Blog

  • ঢাবির হলে লুঙ্গি চুরি করতে গিয়ে যুবক আটক, মিলল দলিয় পরিচয়

    ঢাবির হলে লুঙ্গি চুরি করতে গিয়ে যুবক আটক, মিলল দলিয় পরিচয়

    গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মাস্টারদা সূর্য সেন হলে লুঙ্গি চুরি করতে এসে শিক্ষার্থীদের হাতে আটক হলেন এক যুবক। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত তিনটায় সূর্য সেন হলের উত্তর ব্লকের ৩১৫ নম্বর কক্ষের সামনের থেকে লুঙ্গি চুরি করে বস্তায় ঢুকাতে গেলে তাকে হাতেনাতে ধরেন শিক্ষার্থীরা। পরে সকালে তাকে হল প্রশাসনের কাছে সোপর্দ করা হয়।

    জানা যায়, আটক ওই যুবকের নাম আনবির আহমেদ ইনজামাম। দীর্ঘদিন ধরে এ এফ রহমান হলের ৩০১ নম্বর কক্ষে থাকতেন তিনি। ফেসবুকে দেওয়া তথ্য মতে, ইনজামাম নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থী এবং তার বাড়ি ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায়।

    প্রত্যক্ষদর্শী সূর্য সেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী জোবায়ের দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ৩১৫ নম্বর কক্ষের সামনে থেকে লুঙ্গি নিয়ে বস্তায় ঢুকানোর সময় আনবির আহমেদ ইনজামামকে আটক করা হয়। প্রথমে তার নাম-পরিচয় জিজ্ঞাসা করলে তার কথাবার্তায় অসংগতি ধরা পড়ে। লুঙ্গি বস্তায় কেন ঢুকাচ্ছেন—এমন প্রশ্ন করলে ইনজামাম বলেন, এই প্রথম নাকি তিনি এই হলে এসেছেন। পরে তার মোবাইল ফোন চেক করেন শিক্ষার্থীরা। তার ফোনে ছাত্রদলের পূরণ করা সদস্য ফর্ম পাওয়া যায়। এ ছাড়া নেতাদের সঙ্গে ছবি এবং বিভিন্ন প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের তথ্যও পাওয়া যায়।

    ঘটনার বিষয়ে সূর্য সেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘এখন আমরা তাকে (যুবক) নিয়ে বসেছি। আমাদের হাউস টিউটররা আসছেন। এখনো তার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এই ছেলে কলেজে পড়ার পর আস পড়েনি। বিভিন্ন হলে তার বন্ধু রয়েছে। আমাদের হলেও একজন আছে। তাকেও ডাকা হয়েছে। এ এফ রহমান হলের যে বন্ধু রয়েছে সে বরিশাল। তার সাথে কথা হয়েছে। আমরা ঘটনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি। পরে তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

  • ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণার সিদ্ধান্ত

    ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণার সিদ্ধান্ত

    ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। এই দিনটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ বছর থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে পালন করা হবে। তবে এ দিনে থাকবে না সরকারি ছুটি। শোকাবহ ও হৃদয়বিদারক দিনকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের মাধ্যমে সেনাসদস্যদের আত্মত্যাগকে জাতীয় স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে।

    প্রতি বছর ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে পালনের ব্যবস্থা করতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে চিঠি দিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রায়হানা ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, ২৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় শহীদ সেনা দিবস পালনের অনুমোদন দিয়েছেন প্রতিরক্ষা ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এক কর্মকর্তা বলেন, এখন শুধু প্রজ্ঞাপন জারি বাকি।

    সরকারের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহত সেনা পরিবারের সদস্যরা।

    ২৫ ফেব্রুয়ারিকে শহীদ সেনা দিবস ঘোষণার পাশাপাশি বেশ কিছু দাবিতে আন্দোলন করছিলেন তারা।

    পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহত কর্নেল কুদরত ইলাহীর সন্তান অ্যাডভোকেট সাকিব রহমান কালবেলাকে বলেন, ২০১৩ সাল থেকে আমরা শহীদ পরিবাররা দুটি জিনিস চেয়ে এসেছি—এক হচ্ছে স্বাধীন তদন্ত কমিশন করে পেছনে ষড়যন্ত্রকারীদের মুখ উন্মোচন করে তাদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসা এবং আরেক হচ্ছে প্রাণ হারানো সেনা কর্মকর্তাদের সম্মানে শহীদ সেনা দিবস ঘোষণা। সরকার দিবস হিসেবে ঘোষণা দিলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করব যে, এত বছর সংগ্রাম করে আমরা শহীদ পরিবারের সদস্যরা অর্ধেক যুদ্ধ জিতে গেছি।

    মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ইতিহাসে ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি এক অন্ধকার ও কলঙ্কময় দিন। পিলখানায় তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) কিছু বিপথগামী এবং বিদ্রোহী সদস্যের নির্মম হত্যাযজ্ঞে ৫৭ জন বীর সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জন শাহাদাতবরণ করেন। এক কাপুরুষোচিত ষড়যন্ত্রে নিরস্ত্র সেনা কর্মকর্তাদের নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।

    এতে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধেও বাংলাদেশ এতজন সেনা কর্মকর্তাকে একসঙ্গে হারায়নি। এই ভয়াবহ ঘটনায় সার্বভৌমত্ব রক্ষায় শপথ গ্রহণকারী দেশের সুরক্ষা কবচ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী হারায় তার মেধাবী ও দেশপ্রেমিক কর্মকর্তাদের, যা সমগ্র সশস্ত্র বাহিনীর মনোবলে বিরূপ প্রভাব ফেলে। এ দিনটি শুধু বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর জন্য নয় বরং পুরো জাতির জন্য শোকাবহ ও হৃদয়বিদারক। বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক আপামর জনসাধারণও এ কালো দিনটিতে বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞের শোক পালন করে আসছে।

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রায়হানা ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, এই হৃদয়বিদারক এবং শোকাবহ দিনটি রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পালন করা সময়ের চাহিদা। প্রতি বছর দিনটি যথাযথ মর্যাদায় রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা হলে সেনাসদস্যদের আত্মত্যাগকে জাতীয় স্বীকৃতি দেওয়া হবে, যা শহীদ পরিবারগুলোর অন্তরে সান্ত্বনাবোধ তৈরি করবে এই দিবসের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যে দেশপ্রেম, দায়িত্ববোধ ও আত্মত্যাগের মানসিকতা জাগ্রত করবে। এ ছাড়া জাতীয় পর্যায়ে সেনাবাহিনীর অবদান এবং আত্মত্যাগ সম্পর্কে গণসচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। অপরদিকে, এই দিবসটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের মাধ্যমে সর্বস্তরের সেনাসদস্যদের মধ্যে দেশপ্রেম, শৃঙ্খলা ও পেশাগত দায়িত্বের প্রতি আরও অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়ার অনুপ্রেরণা জোগাবে এবং শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের আত্মত্যাগ থেকে শক্তি নিয়ে সেনাসদস্যরা জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি আরও দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হবেন।

    সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ থেকে তিনটি প্রস্তাব করা হয়েছিল। প্রতি বছর ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে পালন করা, ওই ঘটনায় শাহাদাত বরণকারী সেনা সদস্যদের ‘শহীদ’ হিসেবে আখ্যায়িত করা এবং শাহাদাতবরণকারী সেনা সদস্যদের নামের পূর্বে ‘শহীদ’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা।

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা (প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস) প্রতি বছর ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে পালন করার অনুমোদন দিয়েছেন।

  • প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা জামায়াতের

    প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা জামায়াতের

    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে গণঅবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি।

    আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি বেলা ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করবে তারা।

    দলের সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

    বিবৃতিতে তিনি বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকারের মিথ্যা ও সাজানো মামলায় বিগত ১৩ বছরের অধিক সময় ধরে কারাগারে আটক আছেন।

    ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর ফ্যাসিবাদ বিরোধী রাজনৈতিক দলের অনেক নেতাকর্মী মুক্তিলাভ করেছেন। দেশবাসী আশা করেছিল, চরম জুলুম-নির্যাতনের শিকার এটিএম আজহারুল ইসলামও স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশে মুক্তিলাভ করবেন।

    কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের প্রায় সাড়ে ছয় মাস অতিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও তিনি মুক্তিলাভ করেননি। এতে দেশবাসী হতবাক ও বিস্মিত।
    এটিএম আজহারুল ইসলামের অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বেলা ২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান।

    ওই গণঅবস্থান কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি নিশ্চিত করার জন্য জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান গোলাম পরওয়ার।

    এর আগে বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান জানান, এ টি এম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে তিনি নিজেই গ্রেপ্তার হতে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি আদালত প্রাঙ্গণে যাবেন।

    আজহারুল ইসলামের মুক্তি দাবিতে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকাসহ সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ করে জামায়াতে ইসলামী।

  • গুম ব্যক্তির স্ত্রীকে ধর্ষণ: যা বলছেন সেই আলেপের স্বজনরা

    গুম ব্যক্তির স্ত্রীকে ধর্ষণ: যা বলছেন সেই আলেপের স্বজনরা

    র‌্যাবের সাবেক কম্পানি কমান্ডার ও সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিনের বিরুদ্ধে গুম ব্যক্তিকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে তার স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার প্রমাণও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের হাতে এসেছে।

    তার এমন কর্মকাণ্ডে লজ্জিত পুলিশ ও আলেপের স্বজনরাও। কুড়িগ্রামের রাজারহাটে আলেপের বাড়ি।

    গতকাল বিকেলে আলেপের এক আত্মীয় কুড়িগ্রাম থেকে মোবাইল ফোনে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এত দিন তাঁর বিরুদ্ধে অবৈধ অর্থ আয়, গ্রেপ্তার বাণিজ্য ও নির্যাতনের কথা শুনেছি। কিন্তু রোজাদার নারীকে ধর্ষণের ঘটনা জানার পর থেকে এলাকার মানুষ স্তম্ভিত। এলাকার ছেলে হিসেবে পরিচয় দিতে এখন লজ্জা লাগে।’

    গতকাল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘একজন আসামিকে গুম করে রাখার সময় তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া স্ত্রীকে ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়েছে, আলেপের বিরুদ্ধে এমন তথ্য-প্রমাণ আমাদের হাতে এসেছে।

    আমরা বিষয়গুলো ট্রাইব্যুনালকে জানিয়েছি।’
    গত ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ সম্পর্কিত একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

    এসপি পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ফেসবুকে যখন বিষয়টা দেখলাম, তখন আমার হাত-পা কাঁপতে ছিল। রোজদার নারীকে রোজা ভাঙিয়ে ধর্ষণ করা কিভাবে সম্ভব!

  • শহীদ মিনারে বিএনপি নেতার হামলার শিকার কালবেলার সাংবাদিক

    শহীদ মিনারে বিএনপি নেতার হামলার শিকার কালবেলার সাংবাদিক

    ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে কালবেলা ও এনটিভির নাসিরনগর উপজেলা প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদকে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কেএম বশির উদ্দিন তুহিন মারধর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

    বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টা ১৫ মিনিটে নাসিরনগর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে হামলার ঘটনা ঘটে।

    অভিযোগে জানা যায়, নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বশির উদ্দিন তুহিনের নেতৃত্বে তার ভাতিজা কে এম মারজান, কে এম নাসিরসহ ১০-১২ জন ছাত্রদলকর্মী ওই সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায়। মারধরে মাহমুদের মুখ, চোখ, মাথা, ঘারসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়েছে। পরে নাসিরনগর থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়।

    নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. আবুল বাশার বলেন, ‘ওনার শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আমরা উনাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। আরও কোনো অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কি না সেটা জানার জন্য পরীক্ষা করা হবে।’

