Blog

  • ‘কুয়েটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভূমিকা ছিল ছাত্রলীগের মতো’

    ‘কুয়েটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভূমিকা ছিল ছাত্রলীগের মতো’

    খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ছাত্রদল। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবের লিয়াকত আলী মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে কুয়েট ছাত্রদল। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে দেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু আফসান মো. ইয়াহিয়া।

    আবু আফসান মো. ইয়াহিয়া বলেন, ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে নতুন একটি বাংলাদেশে আমরা পদার্পণ করেছি। সেই বাংলাদেশে যদি আমরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বলি ছাত্র রাজনীতি থাকবে না। বিগত জুলাই-আগস্ট বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন না আনলে রাজনীতি করাটা কঠিন হবে। ছাত্রদল শুরু থেকেই ইতিবাচক রাজনীতি করে আসছে।

    সংকটটা তখনই প্রকট হবে যদি আপনি জুলাই-আগস্টের স্পিরিটের সঙ্গে না যান। ছাত্রদল সব সময় জুলাই-আগস্টের স্পিরিটকে ধারণ করে প্রতিটি ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি করতে চায়। আমরা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ চাই। যেখানে সব দলের মতামতের প্রতিফলন ঘটবে। ছাত্রলীগের মতো একটি দলই রাজনীতি করবে, বাকিদের যদি রাজনীতি করতে না দেন তাহলে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন সেই শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা হবে।

    সংবাদ সম্মেলন ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল মালুম বলেন, কুয়েটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি রয়েছে। এটি সম্পূর্ণ একটি রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন। তারা রাজনৈতিক দল গঠন করে আগামীতে নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারা কুয়েটে নিজেদের কার্যক্রম চালু রেখে কোন মুখে দাবি করে তারা এখানে ছাত্র রাজনীতি চালু করতে দেবে না। কুয়েটের ৭৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্যাডে হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং আরিফ সোহেল স্বাক্ষরিত একটি কমিটি প্রকাশিত হয়েছে। সেই কমিটি স্পষ্ট প্রকাশ পায় যে সেখানে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু আছে।

    তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবারের ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে- ছাত্রদলের ছেলেরা হেঁটে যাচ্ছে, অপরদিকে ওরা মিছিল নিয়ে আসছে। সেখানে প্রতিষ্ঠানের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ওমর ফারুক দেখিয়ে দিচ্ছে ছাত্রদলের ছেলেরা যাচ্ছে এবং তার উসকানিতে ছাত্রদলের ছেলেদের তারা ধরেছে এবং পরবর্তী প্রেক্ষাপট সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, ছাত্রলীগের মতো যারা আচরণ করবে, তাদের পরিণতিও ছাত্রলীগের মতো হবে। কিন্তু আমরা জাতির সামনে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি গতকালকের এ ঘটনার জন্য সম্পূর্ণভাবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দায়ী এবং তাদের ভূমিকা ছিল ছাত্রলীগের মতোই।

    লিখিত বক্তব্যে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু আফসান মো. ইয়াহিয়া বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) একটি চরম অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে। পাল্টাপাল্টি হামলায় মারাত্মকভাবে হতাহত হয়েছেন শতাধিক শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দ। আমরা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে এখানে সরেজমিনে তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে এসেছি। আমরা আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করার সাথে সাথে উক্ত সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং এসব ন্যাক্কারজনক হামলাতে ও এসবের উসকানিতে জড়িত যেই হোক না কেন, সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক তাদের সকলকে বিচারের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি।

