Category: bangla

  • অবশেষে পরিবর্তন হলো উত্তরাধিকার সম্পত্তির ভাগাভাগি পদ্ধতি, নতুন নিয়মে সম্পত্তি বণ্টন হবে যেভাবে…

    অবশেষে পরিবর্তন হলো উত্তরাধিকার সম্পত্তির ভাগাভাগি পদ্ধতি, নতুন নিয়মে সম্পত্তি বণ্টন হবে যেভাবে…

    নতুন আইন অনুযায়ী, আপোষ বণ্টননামা দলিল ছাড়া উত্তরাধিকার সম্পত্তির নামজারি ও বিক্রয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ; অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে আইনি ব্যবস্থা।

    উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত জমি বা সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিরোধ ও আইনি জটিলতা কমাতে অবশেষে সরকার বড় ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, উত্তরাধিকার সম্পত্তি ভাগাভাগি করতে হবে বাধ্যতামূলকভাবে ‘আপোষ বণ্টননামা দলিলের’ মাধ্যমে। এই দলিল ছাড়া কোনোভাবেই সম্পত্তির নামজারি বা বিক্রয় সম্ভব হবে না।

    এছাড়া কেউ নিয়ম মানতে ব্যর্থ হলে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২৩ অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ রাখা হয়েছে।

    কেন এই পরিবর্তন?

    বাংলাদেশে উত্তরাধিকার সম্পত্তি নিয়ে ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে ঝগড়া-মামলার ঘটনা নতুন নয়। এই নিয়ে প্রতিদিনই দেশের দেওয়ানি আদালতগুলোতে নতুন নতুন মামলা যুক্ত হচ্ছে, যার বেশিরভাগই ভূমি মালিকানা সংক্রান্ত।

    ২০০৪ সালেই আপোষ বণ্টননামা দলিল বাধ্যতামূলক করা হয়, কিন্তু বাস্তবে তার প্রভাব ছিল সীমিত। অনেকেই মৌখিকভাবে বা অরেজিস্ট্রিকৃত চুক্তির মাধ্যমে জমি ভাগ করে নেন, যা ভবিষ্যতে বড় জটিলতা সৃষ্টি করে।

    নতুন নিয়মে যা থাকছে

    উত্তরাধিকার সম্পত্তি ভাগ করতে হলে আবশ্যিকভাবে দলিল করতে হবে রেজিস্ট্রার অফিসে।

    মৌখিক বণ্টন আইনসম্মত নয় এবং তা ভবিষ্যতে দলিল সংশোধনের সুযোগ বন্ধ করে দেয়।

    দলিল ছাড়া জমি ক্রয় বা বিক্রয় করলে আইনগত শাস্তি হবে অনিবার্য।

    ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী মামলা করে জমি পুনরুদ্ধার করা যাবে।

    জমির খাজনা, নামজারি ও দখল নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে জনসচেতনতা তৈরি হবে।

    এই আইন সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলবে তাদের উপর, যাদের পূর্বপুরুষদের জমি এখনো অভিভক্ত অবস্থায় আছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, জমি বিক্রি বা দান করতে হলেও আগে আপোষ বণ্টননামা দলিল করতে হবে।

    এছাড়া অনেকেই মনে করেন, নামজারি মানেই মালিকানা, কিন্তু এটি পুরোপুরি ভুল। দলিল ছাড়া নামজারি কোনো বৈধতা দেয় না।

    বিশেষজ্ঞদের মতামত
    আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পরিবর্তন জমি নিয়ে বছরের পর বছর ধরে চলা পারিবারিক বিরোধ ও মামলাজট কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। দলিলের মাধ্যমে বণ্টন হলে, কার কতটুকু অংশ আছে তা আইনিভাবে স্পষ্ট হবে এবং ভবিষ্যতে জাল দলিল বা প্রতারণার সুযোগ থাকবে না।

