Blog

  • ২৫০ টাকা আয়ে চারজনের সংসার চালায় কিশোর তোফাজ্জল

    ২৫০ টাকা আয়ে চারজনের সংসার চালায় কিশোর তোফাজ্জল

    একটি ভাঙাচোরা বাইসাইকেলই তার ভরসা। এ সাইকেল চালিয়ে ১৫ কিলোমিটার দূরের খাসিয়াপুঞ্জিতে কাজ করে কিশোর তোফাজ্জল। ১৩ বছর বয়সেই তাকে চারজনের সংসারের হাল ধরতে হয়েছে। প্রতিদিন মাত্র দুই-আড়াইশ টাকা উপার্জনে পরিবারের তিন অসুস্থ সদস্যকে নিয়ে সংসার চালাতে হচ্ছে তোফাজ্জলকে। কমলগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের কাঁঠালকান্দী গ্রামের আলী আহমেদের (৬৫) ছেলে তোফাজ্জল হোসেন।

    মিডিয়ার সঙ্গে আলাপে তোফাজ্জল জানায়, তার পরিবারের তিনজন অসুস্থ। বাবা দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে আক্রান্ত, বোন আয়েশা খাতুন (২৫) মানসিক ভারসাম্যহীন। এছাড়া বয়োবৃদ্ধ দাদি সমিতা বিবিও (৮২) দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী। স্থানীয় খাসিয়াপুঞ্জিতে কাজ করে প্রতিদিন যা রোজগার হয় তাতে দু’বেলা ঠিকমতো খাবার জোটে না তাদের। মাঝেমধ্যে প্রতিবেশীদের সামান্য সহযোগিতাই তাদের একমাত্র ভরসা।

    প্রতিবেশী ফজল মিয়া ও আবু শহীদ জানান, তোফাজ্জলদের পরিবার খুব অসহায় ও মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। পরিবারের তিনজনই অসুস্থ। তাদের সাহায্য করার মতো আত্মীয়স্বজন তেমন কেউ নেই। প্রতিবেশীরা মাঝেমধ্যে তাদের সাহায্য করেন।

    মঙ্গলবার তোফাজ্জলদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সরকারি আবাসন প্রকল্পের ছোট্ট একটি ঘরে মেঝেতে জরাজীর্ণ কাঁথায় শুয়ে আছেন সমিতা বিবি। ঠিকমতো কথা বলতে পারছেন না। পা ভেঙে এক বছর ধরে শয্যাশায়ী।

    বাবা আলী আহমেদ জানালেন, তিনি হার্টের রোগী। দীর্ঘদিন ধরে কোনো কাজকর্ম করতে পারেন না। ছেলে তোফাজ্জলই তাঁর একমাত্র ভরসা। প্রতিদিন তোফাজ্জল খাসিয়াপুঞ্জিতে (খাসিয়া গ্রাম) কাজ করতে যায়। ছেলের সামান্য আয়ে কোনোভাবে সংসার চলে যাচ্ছে। কখনও কখনও দুই বেলা খাবার জোটানোই কঠিন হয়ে পড়ে।

    সমিতা বিবি বলেন, ‘ক্ষুধায় রাতে ঘুম আসে না। ১৩-১৪ বছরের নাতি আর কিইবা করবে। তবু যা করছে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। চাল-ডাল আনলে ওষুধ আনতে পারে না। প্রায়ই অনাহারে থাকতে হয়। মাঝেমধ্যে প্রতিবেশীরা কেউ খাবার দেয়, কেউ সামান্য টাকা-পয়সা দেয়। এইভাবেই টিকে আছি।’

    ইসলামপুর ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য ফারুক আহমেদ বলেন, ‘পরিবারটি এতটাই অসহায় যে, একসময় তাদের মাথাগোঁজার ঠাঁই ছিল না। কয়েক বছর আগে সরকারি আবাসন প্রকল্পের মাধ্যমে এ পরিবারের জন্য একটি ঘরের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’ পরিবারটির অসুস্থদের চিকিৎসা ও তাদের আত্মনির্ভরশীল করতে সরকারি সহায়তার দাবি জানান তিনি।

  • মাটির ২৬২ ফুট নিচে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা, ধ্বংস করা প্রায় অসম্ভব

    মাটির ২৬২ ফুট নিচে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা, ধ্বংস করা প্রায় অসম্ভব

    জাতিসংঘের পরমাণু বিষয়ক সাবেক পরিদর্শক ডেভিড অলব্রাইট বলেছেন, ইরানের ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক স্থাপনা ফর্দো মাটির অন্তত ৮০ মিটার বা ২৬২ ফুট গভীরে, যা ইসরায়েলের পক্ষে ধ্বংস করা প্রায় অসম্ভব।

