Blog

  • আ. লীগকে আদর্শিক ও রাজনৈতিকভাবে নির্মূল করতে হবে: উপদেষ্টা আসিফ

    আ. লীগকে আদর্শিক ও রাজনৈতিকভাবে নির্মূল করতে হবে: উপদেষ্টা আসিফ

    আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই উল্লেখ করে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ‘আগে তাদের (আওয়ামী লীগ) বিচার করতে হবে। আদর্শিক ও রাজনৈতিকভাবে নির্মূল করতে হবে।’

    বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজে ‘তারুণ্যের উৎসব’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

    উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী শক্তির বাংলাদেশে নির্বাচন করার সুযোগ নেই। ট্রুথ কমিশন করে পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতি পরিচালিত হবে।’ যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।

    এসময় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) হামলার ঘটনা প্রসঙ্গেও কথা বলেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

  • রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকার ইচ্ছা থাকলে পদ ছেড়ে নির্বাচন করুন

    রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকার ইচ্ছা থাকলে পদ ছেড়ে নির্বাচন করুন

    সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলগমীর বলেছেন, ‘কারও ক্ষমতায় থাকার ইচ্ছা থাকলে বা রাজনীতি করার ইচ্ছা থাকলে পদ ছেড়ে দেন, দল করে নির্বাচন করুন, আমরা মেনে নেব। তবে ক্ষমতায় থেকে তা করা যাবে না।’

    মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে যশোর জেলা বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

    নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় রাখা, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানো, দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তোরণের জন্য নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা ও পতিত ফ্যাসিবাদের নানা চক্রান্ত প্রতিরোধের দাবিতে যশোর টাউন হল ময়দানে এই সমাবেশের আয়োজন করে জেলা বিএনপি।

    ফখরুল আরও বলেন, ‘সংস্কারের কথা বলে জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত করা যাবে না।’

    ‘আমরা সংস্কারের বিপক্ষে নই। তবে সংস্কারের নাম করে মানুষের অধিকার পিছিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়ায় মানুষ অন্য কিছুর গন্ধ পায়। এ দেশের মানুষ সংস্কার কী বোঝে না। তারা শান্তি ও সুশাসন চায়। তাই যেখানে যতটুকু ন্যূনতম সংস্কার দরকার করুন। এরপরে দ্রুত নির্বাচন দিন,’ যোগ করেন তিনি।

    জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দেশের মানুষ কোনোভাবেই মেনে নেবে না উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘এটা করতে গেলে এলাকায় এলাকায় আওয়ামী দোসররা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে, গণ্ডগোলের সৃষ্টি হবে। এ কারণেই জাতীয় নির্বাচনের আগে আমরা কখনোই স্থানীয় সরকার নির্বাচন মেনে নেব না।’

    ‘তাই সরকারকে বলবো, নির্বাচন নিয়ে কোনো কলাকৌশল করবেন না। এ দেশের মানুষের প্রত্যাশা মাফিক আগে জাতীয় নির্বাচন হবে, তারপর স্থানীয় সরকারের নির্বাচন।’

    প্রধান উপদেষ্টার প্রশংসা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ড. ইউনূস নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি দেশের গৌরব, সারা পৃথিবীর মানুষ তাকে সম্মান করে, আমরাও তাকে সম্মান করি। তিনি দায়িত্ব নেওয়ায় আমরা আশ্বস্ত হয়েছিলাম যে, তিনি দ্রুত একটা নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। আমরা এখনো আশাবাদী। দ্রুত নির্বাচন হলেই দেশে শান্তি ফিরে আসবে।’

    ফখরুল বলেন, ‘দেশের অবস্থা ভালো না। বিনিয়োগ নেই। যশোরের শিল্পাঞ্চল নওয়াপাড়ায় বেশিরভাগ কলকারখানা বন্ধ।

