Blog

  • জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হতে দেব না : ফারুক

    জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হতে দেব না : ফারুক

    বিএনপিকে টপকিয়ে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন বাংলার বুকে হতে দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক।

    সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তৃণমূল নাগরিক আন্দোলনের উদ্যোগে স্থানীয় নির্বাচনের আগে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে নাগরিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন ফারুক।

    ফারুক বলেন, বিএনপি অতীতে জনগণের সাথে কখনো বিশ্বাসঘাতকতা করেনি। ভবিষ্যতেও করবে না। তার প্রমাণ ’৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে যখন স্বাধীনতার ঘোষণা করার জন্য কোনো মানুষ ছিল না, তখন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিলেন। আর বর্তমানে তারেক রহমানের প্রতি মানুষের যে ভালোবাসা। তিনি যে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তাতেই প্রমাণ করে। আর একটি দল আছে, যারা স্বাধীনতা বিরোধী ছিল।

    তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কিসের তালবাহানা শুরু করেছেন আপনারা? এই সরকারকে দোষারোপ করার জন্য কি তালবাহানা শুরু করেছেন? গণতন্ত্রের স্বপক্ষের শক্তি হচ্ছে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি তারা এখনো রাস্তায়। জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য বিএনপি আন্দোলন সংগ্রাম করে যাবে যে পর্যন্ত না জনগণের অধিকার ফিরে আসে।

    প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার রক্তের উপর প্রতিষ্ঠিত আপনার সরকার। ছাত্র-জনতা বিশ্বাস নিয়ে আপনাকে এই দায়িত্ব দিয়েছে। দয়া করে এই বিশ্বাস অবহেলা করবেন না। যারা আপনার কানে কানে কথা বলে। তারা আওয়ামী লীগকে আবার পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে তাদেরকে রুখে দিতে হবে।

    বিরোধী দলের সাবেক এই চিপ হুইপ বলেন, আপনি এমন একটা নির্বাচন দেন। যে নির্বাচন দেখে মোদির বগলে বসে থাকা হাসিনাও যেন বলে এটাই বাংলাদেশ।

    তিনি বলেন, অনেকেই বলেন দিল্লি-তুরস্কের মতো দল করবেন? যে আদলে এই দল করেন না কেন। আমাদের কোনো বাধা নেই। কারণ এদেশে বহু দলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন দল করেন আর দলে আসেন। দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান সরকারকে সহযোগিতা করে।

    ফারুক আরও বলেন, তালবাহানা শুরু করেছেন। বিএনপিকে টপকিয়ে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন বাংলার বুকে এটা হতে দেওয়া হবে না। বিএনপিকে আন্ডারএস্টিমেট করবেন না। বিএনপির ধৈর্যের বাঁধ এখনো ভাঙ্গেনি।

    স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার উদ্দেশ্যে সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, সচিবালয়ে গ্যাপটি মেরে থাকা আওয়ামী লীগের দোসর কিছু সচিব, কিছু ডিসি-এসপি। যারা ড. ইউনুস সরকারকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে তাদের নাম কেন প্রকাশ করছেন না, তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না?

    সরকারের উদ্দেশ্যে ফারুক বলেন, কোনো তালবাহানা চলবে না। তালবাহানা করে ফখরুদ্দীন-মইনুদ্দিনের মতো দুই বছর ক্ষমতায় থাকতে চাচ্ছেন। এসব তালবাহানা চলবে না, নির্বাচন দিতে হবে, আমাদের সমর্থন আছে। তারপরও কেন শেখ হাসিনার দোসর সচিবালয়ে বসে আছে। সত্য কথা বললেই বলবেন ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আমরা তাড়াহুড়া করছি। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়। ক্ষমতায় আমরা বেশ কয়েকবার গিয়েছি। দেশের জনগণের অধিকারের জন্য আমরা বলছি দ্রুত একটা নির্বাচনের দরকার। তাই বারবার নির্বাচনের কথা বলছি। নির্বাচন বিলম্বিত করে দিল্লিতে বসে থাকা শেখ হাসিনা আবার উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে দেশে আগুন জ্বালাবে এটা হতে দেওয়া যাবে না।

    আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ মফিজুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে নাগরিক সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হারুনুর রশিদ, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য মাইনুল ইসলাম, কৃষকদলের সহ-সভাপতি ভি পি ই ইব্রাহিম, তাঁতি দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মনির, মৎস্যজীবী দলের সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী, জাতীয়তাবাদী চালক দলের সভাপতি জসিম উদ্দিন কবির, কর্মজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক আলতাব হোসেন সরদার সহ প্রমুখ।

  • রোজা ভাঙিয়ে কয়েদির স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ র‌্যাব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

    রোজা ভাঙিয়ে কয়েদির স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ র‌্যাব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

