Category: bangla

  • ড. ইউনূস বললেন ডিসেম্বর-জুনে নির্বাচন, অতি উত্তরে তারেক রহমান যা বললেন

    ড. ইউনূস বললেন ডিসেম্বর-জুনে নির্বাচন, অতি উত্তরে তারেক রহমান যা বললেন

    জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে উত্তপ্ত রাজনৈতিক অঙ্গন। নির্বাচন প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোকে আস্থায় নিতে না পারায় অন্তর্বর্তী সরকারকে সংকটের মুখে দাঁড় করিয়েছে। নানা ইস্যুতে টানাপোড়েন, নির্বাচন নিয়ে অস্পষ্টতা ও রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে দূরত্ব বাড়ছে অন্তর্বর্তী সরকারের। এ অবস্থায় দ্রুত নির্বাচনের তাগাদা দিয়েছে বিএনপি। তবে বিএনপির এ তাগাদা আমলে না নিয়ে নিজেদের পূর্বের কথাই অর্থাৎ ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

    বুধবার (২৮ মে) নির্বাচন ইস্যুতে আবারও পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

    আরও পড়ুনঃ আসলেই কি মেয়র নির্বাচন করবেন সাদিক কায়েম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ?
    প্রধান উপদেষ্টা এ মুহূর্তে জাপানে অবস্থান করছেন। বুধবার জাপানের টোকিওর ইম্পেরিয়াল হোটেলে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং জাপান-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ লিগের সভাপতি তারো আসোর সঙ্গে এক বৈঠকে ড. ইউনূস বলেন, যেকোনো পরিস্থিতিতে আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

    এদিকে ঢাকায় বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ‘তারুণ্যের সমাবেশে’ ভার্চুয়ালি বক্তব্যে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জানিয়েছেন, ‘আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হতে হবে, ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

    আরও পড়ুনঃ সচিবালয় অভিমুখে ইশরাক সমর্থকদের লংমার্চ কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা
    তিনি দলীয় নেতাকর্মী ও দেশবাসীকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন যাতে অনুষ্ঠিত হয় তার প্রস্তুতি নিতে শুরু করুন। কারা আপনাদের প্রতিনিধি হবে সেটি আপনারাই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন।’

    তিনি বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে মনে হয় এরই ভেতরে টালবাহানা শুরু হয়েছে বা চলছে। কথিত অল্প সংস্কার আর বেশি সংস্কারের অভিনব শর্তের আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছে আগামী জাতীয় নির্বাচনের ভবিষ্যত। জনগণ বিশ্বাস করতে শুরু করেছে সংস্কার নিয়ে সময়ক্ষেপণের আড়ালে অন্তর্বর্তী সরকারের ভেতরে ও বাইরে কারও কারও মনে হয় ভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে।

  • কারও বিচার করতে হলে তা বিএনপি করবে: আমীর খসরু

    কারও বিচার করতে হলে তা বিএনপি করবে: আমীর খসরু

    অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ দেয়া। কিন্তু ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করার জন্যই নির্বাচন বিলম্ব করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমদু চৌধুরী।

    মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নোয়াখালীর মাইজদীতে বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।

    তিনি বলেন, যত দিন যাচ্ছে ততই নির্বাচন দীর্ঘায়িত করা হচ্ছে। এতে বর্তমান সরকার নিয়ে মানুষের মধ্যে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে বিষয়টি ভেবে দেখতে হবে। সংস্কারের কথা বলে নির্বাচনকে বিলম্বিত করার সুযোগ নেই।

    তিনি আরও বলেন, সকলের সমর্থন নিয়ে এই সরকার গঠিত হয়েছে। নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার প্রয়োজন। এজন্যই বিএনপি সরকারকে সমর্থন দিয়েছে।

  • জাপান কে নির্বাচনের সঠিম সময় জানালেন প্রধান উপদেষ্টা

    জাপান কে নির্বাচনের সঠিম সময় জানালেন প্রধান উপদেষ্টা

    টোকিও’র ইম্পেরিয়াল হোটেলে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী তারো আসো। ছবি : প্রধান উপদেষ্টার ফেইসবুক পেইজ

    অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দেশের জাতীয় নির্বাচন ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে যেকোনো সময় অনুষ্ঠিত হবে।

    বুধবার (২৮ মে) অধ্যাপক ড. ইউনূসের সঙ্গে টোকিওর ইম্পেরিয়াল হোটেলে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং জাপান-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ লিগের (জেবিপিএফএল) সভাপতি তারো আসো সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

    আরও পড়ুনঃ বৈঠকে যেসব সিদ্ধান্ত নিল উপদেষ্টা পরিষদ
    প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ব্রিফিংয়ে বলেন, অধ্যাপক ইউনূস ছয় মাসের সময়সীমা নির্ধারণ করেছেন এবং সেই সময়ের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

    প্রেস সচিব বলেন, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হওয়ার সাথে সাথেই অধ্যাপক ড. ইউনূস জাতীয় নির্বাচনের জন্য একটি নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করবেন।

    জাপানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধু তারো আসো বাংলাদেশকে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য অধ্যাপক ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ জানান এবং একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য একটি সাধারণ নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

  • পটাশিয়াম ও মিষ্টি দিয়ে বানানো হতো ‘নারী বশীকরণ’ ফাঁদ, ‘তান্ত্রিক’ গ্রেপ্তার

    পটাশিয়াম ও মিষ্টি দিয়ে বানানো হতো ‘নারী বশীকরণ’ ফাঁদ, ‘তান্ত্রিক’ গ্রেপ্তার

    ফেসবুকে তান্ত্রিক সাধনার বিজ্ঞাপণ দিয়ে প্রতারণা ও জিম্মি করার মাধ্যমে নারীদের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাৎকারী এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। বুধবার (২৮ মে) সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খানের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ফেসবুক পেজের মাধ্যমে প্রচারণা চালিয়ে তান্ত্রিক আসাদ আহমেদ চৌধুরী নামে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে অভিনব ফাঁদ পেতে নারীদের বশীকরণ ও ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আত্মসাৎ করতেন এই প্রতারক। তার প্রকৃত নাম মো. আব্দুস সবুর (২৫)। তিনি কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার মোকাম গ্রামের মো. তপন মিয়ায় ছেলে।

    মো. আব্দুস সবুরের প্রতারণার পদ্ধতি জানিয়ে ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ৭টি পেজ খুলে নিজেকে ভারতীয় কামরূপ কামাখ্যার তান্ত্রিক হিসেবে পরিচয় দিতেন সবুর। এসব পেজে তিনি বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দেয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করতেন—যেমন দাম্পত্য কলহ, প্রেমের জটিলতা, কঠিন রোগ থেকে মুক্তি, বিয়ে না হওয়া ইত্যাদি। ভুক্তভোগীরা এসব পেজে দেয়া নম্বরে যোগাযোগ করলে তিনি তাদেরকে হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে সংযুক্ত করতেন।

    পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ভুক্তভোগীদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ শুরু হলে তিনি প্রথমেই আশ্বস্ত করতেন, কোনো টাকা লাগবে না—শুধু আধ্যাত্মিক নিয়ম মেনে চললেই হবে। এরপর ধাপে ধাপে শুরু হতো প্রতারণার অভিনব কৌশল। প্রথমে ‘কাফনের কাপড়’, ‘চুল’, বা কোনো ‘বিশেষ পণ্য’ কেনার জন্য টাকা দাবি করতেন। বলতেন, এসব আচার করতে হয় এবং এগুলো না হলে জিনের প্রভাব যাবে না। সবচেয়ে ভয়াবহ প্রতারণার ধাপ ছিল ‘পটাশিয়াম ও মিষ্টি’ দিয়ে বানানো এক অভিনব ফাঁদ। ভুক্তভোগীকে বলা হতো গভীর রাতে গোসল করে ধ্যান করতে এবং তার দেয়া নিয়মে হাতে পটাশিয়াম নিয়ে সেই হাতেই মিষ্টি রাখতে।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৈজ্ঞানিকভাবে পটাশিয়াম ও মিষ্টির সংমিশ্রণে রসায়নিক বিক্রিয়ায় হালকা বিস্ফোরণ বা আগুন সৃষ্টি হতো—ফলে হাতে ফোসকা পড়ত।
    এই ভয় ও আতঙ্ককে ব্যবহার করে সবুর বলতেন, ‘তুমি জিনের রোষে পড়েছো—এখন আরেকটা উচ্চতর সাধনা করতে হবে। এজন্য তোমার নগ্ন শরীরে বিশেষ তেল (পনি) মেখে নির্দেশনা অনুযায়ী ছবি বা ভিডিও পাঠাতে হবে।’ ভয় পেয়ে কেউ নগ্ন ছবি বা ভিডিও পাঠালে শুরু হতো ব্ল্যাকমেইল। ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করতেন। ভিকটিমরা মানসম্মান ও সামাজিক বিবেচনায় অনেকেই মুখ খুলতে সাহস করতেন না, বরং একপর্যায়ে আরও অর্থ দিতে বাধ্য হতেন।

    এতে আরও বলা হয়েছে, এই ধরণের প্রতারণার শিকারদের একজন সেলিনা আক্তার (ছদ্ম নাম)। গত বছরের ২০ জানুয়ারি ফেসবুকে “তান্ত্রিক আসাদ চৌধুরী” নামক একটি পেজের মাধ্যমে সবুরের সঙ্গে পরিচিত হন। সবুর নিজেকে তান্ত্রিক হিসেবে পরিচয় দিয়ে সেলিনার সঙ্গে তার স্বামীর সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করে দেয়ার প্রলোভন দেখান। একপর্যায়ে সবুর মোবাইল ফোনে সেলিনার অশ্লীল ভিডিও ধারণ করেন এবং পরে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে তার কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে ১৪ লাখ ১২ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী গত ১ ফেব্রুয়ারি কুমারখালী থানায় মামলা করেন। মামলাটির তদন্তভার সিআইডি নেয়ার পর মঙ্গলবার গভীর রোতে কুমিল্লার বুড়িচং থানাধীন মোকাম এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

    এ ধরনের ডিজিটাল প্রতারণা অথবা সাইবার ক্রাইমের শিকার হলে সাইবার পুলিশ সেন্টার, সিআইডির ০১৩২০০১০১৪৬, ০১৩২০০১০১৪৭, ০১৩২০০১০১৪৮ হটলাইন নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

  • ঘুষের টাকাসহ বিএনপি নেতাকে আটক করল দুদক

    ঘুষের টাকাসহ বিএনপি নেতাকে আটক করল দুদক

    কক্সবাজারে ফাঁদ পেতে ঘুষের টাকাসহ কামরুল হাসান নামের একজন বিএনপি নেতাকে আটক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বুধবার তাকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়। আদালতের বিচারক শ্রীজ্ঞান তঞ্চঙ্গাঁ দুপুরে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

    এর আগে সকালে আটক কামরুল হাসান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক (১৬৪ ধারায়) জবানবন্দি দেন। কামরুল হাসান জেলার কুতুবদিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক।

    বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের কক্সবাজার আদালতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর রহিম বলেন, আটক কামরুল হাসান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পাশাপাশি আদালতের নির্দেশে কামরুল হাসানকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

    মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, কুতুবদিয়া উপজেলার বাসিন্দা আজিজুল হক নামের এক ব্যক্তির কক্সবাজার জেলা পরিষদের জমিতে ৬টি দোকান নির্মাণ করে মাসিক ৬ হাজার ২৪০ টাকা করে জেলা পরিষদকে ভাড়া দিয়ে আসছে। এরইমধ্যে আজিজুল হকের কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন জেলা পরিষদের নিম্নমান সহকারী রেজাউল করিম। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আজিজুল হক প্রথমে ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার জন্য মঙ্গলবার বিকেলে জেলা পরিষদে রেজাউল করিমের কক্ষে যান। এ সময় রেজাউল করিম ৫০ হাজার টাকা নিয়ে পাশে অবস্থান করা কামরুল হাসানের হাতে দিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে যান। ফাঁদ পেতে অবস্থান নেওয়া দুদকের টিম দ্রুত রুমে ঢুকে ৫০ হাজার টাকাসহ কামরুল হাসানকে আটক করে। পরে এ ঘটনায় দুদকের কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. শাখাওয়াত হোসেন বাদী হয়ে রেজাউল করিম ও কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

  • সাতক্ষীরার সুপরিচিত ‘লম্বা দাঁড়ি’ খ্যাত মোঃ আব্দুল কুদ্দুস খোকা চাচার ইন্তেকাল

    সাতক্ষীরার সুপরিচিত ‘লম্বা দাঁড়ি’ খ্যাত মোঃ আব্দুল কুদ্দুস খোকা চাচার ইন্তেকাল

    সাতক্ষীরার সুপরিচিত ‘লম্বা দাঁড়ি’ খ্যাত মোঃ আব্দুল কুদ্দুস খোকা চাচার ইন্তেকাল

    সাতক্ষীরার একজন সুপরিচিত মুখ, ‘বাংলাদেশের লম্বা দাঁড়ি’ নামে খ্যাত মোঃ আব্দুল কুদ্দুস খোকা চাচা আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন)।

    তিনি সোমবার রাতে (তারিখ উল্লেখ করুন) ইন্তেকাল করেছেন। তার মৃত্যুর খবরে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

    দীর্ঘ দাঁড়ির জন্য তিনি এলাকায় এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ছিলেন পরিচিত এক ব্যক্তিত্ব। শুধু বাহ্যিক অবয়ব নয়, তার চরিত্র ও ব্যবহারও ছিল সকলের প্রিয়। এমন সৌম্য ও সুন্দর মানুষ খুব কম দেখা যায় — স্থানীয়রা এমনই মন্তব্য করেছেন।

    আরও পড়ুনঃ সচিবালয় অভিমুখে ইশরাক সমর্থকদের লংমার্চ কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা
    মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

    আমরা তার রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। আল্লাহ যেন তাকে ক্ষমা করে জান্নাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করেন এবং পরিবার-পরিজনকে এ শোক সহ্য করার তাওফিক দিন।

  • আবরার ফাহাদকে হত্যা জায়েজ ছিল : ছাত্র ইউনিয়ন নেতা

    আবরার ফাহাদকে হত্যা জায়েজ ছিল : ছাত্র ইউনিয়ন নেতা

    বুয়েট শিক্ষার্থী শহীদ আবরার ফাহাদকে হত্যা করা জায়েজ (বৈধ) ছিল বলে মনে করেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি শাহরিয়ার ইব্রাহিম।

    বুধবার (২৮ মে) এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে এ মন্তব্য করেন তিনি। তার এ স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে সমালোচনার ঝড় বইছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে।

    জানা যায়, মঙ্গলবার (২৭ মে) রাতে শহীদ আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ তার নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘এটিএম আজহারের মুক্তিতে শাহবাগের কণ্ঠে আজ পরাজয়ের আর্তনাদ শোনা যাচ্ছে। একাত্তরের প্রকৃত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পথ চিরদিনের জন্য ধ্বংস করেছে এ শাহবাগই।’

    আরও পড়ুনঃ ব্যারিকেড সরলেও রয়েছে পুলিশ, কাকরাইল ফিরেছে পুরোনো রূপে
    এই স্ট্যাটাসের ওপর ভিত্তি করে বার্তা বাজার তাদের ফেসবুক পেজে একটি ফটো কার্ড শেয়ার করে। পরে আজ এই ফটো কার্ড নিজের ফেসবুক আইডিতে শেয়ার করেন ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি শাহরিয়ার ইব্রাহিম। সেখানে তিনি লিখেন, ‘জাশির কুত্তা আবরার ফাহাদকে হত্যা কেন জায়েজ ছিল দেখ তোরা।’

    এ বিষয়ে শাহরিয়ার ইব্রাহিমের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শিমুল কুম্ভকার এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি কালবেলাকে বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে জানি না। কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।’

    আরও পড়ুনঃ সারজিসের বিরুদ্ধে আদালত অভিযোগ দাখিল
    এদিকে শাহরিয়ার ইব্রাহিমের এ মন্তব্যের পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ ঝাড়ছেন নেটিজেনরা। নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের হাতে শহীদ হওয়া একজন ভুক্তভোগীকে নিয়ে এ ধরনের মন্তব্য আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের আচরণের সঙ্গে মিল রয়েছে মনে করছেন তারা।

    উম্মে সালমা নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থী লিখেছেন, ‘লীগ আর বাম একই বৃন্তে দুটি ফুল। ছাত্র ইউনিয়নের নেতা আবরার ফাহাদকে নিয়ে এমন কটূক্তি করে, আর নতুন পুরাতন সব রাজনৈতিক দল তাদের শেল্টার দেয়, ছিঃ। আবরার ফাহাদের ত্যাগ ভারত এবং কালচারাল ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে আমাদের প্রেরণা জোগায়।’

    আরও পড়ুনঃ শাহাবাগীদের আর্তনাদ, যা বললেন আবরার ফাইয়াজ
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলাম রফিক লিখেছেন, ‘ছাত্র ইউনিয়ন নেতা এভাবে ছাত্রলীগ কর্তৃক আবরার ফাহাদকে হত্যার বৈধতা দিচ্ছেন। বামরা ফ্যাসিবাদের দোসর না তারা হচ্ছে ফ্যাসিবাদের উৎপাদক। এদেরও বিচার হওয়া উচিত। ছাত্র ইউনিয়ন সক্রিয় থাকা মানে বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের পতন হয়নি। ফ্যাসিবাদের উৎপাদক হচ্ছে ছাত্র ইউনিয়ন এবং ২০১৩ সালের শাহবাগ।’

  • জয়পুরহাটে দিনদুপুরে ছাত্রদল নেতাকে হত্যা অতঃপর…

    জয়পুরহাটে দিনদুপুরে ছাত্রদল নেতাকে হত্যা অতঃপর…

    জয়পুরহাট শহর ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ (সিনিয়র) যুগ্ম আহ্বায়ক বিল্পব আহম্মেদ পিয়াল দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন। বুধবার (২৮ মে) দুপুরে শহরের পৌর এলাকার ইসলামনগর তার বাড়ির এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার পিয়ালের বাসস্থান পৌরসভার ইসলামনগর এলাকায় দুপুরের দিকে কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাকে ঘিরে ধরে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে জয়পুরহাট ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক পিয়ালকে মৃত ঘোষণা করেন।

    জয়পুরহাট জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মামুনুর রশিদ প্রধান বলেন, পিয়ালের এলাকায় মাদককারবারিদের বিরুদ্ধে জোরালো অবস্থান নেন তিনি। এ কারণে মাদককারবারিরা তাকে হত্যা করেছে। এ বছরের মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়েও মাদককারবারিরা তাকে হত্যার চেষ্টা করে। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানাই।

    লালমনিরহাট সদর থানার ওসি নুর আলম সিদ্দিক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছে।

  • ৫০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে মূল বেতন, কর্মচারীদের জন্য বিশাল সুখবর

    ৫০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে মূল বেতন, কর্মচারীদের জন্য বিশাল সুখবর

    যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে তাহলে খুব শীঘ্রই আগামী বছরের শুরুর দিকে নতুন বেতন কমিশন চালু হতে পারে ভারতে।

    ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারীদের জন্য বড় সুখবর। এক ধাক্কায় ১৮৬ শতাংশ বাড়তে পারে তাদের মূল বেতন।

    অষ্টম বেতন কমিশন ঘোষণার আগে এই নিয়ে একটা জল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও সরকারি ভাবে এখনো কোনো ঘোষণা আসেনি, তবুও কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা এখন বেতন বৃদ্ধির আশা করছেন।

    এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ন্যূনতম মূল বেতনের পরিমাণ ১৮ হাজার টাকা। এর উপরে মহার্ঘ ভাতা এবং অন্যান্য ভাতা পাওয়া যায়। সপ্তম বেতন কমিশনে এই টাকার অংক ঠিক করা হয়েছিল এবং এখনো পর্যন্ত এই একই বেতন চলে আসছে। ষষ্ঠ বেতন কমিশনে মাসে ৭০০০ টাকা ছিল কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের বেসিক বেতন।

    ইতিমধ্যেই অষ্টম বেতন কমিশন নিয়ে মুখ খুলেছেন ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ জয়েন্ট কনসাল্টেটিভ মেশিনারির সচিব শিব গোপাল মিশ্র। তিনি বলছেন, বেতন নির্ধারণের ভিত্তি নতুন পে কমিশন চালু হলে হবে ২.৮৬। এর আগে সপ্তম বেতন কমিশনে কিন্তু এটা ছিল ২.৫৭।

    ফলে সবমিলিয়ে ২৯ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি পাবে বেতন। তিনি বলছেন, যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে তাহলে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের প্রতি মাসের ন্যূনতম মূল বেতন বেড়ে দাঁড়াবে ৫১ হাজার ৪৮০ টাকা। ফলে অষ্টম বেতন কমিশনে অনেকটাই বেশি বেতন পাবেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা। বেতনের পাশাপাশি সমস্ত ধরনের মহার্ঘ ভাতা পাওয়া যাবে। সঙ্গেই পেনশন তারা পাবেন।

    বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের ন্যূনতম পেনশন ধার্য রয়েছে ন’হাজার টাকা। মিশ্রের অনুমান মিললে সেখানেও ১৮৬ শতাংশের বৃদ্ধি দেখা যাবে। সে ক্ষেত্রে ন্যূনতম পেনশন এক লাফে ২৫ হাজার ৭৪০ টাকায় গিয়ে পৌঁছতে পারে। অষ্টম বেতন কমিশনের ব্যাপারে এখনও সরকারি ভাবে কোনও ঘোষণা করেনি নরেন্দ্র মোদী সরকার।

  • স্ত্রীর এই ছবিটি দেখা মাত্রই ডিভোর্স দেন স্বামী

    স্ত্রীর এই ছবিটি দেখা মাত্রই ডিভোর্স দেন স্বামী

    অন্যান্য একজন স্বামী যখন তার হাসিমুখ ওলা স্ত্রীর ছবি তোলেন, তখন সবাই মনে করে ইন্টারনেটে এটি সবচেয়ে সুন্দর জিনিস। একজন স্ত্রী তার স্বামীর জন্য হাসছেন । স্বামী ২০ দিন সময় পর তার প্রেমময় স্ত্রী কাছে বাড়িতে ফিরে আসেন, তাহলে একবার কল্পনা করুন যে সে এতদিন পর স্ব-শরীরে তার স্বামীকে দেখবে!

    কিন্তু সত্য এটা নয় যা মনে করা হচ্ছে সত্য এবং কল্পনা একে অপরের থেকে পোলার বিপরীতে এবং আমরা পাশাপাশি পার্শ্ব তুলনা যখন করবো তখন তাদের পার্থক্য দেখতে পাবেন ।

    কিন্তু এই ক্ষেত্র সবসময় হয় না। কাছ থেকে একবার পরীক্ষা করুন! কাছ থেকে ছবি পরীক্ষা করলে সত্য উদ্ঘাটন হবে। আমরা এই ছবিটির উপর থেকে পর্দা সরানোর আগে, দয়া করে এটির উপর কোনো অযৌক্তিক বিবরণ সন্ধান করবেন না। ঠিক আছে? পরবর্তী দেখুন!

    ছবিটিতে কি দেখছেন আমরা দেখছি একটা সুন্দর মেয়ে তার বিছানায় সাধারন পোশাক পরে এবং বিশ্রাম অবস্থায় বসে আছে । তার চারপাশে ঘিরে চশমা, বালিশ, একটি বড় বিপজ্জনক কাছাকাছি ঘেঁষে আসা ফ্যান এবং তার স্মার্টফোন যা একটি চার্জারের সাথে সংযুক্ত করা আছে। এতদূর পর্যন্ত অস্পষ্ট কিছুই না? মনে হয় মেয়েটি গ্রীষ্মের তাপ দ্বারা ভয়ঙ্করভাবে প্রভাবিত হয়েছে এবং ঠান্ডা থাকার জন্য তার মুখের সামনে ফ্যান টা নিয়ে এসেছে, আমরা খুব ভয়ানক কিছু দেখছি না। বিশাল ফ্যানটি মনে হচ্ছে প্রান্তের খুব কাছাকাছি। কিন্তু এটা কি ঠিক? ভুল।

    ঠিক আছে তা আপনি এটা লক্ষ্য করেছেন? ঠিক আছে আমরা আপনার জন্য জিনিসগুলিকে আরও সহজ করে তুলছি । ছবির অর্ধেক ডান দিকটি লক্ষ্য করুন।

    আশ্চর্যজনক ছবিটি দেখায় আপনার চোখে পড়ার মত একজন মানুষ তার পিছনে লুকিয়ে আমরা কখনো দেখেছি সবচেয়ে ভয়ানক, বিরক্তিকর, অক্ষম, বিস্ময়কর জিনিস। একটি নিখুঁত ছবি যা একটি মারাত্মক চমৎকার ছিল আমাদের খুব বিস্মিত করেছে! নীচের ডান দিকের কোণায় একটি মানুষ তার পিছনে লুকিয়ে!

    কেন আপনি তাকে লক্ষ্য করতে পারেননি আমরাও পারব না, স্বামী নিজেই ফেসবুক বন্ধুদের এই কৌতুক প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছেন। কোন এক ছবির সাথে অপ্রীতিকর কিছু যুক্তি যোগ হতে পারে তাই কয়েক দিন পরে তিনি গোপন তথ্যটি নিজেই প্রকাশ করেন।