    তিনি বলেন, এ ঘটনার প্রেক্ষিতে অনলাইনে ও অফলাইনে নিরন্তর অপপ্রচারের মাধ্যমে সত্য ঘটনাকে চাপা দিয়ে ছাত্রদলের নামে যে মিথ্যা অপবাদ চারদিকে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, তার জবাবে বাস্তব প্রেক্ষাপটে আমাদের সংগঠনের নৈতিক ও রাজনৈতিক অবস্থান ব্যাখ্যা করা অতিজরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও আমরা এখানে তদন্তের দায়ভার নিয়ে এসেছি এবং মোটা দাগে একটি প্রতিবেদন আমরা ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের নিকট জমা দেব, কিন্তু তারপরও প্রশাসন কর্তৃক আরও পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের পর বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত এসব ঘটনার পুরো সত্য-মিথ্যা নির্ধারণ সম্ভব হবে না।

    তবে ইতোমধ্যে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের বয়ান, সংবাদমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন ও ছবি/ভিডিও প্রমাণের ভিত্তিতে আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি সে অনুযায়ী গতকালকের (মঙ্গলবার) এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সূত্রপাত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে একটি মিছিল থেকে রাহুল জাবেদ (২০২১-২২ সেশন), ইফাজ (২০২২-২৩ সেশন) ও ইউসুফ (২০২২-২৩ সেশন) নামক তিন জন ছাত্রদল সমর্থকের ওপর অতর্কিত হামলার মধ্য দিয়ে।

    সেই মিছিল থেকেই ধারণকৃত একটি ভিডিওতে দেখা যায় যে, যখন ভুক্তভোগী সেই শিক্ষার্থীরা ক্লাস শেষে অতি সাধারণভাবেই মিছিলটির পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন কতিপয় মিছিলকারী তাদের দিকে অতর্কিত তেড়ে যেয়ে হামলার সূচনা করে। ভুক্তভোগীদের বয়ান অনুযায়ী তাদেরকে ধাওয়া দিয়ে ও মারধর করে কুয়েট গেটের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয় এবং গেটের কাছে একটি দোকানে আশ্রয় নিলে সেই দোকানদারকেও হেনস্থা করা হয়। যার জবাবে সেই দোকানমালিকের পরিচিত কিছু স্থানীয় লোকজন সশস্ত্র হামলা চালায় সেই মিছিলকারীদের ওপর। দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়া চলে, কুয়েটের গেট হয়ে উঠে এক রণক্ষেত্র। প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে সেই এলাকায় চলে ন্যাক্কারজনক সহিংসতা। সেই সহিংসতায় জড়িত কতিপয় স্থানীয় দলীয় কর্মীকে ইতোমধ্যেই বহিষ্কার করা হয়েছে বলে আমরা দেখেছি। তবে তাদের কেউই হাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত নন এবং ছাত্রদলের ইন্ধনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানোর কোনো কারণও তাদের নেই।

    উল্লেখ্য যে, সহিংসতায় ছাত্রদলের উক্ত সমর্থকেরা কেবলমাত্র ভুক্তভোগী হিসেবে জড়িত ছিলেন বলেই এখন পর্যন্ত জানা গেছে। তাদের তিনজনই কুয়েটের সম্মান কোর্সের নিয়মিত শিক্ষার্থী। যেহেতু কুয়েটে ছাত্রদলের কোনো কমিটি গঠিত হয়নি, এবং এখনো পর্যন্ত কুয়েট ক্যাম্পাসে সদস্য ফরম পূরণ কার্যক্রমও শুরু হয়নি, সেহেতু তারা তিনজন ছাত্রদলের নিবন্ধিত কর্মীও নন। তাই তাদেরকে কেন্দ্র করে ঘটা কোনো ঘটনাকে ‘ছাত্রদলের হামলা’ শীর্ষক ঘটনা হিসেবে প্রচার করা মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একটি কাজ।

