Blog

  • ভোট যুদ্ধের প্রস্তুতি: বিএনপির গোপন সঙ্গীদের নাম প্রকাশ!

    ভোট যুদ্ধের প্রস্তুতি: বিএনপির গোপন সঙ্গীদের নাম প্রকাশ!

    লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকে নির্বাচনের সন্তোষজনক সময় নির্ধারণের পর জোরেশোরে ভোটের প্রস্তুতি শুরু করেছে বিএনপি। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জটিল সমীকরণে রূপ নিচ্ছে ভোটের রাজনীতি। এদিকে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন স্থগিত হওয়ার পর এখন দৃশ্যপটে নেই দলটি। এজন্য রাজনৈতিক দলগুলোর হিসাব-নিকাশও নতুনভাবে সাজানো হচ্ছে। আগামী ফেব্রুয়ারিকে ধরেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে দলগুলো।

    অন্যদিকে বড় দল বিএনপি ভোটের হিসাবে বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে। মিত্রদের সঙ্গে নির্বাচনি জোট বা সমঝোতা করার সম্ভাবনা বেশি বিএনপির। আবার জামায়াতও ইসলামপন্থি দলগুলো নিয়ে ‘নির্বাচনি ঐক্য’ গঠনের চেষ্টা করছে। তবে মতাদর্শিক দূরত্বের কারণে জামায়াতের সঙ্গে বড় ইসলামি দলগুলোর ঐক্য নিয়ে সংশয় রয়েছে। অন্যদিকে ইসলামী আন্দোলনসহ ৫টি ইসলামি দল অনেকটা সমঝোতার পথে। আবার এবি পার্টির সঙ্গে এনসিপিসহ বেশ কয়েকটি দলের হতে পারে ‘অ্যালায়েন্স’। মতাদর্শিক দূরত্বের কারণে জামায়াতের সঙ্গে বড় ইসলামি দলগুলোর ঐক্য না হলে এনসিপিসহ ইসলামপন্থি কয়েকটি দলের সঙ্গে হতে পারে ‘সমঝোতা’।

    বাম ঘরানার রাজনৈতিক দলের মধ্যেও একটা ঐক্য তৈরি হতে পারে। আবার বিএনপির জোটে এনসিপিকেও দেখা যেতে পারে। জোট বা সমঝোতা নিয়ে পর্দার আড়ালে দলগুলোর নানা তৎপরতা চলছে। নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার পর সবকিছু দৃশ্যমান হবে। এদিকে আগামী নির্বাচনের পর বিরোধী দল কে হবে-তা নিয়েও চলছে নানা আলোচনা। তবে বিরোধী দল হওয়া নিয়ে নাটকীয় কিছু ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশ্লেষক ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এসব তথ্য।

    রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, জামায়াতে ইসলামী এককভাবে বা বিএনপির বাইরে কোনো জোট গঠন করলেও ভোটের মাঠে সেভাবে সুবিধা নাও করতে পারে। সেক্ষেত্রে জামায়াত অধ্যুষিত কয়েকটি এলাকায়ও তাদের প্রার্থীদের জয়ী হতে বেগ পোহাতে হতে পারে। কারণ কিছু আসনে জামায়াতের ভোট বেশি থাকলেও সেখানে যদি বিএনপির ধানের শীষ ও আওয়ামী লীগপন্থি কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়, তাহলে ভোট তিন ভাগে ভাগ হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে জামায়াতের প্রার্থী জয়ী হওয়া কঠিন হবে। তারা মনে করেন, আওয়ামী লীগ যতই ফ্যাসিস্ট হিসাবে চিহ্নিত হোক না কেন, আমাদের দেশে ভোটের রাজনীতি বড়ই বিচিত্র ও কঠিন। মানুষ ভোটের সময় অনেক কিছু মনে রাখে না।

    পর্যবেক্ষকরা আরও মনে করেন, দেশের বিগত নির্বাচনে ভোটের ইতিহাস দেখলে দোদুল্যমান ভোটারদের বেশির ভাগ ভোট পড়েছে ‘ধানের শীষ’ ও ‘নৌকা’ প্রতীকে। যেহেতু আওয়ামী লীগ ভোটের মাঠে নেই, তাই ধারণা করা হচ্ছে এসব ভোট ধানের শীষে যাবে, অথবা আওয়ামী লীগপন্থি কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে সে পাবে। এখানে ইসলামপন্থি দলগুলোর বাক্সে দোদুল্যমান ভোট ততটা যাওয়ার রেকর্ড নেই। কারণ তাদের ভোট অনেকটা ‘ফিক্সড’। সে কারণে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বিরোধী দল নিয়ে নাটকীয় কিছু ঘটতে পারে।

    এছাড়া বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষ সারাক্ষণ রাজনৈতিক চর্চার মধ্যে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে পছন্দ করে। এসব বিবেচনায় তফশিল-পরবর্তী পরিস্থিতি অনুমান করলে এটিই প্রতীয়মান হবে যে, ওই সময় সমাজে আওয়ামী ঘরানার ইমেজসম্পন্ন ব্যক্তিদের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে দাঁড় করানো হতে পারে। বাস্তবে এরাই হবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী। এর ফলে কিছু এলাকায় ভোট রাজনীতির সমীকরণ পালটে যেতে পারে। আর ভোট যেহেতু অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হবে, সেহেতু কম ভোটের ব্যবধানে নাটকীয় জয়-পরাজয় ঘটতে পারে।
    রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ মনে করেন, ‘আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে, নিবন্ধনও স্থগিত। ভোটে অংশ নিতে হলে স্বতন্ত্র অথবা অন্য কোনো দলের প্রতীকেই তো নিতে হবে। তবে আপাতদৃষ্টিতে এখন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি-এ তিন দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে।

