Blog

  • ৩ নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে মামলা করবে বিএনপি

    ৩ নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে মামলা করবে বিএনপি

    দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য কমিশনারদের নামে মামলা করবে বিএনপি।

    আগামীকাল রোববার (২২ জুন) সকালে শেরে বাংলা নগর থানায় মামলাটি করবেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। এ সময় তার সঙ্গে বিএনপির তিন সদস্য উপস্থিত থাকবেন।

    শনিবার (২১ জুন) বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি বলেন, বিগত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য কমিশনারদের বিরুদ্ধে মামলা করবে বিএনপি। সকাল ১০টা নির্বাচন কমিশন অফিসে কপি জমা দিয়ে তারপর শেরেবাংলা থানা মামলার আবেদন করা হবে।

    এর আগে সোমবার (১৬ জুন) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে বিতর্কিত তিন জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে জড়িত সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিবদের ভূমিকা তদন্তে অবিলম্বে একটি কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

    সূত্র: কালবেলা

  • ছোট কয়েকটি কৌশলে কমিয়ে নিন বিদ্যুৎ বিল

    ছোট কয়েকটি কৌশলে কমিয়ে নিন বিদ্যুৎ বিল

    দিন দিন বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা। শীতের সময় বিলের পরিমাণ একটু কম হলেও বছরের বাকি সময়টা বিদ্যুতের বিল যেন লাগামছাড়া হয়ে যায়। মূল্যবৃদ্ধির এ বাজারে যদি বিদ্যুতের বিলও বেড়ে যায়, তাহলে খরচ সামলানো মুশকিল হয়ে পড়ে। শুধু বিদ্যুতের বিল বাঁচাতে হবে এমন নয়, বিদ্যুৎ সংরক্ষণ করতে হবে। সেক্ষেত্রে ছোট ছোট কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখলেই এই বিল নিয়ন্ত্রণে আনা যেতে পারে।

    বিদ্যুৎ খরচ কমাতে জেনে নিন কয়েকটি কৌশল—

    মোবাইল চার্জার থেকে খোলার পর অবশ্যই সুইচ বন্ধ করতে হবে। বেশিরভাগ সময় এসি রিমোট দিয়ে বন্ধ করার পর সুইচ বন্ধ করি না। এতেও কিছুটা অতিরিক্ত ইউনিট পোড়ে।

    যতটা পারবেন প্রাকৃতিক আলো ব্যবহার করবেন। সেজন্য ঘরে জানালা একটু বড় রাখতে হয়। দক্ষিণের জানালা দিয়ে সবচেয়ে বেশি আলো পাওয়া যায় বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

    ব্যবহার করুন সিএফএল বা এলইডি লাইট। এসব লাইটের আলোয় ফিলামেন্টের তুলনায় সার্কিট ব্যবহার হওয়ায় বিদ্যুতের খরচ কমে। যে কোনও বৈদ্যুতিক যন্ত্র কেনার সময় স্টার রেটিংয়ে ভরসা রাখুন।

    কোনও যন্ত্রের স্টার রেটিং বেশি হলে তার ইউনিট বাঁচানোর ক্ষমতাও ততোধিক। পুরনো তার, পুরনো যন্ত্র ব্যবহারে বিদ্যুৎ বিল বাড়ে। তাই দশ-পনেরো বছরের পুরনো যন্ত্র বা তার ব্যবহার না। আধুনিক যন্ত্র ব্যবহার করুন।

    অনেক ডিভাইস স্ট্যান্ডবাই মোডে থাকা সত্ত্বেও কিংবা বন্ধ করলেও বিদ্যুৎ খরচ করতে থাকে। তাই ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী ও ডিভাইস যখন অব্যবহৃত থাকে, তখন সেগুলোর প্লাগ খুলে রাখা উচিত।

    ঘন ঘন এসি চালু ও বন্ধ করবেন না। চালিয়ে কিছুক্ষণ পর বন্ধ করাই নিয়ম। রোদ পড়ে এমন জায়গায় এসির আউটলেট রাখবেন না। অনেকে মাথার ওপরে একটি শেড করে দেন। এটিও ভুল ধারণা। এসি মেশিন রোদ-বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচাতে ঢেকে রাখলে তাতে মেশিন খারাপ হয় তাড়াতাড়ি।

    এসির তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রির নীচে নামাবেন না। তাতে বেশি ইউনিট খরচ হয়। দিনে এক ঘণ্টা করে বন্ধ রাখুন ফ্রিজ। যন্ত্রও বিশ্রাম পাবে, বিদ্যুৎও বাঁচবে। নিয়ম করে সব যন্ত্রেরই সার্ভিসিং করান সময় মতো। এতে যন্ত্র ভালো থাকে ও কম বিদ্যুৎ টানে।

  • জানেন রড-সিমেন্টের দাম কমে কত হলো?

