Category: bangla

  • হামলা বন্ধে ইরানকে প্রস্তাব দিল জার্মানি-ফ্রান্স-যুক্তরাজ্য

    হামলা বন্ধে ইরানকে প্রস্তাব দিল জার্মানি-ফ্রান্স-যুক্তরাজ্য

    ইরান-ইসরায়েল পাল্টাপাল্টি হামলায় উভয়পক্ষেই প্রাণহানি ঘটছে। সামরিক স্থাপনার পাশাপাশি ধ্বংস হচ্ছে বেসামরিক সম্পদও। শক্তিশালী পক্ষের সংঘাত ঘিরে মধ্যপ্রাচ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধ ছড়ানোর আশঙ্কাও প্রবল। এমন পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন সারা বিশ্ব মূলত দুই ভাগে বিভক্ত।

    সৌদি আরব, তুরস্ক, কাতার, পাকিস্তান, ভেনেজুয়েলাসহ আরও অনেক দেশ ইসরায়েলকে উত্তেজনার জন্য দোষারোপ করেছে। তারা অবিলম্বে ইসরায়েলকে দখলদারি মনোভাব পরিহার করে শান্তির পথে হাঁটার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। কিন্তু অপরপক্ষ ইরানকেই সংঘাতের জন্য দায়ী করছে।

    সে কারণেই জার্মানি, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্য ইরানের সঙ্গে তার পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে। সংঘাত বন্ধে উদ্যোগটি গ্রহণ করার চাপ দিচ্ছে তেহরানকে।

    রয়টার্সের বরাতে দ্য টাইম অব ইসরায়েল জানায়, জার্মানি, ফ্রান্স ও ব্রিটেন মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি শান্ত করার লক্ষ্যে ইরানের সঙ্গে তার পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে তাৎক্ষণিক আলোচনা করতে প্রস্তুত। জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহান ওয়াদেফুল বলেছেন এসব কথা।

    মধ্যপ্রাচ্য সফরে থাকা ওয়াদেফুল বলেছেন, তিনি ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সংঘাত কমাতে অবদান রাখার চেষ্টা করছেন এবং উল্লেখ করেছেন যে তেহরান পূর্বে গঠনমূলক আলোচনায় প্রবেশের সুযোগ গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।

    জার্মান পাবলিক ব্রডকাস্টার এআরডিকে তিনি বলেন, আমি আশা করি এটি এখনও সম্ভব। জার্মানি, ফ্রান্স এবং ব্রিটেন একসঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত। আমরা ইরানকে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে তাৎক্ষণিক আলোচনার প্রস্তাব দিচ্ছি। আমি আশা করি (প্রস্তাব) গৃহীত হবে।

    ওয়াদেফুল বলেন, এই সংঘাতের শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পূর্বশর্ত। যাতে ইরান এই অঞ্চলের জন্য, ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্য বা ইউরোপের জন্য কোনো বিপদ না আনে।

  • ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সাংবাদিক ঢুকতে দিচ্ছে না ই*স*রা*য়েল

    ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সাংবাদিক ঢুকতে দিচ্ছে না ই*স*রা*য়েল

    ইরান জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের দুই সদস্যকে আটক করেছে।

    আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিম জানিয়েছে, অভিযুক্তদের আলবোরজ প্রদেশে আটক করা হয়েছে। তাঁরা বিস্ফোরক এবং ইলেকট্রনিক ডিভাইস প্রস্তুত করছিলেন।

    ইসরায়েলের সঙ্গে কয়েক দশক ধরে চলা ছায়াযুদ্ধে জড়িত ইরান মোসাদের সঙ্গে কথিত সংযোগের অভিযোগে অসংখ্য ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার ও মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। বিশেষ করে পারমাণবিক কর্মসূচিকে দুর্বল করার লক্ষ্যে নাশকতা ও গুপ্তহত্যার প্রচেষ্টার অভিযোগে অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়েছে ইরান।

