Blog

  • স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিবাদ-বিচ্ছেদ লাগানো নিয়ে যা বলেছেন মহানবী (সা.)

    স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিবাদ-বিচ্ছেদ লাগানো নিয়ে যা বলেছেন মহানবী (সা.)

    স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মান-অভিমান, মনোমালিন্য স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে বর্তমানে অনেকে ব্যক্তিগত স্বার্থ, নিজের পছন্দ-অপছন্দ ও ব্যক্তি আক্রোশের জেরে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিবাদ লাগিয়ে থাকেন। অনেকেই আবার স্বামী-স্ত্রীকে আলাদা হওয়ার জন্য প্ররোচিত করেন। এসব একটি গর্হিত কাজ ও জঘন্য অপরাধ।

    এ বিষয়ে হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোনো নারী যেন নিজ স্বার্থের জন্য এবং বিয়ে বসার জন্য তার বোনের তালাক না চায়। কেননা সে তাই পাবে যা তার জন্য নির্ধারিত আছে। (বুখারি, মুসলিম, আবু দাউদ, ২১৭৬)

    ইসলাম দাম্পত্য সম্পর্ক নষ্ট হয় এমন কিছু করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছে। ওলামায়ে কেরাম স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিবাদ লাগানো এবং বিচ্ছেদ ঘটানোর কাজকে কবিরা গুনাহ বলেছেন।

    পবিত্র কোরআনে জাদুর ক্ষতি বর্ণনা করতে গিয়ে আল্লাহপাক বলেন,

    فَيَتَعَلَّمُوْنَ مِنْهُمَا مَا يُفَرِّقُوْنَ بِه بَيْنَ الْمَرْءِ وَ زَوْجِه

    তারা তাদের কাছে এমন জাদু শিখতো যা দিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিচ্ছেদ ঘটানো যায়।’ (সুরা বাকারা, আয়াত, ১০২)

    একই আয়াতে জাদুর পরিণাম বর্ণনা করতে গিয়ে মহান আল্লাহ বলেন,

    وَلَقَدْ عَلِمُوْا لِمَنِ اشْتَرهُ مَا لَه فِيْ الْاخِرَةِ مِنْ خَلاَقٍ

    ‘তারা নিশ্চিত জানে—যে জাদু-টোনা খরিদ করে আখেরাতে তার জন্য কোনো অংশ নেই।’ (সুরা বাকারাহ, আয়াত-১০২)

    রাসুল সা. একবার শয়তান ও তার বংশধরের দৌরাত্ম্য বোঝাতে গিয়ে বলেন, শয়তান শাহি সিংহাসনে বসে তার সৈন্যবাহিনীকে পাঠায় মানুষের মাঝে ফেতনা ফাসাদ ও বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য। শয়তানের বাহিনী নিজ নিজ কর্তব্য পালনে ছুটে যায়। তাদের মাঝে যে সবচেয়ে বেশি দুষ্কর্ম করতে পারে শয়তান তাকে বিশেষ স্নেহ ও শুভাশীষ জানায়। শয়তানের বাহিনী যখন ফিরে আসে প্রত্যেকে সরদারের কাছে নিজ নিজ রির্পোট পেশ করে। আমি এই করেছি, সেই করেছি, এমন মহৎ কর্ম আঞ্জাম দিয়েছি। এরই মাঝে এক সৈন্য সরদারের সামনে গিয়ে তার রির্পোট পেশ করে এভাবে—আমি সুকৌশলে সূক্ষ্মভাবে আমার দায়িত্ব পালন করেছি। স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত আমি ক্ষান্ত হইনি

    আরও পড়ুনঃ আরাফার দিন রাসুল (সা.) যে দোয়া পড়তে বলেছেন
    রাসুল সা. বলেন, শয়তান এ রির্পোট শুনে খুশিতে লাফিয়ে উঠল। তাকে বুকে জড়িয়ে ধরে উদ্বেলিত কণ্ঠে বলল, তুমি করেছো আসল কাজ! (মুসলিম, হাদিস, ৬৯৯৯)

    মোল্লা আলী ক্বারি রহ. বলেন, স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিচ্ছেদ করাতে শয়তান এত খুশি হওয়ার কারণ হলো—এতে জিনা ব্যভিচারের পথ খুলে যায়। জারজ সন্তান উৎপাদন বেশি হয়। ফেতনা ফাসাদের বাজার গরম হয়। শয়তানের কাছে যা পরম কাম্য। (মিরকাত)

    এ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি কোনো স্ত্রীকে তার স্বামীর বিরুদ্ধে অথবা দাসকে তার মনিবের বিরুদ্ধে প্ররোচিত করে সে আমাদের দলভুক্ত নয়। (আহমাদ, হাকিম, আবু দাউদ, হাদিস, ২১৭৫)