    তিনি বলেন, ‘সব জায়গায় ফ্যাসিস্টের দোসররা বসে আছে। সে কারণে ফ্যাসিস্ট পালিয়ে গেলেও জিনিসপত্রের দাম কমছে না, মানুষ নিরাপত্তা পাচ্ছে না, পুলিশ কাজ করতে পারছে না। দ্রুত স্বৈরাচারের দোসরদের সরাতে সরকারের তৎপর হতে হবে।’

    ‘যশোরবাসীকে আশ্বস্ত করে বলতে চাই, আগামী নির্বাচনে জনগণের ভোটে বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় এলে বন্ধ হয়ে যাওয়া সব কলকারখানা চালু করা হবে। যশোরের ভবদহ এলাকার জলাবদ্ধতা সমস্যার স্থায়ী সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

  • ছাত্রদলের প্রতি যে আহ্বান জানালো শিবির

    ছাত্রদলের প্রতি যে আহ্বান জানালো শিবির

    অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে গঠনমূলক ছাত্ররাজনীতির ধারায় ফিরে আসতে ছাত্রদলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইসলামী ছাত্র শিবির। পাশাপাশি ছাত্রদলকে শত্রু মনে করে না বলেও জানিয়েছে এই ছাত্র সংগঠনটি।

    মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে ছাত্র শিবিরের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে ছাত্রদলের প্রতি এই আহ্বান জানান ইসলামী ছাত্র শিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।

    খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ আহ্বান জানান তিনি।

    স্ট্যাটাসে জাহিদুল ইসলাম বলেন, ছাত্রদলকে আমরা শত্রু মনে করি না। আমাদের লড়াই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে। তাদের সরাসরি কিংবা কৌশলে অনেকবার বোঝানোর চেষ্টা করেছি— ‘অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে গঠনমূলক ছাত্ররাজনীতির ধারায় ফিরে আসুন’। কিন্তু বন্ধুপ্রতিম সংগঠনটি আমাদের আহ্বানে সাড়া না দিয়ে বিগত ফ্যাসিস্ট ও তাদের শাহবাগী দোসরদের পরামর্শে অগ্রসর হচ্ছেন। যার প্রতিফলন আজ কুয়েটে প্রমাণিত হলো। আজকের ঘটনা আর জুলাই-আগস্টে ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডের মধ্যে পার্থক্য কোথায়?

    তিনি আরও বলেন, আবারও বলছি, আমরা আপনাদের শত্রু নই। বিগত সময়ে আপনাদের যতটুকু ত্যাগ (কম হোক বা বেশি হোক), তার স্বীকৃতি দিতে আমরা কৃপণতা করি না। কিন্তু আপনারা হাঁটছেন ঠিক আগের মতো উল্টোপথে। দখলদারিত্বের মনোভাব পরিহার করে, শিক্ষা ও সেবামূলক ছাত্ররাজনীতির ধারায় ফিরে আসুন। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে সামর্থ্যের আলোকে ভূমিকা রাখুন।

    ছাত্রদলের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি আরও বলেন, যাদের পরামর্শে অগ্রসর হচ্ছেন, তারা ছাত্রলীগকে যে পরিণতি বরণ করিয়েছে, আপনাদেরও একই পরিণতি করতে ছাড়বে না। শুভবুদ্ধির উদয় হোক— এই কামনা। নতুবা সকল ব্যর্থতা ও পরিণতির দায় নিজেদেরই নিতে হবে। দায় চাপানোর রাজনীতি এখন চলে না। এই প্রজন্ম যথেষ্ট সচেতন।

    ছাত্রদলের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে ছাত্র শিবিরের সভাপতি বলেন, ছাত্রশিবিরের উদারতাকে দুর্বলতা ভাববেন না। ছাত্রশিবির কোনো ব্যক্তি বা দলের পূজা করে না। এক আল্লাহর গোলাম হিসেবে শুধুমাত্র রবের কাছেই মাথা নত করে।

  • ছাত্র রাজনীতির ইতিহাসে সর্বোচ্চ হতাহতের আশঙ্কা সামনে!