  • ইরানের পাশে দাঁড়িয়ে ইসরায়েলকে যে বার্তা চীনের

    ইরানের পাশে দাঁড়িয়ে ইসরায়েলকে যে বার্তা চীনের

    ইরানে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলাকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং এক বিপজ্জনক উত্তেজনা বৃদ্ধির পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত করে চীন কড়া সমালোচনা করেছে।

    রোববার (১৫ জুন) চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পারমাণবিক ইস্যুর রাজনৈতিক সমাধানে কূটনৈতিক পথ এখনো পুরোপুরি বন্ধ হয়নি—এমন সময় এই হামলা অগ্রহণযোগ্য।

    ওয়াং ই আলাদাভাবে ইরান ও ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিওন সারকে তিনি বলেন, ‘ইরানে বলপ্রয়োগ করে হামলা চালিয়ে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে। বলপ্রয়োগ দিয়ে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি আনা যায় না।’

    তিনি দুই পক্ষকে আলোচনার টেবিলে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘কূটনীতির পথ এখনো শেষ হয়ে যায়নি।’

    ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচির সঙ্গে আলাপে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, ‘ইসরায়েলের হামলা ইরানের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও ভৌগোলিক অখণ্ডতার বিরুদ্ধে গুরুতর লঙ্ঘন। চীন এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।’

    তিনি আরও বলেন, পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা মধ্যপ্রাচ্যে বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে যা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি।

    চীনের এই অবস্থান এমন এক সময়ে এলো যখন ইরান তার ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি’ এর অংশ হিসেবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এ সংঘাতে ইতোমধ্যে তেলআবিব ও হাইফাসহ বিভিন্ন ইসরায়েলি শহরে অন্তত ১৫ জন নিহত ও শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।

    ইসরায়েলের লক্ষ্যভিত্তিক হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও পরমাণু বিজ্ঞানীদের মৃত্যুর ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে যুদ্ধ আরও বিস্তৃত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

    এমন উত্তপ্ত প্রেক্ষাপটে চীন নিজেদের আবারও সম্ভাব্য মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তুলে ধরছে। উল্লেখ্য, এর আগেও চীন ইরান-সৌদি আরব কূটনৈতিক পুনঃসম্পর্ক স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। তারা বরাবরই বহুপক্ষীয়তা ও সংলাপের মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের পক্ষে অবস্থান নিয়ে আসছে।

    সূত্র: সামা টিভি

  • নতুন ভূমি আইনে যেসব কাগজপত্র না থাকলে জমি হারাতে হবে

    নতুন ভূমি আইনে যেসব কাগজপত্র না থাকলে জমি হারাতে হবে

    ভূমি সংক্রান্ত জটিলতা, মামলা এবং দীর্ঘদিন ধরে চলা পারিবারিক বিরোধ অনেক সময়ই দেখা যায় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকার কারণে। নতুন ভূমি আইনে যে কাগজপত্র না থাকলে জমি হারাতে হবে- এই বাস্তবতা থেকে রক্ষা পেতে হলে এখনই সচেতন হওয়া জরুরি। জমির মালিকানা, ভোগদখল ও বিক্রয়ের ক্ষেত্রে যেসব দলিল অপরিহার্য, সেগুলো সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করলে ভবিষ্যতে নানাবিধ সমস্যা দেখা দিতে পারে।

    জমির দখল ও মালিকানা নির্ধারণে প্রমাণপত্রের গুরুত্ব

    জমি ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে রেজিস্ট্রার অফিসে সম্পাদিত স্ট্যাম্পে সইকৃত চুক্তিপত্রই জমির দলিল। এতে সাক্ষীর স্বাক্ষর ও রেজিস্ট্রারের সিল থাকে। এই দলিলের পূর্ববর্তী দলিলগুলোকেই বলা হয় বায়া দলিল।জেলা রেজিস্ট্রার অফিস থেকে দলিলের কপি সংগ্রহ করা যায়। জমির মালিক হিসেবে দলিল সংরক্ষণের দায়িত্ব মূলত আপনার।