    যারা এখনো আপোষ বণ্টননামা দলিল না করে সম্পত্তি ভোগ করছেন, তাদের দ্রুত আইনগত প্রক্রিয়ায় আসার আহ্বান জানানো হয়েছে। ভবিষ্যতে কোনো ধরনের জটিলতায় পড়লে আইনি সহায়তা ছাড়া রক্ষা পাওয়া সম্ভব হবে না।

  • ভাবির কা’টা মাথা নিয়ে থানায় আত্মসমর্পণ দেবরের

    ভাবির কা’টা মাথা নিয়ে থানায় আত্মসমর্পণ দেবরের

    এক হাতে ধারালো অস্ত্র। অন্য হাতে এক মধ্যবয়সী নারীর সদ্য কাটা মাথা। ঝরছে তাজা রক্ত। চোখে-মুখে কোনো আতঙ্ক নেই, নেই কোনো তাপ-উত্তাপ। নির্দ্বিধায় আত্মসমর্পণের উদ্দেশে থানার দিকে হেঁটে চলেছেন এক যুবক।

    শনিবার সকালে হাড়হিম করা এমন দৃশ্য দেখে শিউরে উঠলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর ভরতগড় এলাকার বাসিন্দারা।

    দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পুলিশ জানিয়েছে বাসন্তী থানার পুলিশ ওই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। যুবকের হাতে যে নারীর মুণ্ডু দেখা যাচ্ছে, তিনি সম্পর্কে যুবকের বৌদি (ভাবী)। চপার দিয়ে খুন করে মহিলার শরীর থেকে মুণ্ডু আলাদা করে ফেলেন যুবক। তারপর সেই রক্তাক্ত মাথা নিয়েই সোজা থানায় চলে যান। কী কারণে এই কাণ্ড ঘটাল যুবক, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

    প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, নিহত নারীর নাম সতী মণ্ডল। বাসন্তীর ভরতগড় এলাকার বাসিন্দা তিনি। অভিযুক্ত যুবক বিমল মণ্ডলও একই এলাকাতেই থাকেন। নিহত এবং অভিযুক্ত সম্পর্কে বউদি ও দেবর।

    স্থানীয়দের দাবি, শনিবার সকালে স্থানীয় একটি মাঠে দাঁড়িয়ে দুজনের বাকবিতণ্ডা চলছিল। একপর্যায়ে আচমকা চপার দিয়ে বৌদিকে আক্রমণ করে বিমল। এতে শরীর থেকে মাথা আলাদা হয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় ছিটকে পড়েন সতী। এরপর এক হাতে কাটা মুণ্ডু এবং অন্য হাতে চপার নিয়ে হাঁটতে শুরু করে বিমল।

    ভিডিওতে দেখা গেছে, একেবারে ভাবলেশহীনভাবে হেঁটে যাচ্ছে বিমল। আশপাশের পথচলতি মানুষ তাকে দেখে আঁতকে ওঠেন। ধীরে ধীরে হেঁটে বাসন্তী থানায় পৌঁছায়। তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কাটা মাথা এবং ধারালো অস্ত্রটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।

    স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরে পারিবারিক বিবাদ চরমে আকার ধারণ করে। তার জেরেই শনিবারের নৃশংস ঘটনা। তবে বউদি ও দেবরের মধ্যে বিবাদের সূত্রপাত কীভাবে হল, তা এখনো স্পষ্ট নয়। অভিযুক্তকে জেরা করে এই সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করছে পুলিশ। অভিযুক্তকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানিয়েছেন তারা।

  • বৈষম্যবিরোধী সংগঠককে মারধর, দোষীদের আটক করতে এসে হামলার শিকার পুলিশ

    বৈষম্যবিরোধী সংগঠককে মারধর, দোষীদের আটক করতে এসে হামলার শিকার পুলিশ

    ফরিদপুরের নগরকান্দায় ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বৈশাখী ইসলাম বর্ষা (১৭) নামে জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক সংগঠকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে জড়িতদের আটক করতে আসে পুলিশ। এ সময় স্থানীয়রা পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। এতে পুলিশের গাড়ি চালক আবদুল হান্নান শরীফ (৫৬) আহত হয়েছেন। শুক্রবার (৩০ মে) এ ঘটনা ঘটে।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফর আলী।

    জানা গেছে, বোনকে উত্ত্যক্ত করার বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়ে ফেরার পথে বৈশাখীকে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়। খবর পেয়ে নগরকান্দা থানার পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। একই সময় ফরিদপুর থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারাও সেখানে যান। পুলিশ হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আটক করে থানায় নিয়ে আসার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ এলাকাবাসীর প্রতিরোধের মুখে পড়ে। একপর্যায়ে পুলিশ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের মারধর করা হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আটক ব্যক্তিদের থানায় নিয়ে আসে।

    হামলায় আহত নগরকান্দা থানা–পুলিশের গাড়ি চালক আবদুল হান্নান শরীফ বলেন, ‘সন্ধ্যা ৭টার দিকে আমরা আসামি ধরে আনতে গেলে স্থানীয় প্রায় দেড় শতাধিক লোকজন পুলিশের গাড়ি ঘিরে ফেলে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য। স্থানীয়রা আমার হাত ও মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে গাড়ির চাবি ছিনিয়ে নিয়ে যায়, গাড়ির পর্দা ছিড়ে ফেলে। তবে তারা আসামি ছিনিয়ে নিতে পারেনি। তাদের গ্রেফতার করে থানায় আনা হয়েছে।’

    এ বিষয়ে নগরকান্দা থানার ওসি সফর আলী বলেন, হামলায় পুলিশের এক সদস্য আহত হয়েছেন। এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’

    নগরকান্দার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা ভাঙ্গা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসিফ ইকবাল বলেন, এ ঘটনায় নগরকান্দা থানায় তিনটি মামলা করা হবে। একটি বৈশাখীর ওপর হামলার ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে, একটি হবে বাড়ি ঘরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় এবং অপর মামলাটি হবে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায়।

  • ফেসবুকে ২-৪টা ফেক আইডি খুলে চৌকস নেতাদের মুখোশ খুলতে হবে:

    ফেসবুকে ২-৪টা ফেক আইডি খুলে চৌকস নেতাদের মুখোশ খুলতে হবে:

    ফেসবুকে ফেক আইডি খুলে চৌকস রাজনৈতিক নেতাদের মুখোশ উন্মোচন করতে তরুণ প্রজন্মকে আহ্বান করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
    তিনি বলেন, ইয়াং জেনারেশনকে একটা গ্রুপ করতে হবে, দুই থেকে চারটা ফেক আইডি খুলে এলাকার চৌকস নেতাদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে।

    গত বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টায় দিনাজপুরের বীরগঞ্জ পৌর শহরের পুরাতন শহীদ মিনার মোড়ের বিজয় চত্বরে এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সারজিস এই মন্তব্য করেন।

    অতিথির বক্তব্যে সারজিস বলেন, ‘বড় দুটি রাজনৈতিক দল জনগণের কথা বলে নাকি সিন্ডিকেট চালায়, চাঁদাবাজি করে, দখলদারত্ব করে—তা দেখতে হবে আমাদের।’

    বীরগঞ্জ উপজেলার উন্নয়ন প্রসঙ্গে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক বলেন, দিনাজপুর জেলার গুরুত্বপূর্ণ একটি পয়েন্ট বীরগঞ্জ উপজেলা, কিন্তু এই উপজেলায় সবচেয়ে কম পাকা রাস্তা রয়েছে। এলজিইডির যে হিসাব, সেখানে ১৭ পারসেন্ট রাস্তা পাকা, বাকি ৮৩ পারসেন্ট রাস্তা হাসিনার উন্নয়নের জোয়ারে কাঁচা হয়ে গেছে।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্দেশে সারজিস আলম বলেন, ‘বীরগঞ্জের গোলাপগঞ্জ মোড় মাদকের আখড়া। কোন কোন নেতা এখান থেকে ভাগ খায়, তা আমাদের দেখতে হবে। আমরা এনসিপি আপনাদের কাছে সমর্থন বা ভোট চাইতে আসিনি। এসেছি আপনাদের ‍ঘুমন্ত বিবেকগুলো জাগ্রত করতে। নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নে যাঁরা জীবন দিয়েছেন, তাদের স্বপ্নকে বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না। তিন বছরের শিশু থেকে ৬০ বছরের বৃদ্ধ জীবন দিয়েছে।

    খারাপকে যদি খারাপ বলার সৎ সাহস দেখাতে না পারেন, তাহলে মানুষটা প্রশ্রয় পেয়ে যাবে। কাউকে আর হাসিনা থেকে খুনি হাসিনা হয়ে উঠতে দেওয়া যাবে না। আপনাদের কাছে আমাদের জায়গা থেকে এই অনুরোধটুকু জানাই।’

    পথসভায় আরও বক্তব্য দেন যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আলী নাসের খান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আবু সাঈদ লিয়ন, সাদিয়া ফারজানা দিনা, রফিকুল ইসলাম কনক, ইমামুর রশিদ ইমাম, আল আমিন, ফাহমিদ, তপু, জেমিয়ন প্রমুখ। পথসভা শেষে জনসাধারণের মধ্যে প্রচারপত্র বিলিন করেন তারা।

  • চীনে ঢুকলো বাংলাদেশের আম

    চীনে ঢুকলো বাংলাদেশের আম

    বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৃথিবীকে রক্ষায় তরুণদের ‘থ্রি জিরো ক্লাব’ গড়ে তোলার আহ্বান ড. ইউনূসের শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ
    প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ থেকে যাওয়া একটি আমের চালান গ্রহণ করল চীন। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বাংলাদেশ থেকে তিন টন তাজা আমের একটি চালান চীনের মধ্যাঞ্চলীয় হুনান প্রদেশের চাংশায় পৌঁছায়। যা বাংলাদেশ থেকে চীনের প্রথম আম আমদানির ঘটনা।

    সেখানে পৌঁছানোর পর, চাংশা হুয়াংহুয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে শিপিং লেবেল, ফাইটোস্যানিটারি সার্টিফিকেট যাচাই করেন এবং প্যাকেজিং এবং ফলের মান ও আকার পরিদর্শন করেন।

    কোনও ধরনের অস্বাভাবিকতা না থাকায় চালানটি খালাস করা হয়। ভৌগোলিকভাবে আম উৎপাদনের জন্য বাংলাদেশ বিখ্যাত। এখানকার আমের আকার, উচ্চ চিনির পরিমাণ এবং সমৃদ্ধ ফুল ও সুবাসের জন্য পরিচিত। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হুনান বাবাইলি হোল্ডিং গ্রুপ জানিয়েছে, বাংলাদেশের আম ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম, সুপারমার্কেট এবং চীনজুড়ে তাজা আম চেইনের মাধ্যমে বিতরণ করা হবে।
    মূলত মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে আম রফতানি হতো বাংলাদেশ থেকে। আমদানিকারক প্রথম বছরে চীনে ১০০ টনের বেশি আম নেবে বলে জানিয়েছে। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে, চীন বাংলাদেশ থেকে তাজা আম আমদানির অনুমোদন পায়।

    আমের এই চালানটি বাধাহীনভাবে প্রবেশ করত, চাংশা কাস্টমস কোয়ারেন্টাইন অনুমোদন সহ অ্যান্ড-টু-অ্যান্ডসহায়তা প্রদান করে। বিমানবন্দরে, ‘ফ্রেশ এক্সপ্রেস’ দল সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করে। কাস্টমাইজড ক্লিয়ারেন্স করা হয় দ্রুততম সময়ের মধ্যে।

    কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের মতে, বাংলাদেশ ২০২৫ সালে প্রায় ২.৭ মিলিয়ন টন আম উৎপাদন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যার মধ্যে প্রায় ৫ হাজার টন রফতানির পরিকল্পনা রয়েছে। বাংলাদেশে ‘আমের রাজধানী’ নামে পরিচিত চাঁপাইনবাবগঞ্জের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল রাসায়নিকমুক্ত উন্নত মানের আমের জন্য বিখ্যাত। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বাংলাদেশে রাসায়নিক কীটনাশকের নিরাপদ বিকল্প হিসেবে চীনা ব্যাগিং প্রযুক্তি স্থানীয় আম চাষিরা ব্যবহার করছে।

    ২০২৪ সালে, চীনের ফলের বাণিজ্যে স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে। ফলের রফতানি ৮.৫৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যা এর আগের বছরের তুলনায় ২০.৯ শতাংশ বেশি। যেখানে আমদানি মোট ১৯.৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ছয় শতাংশ বেশি। এই বছর চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কেরও ৫০তম বার্ষিকী পালন হচ্ছে।

  • হয় বিজয় আমাদের ঘোষণা করে দেন, না হলে আমরা নিজেরাই নিজেদের বিজয়ী ঘোষণা করব

    হয় বিজয় আমাদের ঘোষণা করে দেন, না হলে আমরা নিজেরাই নিজেদের বিজয়ী ঘোষণা করব

    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ডা. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, “যে দলের নেতারা এ কথা বলতে পারে—‘হয় আপনারা ডেট দেন, না হলে আমরা দিয়ে দেব’, তারা তো প্রতিটি কেন্দ্রে এই ভাষাই ব্যবহার করবে। তারা বলবে, ‘হয় বিজয় আমাদের ঘোষণা করে দেন, না হলে আমরা নিজেরাই নিজেদের বিজয়ী ঘোষণা করব।’”

    তিনি বলেন, “এই দল তো নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর আর বিকেল পাঁচটা পর্যন্তও অপেক্ষা করবে না—সকাল দশটার মধ্যেই নিজেদের বিজয় ঘোষণা করে দেবে।”

    তিনি আরও বলেন, “এই আশঙ্কা থেকেই আজ দেশের জনগণ বলছে—আগে বিচার করতে হবে, সংস্কার করতে হবে, তারপর নির্বাচন দিতে হবে। না হলে এই যে হুমকি, এই যে থ্রেট আপনারা দিচ্ছেন—এমন তো আমরা আওয়ামী লীগের আমলেও শুনিনি। আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্টরাও এতটা বাজে কথা বলেনি। তারা অন্তত সংবিধানের কথা বলেছে, আদালতের দোহাই দিয়েছে। কিন্তু এতটা আপত্তিকর ও বিব্রতকর কথা মানুষকে শুনিয়ে দেয়নি।”

  • মুখে কালশিটে দাগ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে মাস্ক, ঘুষি মারল কে!

    মুখে কালশিটে দাগ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে মাস্ক, ঘুষি মারল কে!

    প্রযুক্তি দুনিয়ার আলোচিত ব্যক্তি ইলন মাস্কের মুখে কালশিটে দাগ দেখে সবাই অবাক। কিন্তু এই কালশিটের পেছনে কোনো বড় দুর্ঘটনা নয়, বরং ‘মজার ছলে’ তার ছোট ছেলের ঘুষি দায়ী— এমনটাই জানালেন ইলন মাস্ক নিজেই। পাঁচ বছর বয়সী ছেলে ‘এক্স’ সত্যিই ঘুষি মারে, আর সেটাই চোখে দাগের কারণ।

    তবে মাস্কের এই উপস্থিতি চাপা পড়ে যায় আরেকটি বিতর্কে।

    নিউ ইয়র্ক টাইমস একটি প্রতিবেদনে দাবি করে, ২০২৪ সালে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়ার সময় মাস্ক নাকি অতিরিক্ত মাত্রায় মাদক গ্রহণ করেছিলেন। এ নিয়ে এখনো মাস্ক কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেননি। তবু সংবাদ সম্মেলনের মূল আলোচ্য ছিল মাস্কের মুখের দাগ। আর তিনি সেটা ঘুরিয়ে দেন শিশুপুত্রের এক ঘুষির রসিক গল্পে।

    এই মন্তব্যগুলো এসেছে একটি সংবাদ সম্মেলনে, যেখানে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ছিলেন মাস্কও। কারণ, এটি ছিল মাস্কের তথাকথিত ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডিওজিই)-তে শেষ দিন। সরকারি খরচ কমানোর জন্য তিনি এই দপ্তরের প্রধান ছিলেন, যদিও সাম্প্রতিক সময়ে তিনি এ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছিলেন। তবুও তিনি জানিয়েছেন, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও উপদেষ্টার ভূমিকায় তিনি থাকবেন।

    ৫৩ বছর বয়সী এই টেসলা ও স্পেসএক্স প্রধান বলেন, ‘আমি শুধু ছোট ‘লিটল এক্স’-এর সঙ্গে মজা করছিলাম। আমি বলেছিলাম, চলো, আমাকে ঘুষি মারো। আর ও সত্যিই মারল।’

    তিনি আরো বলেন, ‘মজার ব্যাপার হলো, মাত্র পাঁচ বছর বয়সী একটি ছেলের ঘুষিও যে সত্যিই লাগতে পারে…!’ — এই কথা বলেই থেমে যান মাস্ক। তিনি বলেন, ‘তখন তেমন কিছু অনুভব করিনি, কিন্তু পরে বুঝলাম, জায়গাটা জখম হয়ে গেছে।

    ডান চোখের নিচে কালশিটে, তবু ট্রাম্পের চোখে পড়েনি

    মাস্কের ডান চোখের নিচে কালশিটে দাগ দেখা গেলেও ট্রাম্প বলেন, ‘আমি কোনো দাগ খেয়াল করিনি।’ তবে যোগ করেন, ‘তোমরা যদি এক্স-কে ( ছেলে) চেনো, তাহলে বুঝতে পারো ও এটা করতে পারে!’

    মাস্কের ছেলে এক্সকে মাঝে মাঝেই হোয়াইট হাউসে দেখা যেত, যখন তার বাবা ডিওজিই-এর প্রধান ছিলেন এবং সরকারি খরচে বড় ধরনের কাটছাঁট চালাচ্ছিলেন। এমনকি ফেব্রুয়ারিতে ওভাল অফিসে মাস্কের প্রথম উপস্থিতির সময় তাকে কাঁধে বসিয়ে এনেছিলেন এবং প্রেসিডেন্টের ডেস্কের পাশে নাক খোঁটানোর দৃশ্যও ভাইরাল হয়।

    রসিকতা ম্যাখোঁকে নিয়েও

    সংবাদ সম্মেলনে যখন সাংবাদিকরা ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁর স্ত্রীর একটি ভিডিও সম্পর্কে জানতে চান— যেখানে ম্যাখোঁর স্ত্রী ম্যাখোঁর মুখে ধাক্কা দেন— তখন মাস্ক মজার ছলে বলেন, ‘আমার মুখেও একটু দাগ আছে!’ ডিওজিই লেখা বেসবল ক্যাপ ও ‘দ্য ডিওজিই ফাদার’ লেখা টি-শার্ট পরিহিত মাস্ক বারবার মজার ছলে বলেন, ‘আমি তখন ফ্রান্সের কোথাও ছিলাম না।’

  • জন্মদাত্রী মায়ের ঠাঁই মুরগির খোপে! সন্তানদের অবহেলায় মানবেতর জীবন পটুয়াখালীর নুরজাহানের

    জন্মদাত্রী মায়ের ঠাঁই মুরগির খোপে! সন্তানদের অবহেলায় মানবেতর জীবন পটুয়াখালীর নুরজাহানের

    পটুয়াখালী সদর উপজেলার লাউকাঠী ইউনিয়নের দক্ষিণ লাউকাঠী গ্রামে ঘটেছে হৃদয়বিদারক এক ঘটনা। যে মা এক সময় বাড়ি বাড়ি ভিক্ষা করে সন্তানদের মানুষ করেছেন, সেই মা নুরজাহান বেগম এখন আশ্রয় নিয়েছেন একটি পুরনো মুরগির খোপে। বছরের পর বছর ধরে স্যাতস্যাতে ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করছেন এই জনমদুঃখিনী মা।

    মুরগি রাখার ওই খোপটিতে নেই কোনো কাঁথা, বালিশ বা বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা। সেখানে কোনোরকমে বসে থাকেন নুরজাহান বেগম। মাঝে মাঝে খাবারের আশায় চিৎকার করলেও, কেউ তাঁর ডাকে সাড়া দেন না।

    স্থানীয়রা জানান, বৃদ্ধা মাকে প্রতিদিন সকালে মুরগির খোপে রেখে সন্তান ও পুত্রবধূরা কাজে চলে যান। ঘরটি তালাবদ্ধ করে তারা দিনভর অনুপস্থিত থাকেন। সারাদিন নিরুপায় নুরজাহান বেগম খাবারের আশায় বাড়ি থেকে বাড়ি ছুটে বেড়ান নড়বড়ে শরীর নিয়ে।

    সম্প্রতি পড়ে গিয়ে মাথা ফেটে যায় এবং হাত ভেঙে যায় তাঁর। সারা দিন ধরে যন্ত্রণায় ছটফট করছেন তিনি। একটু পানি চাওয়ার জন্য তীব্র আর্তনাদ করলেও, শোনার মতো কেউ নেই পাশে।

    বর্তমানে বন্যা পরিস্থিতির কারণে তাঁর থাকার জায়গার চারপাশে জমে আছে জোয়ারের পানি। এতে তাঁর মধ্যে কাজ করছে অজানা আতঙ্ক।

    দশ মাস দশ দিনের যন্ত্রণা, সন্তানদের না খেয়ে খাইয়ে বড় করা, তাদের শখ-আহ্লাদ পূরণ করে বড় করে তোলার পরও শেষ বয়সে এমন নির্মম পরিণতি! মানবিকতার এই চরম অবক্ষয়ের ঘটনায় নুরজাহান বেগমের দুই সন্তানের কাছে জানতে চাইলেও তারা কারো নাগালে পাওয়া যায়নি।

  • দুই মণ গাঁজাসহ ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার

    দুই মণ গাঁজাসহ ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার

    কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ এক ছাত্রদল নেতা আটক হয়েছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম রাসেল মাহমুদ। তিনি উপজেলার শশীদল ইউনিয়ন ছাত্রদলের আহ্বায়ক। তাকে আটক করেছেন র‌্যাব-১০-এর সদস্যরা। বৃহস্পতিবার রাজধানীর শ্যামপুর থানার দোলাইরপাড় মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।

    জানা গেছে, আটক রাসেল শশীদল ইউনিয়ন বাগড়া গ্রামের রুপ মিয়ার ছেলে। তার সঙ্গে আরো তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন— ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা শশীদল ইউনিয়ন মানরা গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মো. ইউসুফ, ব্রাহ্মণপাড়া সদর ছাতিয়ানি গ্রামের বারেক মিয়ার ছেলে সুজন, একই উপজেলার মাধবপুর গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে সাইফুল ইসলাম সাব্বির। এ সময় তাদের সঙ্গে একটি পিকআপ ভ্যানও জব্দ করা হয়।

