Blog

  • পূর্ণাঙ্গ সংস্কার ছাড়া নির্বাচনে আসবে না জামায়াত ইসলাম মিয়া গোলাম পরোয়ার

    পূর্ণাঙ্গ সংস্কার ছাড়া নির্বাচনে আসবে না জামায়াত ইসলাম মিয়া গোলাম পরোয়ার

    পূর্ণাঙ্গ সংস্কার ছাড়া কোনো নির্বাচন নয় বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।

    বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে জামায়াতের ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দলের বৈঠক শেষে এ কথা জানান তিনি।

    মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী আমরা আগে স্থানীয় নির্বাচন চাই। তারপর জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

    জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, নির্বাচনকে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে হলে অবশ্যই সংস্কার করা প্রয়োজন। সংস্কার ছাড়া কোনো নির্বাচন নয়। নো ইলেকশন উইদাউট রিফরম।

    এক যুগ পর নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিয়ে জামায়াত তাদের ২৩ দফা দাবি উপস্থাপন করে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করা এবং জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন সম্পন্ন করা।

    মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর সংস্কার জরুরি। সব প্রতিষ্ঠান সংস্কার করা সম্ভব না হলেও নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে জড়িত সংস্থাগুলোর সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচন আয়োজন সম্ভব।’

    তিনি আরও বলেন, অন্তত নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার করতে হবে। এ ছাড়া প্রবাসী ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতেও ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

    জামায়াত সারা দেশে ৩০০ আসনে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানান দলটির সেক্রেটারি জেনারেল। তিনি বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছি। নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক করতে মতবিনিময় হয়েছে। কমিশনের সক্ষমতা ও সীমাবদ্ধতা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

    বৈঠকে মিয়া গোলাম পরওয়ারের নেতৃত্বে জামায়াতের ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। দলে ছিলেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদসহ অন্য নেতারা।

  • শেখ হাসিনাকে ফেরাতে দিল্লিকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

    শেখ হাসিনাকে ফেরাতে দিল্লিকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

    বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিল্লিকে পাঠিয়েছে ঢাকা। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিং তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরাতে ঢাকা প্রয়োজনীয় নথি দিল্লিতে পাঠিয়েছে। দেশটির উত্তরের প্রতীক্ষা করছে বাংলাদেশ। কূটনৈতিক চিঠির সঙ্গে প্রয়োজনীয় সকল কাগজ পাঠানো হয়েছে।

    রফিকুল আলম বলেন, শেখ হাসিনা ইস্যুতে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিকভাবে প্রতীক্ষা করবে বাংলাদেশ। এছাড়া ভারতে অবস্থানকারী অন্য নেতাদের ফেরাতে আন্তর্জাতিক নিয়ম প্রতিপালন করা হবে কিনা সেটি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের আলোচনার বিষয়।

    এ সময় জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে প্রতিবেদনের জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

  • সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিয়ে,আমার পুরনো কাজে ফিরে যেতে চাই : ড. ইউনূস

    সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিয়ে,আমার পুরনো কাজে ফিরে যেতে চাই : ড. ইউনূস

    অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ দেশে আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা। সামজিক শৃঙ্খলা ও ভঙ্গুর অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনাও আমাদের চ্যালেঞ্জ। ফ্যাসিস্ট সরকারে বিচার করতে আমরা কাজ করছি। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আব্দুল রহমাল বিন মুহাম্মদ আল ওয়াইসের সঙ্গে বৈঠকের সময় ড. ইউনূস এসব […]

    অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ দেশে আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা। সামজিক শৃঙ্খলা ও ভঙ্গুর অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনাও আমাদের চ্যালেঞ্জ। ফ্যাসিস্ট সরকারে বিচার করতে আমরা কাজ করছি।

    আজ বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আব্দুল রহমাল বিন মুহাম্মদ আল ওয়াইসের সঙ্গে বৈঠকের সময় ড. ইউনূস এসব কথা বলেন।