    আবু আফসান মো. ইয়াহিয়া আরও বলেন, ফরম পূরণ কার্যক্রম শুরু না হলেও বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের আদর্শে উজ্জীবিত শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচিত বলে তারাসহ আরও কিছু শিক্ষার্থীকে হেনস্তা করার উদ্দেশ্যে চিহ্নিত ও তালিকাভুক্ত করে ‘সাধারণ শিক্ষার্থীর’ ব্যানারের পেছনে লুকানো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও আন্ডারগ্রাউন্ড রাজনীতির ধারক বাহক ইসলামি ছাত্রশিবিরের গুপ্ত কর্মীরা ও ক্যাম্পাসে রয়ে যাওয়া ফ্যাসিবাদী নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মীরা। ছাত্রদল কুয়েট ক্যাম্পাসে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন না করলেও এসব গুপ্ত ষড়যন্ত্রকারীদের ইন্ধনে সাধারণ শিক্ষার্থী পরিচয়ে উক্ত মব মিছিলটির পূর্বে ছাত্রদলের রাজনীতি নিষিদ্ধ চেয়ে ক্যাম্পাসে বিশাল ব্যানার টানানো হয় এবং মিছিল থেকে বিনা উসকানিতে ছাত্রদলের উপরোক্ত সমর্থকদের ওপরে হামলা চালানো হয়। এসব ঘটনা চলাকালে এবং পরবর্তীতে কোনোরূপ তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই স্থানীয় জনতার সাথে কুয়েট শিক্ষার্থীদের এই ন্যাক্কারজনক সহিংসতাকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘ছাত্রদলের হামলা’ বলে পুরো ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটার চেষ্টা চালানো হয়। কিন্তু সময়ের সাথে যত বেশি তথ্য উন্মোচিত হচ্ছে, তত আমরা দেখতে পাচ্ছি যে ন্যাক্কারজনক এই ঘটনাটির সত্য রূপ পুরোই ভিন্ন।

    সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি হাবিবুল বাশার, সাফি ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাহেদ হাসান, হাসানুর রহমান, শাহাদাত হোসেন, সোহেল রানা, নুরুজ্জামান চন্দন, কুয়েট ছাত্রদল সমর্থক রাহুল জাবেদ, ইফান জমাদ্দার প্রমুখ।

  • তিস্তা রক্ষার আন্দোলন অন্যদিকে ঘুরিয়ে নিতেই কুয়েটে হা’মলা: ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক

    তিস্তা রক্ষার আন্দোলন অন্যদিকে ঘুরিয়ে নিতেই কুয়েটে হা’মলা: ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক

    তিস্তার ন্যায্য হিস্যা ও নদী রক্ষার আন্দোলন থেকে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্যই কুয়েটে সংঘর্ষের ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

    ওই পোস্টে তিনি বলেন-

    ‘আজকে রাত জেগে ২০টা টিভি, ১০টা অনলাইন পোর্টাল, মূলধারার পত্রিকা, কয়েকটা ইউটিউব চ্যানেল আর অনেকগুলা টকশো বিশ্লেষণ করে আমার উপলব্ধি নিম্নস্বরুপ।

    ভাষাগত নিয়ন্ত্রণ পুরা না হারিয়ে বলতে চাই খুলনা ও কুয়েটের কিছু কুকুর সমতূল্য দুর্বৃত্তের কারণে বাংলাদেশের অন্যতম ঐতিহাসিক একটি আন্দোলন, তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন, এই দাবিতে তিস্তা বেষ্ঠিত উত্তরবঙ্গের পাঁচটি জেলার এগারোটি স্থানে ৪৮ ঘন্টার অবস্থান কর্মসূচি থেকে জাতীয় পর্যায়ে যে জাগরণ সৃষ্টি হওয়া উচিৎ ছিলো সেটিকে অনেকটাই ম্লান করে দিয়েছে।

    ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাও, জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাও।’

    ভারতের অন্যায় ও অবৈধ আচরণের কারণে কয়েক দশক ধরে দুই কোটি জনগণের আহাজারি নিরসনের এই কর্মসূচি কয়েকটি মানুষরূপী কুকুরের কামড়া কামড়িতে দেশের মানুষের দৃষ্টি ঘুরিয়ে দেয়ার কাজটি করল।