  • প্রতারণা করলেই বড় শাস্তি, সর্তক করলো সরকার

    প্রতারণা করলেই বড় শাস্তি, সর্তক করলো সরকার

    জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদের পরিবার এবং আহতদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ-২০২৫ জারি করেছে সরকার।

    অধ্যাদেশ অনুযায়ী মিথ্যা, বিকৃত ও তথ্য গোপন করে চিকিৎসা, আর্থিক ও পুনর্বাসন সুবিধা দাবি বা গ্রহণ করলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এরূপ কর্মকাণ্ড করলে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড, দুই লাখ টাকা জরিমানা বা আর্থিক সহায়তার দ্বিগুণ অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে অধ্যাদেশে।

    মঙ্গলবার (১৭ জুন) এই অধ্যাদেশ জারি করা হয়।

    অধ্যাদেশে বলা হয়, কোনও ব্যক্তি ‘শহীদ’ পরিবারের সদস্য বা যেকোনও শ্রেণির আহত না হওয়া সত্ত্বেও উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বা জ্ঞাতসারে মিথ্যা, বিকৃত তথ্য প্রদান, তথ্য গোপন ও বিভ্রান্তিকর কাগজ দাখিল করে নিজেকে ‘শহীদ’ পরিবারের সদস্য বা আহত দাবি করে চিকিৎসা, আর্থিক, পুনর্বাসন সুবিধা দাবি অথবা গ্রহণ করে তাহলে তিনি এই অধ্যাদেশের অধীন অপরাধ করেছেন বলে গণ্য হবে।

    এতে আরও বলা হয়, কোনও ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত অপরাধ করলে অনধিক ২ বছরের কারাদণ্ড এবং অনধিক দুই লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত সুবিধা বা আর্থিক সহায়তার দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

    এই আইনের অধীন অপরাধ অ-আমলযোগ্য ও জামিনযোগ্য হবে। এই অধ্যাদেশের অধীন সংঘটিত অপরাধের অভিযোগ দায়ের, অনুসন্ধান, তদন্ত, বিচার, আপিল এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮ (অ্যাক্ট নং ভি অব ১৮৯৮) এর বিধানাবলি প্রযোজ্য হবে।

    এছাড়া, অধ্যাদেশে নিহত-আহতদের দুই শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। ‘গণঅভ্যুত্থানে শহীদ’ এবং আহত ব্যক্তিদের যথাক্রমে ‘জুলাই শহীদ’ এবং ‘জুলাই যোদ্ধা’র স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে তিনটি শ্রেণি রয়েছে। তা হলো, অতি গুরুতর আহত, গুরুতর আহত ও আহত।

    অধ্যাদেশে জুলাই ‘শহীদ’ পরিবার এবং আহতদের কল্যাণে নেয়া সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমের আইনি ভিত্তি দেয়া হয়েছে। গত ১৫ জানুয়ারি সরকারি গেজেটে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যে ৮৩৪ জন শহীদের তালিকা প্রকাশ করেছে তা এই অধ্যাদেশের অধীন প্রণীত ও প্রকাশিত হয়েছে বলে গণ্য হবে।

  • জন্মদিনের দাওয়াতে ডেকে বিয়ে, অতঃপর…

    জন্মদিনের দাওয়াতে ডেকে বিয়ে, অতঃপর…

    কিশোরগঞ্জে বাজিতপুর উপজেলার হালিমপুরগ্রামের ইন্দুর দাইর এলাকার আশরাফ উদ্দিনের মেয়ে মোছা. জুয়েনা আক্তার পেশায় একজন ডাক্তারের সহকারী। চাকরির সুবাদে দীর্ঘদিন যাবত জেলা শহরের নিউটাউন এলাকায় ছোটবোন সানজিদা আক্তার শাম্মীকে নিয়ে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন।

    ২০২০ সালে গুরুদয়াল সরকারি কলেজে পড়াচলাকালীন পরিচয় হয় ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার গাংগাইল গ্রামের আফতাব উদ্দিনের ছেলে মো. আব্দুল গাফফারের সঙ্গে। সেই কলেজ থেকেই হয় পরিচয়। ধীরে ধীরে সেই পরিচয় সম্পর্কে রূপ নেয়।

    এরপর ২০২২ সালের ২৪ মার্চ জুয়েনা তার জন্মদিনে গাফফারকে নিউটাউনের ভাড়া বাসায় আমন্ত্রণ করে। জুয়েনার আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে গাফফার নিউটাউনের বাসায় আসলে জুয়েনা তাকে বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করে। কিন্তু গাফফার তার কাছে সময় চাইলে জুয়েনা সময় না দিয়ে পুলিশ ডেকে গাফফারকে ধরিয়ে দেয়।