    সংবাদমাধ্যম বিবিসি রেডিও ফাইভের সাথে এক সাক্ষাৎকারে এ পরমাণু বিজ্ঞানী জানান, ইসরায়েল হয়ত হামলা চালিয়ে ফর্দো পরমাণু কেন্দ্রটি দীর্ঘ সময়ের জন্য অকেজো করে রাখতে পারে। তবে তারা এটি পুরোপুরি ধ্বংস করতে পারবে না। তাদের সেই সক্ষমতা নেই। এই কেন্দ্রটি ধ্বংস করতে লাগবে শক্তিশালী বাঙ্কার বাস্টার বোমা। যেটি শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আছে।

    তিনি বলেন, “এখন যেখানে ইসরায়েল হামলা করছে, আমি বিশ্বাস করি ইসরায়েল ওই স্থাপনা দীর্ঘসময়ের জন্য বন্ধ করাতে পারে। আর যুক্তরাষ্ট্র এটি পুরোপুরি ধ্বংস করতে পারে।”

    ইরানের এই স্থাপনাটি ধ্বংস এখন দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যোগ দেওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

    ইরান তাদের ফর্দো পারমাণবিক স্থাপনাটি তৈরি করেছে দেশটি পরমাণু কর্মসূচির অংশ হিসেবে। যেখানে বেসামরিক কাজে পারমাণবিক কার্যক্রম চালাত তারা।

    পরমাণু বিজ্ঞানী ডেভিড অলব্রাইট বিবিসি ফাইভকে আরও জানিয়েছেন, ইরাকে তাদের কাজের অভিজ্ঞতা আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থার আন্তর্জাতিক পরিদর্শন কার্যক্রমের জন্য সহায়ক হয়েছে। বিশেষ করে গোপন কর্মসূচিগুলো পরিদর্শনের উপায় বের করার ক্ষেত্রে এটি সহায়তা করেছে।

    সূত্র: বিবিসি বাংলা

  • চাচির গোসলের ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল, যুবক আটক

    চাচির গোসলের ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল, যুবক আটক

    বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় চাচির গোপন গোসলের ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগে রিপন মিয়া (৩২) নামের এক যুবককে আটক করেছে সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার রামেন্দ্রপুর ইউনিয়নের চকমল্লা গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। রিপন চকমল্লা গ্রামের ইব্রাহীম আলীর ছেলে। আটকের সময় তার কাছ থেকে একটি বল্লম ও মাদক সেবনের সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।

    সেনাবাহিনী সূত্রে জানা যায়, রিপন মিয়া কয়েক দিন আগে তার চাচির গোসলের দৃশ্য মোবাইল ফোনে গোপনে ধারণ করে। পরে সেই ভিডিওর স্ক্রিনশট দেখিয়ে চাচিকে ব্ল্যাকমেইল করতে থাকে এবং ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।

    ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে সারিয়াকান্দি ক্যাম্পের সেনা কমান্ডার সাব্বিরের নেতৃত্বে চকমল্লা গ্রামে অভিযান চালিয়ে রিপনকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে রিপন ভিডিও ধারণের কথা স্বীকার করেছে। সে জানিয়েছে, পারিবারিক জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সে এই কাজ করেছে।

  • ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কীভাবে ভেদ করছে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র?

    ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কীভাবে ভেদ করছে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র?

    ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার পর দেখা গেছে, বেশ কিছু ইরানি ব্যালিস্টিক মিসাইল ইসরায়েলের শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা (আয়রন ডোম) ব্যবস্থাকে ভেদ করে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। এ হামলায় এখন পর্যন্ত ইসরায়েলে কমপক্ষে ২৪ জন নিহত হয়েছে, শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে এবং দেশজুড়ে হাজার হাজার মানুষকে মাটির নিচে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে হয়েছে।

    ইতিহাসগতভাবে ইসরায়েল তার ‘আয়রন ডোম’ ও ‘অ্যারো-৩’ সিস্টেমের মাধ্যমে শত্রুপক্ষের অধিকাংশ আকাশ হামলা সফলভাবে প্রতিহত করে আসছে। তবে সাম্প্রতিক হামলায় এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ফাঁকফোকর প্রকাশ পেয়েছে।

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইরান এবার যেসব ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে উচ্চগতির হাইপারসনিক প্রযুক্তি, যেমন ফাত্তাহ-১ এবং ফাত্তাহ-২। এসব ক্ষেপণাস্ত্র শব্দের গতির ১৩ গুণ বেশি গতিতে চলতে পারে এবং তারা এমনভাবে দিক পরিবর্তন করতে পারে যে, সেগুলোকে শনাক্ত ও বাধা দেওয়া অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে।

    এছাড়া, ইরান একসাথে শত শত ড্রোন ও প্রায় ৪০০-এর বেশি মিসাইল নিক্ষেপ করেছে, যার ফলে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা একপ্রকার ‘ওভারলোড’ হয়ে পড়ে এবং প্রতিটি হুমকির সঠিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো সম্ভব হয়নি।

    এই ঘটনার মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক প্রযুক্তির ভারসাম্য বদলাতে শুরু করেছে। ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের প্রতিরক্ষা সাফল্যের গল্পে নতুন করে প্রশ্ন উঠে এসেছে। [সূত্র: আল জাজিরা]