    পর্চা ও খতিয়ানের ভূমিকা

    জমির খতিয়ান বা পর্চা হলো জরিপে প্রাপ্ত ভূমি সংক্রান্ত সরকারি নথির অনুলিপি। জমির মালিক পর্চা সংগ্রহের পর সেই নথিকে বলা হয় পর্চা। পর্চার মূল দলিল ভূমি অফিসে সংরক্ষিত থাকে, যাকে খতিয়ান বলা হয়।

    দাখিলা হলো খাজনা পরিশোধের সরকারি প্রমাণ

    ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা প্রদানের পর তহসিল অফিস থেকে যে রশিদ প্রদান করা হয়, সেটিই হলো দাখিলা। জমি বিক্রয়ের সময় দাখিলা দাখিল করা বাধ্যতামূলক। এটি জমি বর্তমানে কার দখলে আছে, তার বৈধতা প্রমাণ করে। এমনকি খাজনা মওকুফ থাকলেও দুই টাকা প্রদান করে দাখিলা সংগ্রহ করা সম্ভব।

    ওয়ারিশ সনদ ও সাকসেসন সার্টিফিকেট

    উত্তরাধিকার সূত্রে জমি পেতে হলে ওয়ারিশ বা উত্তরাধিকার সনদ অত্যন্ত জরুরি। এটি ইউপি চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র বা সিটি করপোরেশনের মেয়রের মাধ্যমে ইস্যু করা হয়। আদালতের মাধ্যমে যে উত্তরাধিকার সনদ ইস্যু হয়, সেটি সাকসেসন সার্টিফিকেট নামে পরিচিত।

    মিউটেশন (নামজারি) কপি

    জমির মালিকানার পরিবর্তনের রেকর্ড হিসেবে সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে মিউটেশন করতে হয়। দুই জরিপের মাঝামাঝি সময়ে জমির মালিকানা পরিবর্তন হলে তার দলিল হচ্ছে নামজারি বা মিউটেশন। এটি জমির মালিকানা প্রতিষ্ঠায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দলিল।

    আদালতের রায় ও ডিক্রি

    ভূমি সংক্রান্ত কোনো বিরোধ আদালতের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হলে সেই রায় বা ডিক্রি হচ্ছে চূড়ান্ত দলিল। আদালতের এই সিদ্ধান্ত ভূমি মালিকানা নির্ধারণে অন্যতম প্রমাণপত্র হিসেবে গণ্য হয়।

    মৌজা ম্যাপ ও বাস্তব খণ্ডচিত্র

    মৌজা ম্যাপ হলো ভূমির একাধিক খণ্ডচিত্রের ভিজ্যুয়াল প্রতিচ্ছবি। প্রতিটি জেলা প্রশাসকের অফিসে মৌজা ম্যাপ সংরক্ষিত থাকে এবং নির্ধারিত ফি দিয়ে তা সংগ্রহ করা যায়। এটি ভূমির সীমানা ও অবস্থান সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেয়।

    জমির দখল ও ব্যবহার

    জমির দখল প্রমাণের জন্য আলাদা সরকারি কাগজপত্র না থাকলেও দাখিলা বা রশিদই দখলের প্রমাণ হিসেবে কাজ করে। তবে জোরপূর্বক দখল নয়, বরং বৈধ মালিকানার ভিত্তিতে জমি ব্যবহার করাকেই আইন স্বীকৃতি দেয়।

    ভূমি আইনের বর্তমান বাস্তবতায় নিজের জমির দখল, মালিকানা এবং ব্যবহার নিশ্চিত করতে হলে উপরোক্ত নয়টি গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র সংগ্রহ ও সংরক্ষণ আবশ্যক। সচেতন না থাকলে শুধু জমি নয়, হারিয়ে যেতে পারে প্রজন্মের অর্জনও। এখনই সময় প্রয়োজনীয় দলিলগুলো সঠিকভাবে প্রস্তুত ও সংরক্ষণ করার, যাতে ভবিষ্যতে জমি সংক্রান্ত বিরোধ বা মামলার ঝুঁকি কমানো যায়।