    পরে গাফফারকে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় নিয়ে গেলে জুয়েনা নিজের পরিবারের লোকজনের উপস্থিতিতে ও গাফফারের পরিবারকে না জানিয়ে কাজী অফিসে নিজেদের বিয়ের কাজ সারে। এর কিছু দিনপর জুয়েনা তার স্বামীর বাড়ি নান্দাইলের গাংগাইল গেলে গাফফারের পরিবার তাকে বধূ হিসেবে বরণ করে নেয়।

    আরও পড়ুনঃ জামায়াতের ‘ভাইটাল’ তিন ইস্যু ঝুলে আছে আপিল বিভাগে
    জানা যায়, তাদের বৈবাহিক জীবনের তিনমাস অতিক্রম হওয়ার পর জুয়েনা তার বিয়ের পূর্বের চাকরি টিকিয়ে রাখতে নান্দাইল থেকে প্রতিদিন কিশোরগঞ্জ শহরে আসতেন। কিন্তু তার স্বামী চাকরি করতে নিষেধ করলে দুজনের মধ্যে সৃষ্টি হয় ঝগড়াঝাটি। এক পর্যায়ে রাগের বসে জুয়েনা স্বামীর বাড়ি থেকে নিউটাউনের বাসায় চলে আসলে তাকে নিতে গাফফারের পরিবারের লোকজন নিউটাউনে আসে। কিন্তু জুয়েনা গাফফারের সঙ্গে সংসার করবেনা বলে জানায় এবং সবাইকে জেলের ভাত খাওয়ানোর হুমকি দেয়।

    গাফফারের পরিবার বিষয়টি সামাজিকভাবে মীমাংসার জন্য নান্দাইল ও হালিমপুরের গণ্যমান্য লোকজনের সাহায্য নিলে তারাও জুয়েনাকে বোঝাতে ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর জুয়েনাকে তার স্বামী গাফফার তালাকের নোটিশ পাঠালে জুয়েনা সেই নোটিশ পেয়ে গাফফারকে আসামি করে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নামে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা দায়ের করে। জুয়েনার এমন আচরণে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ আলেম সমাজের কর্মসূচিতে মানুষের ঢল, ভোটের মাঠে নেই কেন জোয়ার
    নান্দাইল ‍উপজেলার গাংগাইল হালিমা আইয়ু বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রায়হান মাস্টার বলেন, গাফফার ও জুয়েনার বিয়েটা মূলত একটি জন্মদিনের অনুষ্ঠান থেকে হয়। তাদের বিয়ের বিষয়টি সম্পর্কে গাফফারের পরিবার কিছুই জানত না। হঠাৎ একদিন জুয়েনা গাফফারের বাড়িতে আসলে আমরা গ্রামবাসী বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হই।

    তিনি আরও বলেন, জুয়েনা কিশোরগঞ্জ শহরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চাকরি করে। তার স্বামী সেই চাকরি করতে না দেওয়ার কারণে দুজনের মধ্যে প্রায় সময় ঝগড়াঝাটি হত। হঠাৎ একদিন সে বাড়ি থেকে বের হয়ে নান্দাইল থানায় তার স্বামীর বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করলে বাড়িতে পুলিশ আসে এবং দুজনের পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে একটি সমাধানও হয়। কিন্ত জুয়েনা সেই সমাধান না মেনে গাফফারকে ছেড়ে চলে যায়। পরবর্তীতে আমাদের এবং তাদের গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা কয়েকবার জুয়েনাকে আনার চেষ্টা করেও কোনো সমাধান হয়নি। জুয়েনার সাফ কথা গাফফারের সংসার করবে না। কিছুদিন পর গাফফার জুয়েনাকে ছেড়ে দিলে জুয়েনা ক্ষোভে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে নারী নির্যাতনের মামলা দায়ের করে।

    আরও পড়ুনঃ ঢাকার আশেপাশেই ঘুরছে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের ফোনের আইএমইআই?
    বাজিতপুরের তালুকদার বাবু মিয়া কবরস্থান জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা ইয়াহিয়া বলেন, জুয়েনার বিষয়টি আমি অবগত ছিলাম। জুয়েনাকে অনেকবার বোঝানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু সে সংসার করবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। সে তার স্বামীসহ তার পরিবারেরে লোকজনের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

    এ বিষয়ে জুয়েনার সঙ্গে কথা বললে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং কথা বলতে রাজি হননি।

  • মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি বাংলাদেশি পাইলট

    মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি বাংলাদেশি পাইলট

    ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান যুদ্ধের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের মাঝ আকাশে মিসাইল হামলার ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন বাংলাদেশি এক পাইলট। এনাম তালুকদার নামে সেই পাইলট বর্ণনা করছেন তার ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা।