    ছাত্র রাজনীতির ইতিহাসে সর্বোচ্চ হতাহতের আশঙ্কা সামনে!

    দেশের ছাত্র রাজনীতিতে টানটান উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা এবং হুমকি-ধামকির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ও বিশিষ্ট বিশ্লেষক ড. আসিফ নজরুল।

    একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি বর্তমান পরিস্থিতিকে “অত্যন্ত ভয়াবহ” বলে উল্লেখ করেছেন। তার মতে, অতীতে আওয়ামী লীগের শাসনামলে যে কোনো সংঘর্ষে পুলিশ-প্রশাসন একপেশে আচরণ করত এবং সহজেই প্রতিপক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দিত। কিন্তু বর্তমানে প্রশাসনের মধ্যে বিভক্তি এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সমান শক্তির উপস্থিতি নতুন বাস্তবতা তৈরি করেছে।

    ড. আসিফ নজরুল লিখেছেন, “বর্তমানে পুলিশ-প্রশাসন বিভক্ত, কোনো রাজনৈতিক দলের একক দৌরাত্ম নেই আপাতত, ডেডিকেটেড মারমুখী কর্মীসংখ্যা কাছাকাছি পরিমানের, সব মিলিয়ে ছাত্রদল-ছাত্রশিবির যদি এই মুহূর্তে মুখোমুখি হয়, নিশ্চিতভাবে বলা যায় কোনো পক্ষই সহজে পেছাবে না। উভয়ই নিজের অস্তিত্বের লড়াই জ্ঞান করে মারামারি করবে। হয়তো, ছাত্র রাজনীতির ইতিহাসে স্মরণকালের সর্বোচ্চ হতাহত ও লাশ দেখতে হবে এবার।”

    তিনি আরও বলেন, এই পরিস্থিতি শুধু ভয় বা আতঙ্ক নয়, চরম হতাশাও তৈরি করছে। কারণ যারা এখন একে অপরের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে, তারা কিছুদিন আগেও একসঙ্গে আন্দোলনে টিয়ারগ্যাস ও রাবার বুলেটের মুখোমুখি হয়েছিল।

    সাম্প্রতিক সময়ে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির একে অপরের বিরুদ্ধে অফিশিয়াল প্যাডে দায়ারোপ ও হুমকি দিয়ে যেসব বিবৃতি দিচ্ছে, তা ভবিষ্যতের জন্য “খুব খারাপ ইঙ্গিত” বহন করছে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

    এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতির দ্রুত সমাধানে প্যারেন্ট সংগঠনগুলোর সিনিয়র নেতাদের জরুরি হস্তক্ষেপ একান্ত প্রয়োজন বলে মনে করেন ড. আসিফ নজরুল।

  • মক্কা-মদিনায় ১০ রাকাত তারাবি পড়ার সিদ্ধান্ত

    মক্কা-মদিনায় ১০ রাকাত তারাবি পড়ার সিদ্ধান্ত

    ২০২৫ সালের রমজানে মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীতে তারাবির নামাজ ১০ রাকাত পড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হারামাইন শরিফাইন কর্তৃপক্ষ। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুই পবিত্র মসজিদ বিষয়ক জেনারেল প্রেসিডেন্সির সভাপতি শায়খ আবদুর রহমান আস-সুদাইস এ ঘোষণা দেন বলে জানিয়েছে ইনসাইড দ্যা হারামাইন।

    সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এবার রমজানে ৫ সালামে ১০ রাকাত তারাবির নামাজ আদায় করা হবে। পূর্ববর্তী বছরগুলোতে করোনার কারণে তারাবির রাকাত সংখ্যা কমানো হয়েছিল। তবে ২০২৫ সালে এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকলেও এর নির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করা হয়নি। ১০ রাকাত তারাবির পর তিন রাকাত বিতির নামাজও পড়া হবে বলেও ঘোষণা দেওয়া হয়।

