Category: bangla

  • তিনদিনের হামলায় ইরানে নিহত অন্তত ৪০৬, আহত ৬৫৪

    তিনদিনের হামলায় ইরানে নিহত অন্তত ৪০৬, আহত ৬৫৪

    গত তিনদিন ধরে ইরানে ভয়াবহ হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। লাগাতার এসব হামলায় অন্তত ৪০৬ জনের মৃত্যু হয়েছে ইরানে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৬৫৪ জন।

    ওয়াশিংটনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থার বরাতে রোববার (১৫ জুন) এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এপি।

    প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরানে নিজেদের একটি আলাদা সূত্র আছে এই মানবাধিকার সংস্থাটির। সেই সূত্রের তথ্য ও ইরানের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হতাহতের তথ্য ক্রসচেক করে হতাহতের এ সংখ্যা জানিয়েছে সংস্থাটি।
    শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে ইরানের বিভিন্ন জায়গায় হঠাৎ বড় ধরনের হামলা করে বসে ইসরায়েল। এরপর সারাদিনই দেশটিতে হামলা অব্যাহত রাখে তারা। ভয়াবহ এ হামলায় ইরানের সেনাপ্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি, সামরিক বাহিনীর এলিট শাখা ইসলামিক রেভোল্যুশনারী গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) প্রধান জেনারেল হোসাইন সালামিসহ অন্তত ২০ জন জ্যেষ্ঠ কমান্ডারকে হত্যা করে ইসরায়েল। এ অবস্থায় ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই বাহিনীটির নতুন প্রধানের নাম ঘোষণা করেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।

    দায়িত্ব নিয়েই ইসরায়েলের উদ্দেশে কঠিন হুঁশিয়ারি দেন নতুন আইআরজিসি প্রধান। তিনি বলেন, ইসরায়েলি হামলার জবাবে শিশু হত্যাকারী জায়নবাদী শাসকের জন্য শিগগিরই জাহান্নামের দরজা খুলে যাবে।

    নতুন আইআরজিসি প্রধানের এ বার্তার কয়েক ঘণ্টা না যেতেই ইসরায়েলে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩’ নামে এ অভিযান শুরু করে ইরান। এরপর থেকে একে অপরকে লক্ষ্য করে হামলা-পাল্টা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দুই পক্ষই। ক্রমেই ভয়ংকর রূপ ধারণ করছে দুইদেশের এ সংঘাত।

    রোববার মধ্যরাতে ইরান যেসব মিসাইল হামলা চালিয়েছে সেগুলোর বেশ কয়েকটি সরাসরি আঘাত হেনেছে ইসরায়েলের মূল ভূখণ্ডে। এতে অন্তত ১০ জন নিহত ও দুইশর বেশি মানুষ আহত হয়েছেন ইসরায়েলে।

  • নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানি শুরু, ইউনিট ৭ টাকা ৮৭ পয়সা

    নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানি শুরু, ইউনিট ৭ টাকা ৮৭ পয়সা

    নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানি শুরু হয়েছে। ওই বিদ্যুৎ যুক্ত হচ্ছে জাতীয় গ্রিডে। গত শনিবার রাত ১২টার দিকে ভারতের সঞ্চালন লাইন ব্যবহার করে দেশটি থেকে প্রথম ৩৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আসে। চুক্তি অনুযায়ী প্রতি ইউনিটের দাম ৭ টাকা ৮৭ পয়সা (৬ দশমিক ৪ সেন্ট)। ভারতের মুজাফফরপুর-বাহারামপুর হয়ে বাংলাদেশের ভেড়ামারা দিয়ে এ বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে আসছে।

    বিদ্যুৎ নিয়ে বাংলাদেশ ও নেপাল পাঁচ বছর মেয়াদি চুক্তি করেছে। বছরের ১৫ জুন থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ মাস বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি করবে নেপাল। গত বছরের ১৫ নভেম্বর চুক্তি বাস্তবায়নে প্রতীকী হিসেবে এক দিনের জন্য বাংলাদেশে বিদ্যুৎ দিয়েছিল দেশটি।

    পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশের (পিজিসিবি) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার রাত ১২টায় নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানি শুরু হয়। রোববার বিকাল ৫টা পর্যন্ত প্রতি ঘণ্টায় ৩৮ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ যুক্ত হয়েছে। ভারতের ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন ব্যবহার করে ঘণ্টায় ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রপ্তানি করছে নেপাল।

    খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে বিদ্যুৎ কেনাবেচার বিশেষ সুযোগ রয়েছে। কারণ, নেপাল জলবিদ্যুৎনির্ভর দেশ এবং তাদের বিপুল পরিমাণ উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে। গ্রীষ্ম মৌসুমে (জুন-নভেম্বর) নেপালে চাহিদার চেয়ে বেশি জলবিদ্যুৎ উৎপাদন হয়, যা ওই সময়ে বাংলাদেশ চাহিদা পূরণে ব্যবহার করতে পারে। আবার শীত মৌসুমে (নভেম্বর-মার্চ) নেপালের অধিকাংশ জলভাগ জমে বরফ হয়ে যায়। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদন হ্রাস পায়। ওই সময় বাংলাদেশে চাহিদা কমে ৭-৮ হাজার মেগাওয়াটে নেমে আসে। উৎপাদন সক্ষমতার বড় অংশ অলস থাকে। বাংলাদেশ উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ শীত মৌসুমে নেপালে রপ্তানি করতে পারে। এতে উভয় দেশের লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে।

    আলোচনার ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালের মাঝামাঝি নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল ভারত সফরে এসে বাংলাদেশে জলবিদ্যুৎ রপ্তানি নিয়ে আগ্রহ দেখান। এর পর ২০২৪ সালের ১১ জুন সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি বিদ্যুৎ কেনার অনুমোদন দেয়। একই বছরের ৩ অক্টোবর কাঠমান্ডুতে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়। এতে অংশ নেয় নেপাল ইলেকট্রিসিটি অথরিটি (এনইএ), বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ও ভারতের ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার করপোরেশন (এনটিপিসি)। চুক্তি অনুযায়ী ২০২৯ সাল পর্যন্ত বছরের নির্দিষ্ট পাঁচ মাস ঢাকায় আসবে নেপালের বিদ্যুৎ।

    এ ছাড়া নেপালের সুঙ্কোশি-৩ বিদ্যুৎ প্রকল্পে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে পিডিবি, যা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে।

  • ইরানের হামলায় আদানির ৪.২ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতির বিষয়ে যা জানা গেল

    ইরানের হামলায় আদানির ৪.২ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতির বিষয়ে যা জানা গেল

    দখলদার ইসরায়েলের বন্দরনগরী হাইফাতে আবারও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। রোববার (১৫ জুন) রাতে চালানো এই হামলায় ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি আঘাত হানার খবরও পাওয়া গেছে। এর আগে শনিবারও (১৪ জুন) হাইফা বন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। সেই হামলায় হাইফা বন্দরে থাকা আদানি গ্রুপের ৪ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের পণ্যসম্ভার সুবিধা ধ্বংস হয়ে গেছে বলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে।

    তবে আদানি গ্রুপের প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকর্তা জুগেশিন্দর রবি সিং রোববার এই গুঞ্জনকে মিথ্যা বলে দাবি করেছেন। রোববার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স হ্যান্ডেলে দেয়া এক পোস্টে এই দাবি করেন তিনি। খবর ইন্ডিয়া টাইমসের।

    জানা গেছে, শনিবার রাতে ইরান ইসরায়েলের হাইফা বন্দর এবং তেল আবিবের নিকটবর্তী একটি তেল শোধনাগার লক্ষ্য করে হামলা চালায়। বন্দরের রাসায়নিক টার্মিনালে শার্পনেল পুড়ে যায় এবং তেল শোধনাগারে আরও কিছু প্রজেক্টাইল পোড়ে। কিন্তু ইসরায়েল সরকারের মতে কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

    ইসরায়েলের কেন্দ্রবিন্দুতে হাইফা বন্দরের অবস্থান, যেখানে আদানি পোর্টস ২০২৩ সালে ১.২ বিলিয়ন ডলারে দেশটির গ্যাডোট গ্রুপের সঙ্গে বন্দর অধিগ্রহণ করে ৭০ শতাংশ অংশীদারিত্বে ব্যাবসা করছে। বন্দরটি ইসরায়েলি আমদানি ও রপ্তানির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা।

