Category: bangla

  • দুই বছরের আতিকের মৃত্যু ‘দুর্ঘটনা’ ছিল না,ভাবীর কল রেকর্ডেই ফাঁস পুরো সত্য

    দুই বছরের আতিকের মৃত্যু ‘দুর্ঘটনা’ ছিল না,ভাবীর কল রেকর্ডেই ফাঁস পুরো সত্য

    কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায় আতিকুল ইসলাম নামে দুই বছরের এক শিশুকে গলা টিপে হত্যার পর বালতির পানিতে চুবিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে ভাবী খাদিজা আক্তারের বিরুদ্ধে। ঘটনার প্রায় এক বছর পর কল রেকর্ডের সূত্র ধরে হত্যার রহস্য উন্মোচিত হয়। মঙ্গলবার (২৭ মে) আদালতের নির্দেশে পিবিআই শিশুটির মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

    নিহত আতিকুল ইসলাম উপজেলার মাইজখার ইউনিয়নের আলিকামোড়া গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে আতিক ছিল সবার ছোট।

    স্থানীয়রা ও মামলার নথি থেকে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১৮ মে ঘটনার দিন আতিক ঘরে পানি ফেলায় ক্ষিপ্ত হয়ে ভাবী খাদিজা আক্তার তাকে গলা টিপে হত্যা করেন। পরে মরদেহ বাথরুমের বালতির পানিতে চুবিয়ে রেখে তিনি অপমৃত্যুর নাটক সাজান। পরিবারের সবাই শিশুটির মৃত্যু পানিতে ডুবে হয়েছে বলে ধরে নিয়ে দাফন সম্পন্ন করে।

    তবে শিশুটির মা হাছিনা আক্তার প্রথম থেকেই সন্তানের মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। বালতির পানিতে পড়ে মৃত্যুর কথা তিনি কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না। চার মাস পর প্রবাসে থাকা বড় ছেলে হানিফের সঙ্গে ভাবী খাদিজার ফোনালাপের একটি রেকর্ডে হত্যার বিষয়টি প্রকাশ পায়। কল রেকর্ডে খাদিজা নিজের মুখেই হত্যার কথা স্বীকার করেন। এরপর হাছিনা আক্তার আদালতে মামলা দায়ের করেন।

    মঙ্গলবার আদালতের নির্দেশে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কুমিল্লার পরিদর্শক মো. দিদারুল ফেরদৌসের নেতৃত্বে মরদেহ উত্তোলন করা হয়। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চান্দিনা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়সাল আল নুর।

    পিবিআই পরিদর্শক দিদারুল ফেরদৌস বলেন, “মামলার গুরুত্ব বিবেচনায় এবং সঠিক তদন্তের স্বার্থে আদালতের নির্দেশে মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।”

    শিশুটির মা হাছিনা আক্তার বলেন, “আমার ছোট ছেলে আতিক খুব দুষ্টু ছিল। সেদিন আমি পাশের বাড়িতে গেলে সে ঘরে পানি ফেলে। এই ঘটনায় আমার পুত্রবধূ তাকে গলা টিপে হত্যা করে। বাড়ি ফিরে ছেলেকে খুঁজতে গিয়ে দেখি সে বালতির পানিতে মাথা নিচু করে পড়ে আছে। আমি তখনই বলেছিলাম, ‘আমার ছেলেকে মেরে ফেলা হয়েছে।’ কিন্তু কেউ বিশ্বাস করেনি।”

    তিনি আরও বলেন, “১৫ দিন পর খাদিজা তার বাবার বাড়ি চলে যায়। পরে সেখানে থেকে আমার বড় ছেলে হানিফের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় হত্যার কথা স্বীকার করে।”

