Category: bangla

  • ইরানে অনুপ্রবেশ করেছে ইসরায়েলি গোয়েন্দারা! গোপনীয় স্থানে খামেনি

    ইরানে অনুপ্রবেশ করেছে ইসরায়েলি গোয়েন্দারা! গোপনীয় স্থানে খামেনি

    ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে অতি গোপনীয় নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে তাকে শীর্ষ একটি ইউনিট সুরক্ষা দিচ্ছে। গোপন রাখা হয়েছে তাদের পরিচয়। এমনকি ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারাও জানেন না ওই শীর্ষ ইউনিটে কারা রয়েছেন। এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফ।

    এদিকে, ধারণা করা হচ্ছে ইসরায়েলি গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যরা দেশটির বিভিন্ন স্থানে অনুপ্রবেশ করেছে। এ কারণেই এই বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছেন দেশটির শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা।

    এক ইরানি কর্মকর্তা বলেন, ‘খামেনি বাংকারে নেই। তবে তার জীবন বিপদের মধ্যে রয়েছে। বিশেষ একটি ইউনিট তার সুরক্ষার দায়িত্ব নিয়েছে। তাদের অস্তিত্ব সম্পর্কে কেউ অবগত নন। এটি করা হয়েছে অনুপ্রবেশ ঠেকানোর স্বার্থে।’

    খামেনি বহু আগে থেকেই বলে আসছেন, ইসরায়েল তার প্রাণ হরণের চেষ্টা করতে পারে। সম্প্রতি ইসরায়েল হামলা চালিয়ে অন্তত ১১ জন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এবং ১৪ জন পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যা করায় খামেনির প্রাণনাশের ঝুঁকি অন্য সময়ের তুলনায় বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

    ব্রিটিশ দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন বলছে, গত বৃহস্পতিবার বির শেভা হাসপাতালে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইসরায়েলি সরকারের পক্ষ থেকে প্রকাশ্যে খামেনির মৃত্যু চাওয়া হচ্ছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু খামেনিকে হত্যাচেষ্টার বিষয়টি বাতিল করছেন না। তিনি মনে করছেন, এটা ঘটলে এই সংঘাতের অবসান হতে পারে।

    ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ খামেনিকে ‘আধুনিক হিটলার’ তকমা দিয়ে বলেছেন, ‘তাকে বাঁচতে দেওয়া চলে না।’ এর আগে খবর এসেছিল, খামেনিকে ইসরায়েল হত্যা করতে চাইলেও তাতে সায় দেননি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

    ট্রাম্পও একাধিকবার হুঁশিয়ারিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা জানি কোথায় কথিত সেই সর্বোচ্চ নেতা লুকিয়ে আছেন।’

    তবে ট্রাম্প এটিও জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এখন খামেনিকে লক্ষ্য করে হামলা চালানোর পরিকল্পনা নেই। আপাতত এখন এ রকম কিছু করা হচ্ছে না। তবে তিনি (ট্রাম্প) যদি মত পরিবর্তন করেন তাহলে খামেনি খুব ‘সহজ লক্ষ্য’ হয়ে উঠতে পারেন।

    ইরানের ৮৬ বছর বয়সী নেতা খামেনি তেহরানের ডিস্ট্রিক্ট ১১-এর লিডারশিপ হাউস কমপ্লেক্সে বসবাস করছিলেন। তবে এখন যে ভিডিওগুলো প্রকাশিত হচ্ছে, সেগুলো দেখে মনে হয় তিনি তার অবস্থান পরিবর্তন করেছেন।

    তিনি এখন কথা বলেন বাদামি একটা পর্দার সামনে বসে। কখনো তার পেছনে ইরানে ১৯৭৯ সালে রাজতন্ত্রের অবসান ঘটানো আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনির ছবি থাকে। সচরাচর তিনি যে পরিবেশে থেকে বক্তব্য দেন, তার সঙ্গে এই পরিবেশের পার্থক্য আছে।

    ভিডিও বিশ্লেষকদের ধারণা, এই ভিডিও বক্তব্য মধ্য তেহরানের আইআরজিসির গণমাধ্যম কেন্দ্রে ধারণ করা হয়েছে। এতে এমনটাও ধারণা করা হচ্ছে, তিনি আশপাশে কোথাও বসবাস করছেন বা ওই ভবনের নিচেই কোথাও আছেন।

    তেহরানে সাম্প্রতিক সময়ে রহস্যজনকভাবে বেশ কয়েকটি গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় উচ্চপদস্থ অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন। এ রকম পরিস্থিতিতে খামেনি গাড়িতে করে শহরের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করবেন, এমনটা মনে করা হচ্ছে না।

    খামেনির সতর্কতা অবলম্বন করাটা স্বাভাবিক বলে মনে করছে দ্য টেলিগ্রাফ। কারণ, ইসরায়েলি গোয়েন্দা বাহিনীর নিজের দেশের গণ্ডি পেরিয়ে অন্য দেশে গিয়ে হত্যা এবং অপহরণের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। সেই ১৯৬০ নালে আর্জেন্টিনা থেকে হলোকাস্ট-খ্যাত অটো অ্যাডলফ আইখম্যানকে অপহরণ করেছিল তারা।

    ‘প্রথমে হত্যা’ নীতিতে বিশ্বাসী ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ। বিষয়টি যে শুধু তাদের সামরিক নথিতে রয়েছে তা নয়। এটি তাদের ধর্মীয় শিক্ষার মধ্যেও রয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে দ্য টেলিগ্রাফ।

    মোসাদ সাধারণত নিজেদের অভিযানের বিষয়ে জানায় না। তবে অন্তত ডজনখানেক রাষ্ট্রে গোয়েন্দা সংস্থাটি অভিযান পরিচালনা করেছে। এসব দেশের মধ্যে ইউরোপেরও বেশ কয়েকটি রাষ্ট্র রয়েছে। গত বছর লেবাননেও দূর থেকে পেজার ও ওয়াকিটকির বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হিজবুল্লাহর অনেক সদস্যকে হত্যা করে মোসাদ। সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ

  • হরমুজ প্রণালি বন্ধের সিদ্ধান্ত ইরানের, বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক

    হরমুজ প্রণালি বন্ধের সিদ্ধান্ত ইরানের, বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক

    যুক্তরাষ্ট্রের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর সামরিক হামলার প্রতিক্রিয়ায় হরমুজ প্রণালি বন্ধের প্রস্তাব পাস করেছে ইরানের পার্লামেন্ট। এই প্রস্তাবের ফলে বৈশ্বিক জ্বালানি সরবরাহে বড় ধরনের সংকট তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রনীতি-বিষয়ক সংসদীয় কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য ইসমাইল কোসারি জানিয়েছেন, মার্কিন আগ্রাসনের বিরুদ্ধে পাল্টা কৌশল হিসেবে পার্লামেন্টের সদস্যরা হরমুজ প্রণালি বন্ধের পক্ষে একমত হয়েছেন। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ।

    কোসারি বলেন, ‘আমরা এই প্রণালি বন্ধের সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি। তবে বাস্তবায়নের ক্ষমতা নিরাপত্তা পরিষদের হাতে। বর্তমান পরিস্থিতিতে এটি একটি প্রয়োজনীয় ও কৌশলগত জবাব।’

    পারস্য উপসাগরের মুখে অবস্থিত হরমুজ প্রণালি বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রপথ। প্রতিদিন এই পথ দিয়ে ১৭ থেকে ১৮ মিলিয়ন ব্যারেল তেল পরিবাহিত হয়, যা বৈশ্বিক তেল সরবরাহের প্রায় ২০ শতাংশ। এই পথেই কাতারসহ পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলো থেকে বিপুল তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (LNG) রপ্তানি হয়।

    বিশ্লেষকদের মতে, প্রণালি বন্ধ হলে তেলের দামে রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে—এক সপ্তাহের মধ্যেই মূল্য ৮০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। বিকল্প পরিবহনপথ ব্যয়বহুল হওয়ায় বিশ্বব্যাপী শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো চাপে পড়বে, অনেক ক্ষেত্রে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এজন্য বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক শুরু হয়েছে।

    যুক্তরাষ্ট্রের ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ অভিযানে ইরানের নাতাঞ্জ, ফোরদো ও ইস্পাহানে অবস্থিত পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলার পরপরই এই প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। ইরান এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন ও দেশের সার্বভৌমত্বের ওপর সরাসরি আগ্রাসন হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।

  • হাঠাৎ করে দেশের প্রস্তিতি নিয়ে একি বললেন: সেনাপ্রধান

    হাঠাৎ করে দেশের প্রস্তিতি নিয়ে একি বললেন: সেনাপ্রধান

    দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নবীন কর্মকর্তাদের সবসময় প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি বলেন, সততা, শৃঙ্খলা ও আত্মত্যাগের চেতনায় বলীয়ান হয়ে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নবীন কর্মকর্তাদের সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে।

    আজ রবিবার সকালে চট্টগ্রাম নেভাল একাডেমিতে আয়োজিত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর গ্রীষ্মকালীন রাষ্ট্রপতির কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

    সেনা প্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশ নৌবাহিনী অত্যন্ত সুসজ্জিত একটি বাহিনী।

    দেশের সমুদ্রসীমার সার্বভৌমত্ব রক্ষা, সমুদ্র সম্পদের সুরক্ষা, সমুদ্রে অপরাধ দমন ও সুশাসন নিশ্চিত করতে নৌবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।

    কুচকাওয়াজের শুরুতে সেনাপ্রধান জিপে চড়ে প্যারেড পরিদর্শন করেন এবং এরপর নবীন কর্মকর্তাদের আটটি প্লাটুন তাকে সালাম জানায়। দীর্ঘ প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষণে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন সেনাবাহিনী প্রধান। অনুষ্ঠানে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তা, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও নবীন কর্মকর্তাদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

  • পুতিনের প্রস্তাব নাকচ করে বিপদে ইরান

    পুতিনের প্রস্তাব নাকচ করে বিপদে ইরান

    ইরানকে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা নিয়ে যৌথ প্রকল্পের প্রস্তাব দিয়েছিল রাশিয়া; কিন্তু তেহরান তখন সে বিষয়ে আগ্রহ দেখায়নি। এমনটা জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

    বৃহস্পতিবার রুশ বার্তা সংস্থা তাস আয়োজিত বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রধানদের এক বৈঠকে এই মন্তব্য করেন তিনি।

    পুতিন বলেন, ‘আমরা একসময় আমাদের ইরানি বন্ধুদের সঙ্গে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা নিয়ে কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। তখন আমাদের অংশীদাররা বিশেষ কোনো আগ্রহ দেখাননি।’

    চলতি বছরের জানুয়ারিতে কৌশলগত চুক্তির সময়ে ইরানকে এ প্রস্তাব দেওয়া হয়।

    পুতিন বলেন, ‘আমাদের বন্ধুদের (ইরান) সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারত্ব নিয়ে চুক্তিতেও প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত কোনো ধারা ছিল না। এটা দ্বিতীয় বিষয়। তৃতীয় বিষয় হলো, আমাদের ইরানি বন্ধুরাও আকাশ প্রতিরক্ষা চাইছে না। বাস্তবতা হলো, এ নিয়ে আলোচনার মতোও কিছু নেই।’

    গত মে মাসে মস্কো ও তেহরানের মধ্যে ২০ বছর মেয়াদি কৌশলগত অংশীদারত্ব চুক্তি অনুমোদন করে ইরানের পার্লামেন্ট। পুতিন ও ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান ১৭ জানুয়ারি এই কৌশলগত দলিলে স্বাক্ষর করেছিলেন।

    এদিকে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে রাশিয়া। একই সঙ্গে ইরানে মার্কিন এই হামলাকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ ও আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন বলেও অভিহিত করেছে মস্কো।

    রোববার (২২ জুন) রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘যে কোনো যুক্তিই দেখানো হোক না কেন, একটি সার্বভৌম দেশের ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমা হামলা চালানোর মতো এই দায়িত্বজ্ঞানহীন সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবনার স্পষ্ট লঙ্ঘন।’

    বিবৃতিতে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতের ঝুঁকি ‘অত্যন্ত’ বাড়িয়ে দিয়েছে।

    যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি প্রধান পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। ইরানের যে তিন গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক কেন্দ্রে যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালিয়েছে, সেগুলো হলো౼নাতানজ, ফোরদো ও ইসফাহান। এগুলো ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির মূল কেন্দ্রবিন্দু, যেগুলোর ওপর আগেও ইসরায়েল হামলা চালিয়েছিল।

    স্থানীয় সময় শনিবার (২১ জুন) মধ্যরাতে ইসরায়েলের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে ইরানের ৩টি উচ্চ-নিরাপত্তাসম্পন্ন পারমাণবিক স্থাপনায় তীব্র বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