    তিনি জানান, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রিয়াদের উদ্দেশ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট যখন রাত ২টা ১৫ মিনিটে উড্ডয়ন করে, তখন আকাশ শান্ত ছিল, আবহাওয়া অনুকূল ছিল। ককপিটের দায়িত্বে ছিলেন বিমানের ফ্লাইট সেফটির প্রধান ক্যাপ্টেন এনামুল হক এবং তার পাশে ছিলেন কো-পাইলট রাফসান রিয়াদ।

    ক্যাপ্টেন এনামুল বলেন, ভারত, ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের আকাশসীমা পেরিয়ে আমরা বাহরাইনের দিগন্তের কাছাকাছি পৌঁছলাম। স্থানীয় সময় তখন ভোর ৫টা (১৪ জুন)। ৪০,০০০ ফুট উচ্চতায় পৃথিবী দেখতে সব সময়ই অসাধারণ লাগে। কিন্তু সেই অনুভূতি দ্রুতই মিলিয়ে গেল, তার বদলে নেমে এলো আতঙ্ক ও ভয়, কারণ আমরা সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত কিছু দেখলাম।

    তিনি আরও বলেন, আমাদের বিমান পারস্য উপসাগরের উপর দিয়ে যাচ্ছিল। ডানদিকে ইরান; বামে এবং কিছুটা পেছনে বাহরাইন। সূর্য তখনো ওঠেনি, তবে পূর্ব দিগন্তে একটি ক্ষীণ আভা দেখা দিতে শুরু করেছিল। হঠাৎ করেই ইরানের আকাশে একটি উজ্জ্বল ঝলক দেখা গেল। প্রথমে ভেবেছিলাম এটি হয়তো কোনো নিয়মিত সামরিক মহড়ার অংশ। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যেই দেখতে পেলাম– ক্ষেপণাস্ত্র। ডজন ডজন, এমনকি তারও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র দ্রুত গতিতে একের পর এক পশ্চিম দিকে ছুটে যাচ্ছিল।

    ‘আমার কো-পাইলটও হতবাক হয়ে গিয়েছিল। আমরা অবিলম্বে আমাদের উড্ডয়নের রুট পর্যালোচনা করতে শুরু করলাম। একটি প্রশ্ন আমার মনে বারবার ঘুরপাক খাচ্ছিল: যদি সেই ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর মধ্যে একটিও পথচ্যুত হয়? এই চিন্তাই আমার মেরুদণ্ড দিয়ে ঠাণ্ডা স্রোত বইয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল।’

    একজন অভিজ্ঞ পাইলট হিসেবে তিনি এর আগেও উচ্চ-ঝুঁকির পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন– কিন্তু এমন কিছু কখনো নয়। ‘আকাশ জুড়ে জ্বলন্ত তীর ছুটে যাচ্ছে, আমাদের বিমান থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরে।

    কর্মীরা দ্রুত নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে তাদের গতিপথ পরিবর্তন করেন এবং অবশেষে রিয়াদে নিরাপদে অবতরণ করেন।

    বাংলাদেশে বিমানের এই পাইলট বলেন, ভূমিতে নামার পর আমি আমার ফোন চালু করলাম এবং শিরোনামগুলো ভেসে উঠল: ‘ইরান ইসরায়েলের উপর বিশাল ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছ’।

    এটি কেবল একটি সামরিক পদক্ষেপ ছিল না– এটি একটি যুদ্ধের শুরু বলে মনে হয়েছিল, এমন একটি যুদ্ধ যা দুটি দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নাও থাকতে পারে। পুরো অঞ্চলের স্থিতিশীলতা এখন ঝুঁকির মধ্যে বলে মনে হচ্ছিল।

    ‘সেদিন সকালে আমি কেবল একজন পাইলট ছিলাম না। আমি ইতিহাসের সাক্ষী হয়েছিলাম– স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের কিনারা থেকে একটি সংঘাতের শুরু উন্মোচিত হতে দেখেছিলাম।’

    তারা যে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো দেখেছিলেন সেগুলো সম্ভবত দীর্ঘ-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছিল – কেবল অস্ত্র নয়, এনামুল পর্যবেক্ষণ করেন; এগুলো ছিল একটি কৌশলগত বার্তা। এই প্রক্ষেপণগুলো লক্ষ্যবস্তুতে ফিরে আসার আগে শত শত কিলোমিটার উপরে প্রায় মহাকাশে উঠে যায়।

    তিনি যোগ করেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের আকাশসীমা আর কেবল একটি ট্রানজিট করিডোর নয়; এটি একটি বিতর্কিত এবং সম্ভাব্য বিপজ্জনক অঞ্চলে পরিণত হচ্ছে।’

    এনামুল বলেন, সৌভাগ্যবশত, যাত্রীরা যে বিপদের মধ্য দিয়ে অজান্তেই পার হয়ে এসেছেন তা জানতে পারেননি। ‘আমরা নিরাপদে অবতরণ করতে পেরেছিলাম, কিন্তু প্রশ্নটি এখনো আমার মনে ঘুরপাক খাচ্ছে: আমরা যে আকাশে উড়ি তা কতটা নিরাপদ?