    কুকুরগুলো কোন দল করে জানি না, প্রয়োজনও নেই। যারাই দোষী তাদেরকে খাঁচাবন্দী করার দায়িত্ব পুলিশের। তারা সেটি করতে ব্যর্থ হলে তাদেরকেও ষড়যন্ত্রের অংশীদার হিসাবেই গণ্য করতে হবে।

  • কর্মবিরতির ঘোষণা এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

    কর্মবিরতির ঘোষণা এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

    জাতীয়করণের দাবিতে ‘মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচিতে পুলিশি বাধার প্রতিবাদে নতুন দুই কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আন্দোলনরত শিক্ষক-কর্মচারীরা।

    ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষক সমাবেশ এবং বেসরকারি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতির কথা বলা হয়েছে।

    বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী এ ঘোষণা দেন।

    তিনি বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা দেওয়ার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শিক্ষক সমাবেশ করা হবে।

    এ সমাবেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত থাকবেন।
    এছাড়া সমাবেশ থেকে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করা হতে পারে বলেও জানান তিনি।

    দেলোয়ার হোসেন আজিজী বলেন, শিক্ষক সমাবেশের পাশাপাশি আগামীকাল সারাদেশের বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদরাসা এবং কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এ কর্মসূচি চলবে।

    শিক্ষকরা বলছেন, সরকারি নিয়মে বাড়িভাড়া, মেডিক্যাল ভাতা, শতভাগ উৎসব ভাতা ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। প্রজ্ঞাপন ছাড়া ঘরে ফিরবেন না তারা।

    এর আগে, বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন আন্দোলনরত শিক্ষক-কর্মচারীরা। তবে পুলিশের বাধা পেয়ে পল্টন মোড়ের দিকে চলে যান তারা।

    বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে টানা আটদিন ধরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষকরা। গত রোববার অবস্থানের পাশাপাশি অর্ধদিবস কর্মবিরতিও পালন করেন তারা।

  • আদালতে বেশি বলবা না, বললেই রিমান্ড বাড়িয়ে দেয় : আইনজীবীকে পলক

    আদালতে বেশি বলবা না, বললেই রিমান্ড বাড়িয়ে দেয় : আইনজীবীকে পলক

    রাজধানীর ধানমন্ডি থানাধীন এলাকায় মো. রিয়াজ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে।

    বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় আদালতের কাঠগড়ায় উঠানো হলে শুনানির আগে পলক আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলতে থাকেন। পলক তার আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখিকে বলেন, ‘শুনানিতে বেশি কিছু বলার দরকার নেই। বেশি কিছু বললেই রিমান্ড বাড়িয়ে দেয়। যত কম বলবা তত ভালো।’

    এ সময় পলক আইনজীবীদের বলেন, ‘আমি এত পরিমাণে আদালতে আসি যে, সকালে কারাগারে হাঁটতে বের হলে তখন বন্দিরা আমাকে বলে ‘আজকে আপনার অফিস নেই?’। আদালতকে তারা আমার অফিস ভাবে।

    এরপর পলককে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো আবেদন করে শুনানি করেন তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম আজহারুল ইসলাম তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। পরে আদালত থেকে পলককে গারদখানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

    মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৪ আগস্ট রাজধানীর ধানমন্ডির সায়েন্স ল্যাব এলাকা থেকে জিগাতলা এলাকায় যাওয়ার পথে আসামিদের ছোড়া গুলিতে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হন মো. রিয়াজ (২৩)। দুই সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ১৭ আগস্ট বিকালে মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের মা মোসা. শাফিয়া বেগম ৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

  • ‘আমার সঙ্গে তর্ক নয়’, ভারতকে কড়া বার্তা ট্রাম্পের

    ‘আমার সঙ্গে তর্ক নয়’, ভারতকে কড়া বার্তা ট্রাম্পের

    ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর ভারত যে হারে শুল্ক বসায়, পাল্টা সেই হারে ভারতীয় পণ্যের ওপর শুল্ক বসিয়েছেন ট্রাম্প। সম্প্রতি মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরে এ বিষয়ে আলোচনাও হয় দু’জনের মধ্যে। কিন্তু ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি একেবারেই পিছু হটেননি (শুল্ক ইস্যুতে)।

