Category: bangla

  • নেতাকর্মী নয়, যেকারণে ৩ আগস্ট আত্মীয়দের দেশ ত্যাগের নির্দেশ দেন হাসিনা!

    নেতাকর্মী নয়, যেকারণে ৩ আগস্ট আত্মীয়দের দেশ ত্যাগের নির্দেশ দেন হাসিনা!

    ৩ আগস্ট, দেশের রাজনীতি যখন অনিশ্চয়তার মধ্যে দুলছে, তখন দলীয় নেতাকর্মীদের নয়, বরং নিজের আত্মীয়দের উদ্দেশ্যে সরাসরি দেশ ছাড়ার নির্দেশ পাঠান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঘটনার দিন তিনি নিজের মোবাইল ফোন থেকে একটি ছোট বার্তা পাঠান—“No one to hear”—এই চার শব্দেই তিনি স্বজনদের বুঝিয়ে দেন অবস্থা কতটা ভয়াবহ।

    এই মেসেজের প্রেক্ষিতে শেখ হাসিনার এক আত্মীয়, যিনি বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করছেন, এক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাংবাদিককে জানান, “ভোরে ঘুম ভাঙতেই দেখি হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা। বার্তাটির অর্থ বুঝতে অসুবিধা হয়নি। তৎক্ষণাৎ সিদ্ধান্ত নেই দেশ ছাড়ার।”

    জানা গেছে, ৩ আগস্ট রাতেই শেখ হাসিনা তার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের উদ্দেশ্যে একই ধরণের বার্তা পাঠান। পরদিন ৪ আগস্ট কারফিউ চলাকালেই ওই আত্মীয় পরিবারসহ দেশ ত্যাগ করে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি জমান।

    এই আত্মীয় আরও জানান, শুধুমাত্র শেখ মুজিবের বংশধর ও ঘনিষ্ঠ স্বজনদেরই এমন বার্তা দেওয়া হয়। আওয়ামী লীগের কোনো নেতা বা মন্ত্রীদের শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার বিষয়ে কিছু বলেননি।

    ৫ আগস্ট দুপুরে অধিকাংশ আত্মীয় নিরাপদে বিদেশে পৌঁছালে শেখ হাসিনা ছোট বোন শেখ রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে ভারত চলে যান। তিনি বর্তমানে দিল্লিতে অবস্থান করছেন এবং শেখ রেহানা লন্ডনে। রেহানার ছেলেমেয়েরা আগেই লন্ডনে ছিলেন।

    এদিকে, সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের অনেক শীর্ষ নেতা গ্রেপ্তার হলেও শেখ হাসিনার পরিবারের অধিকাংশ সদস্য নিরাপদে বিদেশে চলে যেতে সক্ষম হন। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সিঙ্গাপুর এবং অস্ট্রেলিয়াই ছিল তাদের গন্তব্য।

    তবে এক ব্যতিক্রম হিসেবে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্য সারনিয়াবাদ মইনুদ্দিন আব্দুল্লাহ গ্রেপ্তার হন গত বছরের অক্টোবর মাসে। তিনি শেখ হাসিনার ফুয়াত ভাই ও সাবেক চিফ হুইপ আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহর পুত্র।

    এই আত্মীয় আরও দাবি করেন, ৩ আগস্ট বিকেলেই শেখ হাসিনা বুঝতে পারেন তার সরকার টিকবে না। তিনি নিজেই স্বজনদের বলেন—”পরিস্থিতি ভালো নয়, জীবন বাঁচাতে হলে এখনই দেশ ছাড়তে হবে।”

    তৎকালীন ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস সেদিনই সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরলেও বিমানবন্দরেই শেখ হাসিনার মৌখিক বার্তা পেয়ে আবার সিঙ্গাপুরে ফিরে যান।

    সেদিনই শেখ হাসিনা জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন। সেনাবাহিনী প্রধানরা তাকে পরিস্থিতির ভয়াবহতা বোঝান এবং জানিয়ে দেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে গিয়ে বাহিনী কাজ করতে পারবে না। এরপরই প্রধানমন্ত্রী নিশ্চিত হন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে।

    শেষ পর্যন্ত দলীয় নেতা-কর্মীদের ভাগ্য অনিশ্চিত রেখে নিজের আত্মীয়দের দেশ ছাড়ার নির্দেশ দিয়ে নিজেও দেশ ত্যাগ করেন। অস্ট্রেলিয়ায় থাকা তার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের ভাষ্যমতে, “শেখ হাসিনা হয়তো ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা করছিলেন। তাই জীবনের নিরাপত্তার কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত।”

  • টিউলিপ ব্রিটেনের রাজনীতিতে কতটা গুরুত্বপূর্ণ টের পেলেন ড. ইউনূস: গোলাম মাওলা রনি

    টিউলিপ ব্রিটেনের রাজনীতিতে কতটা গুরুত্বপূর্ণ টের পেলেন ড. ইউনূস: গোলাম মাওলা রনি

    সাবেক সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ ও কলাম লেখক গোলাম মাওলা রনি বলেছেন, টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটেনের রাজনীতিতে কতটা প্রভাবশালী এবং কতটা ইনফ্লুয়েনশিয়াল সেটা এবার হাড়ে হাড়ে টের পেলেন ড. ইউনূস। গোলাম মাওলা রনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা যখন লন্ডন যাচ্ছিলেন তখন টিউলিপ সিদ্দিকের পক্ষ থেকে একটি চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিটি যেভাবে লেখা হয়েছে তা ড. ইউনূসের জন্য অবমাননাকর, অসৌজন্যমূলক। ড. মোহাম্মদ ইউনূসের যে বিশ্বজোড়া খ্যাতির কথা আমরা প্রচার করি, টিউলিপের চিঠির ভাষা এবং উদ্দেশ্য এই খ্যাতিতে রীতিমতো চপেটাঘাত।