    স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে ১২টা এক মিনিটে মহান শহীদ আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস উপলক্ষে শহীদ মিনারে সংবাদ সংগ্রহ করতে যান সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। এ সময় শহীদ মিনারে উপস্থিত ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা জাতীয় নাগরিক কমিটির দুজনকে ছাত্রলীগ বলে পেটাতে থাকে। ঘটনাটি মোবাইল ফোনে ধারণ করতে গেলে বশির ও তার সমর্থকরা ওই সাংবাদিকের দিকে তেড়ে আসে। এ সময় বশির ওই সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নিয়ে প্রথমে রড দিয়ে আঘাত করে, পরে তার ভাতিজাসহ তার কর্মীরা রড চাপাতিসহ উপর্যুপরি আক্রমণ করে।

    এ বিষয়ে স্থানীয় সংবাদকর্মী আরিফুল ইসলাম বলেন, সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে উপজেলা বিএনপির একজন দায়িত্বশীল নেতার দ্বারা সরাসরি হামলা শিকার হওয়া দুঃখজনক। আমরা এ ধরনের সন্ত্রাসীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

    হামলার শিকার সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, নাসিরনগর প্রেস ক্লাবের সঙ্গে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে গিয়েছিলাম। সেখানে জাতীয় নাগরিক কমিটির দুজনকে ছাত্রলীগ বলে পেটানো হচ্ছিল। পেশাগত দায়িত্বের অংশ হিসেবে আমি সেখানে ফুটেজ সংগ্রহ করতে গিয়েছিলাম। হঠাৎ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দৌড়ে এসে মোবাইল কেড়ে নিয়ে আমার ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। পরে তার ভাতিজাসহ বশিরের দলীয় অনুসারীরা রড, চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করতে থাকে।

    এ ঘটনায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এ হান্নান ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কে এম বশির উদ্দিন তুহিন এবং নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তারা ফোন রিসিভ করেননি।

  • কোথাও রাজনীতি বন্ধ হলে ছাত্রদল দায়ী থাকবে: ছাত্রশিবির সভাপতি

    কোথাও রাজনীতি বন্ধ হলে ছাত্রদল দায়ী থাকবে: ছাত্রশিবির সভাপতি

    খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ক্যাম্পাসে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পেছনে ছাত্রশিবিরের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে দাবি করেছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ওই ঘটনার জন্য ছাত্রশিবিরের কোনো দায় নেই। কুয়েটসহ কোথাও ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হলে তার জন্য ছাত্রদল দায়ী থাকবে।

    বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবের লিয়াকত আলী মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

    বুধবার অনুষ্ঠিত হওয়া কুয়েটের জরুরি সিন্ডিকেটের তথ্য তুলে ধরে জাহিদুল ইসলাম বলেন, ছাত্রদল দুই-তিন দিন আগ থেকে ক্যাম্পাসে প্রচারণা চালাচ্ছে। এ ঘটনা থেকেই সূত্রপাত হয়েছে। এরপর তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছে। তারপর বাইরে থেকে বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে এসে হামলা চালিয়েছে। এর জন্য দায় স্পষ্ট হয়েছে।

    তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন ফুটেজে দেখেছি ওই হামলার সঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ সম্পৃক্ত হয়েছিল।

    কুয়েটসহ বিভিন্ন ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ হওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে জাহিদুল ইসলাম বলেন, বন্ধ হলে এর জন্য ছাত্রদল দায়ী থাকবে। কুয়েটে যে ঘটনাটা ঘটলো- আমি মনে করি যদি কোথাও সামনে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হয় এর জন্য স্পষ্ট, প্রমাণ সহকারে ছাত্রদল দায়ী থাকবে।

    তিনি বলেন, কুয়েটে সব রাজনৈতিক সংগঠনকে লাল কার্ড দেখানো হয়েছে। যদি এমন ঘটনা না ঘটতো তাহলে কী আজকে লাল কার্ডের ঘটনা ঘটতো। আজকে কী এই অস্থিতিশীল পরিবেশ সারা দেশে তৈরি হতো। তাহলে এর জন্য দায়ী কে? আমাদের ছাত্রদলের সভাপতির ভাষায়-শিবিরের ওপর চালিয়ে দেন।

  • পাবনায় যুবকের দুই হাতের কবজি কেটে দিল দুর্বৃত্তরা

    পাবনায় যুবকের দুই হাতের কবজি কেটে দিল দুর্বৃত্তরা

    পাবনার সাঁথিয়ায় আশরাফুল হোসেন (৩২) নামের এক যুবকের দুই হাতের কবজি কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

    বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১টার দিকে সাঁথিয়া পৌর এলাকার টেলিফোন এক্সচেঞ্জ কার্যালয়ের কাছে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ তবে ওই যুবকের কাটা কবজির সন্ধান পাওয়া যায়নি।

    আশরাফুল হোসেন পৌরসভার কলেজপাড়া এলাকার নূর ইসলামের ছেলে। তার বিরুদ্ধে চুরি, ডাকাতি, মারামারিসহ ৯টি মামলা আছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। সাঁথিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেলা একটার দিকে ৮–১০ জনের একটি দল আশরাফুলকে তুলে নিয়ে সাঁথিয়া পৌর এলাকার ডিজিটাল এক্সচেঞ্জ কার্যালয়ের দেয়ালে ঘেরা অংশে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। আশরাফুলের চিৎকার শুনে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।

    সাঁথিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তানজিল আরাফ বলেন, ‌ওই ব্যক্তির কবজি বা রিস্ট থেকে দুই হাতই কাটা ছিল। আমরা ভালোভাবে ব্যান্ডেজ করে দিয়েছি যাতে রক্তপাত না হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেছি।

    সাঁথিয়া থানার ওসি সাইদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আশরাফুল একজন ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। তার বিরুদ্ধে থানায় ৯টি মামলা রয়েছে। ঘটনার পর সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দিয়ে যুবদল নেতার ওপর ককটেল হামলা, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

    ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দিয়ে যুবদল নেতার ওপর ককটেল হামলা, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

    বগুড়ার ধুনট উপজেলায় শাহাদৎ হোসেন শিপন (৩৭) নামে যুবলীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে মশাল মিছিল থেকে যুবদল নেতার ওপর ককটেল হামলার অভিযোগে মামলা রয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ধুনট থানা থেকে আদালতের মাধ্যমে তাকে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে নিজ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

    গ্রেপ্তারকৃত শাহাদৎ হোসেন উপজেলার রামনগর গ্রামের শামসুল হকের ছেলে। সে উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

    মামলা সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় সংঘবদ্ধ হয়ে শহরের শহিদ মিনার চত্বরে উপস্থিত হয়। তারা জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে মশাল মিছিল করতে থাকে। এ সময় যুবদল নেতা রিপন শেখ ও তার লোকজন তাদের বাধা দেয়। তখন মশাল মিছিলকারীরা যুবদল নেতার দিকে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।

    এ ঘটনায় ১৯ ফেব্রুয়ারি ধুনট পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক চরপাড়া গ্রামের রিপন শেখ বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৯৬ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় অজ্ঞাত আসামি হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

    ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল আলম জানান, এ মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

  • ড. ইউনূসের টুইটে ইলন মাস্কের জবাব, পেছনের ঘটনা ফাঁস করলেন পিনাকী

    ড. ইউনূসের টুইটে ইলন মাস্কের জবাব, পেছনের ঘটনা ফাঁস করলেন পিনাকী

    বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের সঙ্গে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আলাপচারিতা এখন টক অব দ্যা টাউন। ইলন মাস্কের স্টারলিংক বাংলাদেশে আসছে কি না, এমন জল্পনা-কল্পনা সবার মাঝে। এই স্টারলিংকের বাংলাদেশের ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবস্থায় বিপ্লব ঘটাতে পারে বলে মনে করছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।

    গত বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্পেসএক্স, টেসলা ও এক্স–এর মালিক ইলন মাস্কের সঙ্গে কথা বলেন। আর এই তথ্য সবার আগে সামনে আনেন অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য। রাত সাড়ে নয়টার দিকে পিনাকী এই খবর জানানোর পর রাত ১১টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদারও এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানান।

