রিজভী

    রাজশাহীতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আমরা জামায়াতকে সমর্থন করিনি। বিএনপির উদারতার কারণে তারা বাংলাদেশে প্রথম রাজনীতি করার সুযোগ পায়। কিন্তু সব সময় এই দলটি মুনাফেকি করেছে। মুনাফেকি ছাড়া তারা কিছুই করেনি।

    বুধবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বাগমারা উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আব্দুল ওয়াহেদ মণ্ডলের ২৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন ।

    যে দল ছাত্র জনতার ওপর গুলি বর্ষণ করেছে, হত্যা করেছে নির্বিচারে, জামায়াত বলে বসল, তারা আওয়ামী লীগকে মাফ করে দেবে। আবু সাঈদ, মুগ্ধর রক্তকে কিভাবে মাফ করবেন? প্রশ্ন রাখেন তিনি।

    এছাড়াও দলটিকে উদ্দেশ্য করে রিজভি বলেন, শেখ হাসিনা পাসপোর্ট ভিসা ছাড়া ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে কথা বলছে, উস্কানি ছড়াচ্ছে। সেই ভারত আপনাদের কাছে প্রিয় হয়ে গেলে এটা খুবই দুঃখজনক।

    এসময় কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

    স্মরণ সভায় বিএনপি নেতারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবি জানান।

  • পুলিশের এক ডিআইজি ও চার এসপি আ ট ক

    পুলিশের এক ডিআইজি ও চার এসপি আ ট ক

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা, হত্যাসহ একাধিক মামলায় পুলিশের একজন ডিআইজি ও চারজন পুলিশ সুপারকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা গোয়েন্দা কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।

    শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে রংপুর, রাজশাহী ও নীলফামারী থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের পর তাদেরকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা কার্যালয়ে আনা হয়।

    রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলী বলেন, রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান ও আবুল হাসনাত এবং নীলফামারীর ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যাসহ একাধিক মামলায় অভিযোগ রয়েছে।

    অন্যদিকে রাজশাহী জেলা পুলিশ একাডেমির সহায়তায় শুক্রবার রাতে রাজশাহী সারদা একাডেমিতে সংযুক্ত থাকা গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।

    পুলিশ সূত্র জানায়, বিসিএস ২৭ ব্যাচের আবুল হাসনাত বাগেরহাটের পুলিশ সুপার থাকাকালীন ২০২৪ সালের নির্বাচন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। আর পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান কুমিল্লা ও সিলেটে এসপি থাকাকালীন নির্বাচন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শক্তি প্রয়োগ করেন। এর আগে সিটিটিসিতে পুলিশ সুপার থাকাকালীন তার বিরুদ্ধে জঙ্গি নাটক সাজানোর একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

    অন্যদিকে ২৫ ব্যাচের কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান নোয়াখালী জেলার পুলিশ সুপার ছিলেন। নির্বাচন ও পরবর্তীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শক্তি প্রয়োগ ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।

    আটক ডিআইজি মোল্লা নজরুল ইসলাম গাজীপুর মেট্রোপলিটনের সাবেক কমিশনার ও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন। একটা সময় তার বিরুদ্ধে খুন-গুমসহ অনৈতিকভাবে শক্তি প্রয়োগের অনেক অভিযোগ উঠেছিল।

    মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে সংযুক্ত পুলিশ সুপার (এসপি) তানভীর সালেহীন ইমনকে আটক করেছে ডিবি। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি দল তাকে আটক করে। পরে তাকে ঢাকায় নেয়া হয়।

    রাজশাহী রেঞ্জ পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) সারোয়ার জাহান বলেন, গতরাতে ঢাকা থেকে ডিবির টিম এসে এসপি তানভীর সালেহীন ইমনকে নিয়ে গেছে। কেন, কী অভিযোগে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তা জানা নেই। তারা সহযোগিতা চেয়েছিল, আমাদের ডিবি পুলিশের একটি দল সহযোগিতা করেছে।

