Blog

  • ছিনতাইয়ের মালপত্র ফেরত দিতে টালবাহানা ছাত্রদল নেতার

    ছিনতাইয়ের মালপত্র ফেরত দিতে টালবাহানা ছাত্রদল নেতার

    বরিশালের গৌরনদীতে তারেক আহসান প্যাদা নামে এক ছাত্রদল নেতার নেতৃত্বে এক প্রবাসীর অর্থ ও মালপত্র ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। পরে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের সালিশে অর্থ ও মালপত্র ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও ওই ছাত্রদল নেতা তা ফেরত দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে এলাকায় দেখা দিয়েছে ক্ষোভ।

    ভুক্তভোগী আব্বাস সিকদার (৪৫) একজন ওমানপ্রবাসী। তিনি মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার রমজানপুর ইউনিয়নের জজিরা গ্রামের বাসিন্দা।

    প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, আব্বাস সিকদার গত ১৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় একটি মোটরসাইকেল নিয়ে পার্শ্ববর্তী গৌরনদী উপজেলার নলচিড়া ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামে মামা বাড়িতে বেড়াতে আসেন। ওই দিন রাত ৯টার দিকে তিনি মামা বাড়ির পাশের কুতুবপুর বাজারে গিয়ে একটি চায়ের দোকানের কোণে বসে ওমান থেকে আনা নেশা জাতীয় দ্রব্য সিসা গ্রহণ করেন। এ দৃশ্য দেখে ফেলে এলাকার কয়েক যুবক। এর পর তিনি মোটরসাইকেলে মামা বাড়ির দিকে ফেরার সময় গৌরনদী উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক তারেক আহসান (তারেক প্যাদা) ও তাঁর সহযোগী ইব্রাহীম খান, জুয়েল খলিফা, সুমন খান মিলে আব্বাসের পথরোধ করে। একপর্যায়ে তারা আব্বাস সিকদারকে মারধর করে তাঁর মানিব্যাগ থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা, বিদেশি মুদ্রা, স্বর্ণের চেন ও আংটি, বিদেশি হাতঘড়ি, মোবাইল ফোন ও মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেন। এ ছাড়া তারা আব্বাসের মোবাইল ফোনের বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে ২৯ হাজার টাকা সরিয়ে নেয়। পরবর্তী সময়ে তারা ওই প্রবাসীর মোবাইল ফোন ও মোটরসাইকেলটি ফেরত দিয়ে তাঁকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়।

    পরদিন সকালে এ ঘটনা জানাজানি হলে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে প্রবাসীর মালপত্র উদ্ধারে তাঁর স্বজনরা নলচিড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. জামাল ফকিরসহ স্থানীয় নেতাদের দ্বারস্থ হন। ওই নেতারা তারেক প্যাদাকে ডেকে প্রবাসীর অর্থ, স্বর্ণালংকার ও হাতঘড়ি ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন। এ ঘটনার এক মাস অতিবাহিত হলেও ছাত্রদল নেতা তারেক প্যাদা ও তাঁর সহযোগীরা প্রবাসীর অর্থ ও মালপত্র ফেরত দেননি। পরে ওই প্রবাসী ও তাঁর স্বজনরা আবারও বিএনপির স্থানীয় নেতাদের কাছে অভিযোগ করলে তারা জানান, তারেক প্যাদা তাদের নির্দেশ মানছে না। এ বিষয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগের পরামর্শ দেন তারা।

    ভুক্তভোগী প্রবাসী আব্বাস সিকদার বলেন, তিনি ১৪ বছর ধরে ওমানে আছেন। এবার ৯ বছরের বেশি সময় পর তিনি ছুটিতে দেশে এসেছেন। ১৫ মার্চের আগেই আবার তিনি ওমানে ফিরে যাবেন। এখন পুলিশের কাছে অভিযোগ বা মামলা দিলে প্রবাসে বসে তিনি কীভাবে মামলার কার্যক্রম চালাবেন– এটা ভেবে পুলিশে অভিযোগ দেননি। তাঁর অপারগতার সুযোগ নিচ্ছে ছিনতাইকারীরা।

  • বিএনপি তাকিয়ে আছে তারেক রহমানের দিকে, জামায়াতের প্রার্থী চূড়ান্ত

    বিএনপি তাকিয়ে আছে তারেক রহমানের দিকে, জামায়াতের প্রার্থী চূড়ান্ত

    বগুড়া-৩ (দুপচাঁচিয়া-আদমদীঘি) আসনটি মূলত জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির। স্বাধীনতার পর গত ১২টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী ছয়বার, জাতীয় পার্টি চারবার, আওয়ামী লীগ একবার এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী একবার নির্বাচিত হন। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ছাড়া সব রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং তাদের লোকজন মাঠে নেমে পড়েছেন। সম্ভাব্য প্রার্থীরা এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ইসলামি জালসা, খেলাধুলাসহ সব অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন। তারা নিজেদের প্রার্থিতা পরিচয়ে ভোটারদের দোয়া ও সমর্থন চাইছেন।

    নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, ১৯৭৩ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত দেশে ১২টি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বগুড়া-৩ আসন থেকে বিএনপি ছয়বার, জাতীয় পার্টি চারবার, আওয়ামী লীগ একবার ও স্বতন্ত্র একবার নির্বাচিত হয়। ১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগের হাসান আলী তালুকদার, ১৯৭৯ সালে বিএনপির আবদুল মজিদ তালুকদার এবং সীমানা পরিবর্তনের পর ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির এবিএম শাহজাহান নির্বাচিত হন। এরপর আসনটি বিএনপির দখলে চলে যায়। ১৯৯১ সালে বিএনপির আবদুল মজিদ তালুকদার, ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে বিএনপির গোলাম মাওলা, ১৯৯৬ সালের জুনে বিএনপির আবদুল মজিদ তালুকদার, ২০০১ ও ২০০৮ সালে তার ছেলে বিএনপির আবদুল মোমেন তালুকদার খোকা নির্বাচিত হন। বিএনপি নির্বাচন বয়কট করায় আসনটি আওয়ামী লীগ জোটের শরিক জাতীয় পার্টি সুযোগ পায়। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টির (এরশাদ) নুরুল ইসলাম তালুকদার নির্বাচিত হন। ২০২৪ সালের নির্বাচনে নুরুল ইসলাম তালুকদারকে হারিয়ে আওয়ামী লীগ ঘরানার স্বতন্ত্র প্রার্থী খাঁন মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ আল মেহেদী সংসদ-সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হন।

    এ আসনে জামায়াতে ইসলামীর একক প্রার্থী চূড়ান্ত হয়েছে। বিএনপি থেকে এখন পর্যন্ত চারজন টিকিট চাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন। তারা তাদের হারানো আসনটি পুনরুদ্ধার করতে চান। প্রার্থীরা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দিকে চেয়ে আছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে কারও নাম শোনা না গেলেও কে কে নির্বাচন করবেন, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

    এ আসনে বর্তমানে সম্ভাব্য সংসদ-সদস্য প্রার্থী হিসাবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন-জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল, জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও শহর বিএনপির সভাপতি হামিদুল হক চৌধুরী হিরু, জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও আদমদীঘি উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল মহিত তালুকদার এবং বগুড়া অ্যাডভোকেটস বার সমিতির সভাপতি আতাউর রহমান খান মুক্তা। জামায়াতে ইসলামী থেকে দুপচাঁচিয়া উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল গণি মন্ডলকে চূড়ান্ত প্রার্থী করা হয়েছে। এরপরও এ আসন থেকে গুনাহার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা নূর মোহাম্মদ আবু তাহের প্রার্থিতা চাইতে পারেন।

    বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল জানান, তিনি ১৯৭৭ সালে বিএনপির রাজনীতিতে আসেন। জাগো যুবদলের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক ছিলেন। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

    নিজেকে রাজনীতিতে সিনিয়র দাবি করে বেলাল জানান, তিনি মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের লোক। অবশ্যই বগুড়া-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন চাইবেন। এ আসনে অপর প্রার্থী আবদুল মহিত তালুকদারের বাবা আবদুল মজিদ তালুকদার চারবার এবং বড় ভাই আবদুল মোমেন তালুকদার খোকা দুবার এমপি নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছিলেন। কিন্তু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করতে বিলম্বের কারণে সুপ্রিম কোর্ট তার প্রার্থিতা বাতিল করেছিলেন। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অবশ্যই ধানের শীষের প্রার্থিতা চাইবেন। জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও শহর বিএনপির সভাপতি হামিদুল হক চৌধুরী হিরু জানান, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসনে তিনি বহুবার নির্যাতিত হয়েছেন। সেই সঙ্গে এ আসনের মাটি ও মানুষের নেতা হয়ে সার্বক্ষণিক তাদের পাশে থেকেছেন। হিরু আশা করেন, দল থেকে তাকে এ আসনে প্রার্থী করা হবে।

    শহর জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক আ স ম আবদুল মালেক জানান, বগুড়া-৩ (দুপচাঁচিয়া-আদমদীঘি) আসনে জেলা শূরা সদস্য মাওলানা আবদুল গণি মন্ডলকে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। এরপরও জনমত অনুসারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আবদুল গণি মন্ডল জানান, তিনি দুবার দুপচাঁচিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছিলেন। পরে নির্বাচন বয়কট করায় তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। জেলা জামায়াত নেতা ও গুনাহার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মাদ আবু তাহেরের স্বজনরা জানান, তিনিও দলের কাছে টিকিট চাইবেন। দল যে সিদ্ধান্ত নেবে, সেটি মেনে নেবেন।

  • ছাত্রদল কে যে ইতিহাস মনে করিয়ে দিলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

    ছাত্রদল কে যে ইতিহাস মনে করিয়ে দিলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

    ইতিহাস আমাদের শত্রুদের ক্ষমা করেনি, ভবিষ্যতেও কাউকেই করবে না বলে মন্তব্য করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।

    বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক স্ট্যাটাসে এ কথা বলেন তিনি।