    আজ সকালে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এক ভিডিওতে তিনি এ কথা বলেন। গোলাম মাওলা রনি আরো বলেন, বাংলাদেশের মিডিয়া, বিশ্বমিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই চিঠি এবং চিঠির ভাষা রীতিমতো ভাইরাল। ড. ইউনূস টিউলিপ সিদ্দিকীর সঙ্গে দেখা করবেন কি না, ডিনার বা লাঞ্চে অংশ নেবেন কি না তা নিয়ে গত কয়েক দিন বেশ আলোচনা হয়েছে। টিউলিপ সিদ্দিকী ড. ইউনূসের নাতির বয়সী।

    এখন নাতির বয়সী একটা ব্যক্তির সঙ্গে যখন তাকে সমান্তরালে নামিয়ে আলোচনা-সমালোচনা করা হয়, গ্রেডিং দেওয়া হয়, এর অর্থ ড. ইউনূসকে নিচে নামানো হলো এবং টিউলিপ সিদ্দিকীকে ওপরে তোলা হলো।
    সাবেক এই সংসদ সদস্য আরো বলেন, ড. মোহাম্মদ ইউনূস ইংল্যান্ড সফর, সফরে তিনি পুরস্কার পাচ্ছেন, সঙ্গে বিরাট লটবহর নিয়ে গেছেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান গেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর গেছেন, তার যেসব ম্যাজিক্যাল বয় রয়েছে— লুৎফে সিদ্দিকী রয়েছেন, আরো যাদের তিনি নিয়ে গেছেন ইনক্লুডিং তার প্রেসসচিব ‘মহামান্য’ শফিক সাহেব। এই সব কিছুর চেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকীর ওই চিঠির ওজন বেশি হয়ে গেছে। ওই চিঠির গুরুত্ব বেশি হয়ে গেছে।

  • দুর্ঘটনার আগে বিমানটিতে ভ্রমণ করা এক যাত্রী জানালেন ভয়াবহ তথ্য

    দুর্ঘটনার আগে বিমানটিতে ভ্রমণ করা এক যাত্রী জানালেন ভয়াবহ তথ্য

    ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদে আজ বৃহস্পতিবাডর এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমান বিধ্বস্ত হয়। এটি আহমেদাবাদ থেকে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। কিন্তু উড্ডয়ন করার কয়েক মিনিটের মধ্যে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।

    এই একই বিমানে করে আজ দিল্লি থেকে আহমেদাবাদে গিয়েছিলেন আকাশ ভাস্তা নামে এক যাত্রী। তিনি দুর্ঘটনার পর জানিয়েছেন ভয়াবহ তথ্য। এ যাত্রী বলেছেন, তিনি যখন বিমানটিতে করে দিল্লি থেকে আহমেদাবাদে যাচ্ছিলেন, তখন এটির কোনো কিছু কাজ করছিল না। এসি থেকে লাইট— সবই ছিল বন্ধ। এসি কাজ না করায় তাদের অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে গিয়েছিল যে, যাত্রীরা সেখানে থাকা ম্যাগাজিন দিয়ে নিজেদের বাতাস করছিলেন।

    আকাশ ভাস্তা জানিয়েছেন, তিনি ওই মুহূর্তের সবকিছু ভিডিও করে রেখেছিলেন এয়ার ইন্ডিয়ার কাছে অভিযোগ জানানোর জন্য। কিন্তু এর কয়েক ঘণ্টা পরই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।

    ওই ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, “আমি বিমানে সবকিছু অস্বাভাবিক দেখতে পাচ্ছি। বিমানের এসি কাজ করছে না এবং অনেক যাত্রী ম্যাগাজিন দিয়ে নিজেদের বাতাস করছেন। এমনকি অন্য সময়ের মতো টিভি স্ক্রিনও কাজ করছিল না। কোনো কিছু কাজ করছে না। লাইটও কাজ করছে না। এয়ার ইন্ডিয়া আপনারা কি আমাদের এই সেবাই দিচ্ছেন?”

    ভিডিওতে তাকে ঘামতেও দেখা যাচ্ছিল। তিনি সামাজিক মাধ্যমে ভিডিওটি প্রকাশ করে বিমানটির মালিক এয়ার ইন্ডিয়া এবং উৎপাদনকারী বোয়িংকে ট্যাগ করেছিলেন এবং তার সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন।

    ফ্লাইট রাডারের তথ্য অনুযায়ী, বিমানটি আজ সকাল ১১টা ১৬ মিনিটে দিল্লি থেকে আহমেদাবাদে অবতরণ করে। এরপর দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটের দিকে এটি লন্ডনের গ্যাটউইকের দিকে রওনা দেয়। তখনই বিধ্বস্ত হয় বিমানটি।

    ভয়াবহ এ বিমান দুর্ঘটনায় ২৪২ আরোহীর ২৪১ জনই মারা গেছেন। অলৌকিকভাবে শুধুমাত্র একজন বেঁচে গেছেন।

    বিমানটি আছড়ে পড়ে সেখানকার বিজে মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসে। এতে ওই ছাত্রাবাসে থাকা পাঁচ শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরও ৫০ জনের মতো শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

