Blog

  • ‘আমরা এক ভয়ংকর অপরাধীকে ভারতের হাতে তুলে দিচ্ছি, যিনি মুম্বাই হামলার অন্যতম অভিযুক্ত’

    ‘আমরা এক ভয়ংকর অপরাধীকে ভারতের হাতে তুলে দিচ্ছি, যিনি মুম্বাই হামলার অন্যতম অভিযুক্ত’

    ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর বড় ঘোষণা দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছেন, ২০০৮ সালে মুম্বাই হামলার অন্যতম অভিযুক্ত তাহাউর হুসেন রানাকে ভারতে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে ওয়াশিংটন সম্মতি দিয়েছে। ২৬/১১ হামলার এই মূল অভিযুক্ত বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের একটি উচ্চ-নিরাপত্তা সম্বলিত কারাগারে বন্দি। দীর্ঘদিন ধরে ভারত তার প্রত্যর্পণ চেয়ে আসছিল।

    এ বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা এক ভয়ংকর অপরাধীকে ভারতের হাতে তুলে দিচ্ছি, যিনি মুম্বাই হামলার অন্যতম অভিযুক্ত।’

    ২০২৫ সালের ২১ জানুয়ারি মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট তাহাউর রানার পর্যালোচনা আবেদন খারিজ করে দেয়, যা তার প্রত্যর্পণের পথকে সহজ করে দেয়। এরপর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত এবং প্রযোজ্য মার্কিন আইনের আলোকে, আমরা এখন পরবর্তী পদক্ষেপ মূল্যায়ন করছি।’ খবর এনডিটিভির।

    বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে ভারতের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে আসছি যাতে মুম্বাই সন্ত্রাসী হামলার অপরাধীরা ন্যায়বিচারের মুখোমুখি হয়।’

    যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ‘মুম্বাই হামলার এক অপরাধীকে ভারতের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে, যাতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ ও বিচারের আওতায় আনা যায়। আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে এই প্রক্রিয়া দ্রুত করার জন্য ধন্যবাদ জানাই।‘

    পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্যবসায়ী তাহাউর হুসেন রানা ২৬/১১ মুম্বাই হামলায় জড়িত ছিলেন এবং হামলার সময় তিনি পাকিস্তানের বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ও তাদের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন। রানার অন্যতম সহযোগী ছিলেন ডেভিড কোলম্যান হেডলি, যিনি পরবর্তীতে দোষ স্বীকার করে রানার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন।

    তাহাউর রানার বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখার অভিযোগও রয়েছে।

    মুম্বাই পুলিশের ৪০০ পৃষ্ঠার চার্জশিটে বলা হয়েছে, তাহাউর রানা ২০০৮ সালের ১১ নভেম্বর ভারতে আসেন এবং ২১ নভেম্বর পর্যন্ত এখানে অবস্থান করেন। তিনি মুম্বাইয়ের পওয়াই এলাকার রেনেসাঁ হোটেলে দুই দিন ছিলেন। মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চ তদন্তে দেখেছে যে, ডেভিড হেডলি ও তাহাউর রানার মধ্যে একাধিক ইমেইল যোগাযোগ হয়েছিল।

  • এমপি শাওনের কিলার বাহিনী দিয়ে সাগর-রুনিকে খুন করায় শেখ হাসিনা!

    এমপি শাওনের কিলার বাহিনী দিয়ে সাগর-রুনিকে খুন করায় শেখ হাসিনা!

    সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার ১৩ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো বিচার বা সঠিক তথ্য উদঘাটন হয়নি। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় তাদের। এতদিনে তদন্তের জন্য ১৫৫ বার সময় নেওয়া হলেও আদালতে কোনো প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি তদন্ত সংস্থাগুলো।

    প্রথমে থানা পুলিশ, পরে ডিবি এবং সিআইডি এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব নেয়। বর্তমানে র‍্যাব তদন্ত করছে। তবে এত বছর পরও হত্যার মোটিভ বা প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। এর মধ্যেই সম্প্রতি একটি ফোনালাপ ফাঁস হওয়ায় মামলাটি নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