    পোস্টে তিনি লিখেন, ‘আবারও বলি, এখন যারা ‘দায় চাপিয়ে দেয়া’ ও দোষারোপের রাজনীতির আশ্রয় নিচ্ছেন, তারা যেন নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের পরিণতি ভুলে না যান। ইতিহাস আমাদের শত্রুদের ক্ষমা করেনি, ভবিষ্যতেও কাউকেই করবে না। রাষ্ট্রীয় সংলাপ ও নতুন রাজনৈতিক পথরেখায় আমাদের অংশগ্রহণ প্রশ্নবিদ্ধ করার সুযোগ নেই। কোনো অজুহাতেই দেশ সংস্কারের প্রক্রিয়া থেকে আমাদের বিরত রাখার সুযোগ নেই।’

    পাঠকের জন্য পোস্টটি তুলে ধরা হলো-

    জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল বঞ্চিত, নিপীড়িত ও শোষিত ছাত্র-জনতার এক গৌরবময় বিপ্লব, যা ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনার পতনের অনিবার্য ভূমি নির্মাণ করেছে। সে সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বানে লক্ষ লক্ষ ছাত্র-জনতা রাস্তায় নেমে আসে। দুঃশাসনের শৃঙ্খল ভেঙে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের শপথ নেয় তারা। দেশের সব ছাত্রসংগঠনই এই আন্দোলনের ব্যানারে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল, যা ছিল আমাদের স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনে অভূতপূর্ব এক সংহতির নজির।

    আমাদের সংগ্রামে শহীদ হয়েছেন সাহসী বিপ্লবী তরুণ-তরুণীরা, রক্ত ঢেলে তারা ইতিহাসের পৃষ্ঠায় লিখেছেন স্বাধীনতার নতুন অধ্যায়। পিচ্চি রিয়া গোপ থেকে শুরু করে বৃদ্ধ রিকশাওয়ালা, এমন শত শত নিরপরাধ মানুষের শাহাদাত এই আন্দোলনকে নৈতিক এবং আত্মিক ভিত্তি নির্মাণ করে দিয়েছে। আর বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে এই আন্দোলনের ন্যায্য ভিত্তির উপর দাঁড়িয়েই। আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনই তাই রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে রাজনৈতিক সংলাপে অংশগ্রহণের প্রধান দাবিদার।

    আজ যারা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে আমাদের অংশগ্রহণ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, তাদের জিজ্ঞাসা করতে চাই—ফ্যাসিস্ট হাসিনার পদত্যাগের সময় এই ব্যানারে আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন কেন? ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে যখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হলো, তখন কোন প্রটোকল-এর ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল? তখন তো কোনো আপত্তি বা প্রশ্ন শোনা যায়নি! আজ কেন হঠাৎ করে এই প্রশ্ন সামনে নিয়ে আসা হলো?

    যারা আজ ‘মনিটরিং’ জনিত কৃত্রিম বিতর্ক সৃষ্টি করছেন, তারা আন্দোলনের মৌলিক ভিত্তিকে দুর্বল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আমরা স্পষ্ট ভাষায় জানাই— বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ছিলো এই গনঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দানকারী প্লাটফর্ম। এই প্লাটফর্মের নেতৃত্ব মেনেই বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দল এবং সংগঠন এই আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল। সেই হিসেবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাষ্ট্রীয় পুনর্গঠনের একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই প্লাটফর্ম কোন মাদারপার্টির মনিটরিংয়ে তাদের কোন পারপাস সার্ভ করে না।

    আবারও বলি, এখন যারা ‘দায় চাপিয়ে দেয়া’ ও দোষারোপের রাজনীতির আশ্রয় নিচ্ছেন, তারা যেন নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের পরিণতি ভুলে না যান। ইতিহাস আমাদের শত্রুদের ক্ষমা করেনি, ভবিষ্যতেও কাউকেই করবে না। রাষ্ট্রীয় সংলাপ ও নতুন রাজনৈতিক পথরেখায় আমাদের অংশগ্রহণ প্রশ্নবিদ্ধ করার সুযোগ নেই। কোন অজুহাতেই দেশ সংস্কারের প্রক্রিয়া থেকে আমাদের বিরত রাখার সুযোগ নেই। ছাত্র আন্দোলন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের একমাত্র সর্বজনসমর্থিত প্লাটফর্ম, এবং আমরা এই বৈধতার দাবিতে অটল থাকব, প্রয়োজনে যে কোনো চক্রান্তের বিরুদ্ধে সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলব। আমাদের হাজারো ভাইয়ের রক্তের দায় আমাদের উপর আছে, একটা সুন্দর বাংলাদেশ গড়েই সেই রক্তের দায় আমরা শোধ করবো। কোন মিথ্যাচার বা দোষারোপের রাজনীতি করে খুনি হাসিনা যেমন আমাদের থামাতে পারেনি, ভবিষ্যতেও কেউ থামাতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।

    ফ্যাসিবাদের পতন অনিবার্য! গণজাগরণ অপ্রতিরোধ্য! বিজয় আমাদেরই হবে!

