Blog

  • ছাত্রদলের হামলায় কুয়েট শিক্ষার্থীর ‘হাড় তিন টুকরা’

    ছাত্রদলের হামলায় কুয়েট শিক্ষার্থীর ‘হাড় তিন টুকরা’

    ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্রদল এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের পর এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হন। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

    এ ঘটনায় কুয়েটের বিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন ম্যানেজমেন্ট (বিইসিএম) বিভাগের শিক্ষার্থী সাজেদুল ইসলাম সৌরভ গুরুতর আহত হন। তার হাতের হাড় তিন টুকরো হয়ে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে।

    আহত শিক্ষার্থী সাজেদুল ইসলাম রাতে গণমাধ্যমকে জানান, “শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রদলের অতর্কিত হামলার সময় আমি ক্যাম্পাসে ছিলাম। তারা লাঠিসোঁটা, রড এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমি গুরুতর আহত হই। আমার ডান হাতের হিউমেরাস হাড় তিন টুকরা হয়ে গেছে।”

    তিনি আরও বলেন, “আহতের পর স্থানীয় গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এক্স-রে রিপোর্টে দেখা যায়, হাড় তিন টুকরা হয়েছে। আমাকে খুলনা থেকে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে এবং আগামীকাল (বুধবার) সেখানে আমার অপারেশন হওয়ার কথা।”

    সংঘর্ষের সময় বহিরাগতদের হাতে লাঠিসোঁটা, রড এবং ধারালো অস্ত্র দেখা গেছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দা দেবব্রত মণ্ডল। তিনি বলেন, “দুপুরের দিকে ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হলে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বহিরাগত অনেকের হাতে বাঁশের লাঠি, রামদা এবং লোহার রড দেখা গেছে।”

    পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রথমে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। পরে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর সদস্যরাও উপস্থিত হন এবং পরিস্থিতি শান্ত করেন।

    এ সংঘর্ষের পর ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীরা হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

  • ১৩ বছর সহ্য করেছি, আর ১৩ মিনিটও অপেক্ষা নয়

    ১৩ বছর সহ্য করেছি, আর ১৩ মিনিটও অপেক্ষা নয়

    ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা তো নিজ থেকে অন্যান্য রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবি জানিয়েছিলাম। এই উদারতা আমরা দেখিয়েছিলাম। ভবিষ্যতেও এই উদারতা আমরা দেখিয়ে যাব। কিন্তু এটিএম আজহারুল ইসলাম কবে মুক্তি পাবেন, সেটি আমরা জানতে চাই সরকারের কাছে।

    তিনি বলেন, আমরা তো চাইনি, কল্পনাও করিনি, এভাবে আমাদেরকে রাস্তায় নামতে হবে আজহার ভাইয়ের মুক্তির দাবিতে। আমরা স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই, তার মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত এই সমাবেশ-বিক্ষোভ অব্যাহত থাকবে।

    আমিরে জামায়াতের এমন ঘোষণায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েন উপস্থিত দলীয় নেতাকর্মীরা। এ সময় ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা আশা করব, সরকার শুভবুদ্ধির পরিচয় দেবেন। রাজনীতির মজলুম নেতৃবৃন্দকে যেভাবে একে একে মুক্তি দিয়েছেন তেমনিভাবে এটিএম আজহারুল ইসলামকে মুক্তি দিতে হবে।

    তিনি বলেন, এটিএম আজহারুল ইসলামের জীবন থেকে এক এক করে ১৩টি বছর হারিয়ে গেছে। এই ১৩টি বছর কেউ ফিরিয়ে দিতে পারবে না। আর ১৩ মিনিটও তিনি জেলের ভেতর থাকুক আমরা তা আর চাই না।