  • ৭ কারণে ইরানকে পরাজিত করা প্রায় অসম্ভব

    ৭ কারণে ইরানকে পরাজিত করা প্রায় অসম্ভব

    ইসরায়েল স্বপ্নেও ভাবেনি এত বড় প্রতিরোধের মুখে পড়তে হবে তাকে। রাজধানী তেলআবিবের কিছু এলাকা ইরান এমনভাবে গুঁড়িয়ে দিয়েছে যে, তা দেখে ফিলিস্তিনের গাজা বলে ভুল হতে পারে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তেহরানেরও। এখন প্রশ্ন হলো ইরান-ইসরায়েল ‍কি তাহলে আরও বড় আকারে যুদ্ধে জড়াবে? তাতে কি আমেরিকাও যোগ দেবে? হার মানবে ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান?

    বিশ্লেষকরা অবশ্য বলছেন, ইরানের এমন কিছু শক্তি রয়েছে, যার কারণে দেশটিকে পরাজিত করা প্রায় অসম্ভব। চলুন দেখে নেই এমন অন্তত ৭টি কারণ, যা ইরানকে অজেয় করে রেখেছে।

    ইরানের সব থেকে বড় শক্তি সামরিক অস্ত্র নয়। বরং ভৌগোলিকভাবে পাওয়া একটি সমুদ্র পথ। যার নাম হরমুজ প্রণালি। ইরানের দক্ষিণ সীমান্ত ঘেঁষে এই প্রণালি বিশ্বের অন্যতম কৌশলগত জলপথ। মাত্র ৩৩ কিলোমিটার চওড়া এই জলপথ দিয়েই বিশ্বের প্রায় ২০ শতাংশ তেল পরিবহন হয়। গুরুত্ব বিবেচনায় বিশ্লেষকরা এটিকে পৃথিবীর রক্তনালি বলে অভিহিত করেন। এই প্রণালির আশপাশের সাতটি দ্বীপ ইরানের নিয়ন্ত্রণে, যা সে দেশের অনন্য ভূ-রাজনৈতিক শক্তি। ইতোমধ্যে ইরান এই জলপথ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। এতে আতঙ্কিত পশ্চিমারা।

    আরও পড়ুনঃ হামলার পর ফের সম্প্রচারে ইরানি টিভি চ্যানেল, লাইভে সেই নারী উপস্থাপক
    ইসরায়েলে ২০ মিনিটে ৩০ ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত
    ইউরোপ, এশিয়া এবং আফ্রিকা- এই তিন মহাদেশের সংযোগস্থলে ইরানের অবস্থান। এছাড়া দেশটির রয়েছে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ জলসীমা। উত্তরে কাস্পিয়ান সাগর এবং দক্ষিণে পারস্য উপসাগর ও ওমান উপসাগর। এ কারণে বিশ্ব মানচিত্রে টিকে থাকা সবচেয়ে পুরনো রাষ্ট্রগুলোর একটি ইরান। গত ৫০০ বছর ধরে একই সীমান্ত নিয়ে টিকে আছে দেশটি। পৃথিবীর এমন কোনো পরাশক্তি নেই, যারা ইরানকে দখল করতে চায়নি, কিন্তু বারবারই ব্যর্থ হয়েছে।

    ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন

    মুসলিম বিশ্বে ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রে রেঞ্জ বা আওতা সবচেয়ে বেশি- ২ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত। যা কেবল ইসরায়েল নয়, ইউরোপের যে কোনো লক্ষ্যবস্তুতেও আঘাত হানা সম্ভব। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডও স্বীকার করে, পুরো মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের ব্যালিস্টিক মিসাইল ভাণ্ডার সবচেয়ে আধুনিক ও বিস্তৃত। এছাড়া সস্তায় অধিক কার্যকর ড্রোন বানিয়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ইরান। ইউক্রেন যুদ্ধে ইরানি ড্রোন ব্যবহার করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছে পরাশক্তি রাশিয়া।

    আরও পড়ুনঃ ইরান-ইসরায়েল ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান ‍স্পষ্ট করলো ওমান
    পাহাড় আর মরুভূমির দুর্গ

    ইরানের রয়েছে এক অনন্য প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা। পশ্চিম ও দক্ষিণ সীমান্তজুড়ে জাগরোস পর্বতমালা, যা দেশটিকে দুর্গের মতো সুরক্ষা দেয়। এই পাহাড়গুলো এতটাই কঠিন ও দুর্গম যে, হামলার জন্য সেদিকে অগ্রসর হওয়া অসম্ভব। উত্তরেও রয়েছে প্রতিরক্ষামূলক আলবোর্জ পর্বতমালা। অন্যদিকে ইরানের রয়েছে মূল্যবান খনিজ- ইউরেনিয়াম, সোনা, রুপা আর দস্তা। পাহাড় পেরিয়ে কেউ ইরানে ঢুকতে পারলেও সামনে লুত মরুভূমি, যা পৃথিবীর ভয়ানক গরম জায়গাগুলোর একটি। তাই এই অঞ্চল দিয়ে সৈন্য ও রসদ পাঠানো অসম্ভব।