    সূত্র : দ্য মিরর

  • ৬০০ সিনেমায় অভিনয় করেও অর্থকষ্টে, সংসার চলে ১১ হাজার টাকায়

    ৬০০ সিনেমায় অভিনয় করেও অর্থকষ্টে, সংসার চলে ১১ হাজার টাকায়

    বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে বইছে নির্বাচনি উত্তাপ। সেখানে লাঠিতে ভর দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটতে দেখা যাচ্ছে প্রবীণ একজনকে। চেনা মুখ, অভিনেতা জামিলুর রহমান শাখা।

    কাছে যেতেই জানালেন, বয়স ৮০, বার্ধ্যক্যজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। এখনও অভিনয় চালিয়ে যাচ্ছেন, তবে সিনেমায় নয় নাটকে। সেটাও কম। কারণ, থাকেন দোহার নবাবগঞ্জ এলাকার একটি গ্রামে। গাড়িতে চড়ে দূর যাত্রায় শুটিংয়ে যেতে অনেক কষ্ট হয়।

    এফডিসিতে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় এ অভিনেতা জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত প্রায় ৬০০ সিনেমায় অভিনয় করলেও এখন তাঁর সংসার চালাতে হয় ১১ হাজার টাকায়।

    পর্দায় তিনি বাবা, জজ সাহেব, কুলি, চাকর, শিক্ষক থেকে এমন কোনো ‘চরিত্র’ নেই যা করেননি! ৪২ বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারে ছয় শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন এই শাখা। তবে অভিনয় জীবনে তার একটি আফসোস তাড়া করে বেড়ায়। কখনও ‘সেন্ট্রাল ক্যারেক্টার’-এ অভিনয়ের সুযোগ পাননি প্রবীণ এই অভিনেতা।

    এই অভিনেতা জানান, তিনি দোহার নবাবগঞ্জ এলাকার একটি গ্রামে থাকেন। সেখান থেকে একটি চেক পেতে ঢাকায় এসেছিলেন। সেই সঙ্গে ভোটের আমেজ চলছে এফডিসিতে, সেটা জেনেই ঘুরে দেখতে এসেছিলেন। বলছিলেন, জ্যাম ঠেলে এফডিসি আসতে বেগ পোহাতে হয়ে তাকে।

    ঢাকায় থাকেন না কেন জিজ্ঞেস করতেই জামিলুর রহমান শাখা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলেন, আমাদের যখন ক্যারিয়ার শুরু তখনকার অনেক পরিচালক আর বেঁচে নেই। অনেক শিল্পীরাও মারা গেছেন। যারা আছেন তারা সেভাবে কাজ করেন না। তবে অধিকাংশই ভালো আছেন। আমি গত ১৭ বছর যাবত গ্রামে থাকি। পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকার সামর্থ্য নেই। এতো বাসা ভাড়া দিয়ে পরিবার নিয়ে থাকা সম্ভব না। আমার দুই ছেলে মেয়ে। মেয়ে ঢাকায় পড়ে। ছেলে বাইরে চাকরী করে। সপ্তাহে একদিন বাড়িতে আসে।

    এই বয়সে ঢাকায় বাস করা আমার জন্য জরুরী না। এখন এতোটা সিনেমায় কাজ হয় না। টুকটাক নাটকে কাজ করি। যেদিন শুটিং থাকে আসি। জীবনে সাড়ে ছয়শো’র মতো সিনেমায় অভিনয় করেও সেন্ট্রাল চরিত্র পাইনি। এটাকে আমি মনে করি আমার অক্ষমতা। তবে আমি নায়ক হওয়ার কম চেষ্টা করিনি। কিন্তু বলা হতো, শাবানার পাশে স্টার কাস্ট লাগবে। এভাবেই আমাকে ফিরিয়ে দেয়া হতো। এটা আমি আমার নিজের ব্যর্থতাই বলবো। আমি যদি যোগ্য হতাম তাহলে একবার হলেও সুযোগ পেতাম।

    ২০১৯ সাল নাগাদ চরমভাবে অর্থকষ্টে ভুগছিলেন জামিলুর রহমান শাখা। তখন শিল্পী সমিতি থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা অনুদানের ব্যবস্থা করে দেয়া হয় বলে জানান এই অভিনেতা। এরপর থেকে সেই টাকার উপর নির্ভরশীল তার পরিবার।

    জামিলুর রহমান শাখা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকার সঞ্চয়ীপত্র অনুদান পাই। সেখান থেকে প্রতিমাসে আট হাজার টাকা করে পাই। আমার মেয়ে প্রতিমাসে দেয় তিন হাজার টাকা। এই এগারো হাজার টাকায় সংসার চালাতে হয়। এভাবেই সংসার চলে। অভিনয় তো তেমন করা হয় না। গাড়িতে চড়ে দূর যাত্রায় শুটিংয়ে যেতে সবচেয়ে কষ্ট হয়। তাই দূরে শুটিং হলে করি না।

    তবে আঞ্জুমান, মাঝির ছেলে ব্যারিস্টার, হৃদয়ের কথা, খায়রুন সুন্দরী, সত্যের মৃত্যু নেই, প্রেম পিয়াসী, আমার প্রাণের স্বামীর মতো আলোচিত সব সিনেমায় ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয় করে পরিচিতি পাওয়া জৈষ্ঠ্য এই অভিনেতা জানান, তার জীবনে আর তেমন কিছু চাওয়ার নেই। বলেন, আমাকে দিয়ে সব ধরনের চরিত্র করানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় চরিত্র এবং নায়ক বাদে কোনো চরিত্র বাদ আছে কিনা জানা নেই। তবে সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে ‘রাজধানী’ সিনেমার কথা। অনেকটা ভিলেন টাইপের চরিত্র করেছিলাম। এছাড়া একবার জসিম ভাইয়ের কথায় ফাইটিংয়ের শুটিংয়ে সত্যি সত্যি তার বুকে ঘুষি মেরেছিলাম। এই জিনিসটা বেশি বেশি মনে পড়ে।