    আবার এর মধ্যে দুই দল একসঙ্গে ফ্রন্ট করতে পারে। আর তারেক রহমান তো আগেই বলেছেন জনগণের ভোটে রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে যুক্ত সব দলকে নিয়ে সরকার গঠন করবে।’বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন যুগান্তরকে বলেন, বিএনপির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো যুগপৎ আন্দোলন করেছে। আমরা বলেছি, জনগণের ভোটে সরকার গঠন করতে পারলে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে থাকা দলগুলো নিয়ে ‘জাতীয় সরকার’ করব। এখনো নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করা হয়নি। সাধারণত তফশিলের পর জোট বা নির্বাচনি সমঝোতা-যাই বলা হোক না কেন, তা হয়ে থাকে। সব দলের সঙ্গে বিএনপির সুসম্পর্ক আছে। তবে এখনো এ নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক কিছু হয়নি।

    জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় মিডিয়া ও প্রচার বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের যুগান্তরকে বলেন, ইসলামি দলগুলোর সঙ্গে জোট গঠনের বিষয়টি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। আলাপ-আলোচনা চলছে, কীভাবে কী করা যায়। অনেকে প্রার্থী ঠিক করেনি, নির্বাচনটা ঠিক কীভাবে হবে-অনেকগুলো বিষয় আছে। ঐকমত্য কমিশনের ‘জুলাই সনদ’ ফাইনাল হলেই তখন এর অগ্রগতি বোঝা যাবে। সময় গেলে তা আরও স্পষ্ট হবে।জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির সদস্য সচিব আক্তার হোসেন যুগান্তরকে বলেন, এনসিপি এখনো নিজেদের স্বাতন্ত্র রক্ষা করে কাজ করে চলছে। নির্বাচনের জোট হবে কী হবে না তা নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হয়নি। যদি বাস্তব পরিস্থিতি তৈরি হয় এবং জাতীয় স্বার্থে প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে দলীয় আদর্শ ও কর্মসূচি মিলের কথাগুলোকে বিবেচনায় রেখে জোটের সম্ভাবনাকে আমরা একেবারেই নাকচ করি না। তবে এখনো জোটের বিষয়ে এনসিপি কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি।

    ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও দলের মুখপাত্র গাজী আতাউর রহমান যুগান্তরকে বলেন, ‘আমরা যে পথে অগ্রসর হচ্ছি তা হলো আগামী নির্বাচনে ইসলামপন্থি ভোট যাতে বিভক্ত না হয়। জোট নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। সমঝোতা-সমন্বয়টাও কীভাবে হবে-তা হয়তো আরও পরে প্রকাশ পাবে। অর্থাৎ দৃশ্যমান হবে যৌক্তিক সময়ে। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ যুগান্তরকে বলেন, সব ইসলামি দল এবং ইসলামি মত ও পথ যারা ইসলামের নামে কাজ করে সবাইকে আমরা ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করছি। আগামী ২৫ জুন ৫টি রাজনৈতিক দল-ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, বাংলাদেশ খেলাফত মসলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি ও খেলাফত মজলিসের বৈঠক হবে। এর আগেও আমরা বৈঠক করেছি। আগামী বৈঠকে আমরা একক প্রার্থী ঠিক করার কৌশল নির্ধারণ করব। এছাড়া আরও যারা বাইরে আছে তাদের সঙ্গেও ধারাবাহিকভাবে মতবিনিময় করব, পরামর্শ নেব। তারা কীভাবে জোটকে দেখতে চায়-এসব পরামর্শ নেওয়ার পর জোট ঘোষণা হবে।

    নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে ততই নানা মেরুকরণ দেখা যাবে। বিগত নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, ‘ওয়ানম্যান শো’-এমন অর্ধশতাধিক রাজনৈতিক দলও আছে, যাদের ভোটের আগে তৎপরতা বাড়বে। কোনো কোনো রাজনৈতিক দল জোট ভারী করতে তাদেরও সঙ্গে রাখতে পারে। তবে বাস্তবতা হচ্ছে ওইসব দলের তেমন কোনো ভোট নেই। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি বিগত দিনে যেসব মিত্রদের নিয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে, তাদের নিয়ে জোট করতে পারে। এ জোটে মুহাম্মাদ মামুনুল হকের বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসসহ কয়েকটি ইসলামপন্থি দলও থাকতে পারে।

    এর কারণ হিসাবে বিএনপির একাধিক নেতা যুগান্তরকে বলেন, মুহাম্মাদ মামুনুল হকের পরিবারের সঙ্গে জিয়া পরিবারের খুবই সুসম্পর্ক। তার বাবা প্রয়াত শাইখুল হাদীস আল্লামা আজিজুল হক বিএনপি নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোটে ছিলেন। সেক্ষেত্রে সাত-আটটি ছাড়া বাকি ইসলামপন্থি দলগুলো একটি জোট করার চেষ্টা করতে পারে। তবে সেখানেও আকিদাগত কিছু সমস্যা রয়েছে।
    ইসলামপন্থি একটি রাজনৈতিক দলের এক শীর্ষ নেতা যুগান্তরকে বলেন, জামায়াতের সঙ্গে অন্য কোনো ইসলামি দলের এখন পর্যন্ত কার্যত কোনো জোট হয়নি। এর কারণ সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদুদীর প্রতিষ্ঠা করা জামায়াতের সঙ্গে অন্যদের আকিদাগত মতপার্থক্য আছে, যা ইসলামী আন্দোলন ও কওমিভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোর মতাদর্শের বিপরীত। তারপরও রাজনীতিতে শেষ বলে কিছু নেই। নানা মেরুকরণ ভোটের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত চলতে থাকবে। শেষ মুহূর্তে এমনও হতে পারে, বিএনপির সঙ্গে এনসিপিও থাকতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের কোনো জোট গঠনের সম্ভাবনা নেই।

    এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, মনে হচ্ছে বিএনপির নেতৃত্বে একটা জোট হবেই। পাশাপাশি এবার সমমনা ইসলামি দল পৃথক জোট করবে। আবার যারা কর্তৃত্ববাদবিরোধী বামদল তাদেরও একটা জোট থাকবে। আরেকটা সমীকরণ হতে পারে। সেটি হলো বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যারা যুক্ত ছিল তাদের সঙ্গে পুরাতন কিছু দল মিলে জোট হবে। ইসলামি দলগুলোর সঙ্গেও জামায়াত থাকতে পারে। আবার এনসিপির সঙ্গেও জামায়াত থাকতে পারে। যদি এনসিপির সঙ্গে জামায়াত থাকে তাহলে ইসলামি দলগুলো একসঙ্গে হয়ে যেতে পারে।

    তখন আবার জোটের সংখ্যা কমে যাবে। এমনও হতে পারে জামায়াত, এনসিপি এবং ইসলামি দলগুলো মিলে একটা জোট করে ফেলতে পারে। তবে বিদ্যমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের পাল্লা যে ভারী হবে সেটি নিশ্চিত বলা যায়।

    সূত্র: যুগান্তর

  • চাহিদা মেটাতে কোটি টাকা দিয়ে ডল কিনলেন নীতা আম্বানি, আরও যা করেন

    চাহিদা মেটাতে কোটি টাকা দিয়ে ডল কিনলেন নীতা আম্বানি, আরও যা করেন

    ভারত তথা বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি মুকেশ আম্বানির নামটা কোনোদিন শোনেননি এমন মানুষের সংখ্যা হয়তো হাতে গোনা যাবে। রিলায়েন্স গোষ্ঠীর মালিক মুকেশ আম্বানি সম্পদের নিরিখে গত কয়েকদশক ধরে ধনীতম মর্যাদা পেয়েছেন। পাশাপাশি মুকেশ আম্বানি জায়া নীতা আম্বানির পরিচিতিও রয়েছে দেশজুড়ে।

    ‘রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন’, ‘ধীরুভাই আম্বানি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের’ প্রতিষ্ঠাতা এবং রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক তিনি। সম্প্রতি প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী মুকেশ আম্বানির বর্তমান সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৮২.৯ বিলিয়ন।

    ২০ বছর বয়সে ১৯৮৫ সালে মুকেশ আম্বানির সাথে বিয়ে হয়েছিল নীতার। তারপর থেকেই বদলে গিয়েছে নীতা আম্বানির জীবনযাত্রা। আম্বানি পরিবারের কথা উঠলেই সবার কল্পনাতেই আসে বিলাসবহুল বাড়ি গাড়ি ও লাক্সারি জীবনযাপন।

    নীতা আম্বানির বাড়ির প্রায় সবকিছুই সোনায় মোড়া। মুকেশ আম্বানির পাশাপাশি ব্যাপক বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন নীতা আম্বানিও। তিনি আম্বানি সাম্রাজ্যে রাণীর মত থাকেন। বলা যেতে পারে ভারত ভূখন্ডের মধ্যে সবচেয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন এই নীতা আম্বানির।

    ইন্টারনেট দুনিয়াতে আলোচনা চলে যে এই নীতা আম্বানি এক কাপ চা খেলে তার দাম হয় প্রায় ৩০ লাখ টাকা। তার কাছে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে দামি ব্যাগ এবং পোশাক। পাশাপাশি বিলাসবহুল গাড়ির অভাব নেই বললেই চলে। তবে সম্প্রতি এক খবর প্রকাশিত হয়েছে যাতে জানা গিয়েছে নিতা আম্বানির নাকি একটি রোবট রয়েছে যে সমস্ত কাজ করে দেয়।

    ঠিক যেন রজনীকান্ত এবং ঐশ্বরিয়ার চিট্টির মত। শোনা যায় নাকি এই রোবটকে যাই আদেশ দেয়া হয় সে অবিকল একজন মানুষের মতো সেই সমস্ত আদেশ পালন করে। এই রোবটের দাম নাকি প্রায় কোটি কোটি টাকা।

    ইন্টারনেট দুনিয়াতে এখন তুমুল আলোচনা চলছে নীতা আম্বানির রোবট নিয়ে। কেউ কেউ বলেছেন এবার তো আর আম্বানি জায়ার কাজকর্মের জন্য লোকজনের দরকার হবে না। রোবটকে নির্দেশ দিলেই কেল্লাফতে। আবার অনেকেই এই রোবটকে সে..6ক্স মেল ডলের সাথে তুলনা করেছেন। সম্প্রতি শোনা যাচ্ছে নাকি এই রোবট আসার পর থেকে নিতা আম্বানি ফিটনেস এর দিকে বিশেষ নজর দিয়েছেন।

