Blog

  • চাঁদার অভিযোগে সন্তানসহ বিএনপি নেতা আটক, কর্মীদের সড়ক অবরোধ

    চাঁদার অভিযোগে সন্তানসহ বিএনপি নেতা আটক, কর্মীদের সড়ক অবরোধ

    নাটোরের লালপুর উপজেলায় চাঁদাবাজির অভিযোগে ওয়ার্ড বিএনপির নেতাসহ তাঁর দুই ছেলেকে আটকের প্রতিবাদে থানার সামনে দফায় দফায় বিক্ষোভ ও মহাসড়ক অবরোধ করেছেন কর্মী-সমর্থকেরা। আজ শনিবার দুপুরে লালপুর থানার সামনে বিক্ষোভ ও মহাসড়কে অবরোধ করা হয়।

    আটক ব্যক্তিরা হলেন লালপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক খোকন খাঁ, তাঁর দুই ছেলে ছাত্রদল কর্মী অনিক খাঁ ও ফিরোজ খাঁ। গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার লালপুর কলোনিপাড়া থেকে তাঁদের আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

    স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সকাল আটটার দিকে বিএনপির কর্মী-সমর্থকেরা তাঁদের মুক্তির দাবিতে লালপুর থানার সামনে বিক্ষোভ করেন। এ সময় ঈশ্বরদী-বানেশ্বর আঞ্চলিক মহাসড়কে বেঞ্চ ফেলে ও টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করা। কিছুক্ষণ পর পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন অবরোধকারীরা। পরে বেলা একটার দিকে পুলিশ তাঁদের ছেড়ে না দিলে বিক্ষোভকারীরা আবার ঈশ্বরদী-লালপুর-বাঘা ও লালপুর-নাটোর সড়ক অবরোধ করেন। এতে দুটি সড়কে শত শত যানবাহন আটকে যায় এবং চরম ভোগান্তিতে পড়েন পথচারীরা।

    বেলা একটার দিকে পুলিশ আটক তিনজনকে ছেড়ে না দিলে বিক্ষোভকারীরা আবার ঈশ্বরদী-লালপুর-বাঘা ও লালপুর-নাটোর সড়ক অবরোধ করেন
    বেলা একটার দিকে পুলিশ আটক তিনজনকে ছেড়ে না দিলে বিক্ষোভকারীরা আবার ঈশ্বরদী-লালপুর-বাঘা ও লালপুর-নাটোর সড়ক অবরোধ করেনছবি: প্রথম আলো
    বিকেল পাঁচটার দিকে এই প্রতিবেদন লেখার সময়ও সড়কদুটিতে বিক্ষোভ চলছিল। তবে তখন এক পাশ দিয়ে গাড়ি চলাচল করতে দেখা যায়।

    লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুজ্জামান রাজু বলেন, গতকাল রাতে চাঁদাবাজির অভিযোগে সেনাবাহিনী তিনজনকে আটকের পর থানায় হস্তান্তর করে। সকালে তাঁদের মুক্তির দাবিতে সমর্থকেরা থানার সামনে এসে বিক্ষোভ করেন। পরে পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দিলে ঈশ্বরদী-বানেশ্বর আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করেন। বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন অবরোধকারীরা। পরে তাঁরা আবার অবরোধ করেন। আটক ব্যক্তিদের জনশৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

  • জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চাই না: পার্থ

    জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চাই না: পার্থ

    জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চান না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠক শেষে ফরেন সার্ভিস একাডেমির সামনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

    পার্থ বলেন, বৈঠকে ছোট ছোট পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। নির্বাচন কবে হবে, কোন কোন দল দ্রুত নির্বাচন চায়, এসব নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তবে আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চাই না।

    তিনি আরও বলেন, সাড়ে ৪ হাজার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতার শঙ্কা রয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অনেক বেশি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। বাস্তব পরিস্থিতি ভিন্ন।

    আওয়ামী লীগকে অনেকেই মেনে নেয় না, নেবেও না উল্লেখ করে পার্থ আরও বলেন, এই সহিংসতা যেন না হয়, স্থিতিশীলতা বজায় থাকে, সেটিই আমাদের মূল দাবি। কোনো ধরনের সংস্কারের জন্য যেন জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত না হয়, সে বিষয়ে আমরা আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছি।