    ড. ইউনূস বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার পুরো অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে। তারা বিভিন্ন দেশে বিপুল টাকা পাচার করেছে। এসব টাকা ফিরিয়ে আনা এই মুহূর্তে আমাদের অন্যতম কাজ। তিনি বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে আমরা ১৫টি সংস্কার কমিশন করেছি। তারা তাদের দায়িত্ব পালন করেছে। আমরা এখন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ করে শিগগিরই সংস্কার সম্পন্ন করে নির্বাচনের দিকে যাব।

    ড. ইউনূস বলেন, ‘দেশের সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আইনশৃঙ্খলা, সামাজিক নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সবই উন্নতি হবে। জাতিকে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিয়ে আমি আমার পুরনো কাজে ফিরে যেতে চাই।’

    বাংলাদেশের এই পরিস্থিতিতে দায়িত্ব নেওয়ায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অভিনন্দন জানান আমিরাতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আব্দুল রহমান বিন মুহাম্মদ আল ওয়াইস।

    এসময় আমিরাতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের সময় বাংলাদেশ-আমিরাতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও বাড়বে। ড. ইউনুস আমিরাতকে ধন্যবাদ জানান ১০ লাখেরও বেশি বাংলাদেশিকে দেশটিতে কাজের সুযোগ দেওয়ার জন্য। আমিরাতের স্বাস্থ্য খাতের উন্নতিতে তিনি শুভেচ্ছা জানান।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমদ।

    এর আগে গতকাল ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্থানীয় সময় রাত ১১ টায় দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন

  • হাসিনাবিহীন বাংলাদেশ পেয়েছি, এখন আওয়ামীবিহীন দেশ করতে হবে: মির্জা আব্বাস

    হাসিনাবিহীন বাংলাদেশ পেয়েছি, এখন আওয়ামীবিহীন দেশ করতে হবে: মির্জা আব্বাস

    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘আমরা বলতাম হাসিনাবিহীন বাংলাদেশ চাই- আজকে হাসিনাবিহীন বাংলাদেশ পেয়েছি, এখন আওয়ামীবিহীন বাংলাদেশ করতে হবে।

    সোমবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

    মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আওয়ামী লীগ, ভদ্রলোক আর আওয়ামী লীগের গণতন্ত্র পাশাপাশি চলতে পারে না।’

    তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ চলে গেছে, আমরা ভেবে ভেবে খুশি হই। কিন্তু খুশি হওয়ার কোনো কারণ নেই। এদের চর-অনুচর এখনো বাংলাদেশের রাজনীতি, সংস্কৃতি, সচিবালয়, পুলিশ, মিলিটারি- যেখানে বলেন, এদের চর রয়ে গেছে। এদের রেখে কোনো পরিস্থিতিতেই আপনি পরিপূর্ণ গণতন্ত্র বাংলাদেশে কায়েম করতে পারবেন না।’

    আব্বাস বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী, বিএনপি ও অন্যান্য দল বিভিন্ন কথা না বলে, যদি একটি কথায় আসতে পারি, যদি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে পারি, তাহলে দেশটা পুনর্গঠিত হবে।

    না হলে এই দেশটা নিয়ে সারা জীবন আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত কিন্তু খেলতেই থাকবে। এটা কখনোই হতে দেওয়া যাবে না।’

    জামায়াত নেতাকর্মীদের বিএনপি চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়ার সালাম ও শুভেচ্ছা জানান মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, গত রাতে তিনি দলের চেয়ারপারসনকে জামায়াতের আলোচনা সভায় অংশ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।

    মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বিগত দিনে কোনো এক সময় হয়তো আমরা একসঙ্গে হতে পারিনি। কোনো এক সময় হয়তো একসঙ্গে হয়ে আওয়ামী লীগকে তাড়িয়েছিলাম।

    আমরা আগামী দিনে সব সময়ের জন্য, দেখি চেষ্টা করে পারি কি না, একসঙ্গে হয়ে এই দেশটাকে আবারও সুন্দর করে পুনর্গঠিত করতে পারি কি না।