    হুঁশিয়ারি দিয়ে জামায়াতের এ শীর্ষ নেতা বলেন, আমরা ভদ্র, কিন্তু আমরা বোকা নই। আমাদের ভদ্রতাকে কেউ যেন দুর্বলতা মনে না করেন। ভদ্ররা যখন শক্ত হয় তখন কি পরিমাণ শক্ত হতে হয় তা গত সাড়ে ১৫টা বছর বাংলাদেশের মানুষ দেখেছে। আমি অন্যদের কথা বলবো না কে কি করেছেন, কার সাথে আপস করেছেন, আমি বলতে চাই না। মহান আল্লাহর দেওয়া শক্তির কারণে গত সাড়ে ১৫টি বছর জামায়াতে ইসলামী কোনো অপশক্তির কাছে মাথা নত করেনি। জীবন দিয়েছে আপস করেনি। বহু আপসে প্রস্তাব আমাদের কাছে এসেছে৷ ফাঁসির কাষ্ঠে আমাদের নেতৃবৃন্দকে পাঠানোর আগে জনে জনে দফায় দফায় প্রস্তাব এসেছে। কিন্তু আমাদের বীর নেতৃবৃন্দ সেই প্রস্তাবগুলোকে পায়ে ঠেলে ফেলে দিয়েছে, আমরা সেই বীরদের উত্তরসূরি সুতরাং আর ধৈর্যের পরীক্ষা নেবেন না। তাকে মুক্তি দিন।

    দলীয় নিবন্ধনের ব্যাপারে সরকারকে হুঁশিয়ার দিয়ে জামায়াতে ইসলামীর আমির বলেন, কেন আমাদের নিবন্ধন আটকে রেখেছেন? আমাদের নিবন্ধন তো জালিম সরকার কেড়ে নিয়েছিল। সেই জুলুম কি আপনারাও আমাদের উপরে করবেন? এজন্যই কি হাজার-হাজার ছাত্র-জনতা জীবন দিয়েছে? হাজার-হাজার মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করেছে? বাংলাদেশের মাটিতে আর কোনো বৈষম্য বরদাস্ত করব না। সব বৈষম্যের কবর রচনা না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

    তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, গত সাড়ে ১৫ বছর জীবন দিতে যেমন ভয় করেন নাই, গুলির সামনে বুক পেতে দিতেও ভয় করেন নাই, সর্বশেষ জুলাই আন্দোলনের শরিক হতেও ভয় করেন নাই, একটি মানবিক বৈষম্যহীন বাংলাদেশ না গড়া পর্যন্ত আপনারা কি এ লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত আছেন? তখন সর্বস্বরে উপস্থিত নেতাকর্মীরা ”হ্যা” যুক্ত স্লোগান দেন।

    তখন জামায়াত আমির স্লোগান ধরে বলেন, আবু সাঈদ মুগ্ধ শেষ হয়নি যুদ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ আবু সাঈদ মুগ্ধ। এই যুদ্ধ চলবে ইনশাল্লাহ। মেহেরবানি করে আমাদেরকে আর কেউ চোখ রাঙ্গাবেন না। ফ্যাসিবাদের ভাষায় কেউ কথা বলবেন না। কথা বলবেন রাজনীতিবিদের ভাষায়। আমরা অভিনন্দন জানাব। কিন্তু মেহেরবানি করে চোখ রাঙাবেন না। এই সংগঠন কারো চোখ রাঙ্গানি পরোয়া করে না।

    তিনি বলেন, অতীতেও দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছিল। ফ্যাসিবাদের ষড়যন্ত্রের পরেও সেই ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে। তবে সব ষড়যন্ত্র একে একে নস্যাৎ করে দিয়েছেন আল্লাহ। আমরা আশাবাদী আগামীতেও সব ষড়যন্ত্র আল্লাহ ব্যর্থ করে দেবেন ইনশাআল্লাহ। আমরা সব ধরনের ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াব।

    বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে জামায়াতে ইসলামীর আমিরের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

  • বিএনপি ক্ষমতায় এলে পানির ন্যায্য হিস্যার জন্য জাতিসংঘে যাবে

    বিএনপি ক্ষমতায় এলে পানির ন্যায্য হিস্যার জন্য জাতিসংঘে যাবে

    বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ভারতের অপ্রতিবেশীমূলক আচরণের কারণে আজকে তিস্তাপারের লাখো মানুষ বন্যায় ও খরায় দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে। পানির অভাবে এখন তিস্তার বুক ধু-ধু বালুচর।