    ভূগর্ভে তেলের রাজ্য

    বিশ্বে তেল ও গ্যাস মজুতের অন্যতম কেন্দ্র ইরান। এখানকার খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস মজুদের পরিমাণ যথাক্রমে বিশ্বের মোট রিজার্ভের ১০ ও ১৫ শতাংশ। এই সম্পদ ইরানকে দেয় অর্থনৈতিক ও কৌশলগত অনন্য সুবিধা। বিশেষ করে তেল বহনকারী পথগুলোতে ইরানের নিয়ন্ত্রণ থাকায় বিশ্ববাজারে বড় প্রভাব ফেলার ক্ষমতা রাখে দেশটি।

    বড় মিত্রদের ছায়া

    আরও পড়ুনঃ সাংবাদিকের প্রশ্ন— খমেনিকে হত্যার পরিকল্পনা আছে কিনা, যা বললেন নেতানিয়াহু
    যুক্তরাষ্ট্রের চোখরাঙানি উপেক্ষা করে রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে ক্রমাগত ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছে ইরান। ইসরায়েলের সাথে সংঘাতের পর থেকেই এই দুই পরাশক্তির সমর্থন পেয়ে আসছে ইরান। অনেক সময় এমনও দেখা গেছে, ইরানে হামলার হুমকি এলে রুশ গোয়েন্দা বাহিনী সহযোগিতার আশ্বাস দেয়, যা ইসরায়েল ও পশ্চিমাদের জন্য মারাত্মক ভয়ের কারণ।

    সরাসরি নয়, ছায়া যুদ্ধ

    ইরানের আরেকটি বড় শক্তি তার প্রক্সি নেটওয়ার্ক, যেটাকে বলা হয় ‘এক্সিস অব রেজিস্টেন্স’। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ইরান তার সমর্থিত গোষ্ঠীকে সমর্থন দিয়ে থাকে, যেমন- ফিলিস্তিনে হামাস, লেবাননে হিজবুল্লাহ, সিরিয়ায় ফাতেমিয়ুন ব্রিগেড, ইরাকে আল বদর মিলিশিয়া এবং ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহী। এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সরাসরি যুদ্ধে না গিয়েও যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের মতো দেশগুলোর ওপর চাপ তৈরি করতে পারে ইরান।

    পারস্য থেকে আজকের ইরান, হাজার বছরের ইতিহাসে নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে গেলেও দেশটি কারও নিয়ন্ত্রণ মানেনি কখনো। ইতিহাসের সেই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে কি না, তা সময়ই বলে দেবে।

  • শিক্ষক নিবন্ধনে থাকবে শুধু লিখিত-মৌখিক পরীক্ষা, বাদ যাচ্ছে প্রিলি

    শিক্ষক নিবন্ধনে থাকবে শুধু লিখিত-মৌখিক পরীক্ষা, বাদ যাচ্ছে প্রিলি

    ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের মৌখিক পরীক্ষায় কী আনবেন?
    শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার জটিলতা কমিয়ে নিতে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা বাদ দেওয়ার চিন্তা করছে এনটিআরসিএ। মন্ত্রণালয় প্রস্তাবে সায় দিলে আগামী শিক্ষক নিবন্ধন থেকে এ নিয়ম চালু করা হবে বলে জানা যায়।

    এনটিআরসিএর কর্মকর্তারা বলছেন, প্রিলির পর লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। এ দুটির মধ্যে একটি পরীক্ষা বাদ দিলে সময় কমে আসবে। সেক্ষেত্রে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা বাদ দেওয়ার পক্ষে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

    এনটিআরসিএ সচিব এ এম এম রিজওয়ানুল হক বলেন, বর্তমানে নিবন্ধন পরীক্ষা সম্পন্ন হয় তিন ধাপে। আমরা একটি ধাপ কমিয়ে আনতে চাচ্ছি। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিগত অনুমোদনও পাওয়া গেছে। জনপ্রশাসন ও আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ বিভাগের মতামত পাওয়ার পর এনটিআরসিএর বোর্ড সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

    প্রিলি নাকি লিখিত—কোন পরীক্ষা বাদ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে এনটিআরসিএর সচিব বলেন, বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। প্রাথমিকভাবে নিবন্ধন পরীক্ষা থেকে প্রিলিমিনারি অংশ বাদ দেওয়া হতে পারে।