  • পটুয়াখালীতে বিএনপি-গণঅধিকার পরিষদের মধ্যে উত্তেজনা, ১৪৪ ধারা জারি

    পটুয়াখালীতে বিএনপি-গণঅধিকার পরিষদের মধ্যে উত্তেজনা, ১৪৪ ধারা জারি

    পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় রাজনৈতিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে তিন দিনের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন। শুক্রবার (১৩ জুন) সকাল ৮টা থেকে ১৫ জুন সকাল ৮টা পর্যন্ত এ আদেশ বহাল থাকবে। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে সহিংস ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়।

    উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদুল হাসান স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    আদেশে উল্লেখ করা হয়, গলাচিপা উপজেলার চরবিশ্বাস ও বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নে সাম্প্রতিক সংঘর্ষ এবং রাজনৈতিক উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদ উভয়পক্ষই যুগপৎ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে। ফলে আইনশৃঙ্খলার অবনতিসহ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে বলে গলাচিপা থানা কর্তৃপক্ষ অবহিত করেছে ইউএনওকে। তাই গলাচিপা পৌরসভা ও সংলগ্ন এলাকায় ১৩ জুন সকাল ৮টা থেকে ১৫ জুন সকাল ৮টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। এই সময়ের মধ্যে পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তির জামায়েত, মিছিল, সভা-সমাবেশ, বিক্ষোভ কিংবা দেশীয় অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য বহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আদেশ লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়।

    ইউএনও মাহমুদুল হাসান বলেন, সাধারণ মানুষের জানমাল ও সরকারি সম্পত্তি রক্ষার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

    গত বুধবার রাতে চরবিশ্বাস ও চরকাজল ইউনিয়নে ছাত্র অধিকার পরিষদের সভায় নুরুল হক নুরের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বক্তব্যে বিএনপির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও দখলদারির অভিযোগ তোলায় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং বিএনপি অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের কয়েকজন আহত হন। পরে বৃহস্পতিবার বিকালে গলাচিপা পৌর শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। মিছিল শেষে পৌরমঞ্চ চত্বরে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নুরুল হক নুরের বক্তব্যকে মিথ্যাচার ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেন বিএনপি নেতারা।

    একই দিন রাত ১০টার দিকে পাতাবুনিয়া বটতলা বাজার এলাকায় নুরুল হক নুরকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ তোলে গণঅধিকার পরিষদ। বিএনপি নেতা হাসান মামুনের অনুসারীরা গাছ ফেলে রাস্তা অবরোধ করে রড ও রামদা নিয়ে নুরের গাড়িবহরে হামলার চেষ্টা করেন বলে দাবি করেন তারা। তাদের কর্মীদের মারধর ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নুরকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয় সেনাবাহিনী ও পুলিশ।

  • দেশে আরও ৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত

    দেশে আরও ৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত

    দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪১ জনকে পরীক্ষা করে পাঁচজনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। শনাক্তের হার ১২ দশমিক ২০ শতাংশ। এই সময়ে সুস্থ হয়েছেন ছয়জন।

    আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৫ শতাংশ। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২০ লাখ ৫১ হাজার ৭৪৭ জন।

    ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর একই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দু’দিন করোনায় সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।

  • হঠাৎ করে ড.ইউনুসকে একি বললেন: তারেক রহমান

    হঠাৎ করে ড.ইউনুসকে একি বললেন: তারেক রহমান

    আমজনতার দলের সদস্য সচিব মো. তারেক রহমান বলেছেন, ‘কোনো একটি নির্দিষ্ট দলকে ফ্যাসিলেটেড করা ড. ইউনূসের কাজ নয় । অনেক রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নিয়ে জীবন দিয়েছেন, আহত হয়েছেন— তাদের সবার সরকার হওয়ার কথা ছিল ড. ইউনূস। কিন্তু ড. ইউনূস একটা নির্দিষ্ট সমন্বয়কের অভিভাবক হওয়ার চেষ্টা করেছে।’

    আজ সোমবার (৯ জুন) ফেসবুক লাইভে তিনি এসব কথা বলেছেন।

    তিনি আরও বলেছেন, আমার দেশের জন্য দীর্ঘ সময় ধরে অনেক কষ্ট করেছি। গুম হয়েছি, গ্রেপ্তার হয়েছি নিদারুণ নিপীড়নের শিকার হয়েছি। আমাদের খারাপ দিন এখনো অব্যাহত রয়েছে। আমরা অনেক সুন্দর সুন্দর অফার পেয়েও সেগুলো গ্রহণ করিনি।

    আরও পড়ুনঃ ‘ও আমার আয়েশা তুই কোথায় গেলিরে’
    কোনো অন্যায় সুবিধা রাষ্ট্রের কাছ থেকে নেইনি । আমরা চেয়েছি একটি শক্তিশালী সংসদ, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনা ও জনগণ ভোট দিবে সেই ব্যবস্থাপনা। সেই ব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে যারা কাজ করছে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই। এই লড়াই চলবে এবং ভোট ডিসেম্বরেই হবে।

    সবাই ঐক্যবদ্ধ ভাবে থাকবেন ভোট ডিসেম্বরেই হবে ।
    আমজনতার দলের সদস্য সচিব আরও বলেছেন, কোনো একটি নির্দিষ্ট দলকে ফ্যাসিলেটেড করা ড. ইউনূসের কাজ না । অনেক রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নিয়ে জীবন দিয়েছে, আহত হয়েছে সবার তাদের সবার সরকার হওয়ার কথা ছিল ড. ইউনূস। কিন্তু ড. ইউনূস একটা নির্দিষ্ট সমন্বয়কের অভিভাবক হওয়ার চেষ্টা করেছে। সবকিছু মিলেয়ে সেটিকেও আমরা চ্যালেঞ্জ করবো।

    আরও পড়ুনঃ ‘তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী, জামায়াতের আমীরকে উপ-প্রধানমন্ত্রী করার প্রস্তাব’
    সমন্বয়ক টোকাইদের আমরা রুখে দিব। জেলায় জেলায় জেলা প্রশাসকের অফিস থেকে এই সমন্বয়কদেরকে টেনে-হিঁচড়ে বের করার জন্য সবাই প্রস্তুত হোন। শুধু তাই না—সচিবালয় থেকে এদেরকে টেনে বের করতে হবে।

  • মৃত্যুর ৮ মিনিট পর জীবিত হলেন নারী, জানালেন আত্মার অভিজ্ঞতা

    মৃত্যুর ৮ মিনিট পর জীবিত হলেন নারী, জানালেন আত্মার অভিজ্ঞতা

    মৃত্যুর পরের জীবন কেমন হয় তা নিয়ে মানুষের আগ্রহের কমতি নেই। বিজ্ঞানীরা মৃত্যুর সময় মানুষের অভিজ্ঞতা কেমন হয় তা নিয়েও নানা গবেষণা করেছেন। এবার মৃত্যুর পরে কেমন কী অনুভূতি হয় তা জানিয়েছেন এক নারী। তিনি দাবি করেন, আট মিনিট ধরে তিনি মৃত অবস্থায় ছিলেন। এ সময়ের অভিজ্ঞতা তার জানা রয়েছে।

    সম্প্রতি দ্য মিররের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই নারীকে ক্লিনিকালি মৃত ঘোষণা করা হয়েছিল। ফলে তিনি আট মিনিট ধরে ‘মৃত’ অবস্থায় পড়ে ছিলেন। এরপর বেঁচে ফিরে তিনি এ সময়ে তার নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন। তিনি দাবি করেন, মৃত্যু আসলে এক বিভ্রম।

    আরও পড়ুনঃ কার ফোনে আত্মসমর্পণ করেন মোদি, জানালেন রাহুল গান্ধী
    ব্রিয়ানা লাফার্টি (৩৩) নামের ওই নারী বিরল এবং জীবন-হানিকর নিউরোলজিক্যাল রোগ মায়োক্লোনাস ডিসটোনিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন। এজন্য একসময় তার শরীর সম্পূর্ণভাবে কাজ করা বন্ধ করে দেয়। ফলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কিন্তু এই মৃত্যুর সময়ের মধ্যেই ঘটে এক অদ্ভুত ও গভীর অভিজ্ঞতা, যা বদলে দেয় তার জীবনদর্শন।

    ডেইলি স্টারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ব্রিয়ানা বলেন, আমি হঠাৎ দেখি আমার শরীর থেকে আলাদা হয়ে গেছি। নিজেকে মানবদেহে আর চিনতেই পারিনি। কিন্তু আমি বেঁচে ছিলাম, সম্পূর্ণ সচেতন ও প্রাণবন্ত অনুভব করছিলাম। যেন আমি তখন প্রকৃত অর্থে আমি ছিলাম।

    তিনি বলেন, ব্যথা ছিল না, বরং ছিল এক গভীর শান্তি ও স্পষ্টতা। বুঝতে পারলাম, মানবজীবন কত ক্ষণস্থায়ী আর ভঙ্গুর। মনে হলো, আমাদের ঊর্ধ্বে এক সত্ত্বা বা বুদ্ধিমত্তা আছে, যিনি নিঃশর্ত ভালোবাসা দিয়ে আমাদের রক্ষা করেন।

    আরও পড়ুনঃ ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গাড়িতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, নিহত ৩
    ব্রিয়ানা আরও জানান, সময় যেন সেখানে ছিল না— সব কিছু একসঙ্গে ঘটছিল, তবুও ছিল নিখুঁত শৃঙ্খলা। আমি সৃষ্টির শুরু অনুভব করলাম এবং বুঝলাম আমাদের এই মহাবিশ্ব আসলে সংখ্যার সমাহার।

    তিনি বলেন, সেখানে এমন কিছু প্রাণীর সঙ্গে দেখা হয়েছিল, যাদের মানব বলে মনে হয়নি। কিন্তু খুবই পরিচিত লাগছিল।

    ব্রিয়ানা বলেন, এই অভিজ্ঞতা আমার সব ভয় দূর করে দিয়েছে। যে জিনিসগুলোর জন্য আগে ছুটতাম, সেগুলো এখন আর গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় না। এখন আমার জীবনে একটা মিশন আছে।

    আরও পড়ুনঃ পরিবারের নাম নিয়ে রাজনীতি নিজেই নিষিদ্ধ করলেন তিনি
    তিনি বলেন, মৃত্যুর পর চেতনা রয়ে যায়, শুধু রূপান্তর ঘটে। সেখানে চিন্তাগুলোই বাস্তব তৈরি করে। ভাবনাগুলো একটু সময় নেয় রূপ নিতে, আর এটাই আমাদের জন্য আশীর্বাদ।

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা ব্রিয়ানাকে আবার হাঁটা ও কথা বলা নতুন করে শিখতে হয়েছে। তার পিটুইটারি গ্রন্থিতে গুরুতর ক্ষতি হয়েছে, যার জন্য তাকে পরীক্ষামূলক মস্তিষ্ক অস্ত্রোপচারের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে।

    তিনি বলেন, আমার পিটুইটারি গ্রন্থির ক্ষতি হয়েছে, যার জন্য আমি পরীক্ষামূলক মস্তিষ্কের অস্ত্রোপচার করেছি, যা এখন পর্যন্ত সফল। আমি আরেকটি মৃত্যু-ঘনিষ্ঠ অভিজ্ঞতার ভয় করি, কারণ পুনরুদ্ধার কঠিন।

  • নিজের প্রেমিককে দিয়ে মেয়েকে ধর্ষণ করান বিজেপি নেত্রী!