    হামলার পর আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি।

    পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি রোববার ভোরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ ঘটনাকে জাতিসংঘের সনদ, আন্তর্জাতিক আইন ও পরমাণু অস্ত্র প্রসার রোধ চুক্তির (এনপিটি) সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন এবং এই হামলার ‘গুরুতর পরিণতি’ সম্পর্কে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।

    বিবৃতিতে তিনি বলেন, ইরান নিজেদের সুরক্ষার জন্য যেকোনো পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার রাখে।

    ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক পৃথক বিবৃতিতে জানায়, ‘জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে জাতিসংঘের সনদ, আন্তর্জাতিক আইন এবং পরমাণু অস্ত্র প্রসার রোধ চুক্তির চরম লঙ্ঘন করেছে।’

  • সর্বোচ্চ দুবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সিদ্ধান্তে ৩ দলের দ্বিমত : আলী রীয়াজ

    সর্বোচ্চ দুবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সিদ্ধান্তে ৩ দলের দ্বিমত : আলী রীয়াজ

    একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুই মেয়াদে ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন; ঐকমত্য কমিশনের এমন সিদ্ধান্তে তিন রাজনৈতিক দল দ্বিমত পোষণ করেছে বলে জানিয়েছেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

    রোববার (২২ জুন) বিকেলে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি একথা জানান।

    অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, সারাদিন আলোচনায় আমরা দুটি বিষয় নিয়ে কথাবার্তা বলেছি। এর একটি হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ আরেকটি হচ্ছে সংবিধানের রাষ্ট্রের মূলনীতি নিয়ে। দীর্ঘ আলোচনা শেষে আমরা সুস্পষ্ট এক জায়গায় এসেছি। একজন ব্যক্তি ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবে না। এরকম একটি জায়গায় আসার পরে আমরা এখনো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারিনি। আলোচনার পরে তিনটি দল ভিন্নমত পোষণ করে তারা বিষয়টি পুনর্বিবেচনার কথা বলেছে। তারা তাদের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা করে আবার আলোচনার কথা বলেছে। তারা মনে করে এই বিষয়ের সঙ্গে অন্য বিষয় যুক্ত-বিশেষ করে এনসিসি গঠন ও উচ্চকক্ষ কীভাবে গঠন হবে। ওইসব সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনার সময় তারা বিষয়টি উপস্থাপন করবে।

    অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, সারাদিন আলোচনায় আমরা দুটি বিষয় নিয়ে কথাবার্তা বলেছি। এর একটি হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ আরেকটি হচ্ছে সংবিধানের রাষ্ট্রের মূলনীতি নিয়ে। দীর্ঘ আলোচনা শেষে আমরা সুস্পষ্ট এক জায়গায় এসেছি। একজন ব্যক্তি ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবে না। এরকম একটি জায়গায় আসার পরে আমরা এখনো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারিনি। আলোচনার পরে ৩টি দল ভিন্নমত পোষণ করে তারা বিষয়টি পুনর্বিবেচনার কথা বলেছে। তারা তাদের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা করে আবার আলোচনার কথা বলেছে। তারা মনে করে এই বিষয়ের সঙ্গে অন্য বিষয় যুক্ত-বিশেষ করে এনসিসি গঠন ও উচ্চকক্ষ কিভাবে গঠন হবে। ওইসব সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনার সময় তারা বিষয়টি উপস্থাপন করবে।

    তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আলোচনা করে যে জায়গায় দাঁড়িয়েছে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকাল ৩টি দল বাদে সবাই এক জায়গায় পৌঁছেছে। আমরা আশা করি এ বিষয়ে সবাই একমত হতে পারবে। আমরা আশা করি সবাই এ বিষয়ে একমত পোষণ করতে পারব। ৩টি দল হলো- বিএনপি, এনডিএম ও বিএলডিপি। এই বিষয়ে তাদের ভিন্ন ভিন্ন কারণে মতপার্থক্য আছে।

    দ্বিতীয় আলোচনার বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, দ্বিতীয় যে বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে – সংবিধান ও রাষ্ট্রের মূলনীতি সংবিধান সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। বিভিন্ন দলের সেন্টিমেন্ট ও অবস্থান বিবেচনা করে ঐকমত্য কমিশন থেকে একটি প্রস্তাব হাজির করা হবে। কী আলোচনা হয়েছে তার প্রতিফলন একটি প্রস্তাব হাজির করা হবে। যাতে করে সাম্য ও মানবিক মর্যাদা সামাজিক সুবিচার ও গণতন্ত্র সংবিধানে উল্লেখ করা বা অন্যভাবে যুক্ত করা তখন বিবেচনা করা এবং কমিশন থেকে একটা সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব লিখিত আকারে তুলে ধরা।