  • ভু’ল করে হলেও যেভাবে স্ত্রী’র সাথে স”হবা”স করবেন না

    ভু’ল করে হলেও যেভাবে স্ত্রী’র সাথে স”হবা”স করবেন না

    বলা বাহুল্য যে আল্লাহরই ইচ্ছানুযায়ী মানব বংশ বিস্তার ও তার জন্য দাম্পত্য ও পারিবারিক জীবন যাপনের উদ্দেশ্যে স্বামীকে-স্ত্রীকে বিবাহ বন্ধনে আব’’’দ্ধ হয়ে একটি শান্ত, নিরালা ও সুশৃঙখল পরিবেশের সৃষ্টি করতে হয় এবং এজন্য স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই যথাযথভাবে আপনাপন কর্তব্যসমূহ সাধন করতে হয়।কিন্তু কিছু নিয়ম মানা আমা’দের প্রত্যেকের জন্য কর্তব্য। স”হ”বাসের স্বাভাবিক পন্থা হলো এই যে, স্বামী উপরে থাকবে আর স্ত্রী নিচে থাকবে। প্রত্যেক প্রাণীর ক্ষেত্রেও এই স্বাভাবিক পন্থা পরিলক্ষ’তি হয়। সর্বপরি এ দিকেই অত্যন্ত সুক্ষভাবে ই’’’ঙ্গিত করা হয়েছে আল কুরআনেও।
    আসুন এখন আমর’’’া জেনে নেই সেই নিয়মগু’’’লাঃ ১.স”হ”বাসের প্রথমে দোয়া পড়বেন (স্ত্রী সহ’বাসের দোয়া)। তারপর স্ত্রীকে আলি’’’ঙ্গন করবেন। তখন বিসমিল্লাহ বলে শুরু করবেন।২. সহ’বাস করার সময় নিজের স্ত্রীর রূপ দর্শন শরীর স্পর্শন ও সহ’বাসের সুফলের প্রতি মনো নিবেশ করা ছাড়া অন্য কোনো সুন্দরি স্ত্রী লোকের বা অন্য সুন্দরী বালিকার রুপের কল্পনা করবে না। তার সাথে মি’ল’ন সুখের চিন্তা করবেন না।

    স্ত্রীরও তাই করা উচিৎ। ৩. স্ত্রী যদি ইচ্ছা হয় তখন তাকে ভালোবাসা দিবে এবং আদর সোহাগ দিবে। চুম্বন দিবে। তখন উভয়ের মনের পূর্ণ আশা হবে সহ’বাস।৪. রাত্রি দ্বি-প্রহরের আগে সহ’বাস করবে না।৫. ফলবান গাছের নিচে স্ত্রী স”হ”বাস করবে না।

    ৬. রবিবারে স”হ”বাস করবেন না।৭. চন্দ্র মাসের প্রথম এবং পনের তারিখ রাতে স্ত্রী স”হ”বাস করবেন না।৮. স্ত্রীর হায়েজ-নেফাসের সময় বা উভয়ের অসুখের সময় সহ’বাস করবেন না।৯. বুধবারের রাত্রে স্ত্রীর সহ’বাস করবেন না।

    ১০. জোহরের নামাজের পরে স্ত্রী সহ’বাস করবেন না। ভরা পেটে স্ত্রী স”হ”বাস করবেন না।১১. উল্টাভাবে স্ত্রী স”হ”বাস করবেন না। স্ব”প্নদো”ষের পর গোসল না করে স্ত্রী স”হ”বাস করবেন না। ১২. পূর্ব-পশ্চিম’দিকে শুয়ে স্ত্রী স”হ”বাস করবেন না।

    ১৩. বিদেশ যাওয়ার আগের রাতে স্ত্রী স”হ” বাস করবেন না।১৪. স্ত্রীর জরায়ু দিকে চেয়ে সহ’বাস করবেন না। ইহাতে চোখের জ্যোতি নষ্ট হয়ে যায়।১৫. স”হ”বাসের সময় স্ত্রীর সহিত বেশি কথা বলবেন না এবং নাপাক শরীরে স্ত্রী সহ’বাস কবেন না। উল’’’ঙ্গ হয়ে কাপড় ছাড়া অবস্থায় স্ত্রী স”হ”বাস করবেন না।

  • ভোট যুদ্ধের প্রস্তুতি: বিএনপির গোপন সঙ্গীদের নাম প্রকাশ!

    ভোট যুদ্ধের প্রস্তুতি: বিএনপির গোপন সঙ্গীদের নাম প্রকাশ!

    লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকে নির্বাচনের সন্তোষজনক সময় নির্ধারণের পর জোরেশোরে ভোটের প্রস্তুতি শুরু করেছে বিএনপি। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জটিল সমীকরণে রূপ নিচ্ছে ভোটের রাজনীতি। এদিকে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন স্থগিত হওয়ার পর এখন দৃশ্যপটে নেই দলটি। এজন্য রাজনৈতিক দলগুলোর হিসাব-নিকাশও নতুনভাবে সাজানো হচ্ছে। আগামী ফেব্রুয়ারিকে ধরেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে দলগুলো।

    অন্যদিকে বড় দল বিএনপি ভোটের হিসাবে বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে। মিত্রদের সঙ্গে নির্বাচনি জোট বা সমঝোতা করার সম্ভাবনা বেশি বিএনপির। আবার জামায়াতও ইসলামপন্থি দলগুলো নিয়ে ‘নির্বাচনি ঐক্য’ গঠনের চেষ্টা করছে। তবে মতাদর্শিক দূরত্বের কারণে জামায়াতের সঙ্গে বড় ইসলামি দলগুলোর ঐক্য নিয়ে সংশয় রয়েছে। অন্যদিকে ইসলামী আন্দোলনসহ ৫টি ইসলামি দল অনেকটা সমঝোতার পথে। আবার এবি পার্টির সঙ্গে এনসিপিসহ বেশ কয়েকটি দলের হতে পারে ‘অ্যালায়েন্স’। মতাদর্শিক দূরত্বের কারণে জামায়াতের সঙ্গে বড় ইসলামি দলগুলোর ঐক্য না হলে এনসিপিসহ ইসলামপন্থি কয়েকটি দলের সঙ্গে হতে পারে ‘সমঝোতা’।

    বাম ঘরানার রাজনৈতিক দলের মধ্যেও একটা ঐক্য তৈরি হতে পারে। আবার বিএনপির জোটে এনসিপিকেও দেখা যেতে পারে। জোট বা সমঝোতা নিয়ে পর্দার আড়ালে দলগুলোর নানা তৎপরতা চলছে। নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার পর সবকিছু দৃশ্যমান হবে। এদিকে আগামী নির্বাচনের পর বিরোধী দল কে হবে-তা নিয়েও চলছে নানা আলোচনা। তবে বিরোধী দল হওয়া নিয়ে নাটকীয় কিছু ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশ্লেষক ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এসব তথ্য।

    রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, জামায়াতে ইসলামী এককভাবে বা বিএনপির বাইরে কোনো জোট গঠন করলেও ভোটের মাঠে সেভাবে সুবিধা নাও করতে পারে। সেক্ষেত্রে জামায়াত অধ্যুষিত কয়েকটি এলাকায়ও তাদের প্রার্থীদের জয়ী হতে বেগ পোহাতে হতে পারে। কারণ কিছু আসনে জামায়াতের ভোট বেশি থাকলেও সেখানে যদি বিএনপির ধানের শীষ ও আওয়ামী লীগপন্থি কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়, তাহলে ভোট তিন ভাগে ভাগ হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে জামায়াতের প্রার্থী জয়ী হওয়া কঠিন হবে। তারা মনে করেন, আওয়ামী লীগ যতই ফ্যাসিস্ট হিসাবে চিহ্নিত হোক না কেন, আমাদের দেশে ভোটের রাজনীতি বড়ই বিচিত্র ও কঠিন। মানুষ ভোটের সময় অনেক কিছু মনে রাখে না।

    পর্যবেক্ষকরা আরও মনে করেন, দেশের বিগত নির্বাচনে ভোটের ইতিহাস দেখলে দোদুল্যমান ভোটারদের বেশির ভাগ ভোট পড়েছে ‘ধানের শীষ’ ও ‘নৌকা’ প্রতীকে। যেহেতু আওয়ামী লীগ ভোটের মাঠে নেই, তাই ধারণা করা হচ্ছে এসব ভোট ধানের শীষে যাবে, অথবা আওয়ামী লীগপন্থি কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে সে পাবে। এখানে ইসলামপন্থি দলগুলোর বাক্সে দোদুল্যমান ভোট ততটা যাওয়ার রেকর্ড নেই। কারণ তাদের ভোট অনেকটা ‘ফিক্সড’। সে কারণে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বিরোধী দল নিয়ে নাটকীয় কিছু ঘটতে পারে।

    এছাড়া বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষ সারাক্ষণ রাজনৈতিক চর্চার মধ্যে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে পছন্দ করে। এসব বিবেচনায় তফশিল-পরবর্তী পরিস্থিতি অনুমান করলে এটিই প্রতীয়মান হবে যে, ওই সময় সমাজে আওয়ামী ঘরানার ইমেজসম্পন্ন ব্যক্তিদের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে দাঁড় করানো হতে পারে। বাস্তবে এরাই হবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী। এর ফলে কিছু এলাকায় ভোট রাজনীতির সমীকরণ পালটে যেতে পারে। আর ভোট যেহেতু অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হবে, সেহেতু কম ভোটের ব্যবধানে নাটকীয় জয়-পরাজয় ঘটতে পারে।
    রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ মনে করেন, ‘আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে, নিবন্ধনও স্থগিত। ভোটে অংশ নিতে হলে স্বতন্ত্র অথবা অন্য কোনো দলের প্রতীকেই তো নিতে হবে। তবে আপাতদৃষ্টিতে এখন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি-এ তিন দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে।

