Category: bangla

  • আর কখনও নির্বাচন হবে না

    আর কখনও নির্বাচন হবে না

    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, যদি ডিসেম্বর মাসে নির্বাচন না হয়, তবে এই দেশে আর কখনও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। তিনি অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান সরকার নির্বাচনকে ঘিরে নানা ধরনের টালবাহানা করছে এবং পরিকল্পিতভাবে নির্বাচনকে বিলম্বিত করার চেষ্টা চলছে।

    মির্জা আব্বাস বলেন, “ডিসেম্বরেই নির্বাচন না হলে বাংলাদেশ মূলত বিদেশি প্রভাব ও স্বার্থে পরিচালিত হবে। আমরা সেটা চাই না। দেশের ভবিষ্যৎ রক্ষার স্বার্থেই ডিসেম্বরে নির্বাচন অত্যাবশ্যক।”

    তিনি বলেন, “ড. ইউনূস সাহেবকে আমরা অনেক আগ্রহ নিয়ে পাশে থাকার শর্ত দিয়েছিলাম, এখনো দিচ্ছি। কিন্তু তিনি বিএনপিকে তার মুখোমুখি করে ফেলেছেন। তিনি জাপানে বসে বিএনপি-বিরোধী অবস্থান প্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন, একমাত্র বিএনপিই নির্বাচন চায়। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, ডিসেম্বর নির্বাচনের কথা তিনিই প্রথম বলেছিলেন।”

    আব্বাস বলেন, “আমরা যখন বের হই, সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ড. ইউনূস সাহেবের প্রেস সেক্রেটারি বলেন জুন মাসে নির্বাচন হবে। তাহলে এটা কীভাবে এক কথা হয়? এসব বিভ্রান্তিকর কথা বলে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করবেন না।”

    তিনি আরও বলেন, দেশের বর্তমান অবস্থা অত্যন্ত করুণ। “মানুষের খাওয়ার ব্যবস্থা নেই, পরনের কাপড় নেই, সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে পারছে না। অথচ এই দুঃসহ অবস্থার কোনো সঠিক চিত্র তুলে ধরা হচ্ছে না,” বলেন তিনি।

    টার্মিনাল প্রসঙ্গে মির্জা আব্বাস বলেন, “৩শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই টার্মিনাল আন্তর্জাতিক মানের সুবিধা নিয়ে তৈরি হয়েছে। এটা আমরা বিদেশিদের হাতে তুলে দেব কেন? বিদেশিরা এখানে এসে শুধু লাভই করবে, কিন্তু সেই অর্থ দেশে থাকবে না। তাই দেশের প্রতি ভালোবাসা দেখান, বিদেশিদের প্রতি অন্ধ প্রেম নয়।”

    বক্তব্যে তিনি বলেন, “আমরা যেমন ছিলাম তেমনই থাকতে চাই— ভালো হতে চাই, খারাপ না। কারো মুখাপেক্ষী হয়ে নয়, আমরা নিজেরা আমাদের দেশ গড়ে তুলতে চাই।”

  • রাতের মধ্যে ঢাকাসহ ১০ জেলায় ঝড়ের শঙ্কা

    রাতের মধ্যে ঢাকাসহ ১০ জেলায় ঝড়ের শঙ্কা

    আজ রাতের মধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের ১০ জেলায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। দুপুরে আবহাওয়া অধিতপ্তরের নদীবন্দরের জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এ শঙ্কার কথা জানানো হয়েছে।

    পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালি, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ঢাকা, ময়মনসিংহ এবং সিলেট অঞ্চল সমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো
    হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

    এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

    পূর্বাভাসে আরো বলা হয়েছে, এ ছাড়া দেশের অন্যত্র একই দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

  • নায়িকা হতে ১৫ বছর ঘর ছাড়া, বিক্রি করলেন বাবার জমিও

    নায়িকা হতে ১৫ বছর ঘর ছাড়া, বিক্রি করলেন বাবার জমিও

    সিনেমার শীর্ষ নায়িকা হবেন বলে ছোটবেলায় চট্টগ্রামের আনোয়ার এলাকার বাড়ি ছেড়েছিলেন সুলতানা রোজ নিপা। প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, নায়িকা হয়েই ঘরে ফিরবেন। গত ১৫ বছর ধরে নায়িকা হওয়ার চেষ্টা করেও বার বার ব্যর্থ হয়েছেন তিনি।

    ‘টাকা বড় না শিক্ষা বড়’, ‘বাবার প্রতিশোধ’, ‘আমাদের বাউল’, ‘টাইটানিক’সহ বেশ কটি ছবিতে অভিনয় করলেও সেইসব আলোর মুখ দেখেনি। হতাশা কাটাতে নিপা তার পৈতৃক সম্পত্তির কিছু অংশ বিক্রি করেন। এদিক সেদিক থেকে ম্যানেজ করে ৮৬ লাখ টাকা খরচ করে নিজেই প্রযোজক হয়ে ছবি নির্মাণের উদ্যোগ নেন।

    আসছে ঈদে নিপার নায়িকা হওয়ার সেই কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে। তিনি জানালেন, বহু কাঠখড় পুড়িয়ে নায়িকা হয়েছেন। তার অভিনীত সেই সিনেমার নাম ‘বড্ড ভালোবাসি’, পরিচালনা করেছেন জুয়েল ফারসি।

    তিনি জানান, নায়িকা হওয়ার জেদ করেছিলেন। সেই জেদ পূরণ করছেন। ১৫ বছর পর ঈদে বাড়ি ফিরতে যাচ্ছেন সুলতানা রোজ নিপা। সোমবার দুপুরে নিপার সঙ্গে যখন মুঠোফোনে আলাপ হচ্ছিল তার কথাগুলো শুনে কোনো সিনেমার গল্প মনে হচ্ছিল! আলাপকালে তিনি অনেক কথাই না লিখতে অনুরোধ করেন।

    চ্যানেল আই অনলাইনকে সুলতানা রোজ নিপা বলেন, নায়িকা হওয়ার জন্য কত শ্রম দিয়েছি সেগুলো ‘অন রেকর্ড’ বলা সম্ভব না। কোনো কিছুতেই লাভ হয়নি। পরে নিজেই প্রযোজনা করে ‘বড্ড ভালোবাসি’ নির্মাণ করেছি। ছবির মালিকানা পুরোটা আমার।

    এই নবাগতা জানান, আগামীতে তার প্রযোজক সমিতির নির্বাচনে অংশ নেয়ার ইচ্ছে আছে। সে কারণে ছবি মুক্তি দিচ্ছেন। আরও জানান, তার ‘বড্ড ভালোবাসি’র বেশীরভাগ শিল্পী কলকাতার। নিপার ইচ্ছে ছিল, আগে কলকাতায় ছবিটি মুক্তি দেবেন।

    বললেন, আমার আব্বু মা.রা যাওয়ার পর আর কলকাতায় মুক্তি দেয়া সম্ভব হয়নি। পরে করোনা চলে আসে। এবার ঈদে মুক্তি দিচ্ছি। গলুই, বিদ্রোহী এসবের আগেই আমার এই ছবি মুক্তি দেব সিদ্ধান্ত নিই। কিন্তু মুক্তি দিতে গিয়েও ‘ফিল্ম পলিটিক্সি’-এ পড়ি।

    ঈদের দিন সাতেক বাকি থাকলেও নিপা জানেন না তার প্রযোজিত ‘বড্ড ভালোবাসি’ কত সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে। বললেন, মানুষগুলোর নাম প্রকাশ করতে চাই না, তবে এরা কাকরাইলের গ্রুপ। আমাকে প্রলোভনে ফেলে পলিটিক্স করছে। তারা সিনেমারই মানুষ। শুরুতে বলছিল আমার ছবির সুন্দর পরিবেশনা করবে।

    কিন্তু গত কয়েকদিন থেকে যাতে মুক্তি না দেই সেই চেষ্টা করছে। তারা বলছে, ঈদের পর ডিসট্রিবিউট করে কোটি টাকা তুলে দেবে! আমাকে অন্য ছবিতে কাজের সুযোগ দেবে। আমি তাদের প্রলোভনে পড়তে চাই না আমি ছবি মুক্তি দেবই! ঈদে ছবি মুক্তি দেয়ার জন্য গত তিন বছর এই ছবি নিয়ে অপেক্ষা করছি। দুই-চারটি সিনেমা হল পেলেও আমি মুক্তি দেব।

    ‘বড্ড ভালোবাসি’রর প্রসঙ্গ টেনে এই নবাগতা বলেন, ৯০ দশকের ধাঁচে ছবি বানানো হয়েছে। কারণ ওই সময়ের ছবিগুলো মানুষ বেশি দেখতো। আমিও তখনকার ছবি দেখে নায়িকা হতে আগ্রহী হই। ৯০ দশকে যেসব দর্শক ছবি দেখতে পছন্দ করতেন আমার বিশ্বাস তারা হলে গিয়ে আমার এই ছবিটা দেখবে।

    আমি এখানে ডাবল ক্যারেক্টার করেছি। রিস্ক নিয়ে কাজ করেছি। শারীরিক মানসিক আর্থিক সবদিক থেকে ‘বড্ড ভালোবাসি’ বানাতে গিয়ে কষ্ট করেছি। তাই আমার কাছে এই ছবিটা সবচেয়ে দামি। এর জন্য আমি ৮৬ লাখ টাকা খরচ করেছি। এখনও পর্যন্ত একটি টাকা তুলতে পারিনি বা কোনো স্পন্সর পাইনি। সুলতানা রোজ নিপা বলেন, কয়েকটি হলে কথা বলা ছিল তাও মৌখিক। হয়তো কাল-পরশুর মধ্যে জানতে পারব হল ক’টি পাচ্ছি।

    নিপার কাছে প্রশ্ন ছিল ছবির জন্য লগ্নী করা এই ৮৬ লাখ টাকা কোথায় পেলেন? উত্তরে নিপার স্বরল স্বীকারোক্তি, ‘আমার বিউটি পার্লারের ব্যবসা আছে, গার্মেন্টস এর টুকটাক ব্যবসা করি। পারিবারিক কিছু জমি ছিল সেখান থেকে বিক্রি করে ছবি বানিয়েছি। এই ছবিটি বানাতে গিয়ে আমাকে অনেকেই ঠকিয়েছে।

    বাধ্য হয়ে তাদের নামও বলতে পারছি না। যারা আমাকে ঠকিয়েছে তাদের বিচার উপরওয়ালার কাছে ছেড়ে দিয়েছি। আর নিজের টাকা দিয়ে ছবি বানাবো না। এতদিন রীতিমত যুদ্ধ করেও মনের শান্তি মত কাজ করতে পারিনি। তবে যদি আমাকে কেউ ভালো কাজে নেয় তাহলে করবো।’

  • কৌশলে নাম পাল্টিয়ে মাসুদ রানা থেকে আজ শাকিব খান!

    কৌশলে নাম পাল্টিয়ে মাসুদ রানা থেকে আজ শাকিব খান!

    ১৯৯৮ সালে নৃত্য পরিচালক আজিজ রেজার আমন্ত্রণে সায়েদাবাদে তার ড্যান্স একাডেমিতে যাবার পর সুদর্শন যে তরুণটি হাত বাড়িয়ে বলেছিলেন ‘আমি মাসুদ রানা’, তিনিই আজকের শাকিব খান!

    ঢাকাই সিনেমার সিংহাসনে প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় ধরে সাফল্যের সঙ্গে বসে আছেন শাকিব। বছরের ব্যবসা সফল ছবির মধ্যে সবসময় এগিয়ে থাকে তার ছবি। তাকে ভালোবেসে কেউ কেউ ঢালিউড কিং বলে ডাকেন।

    ১৯৭৯ সালের ২৮ মার্চে তিনি নারায়ণগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তবে তার পৈতৃক বাড়ি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার রাঘদী গ্রামে।

    শাকিব খানের প্রকৃত নাম মাসুদ রানা। তার বাবা ছিলেন একজন সরকারি চাকরীজীবী। মা গৃহিণী। তারা এক ভাই ও এক বোন। শাকিব খানের ইচ্ছে ছিল ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার। মনের অজান্তেই অভিনয়ের প্রতি ঝোঁক চলে আসে তার। এরপর দর্শকের ভালোবাসা, বিনোদনের প্রতি নিজের ভালোলাগা, সবকিছু মিলিয়েই এখন তিনি বেশ আনন্দের সঙ্গে অভিনয় চালিয়ে যাচ্ছেন।