    ফাঁস হওয়া অডিওতে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নূরনবী চৌধুরী শাওনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অডিওতে দাবি করা হয়েছে, সাগর-রুনি বিডিআর হত্যাকাণ্ডের একটি এক্সক্লুসিভ ভিডিও পেয়েছিলেন। সেই ভিডিও সিডি আকারে প্রস্তুত করার জন্য একটি স্টুডিওতে পাঠানো হয়েছিল, যা পরে ফাঁস হয়ে যায়।

    অডিওতে আরও বলা হয়েছে, সাগর-রুনিকে হত্যার জন্য একটি পরিকল্পিত মিশন পরিচালিত হয়, যা ছিল কমান্ডো স্টাইলে। সন্দেহ করা হচ্ছে, একটি বিশেষ দলের মাধ্যমে জানালার মাধ্যমে ফ্ল্যাটে ঢুকে এই হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়।
    অডিও অনুযায়ী, হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগ, সাগর-রুনির কাছে থাকা গুরুত্বপূর্ণ ফুটেজ ধ্বংস করার জন্যই তাদের হত্যা করা হয়।

    এখন পর্যন্ত এই মামলায় বিভিন্ন পর্যায়ের ১৬০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে এতদিনেও তদন্তকারীরা কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি অর্জন করতে পারেনি। অভিযোগ রয়েছে, সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে এই মামলার তদন্তে প্রভাব খাটানো হয়েছে।

    সাংবাদিক ও নাগরিক সমাজের অনেকেই মনে করেন, সরকারের প্রভাব ও সংশ্লিষ্টতার কারণে সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত শুরু থেকেই বাধাগ্রস্ত হয়েছে।

    ২০১২ সালে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন বলেছিলেন, “৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অপরাধীদের ধরা হবে।” তবে সেই ৪৮ ঘণ্টা এক যুগের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত সাগর-রুনির পরিবার ও সহকর্মীরা।

  • বিশ্বকাপে মদকে ‘না’, সমকামীদের ‘হ্যাঁ’ সৌদি আরবের

    বিশ্বকাপে মদকে ‘না’, সমকামীদের ‘হ্যাঁ’ সৌদি আরবের

    কাতারে ২০২২ বিশ্বকাপের সময়ও এ নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত বিশেষ ব্যবস্থায় শুধু ‘ফ্যানজোন’গুলোতে বিদেশি দর্শকের মদ্যপানের ব্যবস্থা রাখে কাতার। এবার সৌদি আরবকে ঘিরেও শুরু হয়েছে একই আলোচনা।

    সৌদি আরব ২০৩৪ বিশ্বকাপের আয়োজন স্বত্ত্ব পাওয়ার পর থেকেই গুঞ্জন ছিল, সেখানে বিশ্বকাপের সময় মদ্যপান নিষিদ্ধ থাকবে। থাকবেই-না কেন, এই দেশটিতে ১৯৫২ সালের পর থেকেই যে মদ পান নিষিদ্ধ। তবে অনেকে এ-ও ধারণা করেছিলেন যে, বিশ্বকাপের জন্য নিয়ম শিথিল করতে পারে সৌদি আরব।

    কিন্তু গতকাল ইংল্যান্ডে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত প্রিন্স খালিদ বিন বান্দার আল সৌদ জানিয়েছেন, বিশ্বকাপে সৌদি আরব সে দেশের চলমান রীতিতেই অটল থাকবে। দর্শকদের জন্য মদ পান নিষিদ্ধ থাকবে। স্টেডিয়ামে তো নয়ই, হোটেলসহ কোথাওই মদ বিক্রি করা হবে না বলে জানিয়েছেন প্রিন্স খালিদ।

    আরও পড়ুনঃ মায়ের খণ্ডিত মাথা উদ্ধারের পর এবার মিললো গর্তে পুঁতে রাখা শিশুর মরদেহ
    ইংল্যান্ডে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত খালিদ আরও বলেছেন, এই টুর্নামেন্ট দেখতে যাঁরা সৌদি আরবে যাবেন, তাঁদের দেশটির সংস্কৃতিকে সম্মান করা উচিত।

    ব্রিটিশ রেডিও স্টেশন এলবিসি-র সঙ্গে আলাপে গতকাল রাষ্ট্রদূত খালিদ বলেছেন, ‘এই মুহূর্তের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী (বিশ্বকাপে) মদ নিষিদ্ধ। মদ ছাড়াও অনেকভাবেই মজা করা যায়। এটা শতভাগ প্রয়োজনীয় নয়, আপনি পান করতে চাইলে সেটা (সৌদি ছেড়ে) চলে যাওয়ার পর করতে পারবেন। কিন্তু এই মুহূর্তে আমাদের মদের অনুমোদন নেই।’

