Category: bangla

  • গুলশান থেকে ওবায়দুল কাদেরের ‘পালিত ছেলে’ গ্রেফতার

    গুলশান থেকে ওবায়দুল কাদেরের ‘পালিত ছেলে’ গ্রেফতার

    রাজধানীর বাড্ডা থানার দায়ের করা একটি হত্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের পালিত ছেলে বলে পরিচয় দেওয়া এক যুবককে। তার নাম আসাদুজ্জামান হিরু।

    গতকাল বুধবার রাত দেড়টার দিকে রাজধানীর গুলশান থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

    পুলিশ জানিয়েছে, ওবায়দুল কাদেরের পালিত ছেলে বলে পরিচয়দানকারী হিরুকে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গুলশান থানা পুলিশের একটি স্পেশাল টিম গ্রেফতার করে। ৫ আগস্ট পরে বাড্ডা থানায় হওয়া একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    আসাদুজ্জামান হিরু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে অর্থ যোগানদাতা ছিলেন বলে অভিযোগ আছে। ওবায়দুল কাদেরের ছত্রছায়ায় অর্থ লোপাট করার অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে।

    ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন হয়। জনরোষে ওইদিনই ভারতে চলে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর একে একে মামলা হয় আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে।

    সরকার পতনের পর শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের বেশিরভাগ নেতা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। তাদের বড় অংশই যান ভারতে। শুধু শীর্ষ নেতা নন, মাঝারি এবং সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতাও ভারতে আছেন বলে জানা গেছে। অনেক নেতা বিদেশে থেকে গণমাধ্যমকর্মী, দেশে-বিদেশে থাকা নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কমবেশি যোগাযোগ রাখছেন। যারা দেশ ছাড়তে পারেননি তারা আছেন আত্মগোপনে। আবার অনেকে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন।

    ৫ আগস্ট হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের প্রায় সব নেতা পালিয়ে কিংবা আত্মগোপনে চলে যাওয়ার পর লাপাত্তা ছিলেন ওবায়দুল কাদেরও। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের ‘সেকেন্ড ম্যান’ হিসেবে পরিচিত ওবায়দুল কাদের দেশে নাকি বিদেশে সেটা নিয়ে ৫ আগস্টের পর থেকেই আলোচনা ছিল। অবশেষে তার অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা অনেকটা কেটে যায়। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরও তিন মাস তিনি দেশেই আত্মগোপনে ছিলেন। গত ৮ নভেম্বর সাবেক এই মন্ত্রী দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়।

    গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, তিন মাস ওবায়দুল কাদের দেশেই ছিলেন। তিনি নিরাপদ স্থানে যত্ন-আত্তিতেই ছিলেন। অবশেষে সড়কপথে সিলেট হয়ে ভারতের মেঘালয়ের শিলং পৌঁছান এবং সেখান থেকে কলকাতায় চলে যান।

  • ১০ টাকার জন্য কুপিয়ে হত্যা, যুবকের যাবজ্জীবন

    ১০ টাকার জন্য কুপিয়ে হত্যা, যুবকের যাবজ্জীবন

    ভাঙ্গায় ১০ টাকার জন্য কুপিয়ে হত্যার মামলায় মামুন শিকদার (৩৫) নামে এক যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফরিদপুরের আদালত। একইসাথে তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

    বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে ফরিদপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এ রায় ঘোষণা করেন।

    মামুন শিকদার গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বিশারী বাগজোলাল মাঠ এলাকার ইউসুফ আলী শিকদারের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।

    মামলার রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পিপি মো. রকিবুল ইসলাম বিশ্বাস জানান, ২০১৫ সালের ১৬ এপ্রিল ভাঙ্গা উপজেলার পীরের চর বাজারে কেরাম বোর্ড খেলার সময় ১০ টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বে মামুন শিকদারকে গালিগালাজ করে মো. ফারুক ফকিরের ভাতিজা আক্তার ফকির। একপর্যায়ে মামুন শিকদার উত্তেজিত হয়ে আক্তারকে কিলঘুষি মারে। পরে চাকু দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় ভাতিজাকে রক্ষা করতে এগিয়ে যায় ফারুক ফকির। তখন তার বুকে চাকু বসিয়ে দেয় মামুন। ফারুককে উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

    মামুন শিকদারকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন স্থানীয়রা। পরে ভাঙ্গা থানায় মামুন শিকদারসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন ফারুকের বাবা শাহজাহান ফকির। এ মামলায় মামুনকে কারাগারে পাঠানো হয়।

    পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমদাদুল হক মিয়া প্রধান আসামি মামুন শিকদারের সম্পৃক্ততা পান। তদন্ত প্রতিবেদনে মামুনকে একমাত্র আসামি করা হয়।

  • বিএনপি চাইলেও ডিসেম্বরের আগে নির্বাচন সম্ভব নয়: ইসি

    বিএনপি চাইলেও ডিসেম্বরের আগে নির্বাচন সম্ভব নয়: ইসি

    গতকাল মঙ্গলবার স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চলতি বছরের মাঝামাঝিতে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন বলছে, প্রধান উপদেষ্টা ঘোষিত রোডম্যাপ ধরেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা।

    নির্বাচন কমিশনার তাহমিদা আহমদ বলেন, “আমরা তো কারো ইচ্ছে পূরণ করতে বসিনি। আমরা আগামী ডিসেম্বর বা পরের জানুয়ারি মাসে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছি। এর আগে আমাদের পক্ষে নির্বাচন করা সম্ভব নয়। সবার যেটা চাওয়া একটা ভালো নির্বাচন, সেই নির্বাচনের জন্য আমাদের সময় দিতে হবে। আমরা তো আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) না। আগামী ২০ জানুয়ারি ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ শুরু হবে। এটা একমাস চলবে। এরপর কিছু আইন পরিবর্তনের বিষয় আছে। সবকিছু মিলিয়ে আমাদের সময় দিতে হবে। এটা শুধু আমার ব্যক্তিগত মত না, আমাদের গোটা কমিশনের অভিমত।”

    সংস্কার কমিশনের সুপারিশ / প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না দলের প্রধান, রাষ্ট্রপতি হবেন নির্দলীয়

    সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। সেই বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতেই মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সংবাদ সম্মেলনে তিনি চলতি বছরের মাঝামাঝিতে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন আয়োজন করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

    তিনি বলেন, ‘আমরা বারবার করে বলছি যে, নির্বাচিত সরকারের কোনো বিকল্প নেই। এটা গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে ইম্পর্ট্যান্ট বিষয়। আমরা মনে করি যে, এই বছরের মাঝামাঝি সময়ে অর্থাৎ জুলাই-অগাস্টের মধ্যেই নির্বাচন সম্ভব। এই কারণে আমরা সরকারকে আহ্বান জানাতে চাচ্ছি, নির্বাচন কমিশনকেও আহ্বান জানাচ্ছি এবং রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিও আহ্বান জানাচ্ছি- দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এই বছরের মাঝামাঝি সময়েই মধ্যে নির্বাচনের ব্যবস্থা নিতে পারি।’

    গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে এসে আগামী নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সূচি সম্পর্কে ধারণা দিয়েছিলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

    তিনি বলেছিলেন, ভোট কবে হবে তা নির্ভর করবে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে কতটা সংস্কার করে নির্বাচনে যাওয়া হবে, তার ওপর। মোটাদাগে এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে হতে পারে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন।

    পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ২০২৬ সালের জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার।

    বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ইমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ইতিমধ্যে নির্বাচন ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। আমরা দেখছি, দেশের ভেতর থেকে এবং বাইরে থেকেও ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ফলে যত দ্রুত একটা নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা যায়, সেটা দেশের সবার জন্য মঙ্গল। আমরা তো সরকারকে পর্যাপ্ত সময় দিয়েছি। আমরা তো তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন চাইনি। এক বছর যৌক্তিক সময়। বিএনপি সেই দাবিই করেছে।

    গত রবিবার ইসির বৈঠক শেষে কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছিলেন, কমিশনের সামগ্রিক ফোকাস জাতীয় নির্বাচন, সেদিকে এগোচ্ছেন তারা। জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন করা নিয়ে সম্প্রতি আলোচনা শুরু হয়েছে। বেশির ভাগ মানুষ চান আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হোক, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান তোফায়েল আহমেদের এমন বক্তব্য দেয়ার পর এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।

    নির্বাচন কমিশনার তাহমিদ আহমদ জানান, “এই মুহুর্তে স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে ভাবছে না নির্বাচন কমিশন। আমাদের প্রধান লক্ষ্য জাতীয় নির্বাচন, সেই লক্ষেই কাজ করে যাচ্ছে কমিশন।”