    মার্কিন সংবাদমাধ্যমে ট্রাম্প বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এসেছিলেন। আমি তাকে জানিয়ে দিই, আমরাও পাল্টা শুল্ক বসাব। আপনারা যে হারে শুল্ক নেবেন, আমরাও একই হারে নেব। উনি (মোদি) না, না বলতে শুরু করেন। জানান, বিষয়টা ভালো লাগছে না। কিন্তু আমি জানিয়ে দিয়েছি, আপনারা যা করছেন আমিও তা-ই করছি। সব দেশের ক্ষেত্রে একই নিয়ম।’

    ট্রাম্প জানান, পৃথিবীর মধ্যে ভারতই যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সর্বোচ্চ শুল্ক আদায় করে। বিশেষ করে গাড়ির ওপর ১০০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক নেয়া হয়।

    এদিকে ট্রাম্প যখন এই মন্তব্য করেন, তার পাশে ছিলেন ধনকুবের ইলন মাস্কও। ভারতের বাজারে টেসলার গাড়ি চালু করতে সরকারের সঙ্গে সমঝোতা চলছে তার। চড়া শুল্ক নিয়ে তিনিও একমত পোষণ করেন। মাস্ক বলেন, ‘হ্যাঁ ১০০ শতাংশ, গাড়ি আমদানিতে ১০০ শতাংশ।’

    এভাবে চললে ভারতের বাজারে ব্যবসা করা সম্ভব নয়, দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অন্যায় করছে বলেও জানান ট্রাম্প।

    চড়া শুল্ক নিয়ে মোদির সঙ্গে কী কথা হয়, তা-ও তুলে ধরেন ট্রাম্প। বলেন,
    আমার সঙ্গে তর্ক নয়। আমি যদি ২৫ শতাংশ বলি, তাদের খারাপ লাগে। তাই কোনো সংখ্যা বলি না আর। ওদিক থেকে যা নেয়া হবে, আমরাও সমান হারে শুল্ক নেব বলেছি। এর ফলে ওদেরই থামতে হয়েছে।

    উল্লেখ্য, ট্রাম্প প্রথমবার যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হন, সেই সময়ও ভারতকে ‘শুল্কের রাজা’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন। দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার পর আরও আগ্রাসী অবস্থান নিয়েছেন ট্রাম্পের। চড়া শুল্কের পাল্টা শুল্ক বসানোর ঘোষণা দিয়েছেন। সেই নিয়ে সম্প্রতি মোদির সঙ্গে বৈঠকও হয় তার। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি পাল্টায়নি। উল্টো ভারতের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক পণ্যের ওপর শুল্ক কমানো হয়েছে।

    সূত্র: এনডিটিভি, এবিপি

  • ‘শিবির কোপানো জায়েজ’ লেখা সেই ছাত্রদল নেতার নামে থানায় অভিযোগ

    ‘শিবির কোপানো জায়েজ’ লেখা সেই ছাত্রদল নেতার নামে থানায় অভিযোগ

    ‘শিবির কোপানো জায়েজ ছিল, আছে, থাকবে, ইনশাল্লাহ’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাত্রদল নেতার দেওয়া এমন পোস্টের প্রতিবাদ জানিয়ে তাকে আইনের আওতায় আনতে থানায় অভিযোগ জানিয়েছে ছাত্রশিবির।

    বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নোয়াখালীর সুধারাম মডেল থানায় দুইজন আইনজীবীসহ বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের নোয়াখালী শহর শাখার আইন সম্পাদক আবদুল কাউয়ুম বাদী হয়ে এ অভিযোগ দায়ের করেন। এ সময় শিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য ও নোয়াখালী শহর শাখার সভাপতি হাবিবুর রহমান আরমানসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