  • ৬০ লাখ টাকা দেনা পরিশোধ করতে বাবাকে গুলি করে ছেলে

    ৬০ লাখ টাকা দেনা পরিশোধ করতে বাবাকে গুলি করে ছেলে

    ৬০ লাখ টাকা দেনা পরিশোধ করতে বাবাকে গুলি করে ছেলে
    নাটোরের সিংড়ায় নামাজ পড়তে মসজিদে যাওয়ার পথে ওসমান গনি বাবু (৫২) নামের এক ব্যবসায়ীকে গুলির ঘটনায় তার ছেলে আসাদুজ্জামান বল্টুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

    মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) আদালতে ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। মুমূর্ষু আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন ব্যবসায়ী বাবু। ঘটনার দিন ব্যবসায়ীর মেয়ে মোছা. বেবি খাতুন সিংড়া থানায় একজনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

    সূত্রে জানা যায়, গত ১ ফেব্রুয়ারি ভোর ৬টার দিকে উপজেলার চৌগ্রাম ইউনিয়নের পারুহারপাড়া মসজিদে ফজরের নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে যান ওসমান গনি বাবু। মসজিদের সিঁড়িতে উঠতেই কে বা কারা তার পেছন থেকে গুলি করে। গুলিটি তার কোমরের পেছনে বাম পাশে লাগে। এতে তিনি গুরুতর আহত হলে স্বজনরা সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পুলিশ দীর্ঘ তদন্তের পর মঙ্গলবার তার একমাত্র ছেলে আসাদুজ্জামান বল্টুকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এরপর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠালে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করে।

    মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিংড়া থানার উপ-পরিদর্শক মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, আটকের পর বল্টু পুলিশকে জানায় তার ব্যক্তিগত ৬০ লাখ টাকা দেনা ছিল। তার বাবাকে হত্যার পর সম্পদ বিক্রি করে দেনা শোধ করবে এবং পরবর্তীতে সকল সম্পদ ভোগ করবে এমনটা থেকে ঢাকা থেকে পিস্তল কিনে নিজের পরিকল্পনা অনুযায়ী ফজরের নামাজে যাওয়ার সময় অন্ধকারে গুলি করে। এ ঘটনায় তার বোনের দায়ের করা মামলাতেই তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।

    মো. ওসমান গনি বাবু চৌগ্রাম পারুহারপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল প্রামাণিকের ছেলে। তিনি স্থানীয় বাজারে ধান-চালের ব্যবসা করেন।

    এ বিষয়ে সিংড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসমাউল হক বলেন, ব্যবসায়ীকে গুলির ঘটনায় ১৮ দিনের তদন্ত শেষে তার একমাত্র ছেলেকে আটক করে জিজ্ঞাসা করলে সে পিস্তল দিয়ে তার বাবাকে গুলির কথা স্বীকার করে। মূলত বাবার মৃত্যুর পরে সকল সম্পদের মালিক হবেন এমনটা ভেবেই তিনি এ কাজ করেছেন বলে, জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন। আজ তাকে আদালতে প্রেরণ করলে আদালত ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী রেকর্ড করে কারাগারে প্রেরণ করে।

  • ‘শিবিরের ওপর দায় দিয়ে দাও’— রাকিব-নাছিরের ব্যক্তিগত আলাপ ভাইরাল

    ‘শিবিরের ওপর দায় দিয়ে দাও’— রাকিব-নাছিরের ব্যক্তিগত আলাপ ভাইরাল

    খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগের বিষয়ে আজ বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে সংবাদ সম্মেলন করেন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা।

    সংবাদ সম্মেলনের শেষের দিকে একজন সাংবাদিক উপস্থিত নেতৃবৃন্দের কাছে দুইটি প্রশ্ন করেন। প্রশ্নের প্রথম পর্বে তিনি বলেছেন, ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্টকে বিদায় করার জন্য ছাত্রদল, ছাত্রশিবির এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন একসাথে আন্দোলন করেছেন। ৬ মাস যেতে না যেতে এমন কী ঘটনা ঘটলো যে কুয়েটে এই বিশৃঙ্খলা হলো? প্রশ্নের দ্বিতীয় পর্বে প্রশ্ন ছিলো, কুয়েটের ইস্যুটি আপনারা সংবাদ সম্মেলনে সীমিত রাখবেন নাকি সিনিয়ররা বসে আলোচনা করে সমাধন করবেন?

    প্রশ্নের এই প্রথম পর্ব শেষ হতেই উপস্থিত ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরকে বলেন, ‘শিবিরের উপর দায় দিয়ে দাও।’

    বিভিন্ন টেলিভিশনের লাইভ ভিডিও দেখে তাদের এই আন্তঃযোগাযোগ নিশ্চিত হওয়া যায়।

    বেসরকারি টেলিভিশন যমুনার সংবাদ সম্মেলনটির লাইভ ভিডিওর ১৯ মিনিট ১৯ সেকেন্ডের মাথায় শিবিরের উপর দেওয়ার কথাটি শোনা যায়।

    তবে নাছির উদ্দীন ছাত্রশিবিরকে দায় না দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দকে দায় দেন।

    তিনি বলেন, গতকাল কুয়েটে যে ঘটনা ঘটেছে সেটার উৎপত্তি করেছে কুয়েটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিশৃঙ্খল মব। এটার নেতৃত্ব দিয়েছে কুয়েটের বৈষম্যবিরোধীর আহবায়ক ওমর ফারুক। সেটা কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং করেছে কেন্দ্রীয় আহবায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