    আসামি ধরে নিয়ে গিয়ে তার স্ত্রীকে ভয় দেখাতেন ক্রসফায়ার দেওয়া হবে। তবে রেহাই মিলবে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করলে। এভাবে আসামিকে ক্রস ফায়ারের ভয় দেখিয়ে তার রোজাদার স্ত্রীকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে আলেপ উদ্দিন নামে তৎকালীন র‌্যাব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

    এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক তোলপাড় চলছে। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ সম্পর্কিত একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন।

    আলজাজিরার সাংবাদিক মউদুদ সুজন ফেসবুকে পোস্টটি লিখেছেন। সেই পোস্টে লেখা, গুম হওয়া স্বামী বলছেন, পবিত্র শবেকদরের দিন রোজা ভাঙিয়ে ধর্ষণ করা হয় তার স্ত্রীকে। এর আগেও প্রায় তিনবার ধর্ষণ করা হয়েছে স্বামীকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে। শেষবার ধর্ষণের পর স্ত্রীর মানসিক অবস্থার অবনতি হয় এবং কিছুদিন পরে মৃত্যুবরণ করেন।

    সেই পোস্টে উল্লেখ করা হয়, ধর্ষক র‍্যাবের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, নাম আলেপ। স্বামী সবকিছু হারিয়ে যখন আলেপকে বারংবার ফোন দিতে থাকে আলেপ রিপ্লাইয়ে জানান, বন্দি মেয়ে বা বন্দি পুরুষদের স্ত্রীদের সঙ্গে এমন আচরণ এখানে অলিখিতভাবে স্বীকৃত।

    সেখানে উল্লেখ করা হয়, মানুষ কতটা নীচুতে নামলে নিজের মা/স্ত্রী/মেয়ে থাকা সত্ত্বেও একজন বন্দির স্ত্রীকে এমনভাবে ট্রিট করে! এই র‍্যাব কর্মকর্তা আলেপের বিচার সবার আগে হওয়া উচিত।

    এ নিয়ে ফেসবুক পোস্ট করেছেন আলজাজিরার সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়েরও। ৫ আগস্ট ২০২৪ পরবর্তী পরিস্থিতিতে এই আলেপ বেশ বহাল তবিয়তেই দিন কাটাচ্ছিল, এসবি থেকে বদলি হয় রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশে। পরে ২০ অক্টোবর ২০২৪ তার একটি পোস্টের পর যেন কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে, আলেপকে বরিশাল পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয় এবং পরে সেখান থেকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

    এই আলেপের মতো খুনি, অপহরণকারী এবং জঘন্য সব কর্মকাণ্ডে লিপ্ত অনেকেই বিভিন্ন বাহিনীতে এখনো কর্মরত রয়েছে। তাদের চিহ্নিত করে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলেও মন্তব্য করেন সায়ের।

  • বিশ্বের প্রথম সমকামী ইমাম মুহসিনকে গুলি করে হত্যা

    বিশ্বের প্রথম সমকামী ইমাম মুহসিনকে গুলি করে হত্যা

    বিশ্বের প্রথম সমকামী ইমাম হিসেবে পরিচিত মুহসিন হেনড্রিকসকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। স্থানীয় সময় শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দক্ষিণ আফ্রিকার পূর্ব কেপটাউনের কেবেরহা শহরের বেথেলসডর্প এলাকায় তিনি গুলিবিদ্ধ হন। এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজ এ তথ্য জানায়।

    প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। তিনি সমকামী ও অন্য প্রান্তিক মুসলিমদের জন্য নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে পরিচিত একটি মসজিদ পরিচালনা করতেন।

    হেনড্রিকস নিজের গাড়িতে কোথাও যাচ্ছিলেন। এ সময় অন্য একটি গাড়ি এসে পথ আটকে দেয়। এরপর মুখ ঢাকা দুজন বন্দুকধারী গাড়ি থেকে নেমে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়।

    পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়, গুলির পর হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে গাড়িচালক খেয়াল করেন, পেছনের আসনে বসে থাকা মুহসিন হেনড্রিকস নিহত হয়েছেন।

    এই হত্যাকাণ্ডের একটি ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়ার পর পুলিশ নিশ্চিত করেছে, এটি টার্গেট কিলিং। তবে হত্যার উদ্দেশ্য এখনো স্পষ্ট নয়। পাশাপাশি তথ্য দেওয়ার জন্য জনগণের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছে ইস্টার্ন কেপ পুলিশ।

  • মোদি শুধু দিয়েই এলেন, ট্রাম্পের কাছ থেকে পেলেন কী?

    মোদি শুধু দিয়েই এলেন, ট্রাম্পের কাছ থেকে পেলেন কী?

    সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠক নিয়ে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে আলোচনার ঝড় উঠেছে। বৈঠকটি থেকে ভারত বড় ধরনের প্রত্যাশা করলেও ফলাফল হতাশাজনক হয়েছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

    বৈঠকে প্রধান পাঁচটি ইস্যু ছিল: যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি পণ্যের শুল্ক, দুই দেশের বাণিজ্য চুক্তি, প্রতিরক্ষা চুক্তি ও সহযোগিতা এবং প্রযুক্তি খাতে পারস্পরিক অংশীদারিত্ব।

    বৈঠকের অন্যতম বিতর্কিত বিষয় ছিল অভিবাসন। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত, এবং দিল্লি এটি মেনে নিয়েছে। এটি ভারতের জন্য একপ্রকার অপ্রত্যাশিত চাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্তে ভারত ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। যদিও দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে, ট্রাম্প তার নীতি থেকে একচুলও সরেননি।

    প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে আলোচনায় ভারতের জন্য সর্বাধুনিক এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান সরবরাহের চুক্তি করা হয়েছে। তবে, প্রতিটি বিমানের মূল্য প্রায় ৫০০ বিলিয়ন ডলার হওয়ায় এটি ভারতের প্রতিরক্ষা খাতে বাড়তি চাপ তৈরি করবে।

    এছাড়াও, ইলন মাস্কের ইলেকট্রনিক গাড়ির কারখানা স্থাপনে ভারত আগ্রহ দেখালেও, যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। তাছাড়া, মাস্কের স্টারলিংক প্রকল্পের তরঙ্গ বরাদ্দ নিয়ে চাপ সৃষ্টি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মুকেশ আম্বানির সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে এ বিষয়ে ভারতের অবস্থান আরও জটিল হয়েছে।

    বৈঠকে আরও উল্লেখযোগ্য বিষয় ছিল প্রতিরক্ষা ও বাণিজ্য। যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহকারী, এবং এ খাতে তাদের ব্যবসা ২০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। প্রথম স্থানে রয়েছে রাশিয়া। যদিও ভারত যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বড় বাণিজ্য অংশীদার, শুল্ক বিষয়ে ট্রাম্পের কঠোর অবস্থান ভারতের জন্য চাপ তৈরি করেছে। এরই মধ্যে ভারত তাদের কেন্দ্রীয় বাজেটে আমদানি শুল্ক ১৩ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১১ শতাংশ করেছে।

    বৈঠক শেষে ধারণা করা হচ্ছে, মোদির নেতৃত্বাধীন ভারত বৈঠক থেকে আশানুরূপ সুবিধা অর্জন করতে পারেনি। ট্রাম্প তার নীতি বাস্তবায়নে দৃঢ় থেকেছেন, যা ভারতের জন্য দীর্ঘমেয়াদে কৌশলগত সমস্যার কারণ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

    সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=qcvCOVcPf-4

  • বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংবাদ সম্মেলন

    বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংবাদ সম্মেলন

    নতুন রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন গঠনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে আজ বিকেল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সংগঠনটির সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টা ৮মিনিটে নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানায় সংগঠনটি। এ ছাড়া সংবাদ সম্মেলনটি কাভার করার জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার মিডিয়াগুলোতে আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছেন।

    পোস্টে লেখা হয়, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে নতুন রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন গঠনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরার লক্ষ্যে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে সংশ্লিষ্ট সকল ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার প্রতিনিধি এবং শুভানুধ্যায়ীদের উপস্থিতি কামনা করছি।’

  • জাতীয় নয় গণপরিষদ নির্বাচনের দাবিতে সোচ্চার ছাত্রদের নতুন দল!

    জাতীয় নয় গণপরিষদ নির্বাচনের দাবিতে সোচ্চার ছাত্রদের নতুন দল!

    ২৪ এর অভূতপূর্ব ঘটনায়, বাংলাদেশ ছাত্র জনতার নেতৃত্বে স্বৈরাচারের কবল থেকে মুক্তির পর, বৈষম্যহীন সমাজ নির্মাণের আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়। ঠিক সে প্রত্যাশাকে ধারণ করে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের লক্ষ্যে নানা কর্মসূচি ও জনমত তৈরিতে কাজ করছে জাতীয় নাগরিক কমিটি প্ল্যাটফর্মটির নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে কাজ করা তরুণ নেতারা।

    তারা বলছেন, পূর্বের সকল মতাদর্শিক বিভাজনের ইতি টানতে চান। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ছাত্রদের সামনে রেখেই নতুন দল গোছানোর কথা জানান নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সার্জিস আলম। তিনি আশা করেন, তারুণ্য নির্ভর এই দল রাজনীতিতে পুরনোদের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।