    তবে বৈঠকে অনেক রাজনৈতিক দল জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে মত দিয়েছে বলেও জানান পার্থ।

  • ইয়াবাসহ যুবদলের সাবেক নেতা গ্রেফতার

    ইয়াবাসহ যুবদলের সাবেক নেতা গ্রেফতার

    ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে মাদকবিরোধী অভিযানে বিজয়নগর উপজেলা যুবদলের সাবেক সদস্যসচিবসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে উপজেলার আশুগঞ্জ গোলচত্বর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। দুজনের কাছ থেকে ৩৫০ পিস ইয়াবাসহ একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।

    গ্রেফতারকৃতরা হলেন বিজয়নগর উপজেলার মাদবেরবাগ এলাকার আনোয়ার হোসেন (৩৮) ও একই উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের খাটিঙ্গা গ্রামের রফিকুল ইসলাম (৪২)। রফিকুল ইসলাম বিজয়নগর উপজেলা যুবদলের সাবেক সদস্যসচিব।

    পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আশুগঞ্জ গোলচত্বর পিডিবি কার্যালয়ের পাশে বিল্লালের চায়ের দোকানের সামনে পাকা রাস্তার এলাকায় অভিযান চালিয়ে আনোয়ার ও রফিকুলকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ৩৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। সে সময় একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃত আনোয়ার ও রফিকুল বিজয়নগর উপজেলার চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী।

    আরও পড়ুনঃ সেমিনারে পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ নয়াদিল্লির
    আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘ইয়াবাসহ দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। শনিবার আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

  • আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি হেফাজতে ইসলামের

    আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি হেফাজতে ইসলামের

    জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।

    শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সংবাদমাধ্যমে এক বিবৃতিতে এ দাবি জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী এবং মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান।

    বিবৃতিতে তারা বলেন, জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-চেকিং মিশনের দীর্ঘ অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার দোসরদের ভয়াবহ মানবতাবিরোধী অপরাধগুলো তথ্য-প্রমাণসহ ওঠে এসেছে। হাসিনার পরিকল্পনা ও নির্দেশে তার আজ্ঞাবাহী বাহিনীর সদস্যরা গুম-খুন ও নির্যাতনে নৃশংসতার সমস্ত সীমা ছাড়িয়েছে।

    তারা আরো বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ড, গুম-খুন, ৫ মে ও চব্বিশের গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। তা নাহলে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ একদণ্ডও শান্তিতে থাকতে দিবে না এদেশের সরকার ও জনগণকে। তারা একের পর এক স্যাবোট্যাজ ঘটিয়ে ছাত্র নেতৃত্ব ও তৌহিদি জনতাকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। কালচারাল ঘরানার ফ্যাসিবাদপন্থী আওয়ামী লোকজন আবারও মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে। গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষগুলোর মধ্যে তারা বিভেদ-বিভক্তি ছড়িয়ে দিতে তৎপর।

    নেতৃবৃন্দ বলেন, ভারত এখনও শত্রুরাষ্ট্রের মতো আচরণ করছে। হাসিনা-পরবর্তী নতুন বাংলাদেশকে এখনও তারা মেনে নিতে পারছে না। বরং তাদের আশ্রয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে একের পর এক ষড়যন্ত্র করার সুযোগ দিয়ে যাচ্ছে। তাই গুম-খুন ও গণহত্যার দায়ে হাসিনার বিচারকাজ ত্বরান্বিত করতে হবে।

    সে সাথে বিভিন্ন বাহিনীতে তার অনুগত চিহ্নিত দোসরদেরও দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। তাহলেই গণঅভ্যুত্থানকারী ছাত্র-জনতার জুলাই বিপ্লব সুরক্ষিত হবে বলে আমরা মনে করি।

  • বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকরি, বয়স সাড়ে ১৬ হলেই আবেদন

    বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকরি, বয়স সাড়ে ১৬ হলেই আবেদন

    জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। প্রতিষ্ঠানটি ৯৫তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সে ‘কমিশন্ড অফিসার’ নিয়োগে প্রকাশ করেছে এ বিজ্ঞপ্তি। আবেদন ৩ জানুয়ারি শুরু হয়েছে—চলবে ২১ মার্চ পর্যন্ত। আগ্রহী প্রার্থীদের আগামী ২১ মার্চের মধ্যে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

    আবেদনের যোগ্যতা—

    *মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষায় যে কোনো একটিতে জিপিএ-৫ এবং অন্যটিতে জিপিএ-৪.৫০ পেতে হবে;

    *ইংরেজি মাধ্যমের হলে ‘ও’ লেভেলে ৬টি বিষয়ের মধ্যে ন্যূনতম ৩টিতে ‘এ’ গ্রেড, ৩টিতে ‘বি’ গ্রেড এবং ‘এ’ লেভেলে ২টি বিষয়েই ন্যূনতম ‘বি’ গ্রেড পেয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। অথবা,

    *‘ও’ লেভেলে ৬টি বিষয়ের মধ্যে ন্যূনতম ২টিতে ‘এ’ গ্রেড, ৩টিতে ‘বি’ গ্রেড এবং একটিতে ‘সি’ গ্রেড এবং ‘এ’ লেভেলে ২টি বিষয়ের মধ্যে একটিতে ‘এ’ গ্রেড এবং একটিতে ‘বি’ গ্রেড পেয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে;

    *২০২৫ সালের এইচএসসি বা ‘এ’ লেভেলের পরীক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে প্রার্থীদের অবশ্যই এসএসসিতে জিপিএ-৫ এবং ‘ও’ লেভেলে ৬টি বিষয়ের মধ্যে ন্যূনতম ৩টিতে ‘এ’ গ্রেড, ৩টিতে ‘বি’ গ্রেড বা সমমানের ফলাফল থাকতে হবে;

    আরও পড়ুনঃ যুক্তরাষ্ট্রে গোলাগুলিতে ২ বাংলাদেশি নিহত
    অন্যান্য যোগ্যতা—

    *অবশ্যই অবিবাহিত হতে হবে;

    *বয়স সাড়ে ১৬ থেকে ২১ বছরের মধ্যে হতে হবে (১ জানুয়ারি ২০২৬ তারিখে);

    *সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়স ১৮ থেকে ২৩ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য;

    *পুরুষ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি, বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ৩০ ও প্রসারিত অবস্থায় ৩২ ইঞ্চি এবং ওজন ৫৪ কেজির মধ্যে হতে হবে;

    *নারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে উচ্চতা ৫ ফুট ১ ইঞ্চি, বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ২৮ ও প্রসারিত অবস্থায় ৩০ ইঞ্চি এবং ওজন ৪৬ কেজির মধ্যে হতে হবে।

    আবেদন যেভাবে—

    আগ্রহী প্রার্থীরা এখানে ক্লিকের পর ‘অ্যাপ্লাই নাউ’ বাটনে ক্লিক করে আবেদন করতে পারবেন;

    আবেদন ফি—

    টেলিটক, ভিসা/মাস্টার কার্ড, ট্যাপ, বিকাশ, নগদ অথবা রকেটের মাধ্যমে ১,০০০ টাকা আবেদন ফি এবং অনলাইন রেজিস্ট্রেশন ফি ১,০০০ টাকাসহ মোট ২,০০০ টাকা জমা দিতে হবে;

    আরও পড়ুনঃ সরকারি অফিসে দুই এক পয়সা না দিলে অফিস চলেনা, এটা তো সিস্টেম: উপ-খাদ্য পরিদর্শক
    স্বাস্থ্য ও মৌখিক পরীক্ষা—

    স্বাস্থ্য ও মৌখিক পরীক্ষা আগামী ১৫ থেকে ৩০ এপ্রিল তারিখে বিভিন্ন সেনানিবাসে অনুষ্ঠিত হবে;

    লিখিত পরীক্ষা—

    প্রাথমিক নির্বাচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ গণিত ও সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। আগামী ৯ মে ২০২৫ (শুক্রবার) সকাল ৯টায় লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে;