    জানেন রড-সিমেন্টের দাম কমে কত হলো?

    অবকাঠামো তথা নির্মাণ খাতের কার্যক্রমে ধীরগতির কারণে রড–সিমেন্টসহ বিভিন্ন উপকরণের চাহিদা কমে গেছে। ফলে দেশের বাজারে এসব পণ্যের উৎপাদন ও দাম—দুটিই কমেছে। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, রডের দাম গত এক বছরে প্রায় ১২ শতাংশ কমেছে। ব্যবসায়ী ও উৎপাদকেরা বলছেন, নির্মাণ খাতের প্রধান উপকরণ রডের দাম গত বছর লাখ টাকা ছাড়িয়েছিল। এই বছরের আগস্টে সরকারের পটপরিবর্তনে পরপর অবকাঠামো খাতে ধীরগতি দেখা দেয়। তাতে কারখানার উৎপাদন অর্ধেকে নামিয়ে আনতে বাধ্য হন উদ্যোক্তারা। রডের মতো চাহিদা কমছে নির্মাণের আরেক বড় উপকরণ সিমেন্টের। তাতে অবশ্য সিমেন্টের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। উদ্যোক্তাদের দাবি, রড ও সিমেন্ট এখন যে দামে বিক্রি হচ্ছে, তার চেয়ে আর কমার সুযোগ নেই। কারণ, নতুন করে ডলারের বিনিময় মূল্য বেড়ে যাওয়ায় এবং বাড়তি সুদহারের কারণে উৎপাদন খরচ আরেক দফা বাড়বে। উদ্যোক্তারা বলছেন, দেশের নির্মাণ খাতে গত কয়েক বছরে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল মূলত সরকারি প্রকল্পের ওপর ভর করে। নির্মাণসামগ্রীর মোট চাহিদার অন্তত ৬০ শতাংশ বিক্রি হতো সরকারি খাতে। কিন্তু দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বড় উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কাজে ধীরগতি দেখা দেয়। চলমান প্রকল্পগুলোতে স্থবিরতা শুরু হয়। এটিই চাহিদা কমার সবচেয়ে বড় কারণ।

    ইস্পাত খাতের শীর্ষ উদ্যোক্তারা অবশ্য বলছেন, মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে এসে এখন চাহিদা সামান্য বেড়েছে। মূলত ব্যক্তি খাতের উন্নয়ন প্রকল্পের ওপর ভর করে এই চাহিদা বেড়েছে। তবে সব মিলিয়ে নির্মাণ খাতের জন্য এই মৌসুম ভালো যাচ্ছে না। জানতে চাইলে বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসএমএ) সভাপতি ও জিপিএইচ ইস্পাতের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নির্মাণ উপকরণের চাহিদা সবচেয়ে বেশি কমেছে সরকারি ও আবাসন কোম্পানিগুলোর প্রকল্পে। ব্যক্তি খাতে চাহিদা সেভাবে প্রভাব পড়েনি। তবে বছরের শেষ দিকে এখন চাহিদা সামান্য বাড়লেও তা প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম। রডের বাজারে বিএসআরএম, আবুল খায়ের, জিপিএইচ ও কেএসআরএম—এই চার কোম্পানির অংশীদারি সবচেয়ে বেশি। দেশের বাজারে চারটি কোম্পানির প্রতি টন রড বিক্রি হয় প্রায় ৮০ হাজার ৫০০ থেকে ৮৫ হাজার টাকায়। এক সপ্তাহে টনপ্রতি এক হাজার টাকা বেড়ে এই দরে উন্নীত হয়েছে। এটি অবশ্য গত কয়েক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর বাইরে ঢাকার আনোয়ার ইস্পাত, চট্টগ্রামের মোস্তফা হাকিম গ্রুপের এইচঅ্যান্ডএম স্টিল, গোল্ডেন ইস্পাতসহ বিভিন্ন কোম্পানির রডের দামও গত কয়েক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন দামে বিক্রি হচ্ছে।

    শীর্ষস্থানীয় রড উৎপাদনকারী কোম্পানি বিএসআরএম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) তপন সেনগুপ্ত প্রথম আলোকে বলেন, বাজারে এখন উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে রড বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে উৎপাদন খরচ বেড়ে চলেছে। যেমন ডলারের দর ১২২ টাকা থেকে বেড়ে ১২৬–১২৭ টাকায় উন্নীত হয়েছে। আবার সুদের হারও বেড়েছে। সব মিলিয়ে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় রডের দাম আর কমার সুযোগ নেই। চাহিদা কমায় রডের কাঁচামালের আমদানিতে প্রবৃদ্ধি কমতে শুরু করেছে। প্রতিবছর অক্টোবর থেকে নির্মাণ মৌসুম শুরু হয়, যা চলে মার্চ–এপ্রিল পর্যন্ত। এ সময়কে বিবেচনায় রেখেই সাধারণত উদ্যোক্তারা কাঁচামাল আমদানি বাড়িয়ে দেন। কিন্তু এবার নির্মাণ মৌসুম শুরু হওয়ার পর চাহিদা পতনের কারণে এখন আমদানি ঋণপত্র (এলসি) খোলার হার কমছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আমদানির তথ্যে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই–সেপ্টেম্বর) রডের কাঁচামাল আমদানিতে প্রবৃদ্ধি ছিল ১৪ শতাংশ। এরপর প্রবৃদ্ধি কমে যায়।রডের মতো সিমেন্টের কাঁচামাল আমদানিও কমেছে। গত অর্থবছরে প্রথম পাঁচ মাসে সিমেন্টের কাঁচামাল আমদানি হয় প্রায় ৮১ লাখ টন। চলতি অর্থবছরে একই সময়ে আমদানি হয়েছে প্রায় ৭৪ লাখ টন। সে হিসাবে এক বছরে সিমেন্টের কাঁচামাল আমদানি কমেছে ৯ শতাংশ। জানতে চাইলে প্রিমিয়ার সিমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আমিরুল হক বলেন, ‘চাহিদা কমায় সিমেন্টের কাঁচামালের আমদানি কমছে। আমাদের ধারণা, সিমেন্টের চাহিদা কমার এই হার ১৫ শতাংশ হবে।’

  • ট্রাম্পের কূটনীতিতে ভারত কি বেকায়দায় ?

    ট্রাম্পের কূটনীতিতে ভারত কি বেকায়দায় ?

    এই প্রথমবার পাকিস্তানের সেনাপ্রধানকে হোয়াইট হাউসে সাদরে আমন্ত্রণ জানিয়ে মধ্যাহ্নভোজসহ তার সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করলেন কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নয়, বরং সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ট্রাম্প। তার ভরপুর প্রশংসাও করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

    এই ঘটনার পর বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কূটনীতি কি ভারতকে বিপাকে ফেলেছে?

    সেই বৈঠকের আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দাবি খণ্ডন করে ট্রাম্প বলেছেন, আমি পাকিস্তানকে ভালোবাসি। আমি মনে করি, মোদি দারুণ একজন মানুষ। গতরাতে আমি তার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছি। আমরা মোদি বা ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করতে চলেছি। আমিই পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে যুদ্ধ থামিয়েছি। এই মানুষটি (আসিম মুনির) সংঘাত থামানোর ক্ষেত্রে পাকিস্তানের দিক থেকে খুবই প্রভাবশালী, মোদি এবং অন্যরা যেমন ছিলেন ভারতের দিক থেকে। দুই দেশই পরমাণু-শক্তিধর দেশ। আমিই তাদের থামিয়েছি। এর জন্য আমি কোনো গল্প বানাইনি।

    এর আগে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিস্রি দাবি করেছিলেন, ট্রাম্পকে ফোনে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন, পাকিস্তানের তরফে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়, তারপর আলোচনা ও সংঘর্ষবিরতি হয়। ভারত পাকিস্তান ও কাশ্মীর নিয়ে তৃতীয় কোনো পক্ষের মধ্যস্থতা মানেনি, মানবেও না।

    প্রথমে ভারতের ওপর শুল্ক বসানো এবং শুল্ক কমানো নিয়ে ভারতের ওপর প্রবল চাপ তৈরি করা, তারপর বারবার এই দাবি করা হয়, ভারত-পাকিস্তান সংঘাত তিনিই থামিয়েছেন এবং শেষে পাকিস্তানের সেনাপ্রধানকে আমন্ত্রণ করে আলোচনা করেছেন ট্রাম্প। তারপর স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠেছে, বন্ধু ট্রাম্পকে নিয়েও কি মনোভাব বদল করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি? ট্রাম্পের কূটনীতি কি ভারতকে বিপাকে ফেলেছে? ট্রাম্পের কূটনীতির মোকাবিলায় ভারতকেও কি কৌশল বদল করতে হবে?

    ট্রাম্প জানেন পাকিস্তানে সেনাপ্রধানই আসল

    ভারতের অবসরপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান লেফটোন্যান্ট জেনারেল উৎপল ভট্টাচার্য ডয়চে ভেলে’কে বলেছেন, পাকিস্তানের সেনাপ্রধানকে আমন্ত্রণ জানানোটা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের কাছে সবচেয়ে অপমানজনক। ট্রাম্প চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন, ভারতের বস যেমন প্রধানমন্ত্রী, পাকিস্তানের বস তেমনি সেনাপ্রধান। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী সেখানে সেকেন্ড ইন কম্যান্ড। সে জন্য ট্রাম্প মুনিরের সঙ্গে আলোচনা করেছেন, তাকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এই বিষয়টি নিয়ে ভারতে এত সোরগোলের কোনো প্রয়োজন নেই।

    সিন্ধু জলচুক্তি বাতিল কতটা প্রভাব ফেলবে পাকিস্তানে?

    তিনি মনে করেন, ট্রাম্প-মুনির আলোচনায় ভারত নয়, গুরুত্ব পেয়েছে ইরান’ উৎপল ভট্টাচার্য বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ভারত মহাসাগরে পাঁচ হাজার সেনা ও ৬০টি যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে। তারা নিজেদের শক্তি ও ক্ষমতা দেখাচ্ছে। তারা দেখাচ্ছে, তাদের পিছনে সমর্থন আছে। পাকিস্তানের মতো মুসলিম দেশও তাদের সমর্থন করছে। আর এক্ষেত্রে পাকিস্তানের ভূ-রাজনৈতিক অপরিসীম গুরুত্ব আছে।

    স্ট্র্যাটেজিক অ্যাফেয়ার্স বিশেষজ্ঞ ব্রক্ষ্ণ চেলানি ইন্ডিয়া টুডে-কে বলেছেন, ট্রাম্পের বার্তা হলো তিনি নিজের মতো চলবেন। ভারতকে এখন তাদের কৌশল নিয়ে ভাবতে হবে। ট্রাম্প যা করছেন পাকিস্তান নিয়ে, সেটা জো বাইডেনও করেছেন। আইএমএফ থেকে পাকিস্তানকে ঋণ পাইয়ে দিয়েছেন, এফ ১৬ যুদ্ধবিমান দিয়েছেন। বাইডেন যেখানে ছেড়েছিলেন, সেখান থেকে ট্রাম্প ধরেছেন।

    উৎপল ভট্টাচার্য বলেছেন, ভূ-রাজনৈতিক কারণে পাকিস্তান বরাবরই যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বিশেষ সুবিধা পেয়েছে। ডেমোক্র্যাটরা বরাবর পাকিস্তানের পক্ষে ছিল। এখন ট্রাম্পের মতো রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টও তাদের সঙ্গে আছেন।

    ভারতের প্রবীণ সাংবাদিক শরদ গুপ্তা বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বারবার বলা সত্ত্বেও ভারত রাশিয়ার বিরোধিতা করেনি। ভারত রাশিয়া থেকে তেল কিনেছে। রাশিয়া হলো ভারতের দীর্ঘদিনের বন্ধু। ফলে ভারত নিজেদের স্বার্থ দেখেছে। যুক্তরাষ্ট্রও তাদের স্বার্থ দেখবে। তবে ভারতকেও সেইমতো প্রস্তুত থাকতে হবে এবং বাস্তবতার কথা মাথায় রাখতে হবে।

    কার্নেগি এনডাওমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিসের বিশেষজ্ঞ অ্যাশলি জে টেলিস এনডিটিভিকে বলেছেন, আমার মতে মুনিরকে ডাকা ট্রাম্পের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। নিজের প্রশাসনে এনিয়ে মতৈক্য ছিল বলে মনে হয় না ট্রাম্প নিজেকে পিসমেকার বলে মনে করেন। তিনি বিশ্বাস করেন, তিনি ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে খুব বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন। ফিল্ড মার্শাল মুনিরের সঙ্গে লাঞ্চ সেই পরিপ্রেক্ষিতে দেখতে হবে।’

    অ্যাশলি মনে করেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কথাতেও যুক্তি আছে। ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশই ব্যাক চ্যানেল ডিপ্লোমেসি করেছে। সেখানে যুক্তরাষ্ট্র ভূমিকা ছিল। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বড় ভূমিকা পালন করেছেন। আমি মনে করি, ট্রাম্প অতিশয়োক্তি করেছেন। ট্রাম্পকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত, কিন্তু তিনি যা বলছেন, সেটাকেই হুবহু মানার দরকার নেই।

    ভারত কেন উদ্বিগ্ন হবে?

    উৎপল ভট্টাচার্যর মতে, ভারতের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। প্রশ্ন হলো, ইরান নিয়ে পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রকে কতটা সাহায্য করতে পারে? পাকিস্তানও তো একটা মুসলিম দেশ। তারা ইরান সীমান্ত সিল করে দিয়েছে, তার বেশি কিছু করতে পারে বলে মনে হয় না। পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ভূ-রাজনৈতিক কারণে বরাবরই ভালো সম্পর্ক ছিল, এখনো থাকবে। তাতে ভারতের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ দেখতে পাচ্ছি না।

    তবে উৎপল ভট্টাচার্য় মনে করেন, ট্রাম্প বারবার বলছেন, তিনিই ভারত-পাকিস্তানের সংঘাত মিটিয়েছেন। আর ভারতের তরফে অনেক দেরিতে তার জবাব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিস্রি। আমরা আমাদের প্রধানমন্ত্রীর কথা বিশ্বাস করব। কিন্তু গোটা বিশ্বের কাছে তো ট্রাম্পের বার্তাটাই অনেক আগে পৌঁছে গেছে। এটা ভেবে দেখা দরকার।

    তথ্যসূত্র: ডয়চে ভেলে

  • স্ত্রীর কিডনিতে নতুন জীবন, হেলিকপ্টারে ফিরলেন বিএনপি নেতা

    স্ত্রীর কিডনিতে নতুন জীবন, হেলিকপ্টারে ফিরলেন বিএনপি নেতা

    জীবন রক্ষায় একমাত্র উপায় ছিল কিডনি প্রতিস্থাপন। এই সংকটময় সময়ে পাশে দাঁড়ালেন স্ত্রী। স্বামীকে বাঁচাতে নিজের একটি কিডনি দান করে মানবিক ও সাহসী সিদ্ধান্ত নেন। এতেই মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসে নতুন গল্প লিখলেন কুদ্দুস বিশ্বাস। এই গল্প শুধু একটি পরিবারের নয়, পুরো সমাজের জন্য মানবিক বার্তা।

    যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআচড়া এলাকার বিশিষ্ট মাছ ব্যবসায়ী এবং উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ কুদ্দুস বিশ্বাস (৫০) দীর্ঘদিন ধরে কিডনি রোগে ভুগছিলেন। চিকিৎসকদের মতে, জীবনরক্ষার একমাত্র উপায় ছিল কিডনি প্রতিস্থাপন। এই সময়ে তার স্ত্রী মোছা. ফারজানা (৩০) স্বামীকে বাঁচাতে এক নিজের একটি কিডনি স্বেচ্ছায় দান করেন।

    এরপর সব প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরীক্ষা-নিরীক্ষায় মিল পাওয়ার পর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তুর্কিস্তানে পাঠানো হয়। সেখানকার একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে সফলভাবে কিডনি প্রতিস্থাপন সম্পন্ন হয়। ভালোবাসার এক কোমল উদাহরণ প্রিয় মানুষটিকে দিয়েছেন বেঁচে থাকার আলো।

    দীর্ঘ চার মাসের চিকিৎসা শেষে শুক্রবার (২০ জুন) বিকালে হেলিকপ্টার করে তিনি নিজ এলাকায় ফিরে আসেন। যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের পাশে বাগআচড়া জনতা ইকোপার্ক মাঠে হেলিকপ্টার অবতরণ করে। এ সময় পুরো এলাকা উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। হাজার হাজার মানুষ তাকে স্বাগত জানাতে রাস্তায় লাইন করে দাঁড়িয়ে থাকেন। ফুল, মিষ্টি, ব্যানার আর শুভেচ্ছা বার্তায় বরণ করে নেন এলাকার এই পরিচিত মুখকে।

    শার্শা উপজেলা সাবেক এমপি মো. মফিকুল হাসান তৃপ্তি বলেন, ‘এই ঘটনা শুধু চিকিৎসার সাফল্য নয়, এটা ভালোবাসা, আত্মত্যাগ আর মানবিকতার দৃষ্টান্ত। ফারজানা ভাবী শুধু একজন স্ত্রী নন, একজন সাহসী নারীও।’

  • যে চার ভাইরাসের আক্রমণে দেশজুড়ে জ্বরের প্রলয় !

    যে চার ভাইরাসের আক্রমণে দেশজুড়ে জ্বরের প্রলয় !

    ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে একই সঙ্গে চারটি সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাবে উদ্বেগজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, করোনা এবং ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রকোপে জ্বরাক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। এর ফলে স্বাস্থ্যব্যবস্থায় বাড়ছে তীব্র চাপ, আর ঝুঁকিতে রয়েছেন বিশেষ করে বয়স্ক ও আগেই নানা রোগে আক্রান্ত মানুষজন।

    শুক্রবার (২০ মে) সকালে ঢাকার মহাখালীর ডিএনসিসি কোভিড হাসপাতালে দেখা গেছে, ছুটির দিনেও রোগীর উপচে পড়া ভিড়। গত এক সপ্তাহে এই হাসপাতালে জ্বরাক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে গেছে। অনেকেই আসছেন ঢাকার বাইরে থেকেও।

    হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রায় প্রতিটি রোগীই এসেছেন জ্বর নিয়ে। পরীক্ষা করে দেখা যাচ্ছে, তাদের কারও দেহে ডেঙ্গু, কারও করোনা, আবার কারও শরীরে ইনফ্লুয়েঞ্জা বা চিকুনগুনিয়ার সংক্রমণ মিলছে। এই মিলেমিশে থাকা উপসর্গগুলোর জন্য চিকিৎসা দেওয়া হয়ে পড়ছে আরও জটিল। কখনো কখনো এনএস-১ নেগেটিভ আসলেও ডেঙ্গু সন্দেহ থাকছে, আবার প্রচণ্ড জয়েন্ট পেইন নিয়ে আসা রোগীদের মাঝে চিকুনগুনিয়ার উপসর্গও মিলছে। সব মিলিয়ে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

    এক রোগীর স্বজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “সিরিয়ালের জন্য এক ঘণ্টার বেশি অপেক্ষা করতে হচ্ছে। একজন রোগীর যদি অবস্থা গুরুতর হয়, তাহলে এই দীর্ঘ অপেক্ষায় তার জীবন হুমকিতে পড়তে পারে।”

    সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ১২০০ জন, জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত প্রায় ৭ হাজার। মৃত্যুবরণ করেছেন ৩০ জন। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন গড়ে প্রতিদিন ৪০ জন, দুই মাসে মারা গেছেন ৭ জন।

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জ্বর, গলা ব্যথা, মাথাব্যথা বা সর্দি হলে অবহেলা না করে দ্রুত হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। একই উপসর্গে একাধিক রোগের উপস্থিতির সম্ভাবনা থাকায় সঠিক রোগ নির্ণয় ছাড়া চিকিৎসা শুরু করলে হতে পারে মারাত্মক বিপদ।

    স্বাস্থ্যখাতের আর্থিক সংকটের কথা উল্লেখ করে চিকিৎসকরা বলছেন, অনেক হাসপাতালেই পর্যাপ্ত ডেঙ্গু বা করোনা পরীক্ষার সুযোগ নেই, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।

  • ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ

    ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ

    ঢাকা মেডিকেল কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কলেজ প্রশাসন। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের আগামীকাল রোববার (২২ জুন) বেলা ১২টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

    শনিবার (২১ জুন) এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে কলেজ প্রশাসন।

    এতে বলা হয়, শনিবার একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকা মেডিকেল কলেজের চলমান অচলাবস্থা নিরসনে আগামীকাল থেকে এমবিবিএসের একাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হলো।

    এতে আরও বলা হয়, শিক্ষার্থীদের আগামীকাল রোববার (২২ জুন) বেলা ১২টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হলো। তবে পেশাগত এমবিবিএস পরীক্ষার্থী ও বিদেশি শিক্ষার্থীরা এর আওতামুক্ত থাকবে।

    প্রসঙ্গত, শনিবার সকালে নিরাপদ ক্যাম্পাস ও আবাসনের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, একাডেমিক ভবনের পলেস্তারা খসে পড়লেও কর্তৃপক্ষ গুরুত্ব দিচ্ছে না। ফজলে রাব্বি হলসহ দুটি হল ব্যবহারের অনুপযোগী। ছাত্রী হলেরও সিলিং খসে পড়ছে। যেকোন মুহুর্তে হল ধসে হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে।

    এ সময় আবাসন সংকট সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ক্লাসে ফিরে না যাওয়ার ঘোষণা দেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। অবিলম্বে বাজেটে আবাসনে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ করে সংকট নিরসনের আহ্বান জানান তারা।

  • এবার তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিলেন রাশিয়া

    এবার তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিলেন রাশিয়া

    রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ইউক্রেন ও মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনা বিশ্বকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তার মতে, এ দুটি অঞ্চল এখন মারাত্মক সংঘর্ষের সম্ভাব্য কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।

    শুক্রবার (২০ জুন) সেন্ট পিটার্সবার্গ আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ফোরামের (এসপিআইইএফ) মূল অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে পুতিন এ হুঁশিয়ারি দেন।

    রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সংঘর্ষের বিপুল আশংকা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আমরা বৈশ্বিক যুদ্ধের আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন। সব সংকটেরই শান্তিপূর্ণ সমাধান হওয়া উচিত’।

    তিনি ন্যাটোর পূর্বমুখী সম্প্রসারণের সমালোচনা করে বলেন, ‘এই জোট বারবার রাশিয়ার নিরাপত্তা উদ্বেগকে অগ্রাহ্য করছে। এটি পশ্চিমাদের উপনিবেশবাদী নীতির আরেকটি রূপমাত্র’।

    পুতিন এ সময় দাবি করেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে আশ্বাস দিয়েছেন যে, ইরানের বুশেহর পারমাণবিক স্থাপনায় রুশ কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতা করবে।

    মধ্যপ্রাচ্যের প্রসঙ্গে পুতিন বলেন, ‘ইসরাইল যদি সত্যিই ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যা করার কথা বিবেচনা করে থাকে, তবে আমি আশা করি এটি কেবল কথার কথা হিসেবেই থাকবে’।

    এর আগে রুশ প্রেসসচিব দিমিত্রি পেসকভ সেন্ট পিটার্সবার্গের কনস্টান্টিন প্রাসাদে স্কাই নিউজ-কে বলেন, ‘ইরানে সরকার পরিবর্তনের কথা যারা বলছে, তারা যেন মনে রাখে—এটা শুধু অগ্রহণযোগ্য নয়, বরং এতে দেশটিতে চরমপন্থার বিস্ফোরণ ঘটতে পারে’।

    তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, ‘যারা আয়াতুল্লাহ খামেনিকে হত্যা করার কথা বলছে, তারা যেন মনে রাখে—তাতে তারা এক ভয়ংকর প্যান্ডোরার বাক্স খুলে দেবে’। সূত্র: ডেইলি সাবাহ

  • টাকা খাটিয়ে টাকা বাড়ান: ব্যাংক নয়, এই ৫ জায়গায় টাকা রাখুন

    টাকা খাটিয়ে টাকা বাড়ান: ব্যাংক নয়, এই ৫ জায়গায় টাকা রাখুন

    অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিয়ে সচেতনতা বাড়ছে, কিন্তু এখনো অনেকেই জানেন না কোথায় বিনিয়োগ করলে টাকাটা শুধু সুরক্ষিত থাকবে না, বরং বাড়বেও। বিশ্বখ্যাত বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞ রবার্ট কিওসাকি একবার বলেছিলেন, “আপনি কত টাকা ইনকাম করছেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং আপনি ইনকামের কতটা ধরে রাখতে পারছেন সেটিই আসল চাবিকাঠি।”

    ঠিক এই বিষয়টিই সামনে রেখে আজকের আলোচনায় তুলে ধরা হলো এমন পাঁচটি স্মার্ট অ্যাসেট যেখানে ব্যাংকের বাইরে টাকা রাখলে আপনি ভবিষ্যতের জন্য হতে পারেন অনেক বেশি নিরাপদ।

    ১. ইমারজেন্সি ফান্ড: ভবিষ্যতের ঝুঁকি মোকাবেলার প্রথম অস্ত্র
    দেশের অনেক মানুষ মাস শেষে ভালো অঙ্কের টাকা ইনকাম করলেও কোনো আর্থিক দুর্ঘটনার মুখোমুখি হলে পরিবারের সবকিছু এলোমেলো হয়ে যেতে পারে। তাই অর্থনৈতিক স্বস্তির প্রথম শর্ত হচ্ছে একটি শক্ত ইমারজেন্সি ফান্ড তৈরি করা। এই ফান্ড হঠাৎ চাকরি চলে যাওয়া, দুর্ঘটনা কিংবা বড় কোনো অসুস্থতার সময় আপনাকে ধার না করে চলতে সাহায্য করবে।

    ২. স্বর্ণ (গোল্ড): স্থিতিশীল ও নিরাপদ সঞ্চয় মাধ্যম
    ইনফ্লেশনের এই যুগে ব্যাংকে টাকা রেখে তার ক্রয়ক্ষমতা কমে যায়, কিন্তু স্বর্ণের দাম বরং সময়ের সঙ্গে বাড়ে। ফলে এটি এখনো বাংলাদেশ, ভারত কিংবা পাকিস্তানে অন্যতম নিরাপদ বিনিয়োগ মাধ্যম। এটি সহজে নগদে রূপান্তরযোগ্য এবং অর্থনৈতিক সংকটে মূল্য বাড়ার প্রবণতা থাকে। ধনীরা এই সুযোগটাই নেয় – মন্দার সময় সস্তায় স্বর্ণ কিনে পরে তা থেকে মুনাফা অর্জন করে।

    ৩. জমি ও প্রপার্টি: স্থায়ী প্যাসিভ ইনকামের উৎস
    জমি ও বাড়ি এমন একটি অ্যাসেট যা সময়ের সঙ্গে তার মূল্য শুধু বাড়াতেই থাকে। বাড়ির একাংশে নিজে বসবাস করে অন্য অংশ ভাড়া দিলে তা নিয়মিত আয়ের উৎস হয়ে দাঁড়ায়। এই খাতে বিনিয়োগ শুধু নিরাপদ নয়, বরং স্থায়ী সম্পদ হিসেবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও কার্যকর।