    স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মৃত্যুর সময় শিশুটির গলায় দাগ ছিল। তবে সবাই সেটিকে বালতির কিনারায় লেগে যাওয়া আঘাত বলে মনে করে গুরুত্ব দেয়নি। কল রেকর্ড প্রকাশ হওয়ার পর সবার ভুল ভেঙে যায়। এলাকাবাসীর দাবি, এ ঘটনার সুষ্ঠু ও দ্রুত বিচার হওয়া উচিত।

    অভিযুক্ত খাদিজা আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। পিবিআই জানিয়েছে, তদন্তের স্বার্থে কল রেকর্ডের ফরেনসিক বিশ্লেষণও করা হবে।

    সূত্র: জনকণ্ঠ

  • ভয়ে জানালা দিয়ে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা ফেলে দিলেন সরকারি কর্মকর্তা

    ভয়ে জানালা দিয়ে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা ফেলে দিলেন সরকারি কর্মকর্তা

    ভারতের ওড়িশার ভুবনেশ্বরে দুর্নীতি দমন দপ্তরের অভিযানে রাজ্য সরকারের পল্লী উন্নয়ন দপ্তরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার বৈকুন্ঠ নাথ শরণগীর বিরুদ্ধে বড় ধরনের দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে। একসাথে সাতটি স্থানে অভিযান চালিয়ে এখন পর্যন্ত প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ টাকা নগদ উদ্ধার করেছে তদন্তকারীরা।

    ভুবনেশ্বর, আনুগুল ও পিপিলির বিভিন্ন ফ্ল্যাট ও বাড়িতে এই তল্লাশি চালানো হয়। তার মধ্যে শুধু আনুগুলের বাড়ি থেকেই পাওয়া গেছে ১ কোটি ১০ লাখ টাকা, আর ভুবনেশ্বরের একটি ফ্ল্যাট থেকে পাওয়া গেছে আরও ১ কোটি টাকা।

    আরও পড়ুনঃ হঠাৎ কেন সরে দাঁড়ালেন ইলন মাস্ক? ট্রাম্প প্রশাসনের ভেতরের গল্প ফাঁস!
    অভিযানের সময় সবচেয়ে চমকপ্রদ ঘটনা ঘটে ভুবনেশ্বরের ফ্ল্যাটে। দুর্নীতি দমন কর্মকর্তারা দরজায় পৌঁছানোর আগেই বৈকুন্ঠ নাথ শরণগী জানালা দিয়ে বান্ডিল বান্ডিল টাকা বাইরে ছুঁড়ে ফেলেন। পরে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের উপস্থিতিতে এসব টাকা জব্দ করা হয়।

    তার বিরুদ্ধে আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এই তল্লাশি অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ২৬ জন কর্মকর্তা, যাদের মধ্যে ছিলেন আটজন ডিএসপি, ১২ জন ইন্সপেক্টর ও ৬ জন এএসআই।

    দলটি এখনো জব্দকৃত টাকার হিসাব গুনে চলেছে। নগদ অর্থ ছাড়াও কিছু জমি-সম্পত্তি, ফ্ল্যাট, স্বর্ণালঙ্কার ও মূল্যবান নথিপত্র জব্দ করা হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ ‘কাশ্মীর আমাদের আত্মার অংশ’—ভারতের প্রতি ফের কড়া বার্তা পাকিস্তান সেনাপ্রধানের
    এ ঘটনায় ওড়িশায় সরকারি স্তরে দুর্নীতির বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় এসেছে। তদন্ত অব্যাহত রয়েছে এবং প্রয়োজনে আরও অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

  • নতুন করে যে বার্তা দিলেন সেনাপ্রধান

    নতুন করে যে বার্তা দিলেন সেনাপ্রধান

    জুলাই আন্দোলনের পর থেকে দেশের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা রক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা রেখে চলেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে নানা পদক্ষেপে প্রশংসা কুড়িয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকারুজ্জামান। এবার আন্তর্জাতিক পরিসরে শান্তিরক্ষায় নতুন বার্তা দিলেন তিনি।

    বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আহত শান্তিরক্ষীদের সংবর্ধনা ও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রম বিষয়ক বিশেষ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সেনাপ্রধান। সেখানে তিনি বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের সক্ষমতা ও আন্তরিকতা তুলে ধরেন।

    অনুষ্ঠানে শুরুতেই তিনি জাতিসংঘ মিশনে নিহত ১৬৮ জন বাংলাদেশি সেনা ও পুলিশ সদস্যের আত্মত্যাগ গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, এই আত্মত্যাগ জাতি চিরকাল সম্মানের সঙ্গে স্মরণ রাখবে।

    সেনাপ্রধান জানান, বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা সব সময় উন্নত প্রশিক্ষণ, নৈতিক মূল্যবোধ ও দক্ষতা নিয়ে মিশনে অংশ নেয়। তারা সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সর্বদা প্রস্তুত।

    তিনি বলেন, বিশ্ব শান্তি রক্ষায় বাংলাদেশ এখন একটি বিশ্বস্ত ও গ্রহণযোগ্য নাম। ১৯৮৮ সাল থেকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ। বর্তমানে সেনাবাহিনীর ৪৮৮০ জন, নৌবাহিনীর ৩৪৩ জন, বিমান বাহিনীর ৩৯৬ জন এবং পুলিশের ১৯৯ জনসহ মোট ৫৮১৮ জন শান্তিরক্ষী বিশ্বের নয়টি দেশে দায়িত্ব পালন করছেন।

    সেনাপ্রধান আরও জানান, সম্প্রতি কঙ্গোতে বাংলাদেশি একটি হেলিকপ্টার কন্টিজেন্ট মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া ক্যারিবিয়ানে একটি বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয়কারী যান ও সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক অনুদান হিসেবে হস্তান্তর করা হয়েছে, যা এখন স্থানীয় জনগণকে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে।

    আহত শান্তিরক্ষীদের সম্মানার্থে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সরকারের উপদেষ্টা, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, গণমাধ্যমকর্মী এবং সামরিক ও বেসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। একই দিন সকালে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উপলক্ষে ‘পিসকিপার্স রান’ কর্মসূচির আয়োজনও করা হয়।

  • সেনাবাহিনীর হাতে এনসিপি নেতা আটক

    সেনাবাহিনীর হাতে এনসিপি নেতা আটক

    দিনাজপুরের পার্বতীপুরে ট্রাকের গতিরোধ করে চাঁদিবাজির অভিযোগে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)র নেতা তারিকুল ইসলাম (৪০)কে আটক করেছে সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাতে মিঠাপুকুর-ফুলবাড়ী রোডে চাঁদাবাজির সময় তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে পার্বতীপুর মডেল থানা হস্তান্তর করা হয়।

    আটককৃত তারিকুল ইসলাম উপজেলার পশ্চিম রাজাবাসর গ্রামের মৃত মাহমুদুল সরকারের ছেলে। তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পার্বতীপুরের সংঘঠক।

    পাবতীপুর মডেল থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    থানা সূত্রে জানা যায়, কিছুদিন আগে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির পরিত্যক্ত মালামাল (স্ক্র্যাব) টেন্ডারের মাধ্যমে পায় সেনা কল্যাণ সংস্থ্যা। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সন্ধ্যার পর টেন্ডারকৃত মালামালসহ দুটি ট্রাকে করে কয়লাখনি থেকে বের হলে রাত পৌনে ৮ টার দিকে ট্রাকটি কয়লাখনি-মধ্যপাড়া সড়কের রসুলপুর নামক এলাকায় গতিরোধ করে তারিকুলসহ কয়েকজন। এ সময় তারা চাঁদা দাবি করে।

    খবর পেয়ে পার্বতীপুরে দায়িত্বরত সেনা ক্যাম্পের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তারিকুলকে আটক করে। এ সময় পালিয়ে যায় অন্যরা। পরে সেনাবাহিনী ও র‍্যাব-১৩ এর একটি দল তাকে মডেল থানায় সোপর্দ করে।

    এ ঘটনায় রাতেই সেনা কল্যাণ সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে পার্বতীপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

    সূত্র: চ্যানেল২৪

  • ভারত থেকে সুব্রত বাইনকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়! উদ্দেশ্য কী ছিল?

    ভারত থেকে সুব্রত বাইনকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়! উদ্দেশ্য কী ছিল?

    প্রায় দেড় বছর আগে শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনকে বাংলাদেশ পাঠানো হয়। রাজনৈতিক গুপ্তহত্যার উদ্যেশ্যে তাকে তৈরি করা হচ্ছিল। গ্রেপ্তার সুব্রন বাইন সম্পর্কে এমন তথ্য দিয়েছেন অনুসন্ধান সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের।

    গতকাল বৃহস্পতিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এসব তথ্য জানান তিনি।

    ওই পোস্টের সঙ্গে একটি ভিডিও দিয়েছেন তিনি। যাতে দেখা যায়, গ্রেপ্তারের পর তিনি বাংলাদেশে আসার কারণ জানাচ্ছেন। জুলকারনাইন ওই পোস্টে বলেন, প্রায় দেড় বছর আগে বিশেষ ব্যবস্থায় ভারত থেকে সুব্রত বাইনকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়। উদ্দেশ্য ছিলো টার্গেটেড রাজনৈতিক গুপ্তহত্যার উদ্দেশ্যে ভিন্ন পরিচয়ে যুক্তরাজ্যে পাঠানোর, তৈরিও করা হচ্ছিলো সেভাবে।

    তিনি আরো বলেন, কিন্তু ৫ আগস্ট ২০২৪ পরবর্তী সময়ে তার আশ্রয়দাতারা ক্ষমতাচ্যুত হয়ে যাওয়ার কারণে পেশাদার এই অপরাধী সাধারণ জনগণের সাথে মিশে যায়।

    পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কোন-কোন ব্যক্তিকে গুপ্তহত‍্যার পরিকল্পনা করছিলো সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদ এবং কারা তাদের সহায়তা করছিলেন এ বিষয়ে শিগগিরই প্রকাশ করবেন বলে জানিয়েছেন জুলাকারনাইন।

    এদিকে রাজধানীর হাতিরঝিল থানার অস্ত্র মামলায় সুব্রত বাইনকে ৮ দিন ও অপর তিনজনকে ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। পুলিশের আবেদনে বুধবার এ অনুমতি দেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইনের আদালত।

    ২০০১ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সুব্রত বাইন ও তাঁর সহযোগী মোল্লা মাসুদসহ ২৩ জনকে শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে তালিকাভুক্তির পর তাঁদের ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করে। এরপর থেকেই সুব্রত বাইন পলাতক ছিলেন। খবর পাওয়া যায়, তিনি ভারতে গ্রেপ্তার হয়ে জেলও খাটেন। তবে তিনি ভারত থেকে ঠিক কবে দেশে ফিরেছেন, সে তথ্য পাওয়া যায়নি। গতকাল বুধবার আদালতে সুব্রত বাইন দাবি করেছেন, তিনি আড়াই বছর ধরে আয়নাঘরে ছিলেন।

    তিনি বলেন, ‘আমাকে আড়াই বছর ধরে আয়নাঘরে রাখা হয়। আমাকে ৫ তারিখ (আগস্ট) রাত ৩টার দিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আমাকে মাথায় রড দিয়ে পিটিয়ে শেষ করে দিয়েছে।’

    সূত্র: কালের কণ্ঠ

  • ৪৮ ঘণ্টায় অতি ভারি বৃষ্টির শঙ্কা, নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে কিনা জানা গেল

    ৪৮ ঘণ্টায় অতি ভারি বৃষ্টির শঙ্কা, নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে কিনা জানা গেল

    বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সুস্পষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার বেগে সমুদ্রবন্দরের দিকে ধেয়ে আসছে। এতে বাড়তে পারে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ এবং সেই সঙ্গে উপকূলীয় এলাকায় প্রবল বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তবে নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে না বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

    বৃহস্পতিবার ১০টার দিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

    এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক, নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। যেহেতু নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা নেই সেহেতু সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর সতর্কসংকেতই অব্যাহত থাকছে। সতর্কসংকেত উন্নীত করার সম্ভাবনাও নেই। সাধারণত ঘূর্ণিঝড় হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে প্রথমে চার নম্বর সতর্কসংকেত এবং পরে ক্রমান্বয়ে ৫ থেকে ৭ নম্বর সতর্কসংকেত জারি করা হয়। এবার সে ধরনের কোনো সম্ভাবনা নেই।

    নিম্নচাপের প্রভাবে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশেই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। এ অবস্থা আরও দুই থেকে তিনদিন থাকতে পারে। কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে।

    আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক বলেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে।

    তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগরের সুস্পষ্ট লঘুচাপটি আজ ভোরের দিকেই নিম্নচাপে পরিণত হয়। এরপর নিম্নচাপটি দুপুর একটার দিকে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৪৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ–পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ–পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ–পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ–পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে আরও ঘনীভূত হতে পারে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

    এ আবহাওয়াবিদ বলেন, সারাদেশেই আজ সারা দিন বৃষ্টি থাকতে পারে। এছাড়া আরো ২-৩ দিন বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে দেশের চার সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। দেশের চার বিভাগেই ভারী বর্ষণের সতর্কবার্তা ইতোমধ্যেই দিয়ে রেখেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

    সাধারণত ২৪ ঘণ্টায় ১ থেকে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে সেটি হালকা, ১১ থেকে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে মাঝারি ও ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে সেটিকে মাঝারি ধরনের ভারি বৃষ্টি ধরা হয়। সাধারণত ২৪ ঘণ্টায় ১ থেকে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে সেটি হালকা, ১১ থেকে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে মাঝারি ও ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে সেটিকে মাঝারি ধরনের ভারি বৃষ্টি ধরা হয়। আর ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার হলে ভারী এবং তার চেয়ে বেশি বৃষ্টি রেকর্ড হলে সেটিকে ধরা হয় অতিভারী বৃষ্টিপাত হিসেবে।

  • বাংলাদেশে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচনের আহ্বান ভারতের

    বাংলাদেশে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচনের আহ্বান ভারতের

    দ্রুততম সময়ের মধ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছে ভারত। ওয়ার্ল্ড ইন ওয়ান নিউজের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সিদ্ধান্ত সিবাল এক্সে এ বিষয়ে একটি পোস্ট করেছেন।

    সেখানে বলা হয়েছে, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধির জয়সওয়াল বলেছেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছা ও ম্যান্ডেট নিশ্চিত করতে হবে।

  • আ.লীগের সময়ে পাচারের ২.৫ লাখ কোটি টাকার সন্ধান মিলেছে

    আ.লীগের সময়ে পাচারের ২.৫ লাখ কোটি টাকার সন্ধান মিলেছে

    আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পাচার হওয়া ২০ বিলিয়ন অর্থের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, এটা প্রাথমিক হিসাব। এখনো অধিকতর তদন্ত চলছে। দিন দিন এ অর্থের পরিমাণ বাড়ছে।

    গতকাল মঙ্গলবার (২৮ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকে এক সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর এ কথা বলেন।

    তিনি আরও বলেন, একজনই ৩৫০টি বাড়ি কিনেছেন। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে এসব অর্থ পাচার করা হয়েছে। এসব ঘটনা উদঘাটন করা গেছে। অর্থ পাচার প্রতিরোধে সমন্বয়কের দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    এক প্রশ্নের জবাবে গভর্নর বলেন, ‘পাচারের অর্থ ফেরত আনতে হবে, এ ধরনের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের জন্য নতুন। আমরা কেউ এ ধরনের কাজ করার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। পাচারের অর্থ ফেরত আনার কাজ গতিশীল করতে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। সে জন্য আইনে পরিবর্তন আনা হবে। ১১টি গ্রুপ নিয়ে যৌথ তদন্ত চলছে।

    আরও পড়ুনঃ হেফাজতের আলটিমেটামের পর কলেজশিক্ষক নাদিরাকে বদলি, ফেসবুকে সমালোচনা
    পাচারের অর্থ কবে নাগাদ ফেরত আসতে পারে, এমন এক প্রশ্নের জবাবে গভর্নর বলেন, ‘পাচারের অর্থ ফেরত আনতে তিন থেকে পাঁচ বছর সময় লেগে যাবে। ইতোমধ্যে বিদেশে একজনের সম্পদ জব্দ হয়েছে। সামনে আরও সম্পদ জব্দ হবে। আমাদের উদ্দেশ্য, পাচারকারীদের ওপর চাপ তৈরি করা, যাতে আদালতের বাইরে গিয়ে অর্থ উদ্ধার করা যায়। কাউকে জেলে নিয়ে হয়রানি করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। কারও ব্যবসা বন্ধ করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমরা কারও ব্যবসা বন্ধ করিনি। যাদের ব্যবসা বন্ধ হয়েছে, অন্য কারণে তা হয়েছে।

    দুর্বল ব্যাংকগুলোকে আগে সরকারের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে পরে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ছেড়ে দেওয়া হবে উল্লেখ করে আহসান মনসুর বলেন, এতে আমানতকারীদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই, কারণ তারা একটি শক্তিশালী ব্যাংকের অংশ হয়ে যাবেন।

    আরও পড়ুনঃ আবরার ফাহাদকে হত্যা জায়েজ ছিল
    তিনি আমানতকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, তারা যেন টাকা উত্তোলন না করেন, কারণ সরকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ায় তাদের আমানত নিরাপদই থাকবে। একীভূতকরণের আগে ব্যাংক রেজল্যুশন ফান্ড গঠনের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক তহবিল সংগ্রহ করবে।

    ঋণ জালিয়াতি ও অনিয়মের কারণে আর্থিকভাবে দুর্বল ছয়টি ব্যাংককে আগামী জুলাইয়ের মধ্যে একীভূত করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

    সভায় জানানো হয়, চলতি অর্থবছরে বিএফআইইউতে মোট ১৭ হাজার ৩৪৫টি সন্দেহজনক লেনদেন ও কার্যক্রম সংক্রান্ত প্রতিবেদন (এসটিআর/এসএআর) দাখিল হয়েছে; আগের বছরের তুলনায় যা প্রায় ২৩ শতাংশ বেশি। এ ছাড়া বিএফআইইউ গত অর্থবছরে ১১৪টি আর্থিক গোয়েন্দা প্রতিবেদন বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থার কাছে পাঠিয়েছে। আইন প্রয়োগকারী, নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ মোট ১ হাজার ২২০টি তথ্য বিনিময়ও হয়েছে, আগের বছরের তুলনায় যা ১৩ দশমিক ৯১ শতাংশ বেশি।

    আরও পড়ুনঃ নতুন নোটের ছবি প্রকাশ করল বাংলাদেশ ব্যাংক, কোন নোটে কোন ছবি
    বিএফআইইউর প্রধান এ এফ এম শাহীনুল ইসলাম বলেন, অর্থ পাচার ও হুন্ডি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতা ও লেনদেন ভারসাম্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে এই প্রবণতা। অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দেশনা ও পৃষ্ঠপোষকতায় স্থিতিশীলতা ফেরাতে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পাচার করা অর্থ ফেরত আনতে কাজ চলছে। ১১টি গ্রুপ নিয়ে যৌথ তদন্ত চলছে। এ কাজে পরামর্শ ও সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে বিশ্বব্যাংক।

    সভায় বিএফআইইউর পরিচালক মুহাম্মদ আনিছুর রহমান বলেন, অর্থ পাচার ধরা ও উদ্ধার করা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এটা চলতেই থাকবে। গত বছরের জুলাই মাসের পর বিএফআইইউর কাজ কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। সন্দেহজনক প্রতিবেদন অনেক বেড়েছে। বিভিন্ন সংস্থার প্রতিবেদন পাঠানো চার গুণ বেড়েছে।

  • চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীর কবজি কেটে দিলেন বিএনপির কর্মী

    চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীর কবজি কেটে দিলেন বিএনপির কর্মী

    নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে মো. নবীর উদ্দিন (৬০) নামে এক ব্যবসায়ীর হাতের কবজি কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির এক কর্মীর বিরুদ্ধে। বুধবার (২৮ মে) রাত ১১টার দিকে উপজেলার হরণী ইউনিয়নের হাতিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

    আহত ব্যবসায়ী জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতালে) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

    আহত নবীর উপজেলার হরণী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব রসূলপুর গ্রামের নবীর মিস্ত্রি বাড়ির মৃত মো. হোসেনের ছেলে। অভিযুক্ত ফারুক খলিফা (৪৫) একই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম রসূলপুর গ্রামের মো. জাবের খলিফার ছেলে। তিনি বিএনপির কর্মী বলে জানা গেছে।

    আরও পড়ুনঃ আদলতেই শরীরে আগুন দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যাচেষ্টা
    হামলার শিকার নবীর উদ্দিনের ছেলে মো. আবু ছায়েদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, হাতিয়া বাজারে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে বড় পশুর হাট বসে। হাটে গরু রাখার জায়গা না হলে স্থানীয়রা তাদের জায়গা বা দোকানের সামনে বাঁশ পুঁতে দিয়ে গরু বিক্রির ব্যবস্থা করে। পশুর হাটের বাহিরে কারো জায়গা বা দোকানের সামনে গরু বিক্রি হলে তারা কিছু টাকা নেয়। আমার বাবা হাতিয়া বাজারের পশুর হাটের দক্ষিণ পাশে আমাদের দোকানের সামনের জায়গায় বাঁশ পুঁতে গরু বিক্রির ব্যবস্থা করেন। গত মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ওই জায়গায় এসে বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত বলে চাঁদা দাবি করেন ফারুক খলিফা। আমার বাবা তাকে বলেন- এখানে কি তোমার কোনো পুঁজি আছে, তোমাকে কেন টাকা দেব। তখন তিনি আমার বাবাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়।

    আরও পড়ুনঃ মা আমি চিপস চুরি করিনি’, চিরকুট লিখে চিরবিদায় ছেলের
    তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে হাতিয়া বাজারের হাতিয়া টাওয়ারের সামনে ফারুক ফের টাকা চায়। আমার বাবা অস্বীকৃতি জানালে সে তার সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে ছুরি দিয়ে আমার বাবার ডান হাতের কবজি কেটে দেয়। এতে হাতের প্রায় সবগুলো রগ কেটে বিচ্ছিন্ন হওয়ার মতো হয়ে গেছে।

    অভিযোগের বিষয়ে জানতে একাধিকবার ফারুক খলিফার মুঠোফোনে কল করা হলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি। তাই এ বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য সংযুক্ত করা যায়নি।

  • ছাত্রাবাসের টর্চারসেল থেকে ৫ ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করল সেনাবাহিনী, বিএনপির নেতার ছেলে আটক

    ছাত্রাবাসের টর্চারসেল থেকে ৫ ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করল সেনাবাহিনী, বিএনপির নেতার ছেলে আটক