    এসপি তানভীর সালেহীনের বাড়ি কিশোরগঞ্জে। তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইকবাল কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তিনি ২৮তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের কর্মকর্তা। কর্মজীবনে তিনি কুমিল্লা জেলা পুলিশের সেরা সার্কেল অফিসার হিসেবে পুরস্কৃত হন।

  • বন্দিশালা ঘুরে দেখলেন ভারতীয় সাংবাদিক, তুলে ধরলেন ‘আয়না ঘরের’ নির্মম গল্প

    বন্দিশালা ঘুরে দেখলেন ভারতীয় সাংবাদিক, তুলে ধরলেন ‘আয়না ঘরের’ নির্মম গল্প

    ‘আয়নাঘর’ নামে পরিচিত যৌথবাহিনীর বন্দিশালা পরিদর্শন করছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। তার সঙ্গে স্থানীয় ও বিদেশি গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরাও ছিলেন।

    বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকার কচুক্ষেতে ডিজি এফআই এবং উত্তরা ও আগারগাঁওয়ে র‍্যাবের আয়নাঘর পরিদর্শন করেন তারা।

    এ সময় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন ভারতীয় সাংবাদিক অর্ক দেব। তিনি ‘ইনস্ক্রিপ্টি ডটমি’-এর সম্পাদক। এর আগে, আনন্দবাজার ও নিউজ এইটিন সংবাদমাধ্যমে কাজ করেছেন।

    আয়নাঘর পরিদর্শন শেষে অর্ক দেব সেখানকার একটি ইলেকট্রিক চেয়ারের ছবি নিজের ফেসবুকে পোস্ট করে লিখেছেন, এই চেয়ারটা দেখে রাখা জরুরি। ফ্যাসিবাদের জননী শেখ হাসিনার আয়নাঘরের একটি কক্ষে রাখা এই চেয়ার (আগারগাঁও অঞ্চলে)। ‘হাই ভ্যালু’ বন্দিদের ইলেকট্রিক শক দিতে ব্যবহার হতো এই চেয়ার।

    ডিজি এফআইয়ের কাউন্টার টেররিজম ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (সিটিআইবি) এই আয়নাঘরের দায়িত্বে ছিল। সারাক্ষণ একজস্ট ফ্যান চলত এই ঘরগুলিতে, ফ্যান বন্ধ হলেই কান্না আর গোঙানির শব্দ শুনতে পাওয়া যেত। আর কিছুক্ষণ। আজ থেকে গোটা বিশ্ব আয়নাঘরের সব ছবি দেখবে।

    অন্য এক পোস্টে অর্ক বলেন, এখানে বন্দি ছিলেন মাইকেল চাকমা। তিনি মাইকেল চাকমার বক্তব্য তুলে ধরে বলেন, প্রথম যে দুটো রুম দেখা যাচ্ছে ঠিক এই রুমগুলোর মধ্যে ১১৩ নম্বর সেল যেটি একেবারে বাথরুমের পাশে এবং সেলের ভেতর ঢোকার সময় বাঁ সাইডের কোনায় একটি সিসি ক্যামেরা ২৪ ঘণ্টা চালু থাকে। এই সেলে আমি প্রায় দুই বছর বন্দি ছিলাম। একই লাইনের ১১৭ নম্বর রুমে ছিলাম প্রায় দেড় বছরের একটু বেশি। নিচের রুমগুলোর মধ্যে ১০৪ নম্বর রুমে ছিলাম এক বছরের কাছাকাছি। ১০৪-এর পরে ১০৫ নম্বর সেল। এর পরে টয়লেট, বাথরুম ও চুল কাটার সেল। চুল কাটার সেল নম্বর ১০৬। এ ছাড়া আরো অনেক রুমে আমাকে রাখা হয়।

    আয়নাঘর পরিদর্শন শেষে আওয়ামী লীগ শাসনামলকে ‘আইয়ামে জাহিলিয়াতের’ সঙ্গে তুলনা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