    নিজের প্রেমিককে দিয়ে মেয়েকে ধর্ষণ করান বিজেপি নেত্রী!

    ভারতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপির এক নেত্রী নিজের ১৩ বয়সী কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণে ওই নারীর প্রেমিককে সহায়তা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

    ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে, এ ঘটনায় জড়িত সবাইকে আটক করা হয়েছে।

    এই নারী বিজেপির সদস্য ছিলেন। তার নাম আনিকা শর্মা। তিনি নিজ মেয়ের সর্বনাশ করতে দিয়েছেন তার বয়ফ্রেন্ড ও তার বন্ধুকে।

    অভিযুক্ত আনিকা এবং তার বয়ফ্রেন্ড সুমিত পাতওয়ালকে হরিদোয়ারের একটি হোটেল থেকে গত বুধবার গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে ওই কিশোরী তার মা ও তার মায়ের বয়ফ্রেন্ডের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে। মেডিকেল পরীক্ষায় এর সত্যতা পাওয়া যায়। এরপরই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

    এনডিটিভি জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার এ ঘটনা প্রথম জানাজানি হয়। ওইদিন ধর্ষণের শিকার কিশোরী তার বাবার কাছে ঘটনা খুলে বলে।


    ওই পাষণ্ড মা মোদির বিজেপির হরিদোয়ার বিভাগের নারী মোর্চার প্রধান ছিলেন। তার বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ ওঠার পর তাকে বহিষ্কার করেছে দলটি।

    পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ওই কিশোরী তার মায়ের সহায়তায় একাধিকবার গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। তার মায়ের বয়ফ্রেন্ড ও বয়ফ্রেন্ডর বন্ধু উভয়ের বয়স ৩০ বছর।

    তারা কিশোরীটিকে হরিদোয়ার, আগ্রা এবং বৃন্দাবনে জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ধর্ষণ করেছে।

    তারা কিশোরীটির মায়ের সম্মতি ও উপস্থিতিতে ধর্ষণকাণ্ড গুলো ঘটিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, কিশোরীকে তারা হুমকি দিয়েছিল যদি সে কাউকে কিছু বলে তাহলে তার বাবাকে হত্যা করা হবে।

    ধর্ষিতার মা আনিকা শর্মা তার স্বামীর থেকে আলাদা হয়ে তার বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে একটি হোটেলে থাকতেন। অপরদিকে কিশোরীটি তার বাবার সঙ্গে থাকত।

  • প্রকাশিত ভাইরাল ৩ মিনিটের ভিডিও দেখুন কমেন্টস থেকে

    প্রকাশিত ভাইরাল ৩ মিনিটের ভিডিও দেখুন কমেন্টস থেকে

    সৌদি আরবের উত্তর-পশ্চিমের একটি শহরে দ্বিতল ভবনের জানালার কার্নিশে দাঁড়িয়ে আছেন কালো আবায়া পরা এক তরুণী। পরবর্তী ছবিতে দেখা যায়, একদল পুরুষ তাঁকে ক্রেনের সাহায্যে নিচে নামিয়ে আনছেন। ওই তরুণীর পরিচয় জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি ‘অবাধ্যতা’, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক অথবা পরিবারের অনুমতি ছাড়াই বাড়ি ছাড়ার কারণে ‘দার আল-রায়া’ নামক নারীদের জন্য নির্জন এক আটক কেন্দ্রে বন্দী ছিলেন। এই কেন্দ্রগুলোতে পরিবারের কিংবা স্বামীর রোষে পড়ে নির্বাসিত নারীদের ‘সংশোধনের’ জন্য রাখা হয়।

    এটি ছিল বিরল এক দৃশ্য—যেখানে জনসমক্ষে ধরা পড়ল সেই শত শত সৌদি তরুণী ও নারীদের বাস্তবতা, যাদের ওই সব সংশোধনাগারে আটকে রাখা হয়। এসব প্রতিষ্ঠানকে বাহ্যিকভাবে ‘আশ্রয়কেন্দ্র’ বা সংশোধনাগার বলা হলেও বাস্তবে সেগুলোকে বন্দিশিবির বা ‘নরক’ বলে অভিহিত করেছেন অনেকে। সেখানে রয়েছে বাধ্যতামূলক ধর্মীয় শিক্ষা, নির্জনতা, বাইরে যোগাযোগের নেই অনুমতি, এমনকি প্রতি সপ্তাহে একবার করে মারা হয় চাবুক।

    সেখানকার অবস্থা এতটাই ভয়াবহ যে আত্মহত্যা বা আত্মহত্যার চেষ্টা নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। বছরের পর বছর ধরে নারীরা সেখানে আটক থাকেন। বের হতে পারবেন না পরিবার বা পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া।

    লন্ডনে অবস্থানরত সৌদি মানবাধিকারকর্মী মরিয়ম আলদোসারি বলেন, ‘একজন তরুণী ততক্ষণ সেখানে থাকবে, যতক্ষণ না সে সমাজের প্রচলিত নিয়ম মেনে নিতে রাজি হয়।’