  • ‘আপনার মতো ব্যক্তিদের থেকে আমরা শিখি’, ড. ইউনূসকে আল ওয়াইস

    ‘আপনার মতো ব্যক্তিদের থেকে আমরা শিখি’, ড. ইউনূসকে আল ওয়াইস

    সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আবদুর রহমান বিন মোহাম্মদ আল ওয়াইস বৃহস্পতিবার দুবাইয়ে ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিটের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। আমিরাতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী দেশের ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে অভিনন্দন জানান। তিনি আশা প্রকাশ করেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে বাংলাদেশ-সংযুক্ত আরব আমিরাতের সম্পর্ক আরও গভীর হবে এবং আগামী

    সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আবদুর রহমান বিন মোহাম্মদ আল ওয়াইস বৃহস্পতিবার দুবাইয়ে ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিটের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

    আরও পড়ুনঃ গাজীপুরে আওয়ামী লীগের ৪০ নেতাকর্মী আটক
    আমিরাতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী দেশের ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে অভিনন্দন জানান।

    তিনি আশা প্রকাশ করেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে বাংলাদেশ-সংযুক্ত আরব আমিরাতের সম্পর্ক আরও গভীর হবে এবং আগামী বছরগুলোতে উভয় দেশ ব্যবসা-বাণিজ্য ও স্বাস্থ্য সম্পর্ক সম্প্রসারণ করবে।

    প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, স্বাস্থ্য পরিস্থিতি এবং রোগ প্রতিরোধে সংযুক্ত আরব আমিরাতের অগ্রগতিতে তিনি মুগ্ধ।

    বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনও উপস্থিত ছিলেন। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এবং সরকারের এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব ও প্রধান সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

  • অপারেশন ডেভিল হান্ট নিয়ে উদ্বিগ্ন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ

    অপারেশন ডেভিল হান্ট নিয়ে উদ্বিগ্ন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ

    বাংলাদেশে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের নিরাপত্তা খাত আমূল সংস্কারের অঙ্গীকার করেছে। তবে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ নামে নিরাপত্তা ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে ইতোমধ্যে প্রায় দু হাজার মানুষকে গ্রেফতার করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। রাজনৈতিক সহিংসতা বিচারে নিরপেক্ষতা ও আইনের শাসন নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়ে বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।

    সংস্থাটির এশিয়া অঞ্চলের উপ-পরিচালক মীনাক্ষি গাঙ্গুলি বলেছেন, দীর্ঘদিনের দমনপীড়নে বাংলাদেশে রাজনৈতিক মেরূকরণ মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছিল। তবে একই ভুলের পুনরাবৃত্তি যেন না হয়, সে বিষয়ে বর্তমান কর্তৃপক্ষের সতর্ক থাকা উচিত। এ ব্যাপারে জাতিসংঘের পরামর্শ মেনে রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক সুশাসনে জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার কাজে সরকারের মনোনিবেশ করা উচিত।

    সম্প্রতি প্রকাশিত জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, সাবেক সরকারপ্রধান শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সর্বশেষ আন্দোলন দমনের নামে পুলিশ, সীমান্তরক্ষী, র‍্যাব ও গোয়েন্দা বাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বিভিন্ন গোষ্ঠী ভয়াবহ পর্যায়ের মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে।

    উল্লেখ্য, ব্যাপক জনরোষের মুখে ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা।

    গত ৫ ফেব্রুয়ারি, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজরিত শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর বাড়িটি ধ্বংস করে দেয় একটি গোষ্ঠী। পাশাপাশি দেশব্যাপী আওয়ামি লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত অনেক ব্যক্তির ঘরবাড়ি নির্বিচারে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।

    এর ধারাবাহিকতায় গাজীপুরে সাবেক এক মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা চালাতে গেলে স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষে কয়েকজন মারাত্মক আহত হন। এর প্রতিক্রিয়ায় সাবেক সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের ডেভিল হিসেবে আখ্যায়িত করে অপারেশন ডেভিল হান্ট বা শয়তান শিকার অভিযান শুরু করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

    এই ব্যাপক ধরপাকড়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এইচআরডব্লিউ বলেছে, সাবেক সরকারের সমর্থকদেরও সভা, সমাবেশ ও আন্দোলনের অধিকার অস্বীকার করতে পারে না অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় এগুলো মানুষের মুখ্য অধিকার।

