Category: bangla

  • যে কারণে পাকিস্তানের ব্যাট কোম্পানিতে গিয়েছিলেন তামিম

    যে কারণে পাকিস্তানের ব্যাট কোম্পানিতে গিয়েছিলেন তামিম

    যে কারণে পাকিস্তানের ব্যাট কোম্পানিতে গিয়েছিলেন তামিম
    বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান সফর শেষ হয়েছে রোববার। গতকালই দুই ভাগে ভাগ হয়ে বাংলাদেশে পৌছেছে লিটন দাসের দল। সিরিজ চলাকালীন সময়ে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। পরে সাবেক এই অধিনায়ক মুখোমুখি হয়েছিলেন গণমাধ্যমের। জানিয়েছিলেন পাকিস্তানে যাওয়ার কারণও।

    কিছুদিন আগে বাংলাদেশে একটি ব্যাট কোম্পানির শো-রুম দিয়েছেন তামিম। মূলত পাকিস্তানে সেই সিএ ব্যাটের ফ্যাক্টরিতেই গিয়েছিলেন তিনি। পরে জানান সেই গল্পের কথা।

    তামিম বলছিলেন, ‘আমি ব্যবসা করে তো প্লেন কিনতে পারবো না বাড়ি করতে পারব না। এটা আমার খুবই শখের একটা জিনিস। আমি অবসর নেওয়ার পরে ওরা (সিএ) একটা ব্যাট বানাচ্ছে। আমার যারা ফ্যান ছিলেন আমার খেলা পছন্দ করতেন তাদের জন্য তৈরি করা। এই ব্যাট যারা নিবেন কিনবেন তারা একটা মেমোরি হিসেবে রাখতে পারবেন, তো এটাই বড় কারণ এখানে আমার আসার।’

    দেশের মার্কেটে ব্যাটের দাম বেড়ে যাওয়া নিয়ে তামিম বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশের মার্কেটে দাম হয়েছে ব্যাটের এত পরিমান হওয়ার কথা না তো। একটা ব্যাটের দাম যদি পনের হাজার বা বিশ হাজার দাম যদি কমিয়ে নিয়ে আসতে পারি তাহলে তো ভালো। যারা একাডেমি বা নতুন লিগ খেলছে তাদের জন্য এটা একটা সুবিধা হবে।’

  • ওজু করার সময় মাথায় পানির ট্যাংক পড়ে মাদরাসাছাত্রীর মৃত্যু

    ওজু করার সময় মাথায় পানির ট্যাংক পড়ে মাদরাসাছাত্রীর মৃত্যু

    রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে মাথায় পানির ট্যাংক পড়ে কানিজ ফাতেমা (১৩) নামে এক মাদরাসাছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এসময় আহত হয়েছে আরও এক ছাত্রী।

    মঙ্গলবার (৩ জুন) ভোরে উপজেলার বহরপুর নুরে মদিনা হাফিজিয়া মহিলা মাদরাসা ও এতিমখানায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

    মৃত কানিজ ফাতেমা কালুখালী উপজেলার মাজবাড়ী ইউনিয়নের চর শ্রীপুর গ্রামের মো. কাউসারের মেয়ে। সে ওই মাদরাসায় মক্তব বিভাগে পড়তো। আহত ছাত্রীর নাম মিম আক্তার (১৪)। সে বহরপুর ইউনিয়নের পাকালিয়া গ্রামের মো. জসিম উদ্দিনের মেয়ে। সে ওই মাদরাসায় হেফজ বিভাগে পড়ে।

    অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সামাদ বলেন, ভোর ৪টা ৫০ মিনিটে ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ পড়ার জন্য মাদরাসার ওজুখানায় ওজু করতে যায় কানিজ ফাতেমা ও মিম। এসময় ওজু খানার পাশে সিমেন্টের খুঁটির ওপর বসানো এক হাজার লিটার পানির ট্যাংক খুঁটি ভেঙে কানিজ ফাতেমা ও মিমের মাথার ওপর পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই কানিজ ফাতেমা মারা যায়। আহত অবস্থায় মিমকে উদ্ধার করে বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। মিমের মাথায় সেলাই লেগেছে। সে এখন নিজের বাড়িতে অবস্থান করছে।

    বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জামাল উদ্দিন জানান, নিহত ছাত্রীর মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

  • ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গাড়িতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, নিহত ৩

    ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গাড়িতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, নিহত ৩

    গাজার উত্তরের জাবালিয়া এলাকায় সোমবার একটি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গাড়িতে অ্যান্টি-ট্যাংক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। এতে তিন ইসরায়েলি সেনা নিহত হন এবং আরও দুইজন গুরুতর আহত হন।

    ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জানায়, এটা ছিল একটি পরিকল্পিত ও ভয়াবহ হামলা। নিহত সেনারা নবম ব্রিগেডের সদস্য ছিলেন। আহতদের উদ্ধার করতে হেলিকপ্টার পাঠানো হলেও আশপাশে তীব্র গোলাগুলির কারণে অভিযান ব্যাহত হয়। পরে আরও হেলিকপ্টার এসে এলাকায় গোলাবর্ষণ করে উদ্ধার চেষ্টা চালায়। এক হেলিকপ্টারকে লক্ষ্য করে গুলিও ছোড়া হয়। পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় কিছু সময় উদ্ধার অভিযান বন্ধ রাখতে হয়।

    এই ঘটনার পর গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা আরও বেড়ে যায়। সোমবার সারাদিন গাজার বিভিন্ন স্থানে বিমান হামলায় অনেক ফিলিস্তিনি নিহত হন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৫৪ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন এবং ১ লাখ ২৪ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন।

    হামাস অভিযোগ করেছে, ইসরায়েল বেসামরিক স্থাপনা, হাসপাতাল ও চিকিৎসাকেন্দ্রে হামলা চালাচ্ছে। এতে অনেক অসুস্থ মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছেন না, বিশেষ করে নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা সবচেয়ে বেশি বিপদে আছেন।

    আরও পড়ুনঃ বিমানযাত্রীর লাগেজে অর্ধশত বিষধর সাপ, এরপর যা ঘটল
    হামাস আরও বলেছে, ইসরায়েলের এসব কাজ আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে। তারা যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের বিষয়টি তুলে ধরে বলেছে, আমেরিকার সহযোগিতায় ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে।

  • বাজারে নতুন ডিজাইনের টাকা, আসল-নকল চিনবেন যেভাবে

    বাজারে নতুন ডিজাইনের টাকা, আসল-নকল চিনবেন যেভাবে

    গভর্নর ড. আহসান হাবিব মনসুর স্বাক্ষরিত নতুন ডিজাইন ও সিরিজের ১০০০, ৫০ ও ২০ টাকা মূল্যমানের ব্যাংক নোট আজ ১ জুন থেকে বাজারে ছেড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস থেকে পাওয়া যাচ্ছে নতুন ব্যাংক নোট। বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যান্য অফিস থেকে পরবর্তীতে ইস্যু করা হবে নতুন নোট ।

    বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, সকল মূল্যমানের নতুন নোটের পাশাপাশি বর্তমানে প্রচলিত সকল কাগুজে নোট এবং ধাতব মুদ্রাও যথারীতি চালু থাকবে। বাংলাদেশের ঐতিহাসিক এবং প্রতœতাত্ত্বিক স্থাপত্য’ শীর্ষক নতুন ডিজাইন ও সিরিজের ১০০০, ৫০ ও ২০ টাকা মূল্যমান ব্যাংক নোটের ডিজাইন ও নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সম্পর্কেও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

    ১০০০ টাকা মূল্যমান ব্যাংক নোটের ডিজাইন ও নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য-

    বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান হাবিব মনসুর স্বাক্ষরিত ১০০০ টাকা মূল্যমান ব্যাংক নোটটির আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬০ মি.মি.x ৭০ মি.মি.। নোটটি ১০০ শতাংশ কটন কাগজে মুদ্রিত এবং নোটে জলছাপ হিসেবে ‘রয়েল বেঙ্গল টাইগার এর মুখ’, ‘১০০০’ এবং ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম’ রয়েছে। নোটিতে বেগুনি রঙের আধিক্য রয়েছে।

    নোটের সম্মুখভাগে বাম পাশে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের ছবি ও মাঝখানে ‘প্রতিশ্রুত বাক্য’ ও মূল্যমান (এক হাজার টাকা) মুদ্রিত রয়েছে। নোটের মাঝখানে ব্যাকগ্রাউন্ডে ‘পাতা ও কলিসহ প্রস্ফুটিত জাতীয় ফুল শাপলা’র ছবি মুদ্রিত রয়েছে। নোটের ওপরে বাঁ দিকে নোটের মূল্যমান ‘১০০০’, ডান কোণে ‘১০০০’ ও নিচে ডানকোণে ‘৳১০০০’ মুদ্রিত রয়েছে। নোটের পেছন ভাগের ডিজাইন হিসেবে জাতীয় সংসদ ভবনের ছবি মুদ্রিত রয়েছে। নোটের ওপরে বাঁ কোণে মূল্যমান ‘১০০০’ ও ডান কোণে ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম’ এবং নিচে ডান কোণ এবং বাঁ কোণে মূল্যমান ‘১০০০’ মুদ্রিত রয়েছে। নোটের ডান পাশে উলম্বভাবে ‘১০০০’ মুদ্রিত রয়েছে।

