Blog

  • উত্তরায় স্বামী-স্ত্রীর উপর হামলা, ধোলাই দিয়ে হামলাকারীদের পুলিশে দিল জনতা

    রাজধানীর উত্তরায় ৭ নং সেক্টরে স্বামী-স্ত্রীর উপর দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা চালায় ২ যুবক। এ সময় উপস্থিত জনতা তাঁদের আটক করে গণধোলাই দেয় এবং পুলিশে সোপর্দ করে।

    আজ সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে উত্তরার ৭ং সেক্টরের ৯ নম্বর রোডে এ ঘটনা ঘটে। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

    ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, একটি প্রাইভেট কার থেকে ২ যুবক রামদা নিয়ে পথচারী এক যুবককে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এমন সময় এক নারী আঘাত পাওয়া যুবককে বাচাতে এগিয়ে আসলে ওই ২ যুবক সরে পড়ে।

    আরও পড়ুনঃ সরকারের মেয়াদ আরও স্পষ্ট করলেন ড. ইউনূস
    উত্তরা পশ্চিম থানা সূত্রে জানা গেছে, হামলার ঘটনায় দুই জনকে আটক করা হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযান এখনো চলমান রয়েছে।

  • পরিস্থিতি ঘোলাটে করলে টুঙ্গিপাড়াও নাই হয়ে যেতে পারে: ইলিয়াস

    পরিস্থিতি ঘোলাটে করলে টুঙ্গিপাড়াও নাই হয়ে যেতে পারে: ইলিয়াস

    প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন তার এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে পলাতক আওয়ামী নেতাদের উদ্দেশ্য করে বলেছেন, পলাতক হাসিনার কথায় লাফায়েন না। হরতাল-অবরোধ নিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করলে টুঙ্গিপাড়াও নাই হয়ে যেতে পারে৷

  • উত্তপ্ত টুঙ্গিপাড়া

    উত্তপ্ত টুঙ্গিপাড়া

    দেশব্যাপী আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বাড়ি-ঘরে হামলা, লুপাট ও অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি-৩২ এ ভাঙচুর, শেখ হাসিনাসহ নেতাকর্মীদেরনামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও হরতালের সমর্থনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় মশাল মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

    এদিকে, আওয়ামী লীগের কেন্দ্র ঘোষিত হরতাল ও মশাল মিছিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে উপজেলা বিএনপি। পাল্টাপাল্টি কর্মসূচীতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা জুড়ে নেয়া হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

    সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় করা মশাল মিছিলের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ডুমুরিয়ার ও গোপালপুরে মশাল মিছিল বের করে। মিছিলটিকে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করতেও দেখা যায়। এ সময় নেতাকর্মীরা মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত বঙ্গবন্ধু ভবন ধানমন্ডি-৩২ ভাঙচুর, দেশব্যাপী আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বাড়ি-ঘরে হামলা, লুপাট ও অগ্নিসংযোগ, শেখ হাসিনাসহ নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও হরতালের সমর্থনে এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্ঠার পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়।

    অপরদিকে, আওয়ামী লীগের কেন্দ্র ঘোষিত হরতাল ও মশাল মিছিলের প্রতিবাদে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে উপজেলা বিএনপি। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতীর টুঙ্গিপাড়া মাল্টিপারপাস পৌর সুপার মার্কেট চত্ত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। মিছিলটি উপজেলা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়।

    পরে সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা আগামীকাল আওয়ামী লীগের ডাকা হরতাল প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্র ঘোষিত মশাল মিছিলকে প্রতিহত করা হবে। সেই সঙ্গে গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির সমাবেশ সফলভাবে শেষ করা হবে।

    এদিকে, পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা জুড়ে নেয়া হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মোড়ে মোড়ে টহল দিচ্ছে পুলিশ।

    এ ব্যাপারে টুঙ্গিপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানান, আওয়ামী লীগ মশাল মিছিল করেছে বিষয়টি আমরা শুনেছি। তারা উপজেলার সীমান্ত এলাকায় মিছিল করেছে বলে জেনেছি। সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