  • সোনালী ব্যাংকে ১ লক্ষ টাকা জমা করলেই পাবেন ৩ লক্ষ টাকা

    সোনালী ব্যাংকে ১ লক্ষ টাকা জমা করলেই পাবেন ৩ লক্ষ টাকা

    এবার অভিনব একটি স্কিম নিয়ে এসেছে সোনালী ব্যাং সোনালী ব্যাংকের ট্রিপল বেনিফিট স্কিম দিচ্ছে এই সুবিধাঠিক কীভাবে পাওয়া যাবে এই তিনগুণ মুনাফা সেটা এবার দেখে নেয়া যাক।এই স্কিমে টাকা জমা রাখতে হবে কমপক্ষে ৫০ হাজার বা এর গুণিতক হিসেবে।প্রাপ্য মুনাফার হার থাকবে ৯ শতাংশ (চক্রবৃদ্ধি হারে)।

    পূরন মেয়াদে অর্থাৎ ১২ বছর ৯ মাসে এই স্কিমের টাকার পরিমাণ হবে তিনগুণ। ট্রিপল বেনিফিট স্কীম (TBS) Triple benefit scheme: সময় কাল: মুনাফার হার ৯.০০% (চক্রবৃদ্ধি) ৬ মাস পূর্তিতে ৩.০০% সরল মুনাফা।১ বছর পূর্তিতে ৩.৫০% সরল মুনাফা।২ বছর পূর্তিতে ৪.০০% সরল মুনাফা। ৩ বছর পূর্তিতে ৪.৫০% সরল মুনাফা। ৪ বছর পূর্তিতে ৫.০০% সরল মুনাফা।

    ৫ বছর পূর্তিতে ৫.৫০% সরল মুনাফা।তবে সময়ের সাথে সাথে মুনাফার হারও বাড়তে থাকবে। ৬ বছর পূর্তিতে ৬.০০% সরল মুনাফা। ৭ বছর পূর্তিতে ৬.৫০% সরল মুনাফা। ৮ বছর পূর্তিতে ৭.০০% সরল মুনাফা। ৯ বছর পূর্তিতে ৭.৫০% সরল মুনাফা।১০ বছর পূর্তিতে ৮.০০% সরল মুনাফা।

    ১১ বছর পূর্তিতে ৮.৫০% সরল মুনাফা। ১২ বছর পূর্তিতে ৯.০০% সরল মুনাফা । ১২ বছর ৯ মাস পূর্তিতে ৯.০০% চক্রবৃদ্ধি মুনাফা। এই স্কিমে টাকা রেখে তিনগুণ টাকা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অবশ্য বেশ কিছু শর্তও রয়েছে। সরকারী নিয়মানুসারে উৎসে কর এবং আবগারী শুল্ক আমানতকারীর হিসাব হতে কর্তন করা হবে।অন্যান্য শর্তের মধ্যে রয়েছে, হিসাব খোলার নিয়মাবলী যথাযথভাবে অনুসরণ পূর্বক প্রতিষ্ঠানের নামেও এ হিসাব খোলা যাবে।

    Share

  • সয়াবিন তেলের দাম কমে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন

    সয়াবিন তেলের দাম কমে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন

    তিন বছরের মধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন তেলের দাম সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে। অথচ বাংলাদেশে এই তেল এখনও উচ্চ মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, ডলারের দাম বেড়ে যাওয়া এবং ব্যাংক থেকে যথাসময়ে অর্থ সহায়তা না পাওয়ায় বিশ্ববাজারে দামের পতনের প্রভাব দেশীয় বাজারে আসছে না।

    ক্যাবের (কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) মতে, এটি ব্যবসায়ীদের অজুহাত। তাদের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে ব্যবসায়ীরা প্রতি লিটারে গড়ে অন্তত ১২ টাকা লাভ করছেন, এমনকি সরকার নতুনভাবে প্রতি লিটারে ১৪ টাকা দাম বাড়ানোর অনুমতি দেওয়ার পরও।

    আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম পড়ে গেছে

    বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে প্রতি টন সয়াবিন তেলের দাম ছিল ১,৬৬৭ ডলার, যা ২০২৪ সালে নেমে দাঁড়িয়েছে ১,০২২ ডলারে। পাম অয়েলের ক্ষেত্রেও একই প্রবণতা দেখা গেছে। সয়াবিন বীজের দাম কমেছে সবচেয়ে বেশি—২০২২ সালে ৬৭৫ ডলার থেকে ২০২৪ সালে ৪৬২ ডলার, আর চলতি বছরের শুরুতে তা আরও কমে হয়েছে ৪০৮ ডলার।

    দেশীয় আমদানি ও বাজার পরিস্থিতি

    গত সাড়ে তিন মাসে চট্টগ্রাম বন্দরে ২৩টি জাহাজে প্রায় ৫ লাখ ৩০ হাজার টনের মতো অপরিশোধিত সয়াবিন, পাম অয়েল ও সয়াবিন বীজ এসেছে। এর বেশিরভাগই এসেছে আন্তর্জাতিক বাজারে দামের নিম্নমুখী সময়েই।

    মূল্যবৃদ্ধির পেছনে করনীতি ও বাজার নিয়ন্ত্রণ

    ২০২৫ সালে ভোজ্যতেলের সবচেয়ে বড় আমদানিকারক টি কে গ্রুপের দাবি, ট্যাক্স ও ভ্যাট পুনর্বহালের ফলে দাম বেড়েছে। তবে ক্যাব বলছে, দাম বাড়ানোর সময় ব্যবসায়ীরা অজুহাত খুঁজে পান, আর কমানোর সময় পিছিয়ে যান।

    সরবরাহ সংকট ও বাজার নিয়ন্ত্রণ

    খাতুনগঞ্জের পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আমদানিকারকরা সরবরাহ আদেশ (এসও) হঠাৎ কমিয়ে দেওয়ায় বাজারে তেলের সংকট তৈরি হয়েছে, যার ফলে মূল্য কৃত্রিমভাবে বেশি রাখা সম্ভব হচ্ছে। এ অবস্থার সুযোগ নিয়ে বড় পাঁচটি শিল্পগ্রুপ বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে—মেঘনা, সিটি, টিকে, বাংলাদেশ এডিবল অয়েল ও স্মাইল ফুড প্রোডাক্টস।