    জানা যায়, করোনাভাইরাস মহামারির পর থেকে মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীতে ১০ রাকাত তারাবির নামাজ চালু রাখার মূল কারণ হলো স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা।

    কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০২০ সালে মহামারির সময় নামাজে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে তারাবির রাকাত সংখ্যা কমিয়ে ২০ থেকে ১০ করা হয়। এই নিয়ম পরে স্থায়ী করা হয়। কম সময়ের নামাজের ফলে মসজিদ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা ও জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়।

    এছাড়াও মুসল্লিদের ক্লান্তি কমানো ও বেশি সংখ্যক মানুষকে নামাজ আদায়ের সুযোগ দেওয়ার জন্যও ১০ রাকাত পদ্ধতি অব্যাহত রাখা হয়েছে। মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববীতে প্রতিদিন প্রচুর উমরাহ পালনকারী আসেন। ১০ রাকাত তারাবির ফলে উমরাহ ও নামাজ দুইটিই সহজভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হয় বলে মনে করে কর্তৃপক্ষ। যদিও করোনা মহামারির অবস্থা নিয়ন্ত্রণে এসেছে, তারপরও মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীতে এই নিয়ম বজায় রাখা হয়েছে।

  • জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে ছাত্রদল

    জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে ছাত্রদল

    খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদ।

    বুধবার বিকাল ৪ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) অবস্থিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করবে সংগঠনটি।

    মঙ্গলবার রাতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক (সহ-সভাপতি পদমর্যাদা) জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

    এর আগে, মঙ্গলবার কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ নিয়ে দুপুর থেকে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। ঘটনায় কমপক্ষে ৬০ জন আহত হয়েছেন।

    যার জেরে মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

    এ ঘটনার জেরে রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। মঙ্গলবার রাত ৯টায় রাজু ভাস্কর্য থেকে কিছুটা দূরে ডাস ক্যাফেটেরিয়া এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল বিক্ষোভ করে। একই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য এলাকায় একই ঘটনার প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি চলছিল।

  • আজ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জুলাই গণহত্যা ও কুয়েটে ছাত্রদলের হামলার ভিডিও প্রদর্শনী

    আজ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জুলাই গণহত্যা ও কুয়েটে ছাত্রদলের হামলার ভিডিও প্রদর্শনী

    জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতিকে তাজা রাখতে আজ সারা দেশে ভিডিওচিত্র প্রদর্শনী করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সেইসঙ্গে খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রদলের হামলার ভিডিওচিত্রও প্রদর্শনী করা হবে। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) এই ভিডিওচিত্র প্রদর্শনী করা হবে।

    গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টায় কুয়েটে ছাত্রদলের হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।

    তিনি বলেন, আমরা জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতিকে তাজা রাখতে চাই। আমরা চাই না আপামর ছাত্র-জনতা এই অভ্যুত্থানকে ভুলে যাক। তারা কোনো নব্য ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটাক। তাই আমরা আগামীকাল সারাদেশে জুলাই অভ্যুত্থানের ভিডিও চিত্র প্রদর্শনী করা হবে। একইসঙ্গে কুয়েটে হামলার যত ভিডিও আছে সবগুলো প্রদর্শন করা হবে।

    এর আগে দুপুরে কুয়েটে সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় ইতিমধ্যে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন। এই ঘটনায় আশপাশের এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বর্তমানে পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, পুলিশ ও র‍্যাব।

    শিক্ষার্থী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কয়েকদিন ধরে কুয়েট শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন মেসেঞ্জার গ্রুপে ছাত্রদলের কমিটি গঠন নিয়ে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া চলছিল। এর মধ্যে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিতে দুপুরে মিছিল বের হয়। মিছিলটি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে পৌঁছালে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তাদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে নগরীর রেলগেট ও তেলিগাতিসহ আশপাশের এলাকার বিএনপির নেতা-কর্মীরা