    স্টেডিয়ামে প্রকাশ্যে না হলেও হোটেলে নিজের মতো করে মদ পান করতে পারবেন কি না দর্শক – এ নিয়ে প্রশ্নে সৌদি আরবের আবহাওয়ার সঙ্গে তুলনা করে মজা করেছেন রাষ্ট্রদূত খালি। সৌদি আরবের শুকনো আবহাওয়ার মতো দর্শকের গলাও মদ ছাড়া শুকনো থাকবে বোঝাতে বলেছেন, ‘না, কোনো অ্যালকোহলই থাকবে না। ব্যাপারটা অনেকটাই আমাদের দেশের আবহাওয়ার মতো – ড্রাই দেশ।’

    নিজেদের সংস্কৃতি মেনে সবাইকে সৌদি আরবে স্বাগত জানিয়ে প্রিন্স খালিদ বলেন, ‘সবারই নিজস্ব সংস্কৃতি আছে। আমরা নিজেদের সাংস্কৃতিক সীমার মধ্যে থেকে সবাইকে স্বাগত জানাতে চাই। কারও জন্য আমরা নিজেদের সংস্কৃতির পরিবর্তন চাই না।’

    সৌদি আরবে মদ যেমন নিষিদ্ধ, তেমনি সমকামীতাও নিষিদ্ধ। ট্রান্সজেন্ডারদের সৌদি আরব স্বীকৃতিই দেয় না। সেক্ষেত্রে সমকামী কিংবা ট্রান্সজেন্ডারদের জন্য সৌদি আরবে কী ব্যবস্থা থাকবে, তাঁদের একইভাবে স্বাগত জানানো হবে? এমন প্রশ্নে সৌদি আরবের এই রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন তাঁর দেশ সবাইকে স্বাগত জানাবে, ‘সৌদিতে আমরা সবাইকে স্বাগত জানাব। এটি সৌদির ইভেন্ট নয়, এটি একটি বৈশ্বিক ইভেন্ট। বৃহত্তর স্বার্থে আমরা সবাইকে স্বাগত জানাব যারা আসতে চান।’

    গেল বিশ্বকাপেও কাতারে মদ ও সমকামীদের যাওয়া নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু বিশ্বকাপ শুরুর আগে স্টেডিয়ামে কিছু নির্দিষ্ট এলাকা ও হোটেলে দর্শকদের মদ পানের সুযোগ রেখে নিয়ম জারি করা হয়েছিল।

    বর্তমানে সৌদি আরবের রিয়াদে কূটনীতিকদের জন্য একটি মদের দোকান রয়েছে, যেটি গত বছর খোলা হয়েছিল। এই দোকান থেকে শুধুমাত্র কূটনীতিকরা মদ পান করতে পারবেন, সে ক্ষেত্রে তাঁদের সাথে থাকতে হবে পরিচয়পত্র।

    অবশ্য সৌদি আরবের বিশ্বকাপ আয়োজনে এখনো ৯ বছর বাকি। বিশ্বকাপ আসতে আসতে কাতারের মতো সিদ্ধান্তে বদল আসে কি না, সেটি দেখার ব্যাপার হবে।

  • আলোচনায় শিক্ষার্থীদের দলের ৮ নাম, ৩ হাসনাত প্রতীক

    আলোচনায় শিক্ষার্থীদের দলের ৮ নাম, ৩ হাসনাত প্রতীক

    জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা আসতে পারে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি। তবে দলটির নাম ও প্রতীক কী হবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। একটি সূত্রে জানা গেছে, নামের জন্য সম্ভাব্য আটটি বিকল্প রয়েছে ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের কাছে। আর সমর্থনের বিচারে এগিয়ে আছে তিনটি প্রতীক। তবে আরেকটি সূত্র বলছে, বিএনপির মতো ইংরেজি নাম খুঁজছেন তারা।