    গুম কমিশনকে আয়নাঘর আবিষ্কারের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, আইয়ামে জাহেলিয়াত বলে একটা কথা আছে, গত সরকার (আওয়ামী লীগ সরকার) আইয়ামে জাহেলিয়াত প্রতিষ্ঠা করে গেছে সর্বক্ষেত্রে, এটা (আয়নাঘর) তার একটা নমুনা।

    শুধু রাজধানী ঢাকা নয়, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে থাকা আয়নাঘরও খুঁজে বের করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম। দুপুরে রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

    শফিকুল আলম বলেন, দেশে ৭০০ থেকে ৮০০ আয়নাঘর আছে। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার নির্দেশেই এসব হয়েছে।

    গত বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে আয়নাঘর পরিদর্শনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এক সপ্তাহের মাথায় তারা ঘুরে দেখলেন গোপন বন্দিশালা। আর প্রকাশ্যে এলো ছবি।

  • গভীর রাতে ‘কাপল ড্যান্স’ পার্টি থেকে আ ট ক ২৫

    গভীর রাতে ‘কাপল ড্যান্স’ পার্টি থেকে আ ট ক ২৫

    চট্টগ্রামের পাঁচলাইশের ২ নম্বর গেট সংলগ্ন ইয়াকুব ট্রেড সেন্টার থেকে অবৈধ অশ্লীল ‘কাপল ড্যান্স’ পার্টিতে অভিযান পরিচালনা করে নারী-পুরুষসহ ২৫ জনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় আটককৃত একজনের কাছ থেকে ৭০ ক্যান অবৈধ মাদকদ্রব্য (বিয়ার) উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে আটক করা হয়।

    বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাঁচলাইশ থানার ওসি মোহাম্মদ সোলাইমান।

    তিনি বলেন, পাঁচলাইশ মডেল থানার ২ নম্বর গেট সংলগ্ন ইয়াকুব ট্রেড সেন্টারে সপ্তম তলায় অবৈধ অশ্লীল কাপল ড্যান্স পার্টিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানে নারী-পুরুষসহ সর্বমোট ২৫ জন আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে একজনের কাছ থেকে ৭০ ক্যান অবৈধ মাদকদ্রব্য (বিয়ার) উদ্ধার হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করা হবে। এ ছাড়াও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। যে ভবনে অভিযান চালানো হয়েছে সেটির মালিক এলডিপি নেতা মোহাম্মদ এয়াকুব আলী। ওই ভবনের ৭ম তলার খালি ফ্লোরে গতরাতে ডিজে পার্টি চলছিল।

    তিনি আরও বলেন, মঞ্জু নামের এক ব্যক্তি ফ্লোরটি ৫০ হাজার টাকায় ভাড়া নিয়ে ডিজে পার্টির আয়োজন করেন। রাতে উচ্চস্বরে গান চলছিল সেখানে। আর জনপ্রতি দেড় হাজার টাকার বিনিময়ে ওই পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন তরুণ-তরুণীরা। স্থানীয়দের অভিযোগ ডিজে পার্টির আড়ালে গভীর রাতে সেখানে অসামাজিক কার্যকলাপ চলছিল। এ ছাড়াও সেখানে রাতভর মাদক সেবন করে উদাম নৃত্য করে উঠতি বয়সী তরুণ-তরুণীরা।

  • শিক্ষকের মার খেয়ে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীর বিষপান, ৮ দিন পর মৃত্যু

    শিক্ষকের মার খেয়ে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীর বিষপান, ৮ দিন পর মৃত্যু

    চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কৃষিজমিতে কাজ না করায় এক শিক্ষার্থীকে বকাঝকা ও মারধর করেছিলেন এক শিক্ষক। এরপর ক্ষোভে বিষ পান করে ওই শিক্ষার্থী। পরে আট দিন পর মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই শিক্ষার্থী মারা যায়।

    এ ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থীর চাচা থানায় মামলা করলে মঙ্গলবার দুপুরে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