    সার্জিস বলেন, “রাজনৈতিক দলটি আগে আসবে, এরপরে এই রাজনৈতিক দলের নাম বাংলাদেশের প্রত্যন্ত প্রত্যেকটি জায়গায় যাবে। তখন মানুষ এই নাম নিয়ে আলোচনা করবে। আমরা বিশ্বাস করি, অন্য রাজনৈতিক দলগুলো পাঁচ যুগে যা করেছে, এই রাজনৈতিক দল তরুণদের নেতৃত্বে যেটা আসতে যাচ্ছে, আগামী এক যুগে তাদেরকে স্পর্শ শুধু করবে না, তাদেরকে ছাড়িয়ে যাবে।”

    তরুণদের সমন্বয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব নিয়ে চলছে নানামুখী আলোচনা। নেতা নির্বাচনে বিতর্ক উঠলেও সেটিকে দলের গণতান্ত্রিক চর্চা হিসেবেই দেখছেন সংগঠনটির মুখপাত্র। জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন বলেন, “এ ধরনের একটা মাইল প্রতিযোগিতাকে আমরা বরঞ্চ মনে করি যে এটা দল গঠনের জন্য এবং দলের ডেমোক্রেসিকে স্টাবলিশ রাখার জন্য ভালো। নাহিদ ইসলাম একদম সুনির্দিষ্টভাবে চলে আসছেন, এরকম কোন সিদ্ধান্ত আমাদের হয়নি। কে বা কারা বিভিন্ন পোস্টে বসবেন, এটা শুধু সদস্য সচিবের ক্ষেত্রে নয়, এখানে প্রত্যেকটা পোস্টের ক্ষেত্রে আমরা আসলে সকলের কাছ থেকে মতামতটা নেওয়ার চেষ্টা করব।”

    দল গঠনের প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে উল্লেখ করে নিজেদের নির্বাচনের প্রস্তুতির কথা বলেন সংগঠনটির সদস্য সচিব। তিনি জানান, গণপরিষদ নির্বাচন নিয়ে কাজ করবে নতুন দল। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায়, এটি একটি নির্বাচনী জোটও হতে পারে। সদস্য সচিব আক্তার হোসেন বলেন, “নতুন একটি সংবিধানের প্রেক্ষাপটে এবং সে সংবিধানকে কার্যত প্রণয়নের দায়িত্ব যে গণপরিষদের হাতে, সেই গণপরিষদ নির্বাচনের কথা আমরা বলছি। যদি গণপরিষদ নির্বাচন হয়, তার জন্য আমরা আমাদের যোগ্য প্রার্থী যারা আছে, তাদেরকে আমরা খুঁজে বের করব। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, এমন অনেক মানুষজনকে আমাদের রাজনৈতিক জোটও হতে পারে।”

    দেশের গণতন্ত্র বিকাশের স্বার্থে ছাত্রদের দলের প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়ে, রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলছেন নতুন দলের আদর্শিক ভিত্তি তৈরি করতে হবে। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তৃণমূল থেকে কেন্দ্রে ছাত্রদের বিকল্প নেতৃত্ব তৈরির পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।

    রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডঃ আব্দুল লতিফ মাসুম বলেন, “এই বিপ্লবের সফলতার জন্য ছাত্রদের নিরন্তর উপস্থিতি, নিরন্তর প্রেসার, নিরন্তর উপদেশনা এবং অবস্থান দরকার। প্রয়োজন তৃণমূল থেকে একেবারে কেন্দ্রীয় পর্যায় পর্যন্ত লিডারশিপের মানে বিকল্প লিডারশিপের অবস্থান তৈরি করা। এটা খুবই কঠিন ব্যাপার। একটা রাজনৈতিক দলকে তার আদর্শিক দৃষ্টিভঙ্গি গোছাতে অনেক সময় লাগে। এটা তো এরকম না যে, ‘ফাইয়াকুন’ মানে বললাম আর হয়ে গেল।”

    সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার যে লড়াই শুরু হয়েছিল মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে, সেটি এখনো অধরা রয়ে গেলেও, নতুন দলের মাধ্যমে সকল স্তরে সাম্য প্রতিষ্ঠায় কাজ করার কথা জানান তরুণ নেতারা।

  • ‘ভারতের প্রেসক্রিপশনে আল্লামা সাঈদীকে হত্যা করা হয়েছে’

    ‘ভারতের প্রেসক্রিপশনে আল্লামা সাঈদীকে হত্যা করা হয়েছে’

    আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী পুত্র ও জিয়ানগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদ বিন সাঈদী বলেছেন, ‘২০১০ সালের ২৯ জুন আল্লামা সাঈদীকে খুনি হাসিনা সম্পূর্ণ বিনা অপরাধে গ্রেপ্তার করেছে।

    যখন তাকে গ্রেপ্তার করে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল যুদ্ধাপরাধ নয়, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মামলা। যে মানুষটি ৫২ বছর বাংলাদেশসহ পৃথিবীর ৫০ টি দেশ ঘুরে মানুষকে কোরআনের দাওয়াত দিয়েছেন, যে মানুষের মুখে কোরআন শুনে পৃথিবীতে প্রায় ১ হাজারের অধিক বিধর্মী ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন সেই মানুষটি নাকি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছেন।