    তিনি বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে পানির ন্যায্য হিস্যার জন্য জাতিসংঘে যাবে। একই সঙ্গে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে অসম, অন্যায্য ও একতরফা সব চুক্তি পুনর্বিবেচনা করা হবে।


    মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রংপুর ও লালমনিরহাট জেলার মাঝে তিস্তা রেলওয়ে সেতুসংলগ্ন চরে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা ও মহাপরিকল্পনা বাস্তাবায়নের দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশের দ্বিতীয় ও সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে করেন ‘তিস্তা নদী রক্ষা কমিটি’র প্রধান সমন্বয়কারী ও বিএনপির রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু।

    ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগান সামনে রেখে এই কর্মসূচি গাইবান্ধা, রংপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারী ও কুড়িগ্রামের ১১টি স্থানে সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। গত সোমবার তিস্তা নিয়ে এই কর্মসূচি উদ্বোধন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

    সমাপনী বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন, ‘সারা বিশ্ব আজকে দেখে রাখুক, তিস্তাপারের লাখো মানুষ ন্যায্য পানির হিস্যা থেকে বঞ্চিত। উত্তরাঞ্চলের মানুষেরা আজকে সারা বিশ্বকে জানিয়ে দিতে চায়, ভারতের সঙ্গে যে অভিন্ন ৫৪টি নদী, এই নদীর পানির ন্যায্য হিস্যাপ্রাপ্তি, কারো কোনো করুণার বিষয় নয়। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এটা বাংলাদেশের প্রাপ্য। অথচ তিস্তা নদীর পানির জন্য আজকে আমাদের আন্দোলন করতে হচ্ছে।

    বাংলাদেশের মানুষ তথা উত্তরাঞ্চলের মানুষদের আন্দোলন করতে হচ্ছে। এই পানিবণ্টন নিয়ে আমাদের প্রতিবেশী দেশ, বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে অপ্রতিবেশীমূলক আচরণ করেই চলছে। আজকে ৫০ বছর হলো, ফারাক্কার অভিশাপ থেকে বাংলাদেশ মুক্তি পাইনি। এখন আবার তিস্তা বাংলাদেশের জন্য আরেকটি অভিশাপ হিসেবে দেখা দিয়েছে। সব আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে প্রতিবেশী দেশ আমাদের উজানে, গজলডোবায় বাঁধ নির্মাণ করেছে।
    ওই বাঁধের মাধ্যমে তিস্তার পানির স্বাভাবিক প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করছে। একদিকে পানির অভাবে ক্ষতি হচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকার ফসল। আবার হঠাৎ করে পানি ছেড়ে দিচ্ছে, এতে ভেসে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি। কৃষকের আবাদি ফসল ভাসিয়ে দিচ্ছে। এর ফলে নদীভাঙন তো আছেই, প্রতিবছর লাখো কোটি টাকার ফসলের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে।’
    ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার প্রসঙ্গ তুলে তারেক রহমান বলেন, “গত ৫ আগস্ট একটি খুনি স্বৈরাচারী এই দেশ থেকে পালিয়ে গেছে। এই স্বৈরাচার একটি কথা বলেছিল, ‘ভারতকে যা দিয়েছি তা তারা সারা জীবন মনে রাখবে।’ এই ভারত শুধু স্বৈরাচার ও পলাতককেই মনে রেখেছে। বাংলাদেশের জনগণকে তারা মনে রাখেনি। সে জন্য তিস্তাপারের বিক্ষুব্ধ মানুষদের প্রশ্ন, পলাতক স্বৈরাচারকে আশ্রয় দেওয়া ছাড়া ভারত কি বাংলাদেশকে কিছু দিয়েছে? কিচ্ছু দেয়নি। সার বিশ্বেই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সমস্যা থেকেই থাকে। নিজ দেশের স্বার্থ রক্ষা করে সবাই সমস্যার সমাধান করে। এটাই কূটনৈতিক নীতি। কিন্তু ৫ আগস্ট যে স্বৈরাচার পালিয়ে গেছে, জোর করে ক্ষমতায় থাকতে গিয়ে সে নিজেকে ভারতের সেবাদাসে পরিণত করেছিল।”

    তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ভারত যৌথ নদী কমিশন সম্পূর্ণ অকার্যকর করে রেখেছিল। এখনো ফারাক্কা সমস্যার সমাধান হয়নি, তিস্তার চুক্তিও হয়নি। অথচ আন্তর্জাতিক নিয়ম না মেনে ওই পলাতক স্বৈরাচার আমাদের বন্দরগুলো ভারতকে ব্যবহারের একতরফা সুবিধা দিয়ে গেছে। ওই সব চুক্তিতে মিনিমাম ন্যায্যতা রক্ষা করা হয়নি। বাংলাদেশের জনগণ মনে করে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে প্রয়োজনে অসম, অন্যায্য ও একতরফা যেসব চুক্তি করা হয়েছে, সেগুলো পুনর্মূল্যায়ন বা পুনর্বিবেচনা করা দরকার। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়, আমাদের পররাষ্ট্রনীতির এটি মূলনীতি। কিন্তু সময়ের প্রয়োজনে এই নীতি হয়তো পুনর্বিবেচনা করা দরকার। বর্তমান বিশ্বে স্থায়ী শত্রু, স্থায়ী মিত্র বলে কিছু নাই। বরং একটা দেশের সঙ্গে আরেকটি দেশের সম্পর্ক হবে পারস্পরিক স্বার্থ রক্ষা হবে ন্যায্যতা ও প্রয়োজনের ভিত্তিতে। সুতরাং সম্পর্ক রক্ষা করার ক্ষেত্রে নিজ দেশের এবং জনগণের স্বার্থ রক্ষাই হতে হবে প্রথম এবং প্রধান অগ্রাধিকার।’

    বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘বন্ধুত্বের দোহাই দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ সীমান্তে ফেলানির ঝুলন্ত লাশ আর দেখতে চায় না। সীমান্তে নিরহ বাংলাদেশিদের রক্তাক্ত মরদেহ আর মানুষ দেখতে চায় না। প্রতিবেশী দেশ ভারত যদি তিস্তার ন্যায্য হিস্যা না দেয় বা দিতে যদি দেরি করে, অনীহা দেখায় তাহলে দেশ ও জনগণের স্বার্থে, কৃষককে বাঁচাতে, নদী বাঁচাতে, আমাদেরকেই বাঁচার পথ খুঁজে নিতে হবে। দেশীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে সকল সম্ভাব্য বিকল্পকে কাজে লাগাতে হবে। পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করতে জাতিসংঘসহ সব আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশের এ দাবি তুলে ধরতে হবে। একইভাবে প্রতিবেশীদের সঙ্গেও কূটনৈতিকভাবে আলোচনা শুরু করতে হবে আবার। আর সময়ক্ষেপণ না করে ১৯৯২ সালের ওয়াটার কনভেনশন এবং ১৯৯৭ সালের জাতিসংঘ পানিপ্রবাহ কনভেনশনে স্বাক্ষর করা জরুরি হয়ে পড়েছে।’

    তিনি বলেন, ‘উত্তরাঞ্চলকে মরুকরণ হাত থেকে বাঁচাতে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কোনো বিকল্প নেই। বিএনপি জনগণের ভোটে রাষ্ট্রক্ষমতা পেলে, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করব। পাশাপাশি তিস্তার শাখা নদীগুলো খনন করা জরুরি এবং আমরা খনন করব। দেশের বিভিন্ন স্থানে জলাধার নির্মাণ এবং শহীদ জিয়ার খাল খনন কর্মসূচি চালু করব।’

    পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচারের প্রতি সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘দেশের মানুষের সব ধরনের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক অধিকার কেড়ে নিয়ে পলাতক স্বৈরাচার দেশে মাফিয়া সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিল। পলাতক স্বৈরাচার সরকারের আমলে জাতীয় নির্বাচনকে তামাশায় পরিণত করা হয়েছিল। ভোট দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করার কোনো সুযোগ দেওয়া হয়নি। ৫ আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মাফিয়া পালিয়া যাওয়ার পর আবার জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সুযোগ ও সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কিন্তু সরকারের হঠকারী কোনো সিদ্ধান্তে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচার ও তার দোসররা পুনর্বাসনের সুযোগ না পায়, সে ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

    তিনি আরো বলেন, ‘নির্বাচনের কথা শুনলেই অন্তর্বর্তী সরকারের কেউ কেউ বিচলিত হয়ে পড়েন। জাতীয় নির্বাচন নিয়ে একেক উপদেষ্টার একেক বক্তব্য মাফিয়া পলাতকদের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পথ সুগম করে দেয়। এ জন্যই বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে নির্বাচনের রোডম্যাপ বারবার জানতে চেয়েছে।’

    অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ স্থানীয় লাখো মানুষ।

    এর আগে দিনভর তিস্তা নদীর পানিতে নেমে সাধারণ মানুষ ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাও’ ‘সিকিম না তিস্তা, তিস্তা-তিস্তা’, তিস্তা মেগাপ্রকল্প অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে ইত্যাদি স্লোগান দেয়। এ ছাড়া এদিন সন্ধ্যায় ভারতের কাছ থেকে তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও তিস্তা মহাপ্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে মশাল প্রজ্বালন করা হয়। এরপর আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিল্পী দেশীয় গান পরিবেশন করেন।

  • কত বছর একই বাড়িতে থাকলে ভাড়াটিয়া মালিক হতে পারে? অনেকেই জানেন না

    কত বছর একই বাড়িতে থাকলে ভাড়াটিয়া মালিক হতে পারে? অনেকেই জানেন না

    ব্রিটিশ আমল থেকে কিছু আইনের সৃষ্টি হয়েছে ভারতবর্ষে, যা জমি দখলের আইন নামেই পরিচিত। শুধুমাত্র ব্যক্তিগত সম্পত্তির ক্ষেত্রেই এই আইন প্রযোজ্য, কোন সরকারি সম্পত্তির ক্ষেত্রে এই আইন কার্যকরী নয়। অনেক সময় বাড়ির মালিকদের নিজেদের অসতর্কতার জন্য তাদের সম্পত্তি হারাতে হয়। তাই বাড়ির মালিকানা বিষয়ে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।

    এক্ষেত্রে যে বিশেষ নিয়মটি আছে সেটি হল, adverse projession। এই নিয়ম অনুসারে যদি কোন ব্যক্তি টানা ১২ বছর কোন সম্পত্তিতে মালিকের সম্মতি অনুসারে বসবাস করে, তাহলে সেই সম্পত্তির উপর তার দাবি থাকবে। এই প্রতিবেদনটিতে লিমিটেশন অ্যাক্ট এর আর্টিকেল ৬৫ (Limitation Act Article 65) এর কিছু রীতিনীতি তুলে ধরা হয়েছে।

    ভাড়াটিয়াকে জমির মালিক কখনোই সেই জমি থেকে সরাতে পারেন না, তখন তিনি ওই জমির মালিকানা হারান। তাহলে ওই জমির মালিক আসলে কে? জোরপূর্বক দখল না করলে এবং মালিকের সম্মতি থাকলে ভাড়াটিয়া অবশ্যই ওই জমির মালিক হবেন।

    আরো একটি বিষয়কে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে, জমির মালিক কিংবা বাড়ির মালিক যদি বারো বছর ওই বাড়ির প্রতি কোন রকম আগ্রহ না দেখায়। ভাড়াটে যদি একা ওই বাড়ির দেখাশোনা করে, তাহলে অবশ্যই সে দাবি জানাতে পারে। তবে অধিগ্রহণকারীর অবশ্যই জমির দলিল, ইলেকট্রিক বিল, জলের বিল, ট্যাক্সের রশিদ ইত্যাদি কাছে থাকতে হবে। আদালতে মামলা গড়াতে পারে এবং যদি ভাড়াটে সমস্ত পর্যায়েগুলো সঠিকভাবে অতিক্রম করতে পারে তাহলেই সে মালিকানা পাবে।