    বৃহস্পতিবার রাতে পোস্ট করা ওই স্ট্যাটাসে পিনাকী ভট্টাচার্য লিখেছেন, ‘প্রফেসর ইউনুসের সাথে ইলন মাস্ক আজকে ভার্চুয়াল মিটিং করেছেন। সামনে আসছে নতুন দিন। নতুন সম্পর্ক।’ এরপর ইলন মাস্কের সঙ্গে আলাপচারিতা নিয়ে টুইট করেছিলেন ড. ইউনূস। পরে তা রিটুইট করেন মাস্ক। এবার ইউনূসের সেই টুইট আর মাস্কের রিটুইটের রহস্য জানালেন পিনাকী নিজেই। রোববার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে রহস্যের খোলাসা করেন তিনি।

    পিনাকী লেখেন, ছোট একটা আইডিয়ার কী দারুণ ইম্প্যাক্ট থাকতে পারে তার একটা উদাহরণ দেই। প্রফেসর ইউনূসের টুইট ইলন মাস্ককে দিয়ে রিটুইট করানোর আইডিয়াটা ফ্রান্স ২৪ এর সাংবাদিক আরিফের। তিনি জানতেন মিটিং হচ্ছে।

    স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, তাকে খলিল জানিয়েছিলেন অনেক আগেই যখন থেকে তিনি এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ইন ফ্যাক্ট তারাই ইলন মাস্কের সঙ্গে একটা মিটিং এর উদ্যোগ নিয়েছিলেন। খলিল বললেন তারা প্রফেসর ইউনুসের সাথে একটা খুব স্ট্রাটেজিক মিটিং করতে চান। বৃহস্পতিবার সকালেই তাকে মিটিং এর কথা জানানো হয় উল্লেখ করে পিনাকি পোস্টে লেখেন, খলিল তাকে বলেছিলেন বাইরের কাউকে না জানাতে, মিটিং শেষ হলে আউটকাম জানাবেন।

    পিনাকী লেখেন, মিটিং থেকে বের হয়েই খলিল তাকে জানালেন আর তিনি পরে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। বাংলাদেশ তার ফেসবুক পোস্ট থেকেই ইলন মাস্কের সাথে প্রফেসর ইউনূসের মিটিংয়ের বিষয়টা জানে প্রথম- এমনটা উল্লেখ করেছেন পিনাকী।

    এই অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট স্ট্যাটাসে আরও লেখেন, এরপরদিন আরিফ জানান ইলন মাস্ক টুইট করেনি। ইলন মাস্ককে দিয়ে প্রফেসর ইউনুসের টুইট রিটুইট করানো যায় কিনা এমনটা চিন্তা করছিলেন তারা, কারণ এইটাই ভ্যালিডেশন। ইন্ডিয়া ক্যাম্পেইন চালাইতেছে, মিটিংই নাকি হয় নাই।

    পোস্টের শেষে তিনি আরও লেখেন, পিনাকীই খলিলকে জানান, ইলন মাস্ককে দিয়ে রিটুইট করানোর আইডিয়া। খলিল টুইটের ড্রাফট করলেন। তিনি আরেকটা বাক্য জুড়তে চাইছিলেন কিন্তু খলিল তাতে দ্বিমত করলেন। জানালেন ইলন মাস্কের টিমকে জানিয়েছেন লিংক দিয়ে রিটুইট করার অনুরোধ জানিয়ে। শনিবার প্যারিসের টাইম সন্ধ্যায় খলিল প্রত্যাশিত রিটুইটের স্ক্রিনশট পাঠালেন। স্মল আইডিয়া, বিগ ইম্প্যাক্ট।

    পিনাকী জানান, তারা ইলন মাস্কের সাথে কথা বলার পরিকল্পনা বাদ দেননি। টাইম লাগবে, কাজটা সহজ না, তবে তাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে আর তাদের আলাপ হবে পলিটিক্যাল।

  • ‘শিবির কোপানো জায়েজ’ লেখা সেই ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে যে পদক্ষেপ নিল ছাত্রশিবির