    আফতাব খান টুলুর পরিচালনায় শাকিবের প্রথম ছবি ‘সবাইতো সুখী হতে চায়’। ছবিটির শুটিং চলাকালীনই শাকিব খানের সুনাম ছড়িয়ে পড়ে ঢালিউডের পরিচালক-প্রযোজকদের মাঝে। এটা ১৯৯৯ সালের কথা। সিনেমা হলে শাকিব খানের মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম ছবি সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘অনন্ত ভালোবাসা’। ১৯৯৯ সালের ২৮ মে ‘অনন্ত ভালোবাসা’ মুক্তি পায়।

    এ ছবিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনয় শিল্পী মৌসুমীর ছোট বোন ইরিন। কিন্তু এ ছবিটি শাকিবকে নায়ক হিসেবে খ্যাতি এনে দিতে না পারলেও পরবর্তীতে বিভিন্ন ব্যবসাসফল সিনেমার কারণে তিনি দ্রুত সবচেয়ে সফল এবং জনপ্রিয় নায়ক হয়ে ওঠেন।

    অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে মোট চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন শাকিব খান। ২০১২ সালে ‘ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না’, ২০১৪ সালে ‘খোদার পরে মা’, ২০১৬ সালের ‘আরও ভালোবাসবো তোমায়’ ও ২০১৭ সালে ‘সত্তা’ ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।

    ঢালিউডে একচ্ছত্র অধিপতি হিসেবে শাকিবের উত্থানটা ২০০৮ সালের দিকে। তারপর থেকে ঢাকাই ছবির শীর্ষ নায়ক তিনি। তাকে ঘিরেই এখানে টাকা লগ্নি হয়; ব্যবসার বীজ বোনেন প্রযোজক-হল মালিকরা। অনেক নতুন মুখ আসে আবার হারিয়েও যাচ্ছে। কিন্তু শাকিব বহাল তবিয়তে রাজার আসনে বসে আছেন বাংলা ছবির নায়কদের রাজত্বে।

    সমসাময়িক প্রায় সব প্রবীণ-নবীন নির্মাতার সাথেই কাজ করেছেন শাকিব। নায়ক হয়েছেন মৌসুমী-শাবনূর থেকে শুরু করে আজকের নবাগতা কয়েকজন নায়িকার সঙ্গেও। তার ক্যারিয়ারে মোট নায়িকার সংখ্যা ৬৪ জন। তালিকায় আছেন রচনা ব্যানার্জি, স্বস্তিকা ব্যানার্জি, নুসরাত জাহান, শুভশ্রী গাঙ্গুলী, সায়ন্তিকা, শ্রাবন্তীর মতো কলকাতার নায়িকারাও।

    ক্যারিয়ারজুড়ে অনেক সমালোচনারও জন্ম দিয়েছেন তিনি। দেশের পরিচালক-প্রযোজক ও শিল্পীদের সম্মানহানি করা মন্তব্য করে চলচ্চিত্র পরিবারে বয়কট ছিলেন অনেকদিন। বিবাদে জড়িয়েছেন চিত্রনায়ক ফারুকসহ আরও অনেক সিনিয়র জুনিয়রদের সঙ্গেই। অনেক প্রযোজকের শিডিউল ফাঁসিয়েছেন। দুই একজন তার প্রতিবাদও করেছেন। কেউ কেউ মামলার হুমকি ধামকিও দিয়েছেন। তবে সবকিছুই শাকিব খান নিয়ন্ত্রণ করেছেন কৌশলে।

  • রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরীক্ষায় ১০০ তে ১৫১ নম্বর পেলেন শিক্ষার্থী

    রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরীক্ষায় ১০০ তে ১৫১ নম্বর পেলেন শিক্ষার্থী

    বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক পড়ছেন এক শিক্ষার্থী। মাসখানেক আগে সেখানেই পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি। পরীক্ষায় পূর্ণ নম্বর ছিল ১০০। তবে ফল প্রকাশিত হতেই দেখা গেল, ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় ওই শিক্ষার্থী পেয়েছেন ১৫১ নম্বর। আর সেই মার্কশিট হাতে নিয়ে চক্ষু চড়কগাছ খোদ শিক্ষার্থীরও।

    পরীক্ষায় পাস করবেন বলে আশা করেছিলেন ঠিকই, কিন্তু মোট নম্বরের থেকেও যে ৫১ নম্বর বেশি পাবেন, তা দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করেননি ওই শিক্ষার্থী। অবিশ্বাস্য বলে মনে হলেও এমনই ঘটনা ঘটেছে ভারতের বিহার রাজ্যে।