    আইএসএসবি পরীক্ষা—

    লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ঢাকা সেনানিবাসে অবস্থিত আইএসএসবিতে সাক্ষাৎকারের জন্য নির্ধারিত তারিখে উপস্থিত হতে হবে;

    চূড়ান্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষা—

    আইএসএসবি পরীক্ষার পর উত্তীর্ণ প্রার্থীদের চূড়ান্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে;

    চূড়ান্ত নির্বাচন—

    স্বাস্থ্য পরীক্ষায় চূড়ান্ত যোগ্যতা অর্জনকারী প্রার্থীদের সেনা সদর, এজির শাখা, পিএ পরিদপ্তরের মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হবে এবং যোগদানবিষয়ক নির্দেশিকা প্রদান করা হবে;

    বিএমএ প্রশিক্ষণ —

    চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের বিএমএতে ৩ বছরের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে। প্রশিক্ষণ শেষে প্রার্থীরা ‘লেফটেন্যান্ট’ পদে কমিশন লাভ করবেন;

    আরও পড়ুনঃ নাটোরে চার আসনে জামায়াতের প্রার্থী ঘোষণা
    বেতন—

    সরকার নির্ধারিত বেতনক্রম অনুযায়ী বেতন প্রাপ্ত হবেন অফিসার ক্যাডেটরা;

    অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা—

    *প্রশিক্ষণের বিভিন্ন পর্যায়ে ও কমিশন পাওয়ার পর ক্যাডেট ও অফিসাররা বিদেশে প্রশিক্ষণ গ্রহণের সুযোগ পাবেন;

    *ব্যক্তিগত যোগ্যতার ভিত্তিতে স্নাতকোত্তর, এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন;

    *বাসস্থানের সুযোগ প্রাপ্ত হবেন;

    *সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাসুবিধা পাবেন। এ ছাড়া দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হলে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনে বিধি মোতাবেক নগদ অর্থসহ বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ পাবেন;

    *সন্তানদের সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত স্কুল/কলেজ, ক্যাডেট কলেজ, আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ এমআইএসটি ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসে যোগ্যতা অনুযায়ী শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাবেন;

    আবেদনের শেষ তারিখ: আগামী ২১ মার্চ ২০২৫;

    আবেদনপদ্ধতিসহ অন্যান্য বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন, অথবা পরিচালক, পারসোনেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন পরিদপ্তর, অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল শাখা, সেনাবাহিনী সদর দপ্তর, ঢাকা সেনানিবাস-এ ঠিকানায় যোগাযোগ করুন।

  • ভ’য়াবহ বিপদের মুখোমুখি আওয়ামী লীগ!

    ভ’য়াবহ বিপদের মুখোমুখি আওয়ামী লীগ!

    ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য শেখ হাসিনার শাসনের ভয়াবহতা এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আলোচিত। বিশ্বমঞ্চে নিজেকে হিরো হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেও তিনি এখন ভয়ঙ্কর ভিলেন হিসেবে পরিচিত। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনারের দপ্তর এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, উভয়েই বাংলাদেশের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপারে কঠোর প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

    প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে, শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে বাংলাদেশে মানবাধিকারের ব্যাপক লঙ্ঘন ঘটেছে, যা মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তাদের প্রতিবেদনে বলেন, “বাংলাদেশে বিক্ষোভ দমন করতে শেখ হাসিনা সরকারের সহিংসতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের চিত্র ফুটে উঠেছে।” তারা আরও জানিয়েছে যে, জাতিসংঘের ১০৫ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি গত বছর অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ অন্যান্য মানবাধিকার সংগঠন দ্বারা প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোর প্রতিধ্বনি।

    প্রতিবেদনে কিছু সুপারিশ করা হয়েছে, যার মধ্যে সরকারের কর্মকাণ্ডে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, নিরাপত্তা বিভাগে সংস্কার এবং কালো আইন বাতিল করার প্রস্তাব রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদী বিচার, জবাবদিহিতা এবং ক্ষতিপূরণের জন্য জাতিসংঘ এবং অন্যান্য সংস্থাকে প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