    আবার এর মধ্যে দুই দল একসঙ্গে ফ্রন্ট করতে পারে। আর তারেক রহমান তো আগেই বলেছেন জনগণের ভোটে রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে যুক্ত সব দলকে নিয়ে সরকার গঠন করবে।’বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন যুগান্তরকে বলেন, বিএনপির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো যুগপৎ আন্দোলন করেছে। আমরা বলেছি, জনগণের ভোটে সরকার গঠন করতে পারলে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে থাকা দলগুলো নিয়ে ‘জাতীয় সরকার’ করব। এখনো নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করা হয়নি। সাধারণত তফশিলের পর জোট বা নির্বাচনি সমঝোতা-যাই বলা হোক না কেন, তা হয়ে থাকে। সব দলের সঙ্গে বিএনপির সুসম্পর্ক আছে। তবে এখনো এ নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক কিছু হয়নি।

    জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় মিডিয়া ও প্রচার বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের যুগান্তরকে বলেন, ইসলামি দলগুলোর সঙ্গে জোট গঠনের বিষয়টি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। আলাপ-আলোচনা চলছে, কীভাবে কী করা যায়। অনেকে প্রার্থী ঠিক করেনি, নির্বাচনটা ঠিক কীভাবে হবে-অনেকগুলো বিষয় আছে। ঐকমত্য কমিশনের ‘জুলাই সনদ’ ফাইনাল হলেই তখন এর অগ্রগতি বোঝা যাবে। সময় গেলে তা আরও স্পষ্ট হবে।জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির সদস্য সচিব আক্তার হোসেন যুগান্তরকে বলেন, এনসিপি এখনো নিজেদের স্বাতন্ত্র রক্ষা করে কাজ করে চলছে। নির্বাচনের জোট হবে কী হবে না তা নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হয়নি। যদি বাস্তব পরিস্থিতি তৈরি হয় এবং জাতীয় স্বার্থে প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে দলীয় আদর্শ ও কর্মসূচি মিলের কথাগুলোকে বিবেচনায় রেখে জোটের সম্ভাবনাকে আমরা একেবারেই নাকচ করি না। তবে এখনো জোটের বিষয়ে এনসিপি কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি।

    ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও দলের মুখপাত্র গাজী আতাউর রহমান যুগান্তরকে বলেন, ‘আমরা যে পথে অগ্রসর হচ্ছি তা হলো আগামী নির্বাচনে ইসলামপন্থি ভোট যাতে বিভক্ত না হয়। জোট নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। সমঝোতা-সমন্বয়টাও কীভাবে হবে-তা হয়তো আরও পরে প্রকাশ পাবে। অর্থাৎ দৃশ্যমান হবে যৌক্তিক সময়ে। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ যুগান্তরকে বলেন, সব ইসলামি দল এবং ইসলামি মত ও পথ যারা ইসলামের নামে কাজ করে সবাইকে আমরা ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করছি। আগামী ২৫ জুন ৫টি রাজনৈতিক দল-ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, বাংলাদেশ খেলাফত মসলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি ও খেলাফত মজলিসের বৈঠক হবে। এর আগেও আমরা বৈঠক করেছি। আগামী বৈঠকে আমরা একক প্রার্থী ঠিক করার কৌশল নির্ধারণ করব। এছাড়া আরও যারা বাইরে আছে তাদের সঙ্গেও ধারাবাহিকভাবে মতবিনিময় করব, পরামর্শ নেব। তারা কীভাবে জোটকে দেখতে চায়-এসব পরামর্শ নেওয়ার পর জোট ঘোষণা হবে।

    নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে ততই নানা মেরুকরণ দেখা যাবে। বিগত নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, ‘ওয়ানম্যান শো’-এমন অর্ধশতাধিক রাজনৈতিক দলও আছে, যাদের ভোটের আগে তৎপরতা বাড়বে। কোনো কোনো রাজনৈতিক দল জোট ভারী করতে তাদেরও সঙ্গে রাখতে পারে। তবে বাস্তবতা হচ্ছে ওইসব দলের তেমন কোনো ভোট নেই। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি বিগত দিনে যেসব মিত্রদের নিয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে, তাদের নিয়ে জোট করতে পারে। এ জোটে মুহাম্মাদ মামুনুল হকের বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসসহ কয়েকটি ইসলামপন্থি দলও থাকতে পারে।

    এর কারণ হিসাবে বিএনপির একাধিক নেতা যুগান্তরকে বলেন, মুহাম্মাদ মামুনুল হকের পরিবারের সঙ্গে জিয়া পরিবারের খুবই সুসম্পর্ক। তার বাবা প্রয়াত শাইখুল হাদীস আল্লামা আজিজুল হক বিএনপি নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোটে ছিলেন। সেক্ষেত্রে সাত-আটটি ছাড়া বাকি ইসলামপন্থি দলগুলো একটি জোট করার চেষ্টা করতে পারে। তবে সেখানেও আকিদাগত কিছু সমস্যা রয়েছে।
    ইসলামপন্থি একটি রাজনৈতিক দলের এক শীর্ষ নেতা যুগান্তরকে বলেন, জামায়াতের সঙ্গে অন্য কোনো ইসলামি দলের এখন পর্যন্ত কার্যত কোনো জোট হয়নি। এর কারণ সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদুদীর প্রতিষ্ঠা করা জামায়াতের সঙ্গে অন্যদের আকিদাগত মতপার্থক্য আছে, যা ইসলামী আন্দোলন ও কওমিভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোর মতাদর্শের বিপরীত। তারপরও রাজনীতিতে শেষ বলে কিছু নেই। নানা মেরুকরণ ভোটের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত চলতে থাকবে। শেষ মুহূর্তে এমনও হতে পারে, বিএনপির সঙ্গে এনসিপিও থাকতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের কোনো জোট গঠনের সম্ভাবনা নেই।

    এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, মনে হচ্ছে বিএনপির নেতৃত্বে একটা জোট হবেই। পাশাপাশি এবার সমমনা ইসলামি দল পৃথক জোট করবে। আবার যারা কর্তৃত্ববাদবিরোধী বামদল তাদেরও একটা জোট থাকবে। আরেকটা সমীকরণ হতে পারে। সেটি হলো বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যারা যুক্ত ছিল তাদের সঙ্গে পুরাতন কিছু দল মিলে জোট হবে। ইসলামি দলগুলোর সঙ্গেও জামায়াত থাকতে পারে। আবার এনসিপির সঙ্গেও জামায়াত থাকতে পারে। যদি এনসিপির সঙ্গে জামায়াত থাকে তাহলে ইসলামি দলগুলো একসঙ্গে হয়ে যেতে পারে।

    তখন আবার জোটের সংখ্যা কমে যাবে। এমনও হতে পারে জামায়াত, এনসিপি এবং ইসলামি দলগুলো মিলে একটা জোট করে ফেলতে পারে। তবে বিদ্যমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের পাল্লা যে ভারী হবে সেটি নিশ্চিত বলা যায়।

    সূত্র: যুগান্তর

  • চাহিদা মেটাতে কোটি টাকা দিয়ে ডল কিনলেন নীতা আম্বানি, আরও যা করেন

    চাহিদা মেটাতে কোটি টাকা দিয়ে ডল কিনলেন নীতা আম্বানি, আরও যা করেন

    ভারত তথা বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি মুকেশ আম্বানির নামটা কোনোদিন শোনেননি এমন মানুষের সংখ্যা হয়তো হাতে গোনা যাবে। রিলায়েন্স গোষ্ঠীর মালিক মুকেশ আম্বানি সম্পদের নিরিখে গত কয়েকদশক ধরে ধনীতম মর্যাদা পেয়েছেন। পাশাপাশি মুকেশ আম্বানি জায়া নীতা আম্বানির পরিচিতিও রয়েছে দেশজুড়ে।

    ‘রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন’, ‘ধীরুভাই আম্বানি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের’ প্রতিষ্ঠাতা এবং রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক তিনি। সম্প্রতি প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী মুকেশ আম্বানির বর্তমান সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৮২.৯ বিলিয়ন।

    ২০ বছর বয়সে ১৯৮৫ সালে মুকেশ আম্বানির সাথে বিয়ে হয়েছিল নীতার। তারপর থেকেই বদলে গিয়েছে নীতা আম্বানির জীবনযাত্রা। আম্বানি পরিবারের কথা উঠলেই সবার কল্পনাতেই আসে বিলাসবহুল বাড়ি গাড়ি ও লাক্সারি জীবনযাপন।

    নীতা আম্বানির বাড়ির প্রায় সবকিছুই সোনায় মোড়া। মুকেশ আম্বানির পাশাপাশি ব্যাপক বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন নীতা আম্বানিও। তিনি আম্বানি সাম্রাজ্যে রাণীর মত থাকেন। বলা যেতে পারে ভারত ভূখন্ডের মধ্যে সবচেয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন এই নীতা আম্বানির।

    ইন্টারনেট দুনিয়াতে আলোচনা চলে যে এই নীতা আম্বানি এক কাপ চা খেলে তার দাম হয় প্রায় ৩০ লাখ টাকা। তার কাছে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে দামি ব্যাগ এবং পোশাক। পাশাপাশি বিলাসবহুল গাড়ির অভাব নেই বললেই চলে। তবে সম্প্রতি এক খবর প্রকাশিত হয়েছে যাতে জানা গিয়েছে নিতা আম্বানির নাকি একটি রোবট রয়েছে যে সমস্ত কাজ করে দেয়।

    ঠিক যেন রজনীকান্ত এবং ঐশ্বরিয়ার চিট্টির মত। শোনা যায় নাকি এই রোবটকে যাই আদেশ দেয়া হয় সে অবিকল একজন মানুষের মতো সেই সমস্ত আদেশ পালন করে। এই রোবটের দাম নাকি প্রায় কোটি কোটি টাকা।

    ইন্টারনেট দুনিয়াতে এখন তুমুল আলোচনা চলছে নীতা আম্বানির রোবট নিয়ে। কেউ কেউ বলেছেন এবার তো আর আম্বানি জায়ার কাজকর্মের জন্য লোকজনের দরকার হবে না। রোবটকে নির্দেশ দিলেই কেল্লাফতে। আবার অনেকেই এই রোবটকে সে..6ক্স মেল ডলের সাথে তুলনা করেছেন। সম্প্রতি শোনা যাচ্ছে নাকি এই রোবট আসার পর থেকে নিতা আম্বানি ফিটনেস এর দিকে বিশেষ নজর দিয়েছেন।

  • সোনালী ব্যাংকে ১ লক্ষ টাকা জমা করলেই পাবেন ৩ লক্ষ টাকা

    সোনালী ব্যাংকে ১ লক্ষ টাকা জমা করলেই পাবেন ৩ লক্ষ টাকা

    এবার অভিনব একটি স্কিম নিয়ে এসেছে সোনালী ব্যাং সোনালী ব্যাংকের ট্রিপল বেনিফিট স্কিম দিচ্ছে এই সুবিধাঠিক কীভাবে পাওয়া যাবে এই তিনগুণ মুনাফা সেটা এবার দেখে নেয়া যাক।এই স্কিমে টাকা জমা রাখতে হবে কমপক্ষে ৫০ হাজার বা এর গুণিতক হিসেবে।প্রাপ্য মুনাফার হার থাকবে ৯ শতাংশ (চক্রবৃদ্ধি হারে)।

    পূরন মেয়াদে অর্থাৎ ১২ বছর ৯ মাসে এই স্কিমের টাকার পরিমাণ হবে তিনগুণ। ট্রিপল বেনিফিট স্কীম (TBS) Triple benefit scheme: সময় কাল: মুনাফার হার ৯.০০% (চক্রবৃদ্ধি) ৬ মাস পূর্তিতে ৩.০০% সরল মুনাফা।১ বছর পূর্তিতে ৩.৫০% সরল মুনাফা।২ বছর পূর্তিতে ৪.০০% সরল মুনাফা। ৩ বছর পূর্তিতে ৪.৫০% সরল মুনাফা। ৪ বছর পূর্তিতে ৫.০০% সরল মুনাফা।

    ৫ বছর পূর্তিতে ৫.৫০% সরল মুনাফা।তবে সময়ের সাথে সাথে মুনাফার হারও বাড়তে থাকবে। ৬ বছর পূর্তিতে ৬.০০% সরল মুনাফা। ৭ বছর পূর্তিতে ৬.৫০% সরল মুনাফা। ৮ বছর পূর্তিতে ৭.০০% সরল মুনাফা। ৯ বছর পূর্তিতে ৭.৫০% সরল মুনাফা।১০ বছর পূর্তিতে ৮.০০% সরল মুনাফা।

    ১১ বছর পূর্তিতে ৮.৫০% সরল মুনাফা। ১২ বছর পূর্তিতে ৯.০০% সরল মুনাফা । ১২ বছর ৯ মাস পূর্তিতে ৯.০০% চক্রবৃদ্ধি মুনাফা। এই স্কিমে টাকা রেখে তিনগুণ টাকা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অবশ্য বেশ কিছু শর্তও রয়েছে। সরকারী নিয়মানুসারে উৎসে কর এবং আবগারী শুল্ক আমানতকারীর হিসাব হতে কর্তন করা হবে।অন্যান্য শর্তের মধ্যে রয়েছে, হিসাব খোলার নিয়মাবলী যথাযথভাবে অনুসরণ পূর্বক প্রতিষ্ঠানের নামেও এ হিসাব খোলা যাবে।

    Share

  • সয়াবিন তেলের দাম কমে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন

    সয়াবিন তেলের দাম কমে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন

    তিন বছরের মধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন তেলের দাম সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে। অথচ বাংলাদেশে এই তেল এখনও উচ্চ মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, ডলারের দাম বেড়ে যাওয়া এবং ব্যাংক থেকে যথাসময়ে অর্থ সহায়তা না পাওয়ায় বিশ্ববাজারে দামের পতনের প্রভাব দেশীয় বাজারে আসছে না।

    ক্যাবের (কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) মতে, এটি ব্যবসায়ীদের অজুহাত। তাদের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে ব্যবসায়ীরা প্রতি লিটারে গড়ে অন্তত ১২ টাকা লাভ করছেন, এমনকি সরকার নতুনভাবে প্রতি লিটারে ১৪ টাকা দাম বাড়ানোর অনুমতি দেওয়ার পরও।

    আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম পড়ে গেছে

    বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে প্রতি টন সয়াবিন তেলের দাম ছিল ১,৬৬৭ ডলার, যা ২০২৪ সালে নেমে দাঁড়িয়েছে ১,০২২ ডলারে। পাম অয়েলের ক্ষেত্রেও একই প্রবণতা দেখা গেছে। সয়াবিন বীজের দাম কমেছে সবচেয়ে বেশি—২০২২ সালে ৬৭৫ ডলার থেকে ২০২৪ সালে ৪৬২ ডলার, আর চলতি বছরের শুরুতে তা আরও কমে হয়েছে ৪০৮ ডলার।

    দেশীয় আমদানি ও বাজার পরিস্থিতি

    গত সাড়ে তিন মাসে চট্টগ্রাম বন্দরে ২৩টি জাহাজে প্রায় ৫ লাখ ৩০ হাজার টনের মতো অপরিশোধিত সয়াবিন, পাম অয়েল ও সয়াবিন বীজ এসেছে। এর বেশিরভাগই এসেছে আন্তর্জাতিক বাজারে দামের নিম্নমুখী সময়েই।

    মূল্যবৃদ্ধির পেছনে করনীতি ও বাজার নিয়ন্ত্রণ

    ২০২৫ সালে ভোজ্যতেলের সবচেয়ে বড় আমদানিকারক টি কে গ্রুপের দাবি, ট্যাক্স ও ভ্যাট পুনর্বহালের ফলে দাম বেড়েছে। তবে ক্যাব বলছে, দাম বাড়ানোর সময় ব্যবসায়ীরা অজুহাত খুঁজে পান, আর কমানোর সময় পিছিয়ে যান।

    সরবরাহ সংকট ও বাজার নিয়ন্ত্রণ

    খাতুনগঞ্জের পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আমদানিকারকরা সরবরাহ আদেশ (এসও) হঠাৎ কমিয়ে দেওয়ায় বাজারে তেলের সংকট তৈরি হয়েছে, যার ফলে মূল্য কৃত্রিমভাবে বেশি রাখা সম্ভব হচ্ছে। এ অবস্থার সুযোগ নিয়ে বড় পাঁচটি শিল্পগ্রুপ বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে—মেঘনা, সিটি, টিকে, বাংলাদেশ এডিবল অয়েল ও স্মাইল ফুড প্রোডাক্টস।

    বর্তমানে এই পাঁচ প্রতিষ্ঠানই দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ ভোজ্যতেল আমদানি ও সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করছে। যদিও দেশে ২২টি পরিশোধনাগার রয়েছে, এর মধ্যে মাত্র ৫-৬টি প্রতিষ্ঠানই বাজারের চাহিদার bulk অংশ সরবরাহ করে যাচ্ছে।

  • জরুরী ভাবে তিন বিভাগে বন্যার শঙ্কা

    জরুরী ভাবে তিন বিভাগে বন্যার শঙ্কা

    সারাদেশে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহে নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ মানুষের। এর মধ্যেই কিছুটা স্বস্তির খবর দিয়েছে বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি)।

    তাদের তথ্যমতে, দেশের দিকে দ্রুতগতিতে এগিয়ে আসছে একটি শক্তিশালী মৌসুমি বৃষ্টিবলয়, যার নাম ‘রিমঝিম’। এটি একটি পূর্ণাঙ্গ এবং সক্রিয় বৃষ্টিবলয়, যা দেশের প্রায় সব অঞ্চলে বৃষ্টিপাত ঘটাবে। তবে অতিবৃষ্টির কারণে রংপুর, সিলেট এবং চট্টগ্রাম বিভাগের নিচু এলাকাগুলোতে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।

    রোববার (১৫ জুন) রাতে বিডব্লিউওটি তাদের ফেসবুক পেজে এই তথ্য জানায়। সেখানে বলা হয়, চলতি বছরের এটি ষষ্ঠতম বৃষ্টিবলয় এবং দ্বিতীয় মৌসুমি বৃষ্টিবলয়। ১৬ জুন এটি উপকূলীয় অঞ্চল দিয়ে দেশে প্রবেশ করবে এবং ২৮ জুনের মধ্যে সিলেট ও চট্টগ্রাম হয়ে দেশ ছাড়তে পারে।

    এই বৃষ্টিবলয়ের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে। পাশাপাশি রংপুর, বরিশাল, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগেও থাকবে এর সক্রিয় প্রভাব। অন্যদিকে খুলনা ও রাজশাহী বিভাগে এর প্রভাব তুলনামূলকভাবে কম হবে।

    বিডব্লিউওটি পূর্বাভাসে আরও জানায়, এই সময়ে কালবৈশাখীর সম্ভাবনা না থাকলেও বজ্রপাত কিছুটা হতে পারে। বড় ধরনের ঝড় না দেখা দিলেও উপকূলীয় এলাকায় দমকা হাওয়া বইতে পারে। পাশাপাশি মৌসুমি বায়ুর কারণে সাগর বেশিরভাগ সময়ই উত্তাল থাকতে পারে।