    ৪. নিজস্ব ব্যবসা: চাকরির চেয়ে টেকসই উপার্জনের পথ
    চাকরি এখন দিন দিন অনির্ভরযোগ্য হয়ে উঠছে। অটোমেশন ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অনেক কাজের বাজার সংকুচিত করছে। ফলে এখনই সময় ছোট করে হলেও নিজের একটি ব্যবসা শুরু করার। অল্প পুঁজিতে স্থানীয় মার্কেটে প্রাসঙ্গিক পণ্যে বা পরিষেবায় বিনিয়োগ করে ধীরে ধীরে একটি ব্যবসা দাঁড় করানোই হতে পারে আপনার বড় অর্থনৈতিক নিরাপত্তার চাবিকাঠি।

    ৫. স্কিল ও জ্ঞান: এমন সম্পদ যা কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না
    সবকিছু হারালেও আপনার অর্জিত দক্ষতা ও জ্ঞান কখনোই হারায় না। ভবিষ্যৎ অর্থনীতিতে স্কিল বেসড আর্নিং হবে সবচেয়ে বড় ট্রেন্ড। তাই আজ থেকেই নিজের দক্ষতা বাড়াতে শুরু করুন – সেটা হতে পারে ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক ডিজাইন, প্রোগ্রামিং কিংবা যেকোনো প্র্যাকটিক্যাল স্কিল। এই বিনিয়োগই আপনাকে দীর্ঘমেয়াদে অর্থনৈতিকভাবে সাফল্যের পথে এগিয়ে নেবে।

    আয় করাই শেষ কথা নয়, বরং আয় থেকে সঠিকভাবে অর্থ সঞ্চয় ও বিনিয়োগ করাটাই আসল বুদ্ধিমত্তা। যারা টাকার সঠিক ব্যবস্থাপনা শিখেছে, তারাই ধীরে ধীরে গড়ে তুলেছে আর্থিক স্বাধীনতা। ব্যাংকে টাকা রেখে শুধু সুদের অপেক্ষায় না থেকে এখনই ভাবুন — কীভাবে আপনি নিজের ভবিষ্যৎকে আরও বেশি সুরক্ষিত ও লাভজনক করে তুলতে পারেন।

  • ৬০ ঘণ্টা ধরে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন ইরান, রহস্য কী

    ৬০ ঘণ্টা ধরে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন ইরান, রহস্য কী

    বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট অ্যাক্সেস থেকে ৬০ ঘণ্টা ধরে বিচ্ছিন্ন রয়েছে ইরান। ইন্টারনেট সংযোগ পর্যবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান নেটব্লকস এ তথ্য জানিয়েছে।

    নেটব্লকস মনিটর অনুসারে, ইরান দীর্ঘ গত ৬০ ঘণ্টা ধরে বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট অ্যাক্সেস থেকে বিচ্ছিন্ন।

    ইন্টারনেট বন্ধের ফলে জনসাধারণের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ, অবাধ যোগাযোগ এবং নিরাপত্তা সতর্কতা অনুসরণ করার ক্ষমতা মারাত্মকভাবে সীমিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে মনিটরটি।

    ইরান সরকারের আরোপিত অবরোধের ফলে এই বিভ্রাট দেখা দিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সরকারের মতে, ইসরায়েলি সাইবার হামলা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এ পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

    নেটব্লকসের গবেষণা পরিচালক ইসিক মাতের বিবিসিকে বলেন, ‘২০১৯ সালের নভেম্বরের পর ইরানে আমরা এই প্রথম এমন প্রায় পূর্ণ সংযোগ বিচ্ছিন্নতা দেখতে পাচ্ছি। এমনকি ২০২২ সালের মাহসা আমিনির প্রতিবাদের সময়েও এতটা সীমাবদ্ধতা ছিল না।’

    বিবিসি ইরানে মুক্তভাবে কাজ করতে পারে না। ফলে ইন্টারনেট বন্ধ থাকা এবং সাধারণ নাগরিকদের অনলাইনে তথ্য শেয়ার করতে না পারা, পরিস্থিতি বুঝে ওঠা ও যাচাই করার ক্ষমতা সীমিত।

    তবে ইসিক মাতের আরও বলেছেন, ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়, ইরান সাধারণত অভ্যন্তরীণ কোনো ইস্যুতে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়। কিন্তু আন্তর্জাতিক সংঘাতের সময় তারা সাধারণত আন্তর্জাতিক যোগাযোগ চালু রাখার চেষ্টা করে। এবারকার পরিস্থিতি সেই ধারার বাইরে।

    এদিকে নেটব্লকস সংস্থাটি এক্স মাধ্যমে এক পোস্টে ইরানে ইন্টারনেট বিচ্ছিন্নতার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

    প্রসঙ্গত, গত ১৩ জুন থেকে ইরানের বিভিন্ন স্থানে, বিশেষ করে পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। জবাবে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা অব্যাহত রেখেছে তেহরান। পাল্টাপাল্টি এ হামলায় উভয় দেশের বহু মানুষ হতাহত হয়েছেন।

    সূত্র: আলজাজিরা