    নিহত শিক্ষার্থীর নাম মোহাম্মদ ফোরকান (১৭)। সে বাঁশখালী উপজেলার সরল ইউনিয়নের বদিউল আলমের ছেলে। ফোরকান দুই বছর ধরে মাদ্রাসা আরবিয়া খাইরিয়ার শর্টকোর্স বিভাগে পড়াশোনা করছিল বলে জানা গেছে।

    আর গ্রেপ্তার শিক্ষক রফিকুল ইসলাম (৩২) কক্সবাজার জেলায় কুতুবদিয়া উপজেলার বাসিন্দা। আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মাদ্রাসা আরবিয়া খাইরিয়ার শিক্ষক তিনি।

    নিহত ফোরকানের চাচার মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টার সময় মাদ্রাসার পাশের একটি জমিতে কৃষিকাজ না করায় মোহাম্মদ ফোরকানকে মারধর ও বকাঝকা করেন শিক্ষক রফিকুল ইসলাম। পরে ওই ক্ষোভে ফোরকান জমির জন্য আনা কীটনাশক খেয়ে ফেলে। এরপর মাদ্রাসার শিক্ষকরা তাকে প্রথমে আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে পরিবারের সদস্যরা ফোরকানকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়। মঙ্গলবার ভোরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

    আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

  • ‘ভারতীয় সেনাদের মারধর করছে চীনের সেনারা’, মন্তব্য করায় রাহুল গান্ধীকে তলব

    ‘ভারতীয় সেনাদের মারধর করছে চীনের সেনারা’, মন্তব্য করায় রাহুল গান্ধীকে তলব

    রাহুল গান্ধীকে তলব করেছে উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লক্ষ্ণৌয়ের এমপি এমএলএ আদালত।

    ভারতীয় সেনাবাহিনীকে হেয় করে মন্তব্য করার অভিযোগে দেশটির প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা রাহুল গান্ধীকে তলব করেছে উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লক্ষ্ণৌয়ের এমপি এমএলএ আদালত। ইতোমধ্যে তাকে তলবের নোটিশও পাঠানো হয়েছে।

    লক্ষ্ণৌয়ের এই আদালতটি মূলত বিশেষায়িত যেখানে শুধু এমপি ও বিধায়কদের মামলার বিচার হয়। ভারতীয় সেনাবাহিনীর অধীন সড়ক নির্মাণ সংস্থা বর্ডার রোড অর্গানাইজেশনের (ব্রো) সাবেক পরিচালক শঙ্কর শ্রীবাস্তবের দায়ের করা একটি মামলার ভিত্তিতে রাহুল গান্ধীকে তলব করা হয়েছে। নোটিশ অনুযায়ী, আগামী মার্চের শেষ সপ্তাহে তাকে আদালতে হাজির হতে হবে।

    অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো’ কর্মসূচির সময় এক জনসভায় রাহুল গান্ধী মন্তব্য করেছিলেন, ‘অরুণাচল প্রদেশে ভারতীয় সেনাদের মারধর করছে চীনের সেনারা।’ খবর এনডিটিভির।

    এ ধরনের বক্তব্য ‘একজন দায়িত্বশীল রাজনীতিবিদ এবং জনপ্রতিনিধির জন্য অপ্রত্যাশিত এবং এটি ভারতীয় সেনাবাহিনীর মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করেছে’, অভিযোগপত্রে এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে।

    তবে রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ এক নেতা এনডিটিভিকে জানিয়েছেন যে, রাহুল গান্ধী মূলত কেন্দ্রীয় ক্ষমতাসীন বিজেপিকে উদ্দেশ্য করেই ওই মন্তব্য করেছিলেন। তার বক্তব্য সেনাবাহিনীর প্রতি কোনো অবমাননা ছিল না।