    র‌্যাব জানায়, ঢাকার শ্যামপুর থানার দোলাইরপাড় মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাসেলকে আটক করা হয়। এ সময় ৮২ কেজি গাঁজাসহ তার সহযোগী তিনজন এবং একটি পিকআপ ভ্যানও জব্দ করা হয়। তিনি একজন চিহ্নিত মাদক কারবারি। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

    কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ফয়সাল আহমেদ ভূঁইয়া আমার দেশকে বলেন, ‘মাদকসহ গ্রেপ্তারের বিষয়টি সঠিক। আমরা আজ রাতেই তাকে বহিষ্কার করব।’

  • ‘বিএনপি ফু দিলে এনসিপিসহ বাকি সব দল বাতাসে উড়ে যাবে’

    ‘বিএনপি ফু দিলে এনসিপিসহ বাকি সব দল বাতাসে উড়ে যাবে’

    বিএনপির নেতা আ. খালেক বলেছেন, আজ এনসিপির ছোট ছোট বাচ্চারা শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছে। তারা বিএনপিকে ভয় দেখায়। আরে বাংলাদেশে গতকাল যে জনসভা হলো, মাত্র ৩ টা সংগঠনের সভা, ৫০ লক্ষ লোক হলো; তারা ফু দিলে তোমাদের এনসিপি আর বাংলাদেশের বাকি সব দল কোথায় উড়ে যাবে বাতাসে খুঁজে পাওয়া যাবে না।

    শুক্রবার বিএনপি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

    তিনি আরো বলেন, এনসিপি হলো বাংলাদেশ চিলড্রেন পার্টি। ছোটবেলায় আমরা পড়েছি, ‘মৌমাছি মৌমাছি/কোথা যাও নাচি নাচি/দাঁড়াও না একবার ভাই/ঐ ফুল ফোটে বনে/যাই মধু আহরণে/ দাঁড়াবার সময় তো নাই।’ এনসিপি এখন বলে, ‘এনসিপি এনসিপি/কোথা যাও চুপি চুপি/ দাঁড়াও না একবার ভাই/টাকা পাই যেই খানে/ যাই মোরা সেই খানে/ দাঁড়াবার সময় তো নাই।

    এনসিপির নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আগে বিএনপির একটা ওয়ার্ডের নেতা হওয়ার যোগ্যতা অর্জন কর, তারপরে স্বপ্ন দেখ।

    আমরা চাই তোমরা আমাদের সঙ্গে থাকো। ছোটো ছেলে, বাচ্চা ছেলে, অনেক কিছু আবেগ দিয়ে বলে ফেল।
    তিনি বলেন, আমাদের ৬০ লক্ষ নেতাকর্মী জেল খেটেছেন। তারা বন্দুকের গুলির সামনে আন্দোলন করেছেন।

    বিএনপিকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করবেন না। এই ৬০ লক্ষ বাঘ যদি একবার ডাক দিয়ে ওঠে তাহলে ইউনূস আপনি কিন্তু ফানুস হয়ে উড়ে যাবেন।
    প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে বিএনপির এ নেতা বলেন, আপনি নোবেল পেয়েছেন, আপনাকে সম্মান দিতে চাই। সম্মান রক্ষা করে ডিসেম্বরেই ভালোই ভালো নির্বাচন দিয়ে দেন। আর ভোট করার করার ইচ্ছা থাকলে আসেন নির্বাচন করে প্রেসিডেন্ট হোন, মেনে নেব, সমস্যা নাই।

    আর পায়তারা করে ভোট বানচালের চেষ্টা করলে বাংলাদেশের মানুষ কিন্তু ক্ষমা করবে না।
    এ সময় সরকার, এনসিপি ও জামায়াতের ব্যাপারে নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকতে বলেন বিএনপির এ নেতা।