    খেয়াল করুন, সৌদি আরব এখন যখন পুরুষদের ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ পেয়ে বিশ্বমঞ্চে নিজেদের সংস্কারপ্রবণ দেশ হিসেবে তুলে ধরছে। ঠিক এর বিপরীতে, দেশটির নারীরা যাঁরা একটু অধিক অধিকার ও স্বাধীনতার দাবি তুলছেন, তাঁদের ভাগ্য জুটেছে গৃহবন্দিত্ব, কারাবাস কিংবা নির্বাসন। মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, এই ‘সংশোধনাগার’ বা দার আল-রায়া মূলত নারীদের নিয়ন্ত্রণ ও শাস্তি দেওয়ার এক গোপন কারাগার।

    ষাটের দশকে দেশজুড়ে গড়ে ওঠা এসব ‘সংশোধনাগার’ সম্পর্কে সৌদি কর্মকর্তারা বলছেন, এটি ‘বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্ত বা দণ্ডিত’ নারীদের আশ্রয়স্থল। সেখানে মানসিক চিকিৎসক ও পরামর্শদাতাদের সহায়তায় নারীদের পরিবারে ফিরিয়ে নেওয়ার উপযোগী করে তোলা হয়।

    কিন্তু এই ব্যবস্থাকে চরম নির্যাতনমূলক বলে অভিহিত করেছেন সারা আল-ইয়াহিয়া। তিনি এসব সংশোধনাগার বিলুপ্ত করার আন্দোলন শুরু করেছিলেন। সারা বলেন, এসব কেন্দ্রে পৌঁছেই নারীদের দেহতল্লাশির পাশাপাশি কুমারীত্ব পরীক্ষা করা হয়। ঘুমানোর আগে দেওয়া হয় ঘুমের ওষুধ।

    তিনি বলেন, ‘তারা এটিকে সেবাকেন্দ্র বা সংশোধনাগার বললেও এটা একপ্রকার জেলখানা। সেখানে মেয়েরা নাম ধরে নয়, নম্বর ধরে পরিচিত। যেমন নম্বর ৩৫, সামনে এসো। কেউ যদি নিজের পারিবারিক নাম বলে, তাহলে তাকে চাবুক মারা হয়। নামাজ না পড়লেও চাবুক মারা হয়। আর যদি কোনো নারীর সঙ্গে একা দেখা যায়, তাহলে বলা হয় সে সমকামী। তারপর শুরু হয় নির্যাতন। প্রহরীরা মজা করে দাঁড়িয়ে দেখে নারীদের চাবুক মারা।’

    ৩৮ বছর বয়সী ইয়াহিয়া বর্তমানে নির্বাসনে আছেন। তিনি বলেন, মাত্র ১৩ বছর বয়স থেকেই তাঁর বাবা তাঁকে দার আল-রায়ার ভয়ে ভীত করে তুলেছিলেন। সারা বলেন, ‘যদি আমি তাঁর যৌন নির্যাতন মেনে না নিতাম, তাহলে তিনি বলতেন—তোমাকে ওইখানে (দার আল-রায়া) পাঠিয়ে দেব।’

    তিনি আরও জানান, এসব কেন্দ্রের ভয়ে অনেকে নির্যাতনের শিকার হলেও ঘর ছাড়তে ভয় পান। সারা বলেন, ‘আমি একজন নারীকে চিনি, যিনি পারিবারিক সহিংসতা থেকে পালিয়ে আসা একজন নারীকে সাহায্য করেছিলেন। এই অপরাধে তাঁকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। কারণ, সৌদি আরবে কাউকে আশ্রয় দেওয়া—‘যদি সে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়’, তাহলে সেটি অপরাধ।’

    আরও ভীতিকর তথ্য জানিয়ে ইয়াহিয়া বলেন, ‘যদি কেউ পরিবারের সদস্য দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হয় বা গর্ভবতী হয়, তাহলে পরিবারের সম্মান রক্ষার জন্য তাঁকেই দার আল-রায়ায় পাঠানো হয়।’

    ২৫ বছর বয়সী আমিনা (ছদ্মনাম) বলেন, বাবার নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে তিনি মধ্য সৌদি আরবের বুরাইদাহ শহরের একটি সংশোধনাগারে আশ্রয় নেন। কিন্তু সেখানে গিয়েই তিনি আরেক ভিন্ন রকম নির্যাতনের মুখোমুখি হন।

    আমিনা বলেন, ‘ভবনটি ছিল পুরোনো ও ধ্বংসপ্রায়। আর এর কর্মীরা ছিলেন নির্দয় ও অমানবিক।’ তিনি আরও জানান, যখন নিজের কষ্টের কথা তাদের বলা হয়, তাদের কাছে সেটা তুচ্ছ মনে হয়েছিল। তারা বলেছিল, ‘অনেকেই তোমার চেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে। তাদেরকে ঘরেই শিকলে বেঁধে রাখা হয়েছে। তুমি এখানে আসতে পেরেছ, তার জন্য আল্লাহর শুকরিয়া করো।’

    পরদিন ওই সংশোধনাগারের কর্মীরা তাঁর বাবাকে ডেকে আনেন। এরপর উভয়ের কাছ থেকে ‘শর্ত’ লিখে নিতে বলা হয়। আমিনা বলেন, ‘আমি লিখি, আমাকে যেন মারধর না করা হয়, জোর করে বিয়ে না দেওয়া হয় এবং আমাকে কাজ করতে দেওয়া হয়। আর আমার বাবা লিখলেন, আমাকে সবার প্রতি সম্মান দেখাতে হবে, অনুমতি ছাড়া বাইরে যাওয়া যাবে না এবং সব সময় সঙ্গে একজন পুরুষ সঙ্গী সঙ্গে থাকতে হবে। আমি ভয়ে স্বাক্ষর করি—এ ছাড়া আর কোনো বিকল্প ছিল না।’