    তিনি বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের আগে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন ক্যাম্পাসে মোটাদাগে তিনটি অপরাধে জড়িত ছিলো। জোর করে মিছিলে নেওয়া। গেস্টরুম নির্যাতন অথবা মতামত প্রকাশে বাঁধা দেওয়া এবং অন্য ছাত্রসংগঠনের রাজনৈতিক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করা। কিন্তু ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে আমরা দেখেছি, দুইটি সংস্কৃতির বিলুপ্তি ঘটেছে। একটা হচ্ছে গেস্টরুম কালচার। অন্যটি জোর করে মিছিলে নেওয়া। কিন্তু অভ্যুত্থানের পরেও প্রকাশ্যে গণতান্ত্রিক রাজনীতি বাধাগ্রস্ত করার সংস্কৃতি এখনো চালু রয়েছে। যেটি গতকাল খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটেছে। সেখানে বৈষম্যবিরোধীদের কমিটি রয়েছে যেটা জানুয়ারির ৭ তারিখ প্রকাশিত হয়েছে।

    কুয়েটে কমিটি আছে নাকি নেই সেটি নিশ্চিত করার জন্য ছাত্রশিবিরকে আহবান জানিয়ে নাছির বলেন, সেখানে ছাত্রশিবিরের কমিটি আছে কি নাই সেটা সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানে না। কমিটি থাকলেও অবশ্যই সেটা প্রকাশ্যে আনতে হবে।

    বিভিন্ন টেলিভিশনে প্রচারিত প্রতিবেদনের এই অংশটুকু কেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা করছেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, ছাত্রদল এখন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের মতো আচরণ করছে। কিছু হলেই শিবিরকে দায় দেয়।

    ভিডিওর অংশটি শেয়ার করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের শিক্ষার্থী সরোয়ার আলম খোন্দকার তার ফেসবুকে লিখেন, প্রিয় অভিভাবক রাকিব আর নাসির ভাই, দু’জনে বেডরুমে আগে প্র‍্যাক্টিস করে আসবেন। তাহলে ক্যামেরার সামনে আর কট খাবেন না। আমরা ছাত্রদলের কর্মীরা আর কত সাফাই গাইব? এমনভাবে কট খাইসেন এখন কিছু লিখলেও সবাই হাহা দিবে।

    ইয়াছিন বাঙ্গালী নামের একজন লিখেন, এইসব মাথামোটা সভাপতির জন্য এই সংগঠন এর এই অবস্থা।

  • ‘গণহত্যার আসামিদের কারাগারে জামাই আদরে রাখা হয়েছে’

    ‘গণহত্যার আসামিদের কারাগারে জামাই আদরে রাখা হয়েছে’

    জুলাই গণহত্যার বিচার ও গণহত্যায় জড়িতদের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে গণঅধিকার পরিষদ কিশোরগঞ্জ জেলা।

    বুধবার দুপুরে শহরের পুরান থানা এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে পুরানথানায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

    সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন গতকাল জুলাই গণহত্যায় জড়িত কয়েকজন আসামিকে ট্রাইবুনালে তোলা হয়েছিল। তাদের চেহারা দেখে মনে হয়েছে কারাগারে তাদেরকে জামাই আদরে রাখা হয়েছে। অথচ আওয়ামী লীগের আমলে দেখেছি বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের আদালতে তোলার সময় কাউকে হুইলচেয়ার, কাউকে পুলিশের কাঁধে ভর করে আদালতে আনা হতো। অথচ আওয়ামী লীগের নেতাদের জামাই আদরে আদালতে তোলা হয়। বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলেম দেলওয়ার হোসেন সাঈদীকে কারাগারে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। এই সরকারের কাছে আমাদের আহ্বান, দেলওয়ার হোসেন সাঈদীর মৃত্যু কি স্বাভাবিক নাকি পরিকল্পিত হত্যা সেটা তদন্ত করার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হোক।’

    তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জুলাইয়ে যে গণহত্যা চালিয়েছে তাদের আর এই দেশে রাজনীতি করার অধিকার নাই। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গণহত্যায় জড়িতদের বিচারের বিষয়ে সরকারের তেমন তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান আইন করে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হোক। আওয়ামী লীগের যারা দোসর ছিল তাদেরও বিচারের মুখোমুখি করতে হবে । সরকার যদি গণহত্যার বিচারে তৎপর না হয় তাহলে জণগণ এই সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে নামতে বাধ্য হবে। গত ১৫ বছর বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করার জন্য সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছে জাতীয় পার্টি। সেই জাতীয় পার্টির এক নেতার বাড়ি কিশোরগঞ্জ। গত কয়েক দিন আগে তার বিদেশে সফরের উপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। আমরা চাই অনতিবিলম্বে তাকে আটক করা হোক। এই কিশোরগঞ্জে পুলেরঘাটের চিনিকলের সরকারি মালামাল বিক্রি করার জন্য একটা চক্র কাজ করছে। তাদেরকে সাবধান করে দিচ্ছি, আপনারা সরকারি মালমাল অন্যায়ভাবে বিক্রি করতে পারেন না।’

    তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দেশে যেভাবে চাঁদাবাজি দখলদারি করেছিল, তারা পালিয়ে গেলেও তাদের সেই চাঁদাবাজি ও দখলদারি অন্য একটা দল চালাচ্ছে। তারা নিজেদেরকে নব্য ফ্যাসিস্ট হিসেবে আবির্ভূত করছে। আওয়ামী লীগের অবৈধ সকল ব্যবসার হাল ধরেছে অন্য একটি দলের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগের পতন থেকে আপনাদের শিক্ষা নিতে হবে। আওয়ামী লীগের মতো যারা চাঁদাবাজি দখলদারি করছেন তাদের পরিণতিও আওয়ামী লীগের মতো হবে। ছাত্রদল গত ১৫ বছর ক্যাম্পাসগুলোতে ঢুকতে পারে নাই। এখন ছাত্রদল যদি ছাত্রলীগের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়, তাহলে ছাত্র সমাজ ছাত্রদলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিবে। গতকাল কুয়েটে যে হামলা হয়েছে তার নিন্দা জানাই, সেই হামলায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি।’

    সমাবেশে সঞ্চালনা করেন গণঅধিকার পরিষদ কিশোরগঞ্জ জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের কিশোরগঞ্জ জেলার সদস্য সচিব মোখলেছুর রহমান উজ্জ্বল, যুগ্ম আহ্বায়ক অভি চৌধুরী, সদর উপজেলার সদস্য সচিব আল মাহমুদ মোস্তফা, গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ আহমেদ, যুব অধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন তালুকদার, জেলা যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রমজান মিয়া, ছাত্রনেতা পায়েল চৌধুরী, রিপন রাজ প্রমুখ।

  • নারায়ণগঞ্জে মহানবীকে (সা.) নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ, আটক ২জন

    নারায়ণগঞ্জে মহানবীকে (সা.) নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ, আটক ২জন

    নারায়ণগঞ্জের বন্দরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও প্রকাশ্যে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগ করে দুই শ্রমিককে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বন্দরের সোনাকান্দা নৌবাহিনী নিয়ন্ত্রণাধীন ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেডের ভিতরে এই ঘটনা ঘটে।

    পরবর্তীতে স্থানীয় প্রশাসন গিয়ে বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সেই সঙ্গে অবরুদ্ধ দুই শ্রমিককে তাদের হেফাজতে নেন।

    আটক দুই শ্রমিক হলেন, অমৃত সূত্র ধর (৪২) ও সঞ্জিত সূত্র ধর (৪০)। তারা দুইজনেই বন্দরের থানার সোনাকান্দা এলাকার নৌবাহিনী নিয়ন্ত্রণাধীন ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেডে কর্মরত ছিলেন।

    প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ডকইয়ার্ড শ্রমিক অমৃত চন্দ্র সূত্রধর ও সঞ্জিত চন্দ্র সূত্রধর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেডের সাধারণ শ্রমিকদের সামনে মহানবীকে (সা.) নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। এ ঘটনায় সাধারণ শ্রমিকরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের অবরুদ্ধ করে রাখেন।

    বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নবীজীকে কটূক্তির অভিযোগে দুইজনকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে।

    নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেন, ঘটনাস্থল থেকে দুইজনকে আটক করা হয়। এখনো তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি।

    তদন্তসাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।

  • মানুষকে আল্লাহর সঙ্গে পরিচয় করানোর জন্যই চরমোনাই মাহফিল : চরমোনাই পীর

    মানুষকে আল্লাহর সঙ্গে পরিচয় করানোর জন্যই চরমোনাই মাহফিল : চরমোনাই পীর

    চরমোনাই পীর আলহাজ হজরত মাওলানা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, চরমোনাই মাহফিল দুনিয়াবি উদ্দেশ্যে নয় বরং পথভোলা মানুষকে আল্লাহর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্যই মাহফিল প্রতিষ্ঠা হয়েছে। সুতরাং এখানে দুনিয়াবি কোনো উদ্দেশ্য সাধনের জন্য আসার প্রয়োজন নেই। যদি এমন কেউ এসে থাকেন তবে নিয়ত পরিবর্তন করে আত্মশুদ্ধির জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করুন।

    বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বাদ জোহর বরিশালের চরমোনাইয়ে তিন দিনব্যাপী ফাল্গুনের মাহফিলের উদ্বোধনী বয়ানে তিনি এসব কথা বলেন। আগামী শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টায় চরমোনাই পীরের আখেরি বয়ানের মধ্য দিয়ে শেষ হবে তিন দিনব্যাপী এ মাহফিল।

    মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, যারা চরমোনাইতে নতুন এসেছেন, তারা দুনিয়ার ধ্যান-খেয়াল বিদায় করে দিয়ে আখিরাতের খেয়াল-ধ্যান অন্তরে যায়গা দেন। দিল থেকে বড়ত্ব এবং আমিত্ব ভাব বের করে দিয়ে আল্লাহর কুদরতি পায়ে নিজেকে বিলীন করে দিতে হবে। সদা-সর্বদা আল্লাহর জিকিরের মাধ্যমে দিলকে তরতাজা রেখে আল্লাহর ওলী হয়ে চরমোনাই থেকে বিদায় নেওয়ার প্রস্তুতি নিতে হবে।