    এই আঘাতের মিথ্যা হাস্যকর মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে ১৩ টি বছর রেখেছিলেন।

    সাক্ষীদের ক্ষেত্রে আপনারা জানেন, মামলার সাক্ষীদেরকে ঢাকার সেফহাউজ নামক একটি জায়গায় দিনের পর দিন ট্রেনিং দিয়ে তাদেরকে আদালতে হাজির করা হতো।’
    তিনি আরো বলেন, ‘আমরা কারাগারে আব্বার সঙ্গে প্রতি মাসে ১ বার করে সাক্ষাতের সুযোগ পেতাম। ২০২৩ সালের ১৩ আগস্ট যখন আব্বাকে কারাগার থেকে হাসপাতালে নিয়ে আসে তার ২৬ দিন আগে আমরা আব্বার সঙ্গে দেখা করেছিলাম। আর ৪ দিনপর আব্বার সঙ্গে আমাদের দেখা হওয়ার কথা ছিল।

    আরও পড়ুনঃ খুলে দেয়া হলো কাপ্তাই বাঁধের গেট
    কিন্ত একজন সুস্থ্য মানুষকে কারগার থেকে নিয়ে এসে পরিকল্পিতভাবে ভারতের প্রেসক্রিপশনে হত্যা করা হয়েছে।’

    তিনি বলেন, ‘যখন আল্লামা সাঈদীকে নিয়ে আসা হয় আমি তখন হাসপাতালে অবস্থান করছিলাম, আমি অসংখ্যবার তাদের কাছে অনুরোধ করেছি আমার সঙ্গে একটিবারের জন্য দেখা করার জন্য। কিন্তু তারা আমার সঙ্গে দেখা করতে দেয়নি। কারণ আমার সঙ্গে যদি দেখা করতে দেওয়া হতো তাহলে যারা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আল্লামা সাঈদীকে কারাগার থেকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছে সেটা ধরা পড়ে যেতো।

    আমি যদি দেখা করতে পারতাম তাহলে আমার পিতা নিশ্চয়ই আমাকে বলতেন আমার বুকে কোন ব্যাথা নেই আমাকে তারা পরিকল্পিতভাবে হাসপাতালে এনেছে। তাদের এই ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়ে যাবে বিধায় তারা আমাকে আব্বার সঙ্গে এক মুহুর্তের জন্য দেখা করতে দেয়নি.

    আরও পড়ুনঃ ৬ বছরের এক শিশুর সন্ধানে ১২০০ জন
    উপজেলা পরিষদের সাবেক এই চেয়ারম্যান আরো বলেন, ‘আল্লামা সাঈদীসহ ইসলামী আন্দোলনের কোন নেতৃবৃন্দের কোন অপরাধ ছিল না। তাদের একটি মাত্র অপরাধ ছিল-তারা শুধুমাত্র স্বপ্রশংসিত আল্লাহর প্রশংসা করেছিল, আল্লাহর সার্বভৌমত্ব কায়েমের রাজনীতি বাংলাদেশে করেছিল এটাই তাদের অপরাধ। আল্লামা সাঈদীকে যারা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে সেই খুনি হাসিনার বিচার আমরা চাই।

    আমরা বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি জানাই খুনি হাসিনাকে ভারত থেকে ধরে এনে বাংলাদেশে প্রকাশ্যে ওই ট্রাইব্যুনালের সামনে ফাঁসি দিতে হবে। আমরা আল্লামা সাঈদীসহ ইসলামী আন্দোলনের সকল আলেম হত্যার বিচার চাই।’
    ১৬ ফেব্রুয়ারি (রবিবার) রাতে মিরসরাই উপজেলার ৯ নম্বর মিরসরাই সদর ইউনিয়নের পূর্ব কিসমত জাফরাবাদ রহমাতুল্লিল আলামীন ইসলামিক একাডেমি ও হেফজখানার উদ্যোগে তাফসীরুল কোরআন মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী পুত্র ও জিয়ানগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদ বিন সাঈদী এসব কথা বলেন।

    আরও পড়ুনঃ মরদেহ কিমা করে ১০০ গ্রামের প্যাকেট করা হয়, নৃশংস হত্যার পুরো বর্ণনা
    রহমাতুল্লিল আলামীন ইসলামিক একাডেমি ও হেফজখানা মাঠে আয়োজিত তাফসিরুল কোরআন মাহফিল ব্যবসায়ী আনোয়ারুল আজিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সাহেরখালী আহমদিয়া হাবিবিয়া গণিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার আব্দুল্ল্যাহ আল মামুনের সঞ্চালনায় এবং রহমাতুল্লিল আলামীন ইসলামিক একাডেমি ও হেফজখানার পৃষ্ঠপোষক মোহাম্মদ রেজাউল মোস্তফা চৌধুরীর সার্বিক তত্বাবধানে প্রধান ওয়ায়েজ ছিলেন নরসিংদী জামেয়া কাসেমিয়া কামিল মাদরাসার সাবেক প্রধান মুহাদ্দিস মাওলানা মুফতি কাজী ইব্রাহীম।