    জানা যায়, গত ২৫ মে এনটিআরসিএর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সভাকক্ষে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়েরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

  • নারীর সঙ্গে তুষারের কথোপকথন ফাঁস নিয়ে যা বললেন সাবেক এনসিপি নেত্রী ইমি

    নারীর সঙ্গে তুষারের কথোপকথন ফাঁস নিয়ে যা বললেন সাবেক এনসিপি নেত্রী ইমি

    জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষারের সঙ্গে এক নারীর কথোপকথন ফাঁস নিয়ে মুখ খুলেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সাবেক সদস্য শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি। আজ মঙ্গলবার এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ নিয়ে নিজের অভিমত ব্যক্ত করেন।

    ওই পোস্টে জুলাই অভ্যুত্থানের সহযোদ্ধা সারোয়ার তুষার সম্পর্কে ইমি তিনটি নোট তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘সারোয়ার তুষারের ফোনালাপে একটা কথা স্পষ্ট যে তাদের ঘনিষ্ঠতা একপাক্ষিক ছিল না। এভাবে ব্যক্তিগত আলাপচারিতা পাবলিক করাটাও সমর্থনযোগ্য কিছু না। তাহলে সমস্যাটা কোথায়?

    ১. সমস্যা অসততায়। রাজনীতি বুদ্ধিবৃত্তিক জায়গা বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। যোগ্যতার মাপকাঠিকে খাটে নিয়ে যাওয়া আমাদের বদ্ধমূল অপসংস্কৃতি। নতুন বন্দোবস্তোর কথা বলে ক্ষমতার সুবিধাজনক অবস্থানের প্রিভিলেজ নেয়া লোকের অন্তত আমার কাছে কখনো কোনো সম্মান নেই।

    ২. এপ্রোচে। রাজনৈতিক অঙ্গনের নারীদেরকে এভেইলএবল মনে করা এবং নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিতে আলফা মেলদের ‘ফেভারিট’ হওয়ার জন্য জানপ্রাণ দিয়ে দেওয়ার সংস্কৃতি নারীদের রাজনৈতিক অবস্থানকে নিজের দলেই অসম্মানিত করে। এই কারণেই কোনো পুরুষ সহযোদ্ধা ‘লাগাইতে’ চাইলে এমনকি চরম অপ্রস্তুত এবং অসম্মানিত হয়ে পড়তে হয়। নারীদেরকে এইরকম অ্যাভেইলঅ্যাবল মনে করাটা সমস্যা। এটা বদলাতে হবে।

    ৩) দলীয়ভাবে এনসিপির সমস্যা হচ্ছে, নারীঘটিত ঘটনাগুলো ডিল না করে প্রত্যেকবার তারা এড়িয়ে গেছে কোনো না কোনোভাবে। সম্পত্তির অধিকার এবং ফোনালাপ ইস্যুতে সামান্তা শারমিন যে উত্তর দিয়েছে সেই সামান্তা শারমিন মোটেও আওয়ামী আমলে লড়াই করা সামান্তা শারমিন নয়। পরিবর্তিত পরিস্থিতি যদি মোরাল গ্রাউন্ড আর মেরুদন্ড দুর্বল করে দেয় তাহলে সার্বিক পরিস্থিতিকে কখনো ভালো বলা যায় না।

    এ ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া ট্রায়াল ও ব্যাশিং আমি ডিজার্ভ করি না: সারোয়ার তুষারএ ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া ট্রায়াল ও ব্যাশিং আমি ডিজার্ভ করি না: সারোয়ার তুষার
    আমি এই ব্যাপারে কথা বলসি কারণ রাজনৈতিক অঙ্গনে নারীদেরকে যেভাবে ট্রিট করা হয় তা চরম অসম্মানজনক এবং অবমাননাকর। নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতার চাইতে ফ্লার্টিং স্কিল আর অপরচুনিস্ট হওয়াটা যদি যোগ্যতার মানদণ্ড হয় তাহলে কখনোই পরিবর্তন আসবে না। শুধু মানুষ বদলাবে, শোষণের চরিত্র বদলাবে না। নিষ্পেষণ বন্ধ হবে না।