    এ বিষয়ে আরও তথ্য জানার জন্য সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিস, আইনজীবী বা রেজিস্ট্রার দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

  • নেতানিয়াহু একটি জাতিকে ধ্বংস করছে, ভারত তাকে সমর্থন ও উৎসাহ দিচ্ছে : প্রিয়াঙ্কা

    নেতানিয়াহু একটি জাতিকে ধ্বংস করছে, ভারত তাকে সমর্থন ও উৎসাহ দিচ্ছে : প্রিয়াঙ্কা

    যখন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু একটি গোটা জাতিকে ধ্বংস করছেন, তখন ভারত শুধু নীরব সমর্থক নয়, বরং ইরানে হামলা এবং দেশটির শীর্ষ নেতৃত্বকে হত্যার ঘটনাতেও ইসরায়েলকে পরোক্ষভাবে উৎসাহিত করছে। এটি আন্তর্জাতিক নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।”

    জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতি ও মানবাধিকার রক্ষার প্রস্তাবে ভারত ভোটদানে বিরত থাকার ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তিনি একে ‘লজ্জাজনক ও হতাশাজনক’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। খবর ইকোনমিক টাইমস।

    শনিবার (১৪ জুন) এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া এক পোস্টে প্রিয়াঙ্কা বলেন, “এই সিদ্ধান্তের কোনো নৈতিক বা কূটনৈতিক ভিত্তি নেই। প্রকৃত আন্তর্জাতিক নেতৃত্ব মানে হলো ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানো, যার জন্য সাহসের প্রয়োজন।”

    তিনি আরও বলেন, “যখন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু একটি গোটা জাতিকে ধ্বংস করছেন, তখন ভারত শুধু নীরব সমর্থক নয়, বরং ইরানে হামলা এবং দেশটির শীর্ষ নেতৃত্বকে হত্যার ঘটনাতেও ইসরায়েলকে পরোক্ষভাবে উৎসাহিত করছে। এটি আন্তর্জাতিক নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।”

    প্রিয়াঙ্কার ভাষ্য অনুযায়ী, গাজায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৬০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। “একটি জাতিকে অবরুদ্ধ করে অনাহারে মারা হচ্ছে, অথচ ভারত কোনও অবস্থান নিচ্ছে না—এটা গভীরভাবে দুঃখজনক।”

    তিনি এই অবস্থানকে ভারতের উপনিবেশবিরোধী ঐতিহ্য ও সংবিধানের নীতিমালার “করুণ পশ্চাদপসরণ” হিসেবে উল্লেখ করেন। প্রশ্ন রেখে বলেন, “কীভাবে আমরা আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনের মূল্যবোধ বিসর্জন দিতে পারি, যা শান্তি ও মানবতার পক্ষে ভারতের অবস্থানকে শক্ত করেছে?”

    প্রিয়াঙ্কা গান্ধী মনে করেন, অতীতে ভারত ন্যায় ও অহিংসার পক্ষে বারবার সাহসিকতা দেখিয়েছে। “আজকের বিভক্ত ও বিপর্যস্ত বিশ্বে ভারতের উচিত সাহসিকতার সঙ্গে মানবতার পক্ষে, সত্য ও শান্তির পক্ষে কথা বলা।”

    উল্লেখ্য, গত শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গাজায় অবিলম্বে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির পক্ষে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়। এতে ১৪৯টি দেশ সমর্থন দিলেও ভারতসহ ১৯টি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে।

    প্রসঙ্গত, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী পূর্বেও ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছেন। গত বছর সংসদ অধিবেশনে তার বহন করা একটি ব্যাগে লেখা ছিল ‘Palestine’ এবং তাতে তরমুজের প্রতীক ছিল, যা ফিলিস্তিন সংহতির আন্তর্জাতিক প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

  • প্রবাসীর বাড়িতে হামলার ঘটনায় যুবদল নেতা বহিষ্কার

    প্রবাসীর বাড়িতে হামলার ঘটনায় যুবদল নেতা বহিষ্কার

    সিলেটের ওসমানীনগরে এক প্রবাসীর বাড়িতে মাইকিং করে হামলার ঘটনায় যুবদলের এক নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে আহ্বাবুল হোসেনকে যুবদলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পদ থেকে বহিষ্কার করেছে।

    শনিবার (১৪ জুন) যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, সিলেট জেলা যুবদলের সদস্য এবং ওসমানীনগর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আহ্বাবুল হোসেনের বিরুদ্ধে দস্যুতার অভিযোগ ওঠায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

    বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়নের অনুমোদনে বহিষ্কারের এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে। দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নেতৃবৃন্দ স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন—বহিষ্কৃতদের কোনো অপকর্মের দায় দল বহন করবে না। এ ছাড়া দলীয় নেতাকর্মীদের তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ না রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    একই সঙ্গে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

    উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১২ জুন) বিকেল ৩টার দিকে সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার উমরপুর ইউনিয়নের খাদিমপুর গ্রামে যুক্তরাজ্য প্রবাসী গোলাম রব্বানী সোহেলের বাড়িতে পূর্ব শত্রুতার জেরে আহ্বাবুল হোসেনের নেতৃত্বে ৪০-৪৫ জনের একটি দল হামলা চালায়। হামলায় ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। অভিযোগে বলা হয়, হামলাকারীরা প্রায় ১৩ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

  • ইরানের পাশে দাঁড়িয়ে যে বার্তা দিল পরমাণু অস্ত্রধারী দেশ পাকিস্তান

    ইরানের পাশে দাঁড়িয়ে যে বার্তা দিল পরমাণু অস্ত্রধারী দেশ পাকিস্তান

    ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইরানের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে পাকিস্তান। একই সঙ্গে মুসলিম দেশগুলোর প্রতি ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানিয়েছে ইসলামাবাদ।

    পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ শনিবার পাকিস্তানের জাতীয় সংসদে দেওয়া বক্তব্যে বলেন, `আমরা ইরানের পাশে আছি এবং তাদের স্বার্থ রক্ষায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।‘

    তিনি আরও বলেন, `ইসরায়েল শুধু ইরান নয়, ইয়েমেন ও ফিলিস্তিনকেও টার্গেট করেছে। যদি মুসলিম রাষ্ট্রগুলো এখনই ঐক্যবদ্ধ না হয়, তাহলে একে একে সবাইকে একই পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে।‘

    প্রতিরক্ষামন্ত্রী আসিফ সব মুসলিম দেশকে অবিলম্বে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (OIC)-কে একটি জরুরি বৈঠক ডাকার অনুরোধ করেন, যাতে একটি যৌথ কৌশল নির্ধারণ করা যায়।

    তার ভাষায়, ইসলামি জাহানের এখন ঐক্যবদ্ধ প্রতিক্রিয়ার সময়। আলাদা আলাদা নিন্দা যথেষ্ট নয়। প্রয়োজন সম্মিলিত প্রতিরোধ।

    পাকিস্তানের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক ডার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইরানের ওপর ইসরায়েলের এই আক্রমণ তাদের সার্বভৌমত্বের জঘন্য লঙ্ঘন। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং ইরানের পাশে থাকছি।

    ইরান ও পাকিস্তানের মধ্যে প্রায় ৭৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। উভয় দেশ দীর্ঘদিন ধরে সামরিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে। সম্প্রতি সীমান্ত এলাকায় উভয় দেশের মধ্যে নিরাপত্তা সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

    সাম্প্রতিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত ঘনিষ্ঠতা আরও জোরদার হচ্ছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