    সূত্র জানায়, সম্ভাব্য আটটি নামের মধ্য থেকে জুলাই আন্দোলনের নেতাদের মতামতের ভিত্তিতে একটি নাম চূড়ান্ত হবে। এগুলো হলো—বিপ্লবী জনতা সংগ্রাম পার্টি, জাতীয় বিপ্লবী শক্তি, বৈষম্যবিরোধী নাগরিক আন্দোলন, বাংলাদেশ নাগরিক দল, জাতীয় নাগরিক কমিটি, ছাত্র-জনতা পার্টি, জাতীয় জনশক্তি পার্টি ও জাতীয় নাগরিক শক্তি। এই নামগুলোর মধ্যে আবার জাতীয় বিপ্লবী শক্তি, বিপ্লবী জনতা সংগ্রাম পার্টি ও বৈষম্যবিরোধী নাগরিক আন্দোলনের পক্ষেই বেশি সমর্থন মিলছে বলে জানিয়েছে ওই সূত্র।

    তবে আরেকটি সূত্রের দাবি, এই আট নাম আর বিবেচনায় নেই। বাংলা-ইংরেজির মিশেলে একটি নাম পাবে শিক্ষার্থীদের দল। কারণ, তাদের আন্দোলনের প্রতিটি কর্মসূচির নামই ছিল ইংরেজিতে। এ কারণে দলের নামও ইংরেজিতে করার কথা ভাবা হচ্ছে।

    এদিকে নতুন দলের নির্বাচনী প্রতীক কী হবে, তা নিয়েও চলছে জোর আলোচনা। এখন পর্যন্ত সম্ভাব্য চারটি প্রতীক নিয়েই বেশি কথা হয়েছে। এগুলো হলো—মুষ্টিবদ্ধ হাত, হাতি, রয়েল বেঙ্গল টাইগার ও ইলিশ। এর মধ্যে ইলিশ বাদে বাকি তিনটি প্রতীকই বেশি সমর্থন পাচ্ছে বলে জানা গেছে।

    সূত্র জানিয়েছে, শিক্ষার্থীদের দলের মূল নেতৃত্বে থাকবে দেশের তরুণ সমাজ। যাদের বয়স ২১ থেকে সর্বোচ্চ ৪৫ বছর। তবে দলে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রবীণদের দায়িত্ব না দেওয়া ঘিরে সমালোচনা রয়েছে। সমালোচকদের যুক্তি, যে কোনো সংগঠন কিংবা রাজনৈতিক দলে অভিজ্ঞতা গুরুত্বপূর্ণ ‘ফ্যাক্টর’ হিসেবে কাজ করে।

    শিক্ষার্থীদের সমর্থন দিচ্ছেন যারা: বিশিষ্ট রাষ্ট্রচিন্তক ও বুদ্ধিজীবী ফরহাদ মজহার, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, একটি জাতীয় পত্রিকার সম্পাদক, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি প্রমুখ শিক্ষার্থীদের দল গঠনে সমর্থন দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। তবে শিক্ষার্থীরা তা স্বীকার করছেন না।

    জেলা-উপজেলায় ৪০০ কমিটি: নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশের উদ্দেশ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা এরই মধ্যে দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে চার শতাধিক কমিটি গঠন করেছেন। এসব কমিটিতে প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থীকে পদ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মেডিকেল কলেজ, সাংস্কৃতিক অঙ্গনসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কমিটি গঠন অব্যাহত রয়েছে।

    পুলিশ, সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাদের দলে টানার চেষ্টা: সূত্র জানিয়েছে, এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন সাবেক সেনা কর্মকর্তা নতুন দলে যোগ দিতে ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এ ছাড়া তালিকায় আছেন প্রবীণ সাংবাদিক ও বেশ কয়েকজন শীর্ষ ব্যবসায়ীও। এর বাইরে ছাত্র নেতারা ব্যক্তিগতভাবেও সাবেক সেনা কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, এনজিও ব্যক্তিত্বদের টার্গেট করে দলে ভেড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

    নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়া হবে যাদের: সূত্র জানায়, আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী সমন্বয়ক, অবসরপ্রাপ্ত সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি, এনজিও এবং বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলনে জড়িত ব্যক্তিদের আগামী নির্বাচনে দলের প্রার্থী করবে ছাত্ররা। এ ছাড়া স্বচ্ছ ভাবমূর্তি সম্পন্ন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও পরিচিত মুখ, অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সভাপতি/সেক্রেটারি যারা নিজ নিজ এলাকায় প্রভাব বিবেচনায় ভোটের মাঠে জয়ী হতে পারেন এবং অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের বাইরে ধর্মীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গকেও নির্বাচনে মনোনয়ন দেবে ছাত্রদের গঠিত দল।