    দেশটির প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে রাহুল গান্ধী সবসময়ই বিজেপির কড়া সমালোচক। পাল্টা হিসেবে বিজেপিও তাকে আক্রমণ করতে ছাড়েনি। বিজেপির অনেক নেতাই রাহুল গান্ধীকে ‘দেশবিরোধী’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। এমনকি, তারা অভিযোগ করেছেন যে, নিজের বাবার নামে প্রতিষ্ঠিত রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনের জন্য রাহুল ও তার পরিবারের সদস্যরা নিয়মিত চীনের কাছ থেকে তহবিল সংগ্রহ করেন। তবে বিজেপির এমন আক্রমণাত্মক মন্তব্য সত্ত্বেও রাহুল গান্ধী তাদের বিরুদ্ধে সমালোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।

  • নাহিদকে রাখা ‘আয়নাঘরে’র সন্ধান জানালেন সহকারী প্রেস সচিব

    নাহিদকে রাখা ‘আয়নাঘরে’র সন্ধান জানালেন সহকারী প্রেস সচিব

    গত বছরের জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যখন তীব্রভাবে শুরু হয়, তখন সাদাপোশাকে নাহিদ ইসলামকে তুলে নেওয়া হয়। তবে তাকে ডিজিএফআইয়ের টর্চার সেলে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন সুচিস্মিতা তিথি।

    বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি ফেসবুকে তার আইডিতে এক পোস্টে এ অভিযোগ করেন।

    পোস্টে সুচিস্মিতা লেখেন, ‘গত জুলাইয়ে সাদাপোশাকে তুলে নেওয়ার পর ডিজিএফআইয়ের এই টর্চারসেলে রাখা হয়েছিল নাহিদ ইসলামকে।’

    তিনি আরও লেখেন, ‘আজ সেখানে পরিদর্শনে গিয়ে কক্ষটি আইডেন্টিফাই করেন নাহিদ। এই কক্ষের এক পাশে টয়লেট হিসেবে একটি বেসিনের মতো ছিল বলে জানান তিনি। গত ৫ আগস্টের পর এই সেলগুলোর মাঝের দেয়াল ভেঙে ফেলা হয়, দেয়াল রং করা হয়।’

    সহকারী প্রেস সচিব বলেন, ‘আজ প্রধান উপদেষ্টা রাজধানীর তিনটি এলাকায় র‍্যাব ও ডিজিএফআইয়ের টর্চার সেল (আয়নাঘর নামে পরিচিত) পরিদর্শন করেন।’

    এর আগে বুধবার দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমের প্রতিনিধি ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের নিয়ে আয়নাঘর পরিদর্শন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

    গত বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার আয়নাঘর পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত হয় বলে জানিয়েছিল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।

    আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে বিরোধী মতের বহু মানুষকে তুলে নিয়ে বিচার বহির্ভূতভাবে অজ্ঞাত স্থানে আটক রাখার অভিযোগ ওঠে, সেসব বন্দিশালার প্রতীকী নাম রাখা হয়েছে ‘আয়নাঘর’।

    তুলে নেওয়া সেসব মানুষদের কেউ কেউ বহু দিন পর পরিবারের কাছে ফিরে বীভৎস নির্যাতনের বিবরণ দিলেও অনেকের খোঁজ এখনো মেলেনি। বিভিন্ন বাহিনীর আওতাধীন এমন আয়নাঘরের সন্ধান পাওয়ার কথা বলেছে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত ‘গুম তদন্ত কমিশন’।

  • গণমাধ্যমকর্মী ও ভুক্তভোগীদের নিয়ে আয়নাঘর পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা

    গণমাধ্যমকর্মী ও ভুক্তভোগীদের নিয়ে আয়নাঘর পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা

    আয়নাঘর পরিদর্শনে গেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় তার সঙ্গে আছেন দেশ-বিদেশের গণমাধ্যম প্রতিনিধি ও ফ্যাসিস্ট সরকারের ভুক্তভোগীরা।

    বুধবার প্রধান উপদেষ্টার জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    এর আগে ১৯ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে একটি বৈঠক করেছে। সে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টাকে গুমের ঘটনায় তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানানো হয়।

    কমিশনের সদস্যদের আহ্বানেই সেসব স্থাপনা পরিদর্শনে গেছেন অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান।