Blog

  • ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান দিবসের সরকারি ছুটি আসছে

    ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান দিবসের সরকারি ছুটি আসছে

    আগামী ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষ্যে সরকারি ছুটি ঘোষণা আসছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্ব উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বৈঠক শেষে সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী সাংবাদিকদের জানান, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষ্যে ৫ আগস্ট ছুটি ঘোষণা করা হবে। এটা এই বছর থেকে প্রতিবছর পালিত হবে।

    ফারুকী আরও জানান, আজকের বৈঠক জুলাই নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে কি কি কাজ করতে পারি তার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ চলছে। ৫ আগস্টকে টার্গেট করে ১ জুলাই থেকে কর্মসূচি শুরু হবে। মূল ইভেন্ট শুরু হবে জুলাইয়ে ১৪ তারিখ থেকে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত । তার মূল লক্ষ্য হচ্ছে জুলাই যেভাবে সারা বাংলাদেশ এক হয়েছিল, তার অনুভূতিটাকে আবার ফিরিয়ে আনা। সেটা আমাদের মধ্যে আছে, তারপর পুনরুজ্জীবিত করা।

    জুলাইয়ে কি কি কর্মসূচি থাকবে তা আগামী সোমবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে ঘোষণা করা হবে বলেও জানান ফারুকী।

  • ১৭ বার ছুরিকাঘাত করে তার শ্বশুর-শ্যালক, নেপথ্যে যা জানা গেল

    ১৭ বার ছুরিকাঘাত করে তার শ্বশুর-শ্যালক, নেপথ্যে যা জানা গেল

    পারিবারিক কলহের জেরে মো. হানিফ ও নুরজাহান আক্তার আঁখি দম্পতি আলাদা থাকতেন। কিন্তু তাদের একমাত্র সন্তানকে দেখতে বারবার শ্বশুরবাড়ি যেতেন হানিফ। তা মেনে নিতে পারেননি শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এর জেরে তাকে খুন করা হয়। গত ১৫ জুন ভোরে চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার মাঝের ঘোনা গলাচিপা কাঁচা রাস্তার মোড়ে ওই ঘটনা ঘটে।

    বুধবার (১৮ জুন) বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমের সামনে আনে পুলিশ। এ ঘটনায় হানিফের স্ত্রী, শ্বশুর, শাশুড়ি, শ্যালক ও এক যুবককে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

    গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন- হানিফের শ্বশুর খোরশেদ মোল্লা, শ্যালক আরিফ মোল্লা, তার বন্ধু দেলোয়ার হোসেন বাবু, হানিফের স্ত্রী নুরজাহার আক্তার আঁখি ও শাশুড়ি রহিমা বেগম।

    পুলিশ সূত্র জানায়, ২০১৮ সালে হানিফ ও আঁখির বিয়ে হয়। পারিবারিক কলহের জেরে বাবার বাড়িতে চলে যান আঁখি। হানিফ বিভিন্ন সময় মেয়েকে দেখতে শ্বশুরবাড়িতে যেতেন। বিষয়টি শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেনে নিতে পারতেন না। এর জেরে তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদও হয়। তবুও হানিফ মেয়েকে দেখতে যাওয়া বন্ধ করেননি।

    হানিফের বাবা জামাল মিয়ার অভিযোগ, গত ১৫ জুন রাত তিনটার দিকে মেয়ের অসুস্থতার কথা বলে ডেকে নিয়ে যান শ্বশুর খোরশেদ। সেখানে গেলে শ্বশুরসহ অন্য আসামিরা মিলে তাকে ছুরিকাঘাত করে। প্রাণ বাঁচাতে হানিফ পালানোর চেষ্টা করে। তাকে ধাওয়া দিয়ে ধরে উপর্যপুরি ছুরিকাঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে তারা পালিয়ে যায়।

    তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বায়েজিদ বোস্তামী থানার এসআই কাজী আবিদ হোসেন জানান, ঘটনার দিন হানিফ নিজ থেকে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন। তার শ্বশুরবাড়ি টিলা এলাকায়। ভোর রাতে সেখানে গিয়ে ডাকাডাকি করায় শ্বশুর ছুরি নিয়ে বের হন। এ সময় তিনি মোবাইলে ভিডিও করতে থাকেন। একপর্যায়ে রেগে গিয়ে শ্বশুরকে ধাক্কা দেন হানিফ। এ সময় ছুরি বের করে হানিফকে ছুরিকাঘাত করেন খোরশেদ। হানিফ দৌড়ে পালানোর সময় তাকে ধাওয়া করে খোরশেদ, আরিফ ও বাবু ছুরিকাঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে তারা পালিয়ে যায়।

    খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে লাশ উদ্ধার করে। বাসা থেকে স্ত্রী ও শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে অভিযান চালিয়ে নগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে খোরশেদ, আরিফ ও বাবুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুইটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদনে ১৭টি আঘাতের চিহ্ন পেয়েছে পুলিশ।

  • ইরানের পক্ষে সংঘাতে জড়ানোর বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করলো পারমাণবিক শক্তিধর দেশ

    ইরানের পক্ষে সংঘাতে জড়ানোর বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করলো পারমাণবিক শক্তিধর দেশ

    ইসরায়েল-ইরান সংঘাতে কোনো পক্ষ নেবে না পারমাণবিক শক্তিধর দেশ পাকিস্তান। দেশটির এই সংঘাতে জড়ানোর কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। আরব নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানিয়েছেন।

    খাজা আসিফ বলেন, গত ১৩ জুন ইরানে ইসরায়েলের অপারেশন রাইজিং লায়ন শুরুর পর ইসলামাবাদ ও তেহরানের মধ্যে নতুন কোনো সামরিক সহযোগিতা হয়নি। এ ছাড়া ইরান-ইসরায়েল চলমান সংকট নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও তাদের কোনো আলাপ হয়নি।

    আসিফ জানান, ‘পাকিস্তান ও ইরানের মধ্যে সীমান্ত-সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা সহযোগিতা নিয়মিতই চলে, বিশেষ করে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান নিয়ে। তবে ইসরায়েলের হামলার পর নতুন করে কোনো যৌথ সামরিক কর্মকাণ্ড শুরু হয়নি।’

    প্রতিবেশী ইরান যখন ইসরায়েলকে পাল্টা হামলায় জবাব দিচ্ছে, তখন এই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন পুরো অঞ্চল। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, সরাসরি সংঘাতে রূপ নিলে এই যুদ্ধ শুধু ইরান-ইসরায়েল সীমিত থাকবে না, বরং ছড়িয়ে পড়বে গোটা অঞ্চলে।

    খাজা আসিফ বলেন, সংঘাত শুরুর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের এই সংকট নিয়ে নির্দিষ্ট কোনো আলোচনা না হলেও ‘আমরা সব সময়ই ওয়াশিংটনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।’ তার কথায়, ‘শান্তির পক্ষে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছি আমরা। কীভাবে এই সংঘাতের ছড়িয়ে পড়া রোধ করা যায় তা নিয়ে চীন, মুসলিম বিশ্ব এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সঙ্গে আমরা আলোচনা করছি।’

    ইসরায়েলের হামলার পর পাকিস্তান পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর কাছে যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে খাজা আসিফ সরাসরি কিছু বলেননি। তবে জোর দিয়ে বলেন, ‘আমাদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে কঠোরভাবে সুরক্ষিত। ভারতের সঙ্গে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সংঘর্ষের পর থেকেই আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছি।’

  • ১৮ জেলায় ঝড় হতে পারে

    ১৮ জেলায় ঝড় হতে পারে

    ঢাকাসহ ১৮ অঞ্চলে দুপুরের মধ্যে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর

    বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    এতে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালি, নোয়াখালি, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের উপর দিয়ে দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিমি বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

    এদিকে, বুধবার রাতে পাঁচদিন সারাদেশে টানা বৃষ্টির আভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এই সময়ের মধ্যে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

  • সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিলো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

    সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিলো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

    সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ বাতিলের দাবিতে সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন আন্দোলনরত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী নেতারা। এই সময়ের মধ্যে দাবি আদায় না হলে রোববার থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে ব্লকেড কর্মসূচি পালন করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

    এদিকে অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে টানা পঞ্চম দিনের মতো বৃহস্পতিবারও বিক্ষোভ করছেন সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

    বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সচিবালয়ের ৪ নম্বর ভবনের সামনে সমবেত হন তারা। এক পর্যায়ে তারা বসে পড়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন৷

    আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরাম। সংগঠনটির কো–চেয়ারম্যান মো. বাদিউল কবির ও মো. নুরুল ইসলাম, কো–মহাসচিব নজরুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতারা বিক্ষোভে অংশ নেন।

    প্রসঙ্গত, ঈদের ছুটির পর সোমবার ফের আন্দোলনে নামেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা। চার ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধু কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করা যাবে—এমন বিধান রেখে ২৫ মে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করা হয়।

    এর আগে ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অধ্যাদেশটির খসড়া অনুমোদন হয়।

    ২৪ মে থেকেই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আইনটি প্রত্যাহারের দাবিতে সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংগঠনগুলো সম্মিলিতভাবে আন্দোলন করে আসছেন। তারা এই অধ্যাদেশটিকে নিবর্তনমূলক ও কালো আইন হিসাবে অবহিত করছেন।

  • শত্রুদের জন্য চীনের ভয়ংকর ‘পাখি ড্রোন’

    শত্রুদের জন্য চীনের ভয়ংকর ‘পাখি ড্রোন’

    অবাক মনে দেখছেন আকাশে উড়ছে এক ঝাঁক পাখি। হয়তো কাক বা মাছরাঙা। তবে ভালোভাবে দেখলেই বুঝবেন যে, এগুলো পাখির ঝাঁক না। এগুলো আসলে যন্ত্র। ডানা খুব নিখুঁতভাবে ঝাপটাচ্ছে তারা, চলাফেরায় অস্বাভাবিক রকমের শৃঙ্খলা, নেই কোনো কিচিরমিচির শব্দ।

    হুবহু পাখির মতো এগুলো আসলে ড্রোন। নীরবে করবে নজরদারি, আঘাত হানবে নিঃশব্দে। তবু টের পাবে না কেউ। ৯০ গ্রামের ম্যাগপাই ড্রোন থেকে শুরু করে বিশাল ঈগল আকৃতির সশস্ত্র ড্রোন- চীনে সবই তৈরি হয়েছে গোপনে যুদ্ধ চালানোর জন্য।

    প্রকৃতির অনুকরণে আধুনিক ড্রোন

    নজরদারির জন্য আগে যেসব ড্রোন ব্যবহার করা হতো, তা শব্দ করে উড়ত। তবে এখনকার পাখি-আকৃতির এ নতুন ড্রোনগুলো যেন একেবারে প্রকৃতিরই অংশ। এগুলো ডানা মেলে উড়ে, ঘুরে বেড়ায় আবার বিশ্রাম নিতেও বসে কোথাও। সবই জীবন্ত পাখির মতো।

    এ ড্রোনগুলো তৈরি করা হয়ে থাকে বিভিন্ন পাখির আকৃতিতে। যেমন- ম্যাগপাই, গাংচিল, বাজপাখি ইত্যাদি। শহরে ছোট পাখির মতো আর প্রাকৃতিক এলাকায় বড় পাখির মতো ব্যবহার করা হয় এসব ড্রোনকে।

    ডানাগুলো পাখির পাখার মতো ঝাপটালেও এতে তেমন শব্দ হয় না। রাডারও বুঝতে পারে না এটা ড্রোন। এগুলোর শরীর হালকা রাবারের মতো পদার্থে দিয়ে তৈরি, তাই নমনীয় হলেও মজবুত। ছোট ম্যাগপাই ড্রোনগুলোতে আছে ক্যামেরা। ঈগল-আকৃতির ড্রোন দুই মিটার পর্যন্ত ডানা মেলে উড়তে পারে এবং বোমাও বহন করতে পারে।

    যুদ্ধক্ষেত্রে পাখি ড্রোনের বিস্তার

    এ প্রযুক্তি আবিষ্কারের প্রাথমিক পর্যায়ে এগুলো শুধু নজরদারির কাজে ব্যবহার হতো। তবে এখন এগুলো শত্রুদের আক্রমণের কাজেও ব্যবহার করা হয়। ছোট ম্যাগপাই ড্রোনগুলো শহরের ভেতরে গোপনে তথ্য সংগ্রহ করে বেড়ায়। একাধিক ড্রোন একসঙ্গে কাজ করায় শত্রুদের নজরদারিতেও পড়ে না।

    অন্যদিকে বড় ঈগল-আকৃতির ড্রোনগুলো ৪০ মিনিট পর্যন্ত টানা উড়তে পারে, যেতে পারে ৮ কিলোমিটার দূর। এগুলোতে ছোট মিসাইলও বসানো যায়। এ ছাড়া আছে হামিংবার্ড নামের ড্রোন, যার ওজন ১০ কেজি এবং এটি ৭ কেজি ওজনের বিস্ফোরক নিয়ে আক্রমণ করতে পারে সহজেই। যে কোনো সৈনিক এ ড্রোন নিজে বহন করতে পারে এবং নিজেই ব্যবহার করতে পারে।

    ড্রোনের ফলে পাল্টাচ্ছে যুদ্ধের ধরন

    এখন আর শুধু যুদ্ধবিমান বা হেলিকপ্টার নয়, ছোট-বড় পাখির মতো ড্রোন দিয়েও নিয়ন্ত্রণ নেওয়া হচ্ছে আকাশের। একসঙ্গে অনেক ড্রোন ছেড়ে একযোগে নজরদারি, লক্ষ্যবস্তু চিহ্নিতকরণ এবং আক্রমণ চালানোও সম্ভব হচ্ছে।

    এ পদ্ধতিতে শত্রু বুঝে ওঠার আগেই আক্রমণ করে ফেলা যায় সহজেই। ম্যাগপাই ড্রোনগুলো একত্রে উড়ে শহরের অলিগলি পর্যবেক্ষণ করে বেড়ায়। এমনকি শত্রুর রাডারকেও করে বিভ্রান্ত। বড় ড্রোনগুলোও একইভাবে ব্যবহার করা যায় প্রয়োজনমতো। ফলে ছোট এ সেনাদলগুলো নিজেরাই আকাশে আক্রমণ চালাতে পারে উচ্চ কমান্ডের সাহায্য ছাড়াই, নিজে নিজেই।

    এ প্রযুক্তি বিশেষ করে কাজে লাগে সেসব এলাকায়, যেখানে জিপিএস সিগন্যাল বন্ধ থাকে বা যুদ্ধবিমান পাঠানো ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে হয়। এগুলো আধা-স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে, তাই সিগন্যাল না থাকলেও চলতে পারে।

    প্রতিরোধ আর নৈতিকতার প্রশ্ন

    চীন শুধু ড্রোন বানাচ্ছে না; বরং এগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থাও তৈরি করছে। কে-২৫ নামের স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবস্থা ছোট ড্রোন চিনে ফেলতে পারে এবং ২০০ মিটার দূর থেকে তা লক্ষ্য করে গুলি করতে পারে। এতে ৯০ শতাংশ সফলতার হারও দেখা গেছে।

    তবে ড্রোনগুলো দেখতে পাখির মতো হওয়ায়, এগুলোকে শনাক্ত করা কঠিন। রাডার, ক্যামেরা, এমনকি তাপমাত্রা শনাক্ত করতে পারা যন্ত্রও এগুলো নিয়ে বিভ্রান্ত হতে পারে। এতে নিরাপত্তা ও নৈতিকতার প্রশ্ন আসে সহজেই। সাধারণ মানুষ জানে না বা বুঝতেও পারেন না, তারা কখন-কোথা থেকে নজরদারিতে আছে। একটি পাখি যে আসলে ড্রোন হতে পারে- এই ভাবনাই সাধারণ মানুষের মনে আতঙ্ক ছড়াতে যথেষ্ট।

    আন্তর্জাতিক আইন এখনো এমন প্রযুক্তির জন্য তৈরি নয়। ফলে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে এগুলো ছড়িয়ে পড়লে বিপদ আরও বাড়তে পারে। এক সময় হয়তো অন্য দেশ বা সন্ত্রাসীরা এমন ড্রোন বানিয়ে ভুল কাজেও ব্যবহার করতে পারে। এ প্রযুক্তিগুলোকে দ্রুত আইনের আওতায় না আনা গেলে এ ধরনের বিপদ আরও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

    এমন বাস্তবতায় মানুষের মধ্যে মানসিক অস্থিরতা বাড়তে পারে। বিশেষ করে যেসব দেশে রাজনৈতিক দমন-পীড়ন বেশি, সেখানে এ প্রযুক্তি দিয়ে মানুষকে আরও বেশি আতঙ্কিত করা সম্ভব।

    এটা শুধু প্রযুক্তির প্রশ্ন না, এটা নৈতিকতার প্রশ্ন। ড্রোন যদি প্রকৃতির সঙ্গে মিলে যায়, তবে যুদ্ধও আর যুদ্ধের মতো দেখা যায় না। আর তাই এটি নিয়ে সবার আলোচনা ও চিন্তা করা জরুরি।

    পাখির মতো দেখতে ড্রোন শুধু প্রযুক্তির উন্নয়ন না, বরং এটা একটি নতুন যুগের সূচনা। যেখানে যুদ্ধ আর খোলা আকাশে নয়, আকাশে থাকা নিরীহ পাখি থেকেও আসতে পারে বিপদ।

  • ডাচ বাংলা ব্যাংকে ১ লক্ষ টাকা জমা রাখলে মাসিক মুনাফা কত? জেনে নিন

    ডাচ বাংলা ব্যাংকে ১ লক্ষ টাকা জমা রাখলে মাসিক মুনাফা কত? জেনে নিন

    বর্তমানে সঞ্চয়কারীদের জন্য ব্যাংক থেকে ভালো মুনাফা পাওয়া অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য। ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড তাদের মেয়াদী আমানতের (Fixed Deposit) ওপর আকর্ষণীয় মুনাফার হার ঘোষণা করেছে।

    চলুন জেনে নিই ১ লক্ষ টাকা জমা রাখলে মাসিক কত টাকা মুনাফা পাওয়া যাবে।

    ডাচ বাংলা ব্যাংকের মেয়াদী আমানত স্কিম:
    ডাচ বাংলা ব্যাংকের ফিক্সড ডিপোজিট স্কিমে সর্বনিম্ন আমানতের মেয়াদ ৩ মাস এবং সর্বোচ্চ ৩ বছর। তিনটি মেয়াদভিত্তিক মুনাফার হার নিচের মতোঃ

    ৩ মাসের জন্য: ৭.০০% বার্ষিক

    ৬ মাসের জন্য: ৭.১০% বার্ষিক

    ১ থেকে ৩ বছরের জন্য: ৭.২০% বার্ষিক

    ১ লক্ষ টাকার মুনাফা কেমন?
    ধরা যাক আপনি ৩ মাসের জন্য ১ লক্ষ টাকা জমা রাখলেন। ৭% হারে ১ বছরে মুনাফা হবে ৭,০০০ টাকা।
    ৩ মাসের জন্য সেই হার হবে (৭,০০০ × ৩/১২) = ১,৭৫০ টাকা।

    এখানে থেকে উৎস কর হিসেবে ১৫% কাটা হবে যদি আপনার টিন সার্টিফিকেট না থাকে। অর্থাৎ ১,৭৫০ টাকা × ১৫% = ২৬৩ টাকা কর কর্তন হবে।
    অতএব, হাতে পাবেন ১,৭৫০ – ২৬৩ = ১,৪৮৮ টাকা।

    ৬ মাসের জন্য ৭.১০% হারে ১ লক্ষ টাকার মুনাফা হবে:
    ৭,১০০ × ৬/১২ = ৩,৫৫০ টাকা (বছরের অর্ধেকের জন্য)। কর কাটা হলে হাতে আসবে প্রায় ৩,০১৮ টাকা।

    ১ বছরের জন্য ৭.২০% হারে মুনাফা হবে ৭,২০০ টাকা। কর কাটা হলে হাতে আসবে ৬,১২০ টাকা।

    একাউন্ট খোলার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
    ভোটার আইডি কার্ড, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স অথবা জন্ম নিবন্ধনের কোন একটি।

    গ্রাহকের দুই কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।

    নমিনির কাগজপত্র (ভোটার আইডি, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স অথবা জন্ম নিবন্ধন) ও দুই কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।

    জন্ম নিবন্ধন অবশ্যই ডিজিটাল ও অনলাইনে নিশ্চিতকৃত হতে হবে।

    জন্ম নিবন্ধন না থাকলে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ/ওয়ার্ড কাউন্সিলের মাধ্যমে সত্যায়িত করে ব্যাংকে জমা দিতে হবে।

    ডাচ বাংলা ব্যাংকের ফিক্সড ডিপোজিট স্কিমে ১ লক্ষ টাকা জমা রাখলে ৩ মাস থেকে শুরু করে ৩ বছর পর্যন্ত ভাল মুনাফা পাওয়া সম্ভব। কর কাটা বাদ দিয়ে যদি হিসাব করা হয়, তবে মাসিক গড়ে ১,৪৮৮ টাকা থেকে শুরু করে বছরের শেষে ৬,১২০ টাকা পর্যন্ত মুনাফা পাওয়া যায়।

    সঞ্চয়কারীরা অবশ্যই তাদের টিন সার্টিফিকেট ব্যাংকে জমা দিয়ে কর কর্তন কমানোর সুযোগ নিতে পারেন।

  • ইরানে হামলায় এবার ইসরায়েলের সাথে যোগ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

    ইরানে হামলায় এবার ইসরায়েলের সাথে যোগ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

    ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের এক সপ্তাহ পূর্ণ হতে চললো আজ; তবে উত্তেজনা কমার কোনোরকম লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না এখনও। এরই মধ্যে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৬৩৯ জন নিহত হয়েছেন ইরানে; আহত হয়েছেন এক হাজার ৩২০ জনের বেশি। হতাহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।

    এই যখন অবস্থা, তখন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একইসঙ্গে নেতানিয়াহুকে বলেছেন ইরানে যেন এভাবেই হামলা চালিয়ে যান তিনি।

    বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মিডল ইস্ট আই।

    মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরানে ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর থেকেই নেতানিয়াহুর প্রতি নিজের অনুরাগ জাহির করে যাচ্ছেন ট্রাম্প। বুধবার (১৮ জুন) হোয়াইট হাউজের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, নেতানিয়াহু একজন ভালো মানুষ, যিনি ভালো কাজ করে যাচ্ছেন; কিন্তু নিজের দেশে প্রাপ্য সম্মান পাচ্ছেন না।

    ট্রাম্প এ-ও বলেছেন যে নেতানিয়াহুকে কল করে তিনি বলেছেন যেন এভাবেই কাজ চালিয়ে যান তিনি (নেতানিয়াহু)।

    ফোনালাপকালে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে এমন সমর্থন পেয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল।

    এদিকে ট্রাম্পের প্রশাসনও আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ইরানে হামলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ নিউজ। এরই মধ্যে ইরানে মার্কিন হামলার পরিকল্পনায় চূড়ান্ত অনুমোদনও দিয়ে ফেলেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

    ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি সপ্তাহান্তেই ইরানে সম্ভব্য হামলার বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট মার্কিন কর্মকর্তারা। তবে, পুরো বিষয়টি এখনও বিবেচনাধীন আছে এবং পরিস্থিতি যাচাই করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

  • ইলিশের দাম কমেছে কেজিতে ৭০০ টাকা, নেপথ্যে যে কারণ

    ইলিশের দাম কমেছে কেজিতে ৭০০ টাকা, নেপথ্যে যে কারণ

    ইলিশের মূল্য নির্ধারণের জন্য মঙ্গলবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সচিবের কাছে চিঠি দিয়েছেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন। আর এ চিঠির খবর শুনে চাঁদপুর মাছঘাটে ইলিশের দাম কেজিপ্রতি কমেছে সাতশ টাকা।

    এ চিত্র মঙ্গলবার ও বুধবার চাদঁপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের। একদিন আগেও ১ কেজি সাইজের মাছের কেজিপ্রতি দাম ছিল ২৭০০-২৮০০ টাকা।

    জেলা প্রশাসক বলেছেন, কক্সবাজার, ভোলা, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ইলিশের দামের তুলনায় চাঁদপুরে ইলিশের দাম ২-৩ গুণ বেশি।

    চিঠিতে জেলা প্রশাসক উল্লেখ করেন, প্রাচীনকাল থেকেই চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনা নদীর ইলিশ অত্যন্ত সুস্বাদু এবং মানের দিক থেকেও অতুলনীয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৭ সালে বাংলাদেশের প্রথম জেলা ব্র্যান্ডিং হিসেবে চাঁদপুরকে ‘ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর’ হিসেবে সরকার স্বীকৃতি দেয়। ইলিশের এ স্বাদের সুযোগ নিয়ে চাঁদপুর ও আশপাশের জেলার কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী ও আড়তদার নিজের ইচ্ছেমতো দাম হাঁকাচ্ছেন, যা ক্রেতার নাগালের বাইরে। এমনকি চাঁদপুরের স্থায়ী বাসিন্দাদেরও অভিযোগ ইলিশের চড়া মূল্যের কারণে ইলিশ তাদের ক্রয়সীমার বাইরে চলে যাচ্ছে।

    চিঠিতে তিনি আরও উল্লেখ করেন, যেহেতু ইলিশ চাঁদপুরসহ অন্যান্য জেলাতেও ধরা পড়ে, সেহেতু জেলা প্রশাসন ইলিশের মূল্য নির্ধারণের উদ্যোগ নিলে এর ফলপ্রসূ প্রভাব পড়বে না।

    উল্লেখ্য, চাঁদপুরের পাশাপাশি বরিশাল, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, ঝালকাঠিসহ অনেক সাগর তীরবর্তী জেলায় ইলিশ ধরা পড়ে থাকে। নদী বা সাগরে ইলিশ উৎপাদনে জেলেদের কোনো উৎপাদন খরচ না থাকলেও ধৃত ইলিশের দাম অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। যেহেতু ইলিশ প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদন হয় সেহেতু ইলিশ আহরণ ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক ব্যয়ের প্রতি লক্ষ্য রেখে ইলিশের মূল্য নির্ধারণ প্রয়োজন। এমতাবস্থায়, জাতীয় মাছ ইলিশের মূল্য নির্ধারণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্যে বিনীত অনুরোধ করা হলো।

    জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, অনেকই দাবি করেন চাঁদপুর ও আশপাশের জেলার কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী ও আড়তদার নিজের ইচ্ছেমতো দাম হাঁকাচ্ছেন; যা একেবারেই ক্রেতার নাগালের বাহিরে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই ইলিশের মূল্য নির্ধারণ করা প্রয়োজন। তাই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে। আশা করি তারা বিষয়টি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

    এ বিষয়ে চাঁদপুরের মাছ ব্যবসায়ী বণিক সমিতির সভাপতি আব্দুল বারী জমাদার মানিক বলেন, এমন কিছু হলে চাঁদপুরের ব্যবসায়ীরা আর এ ব্যবসা করবেন না।

    তিনি বলেন, বর্তমানে মাছ ধরতে গিয়ে যে পরিমাণ টাকা খরচ হয়, জেলেরা সেই পরিমাণ মাছ পায় না। চাহিদার চেয়ে জোগান কম হওয়ায় দেশের অন্যান্য জায়গা থেকে চাঁদপুরে ইলিশের দাম একটু বেশি হয়।

    তিনি আরও বলেন, একদিন আগে ১ কেজি সাইজের মাছের কেজিপ্রতি দাম ছিল ২৭০০-২৮০০ টাকা। মঙ্গলবার ও বুধবার মাছের আমদানি একটু বেশি হওয়ায় কেজিপ্রতি ৬-৭ শ টাকা কমে এখন ২২০০-২৩০০ টাকা হয়েছে। বাজারে আরও বেশি মাছ এলে দাম আরও কমে আসবে বলে জানান তিনি।

    মাছ ব্যবসায়ী বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শবেবরাত বলেন, বাস্তবতা চিন্তা না করে ইলিশের দাম নির্ধারণ করা হলে এক সময় এখানে ইলিশ আসা বন্ধ হয়ে যাবে।

  • প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতি যে আহ্বান জানাল ইরান

    প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতি যে আহ্বান জানাল ইরান

    ইরানের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী প্রতিবেশী দেশগুলোকে তাদের সীমান্ত এলাকা থেকে ইরানে যেকোনো ধরনের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তাসনিম সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। খবর আল জাজিরা

    সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর প্রধান বলেন, ‘আমরা আশা করি প্রতিবেশী দেশগুলো তাদের দায়িত্ব বুঝবে এবং তাদের ভূখণ্ড ব্যবহার করে কেউ যেন ইরানে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সে ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নেবে।’

    তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ইরানের সীমান্তে কঠোর নজরদারি চালানো হচ্ছে। সীমান্ত পুলিশ, সেনাবাহিনী ও ইসলামি রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) একসঙ্গে মিলে সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।

    সম্প্রতি ইসরায়েল দাবি করে, ইরানের ভেতরে চালানো ড্রোন ও গাড়িবোমা হামলা পরিচালিত হয়েছে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের মাধ্যমে, যারা ইরানের অভ্যন্তরে থেকেই এসব অপারেশন করেছে। এ ঘটনায় ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী আরও বেশি সতর্ক হয়ে সীমান্ত নজরদারি জোরদার করেছে বলে জানানো হয়েছে।