  • মোহাম্মদপুরে ‘কবজি কাটা’ গ্রুপের প্রধান শুটার আনোয়ার গ্রেপ্তার

    মোহাম্মদপুরে ‘কবজি কাটা’ গ্রুপের প্রধান শুটার আনোয়ার গ্রেপ্তার

    রাজধানীর মোহাম্মদপুরবাসীর কাছে আতঙ্কের নাম ‘কবজি কাটা’ গ্রুপ। এ গ্রুপের নেতৃত্ব দেন মো. আনোয়ার ওরফে শুটার আনোয়ার ওরফে কবজি কাটা আনোয়ার। যেকোনো সময় তিনি ও তার লোকজন চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন। কেটে নেন হাতের কবজি। এরপর সেই কবজি দিয়ে উল্লাস করেন, কখনো কখনো টিকটক ভিডিও বানান।

    বহুল আলোচিত অসংখ্য চাঞ্চল্যকর হত্যা, হত্যাচেষ্টা, ছিনতাই ও চাঁদাবাজি মামলার আসামি সেই মো. আনোয়ার ওরফে শুটার আনোয়ার ওরফে কবজি কাটা আনোয়ারকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে র‍্যাব তাদের গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-২। এসময় তার ২ সহযোগীকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

    র‍্যাব-২ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. খালিদুল হক হাওলাদার বলেন, অসংখ্য চাঞ্চল্যকর হত্যা, হত্যাচেষ্টা, ছিনতাই ও চাঁদাবাজি মামলার আসামি মো. আনোয়ার ওরফে শুটার আনোয়ার ওরফে কবজি কাটা আনোয়ার ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

    এ বিষয়ে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান র‍্যাবের এই কর্মকর্তা।

    এর আগে মোহাম্মদপুর থেকে যৌথবাহিনীর অভিযানে কবজি কাটা গ্রুপের একাধিক সদস্য গ্রেপ্তার হয়।

  • প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ: হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি ২ মার্চ

    প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ: হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি ২ মার্চ

    সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ ছয় হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ বাতিল সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দেননি সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার বিচারপতি।

    আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ চেয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের করা আবেদনটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠান। আগামী ২ মার্চ হবে এই শুনানি।

    রিটকারী প্রার্থীদের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, আইনের ব্যাখ্যার বিষয় জড়িত থাকায় আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দেননি। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের মাধ্যমে এর নিষ্পত্তি হওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

    এর আগে, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে ৬ হাজার ৫৩১ প্রার্থীকে নিয়োগের অনুমতি দিতে এবং নিয়োগ-বঞ্চিত হয়ে রিট করা প্রার্থীদের সংরক্ষিত পদে নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশ দিতে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার বিচারপতির কাছে আবেদন করেন।

    গত ৬ ফেব্রুয়ারি ৩১ জন প্রার্থীর করা একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রায় দেন, সহকারী শিক্ষক পদে ছয় হাজার ৫৩১ জন প্রার্থীর নিয়োগ ৮৪ শতাংশ কোটা ব্যবস্থার ভিত্তিতে হয়েছে। এই কোটা ব্যবস্থা গত বছরের জুলাই মাসে বাতিল করেছিল সুপ্রিম কোর্ট।

    সুপ্রিম কোর্টের রায়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ রেখে সরকারি চাকরির ৯৩ শতাংশ পদ মেধার ভিত্তিতে এবং বাকি সাত শতাংশ কোটা ব্যবস্থার অধীনে দেওয়ার নির্দেশও দেন হাইকোর্ট।

    হাইকোর্টের এই রায়ের পর থেকে নিয়োগ-বঞ্চিত প্রার্থীরা রাজধানীতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