    এছাড়া, ২০২৪ সালের জুলাই থেকে আগস্টের মধ্যে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ দমনে সহিংসতা ও দমন-পীড়ন নথিভুক্ত করা হয়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল একটি ভিডিও যাচাইয়ের সিরিজও প্রকাশ করেছে, যেখানে বিক্ষোভ দমনে প্রাণঘাতী এবং অপ্রত্যাশিত বল প্রয়োগের প্রমাণ রয়েছে।

    এ প্রতিবেদনগুলোর মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে যে, শেখ হাসিনা ও তার আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫ বছরে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, যা বিচারের জন্য যথেষ্ট বলে মনে করা হচ্ছে।

  • আওয়ামী লীগ নেতা হাসান মাহমুদ ও হানিফ গ্রেপ্তার

    আওয়ামী লীগ নেতা হাসান মাহমুদ ও হানিফ গ্রেপ্তার

    ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান মাহমুদ জুয়েল (৪৮) এবং ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মো. আবু হানিফকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

    গতকাল শুক্রবার দুপুরে নান্দাইল পৌর সদরের নিজ বাসা থেকে হাসান মাহমুদ জুয়েলকে এবং বৃহস্পতিবার রাতে ময়মনসিংহরে বাউন্ডারী রোডের নিজ বাসা থেকে আবু হানিফকে গ্রেপ্তার করা হয়।

    জানা গেছে, নান্দাইল উপজেলা মহিলা দলের সাবেক আহ্বায়ক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান তাহমিনা বেগম রিপার স্বামী মো. রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়াকে কুপিয়ে জখমের মামলায় এক নম্বর অভিযুক্ত সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জুয়েলকে এবং ডেভিল হান্ট অভিযানে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হানিফকে গ্রেপ্তার করা হয়।

    নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ আহমেদ জানান, হত্যাচেষ্টা মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি হাসান মাহমুদ জুয়েল। এছাড়া একাধিক মামলার পলাতক আসামি তিনি।

    ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি উবায়দুর রহমান বলেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হানিফকে ময়মনসিংহ কোতয়ালি থানা পুলিশ সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করেছে। দুই চেয়ারম্যানকে আজ শুক্রবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।

  • ৪২ বছরের আগে ফিরবে না আওয়ামী লীগ: বনি আমিন

    ৪২ বছরের আগে ফিরবে না আওয়ামী লীগ: বনি আমিন

    বিশ্ব পর্যটক ও কন্টেন্ট ক্রিয়েটর বনি আমিন বলেছেন, “৪২ বছরেও এই গেল সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখবেন না, তিনি যতই চিৎকার করুক। জাতির আব্বার কন্যা এখন ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন, ভারতের পরিকল্পনা অনুযায়ী। তিনি এক ধরনের নাচের পুতুল, যাকে শুধু ব্যবহার করা হচ্ছে।”
    বনি আমিন, যিনি বাংলাদেশে বাংলায় সোশ্যাল মিডিয়াতে কন্টেন্ট ছড়িয়ে দিতেন এবং তার কন্টেন্টের মাধ্যমে বাংলাদেশের ১৫-১৬ বছরের শাসনক্ষমতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেন, তাকে গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশে অনিয়মিতভাবে আসতে দেওয়া হয়নি। এখন তিনি ঢাকায় আছেন, এবং সেখান থেকে তিনি এই বক্তব্য দিয়েছেন।

    বনি আমিন বলেন, ‘এই ২১ কে আপনারা দুই দিয়ে পূর্ণ করে ৪২ বছরেও এই গেল সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখবেন না, যতই চিৎকার করুক। তবে ভারতের উচিত তার মুখে স্টিকি টেপ লাগিয়ে দেওয়া, যেমন আমরা অস্ট্রেলিয়াতে বলি। কারণ, না লাগালে তিনি পকপক করবেন এবং দিল্লি প্রশাসনের সাথে কূটনৈতিক জটিলতা সৃষ্টি হবে।’”