    হাইফা বন্দর থেকে ইসরায়েলের ৩০ শতাংশেরও বেশি আমদানি পরিচালনা করে। এটি আদানি পোর্টসের মালিকানাধীন, তারা ৭০ শতাংশ শেয়ার নিয়ন্ত্রণ করে। ক্ষেপণাস্ত্রগুলো বন্দরের কাছাকাছি একটি প্রধান তেল শোধনাগারের আঘাত করেছে, তবে আদানির বন্দরের উপর প্রভাব সম্পর্কে কোনও খবর জানা যায়নি।

    এর আগের সংঘর্ষের সময়, শুষ্ক বাল্ক জাহাজগুলি বাধার সম্মুখীন হওয়ায় আদানি পোর্টসের শেয়ারের দাম কমেছিল। বিনিয়োগকারীদের মতে হামলায় আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি সীমিত হলেও, এই সংঘর্ষ ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার বাড়িয়ে তুলছে, যা বৃহত্তর বাণিজ্যের পরিপন্থী।

  • শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য জরুরি নির্দেশনা

    শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য জরুরি নির্দেশনা

    দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের সংক্রমণ রোধের পাশাপাশি ডেঙ্গু প্রতিরোধে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৬ নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। সেই সঙ্গে সচেতনতা বাড়াতে প্রচারণায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

    রবিবার (১৫ জুন) মাউশির সহকারী পরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) মো. খালিদ হোসেনের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের ইতোমধ্যে এসংক্রান্ত নির্দেশনাটি পাঠানো হয়েছে।

    নির্দেশনায় বলা হয়, সারা দেশে করোনাভাইরাসের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অন্যান্য রোগ প্রতিরোধের লক্ষ্যে সুপারিশ প্রদানের জন্য ‘ডেঙ্গু সচেতনতা : ভবিষ্যতে করণীয়’ সংক্রান্ত সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সূত্রোক্ত পত্র ২টি এতদসঙ্গে প্রেরণ করা হলো।

    পত্রদ্বয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী অধিদপ্তরের আওতাধীন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিচের নির্দেশনাগুলো প্রতিপালনের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

    ডেঙ্গু প্রতিরোধে নির্দেশনা-

    >> সারা দেশে ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রচারণাকাজে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করতে হবে।

    করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে নির্দেশনা

    >> বারবার প্রয়োজনমতো সাবান দিয়ে হাত ধোয়া (অন্তত ২০ সেকেন্ড)।

    >> জনসমাগম এড়িয়ে চলা এবং বাইরে বের হলে মুখে মাস্ক পরা।

    >> আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখা।

    >> অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকা।

    >> হাঁচি-কাশির সময় বাহু অথবা টিস্যু বা কাপড় দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখা।

  • ঢাকাসহ যে ১৩ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড় ও বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস

    ঢাকাসহ যে ১৩ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড় ও বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস

    দেশের কয়েকটি অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। রোববার (১৫ জুন) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত জারি করা এক সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ঢাকাসহ অন্তত ১৩টি জেলার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার গতিতে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে।

    আবহাওয়াবিদ ড. মো. ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
    যেসব জেলার ওপর দিয়ে এই ঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে সেগুলো হলো— রংপুর, দিনাজপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট।

    এ কারণে সংশ্লিষ্ট নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

    এছাড়া আবহাওয়া অফিসের আরেক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চলতি সপ্তাহজুড়ে দেশের প্রায় সব বিভাগেই অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে। কোথাও কোথাও বিদ্যুৎ চমকানোসহ ভারী বৃষ্টিও হতে পারে।

    আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে নদীপথে চলাচল, মাছ ধরাসহ যেকোনো নৌযাত্রায় সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

  • নতুন ভূমি আইনে যেসব কাগজপত্র না থাকলে জমি হারাতে হবে

    নতুন ভূমি আইনে যেসব কাগজপত্র না থাকলে জমি হারাতে হবে

    ভূমি সংক্রান্ত জটিলতা, মামলা এবং দীর্ঘদিন ধরে চলা পারিবারিক বিরোধ অনেক সময়ই দেখা যায় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকার কারণে। নতুন ভূমি আইনে যে কাগজপত্র না থাকলে জমি হারাতে হবে- এই বাস্তবতা থেকে রক্ষা পেতে হলে এখনই সচেতন হওয়া জরুরি। জমির মালিকানা, ভোগদখল ও বিক্রয়ের ক্ষেত্রে যেসব দলিল অপরিহার্য, সেগুলো সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করলে ভবিষ্যতে নানাবিধ সমস্যা দেখা দিতে পারে।