    যে কারণে দল করছেন শিক্ষার্থীরা: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা জানান, দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর অতীতের অনিয়ম, দুর্নীতি, লুটপাট, আইনের অপপ্রয়োগ, বিচারহীনতা, নির্বাচন ব্যবস্থার ক্ষতিসাধন, সংবিধান সংশোধনের নামে কাটাছেঁড়া ইত্যাদির মতো গণবিরোধী কর্মকাণ্ড ভবিষ্যতে যেন ঘটতে না পারে, সে বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে সরকার দেশের উল্লেখযোগ্য সেক্টরগুলোতে সংস্কারে হাত দিয়েছে। এজন্য শিক্ষার্থীরাও বিগত সময়ের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নতুনভাবে দেশ গঠনের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দিয়েছে।

  • স্টারলিংক আনতে ইলন মাস্কের সঙ্গে ড. ইউনূসের যে আলোচনা হলো

    স্টারলিংক আনতে ইলন মাস্কের সঙ্গে ড. ইউনূসের যে আলোচনা হলো

    স্টারলিংক সেবা বাংলাদেশে আনতে স্পেসএক্স, টেসলা প্রতিষ্ঠাতা ও এক্সের (সাবেক টুইটার) মালিক ইলন মাস্কের সঙ্গে আলোচনা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। পাশাপাশি, ইলন মাস্ককে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

    বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ইলন মাস্কের সঙ্গে ভিডিওকলে ভবিষ্যতের সহযোগিতা এবং বাংলাদেশে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা চালু করার বিষয়ে আরও অগ্রগতি অর্জনের জন্য একটি বিস্তৃত আলোচনার প্রাক্কালে তিনি এই আমন্ত্রণ জানান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এই তথ্য জানায়।

    বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন রোহিঙ্গা সংকট ও অগ্রাধিকার বিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, স্পেস এক্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট লরেন ড্রেয়ার ও গ্লোবাল এনগেজমেন্ট অ্যাডভাইজার রিচার্ড গ্রিফিথস।

    আলাপকালে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং ইলন মাস্ক স্টারলিংকের স্যাটেলাইট যোগাযোগের রূপান্তরমূলক প্রভাব, বিশেষ করে বাংলাদেশের উদ্যোগী যুবক, গ্রামীণ ও ঝুঁকিপূর্ণ নারী এবং প্রত্যন্ত জনগোষ্ঠীর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

    উচ্চগতির ও স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেট সংযোগ কীভাবে বাংলাদেশের ডিজিটাল বৈষম্য দূর করতে পারে, সুবিধাবঞ্চিত অঞ্চলে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ক্ষমতায়ন এবং দেশের লাখ লাখ ক্ষুদ্র ও অতিক্ষুদ্র উদ্যোক্তাকে জাতীয় সীমানার বাইরে প্রবেশাধিকার দেওয়ার উপায় নিয়ে এ সময় আলোচনা করা হয়।

    ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের অবকাঠামোতে স্টারলিংকের কানেক্টিভিটি যুক্ত করা হলে লাখ লাখ মানুষের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং বৈশ্বিক ডিজিটাল অর্থনীতির সঙ্গে দেশকে আরও ঘনিষ্ঠভাবে একীভূত করা হবে।

    তিনি বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে প্রযুক্তিচালিত সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্ণ সম্ভাবনা উন্মোচনে মাস্কের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

    ড. ইউনূস বলেন, স্টারলিংক গ্রামীণ ব্যাংক ও গ্রামীণ ফোনের একটি সম্প্রসারিত অংশ হতে পারে, যা গ্রামের নারী ও তরুণদের বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। তারা বৈশ্বিক উদ্যোক্তায় পরিণত হবে।

    ইলন মাস্ক গ্রামীণ ব্যাংকের ক্ষুদ্রঋণ মডেলের প্রশংসা করে দারিদ্র্য বিমোচনে এর বৈশ্বিক প্রভাবের কথা সম্পর্কে জানান।

    টেসলা মোটরসের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক বলেন, তিনি অনেক বছর ধরে গ্রামীণ ব্যাংক ও গ্রামীণ পল্লী ফোনের উভয়ের কাজের সঙ্গে পরিচিত।