    তিনি আরও বলেন, “বিশ্বের অনেক দেশে এমন পতিত সরকার যখন পালিয়ে যায়, সে দেশ আশ্রয় দেয়ার পর এক ধরনের ইনজাংশন জারি করে। এর মানে হলো, ‘তোমাকে জায়গা দিলাম, কিন্তু তুমি এখানে কথা বলতে পারবে না।’ উদাহরণস্বরূপ, ইরানের শাহ দেশান্তরে চলে গিয়েছিলেন, এবং ইজিপ্টে তাকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল, তবে বলা হয়েছিল, ‘আপনি কথা বলতে পারবেন না কারণ কূটনৈতিক ঝামেলা সৃষ্টি হতে পারে।’”

    “এভাবে, পৃথিবীর অন্যান্য দেশগুলিতেও একই পরিস্থিতি থাকে। তবে ভারত তার চাণক্য বুদ্ধি দিয়ে যে খেলা খেলছে, সেটা আমার জন্মভূমির জন্য খুবই ইরিটেটিং। ভারতকে অনেক সতর্ক হতে হবে, এবং আমাদের প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি আরও সুপ্রসন্ন হতে হবে। যদি তারা বাংলাদেশকে ভুটান, সিকিম, বা নেপালের মতো মনে করে, তবে সেটা বড় ভুল হবে।”
    “আমি দিল্লিকে ‘দাদা’ বলে সম্মানিত করি। দিল্লি একটু সতর্ক হতে হবে। আমি বর্তমানে বাংলাদেশে আছি। আজ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এবং আমি হোটেল লবিতে বসে এই কথা বলছি। বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আমার একটাই আবেদন: সত্যের পথে থাকুন। যারা অতীতে দেশপ্রেম দেখিয়েছেন, তারা ভবিষ্যতে ‘কিং মেকার’ হবে।”

    “যারা ‘কিং মেকার’ হয়, তারা ক্ষমতার বড় অংশীদার হয়। তাই, ‘কিং’ হওয়া নয়, ‘কিং মেকার’ হওয়ার চেষ্টা করবেন। যদি সুষম বণ্টন, সম্পদের সুষম বণ্টন এবং সুন্দর রাজনীতি চর্চা হয়, তবে জবাবদিহিতা থাকবে। আর তখন কেউ অন্যায় করলে, কোনো রাজনৈতিক সম্পর্ক বা পরিচয়ের ভিত্তিতে পার পাবে না।”

    সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=5_u9P7GmX8A&ab_channel=BangladeshTimes

  • শিবিরের সদস্য হতে ৭৯টি বই পড়া লাগে: সেক্রেটারি জেনারেল

    শিবিরের সদস্য হতে ৭৯টি বই পড়া লাগে: সেক্রেটারি জেনারেল

    ২০২৫ সেশনের জন্য বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল, নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেছেন, “অনেক সাধারণ ছাত্ররা সারাজীবন ঘুরলেও কোনো লাভ হয় না, কারণ এখানে একটি নির্দিষ্ট সিস্টেম রয়েছে, যেখানে কিছু বই পড়তে হয়। আপনি যদি ইসলামী ছাত্রশিবিরে যোগ দিতে চান, তাহলে প্রথমে আপনাকে সমর্থক হতে হবে।”

    তিনি আরও বলেন, “সমর্থক হওয়ার জন্য, কোরআন হাদিসের কিছু মৌলিক জ্ঞান থাকা দরকার, যা স্কুল বা মাদ্রাসায় পড়লেও হতে পারে। এটি মুখস্ত করার বিষয়, কারণ আমরা একটি ক্যাডারভিত্তিক সংগঠন।”

    নুরুল ইসলাম সাদ্দাম আরও বলেন, “ইসলামী ছাত্রশিবিরের রিক্রুটমেন্ট এবং শৃঙ্খলা ব্যবস্থা বিসিএস ক্যাডারের মতোই। প্রতিটি স্তরে বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রথমে, সমর্থক হতে হবে। সমর্থক হওয়ার পরে, কর্মী হতে হয়। তবে কর্মী হতে গেলে, শুধু কিছু মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করা কিংবা কিছু প্রোগ্রামে আসা যথেষ্ট নয়। কর্মী হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট বই পড়তে হয় এবং ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলো জানতে হয়, যেমন কোরআন, হাদিস এবং ইসলামের মূল্যবোধ।”