    বিশেষ ওয়ায়েজিন হিসেবে ছিলেন, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী ও কোরআন গবেষক এডভোকেট গাজী এনামুল হক, চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর মৌসুমী আবাসিক এলাকা জামে মসজিদের খতিব অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন।

    প্রধান বক্তা ছিলেন, শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক আলা উদ্দিন শিকদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মিরসরাই উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শাহীদুল ইসলাম চৌধুরী, মিরসরাই উপজেলা জামায়াতের আমীর নুরুল কবির, ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল এডভোকেট সাইফুর রহমান।

  • সহযোদ্ধা নাহিদকে বলেছি ক্ষমতার চেয়ার ছেড়ে জনতার চেয়ারে এসে দায়িত্ব নিতে: সারজিস

    সহযোদ্ধা নাহিদকে বলেছি ক্ষমতার চেয়ার ছেড়ে জনতার চেয়ারে এসে দায়িত্ব নিতে: সারজিস

    জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, ‘আমাদের এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি হচ্ছে নতুন দল গঠন করা।’

    আজ রোববার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম এই নেতা বলেন, ‘আপনাদের অনেক প্রত্যাশা। এই প্রত্যাশা পূরণ যদি আমরা না করতে পারি দিনশেষে আমাদের সঙ্গে অতীতের কোনো পার্থক্য পাওয়া যাবে না।’

    তিনি বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার অংশগ্রহণে বাংলাদেশে একটি গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। খুনি হাসিনা ভয়ে লেজ গুটিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। কিন্তু এই খুনি হাসিনা এবং তার কিছু সুবিধাভোগী দালাল দেশের বাইরে থেকে উসকানি দিচ্ছে।’

    সারজিস বলেন, ‘সারাদেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মের ব্যানারে অনেকে রাজনীতি করছেন। আপনাদের এখন নেতা চেনার সময় এসেছে। কঠিন সময়ে কোন নেতাকে পেয়েছেন, আর কোন নেতা আত্মগোপনে থেকে কিংবা দেশের বাইরে থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সুবিধা আদায় করেছেন। বিগত ১৬ বছরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অনেক নেতা ছিল যাদের আপনারা খুঁজে পাননি, কিন্তু তারা নতুন করে বিভিন্ন রূপে বাংলাদেশে এসে আপনার মাথায় হাত বুলাচ্ছে। সময়মতো এরা আবারও আপনাদের ফেলে পালিয়ে যাবে।’

    ‘এই বাংলাদেশে চাঁদাবাজি ছিল, চাঁদাবাজি হচ্ছে, সিন্ডিকেট ছিল, সিন্ডিকেট হচ্ছে। এই সোনারগাঁয়ে আগে যে দখলদারিত্ব ছিল তার চেয়ে এখন বেশি হয়। এগুলো বন্ধ করতে চাইলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে,’ যোগ করেন তিনি।

    এই ছাত্রনেতা আরও বলেন, ‘আপনাদের আশপাশ থেকে আমাদের কাছে অসংখ্য খবর আসে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, যারা ফ্যাসিস্টবিরোধী লড়াইয়ে ছিল, কিন্তু এখন বিভিন্ন সুবিধা, টাকা ও ক্ষমতা আসায় ওই খুনিদেরকেই প্রশ্রয় দিচ্ছে। আমাদের কাছে অভিযোগ আসে, বিভিন্ন থানার কতিপয় পুলিশ কিংবা বিভিন্ন আদালতের কতিপয় বিচারক এখনো খুনিদের বিভিন্ন কিছুর বিনিময়ে প্রশ্রয় দিচ্ছে।’

    আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে সেরা ও স্বচ্ছ নির্বাচন হতে হবে। এতে কোনো রাজনৈতিক দল যদি ৩০০ আসনও পায়, আর কেউ যদি কিছু না পায়, তাতেও আমাদের আপত্তি থাকবে না। কিন্তু এই অভ্যুত্থানের আকাঙ্খাকে সামনে রেখে নির্বাচন হতে হবে। যদি এই নির্বাচনকে সামনে রেখে যেকোনো শক্তি, পক্ষ বা গোষ্ঠী বিন্দুমাত্র ক্ষমতার অপব্যবহার করার চিন্তা করে, কোনো নির্বাচনী কেন্দ্র প্রভাবিত করার চেষ্টা করে, তাহলে ওই কেন্দ্রটিই হবে আরেকটি অভ্যুত্থানের ক্ষেত্র।’