    অভিযুক্তরা হলেন, নোয়াখালী সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের মো. জালাল আহমেদের ছেলে সোহাগ গাজী ও চর কাউনিয়ার ইউসুফ মাঝির ছেলে আরিয়ান হোসেন বাবলু। অভিযুক্ত দুজনেই ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। মো. সোহাগ গাজী আন্ডারচর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এবং নোয়াখালী ন্যাশনাল মডেল কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি। বর্তমানে এই নেতা সৌদি আরবে অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় ছাত্রদল।

    জানা যায়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সংঘর্ষের পর মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সোহাগ গাজী নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে লেখেন, ‘শিবির কোবানো (কোপানো) জায়েজ ছিল, আছে, থাকবে।’ স্ট্যাটাসটি দেওয়ার পরপরই তা দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। ব্যাপক সমালোচনার মুখে কিছু সময় পর তিনি পোস্টটি মুছে ফেলেন। সোহাগ গাজীর এই বিতর্কিত স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তোলেন।

    বিজ্ঞাপন

    এদিকে বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নোয়াখালীর সুধারাম মডেল থানায় অভিযোগ প্রদান শেষে শিবিরের নেতারা একটি সংবাদ সম্মেলন করেন।

    সংবাদ সম্মেলনে আইন সম্পাদক আবদুল কাইয়ুম বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল করার হীন চক্রান্তের অংশ হিসেবে ছাত্রদল নেতা মো. সোহাগ গাজী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘শিবির কোপানো জায়েজ ছিল, আছে, থাকবে, ইনশাল্লাহ’ স্ট্যাটাস দিয়ে রাজনৈতিক বিদ্বেষ ছড়ানোর চেষ্টা করছে। উস্কানি ও রাজনৈতিক বিদ্বেষ ছড়িয়ে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের হত্যা করার ষড়যন্ত্র করছে। আমরা এ বিষয়ে আইনি প্রতিকার চেয়ে সংগঠনের সিদ্ধান্ত মতে সুধারাম মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।

    এসময় শিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য ও নোয়াখালী শহর শাখার সভাপতি হাবিবুর রহমান আরমান বলেন, আমরা ছাত্রদলের সঙ্গে দীর্ঘ ১৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে রাজপথে এক সঙ্গে থেকে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন করেছি। ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে ঠিকই, কিন্তু ছাত্রদলের তৃণমূলের কিছু নেতাকর্মীর মনে নতুন করে ফ্যাসিবাদের জন্ম নিচ্ছে। আমরা এ ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। পাশাপাশি ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে আহ্বান থাকবে, যে সকল অতি উৎসাহী নেতাকর্মী এ ধরনের কাজ করে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

    সুধরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, সাইবার সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    এদিকে নোয়াখালী সদর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, মো. সোহাগ গাজী আন্ডারচর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক। বর্তমানে সে সৌদি আরবে অবস্থান করছে। সে আমাকে বলছে যে তার আইডি হ্যাক হয়েছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে আমরা সিনিয়রদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি। কারণ আমার মনে হচ্ছে তার আইডি হ্যাক হয়নি।

  • এসএসসির সংশোধিত রুটিন প্রকাশ

    এসএসসির সংশোধিত রুটিন প্রকাশ

    ২০২৫ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার সংশোধিত নতুন সময়সূচি (রুটিন) প্রকাশ করা হয়েছে। রুটিন অর্থাৎ কবে কখন কোন পরীক্ষা হবে, তার সময়সূচি প্রকাশিত হয়েছে।

    আজ বুধবার প্রকাশিত ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সংশোধিত রুটিন অনুযায়ী ২০২৫ সালের এসএসসির তত্ত্বীয় পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামী ১০ এপ্রিল থেকে। এ পরীক্ষা শেষ হবে ১৩ মে। আগের রুটিন অনুযায়ী ৮ মে পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা ছিল।