    নোটটিতে মোট ১৩ ধরনের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সংযোজন করা হয়েছে। নোটটির সম্মুখভাগে বাঁ পাশে ৫ মি.মি. চওড়া নিরাপত্তা সুতা সংযোজন করা হয়েছে, যাতে ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম’ এবং ‘১০০০ টাকা’ খচিত রয়েছে। নোটটি নাড়াচাড়া করলে ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম’ অংশের নিরাপত্তা সুতার রং লাল থেকে সবুজ রংয়ে পরিবর্তিত হয় এবং ‘১০০০ টাকা’ অংশে একটি উজ্জ্বল রংধনু বার ওপর থেকে নিচে উঠা-নামা করে। নোটের ডান দিকের কোণায় মুদ্রিত মূল্যমান ‘১০০০’ রং পরিবর্তনশীল উন্নতমানের নিরাপত্তা কালিতে মুদ্রিত, যাতে নোটটি নাড়াচাড়া করলে এর রং ম্যাজেন্টা থেকে সবুজ রংয়ে পরিবর্তিত হয় এবং মূল্যমানের ভেতরে কোনাকুনিভাবে মুদ্রিত ‘১০০০’ লেখাটি দৃশ্যমান হয়। পাশাপাশি, নোটের সম্মুখভাগের পাতা ও কলিসহ প্রস্ফুটিত জাতীয় ফুল শাপলা দিয়ে মুদ্রিত, যা ইউভি ডিটেক্টর মেশিনের মাধ্যমে দৃষ্টিগোচর হয়। নোটটিতে গভর্নরের স্বাক্ষরের ডান পাশে সি-থ্রু ইমেজ হিসেবে একটি প্যাটার্ন মুদ্রিত রয়েছে, যা আলোর বিপরীতে ধরনে ‘১০০০’ লেখা দৃশ্যমান হবে।
    নোটটির সম্মুখভাগের বাঁ দিকে ‘BANGLADESH BANK’ লেখার নিচে মাইক্রোপ্রিন্ট হিসেবে উলম্বভাবে ‘BANGLADESH BANK’ মুদ্রিত রয়েছে। পাশাপাশি নোটের পেছন ভাগে বাঁ দিকের ওপরে ‘১০০০’ এবং নিচে ‘১০০০’ লেখার ব্যাকগ্রাউন্ডে ‘BANGLADESH BANK’ এবং এর নিচে ‘ONE THOUSAND TAKA’ পুনঃপুনঃ মুদ্রিত রয়েছে; যা শুধু আতশি কাচে দেখা যাবে।
    ব্যাংক নোটটিতে অন্যান্য নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য হিসেবে অসমতল ছাপা (সম্মুখভাগে জাতীয় স্মৃতিসৌধ’র ছবি, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক’ লেখা, গ্যারান্টি ক্লজ, বাংলা ও ইংরেজি মূল্যমান, আড়াআড়িভাবে ৬টি সমান্তরাল লাইন, পেছন ভাগে জাতীয় সংসদ ভবনের ছবি, ‘BANGLADESH BANK’, ‘ONE THOUSAND TAKA’ লেখা ইত্যাদি ইন্টাগ্লিও কালিতে মুদ্রিত), লুকানো ছাপা (সম্মুখ ভাগের নিচে মূল্যমান ‘১০০০’), ওৎরফবংপবহঃ ঝঃৎরঢ়ব (পেছন ভাগে উলম্বভাবে হালকা সোনালী রংয়ে ‘BANGLADESH BANK’ লেখা) দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের সুবিধার্থে ছয়টি বৃত্ত রয়েছে।

    বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর স্বাক্ষরিত ৫০ টাকা মূল্যমান ব্যাংক নোটটির আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩০ মি.মি.x ৬০ মি.মি.। নোটটি ১০০ শতাংশ কটন কাগজে মুদ্রিত এবং নোটে জলছাপ হিসেবে ‘রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মুখ’, ‘৫০’ এবং ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম’ রয়েছে। নোটটিতে গাড় বাদামী রঙের আধিক্য রয়েছে।

    ব্যাংক নোটটির সম্মুখভাগের বাঁ পাশে ঢাকার আহসান মঞ্জিলের ছবি এবং মাঝখানে ‘প্রতিশ্রুত বাক্য’ মূল্যমান (পঞ্চাশ টাকা) মুদ্রিত রয়েছে। নোটের মাঝখানে ব্যাকগ্রাউন্ডে পাতা ও কগিসহ প্রস্ফুটিত জাতীয় ফুল শাপলা’র ছবি মুদ্রিত রয়েছে।

    নোটটির ওপরে বাম দিকে মূল্যমান ‘৫০’, ডান কোণে ‘৫০’ ও নিচে ডান কোণে ‘৳৫০’ মুদ্রিত রয়েছে। নোটের পেছন ভাগে জলছাপ এলাকার ডান পাশে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের বিখ্যাত চিত্রকর্ম ‘সংগ্রাম’ মুদ্রিত রয়েছে। নোটের ওপরে বাঁ কোণে মূল্যমান ‘৫০’ ও ডান কোণে ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম’ এবং নিচে ডানকোণ এবং বামকোণে মূল্যমান ‘৫০’ মুদ্রিত রয়েছে। নোটের ডান পাশে উলম্বভাবে ‘৫০’ মুদ্রিত রয়েছে।

    নোটটিতে মোট ৮ ধরনের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সংযোজন করা হয়েছে। নোটটির সম্মুখভাগে বাম পাশে ২ মি.মি. চওড়া নিরাপত্তা সুতা সংযোজন করা হয়েছে যাতে ‘৳৫০’ পঞ্চাশ টাকা খচিত রয়েছে। নোটটি নাড়াচাড়া করলে নিরাপত্তা সুতার রং লাল থেকে সবুজ রংয়ে পরিবর্তিত হয়। নোটটিতে গভর্নর স্বাক্ষরের ডানপাশে See-Through image হিসেবে একটি প্যাটার্ন মুদ্রিত রয়েছে, যা আলোর বিপরীতে ধরলে ‘৫০’ লেখা দৃশ্যমান হবে। এছাড়া, নোটের সম্মুখভাগে অহসান মঞ্জিল, ঢাকা লেখাটির উভয়পাশে Microprint হিসেবে ‘BANGLADESH BANK’ এবং পেছনভাগের বামদিকের উপরে ‘৫০’ ও নিচে ‘৫০’ লেখার ব্যাকগ্রাউন্ডে Microprint হিসেবে যথাক্রমে ‘50 TAKA’ এবং ‘BANGLADESH BANK’ মুদ্রিত রয়েছে।

    ব্যাংক নোটটিতে অন্যান্য নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য হিসেবে অসমতল ছাপা (সম্মুখভাগের আহসান মঞ্জিন এর ছবি, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক’, গ্যারান্টি ক্লজ, বাংলা ও ইংরেজিতে মূল্যমান, আড়াআড়িভাবে ৬টি সমান্তরাল লাইন ইত্যাদি ইন্টাগ্লিও কালিতে মুদ্রিত), লুকানো ছাপা (সম্মুখভাগের নিচে মূল্যমান ৫০), দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের সুবিধার্থে ২টি বৃত্ত রয়েছে। ২০ টাকা মূল্যমান ব্যাংক নোটের ডিজাইন ও নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য

    বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান হাবিব মনসুর স্বাক্ষরিত ২০ টাকা মূল্যমান ব্যাংক নোটটির আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ১২৭মি.মি.x ৬০ মি.মি.। নোটটি ১০০ শতাংশ কটন কাগজে মুদ্রিত এবং নোটে জলছাপ হিসেবে ‘রয়েল বেঙ্গল টাইগার এর মুখ’, ‘২০’ এবং ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম’ রয়েছে। নোটটিতে সবুজ রঙের আধিক্য রয়েছে।

    ব্যাংক নোটটির সম্মুখভাগের বামপাশে ঐতিহাসিক স্থাপনা কান্তজিউ মন্দির, দিনাজপুর এর ছবি এবং নোটের মাঝখানে ‘প্রতিশ্রুত বাক্য’ ও মূল্যমান (বিশ টাকা) মুদ্রিত রয়েছে। নোটের মাঝখানে ব্যাকগ্রাউন্ডে পাতা ও কালিসহ প্রস্ফুটিত জাতীয় ফুল শাপলা’র ছবি মুদ্রিত রয়েছে। এছাড়া, নোটের উপরে বামদিকে মুল্যমান ‘২০’, ডানকোণে ‘২০’ ও নিচে ডানকোণে ‘৳২০’ মুদ্রিত রয়েছে।

    নোটের পেছনভাগে জলছাপ এলাকার ডানপাশে পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার, নওগাঁ এর ছবি মুদ্রিত রয়েছে। নোটের উপরে বামকোণে মূল্যমান ‘২০’ ও ডানকোণে ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম’ এবং নিচে ডানকোণে মূল্যমান ‘২০’ মুদ্রিত রয়েছে। এছাড়া, নোটের ডানপাশে উলম্বভাবে ‘২০’ মুদ্রিত রয়েছে।

    নোটটিতে মোট ৫ ধরনের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সংযোজন করা হয়েছে। নোটটির সম্মুখভাগে বামপাশে ২ মি.মি. চওড়া নিরাপত্তা সুতা সংযোজন করা হয়েছে যাতে ‘৳২০ বিশ টাকা’ খচিত রয়েছে। নোটটি নাড়াচাড়া করলে নিরাপত্তা সুতার রং লাল হতে সবুজ রংয়ে পরিবর্তিত হয়। নোটটিতে গভর্নর স্বাক্ষরের ডানপাশে See-Through image হিসেবে একটি প্যাটার্ন মুদ্রিত রয়েছে। যা আলোর বিপরীতে ধরলে ‘২০’ লেখা দৃশ্যমান হবে।
    নোটের সম্মুখভাগের ডানদিকে এবং পেছনভাগের বামদিকের গ্লিউইশ প্যাটার্নের ভিতরের অংশে Microprint হিসেবে উলম্বভাবে ‘BANGLADESH BANK’ মুদ্রিত রয়েছে।

  • টাঙ্গাইলে ট্রাকের পেছনে মাইক্রোবাসের ধাক্কা, নিহত ৩

    টাঙ্গাইলে ট্রাকের পেছনে মাইক্রোবাসের ধাক্কা, নিহত ৩

    ঢাকা-টাঙ্গাইল যমুনা সেতু মহাসড়কের বাসাইল উপজেলার করাতিপাড়া বাইপাস এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন।

    মঙ্গলবার (৩ জুন) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার করাতিপাড়া বাইপাস এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

    বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

  • রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে।

    রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে।

    সোমবার (২ জুন) বিকেল সাড়ে তিনটায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়।

    এক বার্তায় পাওয়ায় গ্রিড বাংলাদেশ জানায়, রূপপুর-গোপালগঞ্জ ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন সফলভাবে চালু করার মধ্য দিয়ে প্রথম ইউনিটের বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সঞ্চালন সক্ষমতার মাইলফলক স্পর্শ করলো। এর মাধ্যমে পারমাণবিক কেন্দ্রের বিদ্যুৎ বাংলাদেশের গ্রিডে সঞ্চালনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলো।

    রূপপুর-গোপালগঞ্জ ৪০০ কেভি লাইনের দৈর্ঘ্য ১৫৮ কিলোমিটার (প্রায়) ও টাওয়ার সংখ্যা ৪১৪টি।

    এর আগে প্রথম ইউনিটের ফিজিক্যাল স্টার্টআপের জন্য আরও দুটি হাইভোল্টেজ লাইন প্রস্তুত করা হয়েছিল। ২০২২ সালের ৩০ জুন ‘রূপপুর-বাঘাবাড়ি ২৩০ কেভি সঞ্চালন লাইন’ এবং ২০২৪ সালের ৩০ এপ্রিল ‘রূপপুর-বগুড়া ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন’ চালু করা হয়। রূপপুর-গোপালগঞ্জ লাইন চালুর মধ্য দিয়ে মোট তিনটি লাইন প্রস্তুত হলো, যার প্রতিটির সঞ্চালন সক্ষমতা ২ হাজার মেগাওয়াট।

  • ‘সিগারেটে অতিরিক্ত ২০ হাজার কোটির রাজস্ব আয়ের সুযোগ হাতছাড়া’

    ‘সিগারেটে অতিরিক্ত ২০ হাজার কোটির রাজস্ব আয়ের সুযোগ হাতছাড়া’

    প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে সব ধরনের সিগারেটের দাম ও করহার অপরিবর্তিত রাখায় ২০ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হবে সরকার এবং তরুণ জনগোষ্ঠী সিগারেট ব্যবহারে বিশেষভাবে উত্সাহিত হবে বলে মনে করছে প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান)।

    সোমবার (২ জুন) প্রস্তাবিত বাজেটের প্রতিক্রিয়ায় প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এসব কথা বলে

    প্রজ্ঞার তথ্যমতে, তামাকবিরোধীদের প্রস্তাব অনুযায়ী সিগারেট বাজারের প্রায় ৮০ শতাংশ দখলে থাকা নিম্ন এবং মধ্যমস্তরের সিগারেটকে একত্রিত করে সর্বনিম্ন খুচরা মূল্য ৯০ টাকা নির্ধারণ করার পাশাপাশি অন্যান্য স্তরের সিগারেটের দাম বাড়ানো হলে রাজস্ব আয়ের এই সুযোগ হাতছাড়া হবে না এবং জনস্বাস্থ্যের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটবে।