    তিনি বলেন, “কর্মী হওয়ার পর, তাকে আরও কিছু বই পড়তে হয়। ইসলামের মৌলিক দৃষ্টিকোণ, কোরআন হাদিসের ব্যাখ্যা, ফিকাহ, উলুমুল কোরআন, মাকাসিদুশ শারিয়া, আরবি শিক্ষা, এবং ইসলামের ইতিহাস সম্পর্কে জানার পর, তাকে ভাইবা নেওয়া হয়। যদি তার ইসলামী জ্ঞান যথেষ্ট হয়, তখন তাকে অ্যাসোসিয়েট সাথী হওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়।”

    “এছাড়া, সাথী হওয়ার পর সদস্য হতে হলে, তাকে মোট ৭৯টি বই পড়তে হয়, যার মধ্যে কোরআন এবং রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর পূর্ণ জীবনী পড়তে হয়। সদস্য হতে, কোরআন, হাদিস, ইসলামী আইন, রাজনৈতিক আন্দোলন এবং ইসলামী সভ্যতা সম্পর্কিত বইগুলো পড়তে হবে। এসব পড়াশোনার মাধ্যমে একজন সদস্য ইসলামের দৃষ্টিতে তার দায়িত্ব সম্পর্কে ভালোভাবে জানে এবং বুঝতে পারে।”

    তিনি আরও বলেন, “সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে পদবী বা নির্বাচনী লোভ নিষিদ্ধ। পদের প্রতি লোভ থাকলে তাকে নির্বাচিত করা হবে না। তবে একবার নির্বাচিত হলে, সে পদে থেকে পালিয়ে যেতে পারবে না। ওই দায়িত্ব তাকে বহন করতে হবে।”

  • আ.লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে কোনো আপোষ করবে না গণঅধিকার পরিষদ : নুর

    আ.লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে কোনো আপোষ করবে না গণঅধিকার পরিষদ : নুর

    আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে গণঅধিকার পরিষদ কোনো আপোষ করবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলের সভাপতি নুরুল হক নুর। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে গণহত্যার বিচার ও গণহত্যাকারীদের রাজনীতি নিষিদ্ধে ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধী বিক্ষোভ ও গণমিছিলে তিনি এ মন্তব্য করেন।

    গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ বিক্ষোভ ও গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়। গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে গণমিছিল শুরু করে নাইটিংগেল, ফকিরাপুল, দৈনিক বাংলা ঘুরে পল্টন মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

    নুরুল হক নুর বলেন, ভোট ও নির্বাচন নিয়ে অনেকের যত কথা শোনা যায়, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে তত আওয়াজ শোনা যায় না। গত ৫ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে গণঅধিকার পরিষদ ডিসিদের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে। ১২ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধসহ গণহত্যা ও ফ্যাসিবাদের আমলে ১৬ বছরের লুটপাটের বিচারের দাবিতে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ চলবে, ১৯ ফেব্রুয়ারি জেলায় জেলায় বিক্ষোভ হবে।

    অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে আওয়ামী লীগের প্রশ্নে অবস্থান পরিষ্কার করার আহ্বান জানিয়ে নুর বলেন, গণঅভ্যুত্থানের ৬ মাস পরও কেন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে আমাদের রাজপথে নামতে হবে? এখনো ফ্যাসিবাদের দোসররা প্রশাসনে, যারা গ্রেপ্তার হচ্ছে তাদের মুক্তি ও জামিনের জন্য গণঅভ্যুত্থানের শরিকদের অনেকেই সুপারিশ করছে, দল ভারী করতে দলে বেড়াচ্ছে। স্পষ্টত গত ৬ মাসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য আকাঙ্ক্ষা পূরণে উপদেষ্টা পরিষদের পুনর্গঠন করতে হবে। প্রকৃত অংশীজনদের নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করে সংস্কারের প্রশ্নে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