    বর্তমানে এই পাঁচ প্রতিষ্ঠানই দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ ভোজ্যতেল আমদানি ও সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করছে। যদিও দেশে ২২টি পরিশোধনাগার রয়েছে, এর মধ্যে মাত্র ৫-৬টি প্রতিষ্ঠানই বাজারের চাহিদার bulk অংশ সরবরাহ করে যাচ্ছে।

  • জরুরী ভাবে তিন বিভাগে বন্যার শঙ্কা

    জরুরী ভাবে তিন বিভাগে বন্যার শঙ্কা

    সারাদেশে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহে নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ মানুষের। এর মধ্যেই কিছুটা স্বস্তির খবর দিয়েছে বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি)।

    তাদের তথ্যমতে, দেশের দিকে দ্রুতগতিতে এগিয়ে আসছে একটি শক্তিশালী মৌসুমি বৃষ্টিবলয়, যার নাম ‘রিমঝিম’। এটি একটি পূর্ণাঙ্গ এবং সক্রিয় বৃষ্টিবলয়, যা দেশের প্রায় সব অঞ্চলে বৃষ্টিপাত ঘটাবে। তবে অতিবৃষ্টির কারণে রংপুর, সিলেট এবং চট্টগ্রাম বিভাগের নিচু এলাকাগুলোতে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।

    রোববার (১৫ জুন) রাতে বিডব্লিউওটি তাদের ফেসবুক পেজে এই তথ্য জানায়। সেখানে বলা হয়, চলতি বছরের এটি ষষ্ঠতম বৃষ্টিবলয় এবং দ্বিতীয় মৌসুমি বৃষ্টিবলয়। ১৬ জুন এটি উপকূলীয় অঞ্চল দিয়ে দেশে প্রবেশ করবে এবং ২৮ জুনের মধ্যে সিলেট ও চট্টগ্রাম হয়ে দেশ ছাড়তে পারে।

    এই বৃষ্টিবলয়ের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে। পাশাপাশি রংপুর, বরিশাল, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগেও থাকবে এর সক্রিয় প্রভাব। অন্যদিকে খুলনা ও রাজশাহী বিভাগে এর প্রভাব তুলনামূলকভাবে কম হবে।

    বিডব্লিউওটি পূর্বাভাসে আরও জানায়, এই সময়ে কালবৈশাখীর সম্ভাবনা না থাকলেও বজ্রপাত কিছুটা হতে পারে। বড় ধরনের ঝড় না দেখা দিলেও উপকূলীয় এলাকায় দমকা হাওয়া বইতে পারে। পাশাপাশি মৌসুমি বায়ুর কারণে সাগর বেশিরভাগ সময়ই উত্তাল থাকতে পারে।

  • জামায়াত‌কে বে‌শি কথা বল‌তে দেওয়ায় সংলাপ থে‌কে বের হয়ে গেল গণ‌ফোরাম-সি‌পি‌বি

    জামায়াত‌কে বে‌শি কথা বল‌তে দেওয়ায় সংলাপ থে‌কে বের হয়ে গেল গণ‌ফোরাম-সি‌পি‌বি

    জামায়াতে ইসলামী‌কে বে‌শি কথা বল‌তে দেওয়ায় জাতীয় ঐকমত্য ক‌মিশ‌নের সংলা‌প থে‌কে ওয়াক আউট ক‌রে বাংলা‌দে‌শের ক‌মিউ‌নিস্ট পা‌টি (সি‌পি‌বি) ও গণ‌ফোরাম। অবশ্য মি‌নিট দ‌শেক পর দলগু‌লো আবার সংলা‌পে ফি‌রে যায়।

    রাজধানীর ফ‌রেন সা‌র্ভিস একা‌ডে‌মি‌তে আজ মঙ্গলবার সকাল সা‌ড়ে ১১টায় ‌দ্বিতীয় দফার সংলাপের তৃতীয় দি‌নের আলোচনা শুরু হয়। মধ্যাহ্ন বির‌তির পর বেলা পৌ‌নে তিনটায় আবার সংলা‌প শুরু হয়। এক ঘণ্টা পর সি‌পিবির সাধারণ সম্পাদক রু‌হিন হো‌সেন প্রিন্স, গণ‌ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বে‌রি‌য়ে আসেন।

    রু‌হিন হো‌সেন প্রিন্স নীচতলায় নে‌মে বলেন, ‘এখানে বৈষম্য হচ্ছে, জামায়েতের তিনজনকে বক্তব্য দেওয়া হয়েছে। আমা‌দের একজন বক্তব্য দি‌তে গে‌লেও বাধাগ্রস্ত করা হ‌চ্ছে। আমরা প্রতিবাদ জানা‌লে, ক‌মিশন তা নোট ক‌রে। তাই আবার সংলা‌পে ফি‌রে যা‌চ্ছি।’

    এর আগে গণ‌ফোরাম সাধারণ সম্পাদক ব‌লেন, ‘ঐকমত্য ক‌মিশন নির‌পেক্ষতা হা‌রি‌য়ে‌ছে। তারা নির‌পেক্ষ না হ‌লে ক‌মিশন সংলা‌পে ফির‌বে না।’