  • নিজেদের রাজনৈতিক কবর রচনার পথে ছাত্রদল: আব্দুল হান্নান

    নিজেদের রাজনৈতিক কবর রচনার পথে ছাত্রদল: আব্দুল হান্নান

    খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে ছাত্রদল নিজেদের কবর রচনার পথে অগ্রসর হলো বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুদ।

    মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) নিজের ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ মন্তব্য করেন।

    স্ট্যাটাসে হান্নান মাসুদ লেখেন, কুয়েটে ছাত্রদল নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ স্টাইলে যে নৃশংস হামলা চালাচ্ছে, এর মধ্য দিয়ে ক্যাম্পাসগুলোতে ছাত্রদল নিজেদের রাজনৈতিক কবর রচনার পথেই অগ্রসর হলো।

    এদিকে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবি নিয়ে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) এখন উত্তপ্ত। এদিন দুপুরে কুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রদের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। পরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে শিক্ষার্থীরা ‘ছাত্র রাজনীতি ঠিকানা, এই কুয়েটে হবে না’, ‘দাবি মোদের একটায়, রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস চাই’, ‘এই ক্যাম্পাসে হবে না, ছাত্র রাজনীতির ঠিকানা’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হলগুলো প্রদক্ষিণ করেন। পরে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে তাদের সঙ্গে ছাত্রদের অন্য একটি গ্রুপের উত্তেজনা দেখা দেয়। সেখানে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। যা পরে সংঘর্ষে রূপ নেয়। পরবর্তীতে কুয়েট ক্যাম্পাসের পাশাপাশি কুয়েট-সংলগ্ন রোডে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ছড়িয়ে পড়ে।

  • ‘কুয়েট কাণ্ডসহ একের পর এক মব বানাচ্ছে গুপ্ত সংগঠন’

    ‘কুয়েট কাণ্ডসহ একের পর এক মব বানাচ্ছে গুপ্ত সংগঠন’

    কুয়েটে ছাত্রদলের লিফলেট বিতরণকালে নেতাকর্মীদের ওপর হামলার দাবি করে এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল। বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে কুয়েটে হামলার ঘটনায় একটি ‘গুপ্ত’ সংগঠনকে দায়ী করে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ।

    মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাস এলাকা থেকে মিছিল বের করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বর ঘুরে পুনরায় ডাস এলাকায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

    সমাবেশে ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, আপনারা জানেন দু-দিন আগে কুয়েটে একটি গুপ্ত সংগঠন ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে মিছিল বের করে। সেখানে আমাদের ছাত্রদলের ভাইয়েরা পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তাদের ওপর বিনা উসকানিতে হামলা চালিয়ে আহত করে। তারা ক্যাম্পাসে মব সৃষ্টি করে বুঝাতে চায় ছাত্রলীগের মতোই ছাত্রদল ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যারা ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে চায়, তারাই ক্যাম্পাসগুলোতে নামে-বেনামে বিভিন্ন সংগঠনের দোকান খুলে বসেছে।

    তিনি বলেন, সারা দেশে বিশেষ করে ক্যাম্পাসগুলোতে একটি গুপ্ত সংগঠন আমাদের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়ে আসছে। তারা বলে আমরা নাকি ডাকসু চাই না, অথচ আমাদের দাবিগুলোতে ডাকসু দেওয়ার প্রস্তাবনা রয়েছে। আমরা সে অনুযায়ী সামনে এগিয়ে যাচ্ছি। এখনো ক্যাম্পাসে গুপ্ত সংগঠনটি একের পর এক মব ক্রিয়েট করে যাচ্ছে। তারা নিজেকে খুব মেধাবী মনে করে। এই মূর্খের দল জানেই না এই বিদ্যাপিঠের শিক্ষার্থীরা মবের ফাঁদে পা দেবে না৷ শিক্ষার্থীরা বুঝে গেছে, মব ক্রিয়েট করে গুপ্তচর্চার রাজনীতি করা সম্ভব না।