    বিবৃতিতে বলা হয়, প্রস্তাবিত বাজেটে ষষ্ঠ বারের মতো বিড়ির মূল্য এবং ১০ম বারের মতো এর সম্পূরক শুল্ক অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে, যা অত্যন্ত হতাশাজনক। জর্দা ও গুলের দাম এবং কর হার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। তামাক ব্যবহারকারীদের ৫০ শতাংশেরও বেশি মানুষ ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহার করেন, যাদের অধিকাংশই দরিদ্র এবং নারী। মূল্যস্ফীতি এবং মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি বিবেচনায় নিলে এসব পণ্য আরো সস্তা ও সহজলভ্য হয়ে যাবে। দরিদ্র জনগোষ্ঠী বিশেষত নারীরা ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্য ব্যবহারে উৎসাহিত হবে এবং তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকিও বেড়ে যাবে।

    প্রস্তাবিত বাজেটে সিগারেট প্রস্তুতকারকের নিট বিক্রয়মূল্যের ওপর অগ্রিম কর ৩ শতাংশের স্থলে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। বাণিজ্যিক আমদানিকারকের সিগারেট পেপার আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ১৫০ শতাংশের পরিবর্তে ৩০০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এগুলো ইতিবাচক পদক্ষেপ তবে তামাকপণ্যের দাম বৃদ্ধির জন্য যথেষ্ট নয়।

    প্রস্তাবিত বাজেটের প্রতিক্রিয়ায় প্রজ্ঞা’র (প্রগতির জন্য জ্ঞান) নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের বলেন, তামাকের কারণে দেশে প্রতিদিন ৪৪২ জন মানুষ মারা যায়। তামাকবিরোধীদের কর সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা হলে তামাকের ব্যবহার ও তামাকজনিত মৃত্যু কমবে এবং সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে।

    উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ৩৫.৩ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করেন। চূড়ান্ত বাজেটে তামাকবিরোধীদের প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা হলে অতিরিক্ত রাজস্ব আয়ের পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদে প্রায় ৯ লাখ তরুণসহ মোট ১৭ লাখের অধিক মানুষের অকাল মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হবে।

  • গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়ে আকাশে উড়লো রাশিয়ার নতুন সুপারজেট!

    গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়ে আকাশে উড়লো রাশিয়ার নতুন সুপারজেট!

    রাশিয়া মানেই যেনো অপ্রতিরোধ্য। বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলো যখন সব একজোট হয়ে রাশিয়াকে একঘরে করে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে মত্ত ঠিক তখনি পুরো বিশ্বকে অবাক করে দিয়ে নতুন ইতিহাস রচনা করলো ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ তাদের সকল মিত্ররা রাশিয়ায় সব ধরণের পণ্য রপ্তানি বন্ধ করে দিলে বিমান তৈরির যন্ত্রাংশ রপ্তানি করাও বন্ধ হয়ে যায় দেশটিতে। এরপরও সম্পূর্ণ নিজস্ব প্রযুক্তিতে সুপারজেট বিমান নির্মাণ করে সফলভাবে আকাশে উড্ডয়ন করে গোটা বিশ্বকে চমকে দিলো তারা। ওরা যেনো দেখিয়ে দিলো পশ্চিমাদের ছাড়াও রাশিয়া স্বয়ং সম্পূর্ণ।

    পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞা আসার পর বোয়িং ও এয়ারবাসের মতো আন্তর্জাতিক বিমান নির্মাতারা রাশিয়ায় যন্ত্রাংশ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এমন পরিস্থিতিতেই নিজস্ব প্রযুক্তিতে উৎপাদিত সব যন্ত্রাংশ দিয়ে সবাইকে অবাক করে রাশিয়ার নির্মাতারা তৈরি করেন যাত্রীবাহী বিমান ‘সুখই সুপারজেট’। যা নিয়েই তোলপাড় শুরু হয় পুরো বিশ্বে, তবে এবার সবাইকে অবাক করে দিয়ে কমসমলসক অন আমুরের আকাশে সম্পূর্ণ রুশ প্রযুক্তিতে নির্মিত এই যাত্রীবাহী বিমানটি তার প্রথম সফল উড়ান সম্পন্ন করেছে।

    আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, এই সুপারজেটটি নির্মাণে সাতটিরও বেশি রুশ প্রতিষ্ঠান কাজ করেছে। যার প্রতিটি যন্ত্রাংশ, উপাদান ও সিস্টেম নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি করেছে তারা। বিমানটিতে পিডিএ-৮ ইঞ্জিনসহ মোট ৩৮টি সিস্টেম ও উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে, যেগুলো পুরোটাই রাশিয়ায় তৈরি। এই বিমানে কোনো বিদেশি যন্ত্রাংশের অস্তিত্ব নেই।

    সম্পূর্ণ নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরী রাশিয়ার এই সুপারজেট নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত ছিলো সমগ্র রাশিয়ার সাধারণ নাগরিকরাও। ইউনাইটেড এয়ারক্রাফট কর্পোরেশনের জেনারেল ডিরেক্টর বাদিম বাদেখা এক আবেগঘন ঘোষণায় বলেন, “আজ রাশিয়ার বেসামরিক বিমান চালনার ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ দিন। একটি সম্পূর্ণ আমদানি প্রতিস্থাপিত সুখই সুপারজেট তার প্রথম ফ্লাইট সম্পন্ন করেছে।”

    শুধু বিমানটি নির্মাণ করেই বিশ্বকে চমকে দেয়নি রাশিয়া বরং একটি বিমান তৈরিতে যে সময় প্রয়োজন হয় তার চেয়ে দুই থেকে তিনগুন সময় কম নিয়ে বিমানটি তৈরি করতে সক্ষম হয় রাশিয়ান নির্মাতারা। পরীক্ষামূলক উড্ডয়নে বিমানটি ৪০ মিনিট আকাশে সফলভাবে উড়ে। প্রথম ফ্লাইটে বিমানটি ৩,০০০ মিটার উচ্চতায় ঘন্টায় ৫০০ কিলোমিটার গতিতে উড়েছে, যা এর কার্যকারিতা ও সক্ষমতারই প্রমাণ দেয়।

    বিমানটি চালানো প্রথম পাইলট সেরগেই জাভালকিন উড়ানোর পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে জানান, “ফ্লাইটটি ছিল অসাধারণ। সমস্ত সিস্টেম নিখুঁতভাবে কাজ করেছে। কোনো সমস্যা হয়নি। ইঞ্জিনগুলো ছিল অত্যন্ত মসৃণ।” তিনি এই ঐতিহাসিক অর্জনের পেছনে থাকা প্রকৌশলী ও রক্ষণাবেক্ষণ দলের প্রতিও বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানান।

    রাশিয়ার নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি ‘সুখই সুপারজেট’ পশ্চিমাদের জন্য শুধু চমকই নয় বরং মুখ্যম জবাব ভ্লাদিমির পুতিনের পক্ষ থেকে। যেভাবে সম্পূর্ণ নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি করা হলো এই যাত্রীবাহী বিমান তাতে করে বিশ্বের বিমানখাতে ছড়ি ঘোরাতেও খুব বেশি দেরি নেই রাশিয়ার এমনটিই বলছেন বিশ্লেষকরা।

  • চীনের চাকরি ছেড়ে তরুণী চলে এলেন হিরো আলমের কাছে

    চীনের চাকরি ছেড়ে তরুণী চলে এলেন হিরো আলমের কাছে

    চীনের চাকরি ছেড়ে দেশে চলে এসেছেন, দেশে ফিরেই শুরু করলেন হিরো আলমের সঙ্গে মিউজিক ভিডিওর কাজ। কিশোরগঞ্জের মেয়ে সাইকা সুবহা তান্নু। ২০১৯ সালে চলে যান চীনের হাংঝু শহরে, মায়ের কাছে। মা সেখানেই চাকরি করেন।

    এরপর তান্নুও সেখানে একটি অ্যাকোয়ারিয়াম কম্পানিতে চাকরি নেন। নিজ মনে চাকরিই করছিলেন।
    শোবিজ দুনিয়ার প্রতি আকর্ষণ ছিল এই তরুণীর। তাই কাজের ফাঁকে ফাঁকে ছোট ছোট ভিডিও বানাতেন।

    নিজেই সেসব দেখতেন। সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করতেন। মানুষজন নানা প্রতিক্রিয়া জানাতেন। সেসব তার মনে আলোড়ন তৈরি করত।

    দেশের কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের খেয়াল করতেন তান্নু। ইচ্ছা ছিল দেশে এসে ফিরে মিডিয়ায় কাজ করবেন। এভাবেই পরিচয় হয় আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের সঙ্গে। তাকে নিজের ইচ্ছার কথা বলেন। হিরো আলমের ইতিবাচক সাড়া পাওয়ায় চীন থেকে চলে আসেন ঢাকায়।

    দেখা করেছেন হিরো আলমের সঙ্গে। এরই মধ্যে তার সঙ্গে কাজও শুরু করেছেন।

    আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম বলেন, ‘এরই মধ্যে আমরা দুজন মিলে মিউজিক ভিডিও করেছি। চায়না ভাষার গানে করা মিউজিক ভিডিওতে আমি ও তান্নু মডেল হয়েছি। দর্শকরা তাড়াতাড়ি দেখতে পারবেন।’

    সাইকা সুবহা তান্নু বলেন, ‘আমার আসলে শোবিজের প্রতি এক ধরনের আগ্রহ ছিল। আমি চীনের হাংঝু শহরে পরিবারের সঙ্গেই ছিলাম। সেখানেই চাকরি করতাম। হিরো আলমের সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর আমি দেশে আসি। এখন তাঁর সঙ্গেই কাজ করছি। আমার তো ভিসা রয়েছে। যদি দেখি আমার ইচ্ছার সেভাবে বিকাশ ঘটছে না তাহলে চলে যাবো। তবে আমার ইচ্ছা আছে, এখানে ভালো কিছু করার।’

    হিরো আলম কালের কণ্ঠকে বললেন, ‘তান্নুর সঙ্গে আমি অনেকগুলো কাজ করব। তাঁর কাজের প্রতি আগ্রহ আছে। সে চীন থেকে চাকরি ছড়ে দিয়ে আমার সঙ্গে কাজ করতে আসছে, এটা অনেক বড় ব্যাপার। কাজ শুরু করলাম। দেখা যাক কী হয়।’

  • ৫০ ঘণ্টা পর সেই পুলিশ সদস্যের মরদেহ উদ্ধার

    ৫০ ঘণ্টা পর সেই পুলিশ সদস্যের মরদেহ উদ্ধার

    নোয়াখালীর হাতিয়ায় মেঘনা নদীতে ট্রলারডুবির ৫০ ঘণ্টা পর উদ্ধার হলো নিখোঁজ পুলিশ সদস্য মো. সাইফুল ইসলামের (৩০) মরদেহ।

    সোমবার (২ জুন) বিকেল ৫টার দিকে তার মরদেহ ভেসে ওঠে চানন্দী ইউনিয়নের দরবেশ বাজারের পার্শ্ববর্তী করিমবাজার ঘাটের দক্ষিণের চরে। এ ঘটনায় সাইফুলের সহকর্মী ও পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

    নিখোঁজ সাইফুল ইসলাম লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার চরশাহী গ্রামের মো. সিরাজুল ইসলাম ও রহিমা বেগম দম্পতির একমাত্র ছেলে সন্তান। বর্তমানে তিনি নোয়াখালী জেলা পুলিশ লাইনসে কর্মরত ছিলেন। পেশাগত দায়িত্বে গত তিন বছর ধরে নোয়াখালীর বিভিন্ন থানায় কর্মরত ছিলেন সাইফুল।

    স্থানীয় বাসিন্দা মাসুদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, চানন্দী ইউনিয়নের দরবেশ বাজারের দক্ষিণে চরের সঙ্গে মেঘনা নদীর কিনারে ভাসমান অবস্থায় একটি মরদেহ দেখতে পেয়ে ছবি উঠিয়ে পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে পুলিশ সদস্যরা পরিচয় নিশ্চিত করেন। এসময় তার সঙ্গে থাকা মোবাইলফোনের পেছনেও তার পরিচয় মিলেছে।

    জানা যায়, গত শনিবার (৩১ মে) দুপুর ৩টার দিকে ভাসানচর থেকে হাতিয়ার করিমবাজার ঘাটে যাওয়ার পথে যাত্রীবাহী একটি ট্রলার ডুবচরে পৌঁছালে হঠাৎ ফেটে গিয়ে উল্টে যায়। ট্রলারটিতে ৩৯ জন যাত্রী ছিলেন। তার মধ্যে মাঝি ও যাত্রীসহ মোট ৩৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে গিয়াস উদ্দিন এবং রামগতি থেকে রোহিঙ্গা নারী হাসিনা খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও রোহিঙ্গা শিশু নিখোঁজ রয়েছে। প্রচন্ড স্রোতের মধ্যে সাইফুল ভেসে যেতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মোহাম্মদ ইব্রাহীম ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, দুপুরে সাগরে একটি মরদেহ ভেসে উঠেছে বলে আমরা খবর পেয়েছি। বিষয়টি কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীকে অবহিত করা হয়। বিকেলে মরদেহটি ঢেউয়ের সঙ্গে কিনারায় ভেসে উঠে। সাইফুলের মরদেহ হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।