    তিনি বলেন, জাতির দুর্ভাগ্য যে, তার সাহসী সন্তানরা রাজপথে লড়াই করে নতুন ইতিহাস তৈরি করে আর সুবিধা ভোগ করে গুটিকয়েক মানুষ। এবার আর আমরা তা হতে দেব না। রাষ্ট্র সংস্কার ও রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ না হলে এ গণঅভ্যুত্থান ব্যর্থ হবে। তাই জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে অবশ্যই রাষ্ট্র সংস্কার করতে হবে। রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন বন্ধে ফ্যাসিবাদের আমলে দুর্নীতি ,লুটপাট ও অর্থ পাচারসহ যারা ফ্যাসিবাদের সহযোগী ছিল তাদেরও বিচার করতে হবে। ৬ মাস যাবত স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি নেই, জনগণের ভোগান্তি হচ্ছে। আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে স্থানীয় নির্বাচন দিন। জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন একটা ভালো পদক্ষেপ হতে পারে। এতে প্রশাসনের ফিটনেসও বোঝা যাবে।

    দলের সম্পাদক রাশেদ খাঁন বলেন, ক্ষমতায় এসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা। কিন্তু ৬ মাসেও তারা আ.লীগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। আ.লীগকে নিষিদ্ধ না করলে জনগণ ক্ষমা করবে না। জাতিসংঘের রিপোর্টে উঠে এসেছে- শেখ হাসিনার নির্দেশনায় পুলিশ ও আ.লীগ একসঙ্গে গণহত্যা চালিয়েছে। এই রিপোর্টের পর আ.লীগকে নিষিদ্ধ করা ও গণহত্যার বিচার করার গ্রাউন্ড তৈরি হয়েছে। আমরা গত ৫ ফেব্রুয়ারি ৬৪ জেলার ডিসির মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর গণহত্যার বিচারে স্মারকলিপি প্রদান করেছি।

    আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করলে যমুনা ঘেরাও করার হুমকি দেন তিনি। রাশেদ বলেন, এখনো জুলাই আন্দোলনে আহতদের আর্তচিৎকার, শহীদ পরিবারে আহাজারি চলছে। শহীদ পরিবার ও আহতদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সরকার অপারেশন ডেবিল হান্ট শুরু করেছে, তবে এর আগেই হাসিনা-কাদের পালিয়েছে। রাঘব-বোয়ালরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। গ্রাম-গঞ্জে লুঙ্গি পরা নিরীহ আ.লীগকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। বড় নেতাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে রেখে আওয়ামী লীগের পাতি নেতাদের গ্রেপ্তার করলে এই ডেভিল হান্ট সফল হবে না। ভারতের সঙ্গে বন্দি চুক্তির আওতায় শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরকে ফিরিয়ে এনে বিচার করতে হবে। শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে গণহত্যার বিচার না করলে আপনাদের জনগণ ক্ষমা করবে না। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের নিয়োগ, প্রমোশনে স্বচ্ছতা দেখাতে পারেনি সরকার৷ অভিযোগ আছে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ, প্রমোশন হচ্ছে। যদি এই রাষ্ট্রের ন্যূনতম সংস্কার করা না যায়, তাহলে শহীদের সঙ্গে বেইমানি করা হবে। রাষ্ট্র সংস্কারে আগে এই একপাক্ষিক উপদেষ্টা পরিষদের সংস্কার করে বিপ্লবে অংশগ্রহণকারী সবার প্রতিনিধিদের সমন্বয় উপদেষ্টা পরিষদের পুনর্গঠন করতে হবে। একজন ব্যক্তি ২টি মন্ত্রণালয় চালাচ্ছে, এভাবে রাষ্ট্র সংস্কার হয়?

    দলের সহসভাপতি ফারুক হাসান বলেন, গণঅধিকার পরিষদ কোনো অপশক্তির কাছে মাথানত করে না। স্বৈরাচার হাসিনার বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিল গণঅধিকার পরিষদ। বাংলাদেশে নব্য কোনো স্বৈরাচার জন্ম হতে দেব না। আগামীতে গণঅধিকার পরিষদ এককভাবে ৩০০ আসনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করবে। বিক্ষোভ ও গণমিছিলে সভাপতিত্ব করেন গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দীন, সঞ্চালনা করেন মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা।

    এছাড়াও বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য আবু হানিফ, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, আরিফ তালুকদার, মাহফুজুর রহমান, মহানগর উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান, ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ নেওয়াজ খান বাপ্পী প্রমুখ।