    মুক্তিপণ আদায়ের জন্যে মাগুরার পৌর এলাকার সাজিয়াড়া গ্রামের একটি ছাত্রাবাসে গড়ে তোলা টর্চারসেলে আটক পাঁচ ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করেছেন সেনা সদস্যরা।

    এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইসতিয়াক আহমেদ শান্ত নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে।

    শান্ত মাগুরা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক তানজেল হোসেনের বড় ভাই রফিকুল ইসলামের ছেলে।

    গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাগুরা ক্যাম্পের দায়িত্বরত সেনা সদস্যরা বুধবার রাত ১০টার দিকে সাজিয়াড়া গ্রামের এসএম ছাত্রাবাসে আটকে রাখা ব্যবসায়ীদের উদ্ধার করেন।

    আরও পড়ুনঃ ছাত্রদল নেতাসহ ইমো হ্যাকার চক্রের তিন সদস্য আটক
    রাজীব সরদার, হৃদয় সরদার, বাবু শেখ, ওসমান শেখ এবং রিয়াদ ইসলাম নামের ওই পাঁচ ব্যবসায়ীর বাড়ি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বড়ফা গ্রামে।

    নানা ধরণের ইলেক্ট্রনিক পণ্য ফেরি করে বিক্রির উদ্দেশ্যে গত ২১ মে মাগুরা এসে ইসতিয়াক আহমেদ শান্তর খপ্পড়ে পড়েন তারা।

    ইসতিয়াক হোসেন শান্ত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাদেরকে কৌশলে সাজিয়াড়া গ্রামের ওই ছাত্রাবাসে নিয়ে গিয়ে আটকে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন।

    কিন্তু তারা নিজেদের আর্থিক অসংগতির কথা জানালে শান্ত আরও ৭ থেকে ৮ জনকে সঙ্গে নিয়ে মঙ্গলবার রাতভর এবং বুধবার দিনের বিভিন্ন সময়ে পালাক্রমে তাদের ওপর নির্যাতন চালায়।

    আরও পড়ুনঃ ছাত্রদল নেতাসহ ইমো হ্যাকার চক্রের তিন সদস্য আটক
    এলাকাবাসী জানায়, মাগুরার মহম্মদপুরে বাড়ি মহসিন নামে এক প্রবাসী ওই ছাত্রাবাসটির মালিক। হুরাইরা নামে সাজিয়াড়া গ্রামের একটি ছেলের মাধ্যমে তিনি ছাত্রাবাসটি পরিচালনা করে আসছিলেন।

    কিন্তু ৫ আগস্টের পর ইসতিয়াক আহমেদ শান্ত ছাত্রাবাসে বসবাসরত ভাড়াটিয়াদের উচ্ছেদ করে সেটির বিভিন্ন কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দখলে দেয়। পরে নিয়মিত দিনে এবং রাতের বিভিন্ন সময়ে সেখানে বন্ধুদের নিয়ে মাদকের আড্ডা বসিয়ে আসছিলেন।

    মঙ্গলবার ওই পাঁচ ব্যবসায়ীকে আটকের পর তারা সেখানে সাউন্ড বক্সের মাধ্যমে উচ্চমাত্রায় মিউজিক চালায় তাদেরকে নির্যাতন করে বলেও জানায় এলাকাবাসী।

    আরও পড়ুনঃ ছাত্রদল নেতাসহ ইমো হ্যাকার চক্রের তিন সদস্য আটক
    বুধবার রাতে ওই ছাত্রাবাস থেকে আটক ব্যবসায়ীদের ছাড়াও নানা ধরণের মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে সেনা সদস্যরা। পরে রাতেই তাদেরকে সদর থানা পুলিশের হেফাজতে দেওয়া হয়।

    মাগুরা সদর থানার ভাররাপ্ত কর্মকর্তা মো. আইয়ুব আলী জানান, এ ঘটনায় আরও কয়েকজন জড়িত রয়েছে বলে জানা গেছে। তাদেরকেও আটকের চেষ্টা চলছে।