    গাঙ্গুলি বলেছেন, সাবেক সরকারের অন্যায় কর্মকাণ্ডের জন্য দায়ীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। তবে সেটা হতে হবে আইনের গতিপথ মেনে। মব সহিংসতা কোনও সমাধান হতে পারে না। তবে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোনও ব্যক্তি যখন প্রতিপক্ষদের শয়তান বলে অভিহিত করেন, তখন আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অলিখিত অনুমোদন পেয়ে যায় অন্যরা।

  • রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ না করার পক্ষে যে যুক্তি দিল জাতিসংঘ

    রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ না করার পক্ষে যে যুক্তি দিল জাতিসংঘ

    অভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবির মধ্যে কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ না করার সুপারিশ করেছে জাতিসংঘ। জুলাই-আগস্টে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে গতকাল বুধবার প্রকাশিত জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের (ওএইচসিএইচআর) প্রতিবেদনে এই সুপারিশ করা হয়। অন্তর্বর্তী সরকারের আমন্ত্রণে জাতিসংঘের তথ্য অনুসন্ধান দল এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

    গতবছরের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট মাস পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার পদ্ধতিগতভাবে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্বিচার গ্রেপ্তার, নির্যাতন এবং অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের মতো গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জাতিসংঘের এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।

    এসব ঘটনায় অন্তত ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে জাতিসংঘের প্রাথমিক ধারণা। আহত হয় হাজার হাজার মানুষ। হতাহতদের অধিকাংশ নির্বিচার গুলির শিকার হয়। নিহতদের ১২ শতাংশের মতো ছিল শিশু। এই সময়ে গ্রেপ্তার করা হয় ১১ হাজার ৭০২ জনকে।

    ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ক্ষমতায় টিকে থাকতে তৎকালীন শেখ হাসিনার সরকার ও আওয়ামী লীগ পদ্ধতিগতভাবে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অনেক ঘটনা ঘটায়। পুলিশ, র‍্যাবসহ নিরাপত্তা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এতে জড়িয়ে পড়ে।

    সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর) গতকাল বুধবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সংস্থার সদর দপ্তর ও অনলাইনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাদেশে গত বছরের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা নিয়ে ১১৪ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।

    এতে অন্তবর্তী সরকারের প্রতি রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ না করা, র‍্যাব বিলুপ্ত করা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা এবং বিক্ষোভ দমনে প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার, গণগ্রেপ্তার বন্ধ করাসহ বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়েছে।

    এই প্রতিবেদন প্রকাশের বেশ আগেই আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আর গত শুক্রবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন (এলজিআরডি) ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে বর্তমান সরকার শিগগিরই পদক্ষেপ নেবে। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে (বাসস) বিশেষ এক সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেন।

    তবে প্রতিবেদনে জাতিসংঘ বলেছে, রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ, তাতে প্রকৃত অর্থে বাংলাদেশের বহুদলীয় গণতন্ত্র ফেরার পথ বাধাগ্রস্ত হতে পারে এবং বিপুলসংখ্যক ভোটার কার্যত ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হতে পারে।

    রাজনৈতিক ব্যবস্থা নিয়ে জাতিসংঘের সুপারিশ

    মৌলিক স্বাধীনতার প্রতি সম্মান দেখিয়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নিরাপদ ও সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করতে বলেছে জাতিসংঘ। এজন্য বিশেষ ব্যবস্থা পুনরায় চালুর মাধ্যমে সব রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। প্রশাসনের ওপর রাজনৈতিক দলের প্রভাবে ভারসাম্য রক্ষার জন্য তদারকি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার উপর জোর দিয়েছে জাতিসংঘ।

    প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি কার্যক্রম ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় নাগরিক ও অধিকারভোগীরা যাতে আরও সক্রিয়ভাবে ও সরাসরি অংশ নিতে পারেন, সেজন্য নাগরিকদের নেতৃত্বে অংশগ্রহণমূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের অধিকারকে আরও সুসংহত করা প্রয়োজন।