  • মধ্যপ্রাচ্যে যেভাবে শুরু হতে পারে সর্বাত্মক যুদ্ধ

    মধ্যপ্রাচ্যে যেভাবে শুরু হতে পারে সর্বাত্মক যুদ্ধ

    ইরানজুড়ে ব্যাপক ইসরায়েলি হামলার পর প্রতিশোধমূলক বড় হামলা চালিয়েছে ইরান। ইসরায়েলি শহরগুলোতে দেশটির ক্ষেপণাস্ত্র হামলে পড়েছে। এই অবস্থায় গোটা মধ্যপ্রাচ্যে এখন যুদ্ধ যুদ্ধ সাজ। এই অঞ্চলের প্রতিটি দেশের সামরিক বাহিনী এখন সক্রিয় হয়ে উঠেছে। যে কোনো সময় যুদ্ধ সর্বাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। কীভাবে এই ভয়ংকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে, তা নিউইয়র্ক টাইমসের বিশ্লেষণে উঠে এসেছে।

    ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হুমকি দিয়েছেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নির্মূল করতে যতদিন লাগে, ততদিন হামলা চলবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও পরমাণু কর্মসূচি ত্যাগ করতে ইরানকে হুমকি দিয়ে রেখেছিলেন। ইরানে ইসরায়েলি হামলার কয়েক ঘণ্টা পর ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে লেখেন, ‘ইরান যদি তার সাম্রাজ্য রক্ষা করতে চায়, অবশ্যই একটি চুক্তিতে আসতে হবে।’

    ঘটনাদৃষ্টে বলা যায়, ট্রাম্প ও নেতানিয়াহু ইরানের সঙ্গে একটি গেম খেলেছেন। তা হলো, একদিকে যুক্তরাষ্ট্র আলোচনার নামে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি চাপের মুখে ফেলবে, পাশাপাশি ইসরায়েল ব্যাপক হামলা চালিয়ে পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস করে দেবে। এই অবস্থায় চাপের মুখে ইরান সমঝোতায় আসতে বাধ্য হবে।

    কিন্তু এই কৌশল কাজে দেবে না বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। কারণ, ইসরায়েলি হামলার পর ইরান ঘোষণা দিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আর আলোচনা চালিয়ে যাওয়া অর্থহীন। এই পরিস্থিতিতে ইরানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা রোধে ট্রাম্পের প্রচেষ্টা নিশ্চিতভাবেই ব্যর্থ হয়েছে।

    এখন ইরান পারমাণবিক কর্মসূচি থেকে সরে আসবে কিনা, কিংবা ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ থেকে তেহরান পিছু হটবে কিনা– সেই প্রশ্ন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। তাছাড়া শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানীদের অনেকে নিহত হওয়ায় কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার মতো সক্ষমতা ইরানের আছে কিনা, সেটাও একটি বড় প্রশ্ন। ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানোয় বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি থেকে সরে যেতে পারে।

    মধ্যপ্রাচ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হলে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলো হুমকির মুখে পড়বে। ইতোমধ্যে ইরাক থেকে যুক্তরাষ্ট্র তাদের কর্মীদের সরিয়ে নিয়েছে। এই অবস্থায় পক্ষ-বিপক্ষগুলোকে বিরত রাখতে যুক্তরাষ্ট্র সফল হবে কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। আর সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হলে চীন বা রাশিয়াও তাতে জড়িয়ে পড়তে পারে।

    জনস হপকিন্স স্কুল অব অ্যাডভান্সড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের প্রাক্তন ডিন ভ্যালি আর নাসর বলছেন, ‘ট্রাম্প হয়তো ইরানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপকে দরকষাকষি হিসেবে দেখছেন। এটি একটি বড় জুয়া। যুক্তরাষ্ট্র যদি সত্যি যুদ্ধে জড়িয়ে যায়, তাহলে প্যারিস থেকে মস্কো, ওয়াশিংটন থেকে বেইজিং ভূরাজনৈতিক মানচিত্র পাল্টে যাবে।’

    মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সাবেক এই কর্মকর্তা বলেন, যুদ্ধের উত্তেজনা রোধ করা ট্রাম্পের জন্য চ্যালেঞ্জের হবে। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ শুধু সংযমের আহ্বান জানাতে পারেন। কিন্তু ট্রাম্পই শুধু এখানে নির্ণায়ক ভূমিকায় আছেন। সে ক্ষেত্রে তাঁকে ইরান ও ইসরায়েল উভয় পক্ষকেই চাপ প্রয়োগ করতে হবে।

    নাসর মনে করেন, মধ্যপ্রাচ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধ ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতির এজেন্ডাকে উল্টে দিতে পারে। কারণ, ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র চীনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে। তাছাড়া ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে ট্রাম্প ক্ষমতায় এলেও সেই সফলতা এখনও অধরা রয়ে গেছে।

    মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের উত্তেজনায় ইতোমধ্যে তেলের দাম ১০ শতাংশেরও বেশি পড়ে গেছে। একটি সর্বাত্মক যুদ্ধ বিশ্বব্যাপী প্রবৃদ্ধির ওপর আঘাত হানবে, যা বিশ্বকে আরেকটি অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেবে। এমনিতেই ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ অনেক দেশের বাণিজ্য প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করেছে।

    ওয়াশিংটনভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক কার্নেগি এন্ডোমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিসের সিনিয়র ফেলো এবং ইরানবিষয়ক বিশেষজ্ঞ করিম সাদ্দাদপুর মনে করেন, হামাস, হিজবুল্লাহ এখন শক্তিহীন। এই অবস্থায় ইরানের একমাত্র ভরসা ছিল হুতি। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র তাদের বিরুদ্ধে হামলা অব্যাহত রেখেছে। এখন ইরান যে পদক্ষেপই নিক না কেন, তাদের পরিণতি খারাপের দিকেই যাবে। তাছাড়া ইরানের সামরিক পরিকল্পনাবিদদের ইতোমধ্যে হত্যা করেছে ইসরায়েল।

  • ১৪ বছরের মেয়েকে বিয়ে না দেওয়ায় বাবাকে পিটিয়ে মারলেন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা

    ১৪ বছরের মেয়েকে বিয়ে না দেওয়ায় বাবাকে পিটিয়ে মারলেন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা

    বগুড়ায় ১৪ বছর বসয়ী মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় বাবাকে তুলে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছেন বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক জিতু ইসলাম।

    শনিবার (১৪ জুন) বিকেলে বগুড়া শহরের ফুলবাড়ী এলাকায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। নিহত শাকিল শহরের শিববাটি শাহি মসজিদ এলাকার মৃত সাজু মিয়ার ছেলে। শাকিল শিববাটি এলাকায় জনৈক রানার বাড়িতে ভাড়া থেকে বসবাস করেন।

    পেশায় তিনি একজন রিকশাচালক। ফুলবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক (ইনসপেক্টর) আলমাস আলী তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
    নিহত শাকিলের এক ছোট বোন জানান, তার ভাইয়ের কিশোরী মেয়েকে স্বেচ্চাসেবক দলের নেতা জিতু ইসলাম বিভিন্ন সময়ে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু জিতু কিছুটা বয়স্ক হওয়ায় শাকিল বিয়ের প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করেন।

    তিনি বলেন, ‘শনিবার সকাল ৯টার দিকে শাকিল রিকশা নিয়ে বের হন এবং সকাল ১০টায় জিতুর সঙ্গে তার ঝগড়া হয়। সেখানে জিতু ও তার লোকজন আমার ভাইকে গণপিটুনি দেয়। এরপর আমার ভাই রিকশা ফেলে রেখে মসজিদের পেছন দিয়ে আহত অবস্থায় আমাদের বাড়িতে আসেন। ভাই আমাকে বলেন, ‘আমাকে বাঁচাও, ওরা আমাকে মেরে ফেলবে।