    আজকের শুনানিতে রিটকারী প্রার্থীদের পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন এবং নির্বাচিত শিক্ষকদের পক্ষে ব্যারিস্টার মুনতাসীর উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

    গত বছরের ৩১ অক্টোবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তৃতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হয়। এতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের (তিনটি পার্বত্য জেলা ব্যতীত) ৬ হাজার ৫৩১ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হন।

  • ঢাকায় নিয়োগ দিচ্ছে আড়ং, আবেদন অনলাইনে

    ঢাকায় নিয়োগ দিচ্ছে আড়ং, আবেদন অনলাইনে

    পোশাক প্রস্তুতকারক ও বিপণন প্রতিষ্ঠান আড়ং নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি অ্যাসিস্ট্যান্ট মার্চেন্ডাইজার পদে একাধিক জনবল নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। গতকাল ১১ ফেব্রুয়ারি থেকেই আবেদন নেওয়া শুরু হয়েছে। আবেদন করা যাবে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত প্রার্থীরা মাসিক বেতন ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী আরো বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

    প্রতিষ্ঠানের নাম: আড়ং
    পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট মার্চেন্ডাইজার
    পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়

    শিক্ষাগত যোগ্যতা: যেকোনো বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি
    অন্যান্য যোগ্যতা: কম্পিউটারে দক্ষতা
    অভিজ্ঞতা: কমপক্ষে ১ বছর

    চাকরির ধরন: ফুলটাইম
    কর্মক্ষেত্র: অফিসে
    প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ (উভয়)
    বয়সসীমা: উল্লেখ নেই

    কর্মস্থল: ঢাকা
    বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে
    অন্যান্য সুবিধা: প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি, উৎসব বোনাস, স্বাস্থ্য ও জীবন বিমা, ইত্যাদি।

    আবেদন যেভাবে: আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
    আবেদনের শেষ সময়: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

  • বাংলাদেশে যেকোন সময় সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা, যুক্তরাজ্যের সতকর্তা

    বাংলাদেশে যেকোন সময় সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা, যুক্তরাজ্যের সতকর্তা

    বাংলাদেশে সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করে সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাজ্য। দেশটি বাংলাদেশে অবস্থানরত ও আগত ব্রিটিশ নাগরিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে। ব্রিটিশ সরকারের মতে, বাংলাদেশে ব্রিটিশ নাগরিক ও যুক্তরাজ্যের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট স্থাপনাগুলোতে হামলার ঝুঁকি রয়েছে।

    গত জুলাই-আগস্ট মাসে বাংলাদেশে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটে, যেখানে অনেক তরুণ প্রাণ হারান। সেই অস্থির পরিস্থিতির রেশ এখনও রয়ে গেছে, যা যুক্তরাজ্যকে তাদের নাগরিকদের জন্য বিশেষ সতর্কবার্তা দিতে বাধ্য করেছে। ব্রিটিশ সরকারের প্রকাশিত বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশে বিক্ষোভ, ধর্মঘট ও রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটতে পারে, যা প্রাণহানির কারণ হতে পারে।

    বিশেষ করে গণপরিবহন ব্যবস্থায় হামলার আশঙ্কা বেশি বলে উল্লেখ করেছে যুক্তরাজ্য। এছাড়া জনসমাগমপূর্ণ এলাকা, ধর্মীয় উপাসনালয়, রাজনৈতিক সমাবেশ এবং বিদেশীদের উপস্থিতি রয়েছে এমন স্থানগুলোতে সন্ত্রাসী হামলার ঝুঁকি বেশি থাকতে পারে বলে সতর্কবার্তায় জানানো হয়েছে।

    এছাড়া অপরাধ ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা প্রসঙ্গে যুক্তরাজ্য সরকার জানিয়েছে, বাংলাদেশে বিশেষ করে রাজধানী ঢাকা ও অন্যান্য বড় শহরগুলোতে অপরাধের মাত্রা বেশি। ব্রিটিশ নাগরিকদের মোটরসাইকেল আরোহী ছিনতাইকারীদের ব্যাপারে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