    রাজ্যটির দ্বারভাঙা জেলার ললিত নারায়ণ মিথিলা বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা অনুষদের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় ১৫১ নম্বর পেয়েছে! সোমবার (১ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এবং টাইমস নাউ।

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে বিহার রাজ্যের ললিত নারায়ণ মিথিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। তাতে এক শিক্ষার্থী দেখেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের চতুর্থ পত্রে ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় তার প্রাপ্ত নম্বর ১৫১।

    এই নম্বর দেখে নিজেই বিস্মিত হয়ে যায় ওই শিক্ষার্থী। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হলে তারা জানান, ছাপার ভুলের কারণে নম্বরে গরমিল হয়েছে। শিগগিরই সংশোধন করে নতুন রেজাল্ট দেওয়া হবে।

    নম্বরে কার্যত ‘রেকর্ড করা’ ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘রেজাল্ট হাতে নিয়ে আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। এটা প্রভিশনাল মার্কশিট হলেও, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল রেজাল্ট প্রকাশ করার আগে তা একবার দেখে নেওয়া। তাহলে এমন পরিস্থিতির মুখে কাউকে পড়তে হতো না।’

    তবে ওই ছাত্র একা নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুলের মাশুল দিতে হচ্ছে আরও অনেক শিক্ষার্থীকেই। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, তিনি বাণিজ্য বিভাগের ছাত্র। অ্যাকাউন্টিং ও ফাইন্যান্সের চতুর্থ পত্রে তাকে ১০০ নম্বরের মধ্যে শূন্য দেওয়া হয়েছে, অথচ পরবর্তী শ্রেণিতে তাকে উত্তীর্ণ করে দেওয়া হয়েছে।

    ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হলে, তারা জানান যে ছাপানোর ভুল হয়েছে। নতুন মার্কশিট ছাপিয়ে আমাকে দেওয়া হয়েছে। সেখানে আমি অ্যাকাউন্টিং পেপারে পাস মার্কই পেয়েছি।’

    এই বিষয়ে ললিত নারায়ণ মিথিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুস্তাক আহমেদ বলেন, ‘দু’টি ঘটনাতেই মার্কশিট ছাপানোর ভুল হয়েছে। ছাত্ররা বিষয়টি নজরে আনতেই তা সংশোধন করে নতুন মার্কশিট দেওয়া হয়েছে। এটা কেবলমাত্র ছাপানোর ভুল, আর কিছুই নয়।’

  • সকল প্রকার রেকর্ড খতিয়ান বাতিল? নতুন নিয়মে মালিকানা নির্ণয় হবে যেভাবে…..

    সকল প্রকার রেকর্ড খতিয়ান বাতিল? নতুন নিয়মে মালিকানা নির্ণয় হবে যেভাবে…..

    বাংলাদেশে ভূমি মালিকানা নিয়ে একটি আলোচিত ও বিতর্কিত বিষয় হলো—“সকল প্রকার রেকর্ড খতিয়ান বাতিল”—এই প্রশ্নটি। অনেকেই উদ্বিগ্ন হয়ে জানতে চাচ্ছেন, খতিয়ান বাতিল হলে কিভাবে জমির মালিকানা নির্ধারণ হবে? কিভাবে নামজারি বা খাজনা প্রদান করা হবে? এসব প্রশ্নের উত্তর নিয়েই আজকের প্রতিবেদন।

    খতিয়ান বাতিলের বাস্তবতা ও মিথ

    প্রথমেই পরিষ্কার করে বলা জরুরি, সরকার এখন পর্যন্ত কোনো আইনে “সকল প্রকার খতিয়ান বাতিল” ঘোষণা করেনি। বরং, প্রতিটি খতিয়ানের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেই মালিকানা যাচাই হয়। সিএস (ক্যাডাস্ট্রাল সার্ভে), এসএ (স্টেট অ্যাকুইজিশন), আরএস (রিভিশনাল সার্ভে), বিএস (বাংলাদেশ সার্ভে) এবং সর্বশেষ বিডিএস (বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে)—এই প্রতিটি খতিয়ানই মালিকানা প্রমাণে গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে বিবেচিত।

    খতিয়ানের ইতিহাস: কোথা থেকে শুরু?

    সিএস খতিয়ান শুরু হয় ব্রিটিশ আমলে, ১৮৮৮ সাল থেকে ১৯৪০ সাল পর্যন্ত সময়ে। এরপর পাকিস্তান আমলে এসএ খতিয়ান (১৯৫৬-১৯৬২), স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশে আরএস ও বিএস খতিয়ান প্রবর্তিত হয়। ২০২৫ সাল পর্যন্ত, সিএস খতিয়ান প্রায় ১৩৭ বছরের পুরনো। এই খতিয়ানের ভিত্তিতে মালিকানা শুরু হলেও, পরবর্তী খতিয়ানগুলোর সঙ্গে মালিকানা হস্তান্তরের ইতিহাস থাকা অপরিহার্য।

    কখন খতিয়ান কার্যত “বাতিল” হয়ে যায়?

    যদি পূর্বপুরুষের নামে থাকা সিএস বা এসএ খতিয়ানের সম্পত্তি পরবর্তীতে দলিলের মাধ্যমে বিক্রি করে দেওয়া হয়ে থাকে, এবং সেই বিক্রয়ের ভিত্তিতে নতুন মালিক দখল ও নামজারি করে থাকে, তাহলে সেই পুরনো খতিয়ান ওই উত্তরাধিকারীদের জন্য কার্যকারিতা হারায়। তবে একে আইনত “বাতিল” বলা চলে না; বরং, প্রাসঙ্গিকতা হারানো বলাই সঠিক।

    অর্থাৎ, যিনি সম্পত্তি বিক্রি করে দিয়েছেন, তার খতিয়ান ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য প্রমাণ হিসেবে কাজ করবে না। কিন্তু যিনি ক্রয় করেছেন, তার জন্য সেই খতিয়ান ‘পাওয়ারফুল’ দলিল।

    বিডিএস জরিপ ও স্মার্ট খতিয়ান

    বর্তমানে ডিজিটাল জরিপ (বিডিএস) কার্যক্রমের আওতায় নতুন ধরনের মালিকানা ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। এক জমিতে এক মালিকের নাম থাকবে এবং স্মার্ট কার্ডে ডিজিটালভাবে মালিকানার তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। এই স্মার্ট কার্ডে জমি ক্রয় করলে ‘যোগ’ হবে এবং বিক্রয় করলে ‘বিয়োগ’ হবে। এতে প্রতারণার সুযোগ কমবে এবং স্বচ্ছতা বাড়বে।

    তবে বিডিএস জরিপ বলছে, আগামী ১০০ বছরের মধ্যে নতুন করে আর খতিয়ান হবে না। তবে এটি পুরনো সিএস, এসএ, আরএস, বিএস খতিয়ানকে অকার্যকর করে না—বরং তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বজায় রেখেই স্মার্ট খতিয়ান কার্যকর হবে।

    কিছু ব্যতিক্রম

    পার্বত্য এলাকা ও সিলেট অঞ্চলে সিএস খতিয়ান করা হয়নি। সেখানে এসএ খতিয়ান থেকেই মালিকানা নির্ধারণ হয়।

    উপসংহার

    সরকার আইন করে বা প্রশাসনিকভাবে “সকল খতিয়ান বাতিল” ঘোষণা করতে পারে না, এবং এখন পর্যন্ত তেমন কিছু হয়নি। খতিয়ানের ধারাবাহিকতা ও দলিলপত্রই মালিকানা নির্ধারণের মূল ভিত্তি। বিডিএস স্মার্ট খতিয়ান আধুনিক পদ্ধতি হলেও এটি আগের খতিয়ানকে বাদ দিয়ে এককভাবে কার্যকর হবে না।

    তাই, যারা আতঙ্কিত হচ্ছেন—“সকল খতিয়ান বাতিল?”—তাদের জন্য সুসংবাদ হলো, আপনার বৈধ খতিয়ান এবং দলিল থাকলে আপনি নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন।

  • ছাত্রদল সভাপতির পদ হারানোর গুঞ্জন

    ছাত্রদল সভাপতির পদ হারানোর গুঞ্জন

    বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব পদ হারিয়েছেন বলে গুঞ্জন ছড়িয়েছে। শুক্রবার (৩০ মে) গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। তবে এই গুঞ্জনের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।

    এর আগে আজ সকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছাত্রদল সভাপতি পদ হারিয়েছেন বলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। যদিও এই গুঞ্জনের সত্যতার ব্যাপারে কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।

    এই গুঞ্জনের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন বলেন, তিনি (রাকিব) অসুস্থ থাকায় আজকের প্রোগ্রামে উপস্থিত হতে পারেননি। খবরটি সম্পূর্ণ ভুয়া। এমন কিছুই ঘটেনি।

  • সন্ধ্যার মধ্যে যেসব জেলায় ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা ‎

    সন্ধ্যার মধ্যে যেসব জেলায় ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা ‎

    দেশের সাত জেলার ওপর দিয়ে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

    শুক্রবার (৩০ মে) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের জন্য দেওয়া সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টিসহ ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরকে ২ নম্বরসতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

    এছাড়া দেশের অন্যত্র একই দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

  • স্বামীর সাথে ঘর ভাড়া করতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার নববধূ

    স্বামীর সাথে ঘর ভাড়া করতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার নববধূ

    যশোরে স্বামীর সাথে ঘরভাড়া করতে গিয়ে নববধূ ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার ওই বধূূ বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দুুপুরে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন।

    মামলায় রামনগর এলাকার রুবেল হোসেনের স্ত্রী বৃষ্টি খাতুনসহ অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করা হয়।

    মামলা সূত্রে জানা গেছে, এক মাস আগে ওই নববধূর বিয়ে হয়। তার স্বামীর পূর্ব পরিচিত ছিলেন আসামি বৃষ্টি। বৃষ্টির বাড়ি শেখহাটি এলাকায় হলেও তিনি বর্তমানে রামনগরের ইফাদ অটোর গলিতে ভাড়া থাকেন।

    আরও পড়ুনঃ গাজীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে জামায়াতের চমক!
    সেই সুবাধে ওই এলাকায় বাড়ি ভাড়া নেওয়ার উদ্দেশ্যে নবদম্পতি বৃষ্টির বাড়িতে যান। বৃষ্টির সঙ্গে একটি বাসা দেখে পছন্দ হওয়ার পর নববধূকে বৃষ্টির বাসায় রেখে স্বামী সংসারের প্রয়োজনীয় মালামাল কিনতে বাইরে যান। স্বামী বাইরে যাওয়ার পরপরই তিনজন অপরিচিত ব্যক্তি বৃষ্টির বাড়িতে প্রবেশ করে। তারমধ্যে একজনের চুল লম্বা।

    পরে ভুক্তভোগী নববধূ একটি ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। এ সুযোগে বৃষ্টি লম্বা চুলওয়ালা এক ব্যক্তিকে তার ঘরে ঢুকিয়ে বাইরে থেকে দরজা লক করে দেন। ওই ব্যক্তি তার হাত ও মুখ বেধে ধর্ষণ করেন। অন্যরা বাইরে থেকে পাহারা দিতে থাকেন। পরে নববধূর কাছে থাকা সোনার চেইন, কানের দুল ও আঙটি ছিনিয়ে নেওয়া হয়, যার আনুমানিক মূল্য দুই লাখ টাকা।

    আরও পড়ুনঃ ইশরাককে শপথ পড়ানোর বিষয়ে যা জানাল স্থানীয় সরকার বিভাগ
    পরে এ বিষয়টি কাউকে কিছু বললে হত্যা করা হবে হুমকি দিয়ে ওই তিনজন চলে যান। নববধূ স্বামীকে বিষয়টি বলেন। স্বামী বৃষ্টিকে ওই তিনজন কারা ছিলেন তা জানতে চাইলে নানা তালবাহানা করেন।

    এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই দেবাশীষ হালদার বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বৃষ্টি পালিয়েছে। বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখছেন।

  • নাহিদের সাবেক পিএর বিরুদ্ধে ১৫০ কোটি টাকা বেহাতের অভিযোগ

    নাহিদের সাবেক পিএর বিরুদ্ধে ১৫০ কোটি টাকা বেহাতের অভিযোগ

    অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা ছিলেন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতা নাহিদ ইসলাম। পরে পদত্যাগ করে নতুন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা হন নাহিদ। জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি নামে নতুন দল খুলেছেন তিনি। নাহিদ ইসলাম তথ্য উপদেষ্টা থাকা অবস্থায় তার পিএ ছিলেন আতিক মোর্শেদ।

    এবার এই আতিক মোর্শেদের বিরুদ্ধে গুরুত্বর অভিযোগ উঠেছে। মোবাইল ব্যাংকিং নগদের ১৫০ কোটি টাকা বেহাতের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। এ ছাড়া নগদের গুরুত্বপূর্ণ পদে স্ত্রীসহ আত্মীয়দের চাকরি দেওয়ার অভিযোগও তার বিরুদ্ধে।

    নাহিদ ইসলামের পরামর্শেই আতিক মোর্শেদ এসব কাজে জড়িত কি না- এমন প্রশ্ন তুলেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন।

    আজ শুক্রবার দুপুরে নিজের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এমন প্রশ্ন তোলেন।
    ফেসবুক পোস্টে রাশেদ খাঁন বলেন, সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের বিশেষ সহকারী (পিএ) আতিক মোর্শেদের বিরুদ্ধে বেশকিছু গুরুতর অভিযোগ আসলেও নাহিদ ইসলাম দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ বা মন্ত্রণালয় থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করেননি। এক্ষেত্রে প্রশ্ন থেকে যায় নাহিদ ইসলামের পরামর্শেই আতিক মোর্শেদ এসব কাজে জড়িত কি না? অন্যথায় এসব বিষয়ে নাহিদ ইসলাম কেন চুপ ছিলেন বা এখনো চুপ আছেন?

    আরও পড়ুনঃ জাপান সফরে ‘ইউনূস-ম্যাজিক!’
    একটি পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের বরাত দিয়ে রাশেদ খাঁন জানান, এবার আতিক মোর্শেদের বিরুদ্ধে নগদ থেকে দেড়শ কেটি টাকা বেহাতের তথ্য প্রকাশ হয়েছে।নগদের ডেপুটি সিইও মুয়ীজ নাসনিম ত্বকির সাথে মিলিত হয়ে এই কাজ করেছে আতিক মোর্শেদ।

    তিনি বলেন, নগদের সীমাহীন লুটপাটের সঙ্গে জড়িত ও মূল হোতাদের একজন প্রতিষ্ঠানটির ডেপুটি সিইও মুয়ীজ নাসনিম ত্বকিকে গত ১৮ মে রাতে বেইলি রোডের বাসা থেকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে পরদিন বিকেলে বিভিন্ন দেনদারের তাকে কারাগারে না পাঠিয়ে ডিবি থেকেই ছেড়ে দেওয়া হয়। আতিক মোর্শেদের সরাসরি হস্তক্ষেপে ডিবি পুলিশ তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। এক্ষেত্রে প্রশ্ন থেকে যায় পিছন থেকে কে আতিক মোর্শেদকে এখনো সাপোর্ট করে যাচ্ছে? কেই বা তাকে নগদের পরিচালনার দায়িত্ব দিলো?

    আরও পড়ুনঃ ঈদুল আজহা ঘিরে পুলিশ সদর দপ্তরের যেসব সতর্কবার্তা
    ওই সংবাদের তথ্য তুলে ধরে রাশেদ খাঁন জানান, ডেপুটি সিও এবং আতিক মোর্শেদ মিলে নগদের সবকিছু সামলাচ্ছেন। নগদ ভবনের ৬ তলার একই রুমে নিয়মিত অফিস করছেন আতিক মোর্শেদ।

    অথচ আতিক মোর্শেদ নগদের কোন কর্মকর্তা নন। এমনকি আতিক মোর্শেদ ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তার স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা জুঁইকে নগদের ম্যানেজার কমপ্লায়েন্স পদে বসিয়েছেন। তাছাড়া চাকরি দিয়েছেন অনেক নিকট আত্মীয়দের।
    গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, নাহিদ ইসলামের একটা কথা আমার প্রায় কানে বাজে আমাদের ডোনেট করছে ধনীরা। কিন্তু সেই ধনীরা কারা? নাহিদ ইসলাম কি পারবে এসবের দায় এড়াতেই আজকেই পুলিশের হাতে আতিক মোর্শেদকে তুলে দিতে? অবশ্যই বিশেষ সহকারীর এসব কাজের দায়ভার সুষ্ঠু তদন্ত ছাড়া নাহিদ ইসলামের এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।