    তিনি আরও বলেন, ছাত্রদলের ছায়াতলে প্রকৃত সাধারণ শিক্ষার্থীরা আশ্রয় নিয়ে কথা বলতে পারছে। ছাত্রদল শিক্ষার্থীদের চাওয়া-পাওয়াকে কেন্দ্র করে তাদের মতামতের ভিত্তিতে কর্মসূচি প্রণয়ন করে। বিগত দিনগুলোতে ছাত্রদল মৃত্যুর উপত্যকায় দাঁড়িয়ে মুক্তির স্লোগান দিয়েছে। গুপ্ত বাহিনীর উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আপনারা সামনে আসেন, নিজের পরিচয় প্রকাশ করুন, দেখব আপনাদের জনপ্রিয়তা কতটুকু। ফেসবুকে মব ক্রিয়েট করে অপপ্রচার করা হলে তার দাঁত ভাঙা জবাব দেওয়া হবে।

    ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ৭১, ৯০ ও ২৪-এর পরাজিত শক্তিরা এখনও ওঁত পেতে আছে। তাই আমাদের বিরুদ্ধে অনেক অপপ্রচার করা হবে। আপনাদের চরিত্র হননের চেষ্টা করা হবে। তাই আপনারা সতর্ক থাকবেন। কোনো গুপ্ত বাহিনীর ফাঁদে পা দেবেন না। আপনাদের নেতৃত্বের ওপর দেশের মানুষ ও শিক্ষার্থীরা নির্ভর করছে।

    শিক্ষার্থীদের জোরপূর্বক মিছিল-মিটিংয়ে আনা হলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কেউ যদি জোর করে মিছিল মিটিংয়ে নিয়ে আসে তার প্রমাণ আমাদের দেবেন। আমি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস-দায়িত্ব নিয়ে বলছি তাকে আইনের হাতে আমি নিজ হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করব।

    ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন বলেন, গুপ্তের আড়ালে যারা ছাত্রদলকে নিয়ে অব্যাহত ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে মেধা দিয়ে সহনশীলতার সঙ্গে তাদের ষড়যন্ত্র আমরা রুখে দেব। আত্মপরিচয়হীন সংকটে ভোগা ১৯৭১ সালে যারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী ছিল, নব্বইয়ের স্বৈরাচার এরশাদের সঙ্গে মিলে গণতন্ত্রকে কুক্ষিগত করেছিল, আজ ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে ঠিক একইভাবে তারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ষড়যন্ত্র জারি রেখেছে।

  • শপথ নিলাম তোদের টুঙ্গিপাড়া গুঁড়িয়ে দিবোঃ পিনাকী ভট্টাচার্য

    শপথ নিলাম তোদের টুঙ্গিপাড়া গুঁড়িয়ে দিবোঃ পিনাকী ভট্টাচার্য

    জনপ্রিয় রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও এক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য এবার আওয়ামী লীগকে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ড. ইউনূসের আয়নাঘর পরিদর্শন শেষে সেখানকার প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে হাহা রিএ্যাক্ট দেওয়া আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের তিনি মনুষ্যত্বহীন বলেছেন। এই আওয়ামী লীগের লোকজনদের রাজনীতি করার নূন্যতম নৈতিক অধিকার নেই বলে তিনি দাবি করেন।

    পিনাকী আরও বলেন, জুলাই-আগস্টের গণহত্যা নিয়ে যাদের ন্যূনতম অনুশোচনা নেই তাদের সাথে তাদের ভাষাতেই জবাব দিতে হবে। ফ্যাসিস্ট শুধু ফ্যাসিজমের ভাষাই বুঝবে।

    তিনি আওয়ামী নেতা-কর্মীদের হুঁশিয়ারি করে বলেন: “আমি শপথ নিলাম, তোদের টুঙ্গিপাড়া গুঁড়িয়ে দিবো, ফ্যাসিবাদের শেষ চিহ্নও মুছে দিবো।