    এই রাজনৈতিক দলগুলোর অনুরোধে আগামী দুই দিন বৈঠক মূলতবি করে তিনি বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল অনুরোধ করেছে আগামী দুই দিন বৈঠক মুলতবি করার জন্য। দলগুলো তাদের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা করতে চায়। আমরা আশা করছি এর মাধ্যমে অমীমাংসিত বিষয়গুলো মীমাংসিত করতে পারব।

  • পুতিনের প্রস্তাব নাকচ করে বিপদে ইরান

    পুতিনের প্রস্তাব নাকচ করে বিপদে ইরান

    ইরানকে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা নিয়ে যৌথ প্রকল্পের প্রস্তাব দিয়েছিল রাশিয়া; কিন্তু তেহরান তখন সে বিষয়ে আগ্রহ দেখায়নি। এমনটা জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

    বৃহস্পতিবার রুশ বার্তা সংস্থা তাস আয়োজিত বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রধানদের এক বৈঠকে এই মন্তব্য করেন তিনি।

    পুতিন বলেন, ‘আমরা একসময় আমাদের ইরানি বন্ধুদের সঙ্গে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা নিয়ে কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। তখন আমাদের অংশীদাররা বিশেষ কোনো আগ্রহ দেখাননি।’

    চলতি বছরের জানুয়ারিতে কৌশলগত চুক্তির সময়ে ইরানকে এ প্রস্তাব দেওয়া হয়।

    পুতিন বলেন, ‘আমাদের বন্ধুদের (ইরান) সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারত্ব নিয়ে চুক্তিতেও প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত কোনো ধারা ছিল না। এটা দ্বিতীয় বিষয়। তৃতীয় বিষয় হলো, আমাদের ইরানি বন্ধুরাও আকাশ প্রতিরক্ষা চাইছে না। বাস্তবতা হলো, এ নিয়ে আলোচনার মতোও কিছু নেই।’

    গত মে মাসে মস্কো ও তেহরানের মধ্যে ২০ বছর মেয়াদি কৌশলগত অংশীদারত্ব চুক্তি অনুমোদন করে ইরানের পার্লামেন্ট। পুতিন ও ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান ১৭ জানুয়ারি এই কৌশলগত দলিলে স্বাক্ষর করেছিলেন।

    এদিকে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে রাশিয়া। একই সঙ্গে ইরানে মার্কিন এই হামলাকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ ও আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন বলেও অভিহিত করেছে মস্কো।

    রোববার (২২ জুন) রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘যে কোনো যুক্তিই দেখানো হোক না কেন, একটি সার্বভৌম দেশের ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমা হামলা চালানোর মতো এই দায়িত্বজ্ঞানহীন সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবনার স্পষ্ট লঙ্ঘন।’

    বিবৃতিতে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতের ঝুঁকি ‘অত্যন্ত’ বাড়িয়ে দিয়েছে।

    যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি প্রধান পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। ইরানের যে তিন গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক কেন্দ্রে যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালিয়েছে, সেগুলো হলো౼নাতানজ, ফোরদো ও ইসফাহান। এগুলো ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির মূল কেন্দ্রবিন্দু, যেগুলোর ওপর আগেও ইসরায়েল হামলা চালিয়েছিল।

    স্থানীয় সময় শনিবার (২১ জুন) মধ্যরাতে ইসরায়েলের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে ইরানের ৩টি উচ্চ-নিরাপত্তাসম্পন্ন পারমাণবিক স্থাপনায় তীব্র বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

    হামলার পর আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি।

    পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি রোববার ভোরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ ঘটনাকে জাতিসংঘের সনদ, আন্তর্জাতিক আইন ও পরমাণু অস্ত্র প্রসার রোধ চুক্তির (এনপিটি) সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন এবং এই হামলার ‘গুরুতর পরিণতি’ সম্পর্কে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।

    বিবৃতিতে তিনি বলেন, ইরান নিজেদের সুরক্ষার জন্য যেকোনো পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার রাখে।

    ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক পৃথক বিবৃতিতে জানায়, ‘জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে জাতিসংঘের সনদ, আন্তর্জাতিক আইন এবং পরমাণু অস্ত্র প্রসার রোধ চুক্তির চরম লঙ্ঘন করেছে।’

  • শামীম ওসমানের ২টি প্লট ক্রোক, ২৯ ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ

    শামীম ওসমানের ২টি প্লট ক্রোক, ২৯ ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ

    দুর্নীতির অভিযোগ চলমান থাকায় নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের নিজ নামে থাকা পূর্বাচল ও উত্তরার ২টি প্লট ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

    এছাড়া শামীম ওসমান, তার স্ত্রী সালমা ওসমান, ছেলে ইমতিনান ওসমান, মেয়ে লাবিবা জোহা অঙ্গনা, পুত্রবধূ ইরফানা আহমেদ রাশমী ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ২৯ ব্যাংক হিসাবের ১২ কোটি ৮৭ লাখ ৭৪ হাজার ৫২০ টাকা ফ্রিজ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

    রোববার (২২ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। এদিন দুদকের পক্ষে সংস্থাটির উপপরিচালক রেজাউল করিম এসব সম্পদ ক্রোক ও ফ্রিজ চেয়ে আবেদন করেন।

    দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) তানজির আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

    আবেদনে বলা হয়েছে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি পলাতক অবস্থায় স্থাবর সম্পদ বিক্রয় এবং ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা উত্তোলন ও স্থানান্তর করার পরিকল্পনা করছেন। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এসব সম্পত্তি দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা, ২০০৭ (সংশোধিত বিধিমালা ২০১৯) এর বিধি- ১৮ এবং মানিলন্ডারিং আইন ২০১২ এর ধারা-১৪ অনুযায়ী ক্রোক এবং ফ্রিজ করা প্রয়োজন।

  • আর পিছু হাটবে না ইরান, হাতে রয়েছে অসংখ্য বিকল্প

    আর পিছু হাটবে না ইরান, হাতে রয়েছে অসংখ্য বিকল্প

    গত ১৩ জুন শুরু হওয়া ইরান-ইসরায়েল সংঘাত দ্বিতীয় সপ্তাহে গড়ালেও থামার কোনো লক্ষণ নেই। আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক তৎপরতা চলছে বটে, তবে বাস্তবে কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। বরং দিন দিন পাল্টাপাল্টি হামলা আরও তীব্র হয়ে উঠছে। দুই পক্ষই নিজেদের অবস্থানে অনড়।

    ইসরায়েল দাবি করছে, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি তাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। এই কারণেই তারা একের পর এক হামলা চালাচ্ছে। এর জবাবে ইরানও ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, ইসরায়েল হামলা বন্ধ না করলে কোনো শান্তিপূর্ণ আলোচনার সুযোগ নেই।

    এ অবস্থায় ইরানের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের কর্মকর্তা মাজিদ ফারাহানী একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি করেছেন। তিনি সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চাইলেই এই যুদ্ধ থামাতে পারেন। শুধুমাত্র একটি ফোনকলেই ইসরায়েলকে হামলা বন্ধ করতে বলা সম্ভব, আর তাতেই আলোচনার দরজা খুলে যেতে পারে।

    পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ফারাহানী জানান, ইরান এখনো সরাসরি বা পরোক্ষভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী। তবে এর আগে ইসরায়েলকে আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দেন, ইরান পুরোপুরি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধের প্রস্তাব মেনে নেবে না। যদিও কিছুটা নমনীয়তা দেখানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

    বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্র এই সংঘাতে সরাসরি জড়ালে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠবে। ফারাহানী হুঁশিয়ার করে বলেছেন, যদি আমেরিকা সরাসরি যুক্ত হয়, তাহলে ইরান হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না। তেহরানের হাতে অনেক বিকল্প খোলা রয়েছে।

    এদিকে চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে দেশ ছাড়ছেন অনেক সাধারণ মানুষ। আকাশপথ বন্ধ থাকায় আর্মেনিয়ার সীমান্ত হয়ে পালিয়ে যাওয়াই একমাত্র বিকল্প হয়ে উঠেছে। তবে এই পাহাড়ি পথও সহজ নয়। ট্যাক্সিচালকরা ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে তিনগুণ, তবুও মানুষজন বেরিয়ে পড়েছে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে।

    অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ইউরোপীয় দেশগুলোও ইসরায়েলের পাশে অবস্থান নিয়েছে। তারা চাইছে, ইরান যেন শূন্য মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে ফিরে যায়। তবে ইরানের দাবি, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে।

    এই অবস্থায় পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, তা নির্ভর করছে আন্তর্জাতিক চাপ, কূটনীতি এবং প্রতিপক্ষের কার্যকলাপের ওপর। তবে একথা নিশ্চিত— ইরান আর পিছিয়ে যাবে না।

  • হিন্দু ছেলের হাত ধরে নোয়াখালী থেকে ঢাকায়, শেষমেশ পতিতালয়ে বিক্রি

    হিন্দু ছেলের হাত ধরে নোয়াখালী থেকে ঢাকায়, শেষমেশ পতিতালয়ে বিক্রি

    নোয়াখালীর সদর উপজেলার এক মাদরাসা ছাত্রী কিশোরীকে (১৭) প্রেমের ফাঁদে ফেলে ঢাকার যাত্রা বাড়ির একটি পতিতালয়ে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

    ভুক্তভোগী মাদরাসা ছাত্রী উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং স্থানীয় ফাজিল মাদরাসা থেকে চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন।

    রোববার (২২ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম। এর আগে, গত ৭ মে জেলা শহর মাইজদী থেকে ভিকটিমকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাগিয়ে নেয় কথিত প্রতারক প্রেমিক।

    অভিযুক্ত শুভ জিৎ মন্ডল (১৯) সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার বদরতলা গ্রামের শংকর মন্ডলের ছেলে।

    পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম স্থানীয় একটি মাদরাসায় পড়ালেখার পাশাপাশি চাকরি করত। কয়েক মাস আগে ওই কিশোরীর সাথে সাতক্ষীরার শুভ জিৎ মন্ডল নামে এক যুবকের ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে প্রথম পরিচয় হয়। এরপর শুভ মন্ডল তার ধর্মীয় পরিচয় গোপন করে টেলিগ্রামে কথাবার্তা বলে কিশোরীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরবর্তীতে কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত ৭ মে জেলা শহর মাইজদী থেকে ঢাকায় নিয়ে যায়। সেখানে ওই কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে তাকে পতিতালয়ে বিক্রি করে দেয়। ভুক্তভোগী কিশোরী সেখানে থাকা আরেক মেয়ের মোবাইল থেকে বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়। পরিবারের সদস্যরা ১৫ জুন বিকেলে একটি সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহায়তায় ঢাকার যাত্রা বাড়ির জুরাইন এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে উদ্ধার করে। নির্যাতিত কিশোরী বর্তমানে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

    সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, ভিকটিম পড়ালেখার পাশাপাশি চাকরি করে। একটা ছেলের সাথে টেলিগ্রামে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়। প্রেমের সম্পর্কের পরে ভিকটিম ছেলের সঙ্গে নোয়াখালী থেকে চলে যায়। পরে ভিকটিম ধর্ষণের শিকার হয়। এরপর প্রেমিক তার এক বন্ধুর কাছে তাকে দিলে সে আবার তাকে পতিতালয়ে দিয়ে দেয় বলে ভুক্তভোগীর অভিযোগ। তবে ভিকটিম জায়গা চিনে না। এ ঘটনায় মামলা নেওয়া হচ্ছে। তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • যে ৫টি প্রমাণ থাকলেই আপনি জমির মালিক, দলিল না থাকলেও চলবে!

    যে ৫টি প্রমাণ থাকলেই আপনি জমির মালিক, দলিল না থাকলেও চলবে!

    দলিল না থাকলেও আপনি জমির মালিক হতে পারেন—শুনে অবাক হচ্ছেন? হ্যাঁ, বাংলাদেশে জমির মালিকানা প্রমাণের জন্য দলিল ছাড়াও পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র বা প্রমাণ থাকলেই আইনি স্বীকৃতি পাওয়া সম্ভব। সুপ্রিম কোর্টের রায় ও বিদ্যমান ভূমি ব্যবস্থাপনার আলোকে এই সুযোগ এখন বাস্তব।

    দলিল হারিয়ে গেলেও ভয় নেই
    অনেক সময় দেখা যায় জমির দলিল হারিয়ে যায়, পুড়ে যায় বা শত্রুতাবশত নষ্ট হয়ে যায়। এমনকি কখনো তা করা হয় পারিবারিক বিরোধের জের ধরে। এই অবস্থায় চিন্তার কিছু নেই—যদি আপনি নিচের ৫টি মূল প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেন, তাহলে আপনি আইনত জমির প্রকৃত মালিক বলে বিবেচিত হবেন।