  • আজ সারাদেশে জামায়াতের বিক্ষোভ, আওয়ামী লীগের হরতাল

    আজ সারাদেশে জামায়াতের বিক্ষোভ, আওয়ামী লীগের হরতাল

    কারাবন্দী জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে আজ মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করবে দলটি। রাজধানীর পল্টন মোড়ে বিকেল চারটায় অনুষ্ঠিতব্য সমাবেশে নেতৃত্ব দেবেন জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান। অন্যদিকে, একই দিনে হরতাল ডেকেছে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ।

    গতকাল সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেয় জামায়াত। দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনামলের বিচারিক কার্যক্রম বিশ্বজুড়ে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ। এ টি এম আজহারুল ইসলামকে কারাগারে আটকে রাখা চরম অন্যায়। তাঁর মুক্তির জন্য জাতি আজ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।

    বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আজহারুল ১৩ বছরের বেশি সময় ধরে কারাবন্দী। বারবার রিমান্ডে নিয়ে তাঁকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে। গুরুতর অসুস্থ হলেও তাঁকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়নি।

    মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আজহারুলকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। পরে ২০১৫ সালে তিনি আপিল করেন। আপিল শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ তার মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখে।

    ২০২০ সালের ১৫ মার্চ পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে আজহারুল রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করেন। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি এই আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

    অন্যদিকে, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ জানিয়েছে, গত ২৮ জানুয়ারি রাতে আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে দেশব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, ১ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি লিফলেট বা প্রচারপত্র বিলি, ৬ ফেব্রুয়ারি প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ, ১০ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ, ১৬ ফেব্রুয়ারি অবরোধ এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক কঠোর হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

  • আজ সারাদেশে জামায়াতের বিক্ষোভ, আওয়ামী লীগের হরতাল

    আজ সারাদেশে জামায়াতের বিক্ষোভ, আওয়ামী লীগের হরতাল

    কারাবন্দী জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে আজ মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করবে দলটি। রাজধানীর পল্টন মোড়ে বিকেল চারটায় অনুষ্ঠিতব্য সমাবেশে নেতৃত্ব দেবেন জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান। অন্যদিকে, একই দিনে হরতাল ডেকেছে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ।

    গতকাল সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেয় জামায়াত। দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনামলের বিচারিক কার্যক্রম বিশ্বজুড়ে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ। এ টি এম আজহারুল ইসলামকে কারাগারে আটকে রাখা চরম অন্যায়। তাঁর মুক্তির জন্য জাতি আজ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।

    বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আজহারুল ১৩ বছরের বেশি সময় ধরে কারাবন্দী। বারবার রিমান্ডে নিয়ে তাঁকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে। গুরুতর অসুস্থ হলেও তাঁকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়নি।

    মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আজহারুলকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। পরে ২০১৫ সালে তিনি আপিল করেন। আপিল শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ তার মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখে।

    ২০২০ সালের ১৫ মার্চ পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে আজহারুল রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করেন। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি এই আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

    অন্যদিকে, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ জানিয়েছে, গত ২৮ জানুয়ারি রাতে আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে দেশব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, ১ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি লিফলেট বা প্রচারপত্র বিলি, ৬ ফেব্রুয়ারি প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ, ১০ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ, ১৬ ফেব্রুয়ারি অবরোধ এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক কঠোর হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

  • পরিস্থিতি ঘোলাটে করলে টুঙ্গিপাড়াও নাই হয়ে যেতে পারে: ইলিয়াস

    পরিস্থিতি ঘোলাটে করলে টুঙ্গিপাড়াও নাই হয়ে যেতে পারে: ইলিয়াস

    প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন তার এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে পলাতক আওয়ামী নেতাদের উদ্দেশ্য করে বলেছেন, পলাতক হাসিনার কথায় লাফায়েন না। হরতাল-অবরোধ নিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করলে টুঙ্গিপাড়াও নাই হয়ে যেতে পারে৷

  • শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর পক্ষে বেশিরভাগ ভারতীয়!

    শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর পক্ষে বেশিরভাগ ভারতীয়!

    ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে পালানো শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর পক্ষে মত দিয়েছেন বেশিরভাগ ভারতীয় নাগরিক। দেশটির উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় ৮টি রাজ্যের নাগরিকদের অধিকাংশই চান শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো উচিত।

    সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি মতামত জরিপ চালিয়েছে দেশটির প্রথম সারির গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে। জরিপের ফলাফল ভেরিফায়েড এক্স হ্যান্ডলে শেয়ার করেছে ইন্ডিয়া টুডে এনই।

    গত শনিবার ‘ইন্ডিয়া টুডে মোড অব দ্য নর্থ–ইস্ট’ শীর্ষক জরিপে জানতে চাওয়া হয়, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত সরকারের আশ্রয় দেওয়া প্রসঙ্গে আপনার মতামত কী?

    জরিপে অংশ নেওয়া ভারতের সেভেন সিস্টার্স রাজ্য ও পার্শ্ববর্তী সিকিমের বেশিরভাগ উত্তরদাতা। এসব রাজ্যের ৫৫ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানো উচিত। আর গোটা ভারতের মতামত জরিপে ২১ দশমিক ১ শতাংশ উত্তরদাতারও একই মত।

    ‘তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো উচিত নয়, বরং অন্য দেশে চলে যেতে বলা যেতে পারে’— এই মতের পক্ষে মত দিয়েছেন ১৬ শতাংশ, বিপক্ষে মত দিয়েছেন ২৯ দশমিক ১ শতাংশ।

    এখানে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হলো, ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলের নাগরিকদের মধ্যে উত্তরদাতাদের ৫৫ শতাংশ শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর পক্ষে মত দিয়েছেন।

    গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার নজিরবিহীর অভ্যুত্থানের মুখে দেশ থেকে পালিয়ে গিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বিভিন্ন সময়ে জানিয়েছে, তিনি দিল্লিতে সুরক্ষিত স্থানে রয়েছেন। তবে ভারত সরকার তার অবস্থানের ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেয়নি।

    এরই মধ্যে তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে মামলা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় তাকে ফেরত দিতে ভারত সরকারকে চিঠি দিয়েছে। এ ছাড়া সেখানে থেকে প্রায়ই তিনি বক্তৃতা দিচ্ছেন। এ নিয়েও বাংলাদেশ সরকার ভারতের কাছে অসন্তোষের কথা জানিয়েছে।

  • মঙ্গলবার সারা দেশে বিক্ষো ভ-সমাবেশের ডাক

    মঙ্গলবার সারা দেশে বিক্ষো ভ-সমাবেশের ডাক

    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রয়ারি) সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করবে দলটি।

    সোমবার এক বিবৃতিতে সারা দেশে এ কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।

    বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আগামীকাল ১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মজলুম জননেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে ঢাকা মহানগরীসহ দেশের সব মহানগরী এবং জেলায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। আগামীকাল বিকেল ৪টায় পল্টন মোড়ে ঢাকা মহানগরী উত্তর ও দক্ষিণের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের নেতৃত্ব দেবেন আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান।

    তিনি আরো বলেন, সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম ১৩ বছরেরও অধিক সময় ধরে কারাগারে আটক আছেন। তাকে বারবার রিমান্ডে নিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে। তিনি বেশ কয়েকবার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে ন্যূনতম চিকিৎসাসেবাটুকুও দেওয়া হয়নি।

    সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, দেশবাসী আশা করেছিল যে, চরম জুলুম-নির্যাতনের শিকার এ টি এম আজহারুল ইসলাম স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশে মুক্তিলাভ করবেন। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের ৬ মাস ৯ দিন অতিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও তাকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনামলের বিচারিক কার্যক্রমসমূহ সারা বিশ্বে বিতর্কিত, প্রশ্নবিদ্ধ ও প্রত্যাখ্যাত। স্বৈরাচারের আমলে গ্রেপ্তারকৃত এ টি এম আজহারুল ইসলামকে কারাগারে আটক রাখা তার প্রতি চরম জুলুম ও অন্যায় ছাড়া আর কিছুই নয়।

    ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে তাকে এখনো আটক রাখায় জাতি বিস্মিত ও হতবাক।
    তিনি বলেন, ‘এহেন পরিস্থিতিতে মজলুম জননেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামকে মুক্ত করার লক্ষ্যে সারা দেশে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল সর্বোতভাবে সফল করার জন্য জামায়াতে ইসলামীর সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।’

  • সংস্কারের নামে কোনো টালবাহানা মেনে নেবে না বিএনপি: আব্দুল আউয়াল মিন্টু

    সংস্কারের নামে কোনো টালবাহানা মেনে নেবে না বিএনপি: আব্দুল আউয়াল মিন্টু

    বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেছেন, সংস্কারের জন্য যৌক্তিক সময়ের কথা বলে দীর্ঘ সময় নেওয়া ঠিক হবে না। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। সংস্কারের নামে কোনো টালবাহানা মেনে নেবে না বিএনপি।

    সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে চাঁদপুর জেলা বিএনপির আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, আমরা সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি। আমরা সরকারের কাছে সুস্পষ্ট রোডম্যাপ চাই। যৌক্তিক সময় বলে দীর্ঘ সময় নেওয়া ঠিক হবে না। সরকার কী করতে চায়, কতদিন সময় নেবে, কী কী সংস্কার হবে এগুলো আমরা জানতে চেয়েছি। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। প্রতিটি প্রজন্ম তার আগের প্রজন্ম থেকে বেশি দূরদর্শী। ভবিষ্যতে নতুন নতুন সংস্কারের প্রয়োজন হবে। বেশি সংস্কার করে লাভ হবে না। জনগণের নির্বাচিত সরকার দ্বারা পাস করা না হলে সে সংস্কার টেকসই হবে না। তাই কেবল অতীব জরুরি সংস্কার করে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।

    চাঁদপুর জেলা বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, নিজেদের একতাবদ্ধ করার চেষ্টা করতে হবে। অতীতে কী হয়েছে তা ভুলে যেতে হবে। ঐক্যবদ্ধভাবে দল যাকে মনোনয়ন দেবে তাকে জয়ী করাতে হবে।

    তিনি বলেন, বিভক্তির মাধ্যমে সমাধান হবে না। যারা অন্যায় করেছে অবশ্যই তাদের বিচার হতে হবে। আইনকে নিজের হাতে তোলা যাবে না। এই সরকারকে জনগণের সরকার বলা যাবে। তবে গণতান্ত্রিক নির্বাচিত সরকার বলা যাবে না।

    বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আরও বলেন, আওয়ামী লীগ অন্যায় করেছে, সন্ত্রাস করেছে। তাদের ব্যাপারে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ব্যবস্থা নেয়নি এটা দুঃখের বিষয়। আওয়ামী লীগ যখনই দেশে সরকার গঠন করেছে, তখনই দেশকে দুর্বৃত্তায়ন এবং অপরাধের দিকে ধাবিত করেছে। আমরা চাই তাদের সবারই বিচার হোক। আওয়ামী লীগ ভোটে অংশগ্রহণ করতে পারবে কিনা সেটা জনগণ বিচার করবে।

    চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সলিম উল্যাহ সেলিমের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হাজি মো. মোস্তাক মিয়া।

  • আন্দোলনে ৯ দফায় শিবিরের ভূমিকা কী ছিল, জানালেন সমন্বয়ক আব্দুল কাদের

    আন্দোলনে ৯ দফায় শিবিরের ভূমিকা কী ছিল, জানালেন সমন্বয়ক আব্দুল কাদের

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ৯ দফায় ছাত্রশিবিরের কী ভূমিকা ছিল ছিল, সেটি পরিষ্কার করেছেন সমন্বয়ক আব্দুল কাদের।

    সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে এক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘নয় দফা দেওয়ার সময় শিবিরের তৎকালীন ঢাবি সেক্রেটারির সাথে ঘণ্টা দুয়েকের মতো আলাপ-আলোচনা হয়, অনেক বিষয়ে তর্ক-বিতর্ক শেষে ফাইনাল করা হয় এবং ওই দিন রাত ১২টা পর্যন্ত সব সাংবাদিককে আমি ম্যাসেজ করে, ফোন দিয়ে ৯ দফা পৌঁছে দিছি। আমার কাছে ক্যাম্পাসের সব সাংবাদিকের নম্বর ছিল, সবার কাছে পৌঁছে দিছি।’

    তিনি লেখেন, ‘ইন্টারনেট ডাউন করে দেওয়ার কারণে সিম থেকেও ম্যাসেজ ডেলিভারি হতো না, এক দফা এক দফা করে পাঠিয়েছি, ফোন দিয়ে আমি মুখে দফাগুলো বলেছি, সাংবাদিকরা লিখে নিছেন, রেকর্ড করে নিছেন। ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার নম্বর আমার কাছে ছিল না, ওরা আমাকে নম্বর পাঠিয়েছে, আমি এক এক করে সবাইকে ম্যাসেজ দিছি। তারপর ফোন দিয়ে কনফার্ম করছি, এটা যে আমি আব্দুল কাদের। তখন স্বাভাবিকভাবেই চাপ ছিল, আর সাংবাদিকরা তো কনফার্ম না হওয়া ছাড়া কোনোকিছু ছাপাবে না। তাই প্রতিদিন সন্ধ্যাবেলা বাসা থেকে বের হয়ে দূরবর্তী স্থানে গিয়ে সাংবাদিকদের দেওয়া নম্বর অন করতাম, সবাইকে কর্মসূচি পাঠাতাম, এইভাবে চলতে থাকত রাত ১১-১২টা পর্যন্ত। এটা শুরুর দিকের কথা। কর্মসূচি আলাপ আলোচনা করেই ঠিক হতো। সাদিক ভাই আমাকে বিদেশি সংবাদ মাধ্যমের কন্টাক্ট নম্বর দিত, তাদেরকে আমি ফোন দিয়ে রিকুয়েস্ট করতাম, নয় দফাটা আমার পক্ষ থেকে যাচ্ছে, আমি আব্দুল কাদের, আপনারা এটা নিয়ে একটু লেখেন…’

    আব্দুল কাদের লেখেন, ‘ক্যাম্পাসসহ সকল মিডিয়া প্রতিনিধিরা জানে নয় দফার বিস্তারিত। প্রচারের ক্ষেত্রে শিবিরের অবশ্যই অবদান আছে, সেটা অস্বীকার করি নাই। কিন্তু এইভাবে পুরা ইতিহাস পরিবর্তনের নোংরা খেলায় শিবির মাতল কেন? আবু সাঈদসহ পাঁচজন শহীদ হওয়ার পর ১৬ জুলাই রাতে আমরা অনলাইন মিটিং করে উদ্ভূত পরিস্থিতির আলোকে সামনের পরিকল্পনা ঠিক করি, একই সঙ্গে সরকারের সংলাপের আহবানের প্রেক্ষিতে কিছু দাবিদাওয়া ঠিক করি। কিন্তু বিরূপ পরিস্থিতির কারণে সেগুলা ফরমালি উপস্থাপন করা হয়নি। যখনই সিনিয়র কারও সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না, পরিস্থিতি বেগতিক, শিবিরের পক্ষ থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, আমি আমাদের পূর্বের সেই রাতের দাবি দাওয়ার ভিত্তিতে ফরমালি কিছু দাবি দিতে সম্মত হই। শিবির প্রথম দফা দাবি দিয়েছিল, শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। আমি ওই পরিস্থিতি এবং সময়ের আলোকে সেটাকে সুইটেবল মনে করি নাই, এইভাবে সরাসরি ছাত্রদের পক্ষ থেকে পদত্যাগের দাবি ওই সময়ে উঠা সমীচীন মনে হয়নি আমার কাছে। কিন্তু শিবির নিজেদের অবস্থানে অনড়। একইভাবে আমিও। পরবর্তী আলাপ আলোচনা শেষে পরিবর্তিত রূপ আসে। শিবির ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি দিয়েছিল, আমি শক্তভাবে অপোজ করছি, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ হলে কাদের লাভ, সেটা তো আমি জানি। তারা এই দাবিতেও গোঁ ধরে ছিলেন। পরে আমার শক্ত অবস্থানের প্রেক্ষিতে লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি আসে। এই দুইটাই তো মেইন। বাকি দাবিগুলা কমন দাবি ছিল সবার, অনলাইনেও মানুষজন লেখালেখি করেছিল এমন দাবি নিয়ে।’