    বাড়ি ফেরার পর, আমিনার ওপর আবার নির্যাতন শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। তিনি বলেন, ‘নিজেকে একা আর অসহায় মনে হতো। আমার জীবনের যেন কোনো মূল্য নেই। মনে হতো, আমি যদি মরে যাই, কেউ কিছু বলবে না।’

    শামস (ছদ্মনাম) নামের আরেক তরুণী বলেন, ‘আমি তখন ১৬, আমাদের স্কুলে এক নারীকে নিয়ে আসা হয়। তিনি দার আল-রায়ায় ছিলেন। তিনি বললেন, তিনি এক ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক করেছিলেন। নীতি পুলিশেরা তাঁকে ধরে এবং তাঁর বাবার কাছে এই কথা স্বীকার করতে বাধ্য করে। গর্ভবতী হওয়ার পর পরিবার তাঁকে আর বাড়িতে থাকতে দেয়নি। এদিকে ছেলেটিও তাঁকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। তখন তাকে পাঠানো হয় ওই সংশোধনাগারে। তিনি আমাদের বললেন, যদি কোনো নারী সম্পর্ক করে বা যৌন সম্পর্ক করে, তাহলে সে সস্তা হয়ে যায়। পুরুষদের জন্য সমাজে সবকিছু জায়েজ হলেও নারী আজীবন সস্তাই রয়ে যায়।’

    লায়লা (ছদ্মনাম) নামের এক নারী বলেন, তিনি বাবা ও ভাইদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে নির্যাতনের অভিযোগ করেছিলেন। এরপর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারীদের অধিকারের বিষয়ে কথা বলেছিলেন। এটা জানাজানি হলে তাঁর পরিবার দাবি করে, সে পরিবারকে ‘লজ্জায় ফেলেছে’। তাঁকে পাঠানো হয় দার আল-রায়ায়, সেখান থেকে মুক্তি পান কেবল তখনই, যখন তাঁর বাবা অনুমতি দেন। অথচ তাঁর বাবাই ছিলেন সেই নির্যাতনকারী।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সৌদি মানবাধিকারকর্মী বলেন, ‘এই নারীদের পাশে কেউ নেই। কোনো অপরাধ না করেও তারা বছরের পর বছর ধরে আটক থাকতে পারে। এই জায়গা থেকে বের হওয়ার একমাত্র উপায়—পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি, বিয়ে কিংবা আত্মহত্যার চেষ্টা।’

    আরেক নির্বাসিত মানবাধিকারকর্মী ফাওজিয়া আল-ওতাইবি বলেন, ‘এই সংশোধনাগারগুলো নিয়ে কেউ কথা বলে না, কেউ টুইট করে না। কেউ জানতেও চায় না—আপনি কোথায় গেলেন। তারা ভিকটিমদেরই লজ্জা দেয়।’

    মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, সৌদি সরকার যদি সত্যিই নারীদের অধিকার রক্ষা করতে চায়, তাহলে এ ধরনের সংশোধন কেন্দ্রগুলো বিলুপ্ত করে প্রকৃত নিরাপদ সংশোধনাগার গড়ে তুলতে হবে। নির্বাসনে থাকা একজন সৌদি নারী বলেন, ‘অনেক নারীর পরিবার ভালো—তারা নির্যাতন করে না। কিন্তু বহু নারী কঠিন নিষেধাজ্ঞার মধ্যে বাস করে, চুপচাপ সব নির্যাতন সহ্য করে। আর এই প্রতিষ্ঠানগুলো সেই নির্যাতনকে বৈধতা দেয়।’

    সৌদি মানবাধিকার সংস্থা এএলকিউএসটি বলছে, দার আল-রায়া হলো এমন এক ধরনের প্রতিষ্ঠান, যা সৌদি সরকারের নারীবান্ধব ভাবমূর্তির সঙ্গে একেবারে সাংঘর্ষিক। সংস্থাটির ক্যাম্পেইন কর্মকর্তা নাদিন আবদুল আজিজ বলেন, ‘যদি তারা সত্যিই নারীর অগ্রগতি চায়, তাহলে এই বৈষম্যমূলক প্রথাগুলো বিলুপ্ত করে প্রকৃত নিরাপত্তা প্রদানকারী আশ্রয়কেন্দ্র গড়ে তুলতে হবে।’

    এ বিষয়ে সৌদি সরকারের একজন মুখপাত্র জানান, নারীদেরকে সহিংসতা থেকে রক্ষায় বিশেষায়িত কেন্দ্র রয়েছে। তিনি বলেন, ‘এখানে জোর করে আটক রাখা বা নির্যাতনের অভিযোগ মিথ্যা। এগুলো আটক কেন্দ্র নয়। নারীরা চাইলে স্কুল, কাজ কিংবা অন্য যেকোনো ব্যক্তিগত কারণে বের হতে পারেন। এর জন্য পরিবার বা অভিভাবকের অনুমতির প্রয়োজন নেই।’

    কিন্তু সৌদি আরবের নির্বাসিত বাসিন্দা ও অধিকারকর্মীদের বর্ণনায় এটিই প্রমাণিত হয়, কথিত ‘সংশোধনাগার’গুলো আসলে নারীদের দমন করার এক নির্মম স্থানে পরিণত হয়েছে।