    ‘শিবির কোপানো জায়েজ’ লেখা সেই ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে যে পদক্ষেপ নিল ছাত্রশিবির

    ‘শিবির কোপানো জায়েজ ছিল, আছে, থাকবে, ইনশাল্লাহ’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাত্রদল নেতার দেওয়া এমন পোস্টের প্রতিবাদ জানিয়ে তাকে আইনের আওতায় আনতে থানায় অভিযোগ জানিয়েছে ছাত্রশিবির।

    বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নোয়াখালীর সুধারাম মডেল থানায় দুইজন আইনজীবীসহ বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের নোয়াখালী শহর শাখার আইন সম্পাদক আবদুল কাউয়ুম বাদী হয়ে এ অভিযোগ দায়ের করেন। এ সময় শিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য ও নোয়াখালী শহর শাখার সভাপতি হাবিবুর রহমান আরমানসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

    অভিযুক্তরা হলেন, নোয়াখালী সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের মো. জালাল আহমেদের ছেলে সোহাগ গাজী ও চর কাউনিয়ার ইউসুফ মাঝির ছেলে আরিয়ান হোসেন বাবলু। অভিযুক্ত দুজনেই ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। মো. সোহাগ গাজী আন্ডারচর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এবং নোয়াখালী ন্যাশনাল মডেল কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি। বর্তমানে এই নেতা সৌদি আরবে অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় ছাত্রদল।

    জানা যায়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সংঘর্ষের পর মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সোহাগ গাজী নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে লেখেন, ‘শিবির কোবানো (কোপানো) জায়েজ ছিল, আছে, থাকবে।’ স্ট্যাটাসটি দেওয়ার পরপরই তা দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। ব্যাপক সমালোচনার মুখে কিছু সময় পর তিনি পোস্টটি মুছে ফেলেন। সোহাগ গাজীর এই বিতর্কিত স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তোলেন।

    এদিকে বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নোয়াখালীর সুধারাম মডেল থানায় অভিযোগ প্রদান শেষে শিবিরের নেতারা একটি সংবাদ সম্মেলন করেন।

    সংবাদ সম্মেলনে আইন সম্পাদক আবদুল কাইয়ুম বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল করার হীন চক্রান্তের অংশ হিসেবে ছাত্রদল নেতা মো. সোহাগ গাজী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘শিবির কোপানো জায়েজ ছিল, আছে, থাকবে, ইনশাল্লাহ’ স্ট্যাটাস দিয়ে রাজনৈতিক বিদ্বেষ ছড়ানোর চেষ্টা করছে। উস্কানি ও রাজনৈতিক বিদ্বেষ ছড়িয়ে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের হত্যা করার ষড়যন্ত্র করছে। আমরা এ বিষয়ে আইনি প্রতিকার চেয়ে সংগঠনের সিদ্ধান্ত মতে সুধারাম মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।

    এসময় শিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য ও নোয়াখালী শহর শাখার সভাপতি হাবিবুর রহমান আরমান বলেন, আমরা ছাত্রদলের সঙ্গে দীর্ঘ ১৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে রাজপথে এক সঙ্গে থেকে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন করেছি। ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে ঠিকই, কিন্তু ছাত্রদলের তৃণমূলের কিছু নেতাকর্মীর মনে নতুন করে ফ্যাসিবাদের জন্ম নিচ্ছে। আমরা এ ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। পাশাপাশি ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে আহ্বান থাকবে, যে সকল অতি উৎসাহী নেতাকর্মী এ ধরনের কাজ করে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

    সুধরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, সাইবার সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    এদিকে নোয়াখালী সদর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ চৌধুরী বলেন, মো. সোহাগ গাজী আন্ডারচর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক। বর্তমানে সে সৌদি আরবে অবস্থান করছে। সে আমাকে বলছে যে তার আইডি হ্যাক হয়েছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে আমরা সিনিয়রদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি। কারণ আমার মনে হচ্ছে তার আইডি হ্যাক হয়নি।