    তিনি লেখেন, ‘আগস্টের কিছুদিন পরে ঢাবি শিবিরের সাবেক সভাপতি সাদিক ভাই আমাকে গভীর রাতে অনেকবার ফোন দিল, দেখা করতেই হবে। ভোর রাতের দিকে দেখা করলাম ভিসি চত্বরে, ঘণ্টার পর ঘণ্টা আলাপ হলো, একটাই কথা তার-তাদের সম্পর্কে আমি যেনো কিছু লিখি। তারা ইতিহাস থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। কোথাও এক্সেস পাচ্ছে না। আমি না লিখলে হবে না। আমি লিখলাম, ইতিহাসের কাছে আমি দায়বদ্ধ থাকতে চাই না, কারও অবদানকে অস্বীকার করলে আমি ইহকাল এবং পরকালে দায়ী থাকব। যেহেতু আমি অনেক কিছু জানি, অনেক কিছুর অংশ ছিলাম, আল্লাহ সুযোগ করে দিছে। জাগতিক পাওয়া না পাওয়া ঊর্ধ্বে গিয়ে অনেকে ‘না’ করা সত্ত্বেও লিখলাম। আমার লেখার পরে শিবিরের আলাপ সামনে আসে। শিবির বিভিন্ন জায়গায় দর কষাকষির সুযোগ পায়। কিন্তু বিনিময়ে শিবির কী করল? আমাকে কখন কোথায় নাস্তা খাওয়াইছে, কখন গেঞ্জি কিনে দিছে সেটা প্রচার করতে লাগল। নয় দফা নিয়ে তারা পুরা ইতিহাস-ই চেঞ্জ করে দিল!’

    আব্দুল কাদের আরও লেখেন, ‘শেখ হাসিনার পতন না হলে আমি আব্দুল কাদেরের কল্লা যাইতো, শিবিরের সাদিক-ফরহাদসহ অন্যান্য স্টেকহোল্ডার দাবিদারদের কিছুই হতো না। কারণ, তারা তো সবাই অদৃশ্য, আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে বের-ই হইতো না, ইভেন ফেসবুকেও একটা অক্ষর লিখে নাই। বলি হলে আমি হইতাম। হাসিনা তিনজনকে পদ্মায় ডেকে নিয়ে ৮ দফা দিয়ে আন্দোলন নস্যাৎ করার ছক পুরোপুরি ফাইনাল করে ফেলছিল, সেই পরিস্থিতি নয় দফা দিয়ে হাসিনার পুরো গেম প্ল্যান ভেঙে দিলাম। আসিফ ভাই দুবার ডিবি হেফাজত থেকে ছাড়া পাইছে, ছাড়া পাওয়া মাত্রই আমাকে ফোন দিছে, বারবার করে হুঁশিয়ার করে দিছে, সাবধানে থাকতে, আমাকে পাইলেই মেরে ফেলবে। জীবন বাজি রেখে সাত-পাঁচ না ভেবে আন্দোলনের ক্রুশিয়াল মোমেন্টে দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছিলাম আর এখন এসব দেখা লাগতেছে!