    স্টারলিংকের মতো প্রযুক্তিগত অগ্রগতিকে কাজে লাগানো বাংলাদেশে উদ্ভাবন, অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন এবং আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে আরও ত্বরান্বিত করতে পারে বলে তিনি দৃঢ় বিশ্বাস ব্যক্ত করেন।

    ড. ইউনূস স্টারলিংক সেবার সম্ভাব্য চালুর জন্য ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং জাতীয় উন্নয়নে এই উদ্যোগের তাৎপর্য তুলে ধরেন, যার প্রতি মাস্ক ইতিবাচক সাড়া দেন। মাস্ক বলেন, ‘আমি এটির জন্য উন্মুখ হয়ে আছি।’

    এই সম্পৃক্ততা বাংলাদেশে উন্নত স্যাটেলাইট সংযোগ আনা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি এবং দেশজুড়ে উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    উভয় পক্ষ এই উদ্যোগে দ্রুত অগ্রগতি আনতে সম্মত হয়েছে এবং হাই রিপ্রেজেন্টটটিভ খলিলুর রহমান, মিসেস ড্রায়ার এবং মি. গ্রিফিথসকে আরও কাজের সমন্বয় করার নির্দেশ দিয়েছেন।

  • এমপি শাওনের কিলার বাহিনী দিয়ে সাগর-রুনিকে খুন করায় শেখ হাসিনা!

    এমপি শাওনের কিলার বাহিনী দিয়ে সাগর-রুনিকে খুন করায় শেখ হাসিনা!

    সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার ১৩ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো বিচার বা সঠিক তথ্য উদঘাটন হয়নি। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় তাদের। এতদিনে তদন্তের জন্য ১৫৫ বার সময় নেওয়া হলেও আদালতে কোনো প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি তদন্ত সংস্থাগুলো।
    প্রথমে থানা পুলিশ, পরে ডিবি এবং সিআইডি এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব নেয়। বর্তমানে র‍্যাব তদন্ত করছে। তবে এত বছর পরও হত্যার মোটিভ বা প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। এর মধ্যেই সম্প্রতি একটি ফোনালাপ ফাঁস হওয়ায় মামলাটি নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

    ফাঁস হওয়া অডিওতে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নূরনবী চৌধুরী শাওনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অডিওতে দাবি করা হয়েছে, সাগর-রুনি বিডিআর হত্যাকাণ্ডের একটি এক্সক্লুসিভ ভিডিও পেয়েছিলেন। সেই ভিডিও সিডি আকারে প্রস্তুত করার জন্য একটি স্টুডিওতে পাঠানো হয়েছিল, যা পরে ফাঁস হয়ে যায়।

    অডিওতে আরও বলা হয়েছে, সাগর-রুনিকে হত্যার জন্য একটি পরিকল্পিত মিশন পরিচালিত হয়, যা ছিল কমান্ডো স্টাইলে। সন্দেহ করা হচ্ছে, একটি বিশেষ দলের মাধ্যমে জানালার মাধ্যমে ফ্ল্যাটে ঢুকে এই হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়।

    অডিও অনুযায়ী, হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগ, সাগর-রুনির কাছে থাকা গুরুত্বপূর্ণ ফুটেজ ধ্বংস করার জন্যই তাদের হত্যা করা হয়।
    এখন পর্যন্ত এই মামলায় বিভিন্ন পর্যায়ের ১৬০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে এতদিনেও তদন্তকারীরা কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি অর্জন করতে পারেনি। অভিযোগ রয়েছে, সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে এই মামলার তদন্তে প্রভাব খাটানো হয়েছে।

    সাংবাদিক ও নাগরিক সমাজের অনেকেই মনে করেন, সরকারের প্রভাব ও সংশ্লিষ্টতার কারণে সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত শুরু থেকেই বাধাগ্রস্ত হয়েছে।

    ২০১২ সালে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন বলেছিলেন, “৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অপরাধীদের ধরা হবে।” তবে সেই ৪৮ ঘণ্টা এক যুগের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত সাগর-রুনির পরিবার ও সহকর্মীরা।

    সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=ioCzb40xCyc

  • নোয়াখালীতে ৫ দিনে আ. লীগের ৫৬ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