    ব্রিটিশ সরকারের মতে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর কঠোর পদক্ষেপের ফলে সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা কমে গিয়েছিল। তবে গত জুলাই-আগস্ট মাসের গণঅভ্যুত্থানের পর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে, যা নতুন করে হামলার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

    যুক্তরাজ্যের কাউন্টার টেরোরিজম পুলিশ নিরাপত্তা বিশ্লেষণ করে নাগরিকদের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে, যাতে সন্ত্রাসী হামলার পরিস্থিতিতে কী করণীয় তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এখন দেখার বিষয়, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে, কারণ যুক্তরাজ্যের এই সতর্কতা বাংলাদেশের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে।

  • জুলাই আন্দোলনে আহতদের স্মার্ট কার্ড দিলো ইসি

    জুলাই আন্দোলনে আহতদের স্মার্ট কার্ড দিলো ইসি

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন জুলাই আন্দোলনে আহতদের নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষ থেকে স্মার্ট কার্ড দেওয়া হয়েছে।

    মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিএসএমএমইউর কেবিন ব্লকের চারতলায় চিকিৎসাধীন আহত ছাত্র-জনতার হাতে স্মার্ট কার্ড তুলে দেন নির্বাচন কমিশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এসএম হুমায়ুন কবীর।

    এসময় বিএসএমএমইউর পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু নোমান মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

    নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জুলাই ২০২৪ বিপ্লবে আহত মোট ১৭৪ জনকে স্মার্ট কার্ড প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিএসএমএমইউতে ৫০ জন, জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান হাসপাতালে ৪৩ জন, ঢাকা মেডিক্যালে ১৩ জন, নিটোরে ৬৭ জন এবং জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ১ জন।

  • নোয়াখালীতে মায়ের সামনেই স্কুলছাত্রীকে অপহরণ, অতঃপর…

    নোয়াখালীতে মায়ের সামনেই স্কুলছাত্রীকে অপহরণ, অতঃপর…

    নোয়াখালীর সদর উপজেলায় মায়ের সামনে থেকে অপহরণ হওয়া সেই স্কুলছাত্রীকে (১৫) উদ্ধার করেছে র‍্যাব। এসময় এক অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

    মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে আসামিকে বিচারিক আদালতে হাজির করা হবে।

    এর আগে, সোমবার বিকেলে উপজেলার নোয়াখালী মতিপুর গ্রাম থেকে অপহৃত স্কুলছাত্রী ও অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আবুল হোসেন হৃদয় (২৪) সদর উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের মতিপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।

    র‍্যাব সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী স্কুল শিক্ষার্থী (১৫) স্থানীয় বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির একজন শিক্ষার্থী। আসামি হৃদয় স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের সক্রিয় সদস্য। হৃদয় ওই ছাত্রীকে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে প্রেম নিবেদন করাসহ বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করে আসছিলেন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ভুক্তভোগী তার মাকে সঙ্গে নিয়ে কোচিংয়ে যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়। এসময় আগে থেকেই ওঁতপেতে থাকা হৃদয় ও অপর আসামিরা একটি হাইস মাইক্রোবাস থেকে নেমে ভুক্তভোগীর মাকে ধাক্কা মেরে রাস্তায় ফেলে দেয়। পরে তারা স্কুল ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে মাইক্রোবাস যোগে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।

    এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন এবং আদালতের আদেশে ১৬ ফেব্রুয়ারি সুধারাম মডেল থানায় মামলাটি দায়ের হয়। পরে র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালীর অভিযানিক দল গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে ১৭ ফেব্রুয়ারি বিকেলে মতিপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে আসামি ও অপহরণের শিকার শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে।

    র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩ কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার কুণ্ডু বলেন, মামলা দায়েরের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় অপহৃতকে উদ্ধার এবং অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারপর তাদের সুধারাম মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। অপহরণের শিকার ভুক্তভোগী আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেবেন এবং আসামিকে আদালতে হাজির করা হবে।