    ’ তখন আমি তার চিকিৎসার জন্য টাকা আনতে পাশের বাড়িতে যাই। ফিরে এসে দেখি জিতুর লোকেরা আমাদের বাসার চারপাশ ঘিরে রেখেছে। তাদের সবার হাতে অস্ত্র। তখন আমার ভাইকে ঘরের ভেতর রেখে বাইরে তালা দিই। এ সময় জিতু ও তার দলবল আমাদের ঘরের তালা ভেঙে আমার ভাইকে টানতে টানতে বের করে নিয়ে যায়।
    এরপর তারা আমার ভাইকে নদীর পাড়ে নিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলে। তিনি আরো বলেন, ‘আমি ভাই হত্যার বিচার চাই।’ এ সময় বিচার চেয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন শাকিলের আরেক বোন।

    বিষয়টি নিশ্চিত করে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট ছিলিমপুর পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) হারুনার রশিদ কালের কণ্ঠকে তিনি জানান, স্থানীয় লোকজন শাকিলকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে দিলে বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে তার মৃত্যু হয়। নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

    ইন্সপেক্টর আলমাস আলীর দাবি, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে শাকিলকে মারধর করে চাকুসহ পুলিশে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল আটক ওই বখাটে যুবকদের। কিন্তু শাকিল গুরুতর আহত হওয়ার কারণে তাকে ফেলে পালিয়ে যায় বখাটেরা।

    জানতে চাইলে বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান বসির জানান, এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন, জিতু, মতি ও বিপ্লব। ওসি আরো বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    আটকৃকত জিতুর কোনো রাজনৈতি পরিচয় আছে কি না জানতে চাইলে ওসি বলেন, এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানা নেই। তবে লোকমুখে শুনেছি তিনি স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা।

    এ বিষয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সরকার মুকুল জিতুর দলীয় পরিচয় নিশ্চিত করে বলেন, জিতু বগুড়া জেলা শাখার সহ সাধারণ সম্পাদক পদে আছেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার কারণে তাকে বহিস্কারের যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে।

  • ইরানের পক্ষে থাকার ঘোষণা দিল চীন

    ইরানের পক্ষে থাকার ঘোষণা দিল চীন

    ইরানে ইসরাইলের হামলার কঠোর নিন্দা জানিয়েছে চীন এবং এই হামলাকে ইরানের ‘সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার লঙ্ঘন’ হিসেবে অভিহিত করেছে।

    চীনের জাতিসংঘ প্রতিনিধি ফু কং শুক্রবার (১৩ জুন) জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকে এ মন্তব্য করেন।

    তিনি বলেন, বর্তমান সংঘাত ইরানের পারমাণবিক আলোচনা প্রক্রিয়ায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে, এবং চীন এই বিষয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তিনি ইসরাইলকে অবিলম্বে সমস্ত সামরিক কার্যক্রম বন্ধ করার আহ্বান জানান, যাতে পরিস্থিতি আরও খারাপ না হয়।

    ফু কং আরও বলেন, পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তাররোধ চুক্তির স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে ইরানকে তার পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের অধিকার পূর্ণরূপে সম্মানিত করা উচিত।

    এদিকে, শুক্রবার রাতে ইরান পাল্টা হামলা চালায় ইসরাইলে, এবং এই হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যে বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা বৃদ্ধি পেয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে চীন সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

    চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেছেন, এ ধরনের পদক্ষেপ ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে। তিনি বলেন, ‘আমরা সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে আহ্বান জানাই যেন তারা উত্তেজনা না বাড়িয়ে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় ভূমিকা রাখে।’

    চীন এবং ইরানের মধ্যে ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে, বিশেষ করে জ্বালানি ও অবকাঠামো খাতে। চলতি বছরের মার্চে চীন ইরান ও রাশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রীদের স্বাগত জানায়, যেখানে ইরানের পারমাণবিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা এবং তেহরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হয়।