    আরও পড়ুনঃ বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল একই পরিবারের ৩ জনের
    জানা গেছে, চরমোনাই মাদ্রাসার মূল মাঠসহ মোট ৫টি মাঠে এবারের ফাল্গুনের মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। মাহফিলে আগত মুসল্লীদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ১০০ শয্যাবিশিষ্ট অস্থায়ী মাহফিল হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে এ হাসপাতালের উদ্বোধন করেন চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। হাসপাতালে ১৩ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অধীনে আরও ৪০ জন চিকিৎসকের সমন্বয়ে চিকিৎসা সেবা পরিচালিত হচ্ছে। মাহফিল হাসপাতাল কার্যক্রমে নিয়োজিত রয়েছে ১০টি অ্যাম্বুলেন্স ও ২টি নৌ অ্যাম্বুলেন্স। মাঠে অসুস্থ হয়ে পড়া মুসল্লিদের তাৎক্ষণিক মাহফিল হাসপাতালে পৌঁছানোর জন্য নিযুক্ত রয়েছেন বিশেষ স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী।

    আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি ৫টি মাঠে মাহফিলের শৃঙ্খলা রক্ষায় নিযুক্ত করা হয়েছে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী। নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনীর স্পেশাল টিম। হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তি বা বস্তু খুঁজে পাওয়ার জন্য প্রত্যেক মাঠেই রয়েছে ক্যাম্প। যে কিছু কুড়িয়ে পেলে এখানে জমা দিয়ে দেন আবার কেউ কিছু হারিয়ে ফেললে এখান থেকে খুঁজে নেন।

    সারাদেশ থেকে আগত মুসল্লিদের খাবারের জন্য সকল মাঠের চারদিকে সুপেয় নিরাপদ পানির ব্যবস্থাসহ রয়েছে সহস্রাধিক মানসম্মত টয়লেট, ওজু এবং গোসলের ব্যবস্থাপনা। তিন দিনব্যাপী বিশাল এ মাহফিলের প্রথমদিন বাংলাদেশ কোরআন শিক্ষা বোর্ডের উদ্যোগে প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

    দ্বিতীয় দিন সারাদেশ থেকে আগত ওলামায়ে কিরামদের নিয়ে ওলামা সম্মেলন ও শেষদিন সকালে সারা দেশ থেকে আগত ছাত্র-জনতাকে নিয়ে ছাত্র গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও মাহফিলে আগত যুবক, শ্রমিকদের নিয়ে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ এবং ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজন করে বিশেষ মতবিনিময় সভা।

    উল্লেখ্য, চরমোনাই মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯২৪ ঈসায়ী সালে। চরমোনাই মাহফিল ও দরবারের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা সৈয়দ এছহাক (রহ.)। তার ইন্তেকালের পর ১৭৭৭ সাল থেকে এ দরবারের জিম্মাদারি পালন করেন মাওলানা সৈয়দ ফজলুল করীম (রহ.)। ২০০৬ সালে তার ইন্তেকালের পর এখন পর্যন্ত আমীরুল মুজাহিদীন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আলহাজ হজরত মাওলানা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির।

  • উত্তরায় হামলার শিকার সেই ‘দম্পতি’ স্বামী-স্ত্রী নন, জানালেন প্রকৃত স্ত্রী

    উত্তরায় হামলার শিকার সেই ‘দম্পতি’ স্বামী-স্ত্রী নন, জানালেন প্রকৃত স্ত্রী

    রাজধানীর উত্তরায় এক দম্পতির ওপর দুজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। তারা বাঁচার জন্য চিৎকার করছেন। সম্প্রতি এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।

    পুলিশের তথ্যমতে, হামলার শিকার হওয়া দুজন স্বামী-স্ত্রী। বেপরোয়া গতির মোটরসাইকেল একটি রিকশাকে ধাক্কা দেয়। এর প্রতিবাদ করেন স্বামী-স্ত্রী। তখন তাদের ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করেন ধাক্কা দেওয়া মোটরসাইকেলটির দুই আরোহী।

    এদিকে হামলার শিকার ওই পুরুষ ও নারী স্বামী-স্ত্রী নন বলে দাবি করেছেন অপর এক নারী। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে তিনি এ বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান।

    তিনি বলেন, উত্তরাতে হামলার শিকার ওই ব্যক্তি আমার স্বামী। পাশে থাকা ওই নারীকে আমি চিনি না। তবে কিছুদিন ধরে বুঝেছি আমার স্বামী অন্য কারও সাথে কথা বলেন।

    উত্তরায় দম্পতিকে কোপানো কিশোর গ্যাংয়ের ২ সদস্য রিমান্ডে

    কারা হামলা চালিয়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওই নারী জানান, কারা হামলা করেছে সেটা আমি জানি না। যেহেতু ওখানে আমি ছিলাম না, সেহেতু ওই বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। আমার স্বামীর সাথে কারও বিরোধের কথাও জানি না। কারণ উনি (স্বামী) আমার কাছে কোনো কিছুই শেয়ার করতেন না।

    ওই নারীর সাথে আপনার স্বামীর বিয়ে হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, ওই নারীর সাথে কোনো বিয়ের ঘটনা ঘটেনি। আমার স্বামী গোপনে ওই নারীর সাথে যোগাযোগ করতেন। তবে ওই ঘটনার পর থেকে তারা নিজের স্বামী-স্ত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছেন। ওই ঘটনা যখন আমি ফেসবুকে দেখেছি- সাথে সাথে তাকে কল দেই। কিন্তু তিনি কোনো রেসপন্স করেনি। পরে হাসাপাতালে গিয়ে তার সাথে আমার কথা হয়। উনি আমাকে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে নিষেধ করেন।

    সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ওই নারী তার শ্বশুরের সঙ্গে লাউড স্পিকারে ফোনে কথা বলেন। তিনি দাবি করেন, আমার শ্বশুর-স্বামী সবাই আমাকে ভয় দেখাচ্ছে। আমার স্বামী আমাকে বলছে, সে সুস্থ হলে আমাকে দেখে নিবে।

    এর আগে, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর উত্তরায় এ ঘটনা ঘটে। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, দুই যুবক ক্ষিপ্ত হয়ে এক ব্যক্তিকে রামদা দিয়ে আঘাত করছে। এ সময় নিজের জীবন বাজি রেখে স্বামীর প্রাণ বাঁচাতে সামনে দাঁড়ান তার স্ত্রী। এ সময় ওই নারীকে হাত জোড় করে স্বামীর প্রাণভিক্ষা চাইতে দেখা যায়।

    ওই দিন রাতেই ঘটনার বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, মোটরসাইকেলে উচ্চ শব্দ করে দ্রুত গতিতে যাওয়ার সময় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা একটি শিশুকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। পাশ দিয়ে আরেকটি মোটরসাইকেলে যাওয়া দম্পতি প্রতিবাদ করে। এরপর কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা তাদের লোকবল ডেকে দম্পতির ওপর রামদা দিয়ে হামলা চালায়।

    এ সময় ওই নারীর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে কিশোর গ্যাংয়ের দুই সদস্য ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে স্থানীয়রা দুজনকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

    তারা হলেন- মো. মোবারক হোসেন (২৫) ও রবি রায় (২২)। এর মধ্যে মোবারকের বাড়ি শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায়। সে গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকায় ভাড়া থাকে। আর রবি রায়ের বাড়ি টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন হাজির মাজার এলাকায়।

  • সুদমুক্ত ঋণ পাবেন ৬০০ ইমাম-মুয়াজ্জিন

    সুদমুক্ত ঋণ পাবেন ৬০০ ইমাম-মুয়াজ্জিন

    দেশের অসহায় দরিদ্র ৬০০ ইমাম-মুয়াজ্জিনকে সুদমুক্ত ঋণ হিসেবে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা দেবে ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট।

    বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মিলনায়তনে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত ইমাম মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্টের আওতায় আর্থিক অনুদান ও সুদমুক্ত ঋণের চেক বিতরণ করেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।

    সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ইমাম মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্টের আওতায় ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে অসহায় দরিদ্র ৬শ’ ইমাম-মুয়াজ্জিনকে সুদমুক্ত ঋণ হিসেবে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা এবং অনুদান হিসেবে ৪ হাজার ৬২০ জনকে ৫ হাজার টাকা হারে মোট ২ কোটি ৩১ লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হবে।

    অনুষ্ঠানে আজ ঢাকা জেলার ২৯৫ জনকে পাঁচ হাজার টাকা হারে ১৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করা হয়।

    এছাড়া ঢাকা জেলায় ৭ জন উদ্যোক্তাকে ২০ হাজার টাকা হারে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা, ৭ জন সাধারণ উদ্যোক্তাকে ৩০ হাজার টাকা হারে ২ লাখ ১০ হাজার টাকা এবং ৭ জন বিশেষ উদ্যোক্তাকে ৪০ হাজার টাকা হারে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকার সুদমুক্ত ঋণ প্রদান করা হয়।
    প্রধান অতিথির বক্তব্যে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, সমাজ সংস্কারে দেশের আলেম সমাজকে সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা এ সরকারের অগ্রাধিকার। সন্ত্রাস দমন ও সামাজিক সমস্যা নিরসনে আলেমরাই জাতিকে সঠিক দিক নির্দেশনা দিতে পারে।

    তিনি বলেন, ইমাম মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট একটি সময়োপযোগী ও জনবান্ধব ট্রাস্ট। আগামী দিনে এই ট্রাস্টের সক্ষমতা আরো বৃদ্ধি করা হবে। ইমাম মুয়াজ্জিনদের কল্যাণে আমরা মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা তৈরির কাজ করছি এবং তাদের জন্য একটি পে-স্কেল ঘোষণা করার পরিকল্পনা রয়েছে।

    সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, দেশের মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করে তোলাই ইমাম মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্টের মূল উদ্দেশ্য।

    কোন ইমাম বা মুয়াজ্জিন মারাত্মক দুর্ঘটনা, পঙ্গুত্ব, দুরারোগ্য ব্যাধি ইত্যাদিজনিত কোন কারণে অক্ষম হয়ে পড়লে বা আকস্মিকভাবে মৃত্যুবরণ করলে তাকে আর্থিক সাহায্য ও ঋণ প্রদান, তাদের মেধাবী সন্তানদের শিক্ষার জন্য আর্থিক সাহায্য প্রদান এবং তাদের পরিবারের সার্বিক কল্যাণ সাধন করার লক্ষ্যেই ২০০১ সালে এই ট্রাস্ট গঠিত হয়। বর্তমানে ট্রাস্টের সদস্যভুক্ত ইমাম মুয়াজ্জিনের সংখ্যা প্রায় ৮৪ হাজার