    নোয়াখালীতে ৫ দিনে আ. লীগের ৫৬ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

    নোয়াখালীতে ৫ দিনে আ. লীগের ৫৬ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার (more…)

  • ২ সহকর্মীকে হ’ত্যার পর পুলিশ সদস্যের আত্মহ’ত্যা

    ২ সহকর্মীকে হ’ত্যার পর পুলিশ সদস্যের আত্মহ’ত্যা

    ভারতের মণিপুর রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়ার পরপরই ফের সহিংসতার ঘটনা ঘটল। উত্তর-পূর্বের রাজ্যটির একটি সিআরপিএফ ক্যাম্পে সহকর্মীদের উপর গুলি চালালেন এক পুলিশ সদস্য। গুলিতে দেশটির কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) সদস্য নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও আটজন। গুলি করার পর ওই পুলিশ সদস্যও আত্মহত্যা করেছেন।

    ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে রাজ্যের ইম্ফল পশ্চিম জেলার লামফেলে বাহিনীর ক্যাম্পে এই ঘটনা ঘটে। হতাহতরা বাহিনীর ১২০তম ব্যাটালিয়নের সদস্য ছিলেন বলে জানিয়েছে মণিপুর পুলিশ।

    পুলিশ জানিয়েছে, ‘একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা, আজ রাত আনুমানিক ৮ টায়, ইম্ফল পশ্চিম জেলার অন্তর্গত লামসাং-এর একটি সিআরপিএফ ক্যাম্পের ভিতরে এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে। সেখানে একজন সিআরপিএফ জওয়ান গুলি চালিয়ে ঘটনাস্থলেই তার নিজের দুইজন সিআরপিএফ সহকর্মীকে হত্যা করেছে এবং আটজন আহত হয়েছেন। পরে সেও অস্ত্র দিয়ে আত্মহত্যা করে। ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছেন পুলিশ ও সিআরপিএফ-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।’

    এ ঘটনায় আহত সদস্যদের ইম্ফলের রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে (আরআইএমএস) স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এদিকে, মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করেছে দেশটি। ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়ে সম্প্রতি পদত্যাগ করেন বিজেপি শাসিত মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংহ। মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের চার দিনের মাথায় বৃহস্পতিবার সহিংসতা কবলিত মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়।

  • নামাজ শেষে ফিরে এসে দেখেন বিছানায় স্ত্রীর রক্তাক্ত লাশ, ছেলে আটক

    নামাজ শেষে ফিরে এসে দেখেন বিছানায় স্ত্রীর রক্তাক্ত লাশ, ছেলে আটক

    ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের আনন্দপুর গ্রামে নাসিমা আক্তার (৪৫) নামে এক নারীকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে নিজ ঘরের বিছানা থেকে তার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। খুন হওয়া নাসিমা আনন্দপুর গ্রামের মিজান মোল্লার স্ত্রী।

    এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ওই নারীর মাদকাসক্ত ছেলে সিয়ামকে (১৯) আটক করেছে। প্রাথমিকভাবে সিয়াম পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে। নিহতের লাশ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

    স্থানীয় ইউপি সদস্য মুসা মিয়া জানান, ওই নারীর স্বামী শুক্রবার ভোরে নামাজ পড়তে মসজিদে যান। ফিরে এসে দেখেন বিছানাতেই নাসিমা আক্তারের লাশ পড়ে আছে। খবর পেয়ে পুলিশ আসে। পরে জানা যায়, ছেলে সিয়াম তার মাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করেছে। সিয়াম মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় চলাফেরা করতো।

    আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ছমিউদ্দিন জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে হত্যাকাণ্ডের শিকার নাসিমা আক্তারের ছেলে সিয়ামকে আটক করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে সিয়াম অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছেন। সে পুলিশকে প্রথমে জানায়, প্রায়ই সে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতো। তাকে বারবার ফিরিয়ে আনার ক্ষোভ থেকে সে তার মাকে হত্যা করেছে।

    আবার জানায়, জায়গাজমি নিয়ে তার মামাদের সঙ্গে বিরোধ ছিল। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। আগামী রবিবার এ নিয়ে গ্রাম্য সালিশ হওয়ার কথা ছিল। মামাদের ফাঁসানোর জন্যই মাকে হত্যা করেছে।

    ওসি জানান, ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলায় সিয়ামকে গ্রেফতার দেখানো হবে।