    সি‌পি‌বি এবং গণ‌ফোরাম নেতা‌দের সংলা‌পে ফি‌রি‌য়ে নি‌তে নে‌মে আসেন ঐকমত্য ক‌মিশ‌নের সদস্য ব‌দিউল আলম মজুমদার, প্রধান উপ‌দেষ্টার বি‌শেষ সহকারী ম‌নির হায়দার। ছি‌লেন বিএন‌পির সমমনা দল বাংলা‌দেশ এল‌ডি‌পির মহা‌স‌চিব ও ১২ দলীয় জো‌টের মুখপাত্র শাহদাত হো‌সেন সে‌লিম, জাতীয় দ‌লের চেয়ারম্যান ‌সৈয়দ এহছান হুদা।

    শাহাদাত সে‌লিম ব‌লেন, উনাদের জামায়াত ব‌লে‌ছেন, আপনারা তো ১০ জ‌ন মানু‌ষের প্রতি‌নিধিত্বও ক‌রেন না। আমরা কতজ‌নের প্রতি‌নি‌ধিত্ব ক‌রি। সে‌লিম আরও জানান, তি‌নি ওয়াক আউট ক‌রেন‌নি। সম‌ঝোতা ক‌রে‌ছেন। এরপর দলগু‌লো সংলা‌পে ফি‌রে যায়।

    সূত্র: যুগান্তর পত্রিকা

  • গভীর রাতে গৃহবধূর চিৎকার শুনে ছুটে যায় প্রতিবেশীরা, এরপর যা দেখা গেল

    গভীর রাতে গৃহবধূর চিৎকার শুনে ছুটে যায় প্রতিবেশীরা, এরপর যা দেখা গেল

    বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাতে উপজেলার কলসকাঠী ইউনিয়নের কলসকাঠী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ওই গৃহবধূর নাম আসমা আক্তার (৪০)। তিনি ওই এলাকার আবুল হোসেনের স্ত্রী।

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গভীর রাতে ঘরে হঠাৎ চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় গৃহবধূকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তাকে উদ্ধার করে বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নাহিদ হাসান মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের শরীরে একাধিক কোপের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

    এ বিষয়ে বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, এটি একটি রহস্যজনক হত্যাকাণ্ড। ঘটনার পেছনে পারিবারিক বিরোধ, জমি সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব বা অন্য কোনো কারণ রয়েছে কি না তা তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মরদেহ থানায় নিয়ে যায়।

    ওসি আরও জানান, থানা থেকে মরদেহ বুধবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

  • ৭ কারণে ইরানকে হারানো সম্ভব না

    ৭ কারণে ইরানকে হারানো সম্ভব না

    ইসরায়েল স্বপ্নেও ভাবেনি এত বড় প্রতিরোধের মুখে পড়তে হবে তাকে। রাজধানী তেলআবিবের কিছু এলাকা ইরান এমনভাবে গুঁড়িয়ে দিয়েছে যে, তা দেখে ফিলিস্তিনের গাজা বলে ভুল হতে পারে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তেহরানেরও। এখন প্রশ্ন হলো ইরান-ইসরায়েল ‍কি তাহলে আরও বড় আকারে যুদ্ধে জড়াবে? তাতে কি আমেরিকাও যোগ দেবে? হার মানবে ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান?

    বিশ্লেষকরা অবশ্য বলছেন, ইরানের এমন কিছু শক্তি রয়েছে, যার কারণে দেশটিকে পরাজিত করা প্রায় অসম্ভব। চলুন দেখে নেই এমন অন্তত ৭টি কারণ, যা ইরানকে অজেয় করে রেখেছে।

    ইরানের সব থেকে বড় শক্তি সামরিক অস্ত্র নয়। বরং ভৌগোলিকভাবে পাওয়া একটি সমুদ্র পথ। যার নাম হরমুজ প্রণালি। ইরানের দক্ষিণ সীমান্ত ঘেঁষে এই প্রণালি বিশ্বের অন্যতম কৌশলগত জলপথ। মাত্র ৩৩ কিলোমিটার চওড়া এই জলপথ দিয়েই বিশ্বের প্রায় ২০ শতাংশ তেল পরিবহন হয়। গুরুত্ব বিবেচনায় বিশ্লেষকরা এটিকে পৃথিবীর রক্তনালি বলে অভিহিত করেন। এই প্রণালির আশপাশের সাতটি দ্বীপ ইরানের নিয়ন্ত্রণে, যা সে দেশের অনন্য ভূ-রাজনৈতিক শক্তি। ইতোমধ্যে ইরান এই জলপথ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। এতে আতঙ্কিত পশ্চিমারা।

    তিন মহাদেশের সংযোগস্থল

    ইউরোপ, এশিয়া এবং আফ্রিকা- এই তিন মহাদেশের সংযোগস্থলে ইরানের অবস্থান। এছাড়া দেশটির রয়েছে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ জলসীমা। উত্তরে কাস্পিয়ান সাগর এবং দক্ষিণে পারস্য উপসাগর ও ওমান উপসাগর। এ কারণে বিশ্ব মানচিত্রে টিকে থাকা সবচেয়ে পুরনো রাষ্ট্রগুলোর একটি ইরান। গত ৫০০ বছর ধরে একই সীমান্ত নিয়ে টিকে আছে দেশটি। পৃথিবীর এমন কোনো পরাশক্তি নেই, যারা ইরানকে দখল করতে চায়নি, কিন্তু বারবারই ব্যর্থ হয়েছে।

    ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন

    মুসলিম বিশ্বে ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রে রেঞ্জ বা আওতা সবচেয়ে বেশি- ২ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত। যা কেবল ইসরায়েল নয়, ইউরোপের যে কোনো লক্ষ্যবস্তুতেও আঘাত হানা সম্ভব। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডও স্বীকার করে, পুরো মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের ব্যালিস্টিক মিসাইল ভাণ্ডার সবচেয়ে আধুনিক ও বিস্তৃত। এছাড়া সস্তায় অধিক কার্যকর ড্রোন বানিয়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ইরান। ইউক্রেন যুদ্ধে ইরানি ড্রোন ব্যবহার করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছে পরাশক্তি রাশিয়া।

    পাহাড় আর মরুভূমির দুর্গ

    ইরানের রয়েছে এক অনন্য প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা। পশ্চিম ও দক্ষিণ সীমান্তজুড়ে জাগরোস পর্বতমালা, যা দেশটিকে দুর্গের মতো সুরক্ষা দেয়। এই পাহাড়গুলো এতটাই কঠিন ও দুর্গম যে, হামলার জন্য সেদিকে অগ্রসর হওয়া অসম্ভব। উত্তরেও রয়েছে প্রতিরক্ষামূলক আলবোর্জ পর্বতমালা। অন্যদিকে ইরানের রয়েছে মূল্যবান খনিজ- ইউরেনিয়াম, সোনা, রুপা আর দস্তা। পাহাড় পেরিয়ে কেউ ইরানে ঢুকতে পারলেও সামনে লুত মরুভূমি, যা পৃথিবীর ভয়ানক গরম জায়গাগুলোর একটি। তাই এই অঞ্চল দিয়ে সৈন্য ও রসদ পাঠানো অসম্ভব।

    ভূগর্ভে তেলের রাজ্য

    বিশ্বে তেল ও গ্যাস মজুতের অন্যতম কেন্দ্র ইরান। এখানকার খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস মজুদের পরিমাণ যথাক্রমে বিশ্বের মোট রিজার্ভের ১০ ও ১৫ শতাংশ। এই সম্পদ ইরানকে দেয় অর্থনৈতিক ও কৌশলগত অনন্য সুবিধা। বিশেষ করে তেল বহনকারী পথগুলোতে ইরানের নিয়ন্ত্রণ থাকায় বিশ্ববাজারে বড় প্রভাব ফেলার ক্ষমতা রাখে দেশটি।

    বড় মিত্রদের ছায়া

    যুক্তরাষ্ট্রের চোখরাঙানি উপেক্ষা করে রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে ক্রমাগত ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছে ইরান। ইসরায়েলের সাথে সংঘাতের পর থেকেই এই দুই পরাশক্তির সমর্থন পেয়ে আসছে ইরান। অনেক সময় এমনও দেখা গেছে, ইরানে হামলার হুমকি এলে রুশ গোয়েন্দা বাহিনী সহযোগিতার আশ্বাস দেয়, যা ইসরায়েল ও পশ্চিমাদের জন্য মারাত্মক ভয়ের কারণ।

    সরাসরি নয়, ছায়া যুদ্ধ

    ইরানের আরেকটি বড় শক্তি তার প্রক্সি নেটওয়ার্ক, যেটাকে বলা হয় ‘এক্সিস অব রেজিস্টেন্স’। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ইরান তার সমর্থিত গোষ্ঠীকে সমর্থন দিয়ে থাকে, যেমন- ফিলিস্তিনে হামাস, লেবাননে হিজবুল্লাহ, সিরিয়ায় ফাতেমিয়ুন ব্রিগেড, ইরাকে আল বদর মিলিশিয়া এবং ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহী। এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সরাসরি যুদ্ধে না গিয়েও যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের মতো দেশগুলোর ওপর চাপ তৈরি করতে পারে ইরান।

    পারস্য থেকে আজকের ইরান, হাজার বছরের ইতিহাসে নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে গেলেও দেশটি কারও নিয়ন্ত্রণ মানেনি কখনো। ইতিহাসের সেই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে কি না, তা সময়ই বলে দেবে।

    সূত্র : কালবেলা

  • অবশেষে বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা পুনরায় চালু

    অবশেষে বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা পুনরায় চালু

    অস্ট্রেলিয়া ঢাকায় তাদের ভিসা কার্যক্রম আবার চালু করায় আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অস্ট্রেলিয়ার নবনিযুক্ত হাই কমিশনার সুসান রাইলির সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই বিষয়টি উঠে আসে।

    প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এখন থেকে বাংলাদেশিরা ঢাকায় বসেই অনলাইনে অস্ট্রেলিয়ার ভিসার আবেদন করতে পারবেন।

    হাই কমিশনার রাইলি জানান, বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় ৬৫ হাজারের বেশি বাংলাদেশি বসবাস করছেন, যাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে প্রায় ১৪ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী।

    সাক্ষাৎকালে তারা আরও আলোচনা করেন—

    অন্তর্বর্তী সরকারের চলমান সংস্কার কার্যক্রম,

    আসন্ন জাতীয় নির্বাচন,

    দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রসার এবং

    রোহিঙ্গা সংকটের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে।

    প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমরা এখন একটি রূপান্তরের সময় অতিক্রম করছি। সাংবিধানিক, বিচারিক ও প্রশাসনিক সংস্কার আমাদের মূল লক্ষ্য, যাতে একটি শক্তিশালী ও টেকসই বাংলাদেশ গড়ে তোলা যায়।” তিনি জানান, আগামী মাসে জুলাই অভ্যুত্থানের বার্ষিকীতে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা করা হবে, যা শান্তিপূর্ণ রূপান্তরের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

    নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই নির্বাচনে জনগণ, বিশেষ করে প্রথমবারের মতো ভোট দিতে যাওয়া তরুণরা স্বাধীনভাবে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবে। এটি হবে একটি উৎসবমুখর এবং আশাব্যঞ্জক নির্বাচন।”

    অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে হাই কমিশনার জানান, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (UNDP) মাধ্যমে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ২০ লাখ অস্ট্রেলিয়ান ডলার সহায়তা দেওয়া হবে।

    দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “গত পাঁচ বছরে অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ বাণিজ্য ১৬.২% হারে বেড়ে বর্তমানে ৫ বিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলারে পৌঁছেছে।”

    বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অবদান তুলে ধরে তিনি জানান, এখন পর্যন্ত ‘অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস’ কর্মসূচির আওতায় ৩ হাজারের বেশি বাংলাদেশি অ্যালামনাই গড়ে উঠেছে, যারা দেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

    প্রধান উপদেষ্টা এই প্রসঙ্গে বৃত্তির সংখ্যা আরও বাড়ানোর অনুরোধ জানান।

    রোহিঙ্গা সংকট নিয়েও আলোচনা হয়। প্রধান উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশে অবস্থানরত প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গার জন্য অস্ট্রেলিয়ার মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। জবাবে হাই কমিশনার বলেন, “সম্প্রতি আমরা অতিরিক্ত ৯.৬ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার মানবিক সহায়তা দিয়েছি। ২০১৭ সাল থেকে এই সহায়তার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৫৩.৬ মিলিয়ন ডলার।”

    তিনি আরও আশ্বস্ত করেন, “মিয়ানমারে অনুকূল পরিবেশ তৈরি হলে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, সম্মানজনক ও টেকসই প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের পাশে থাকবে।”

    সাক্ষাতের শেষ পর্যায়ে হাই কমিশনার রাইলি বলেন, “বাংলাদেশে এসে আমি খুবই আনন্দিত। আমি বহুদিন ধরেই বাংলাদেশের প্রাণবন্ত সংস্কৃতি এবং রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের প্রতি গভীর আগ্রহ অনুভব করি।”

    সাক্ষাৎকালে আরও উপস্থিত ছিলেন—

    প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি সমন্বয়কারী লামিয়া মোর্শেদ

    পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় উইংয়ের মহাপরিচালক মোহাম্মদ নূরে আলম।

  • স্বর্ণের দামে বড় পতন, ফিরতে পারে আগের দর

    স্বর্ণের দামে বড় পতন, ফিরতে পারে আগের দর

    দুবাইয়ের স্বর্ণবাজারে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ফের ৩০০ দিরহামের নিচে নামতে পারে, এমন পূর্বাভাস দিলো আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ ব্যাংক সিটি। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ২০২৫ সালের দ্বিতীয়ার্ধ থেকেই বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমার প্রবণতা দেখা দিতে পারে, যা ২০২৬ সালের মধ্যেই আরও জোরালো হবে। খবার গালফ নিউজ

    ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে প্রথমবারের মতো দুবাইয়ে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ৩০০ দিরহাম অতিক্রম করে। এরপর এক পর্যায়ে তা বেড়ে দাঁড়ায় প্রতি গ্রাম ৩৮৩ দিরহামে। বর্তমানে বাজারমূল্য ৩৭৮.৫ দিরহাম, আর ২৪ ক্যারেটের দাম ৪০৮.৭৫ দিরহাম।

    সিটির পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ১২ মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম কমে ২ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার ডলারের মধ্যে নেমে আসতে পারে প্রতি আউন্সে। এর পেছনে যুক্তি হিসেবে তারা দেখিয়েছে, ২০২৫ সালের শেষ দিকে মার্কিন অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে পারে, যার ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে স্বর্ণের প্রতি আগ্রহ কমে যেতে পারে।

    সিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০২৫ ও ২০২৬ সালে স্বর্ণে বিনিয়োগ প্রবণতা কমে যাবে। কারণ মার্কিন নির্বাচন ও অর্থনৈতিক গতি পুনরুদ্ধারের আশা বাজারে নতুন বার্তা দেবে।’

    তবে দুবাইয়ের স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা এই পূর্বাভাসে একমত নন। কানজ জুয়েলার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অনিল ধানক বলেন, ‘আমার বিশ্বাস ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ স্বর্ণের দাম ৩ হাজার ৮০০ ডলার পর্যন্ত যেতে পারে। বাজারে যে অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা রয়েছে, তা স্বর্ণকে আরও মূল্যবান করে তুলবে।’

    বিনিয়োগ বিশ্লেষকরা বলছেন, অনেক ক্রেতা এখন স্বর্ণের ডিজিটাল বিকল্প যেমন গোল্ড অ্যাকাউন্ট, ইটিএফ বা স্বর্ণে বিনিয়োগভিত্তিক অ্যাপের দিকে ঝুঁকছেন। কারণ বর্তমান দাম অনেকের জন্য ভারী হয়ে যাচ্ছে।

    স্বর্ণ বিক্রেতারা বলছেন, যদি দাম ৩০০ দিরহামের নিচে নেমে আসে, তাহলে বাজারে আবারও বড় ধরনের ক্রয়চাপ তৈরি হতে পারে। একজন বিক্রেতা বলেন, ‘স্বর্ণের দাম কমা মানেই সাধারণ মানুষের আবারও বিনিয়োগের সুযোগ, উপহার কেনার সুযোগ।’

    তবে শেষ কথা বলবে বাজার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো যদি স্বর্ণ কেনা বন্ধ করে দেয় বা কমিয়ে আনে, তবেই দামের বড় পতন সম্ভব। আর ততদিন পর্যন্ত ৩০০ দিরহামের নিচে নামার সম্ভাবনা কেবলই জল্পনা।