    ✅ জমির মালিকানা দাবি করার জন্য ৫টি মূল প্রমাণ
    ১. খতিয়ান (CS, SA, RS, BS ইত্যাদি)
    খতিয়ান হলো সরকার কর্তৃক পরিচালিত ভূমি জরিপের একটি নথি, যেখানে মালিকের নাম, জমির পরিমাণ, দাগ নম্বর, সীমানা, অবস্থান, খাজনার পরিমাণ প্রভৃতি তথ্য থাকে। এটি আপনার জমির ঐতিহাসিক মালিকানার প্রাথমিক প্রমাণ।
    Ezoic

    ২. নামজারি/খারিজ (Mutation Record)
    আপনি যদি ক্রয়সূত্রে বা উত্তরাধিকারসূত্রে জমি পান, তবে আপনাকে অবশ্যই জমি নিজের নামে নামজারি করতে হবে। এটি সরকারী খতিয়ানে আপনার নাম অন্তর্ভুক্ত করে। খতিয়ানের একাধিক মালিক থাকলে জমা খারিজের মাধ্যমে আলাদা আলাদা খতিয়ান তৈরি করা হয়।

    ৩. ভোগদখল প্রমাণ
    আপনি কত বছর ধরে জমি ব্যবহার করছেন, তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনার বা আপনার পূর্বপুরুষের দখলে থাকা জমি আপনি নিয়মিত চাষ করছেন বা ঘরবাড়ি বানিয়ে বসবাস করছেন—এমন তথ্যই “ভোগদখল” হিসেবে গণ্য হয়। আইনে তিন ধরনের দখল বৈধ: প্রকৃত, গঠনমূলক এবং যৌথ দখল।

    জমির মালিকানা দাবি করার জন্য ৫টি মূল প্রমাণ
    ১. খতিয়ান (CS, SA, RS, BS ইত্যাদি)
    খতিয়ান হলো সরকার কর্তৃক পরিচালিত ভূমি জরিপের একটি নথি, যেখানে মালিকের নাম, জমির পরিমাণ, দাগ নম্বর, সীমানা, অবস্থান, খাজনার পরিমাণ প্রভৃতি তথ্য থাকে। এটি আপনার জমির ঐতিহাসিক মালিকানার প্রাথমিক প্রমাণ।

    ২. নামজারি/খারিজ (Mutation Record)
    আপনি যদি ক্রয়সূত্রে বা উত্তরাধিকারসূত্রে জমি পান, তবে আপনাকে অবশ্যই জমি নিজের নামে নামজারি করতে হবে। এটি সরকারী খতিয়ানে আপনার নাম অন্তর্ভুক্ত করে। খতিয়ানের একাধিক মালিক থাকলে জমা খারিজের মাধ্যমে আলাদা আলাদা খতিয়ান তৈরি করা হয়।

    ৩. ভোগদখল প্রমাণ
    আপনি কত বছর ধরে জমি ব্যবহার করছেন, তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনার বা আপনার পূর্বপুরুষের দখলে থাকা জমি আপনি নিয়মিত চাষ করছেন বা ঘরবাড়ি বানিয়ে বসবাস করছেন—এমন তথ্যই “ভোগদখল” হিসেবে গণ্য হয়। আইনে তিন ধরনের দখল বৈধ: প্রকৃত, গঠনমূলক এবং যৌথ দখল।

    ৪. খাজনা রশিদ (Tax Receipt)
    আপনি নিয়মিত জমির খাজনা পরিশোধ করছেন কি না, তা একটি বড় প্রশ্ন। বর্তমানে অনলাইনেও খাজনা পরিশোধ সম্ভব এবং সেই রশিদ জমির ব্যবহারের প্রমাণ হিসেবে কাজ করে।

    ৫. ডিসিআর (Duplicate Carbon Receipt)
    এটি হলো দলিলভিত্তিক রেকর্ড পরিবর্তনের প্রমাণপত্র, যেখানে সরকার প্রদত্ত ফি দিয়ে আপনার নাম সরকারী খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়ার সাক্ষ্যপত্র থাকে। দলিল না থাকলেও নামজারির মাধ্যমে আপনি ডিসিআর পাবেন, যা আইনি মালিকানার বড় দলিল।