    নারীর সঙ্গে ‘আপত্তিকর’ কথোপকথন ফাঁস: এনসিপি নেতা সারোয়ার তুষারকে শোকজনারীর সঙ্গে ‘আপত্তিকর’ কথোপকথন ফাঁস: এনসিপি নেতা সারোয়ার তুষারকে শোকজ
    এই পোস্ট দেওয়ার কিছু পর তিনি ৩ নম্বর পয়েন্টটি প্রত্যাহার করে নিয়ে আরেকটি পোস্ট দেন। সেই পোস্টে ইমি লেখেন, ‘সারোয়ার তুষারের স্ক্রিনশট সম্পর্কিত যে সর্বশেষ স্ট্যাটাস তার ৩ নাম্বার পয়েন্টটা আমি প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। আমাকে ভিক্টিম সরাসরি জানালেন যে, তিনি এই ঘটনার পরে নানানভাবে মানুষজনকে রিচ আউট করে বিষয়টি জানিয়েছেন, কিন্ত কেউই সেই মুহূর্তে তাকে হেল্প করেনাই। ঘটনাটা এড়ায়ে যাওয়ার চেষ্টা করসে সকলেই। ঘটনা যে আজকে লিক হইসে, তার দায়ও আসলে এই কথা সত্যি হইলে ভিক্টিমকে দেওয়ার সুযোগ নাই। আর তিনি যদি রিচ আউট করেই থাকেন, অন্তত আমার জায়গা থেকে আমি শক্তভাবে তার পাশে থাকব অন্য আর একটা বান্দা না থাকলেও। আমার উক্ত বক্তব্যের জন্য আমি ভিক্টিমের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করছি।’

    উল্লেখ্য, ইমি নাগরিক কমিটির দলিত, হরিজন ও তফসিলি সেলের সদস্য ছিলেন। তবে নাগরিক কমিটি থেকে নতুন রাজনৈতিক দল পার্টি গঠনপর্বে তিনি কমিটি থেকে পদত্যাগ করেন।

  • নিয়োগ দেবে আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, ৪৫ বছরেও আবেদন

    নিয়োগ দেবে আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, ৪৫ বছরেও আবেদন

    আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক লিমিটেডে ‘অ্যাসিস্ট্যান্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার/এক্সিকিউটিভ অফিসার’ পদে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহীরা আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

    প্রতিষ্ঠানের নাম: আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক লিমিটেড

    পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার/এক্সিকিউটিভ অফিসার
    পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়
    শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক অথবা সমমান
    অভিজ্ঞতা: ১২ বছর
    বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে

    চাকরির ধরন: ফুল টাইম
    প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ
    বয়স: ৩০ জুন ২০২৫ তারিখ ৪৫ বছর
    কর্মস্থল: যে কোনো স্থান

    আবেদনের নিয়ম: আগ্রহীরা এখানে ক্লিক ICB Islamic Bank Ltd করে আবেদন করতে পারবেন।
    আবেদনের শেষ সময়: ৩০ জুন ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

    সূত্র: বিডিজবস ডটকম

  • নিয়োগ দেবে গ্রামীণ ব্যাংক, থাকছে না বয়সসীমা

    নিয়োগ দেবে গ্রামীণ ব্যাংক, থাকছে না বয়সসীমা

    গ্রামীণ ব্যাংকে ‘ফাইন্যান্সিয়াল স্পেশালিস্ট’ পদে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহীরা আগামী ২৬ জুন পর্যন্ত ডাকযোগে অথবা সরাসরি আবেদন করতে পারবেন।

    প্রতিষ্ঠানের নাম: গ্রামীণ ব্যাংক

    পদের নাম: ফাইন্যান্সিয়াল স্পেশালিস্ট
    পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়
    শিক্ষাগত যোগ্যতা: সিএ অথবা সমমান
    অভিজ্ঞতা: ০৩ বছর
    বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে

    চাকরির ধরন: ফুল টাইম
    প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ
    বয়স: নির্ধারিত নয়
    কর্মস্থল: যে কোনো স্থান

    আবেদনের ঠিকানা: উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মানব সম্পদ ও সেবা ব্যবস্থাপনা, গ্রামীণ ব্যাংক, প্রধান কার্যালয়, মিরপুর-২, ঢাকা-১২১৬।
    আবেদনের শেষ সময়: ২৬ জুন ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

    সূত্র: বিডিজবস ডটকম

  • ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ দিচ্ছে সিটি ব্যাংক, লাগবে না অভিজ্ঞতা

    ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ দিচ্ছে সিটি ব্যাংক, লাগবে না অভিজ্ঞতা

    দ্য সিটি ব্যাংক পিএলসিতে ‘ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি’ পদে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহীরা আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

    প্রতিষ্ঠানের নাম: দ্য সিটি ব্যাংক পিএলসি

    পদের নাম: ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি
    পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়
    শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক অথবা স্নাতকোত্তর
    অভিজ্ঞতা: প্রযোজ্য নয়
    বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে

    চাকরির ধরন: ফুল টাইম
    প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ
    বয়স: ৩০ জুন ২০২৫ তারিখ সর্বোচ্চ ৩২ বছর
    কর্মস্থল: যে কোনো স্থান

    আবেদনের নিয়ম: আগ্রহীরা এখানে ক্লিক City Bank PLC করে আবেদন করতে পারবেন।
    আবেদনের শেষ সময়: ৩০ জুন ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

    সূত্র: বিডিজবস ডটকম