    জাতিসংঘ বলেছে, দলের অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনা মানবাধিকার নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ব্যাপক সংলাপের প্রক্রিয়া শুরু করা দরকার।

    শেখ হাসিনার নির্দেশে নৃশংসতাশেখ হাসিনার নির্দেশে নৃশংসতা
    প্রয়োজন অনুসারে ও যথাযথ ক্ষেত্রে সাময়িকভাবে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণসহ রাজনৈতিক ও জনজীবনে পুরুষ ও নারীর মধ্যে বাস্তবসম্মত সমতা নিশ্চিত করতে কার্যকরভাবে আইন ও বিধি বাস্তবায়নের ওপরও জোর দিয়েছে জাতিসংঘ।

  • আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ পরিবারে মেয়ে বিয়ে দেবেন না, এদের জানাজা পড়বেন না: রফিক মাদানি

    আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ পরিবারে মেয়ে বিয়ে দেবেন না, এদের জানাজা পড়বেন না: রফিক মাদানি

    ইসলামী বক্তা রফিক মাদানি বলেছেন, “আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ পরিবারে মেয়ের বিয়ে দেবেন না, এদের জানাজা পড়বেন না।”

    তিনি তার ওয়াজ মাহফিলে বলেন, “কোন আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ পরিবারের সদস্যদের সাথে আত্মীয়তা করবেন না। এরা মারা গেলে, যদি তওবা না করে, তাদের জানাযায় শরিক হবেন না। কারণ, এরা যে পরিমাণ জুলুম করছে, তারা দেশের শত্রু, জাতির শত্রু, ইসলামের শত্রু, এবং পুরো উম্মাহর শত্রু।”

    রফিক মাদানি আরও বলেন, “অতএব, আওয়ামী লীগ এবং তাদের মত ফ্যাসিস্টদের এখন সামাজিকভাবে বয়কট করা সময় এসেছে। এইদের রাষ্ট্রীয়ভাবে শাস্তির আওতায় আনা উচিত। আমি অনলাইনে ঘোষণা দিয়েছি, যে কেউ যদি আওয়ামী লীগের সদস্য হয় এবং তওবা না করে ফিরে না আসে, আমি তাদের সাথে আর কোনো সামাজিক সম্পর্ক রাখব না।

  • আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় জামায়াত

    আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় জামায়াত

    নির্বাচনি প্রক্রিয়ার জরুরি সংস্কার শেষ করে জাতীয় নির্বাচন চায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। একইসঙ্গে দলটি জাতীয় সংসদের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায়। বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের পর জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার জানান, সংস্কার ছাড়া কোনো নির্বাচন নয় (নো ইলেকশন উইথআউট রিফর্মস)। তবে সব সংস্কার নয়, শুধু নির্বাচন সংক্রান্ত অতি জরুরি সংস্কার করে নির্বাচন করতে হবে।

    রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে জামায়াত নেতারা প্রায় দুই ঘণ্টা বৈঠক করেন। একযুগ পর নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে তারা বৈঠক করলেন। সর্বশেষ ২০১২ সালের ডিসেম্বরে ইসির সঙ্গে জামায়াতের নেতারা বৈঠক করেছিলেন।

    বৈঠক সম্পর্কে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করার ব্যাপারে লিখিত আকারে আমাদের বক্তব্য পেশ করেছি। ২৩টি বিষয়ে সুপারিশ করেছি। ইসিও কিছু বিষয় আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেছে। কিছু বিষয়ে কমিশন প্রাসঙ্গিক মতামত দিয়েছেন। ইসির সক্ষমতা, সীমাবদ্ধতা, সমস্যা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। তিনি বলেন, আমাদের প্রধান সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে সংস্কার ছাড়া কোনো নির্বাচন নয় (নো ইলেকশন উইথআউট রিফর্মস)। নির্বাচনি প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশি্লষ্ট বিষয়গুলো সংস্কার করে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে হবে। তা না হলে নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না, অবাধ হবে না। তিনি বলেন, নির্বাচন নিরপেক্ষ করতে যে সংস্কারটুকু নূ্যনতম প্রয়োজন এবং যতটুকু যেৌক্তিক সময় প্রয়োজন জামায়াতে ইসলামী সে সময় দিতে প্রস্তুত। দিন, মাস, ক্ষণ আমরা বেঁধে দিইনি। সংস্কার ও নির্বাচনের জন্য ‘যৌক্তিক সময়’ নিয়ে জামায়াতে ইসলামী বরাবরই আগের অবস্থানে রয়েছে। আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, আমরা বলেছি সরকার ঘোষিত সময়ের মধ্যে সংস্কার শেষ করে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পারেন। এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। মাস আমাদের কাছে ফ্যাক্টর নয়।

    জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন বিষয়ে গোলাম পরওয়ার বলেন, জনগণের আকাঙ্ক্ষা স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে হোক। জনগণ চায় স্থানীয় সরকার সচল হোক। আমরাও চাই আগে স্থানীয় নির্বাচন হোক। এক্ষেত্রে বিএনপির মন্তব্যের বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি তিনি।

    জামায়াত নেতা পরওয়ার বলেন, বিশ্বের ৬০টি দেশে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব হারে (প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন-পিআর) নির্বাচন ব্যবস্থা চালু রয়েছে। দেশে এ ব্যবস্থা চালুর সুপারিশ করা হয়েছে। পেশিশক্তির প্রভাবমুক্ত অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এ ব্যবস্থা দরকার বলে আমরা সুপারিশ করেছি। তিনি আরও বলেন, অনিয়মের জন্য ভোট আংশিক বা পূর্ণাঙ্গ বাতিলের ক্ষমতা ফিরিয়ে আনার বিষয়েও সুপারিশ করেছি। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে ৯১ (এ) অনুচ্ছে পুনর্বহালের দাবি করা হয়েছে। প্রবাসী ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত, সরকারি চাকরি থেকে অবসরের তিন বছর পূর্ণ না হলে নির্বাচন নয় এমন বিধানের সুপারিশ করা হয়েছে।

    রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের বিষয়ে গোলাম পরওয়ার বলেন, নিবন্ধন আইনে কঠিন শর্ত আরোপ করা হয়েছে। এ শর্তপূরণ করে (নিবন্ধন করা) রাজনৈতিক অধিকার খর্ব করা হয়েছে। এ আইন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এটা বাতিল করতে হবে। কারণ দল ও রাজনীতি করার অধিকার সবার। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিবন্ধনের কোনো প্রয়োজনই নেই। দল হলেই নির্বাচন করবে। ২০০৮ সালের আগে নিবন্ধন আইন ছিল না। বৈঠকে জামায়াতের নিবন্ধনের বিষয়ে আলোচনা হয়নি বলে জানিয়ে তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে জামায়াত। ৩০০ আসনে প্রার্থী চূড়ান্তের কাজ চলছে।

    মিয়া গোলাম পরওয়ারের নেতৃত্বে জামায়াতের প্রতিনিধি দলে ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ, নির্বাহী পরিষদের সদস্য মতিউর রহমান আকন্দ, প্রকাশনা ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট জসিমউদ্দিন সরকার, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও মজলিশে শূরার সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসূফ আলী, মহানগরী জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট কামাল উদ্দিন।

  • ছাত্রলীগ নেতা গোলাম রাব্বানী গ্রেপ্তার

    ছাত্রলীগ নেতা গোলাম রাব্বানী গ্রেপ্তার

    অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানে নাটোরের সিংড়া থেকে ছাত্রলীগ নেতা গোলাম রাব্বানী রনিকে গ্রেপ্তার হয়েছেন। তিনি সিংড়া পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

    বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে সিংড়ায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সিংড়া থানার ওসি আসমাউল হক গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    জানা গেছে, ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় বিএনপি প্রার্থী দাউদার মাহমুদের গণসংযোগে বিএনপি নেতাদের ওপর হামলা, মারধর, ভাঙচুরের অভিযোগে গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর মামলা করা হয়। তাজপুর ইউনিয়ন যুবদলের সহসভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এ মামলায় সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ১৪ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।

    সিংড়া থানার ওসি আসমাউল হক বলেন, ২০২৪ সালে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে দায়েরকৃত মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।