  • আবু সাঈদের সংবাদ প্রচার ও ভিডিও ধারণের জন্য সম্মাননা পেলেন যমুনা টিভির দুই সাংবাদিক

    আবু সাঈদের সংবাদ প্রচার ও ভিডিও ধারণের জন্য সম্মাননা পেলেন যমুনা টিভির দুই সাংবাদিক

    জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম শহিদ আবু সাঈদের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ভিডিও ধারণ এবং সবার আগে সংবাদ প্রচার করায় যমুনা টেলিভিশনের সিনিয়র করেসপন্ডেট ও রংপুরের ব্যুরো প্রধান সরকার মাজহারুল মান্নান ও ক্যামেরাপারসন আলমগীর হোসেনকে বিশেষ সম্মাননা দিয়েছে যমুনা টেলিভিশন।

    বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে টেলিভিশনটি কার্যালয়ে তাদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান সালমা ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন যমুনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শামীম ইসলাম, গ্রুপ পরিচালক সোনিয়া সারিয়াত, মনিকা নাজনীন ইসলাম, সুমাইয়া রোজালিন ইসলাম, এসএম আব্দুল ওয়াদুদ, যমুনা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহিম আহমেদ, দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক আবদুল হাই শিকদারসহ আরও অনেকে।

    এর আগে, জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এদিন পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে যমুনা টেলিভিশন। এতে উৎসবমুখর পরিবেশে অংশগ্রহণ করেন প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত সকলে।

    জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যমুনা টেলিভিশনের ভূমিকা তুলে ধরে যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান সালমা ইসলাম বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অনেক কষ্টের ভেতর দিয়ে সফল হয়েছে। এই আন্দোলনে যমুনা টেলিভিশনের সাংবাদিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সবার আগে সংবাদ সংগ্রহ ও প্রচার করেছে। যমুনা টেলিভিশনের প্রশংসা শুনে আমাদের গর্ব হয়। এখানেই শেষ নয়, এই সফলতা সবাইকে ধরে রাখতে হবে। যমুনা টেলিভিশনকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে। যমুনা গ্রুপ আপনাদের পাশে ছিল এবং আগামীতেও থাকবে।

    যমুনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামকে স্মরণ করে সালমা ইসলাম বলেন, যমুনা টিভি একদিন এক নাম্বার হবে, এমন স্বপ্ন নিয়ে এটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম। তার স্বপ্ন ছিল বিশ্বের সবাই যমুনা টিভিকে এক নামে চিনবে। সত্যিই আজকে যমুনা টিভি নাম্বার ওয়ান হয়েছে এবং মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে।

    যমুনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শামীম ইসলাম বলেন, অনেক দিন আমাদের সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠ অবরুদ্ধ ছিল। এখন গণমাধ্যম অনেকটাই স্বাধীন। এই স্বাধীনতা পাওয়ায় আমাদের দায়িত্ব আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। ঐক্য, সততা ও দায়িত্ববোধ ধরে রেখে আরও এগিয়ে যেতে হবে।

    যমুনা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহিম আহমেদ বলেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে যমুনা টেলিভিশনের সবাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংবাদ প্রচার করেছে। সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে অনেকে আহত হয়েছেন। কিন্তু সত্য প্রকাশে কেউ পিছপা হননি। আন্দোলনের সময় সবাই আস্থা রেখেছে যমুনা টেলিভিশনে। আমরা এই সফলতা ধরে রেখে এগিয়ে যেতে চাই।

    দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক আবদুল হাই শিকদার বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যমুনা টেলিভিশন অনেক বড় ভূমিকা পালন করেছে। এর থেকে অনেক ছোট কাজ করেও অনেকে একুশে ও স্বাধীনতা পদক পেয়েছেন। আমার দাবি, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ভূমিকা রাখায় যমুনাকে স্বাধীনতা পদক দেয়া হোক। কারণ যমুনাকে স্বাধীনতা পদক দিলে বিপ্লবের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশিত হবে এবং যমুনার মতো আরও অনেক প্রতিষ্ঠান উৎসাহিত হবে।

    অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন যমুনা টেলিভিশনের প্রধান বার্তা সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম ও প্ল্যানিং এডিটর রোকসানা আনজুমান নিকোল।