    এবার বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষা দিয়ে শুরু হবে এসএসসি পরীক্ষা। পরীক্ষা শেষ হবে বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়ের মধ্য দিয়ে। নির্দিষ্ট দিনগুলোতে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত তত্ত্বীয় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১০ থেকে ১৮ মে।

  • আ. লীগকে আদর্শিক ও রাজনৈতিকভাবে নির্মূল করতে হবে: উপদেষ্টা আসিফ

    আ. লীগকে আদর্শিক ও রাজনৈতিকভাবে নির্মূল করতে হবে: উপদেষ্টা আসিফ

    আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই উল্লেখ করে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ‘আগে তাদের (আওয়ামী লীগ) বিচার করতে হবে। আদর্শিক ও রাজনৈতিকভাবে নির্মূল করতে হবে।’

    বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজে ‘তারুণ্যের উৎসব’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

    উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী শক্তির বাংলাদেশে নির্বাচন করার সুযোগ নেই। ট্রুথ কমিশন করে পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতি পরিচালিত হবে।’ যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।

    এসময় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) হামলার ঘটনা প্রসঙ্গেও কথা বলেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

  • রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকার ইচ্ছা থাকলে পদ ছেড়ে নির্বাচন করুন

    রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকার ইচ্ছা থাকলে পদ ছেড়ে নির্বাচন করুন

    সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলগমীর বলেছেন, ‘কারও ক্ষমতায় থাকার ইচ্ছা থাকলে বা রাজনীতি করার ইচ্ছা থাকলে পদ ছেড়ে দেন, দল করে নির্বাচন করুন, আমরা মেনে নেব। তবে ক্ষমতায় থেকে তা করা যাবে না।’

    মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে যশোর জেলা বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

    নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় রাখা, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানো, দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তোরণের জন্য নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা ও পতিত ফ্যাসিবাদের নানা চক্রান্ত প্রতিরোধের দাবিতে যশোর টাউন হল ময়দানে এই সমাবেশের আয়োজন করে জেলা বিএনপি।

    ফখরুল আরও বলেন, ‘সংস্কারের কথা বলে জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত করা যাবে না।’

    ‘আমরা সংস্কারের বিপক্ষে নই। তবে সংস্কারের নাম করে মানুষের অধিকার পিছিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়ায় মানুষ অন্য কিছুর গন্ধ পায়। এ দেশের মানুষ সংস্কার কী বোঝে না। তারা শান্তি ও সুশাসন চায়। তাই যেখানে যতটুকু ন্যূনতম সংস্কার দরকার করুন। এরপরে দ্রুত নির্বাচন দিন,’ যোগ করেন তিনি।

    জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দেশের মানুষ কোনোভাবেই মেনে নেবে না উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘এটা করতে গেলে এলাকায় এলাকায় আওয়ামী দোসররা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে, গণ্ডগোলের সৃষ্টি হবে। এ কারণেই জাতীয় নির্বাচনের আগে আমরা কখনোই স্থানীয় সরকার নির্বাচন মেনে নেব না।’

    ‘তাই সরকারকে বলবো, নির্বাচন নিয়ে কোনো কলাকৌশল করবেন না। এ দেশের মানুষের প্রত্যাশা মাফিক আগে জাতীয় নির্বাচন হবে, তারপর স্থানীয় সরকারের নির্বাচন।’

    প্রধান উপদেষ্টার প্রশংসা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ড. ইউনূস নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি দেশের গৌরব, সারা পৃথিবীর মানুষ তাকে সম্মান করে, আমরাও তাকে সম্মান করি। তিনি দায়িত্ব নেওয়ায় আমরা আশ্বস্ত হয়েছিলাম যে, তিনি দ্রুত একটা নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। আমরা এখনো আশাবাদী। দ্রুত নির্বাচন হলেই দেশে শান্তি ফিরে আসবে।’

    ফখরুল বলেন, ‘দেশের অবস্থা ভালো না। বিনিয়োগ নেই। যশোরের শিল্পাঞ্চল নওয়াপাড়ায় বেশিরভাগ কলকারখানা বন্ধ।