    জমির দখল ও মালিকানা নির্ধারণে প্রমাণপত্রের গুরুত্ব

    জমি ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে রেজিস্ট্রার অফিসে সম্পাদিত স্ট্যাম্পে সইকৃত চুক্তিপত্রই জমির দলিল। এতে সাক্ষীর স্বাক্ষর ও রেজিস্ট্রারের সিল থাকে। এই দলিলের পূর্ববর্তী দলিলগুলোকেই বলা হয় বায়া দলিল।জেলা রেজিস্ট্রার অফিস থেকে দলিলের কপি সংগ্রহ করা যায়। জমির মালিক হিসেবে দলিল সংরক্ষণের দায়িত্ব মূলত আপনার।

    পর্চা ও খতিয়ানের ভূমিকা

    জমির খতিয়ান বা পর্চা হলো জরিপে প্রাপ্ত ভূমি সংক্রান্ত সরকারি নথির অনুলিপি। জমির মালিক পর্চা সংগ্রহের পর সেই নথিকে বলা হয় পর্চা। পর্চার মূল দলিল ভূমি অফিসে সংরক্ষিত থাকে, যাকে খতিয়ান বলা হয়।

    দাখিলা হলো খাজনা পরিশোধের সরকারি প্রমাণ

    ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা প্রদানের পর তহসিল অফিস থেকে যে রশিদ প্রদান করা হয়, সেটিই হলো দাখিলা। জমি বিক্রয়ের সময় দাখিলা দাখিল করা বাধ্যতামূলক। এটি জমি বর্তমানে কার দখলে আছে, তার বৈধতা প্রমাণ করে। এমনকি খাজনা মওকুফ থাকলেও দুই টাকা প্রদান করে দাখিলা সংগ্রহ করা সম্ভব।

    ওয়ারিশ সনদ ও সাকসেসন সার্টিফিকেট

    উত্তরাধিকার সূত্রে জমি পেতে হলে ওয়ারিশ বা উত্তরাধিকার সনদ অত্যন্ত জরুরি। এটি ইউপি চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র বা সিটি করপোরেশনের মেয়রের মাধ্যমে ইস্যু করা হয়। আদালতের মাধ্যমে যে উত্তরাধিকার সনদ ইস্যু হয়, সেটি সাকসেসন সার্টিফিকেট নামে পরিচিত।

    মিউটেশন (নামজারি) কপি

    জমির মালিকানার পরিবর্তনের রেকর্ড হিসেবে সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে মিউটেশন করতে হয়। দুই জরিপের মাঝামাঝি সময়ে জমির মালিকানা পরিবর্তন হলে তার দলিল হচ্ছে নামজারি বা মিউটেশন। এটি জমির মালিকানা প্রতিষ্ঠায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দলিল।

    আদালতের রায় ও ডিক্রি

    ভূমি সংক্রান্ত কোনো বিরোধ আদালতের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হলে সেই রায় বা ডিক্রি হচ্ছে চূড়ান্ত দলিল। আদালতের এই সিদ্ধান্ত ভূমি মালিকানা নির্ধারণে অন্যতম প্রমাণপত্র হিসেবে গণ্য হয়।

    মৌজা ম্যাপ ও বাস্তব খণ্ডচিত্র

    মৌজা ম্যাপ হলো ভূমির একাধিক খণ্ডচিত্রের ভিজ্যুয়াল প্রতিচ্ছবি। প্রতিটি জেলা প্রশাসকের অফিসে মৌজা ম্যাপ সংরক্ষিত থাকে এবং নির্ধারিত ফি দিয়ে তা সংগ্রহ করা যায়। এটি ভূমির সীমানা ও অবস্থান সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেয়।

    জমির দখল ও ব্যবহার

    জমির দখল প্রমাণের জন্য আলাদা সরকারি কাগজপত্র না থাকলেও দাখিলা বা রশিদই দখলের প্রমাণ হিসেবে কাজ করে। তবে জোরপূর্বক দখল নয়, বরং বৈধ মালিকানার ভিত্তিতে জমি ব্যবহার করাকেই আইন স্বীকৃতি দেয়।