    অভ্যুত্থান-পরবর্তী নতুন রাজনৈতিক দল শুধু শিক্ষার্থী নয়, সকল ধর্ম, মত, বয়স ও শ্রেণির মানুষের জন্য উন্মুক্ত থাকবে বলেও জানান তিনি।

    সারজিস বলেন, ‘আমাদের এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি হচ্ছে নতুন দল গঠন করা। নতুন দলে অভ্যুত্থানের অন্যতম সহযোদ্ধা নাহিদ ইসলামকে আমরা আমাদের জায়গা থেকে জানিয়েছি, ওই ক্ষমতার চেয়ার থেকে জনতার চেয়ারে এসে গুরুত্বপূর্ণ একটি দায়িত্ব নেওয়ার জন্য। কিন্তু আপনাদের স্পষ্ট করে বলি, মিডিয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় এমন অনেক মহল রয়েছে যারা আমাদের মধ্যে বিভাজন ঘটানোর জন্য বিভিন্ন পদের বিপরীতে বিভিন্নজনকে বসিয়ে বিভিন্ন রকমের তথ্য বা নিউজ ছড়াচ্ছেন।’

    ‘আমাদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু দল ও দেশের প্রশ্নে আমাদের মধ্যে বিন্দুমাত্র বিভেদ হবে না। কোনো পদ আমাদের আগামীর বাংলাদেশের পথ চলাকে নির্ধারণ করবে না। বাংলাদেশে অনেক রাজনৈতিক দল ছিল, কিন্তু খুনি হাসিনা এই ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।

    ‘ছাত্র-জনতা ক্ষমতামুখী না’ বলে মন্তব্য করে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, ‘ক্ষমতামুখী হলে ৫ আগস্টে ছাত্র-জনতা যদি সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নিত, তাহলে বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দলের তার বিপক্ষে কথা বলার মতো স্পর্ধা ছিল না।’

    তিনি বলেন, ‘কিন্তু আমরা ওই ৫ আগস্ট বিজয় নিশ্চিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সব রাজনৈতিক দলের প্রধানদের সঙ্গে কথা বলেছি। এই অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্টবিরোধী আন্দোলনে যত অংশীদার ছিল সবার সঙ্গে কথা বলে, তাদের মতামতের ভিত্তিতে এই উপদেষ্টামণ্ডলী হয়েছে। এখনো আমরা ক্ষমতাকে না জনতাকে গুরুত্ব দিচ্ছি।’

    জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সোনারগাঁ উপজেলা শাখার যৌথ উদ্যোগে সভায় বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য তুহিন মাহমুদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সোনারগাঁয়ের সংগঠক শাকিল সাইফুল্লাহ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত শাকিল আহম্মেদ, শহীদ মেহেদী হাসানের পিতা সানাউল্লাহ ও শহীদ ইমরান হোসেনে মাতা কোহিনুর আক্তার।

  • পুড়িয়ে দেওয়া হলো আবু সাঈদের ফেস্টুন, জামায়াতের অফিসে হামলা-ভাঙচুর

    পুড়িয়ে দেওয়া হলো আবু সাঈদের ফেস্টুন, জামায়াতের অফিসে হামলা-ভাঙচুর

    পাবনার হেমায়েতপুরে স্থানীয় জামায়াতের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, গুলি ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। জামায়াত নেতাসহ স্থানীয়দের বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। এসময় শহীদ আবু সাঈদ ও জাহিদুল ইসলামের ফেস্টুন পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

    রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পাবনা সদর থানায় এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

    এর আগে গতকাল শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে হেমায়েতপুরের কুমারগাড়ী এলাকার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড জামায়াতের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

    অভিযুক্তরা হলো- মালিগাছা ইউনিয়ন বিএনপি সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী, পাবনা সদর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও নয়নামতির মৌসির মৌলবীর ছেলে মাহমুদুল হাসান, পাবনা জেলা ছাত্রদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও আফুরিয়া গ্রামের আলম হোসেনের ছেলে আবির হোসেন, চক পৈলানপুর মোড়ের আব্দুল কাদেরের ছেলে মো. রানা, তানজিল ওরফের টুকাই তানজিল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র হত্যা মামলার আসামি উজ্জ্বল হোসেন, সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা বর্তমান বিএনপি নেতা রফিক হোসেন।

    এদের মধ্যে প্রধান অভিযুক্ত মালিগাছা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলীর বিরুদ্ধে সদর থানায় মাদক ও গরু ডাকাতির একাধিক মামলা রয়েছে।

    অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত ১০টার দিকে মালিগাছা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলীর নেতৃত্বে আনুমানিক ২৫/৩০ জন অস্ত্রধারী ক্যাডার বাহিনী পিস্তল, বন্দুক, রামদা, চাইনিজ কুড়ালসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হেমায়েতপুর ইউনিয়নের কুমারগাড়ি এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় জামায়াতের কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করে। একটি মুদিখানা দোকান ভাঙচুর করে লুটপাট করে। অটোরিকশার গ্যারেজ ভাঙচুরও করে। পাশে থাকা একটি মোটরসাইকেল আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেয়। ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলি করে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এরপর জামায়াত নেতা আব্দুল্লাহ করিমসহ বেশ কয়েকটি স্থানীয় লোকজনের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নিহত শহীদ আবু সাঈদ ও জাহিদুল ইসলামের ফেস্টুন পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

    ভুক্তভোগী জামায়াত নেতা আব্দুল্লাহ করিম অভিযোগ করে বলেন, পাবনা সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেহানুল ইসলাম বুলালের আশ্রয় প্রশ্রয়ে মালিগাছা ও হেমায়েতপুরসহ বেশ কিছু জায়গায় ৫ আগস্টের পর থেকে ইয়াকুব আলী, মাহমুদুল হাসান, আবির হোসেনসহ বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের নেতারা দখলদারিত্ব, আধিপত্য বিস্তার ও সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে ত্রাস সৃষ্টি করে আসছে। এই নেতার নির্দেশে আধিপত্য বিস্তার ও নিজেদের শক্তি জানান দিতে আমাদের অফিসে হামলা-ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ব্যাপক গুলি করেছে। এসব সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

    অভিযুক্ত ইয়াকুব আলী বলেন, এ ঘটনায় আমি মোটেও অবগত নয়। যখন এ ঘটনা ঘটে তখন থানার ওসি সাহেবের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সবাইকে ছত্রভঙ্গ করে দেই। এর বেশি কিছু নয়।

    পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) সঞ্জয় কুমার সাহা বলেন, জমিজমা নিয়ে স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের মধ্যে একটি ঝগড়া চলে আসছিল। গতকাল রাতে দোকান ও অফিস ভাঙচুর করেছে। ওসি স্যারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনার প্রতিবেদন করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে ওখানে গুলির কোনো তথ্য আমরা পাইনি।

  • বিতর্কিত সেই ইমামকে গু’লি করে হ’ত্যা

    বিতর্কিত সেই ইমামকে গু’লি করে হ’ত্যা

    বিশ্বের প্রথম সমকামী ইমাম হিসেবে পরিচিত মুহসিন হেনড্রিকসকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার পুলিশ।

    গতকাল শনিবার পূর্ব কেপটাউনের কেবেরহা শহরের বেথেলসডর্প এলাকায় তিনি গুলিবিদ্ধ হন। তিনি সমকামী ও অন্য প্রান্তিক মুসলিমদের জন্য নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে পরিচিত একটি মসজিদ পরিচালনা করতেন।

    স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, হেনড্রিকস নিজের গাড়িতে কোথাও যাচ্ছিলেন।

    এ সময় অন্য একটি গাড়ি এসে পথ আটকে দেয়। এরপর মুখ ঢাকা দুজন বন্দুকধারী গাড়ি থেকে নেমে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গুলির পর হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে গাড়ির চালক খেয়াল করেন, পেছনের আসনে বসে থাকা মুহসিন হেনড্রিকস নিহত হয়েছেন।

    এই হত্যাকাণ্ডের একটি ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়ার পর পুলিশ নিশ্চিত করেছে, এটি টার্গেট কিলিং। তবে হত্যার উদ্দেশ্য এখনো স্পষ্ট নয়। পাশাপাশি তথ্য দেওয়ার জন্য জনগণের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছে ইস্টার্ন কেপ পুলিশ।

    জানা যায়, ১৯৯৬ সালে প্রকাশ্যে সমকামী হিসেবে পরিচিত হওয়ার পর থেকে হেনড্রিকস এলজিবিটিকিউ-মুসলিমদের অধিকার নিয়ে কাজ করে আসছিলেন।

    এর ঠিক দুই বছর পর ১৯৯৮ সালে তিনি নিজ শহরে সমকামী মুসলিমদের জন্য বৈঠকের আয়োজন শুরু করেন এবং ধীরে ধীরে তাদের ধর্মীয় নেতা বা ‘ইমাম’ হিসেবে স্বীকৃতি পান।

    ২০২২ সালে গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি আমার গ্যারেজ খুলে সেখানে কার্পেট বিছিয়ে সবাইকে চা পান করতে ও কথা বলার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম।’

    মুহসিন হেনড্রিকসক একটি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একসময় আরবি ভাষার শিক্ষক এবং একজন ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবে কাজ করতেন। ২৯ বছর বয়সে তিনি প্রথম তার মায়ের কাছে নিজের সমকামী পরিচয় প্রকাশ করেন।

    তিনি এক নারীকে বিয়ে করেন এবং তাদের একটি সন্তানও ছিল। বিয়ের আট বছর পর বিবাহবিচ্ছেদ করে তিনি সবার কাছে নিজের সমকামী পরিচয় প্রকাশ করেন।