    তিনি বলেন, ‘সব জায়গায় ফ্যাসিস্টের দোসররা বসে আছে। সে কারণে ফ্যাসিস্ট পালিয়ে গেলেও জিনিসপত্রের দাম কমছে না, মানুষ নিরাপত্তা পাচ্ছে না, পুলিশ কাজ করতে পারছে না। দ্রুত স্বৈরাচারের দোসরদের সরাতে সরকারের তৎপর হতে হবে।’

    ‘যশোরবাসীকে আশ্বস্ত করে বলতে চাই, আগামী নির্বাচনে জনগণের ভোটে বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় এলে বন্ধ হয়ে যাওয়া সব কলকারখানা চালু করা হবে। যশোরের ভবদহ এলাকার জলাবদ্ধতা সমস্যার স্থায়ী সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

  • ছাত্রদলের প্রতি যে আহ্বান জানালো শিবির

    ছাত্রদলের প্রতি যে আহ্বান জানালো শিবির

    অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে গঠনমূলক ছাত্ররাজনীতির ধারায় ফিরে আসতে ছাত্রদলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইসলামী ছাত্র শিবির। পাশাপাশি ছাত্রদলকে শত্রু মনে করে না বলেও জানিয়েছে এই ছাত্র সংগঠনটি।

    মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে ছাত্র শিবিরের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে ছাত্রদলের প্রতি এই আহ্বান জানান ইসলামী ছাত্র শিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।

    খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ আহ্বান জানান তিনি।

    স্ট্যাটাসে জাহিদুল ইসলাম বলেন, ছাত্রদলকে আমরা শত্রু মনে করি না। আমাদের লড়াই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে। তাদের সরাসরি কিংবা কৌশলে অনেকবার বোঝানোর চেষ্টা করেছি— ‘অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে গঠনমূলক ছাত্ররাজনীতির ধারায় ফিরে আসুন’। কিন্তু বন্ধুপ্রতিম সংগঠনটি আমাদের আহ্বানে সাড়া না দিয়ে বিগত ফ্যাসিস্ট ও তাদের শাহবাগী দোসরদের পরামর্শে অগ্রসর হচ্ছেন। যার প্রতিফলন আজ কুয়েটে প্রমাণিত হলো। আজকের ঘটনা আর জুলাই-আগস্টে ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডের মধ্যে পার্থক্য কোথায়?

    তিনি আরও বলেন, আবারও বলছি, আমরা আপনাদের শত্রু নই। বিগত সময়ে আপনাদের যতটুকু ত্যাগ (কম হোক বা বেশি হোক), তার স্বীকৃতি দিতে আমরা কৃপণতা করি না। কিন্তু আপনারা হাঁটছেন ঠিক আগের মতো উল্টোপথে। দখলদারিত্বের মনোভাব পরিহার করে, শিক্ষা ও সেবামূলক ছাত্ররাজনীতির ধারায় ফিরে আসুন। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে সামর্থ্যের আলোকে ভূমিকা রাখুন।

    ছাত্রদলের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি আরও বলেন, যাদের পরামর্শে অগ্রসর হচ্ছেন, তারা ছাত্রলীগকে যে পরিণতি বরণ করিয়েছে, আপনাদেরও একই পরিণতি করতে ছাড়বে না। শুভবুদ্ধির উদয় হোক— এই কামনা। নতুবা সকল ব্যর্থতা ও পরিণতির দায় নিজেদেরই নিতে হবে। দায় চাপানোর রাজনীতি এখন চলে না। এই প্রজন্ম যথেষ্ট সচেতন।

    ছাত্রদলের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে ছাত্র শিবিরের সভাপতি বলেন, ছাত্রশিবিরের উদারতাকে দুর্বলতা ভাববেন না। ছাত্রশিবির কোনো ব্যক্তি বা দলের পূজা করে না। এক আল্লাহর গোলাম হিসেবে শুধুমাত্র রবের কাছেই মাথা নত করে।