    ভূমি আইনের বর্তমান বাস্তবতায় নিজের জমির দখল, মালিকানা এবং ব্যবহার নিশ্চিত করতে হলে উপরোক্ত নয়টি গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র সংগ্রহ ও সংরক্ষণ আবশ্যক। সচেতন না থাকলে শুধু জমি নয়, হারিয়ে যেতে পারে প্রজন্মের অর্জনও। এখনই সময় প্রয়োজনীয় দলিলগুলো সঠিকভাবে প্রস্তুত ও সংরক্ষণ করার, যাতে ভবিষ্যতে জমি সংক্রান্ত বিরোধ বা মামলার ঝুঁকি কমানো যায়।

    এ বিষয়ে আরও তথ্য জানার জন্য সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিস, আইনজীবী বা রেজিস্ট্রার দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

  • পুকুরটা সুন্দর ছিলো, পানি সব ঘোলা করে ফেলেছি : পরীমণি

    পুকুরটা সুন্দর ছিলো, পানি সব ঘোলা করে ফেলেছি : পরীমণি

    ঢাকাই সিনেমার আলোচিত অভিনেত্রী পরীমণি এবার ঈদুল আজহায় কাটিয়েছেন নানাবাড়ি পিরোজপুরে। শৈশবের স্মৃতি বিজড়িত একটি পুকুরে সাঁতার কাটছেন তিনি। ঠিক শৈশবের দিনগুলোর মতো আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতেছিলেন এ অভিনেত্রী।

    ভিডিওতে দেখা যায়, পরীমণি তার শৈশবের স্মৃতি বিজড়িত একটি পুকুরে জলকেলিতে মেতেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ভিডিও শেয়ার করেন অভিনেত্রী। সেই পুকুরে কাঁচের বাড়ি নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

    এই ভিডিওর ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘এখানেই আমার সমস্ত শৈশব! এখানে আসলেই আমি ছোটবেলায় ফিরে যাই। এই একটা ছোট্ট পুকুরে আমরা এত জন মিলে পুকুরের পানি সব ঘোলা করে ফেলেছি হিহি।’

    ভিডিওটি প্রকাশের পর থেকেই পরীমণির ভক্ত এবং অনুরাগীরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন। অনেকেই তার শৈশবের স্মৃতি রোমন্থন এবং প্রকৃতির সঙ্গে মিশে যাওয়ার দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। একজন মন্তব্য করেছেন, ‘পরীমণিকে অনেক সুন্দর লাগছে, ভিডিওটি অনেক সুন্দর হয়েছে।’

    তবে পরীমণির পোস্টের শেষ অংশটিই আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি ক্যাপশনে আরও উল্লেখ করেছেন, ‘কয়েকদিন পর এইখানে এই পুকুরটা থাকবে না। এখানে একটা কাঁচের বাড়ি বানাবো ইনশাআল্লাহ।’

    এই ঘোষণা অনেকের মনে প্রশ্ন ও উদ্বেগ তৈরি করেছে। একজন মন্তব্য করেছেন, ‘স্মৃতি বিজড়িত পুকুরটি নষ্ট করবেন কেন? বাড়িটি অন্য কোথাও বানালেও পারেন।’

    চলচ্চিত্র শিল্পে পরীমণি যেমন তার সাহসী ভূমিকা এবং স্পষ্টবাদীতার জন্য পরিচিত, তেমনি তার ব্যক্তিগত জীবনের বিভিন্ন দিকও বরাবরই আলোচনার বিষয় হয়েছে। এবার তার শৈশবের পুকুর এবং সেটিকে ভেঙে কাঁচের বাড়ি বানানোর পরিকল্পনা তাকে আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছে।

    প্রসঙ্গত, কয়েক বছর আগে পরীমণির নানা মারা গেছেন। তিনি ছিলেন অভিভাবক ও তার আশ্রয়স্থল। বর্তমানে ‘সিঙ্গেল মাদার’ হিসেবেই দুই সন্তানকে নিয়েই সময় কাটছে তার। পর্দা ও বাস্তবের পরীর সৌন্দর্যে মুগ্ধ সবাই।

  • ছেলে সন্তান পেতে কোন পদ্ধতি আছে কিনা, জানালেন ডা. তাসনিম জারা

    ছেলে সন্তান পেতে কোন পদ্ধতি আছে কিনা, জানালেন ডা. তাসনিম জারা

    ভারতীয় উপমহাদেশে ছেলে সন্তান পাওয়া নিয়ে মানুষের আগ্রহ অনেক। এ বিষয়ে সমাজে অনেক মিথ প্রচলিত আছে। প্রাচীনকালে অদ্ভূত কিছু পদ্ধতিও গ্রহণ করতেন নারী-পুরুষেরা। এখনও বিভিন্ন সমাজে এসবের প্রচলন রয়ে গেছে।

    আসলে পুত্রসন্তান পাওয়ার জন্য সহবাসের সময় কোনো বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি আছে কিনা? এমন প্রশ্নে জবাব দিয়েছেন ডা. তাসনিম জারা। এ বিষয়ে তিনি প্রাচীন ফ্রান্সের একটি উদাহরণ টানেন।

    তিনি বলেন, আজ থেকে প্রায় ২০০-২৫০ বছর আগের কথা। ফ্রান্সের সম্ভ্রান্ত পরিবারের পুরুষরা তাদের বাঁদিকের অণ্ডকোষ বেঁধে রাখতেন। আবার কেউ কেউ অণ্ডকোষ কেটেও ফেলতেন যাতে পুত্রসন্তান হয়। এ কাজটা করার পেছনে তাদের একটা চিন্তা ছিল, বৈজ্ঞানিক শোনা যায় এমন একটা ব্যাখ্যাও ছিল।

    ব্যাখ্যাটা হলো পুরুষের দুটি অণ্ডকোষ কাজ আলাদা। কেননা, অণ্ডকোশ দুটির আকার আলাদা, ডান দিকেরটা সাধারণত বড় থাকে। তাই তারা চিন্তা করতো ডান দিকের অণ্ডকোষ থেকে ছেলে হয় আর বাঁদিকে অণ্ডকোষ থেকে মেয়ে হয়। যেহেতু বাঁদিকের অণ্ডকোষ থেকে মেয়ে হয় তাই তারা সেটাকে কেটে ফেলতো বা বেঁধে রাখতো।

    এই কাজটি করার পেছনে একটি কারণ ছিল, সেখানকার একজন বিজ্ঞানী তার বইয়ে লিখেছিলেন যে, এই অণ্ডকোষ কেটে ফেলা খুব সহজ একটা অপারেশন। দাঁত ফেললে যেমন ব্যথা লাগে এটি কাটলে ঠিক তেমনই একটু ব্যথা লাগবে। তাই অণ্ডকোষ কেটে ফেলা পুত্রসন্তান পাওয়ার একটি কার্যকর উপায় হতে পারে।

    অন্যদিকে অণ্ডকোষ কাটার সাহস যাদের ছিল না তাদের জন্য ওই বিজ্ঞানী একটি উপায় বের করেছিলেন। সেটি হল- তাদের স্ত্রীরা সহবাসের পর যেন এক দিকে কাত হয়ে শুয়ে থাকে। পুরুষের যেমন অণ্ডকোষ দুইটা তেমনই মেয়েদেরও ডিম্বাশয় দুইটা থাকে। একদিকের ডিম্বাশয় ছেলে আর অন্য দিকেরটায় মেয়ে সন্তান হয়। সুতরাং যেই লিঙ্গের সন্তান সে চায় সেই দিকে সে কাত হয়ে শুয়ে থাকবে।

    এই কথাগুলো বর্তমান সময় শুনতে খুব হাস্যকর শোনালেও তখনকার সময়ে এ পদ্ধতিটা খুবই জনপ্রিয় ছিল। ওই বিজ্ঞানীর লেখা সেই বইটির অনেকগুলো কপি বিক্রি হয়েছিল সে সময়। বইটির নাম ছিল ‘দ্য আর্ট অব হেভিং বয়েস’ অর্থাৎ পুত্রসন্তান পাওয়ার আর্ট।

    পুত্রসন্তান পাওয়া জন্য যদি আপনাদেরকে কেউ কোনো চমকপ্রদ পদ্ধতির কথা বলে সেটা এড়িয়ে চলবেন। এটা এড়িয়ে চলাই ভালো। কেননা, এতে আপনার অর্থের ক্ষতি হতে পারে, সময়ের ক্ষতি হতে পারে এবং শারীরিক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। সত্যিকারার্থে ছেলে ও মেয়ে সন্তান জন্ম হওয়ার বিষয়টি পুরোটাই নির্ভর করে স্রষ্টার ইচ্ছার ওপর। এখানে মনুষ্য ইচ্ছার কোনো সুযোগ নেই।

  • ঘন্টা চুক্তিতে টয়লেটে যান কলেজের ছাত্রীরা, রইল লিংকসহ

    ঘন্টা চুক্তিতে টয়লেটে যান কলেজের ছাত্রীরা, রইল লিংকসহ

    ডিজিটাল বাংলাদেশে স’বকিছুই যেন ডি’জিটালের হাওয়া। ডিজিটাল হওয়ায় ভা’লোর পাশাপাশি আ’ছে খা’রাপ। এরই অংশ হিসাবে বর্তমা’নে রা’জধানীতে অবাধে চলছে ফোনে অশ্লি’লতা। আর ঢাকার তরুণীরা এক ঘন্টা বা দুই ঘন্টার চুক্তিতে এই ফোন ক’রতে বি’জ্ঞাপনের জ’ন্য ব্যবহার করছে বিভিন্ন ওয়েবসাইট, পাশাপাশি আ’ছে ফেস’বুকেরও ব্যবহার।ফলশ্রুতিতে এ বাণিজ্য মহা’নগরীতে এখন জমজমাট ব্য’বসা। তবে ফোনে গো’পন কাজ করার জ’ন্য আ’পনাকে ঘন্টা প্র’তি গু’নতে হবে টাকা।

    আর এই জ’ন্য আ’পনাকে অগ্রিম বিকাশ বা ফেলিক্সিলোড ক’রতে হবে নির্ধা’রিতফোন নম্বরে। নচেৎ সাড়া দেয়া হয় না। এ সং’ক্রা’’ন্ত অনেক ওয়েব সাইটে বি’জ্ঞাপনও প্র’চার করা হচ্ছে।ওই স’ব বি’জ্ঞাপনে ব’লে দেয়া হচ্ছে, বিকাশ বা ফেক্সিলোড মাধ্যম ছাড়া টাকা না পাঠিয়ে দয়া করে কেউ বি’র’ক্ত করবেন না। মিস ক’ল দেবেন না।

    আরও পড়ুন : হাতের নখের মধ্যে- হস্ত্ররেখা বিজ্ঞান আর জ্যোতিষ শাস্ত্রে এমন কিছু কথা বলা হয়েছে, যেগুলি সব কিছু জানার পর আপনি আপনার ভবিষ্যৎ খুব সহজেই জানতে পারবেন । আর এর সাহায্যে আপনি ভবিষ্যেতের ঘটনাগুলি আন্দাজ করতে পারবেন ।

    আর আমাদের হাতে আর পায়ে একম কিছু জিনিস থাকে যা আমাদের ভবিষ্যতের কথা বলে থাকে । আর আমাদের হাতের মধ্যে যে রেখা গুলি আছে তাদের অর্থ কিছু না কিছু হয়ে থাকে । আর মানুষের হাতের নখ তাদের নিয়ে অনেক কিছু বলে ।

    আর আপনারা নিজেদের নখ দেখেছেন আর আপনি লক্ষ করেছেন এই হাতের নখের মধ্যে একটি নখ থাকে। কিন্তু এই চিহ্নটি সকলেই নখে থাকে না । আর নখের উপর এই চিহ্ন আপনার নিয়ে অনেক রহস্য খুলে দিতে পারে । আর আজ আমরা এই নখের নিয়ে কিছু অজানা কথা আপনাদের জানাব ।

    আসলে এই অর্ধ চন্দ্রের মানে কি হয়ে থাকে ? আসলে যে মানুষের নখে এই ধরনের চিহ্ন থাকে তাদের জীবন খুব ভালো ভাবে কেটে থাকে । কিন্তু এই সব লোকেদের প্রথমে কঠিন পরিশ্রমের মাধ্যমে দিন কাটাতে হয়ে থাকে । কিন্তু পরিশ্রমের ফল সব সময় মিষ্টি হয়ে থাকে । আর যারা পরিশ্রম করে তারা ভালো জীবন কাটিয়ে থাকে ।

    আর যাদের নখের মধ্যে এই রকম চিহ্ন থাকে তাদের জীবন সঙ্গির জন্যে খুব ভাগ্যশালী হয়ে থাকে । আর এদের যারা জীবন সঙ্গী হবে তারা খুব পরিষ্কার মনের হবে । আর সে আপনাকে খুব ভালো বাসবে । কিন্তু তাঁর সব সময় খেয়াল রাখতে হবে নাহলে সে আপনার প্রতি অভিমান করতে পারে ।

    আর যাদের নখের মধ্যে এই চিহ্ন থাকে তারা খুব পরিশ্রমি হয়ে থাকে । আর তারা কঠিন থেকে কঠিন কাজ পরিশ্রম করতে কোন দিন পিছুপা হয় না । আর তারা নিজেদের কাজের জন্যে খুব সিরিয়াস হয়ে থাকে । তারা যে কাজটি একবার করব ভাবে তারা তা করেই ছাড়ে । আর তাঁর জন্যে কঠিন পরিশ্রম করে থাকে । আর যাদের নখে এই রকমের চিহ্ন থাকে তাদের নিজের দেশের জন্যে কিছু করে দেখানোর সৌভাগ্য পেয়ে থাকে । আর তাদের সব সময় সততার সাথে এগিয়ে যেতে হবে , আর কোন আশা সুযোগ কে কোন দিন হাতছাড়া করা উচিত নয়।

  • প্রকাশ্যে ইরানের পাশে পরমাণু শক্তিধর ৪ দেশ

    প্রকাশ্যে ইরানের পাশে পরমাণু শক্তিধর ৪ দেশ

    এবার ইরান আর একা নেই ইরান। পাশে দাড়িয়েছে ৪ পরমাণু শক্তিধর দেশ। শক্ত বার্তা দিয়েছে মুসলিম বিশ্বও। সৌদি আরব, তুরস্ক থেকে শুরু করে সংযুক্ত আরব আমিরাত পর্যন্ত প্রকাশ্যে এসেছে নেতানিয়াহু বিরোধী অবস্থানে। যুক্তরাষ্ট্র পাশে থাকলেও চাপে পড়েছেনবেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। যুদ্ধ শুরু করেই যেন হাওয়া হয়ে গেছেন। তার অবস্থান নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।

    এদিকে যুদ্ধের সমীকরণ পাল্টে দিতে এবার মাঠে নেমেছে চারটি পরমাণু শক্তিধর দেশ। তারা সরাসরি ইরানের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে। তেহরানে হামলার পর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিন্দার ঝড় উঠেছে। মুসলিম দেশগুলোর বাইরেও ইরানের মিত্র রাষ্ট্রগুলো এই হামলার বিরোধিতা করেছে।

    সম্প্রতি প্রতিবেশী দেশ ভারতকে হঠাৎ অস্বস্তিতে ফেলেছিল পাকিস্তান। দেশটির সঙ্গে ইরানের সীমান্ত রয়েছে, এবং দুই দেশের মধ্যে রয়েছে গভীর বন্ধুত্ব, বিশেষ করে নেতানিয়াহুর দেশ ইস্যুতে। এবার বড় সংকটে ইরানের পাশে দাঁড়িয়েছে পাকিস্তান। দেশটির দাবি, এই হামলা ইরানের সার্বভৌমত্ব এবং ভূখণ্ডগত অখণ্ডতা লঙ্ঘন করেছে। এটি জাতিসংঘ সনদ ও আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী।

    অন্যদিকে, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গেও ইরানের সম্পর্ক বরাবরই ইতিবাচক। কিম জং উন ও তেহরানের মধ্যে গোপন সমঝোতা রয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। কমন বন্ধু রাশিয়ার কারণে এই সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। ফলে উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে উত্তর কোরিয়াও ইরানের পাশে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো চীনের অবস্থান। চীন এখন কেবল অর্থনীতিতে নয়, সামরিক ও কূটনৈতিক প্রভাবেও বড় খেলোয়াড়। জাতিসংঘে চীনের প্রতিনিধি বলেছেন, তেল আবিব ইরানের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও অভ্যন্তরীণ অখণ্ডতা লঙ্ঘন করেছে। এবং তারা আরও একটি রেড লাইন অতিক্রম করেছে।”

    এদিকে রাশিয়ার প্রতিক্রিয়াও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। প্রেসিডেন্ট পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এক বিবৃতিতে বলেন, “এই হামলা অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং এটি আঞ্চলিক উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলবে।”

    উল্লেখ্য, পরমাণু অস্ত্র ইস্যুতে দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ফলে, ইরানের মিত্র রাশিয়াকে বিরক্ত করলে তার মূল্য দিতে হতে পারে যুক্তরাষ্ট্র ও নেতানিয়াহুকে। এমনই হুঁশিয়ারি শোনা যাচ্ছে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মুখে।