    এর মধ্যে গত শনিবার জাতীয় নাগরিক কমিটি গণঅভ্যুত্থানের পর স্থানীয় সরকার কাঠামো ‘ভেঙে পড়ায়’ নাগরিকরা সেবা বঞ্চিত হচ্ছে মন্তব্য করে বলেছে, ‘‘এখন স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পরিস্থিতি আছে।”

    তবে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্ত শারমিন বলেন, আমরা বলেছি, এখন কোনো জাতীয় নির্বাচন আমরা চাই না। আমরা চাই একটা গণপরিষদ নির্বাচন। সেই নির্বাচনে বিজয়ীরা নতুন করে একটা সংবিধান লিখবে। পরবর্তীতে এই গণপরিষদই জাতীয় পরিষদে রুপান্তরিতত হবে। শুরু থেকেই আমরা এ কথা বলছি।

    নির্বাচন কমিশনের সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ঘোষিত সময় ধরে ভোটের প্রস্তুতি চলছে। ইউএনডিপির আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইসের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল মঙ্গলবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্য নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন সচিবের সঙ্গে কারিগরি সহায়তার বিষয়ে বৈঠক করেন তারা।

    ওই বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ইসি সচিব বলেন, বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যের ব্যাপারে আমার মতামত দেয়ার সুযোগ নেই। কারণ, বিষয়গুলো আমি জানি না। আমাদের প্রস্তুতিটা হচ্ছে প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় যে উইন্ডো দিয়েছেন, সে উইন্ডো নিয়ে আমরা কাজ করছি।

    বিএনপির নির্বাচনের দাবির ব্যাপারে জাতীয় পার্টির (এ) চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, আমরাও চাই দ্রুত নির্বাচন হোক। কারণ, এই সরকার জনগণের আশা আকাঙ্খা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। তারা তো রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরি করতে পারিনি। ফলে তাদের সংস্কার কার্যাক্রম সর্বসম্মত হবে না। এই কারণে তাদের সংস্কারের দিকে না গিয়ে দ্রুত নির্বাচনের দিকে যাওয়া উচিত হবে। কিন্তু তার আগে লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড করতে হবে। এখন তো দেশে লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। আমাদের সভা-সমাবেশ করার অনুমতি দেয়া হচ্ছে না। বিনা কারণে আমাদের অনেক নেতা-কর্মী কারাগারে আছেন। পাশাপাশি অনেকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তো আমাদের পক্ষে নির্বাচন করা মুশকিল।

    একই ধরনের দাবির কথা বলেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)-র সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স।

    তিনি বলেন, আমরাও চাই দ্রুত নির্বাচন হোক। কারণ, এই সরকার জনগণের দাবি-দাওয়ার প্রতি কোনো গুরুত্ব দিচ্ছে না। নতুন করে শুল্ক আরোপে জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছে। তাই তাদের উচিত হবে দ্রুত একটা নির্বাচনের ব্যবস্থা করে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা।

  • আবারও আসছে শৈত্যপ্রবাহ, বাড়বে শীত

    আবারও আসছে শৈত্যপ্রবাহ, বাড়বে শীত

    শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছেন কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ে পিএইচডি গবেষক আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ। তিনি জানান, আজ বুধবার থেকে আবারও দেশব্যাপী ভারি কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে যাচ্ছে।

    আজ বুধবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে এক পোস্টে এ তথ্য জানান পলাশ।

    ওই পোস্টে তিনি বলেন, আবারও ঘন কুয়াশা বাংলাদেশে প্রবেশ শুরু করেছে রংপুর বিভাগের জেলাগুলোর ওপর দিয়ে।

    আজ বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলো কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাওয়ার প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে।

    আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনিসংহ বিভাগের সব জেলা কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকার প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে। বিশেষ করে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলোর ওপরে দুপুর ১২টার আগে সূর্যের আলো দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।

    আগামীকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, ঢাকা, ময়মনিসংহ বিভাগের জেলাগুলো কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাওয়ার প্রবল আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    আগামী শুক্রবার সকালে পুরো দেশ কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাওয়ার প্রবল আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহ কমপক্ষে তিন থেকে পাঁচ দিন স্থায়ী হওয়ার প্রবল আশঙ্কা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

    এদিকে আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আগামী শুক্রবার পর্যন্ত শীতের অনুভূতিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম। তবে শনিবার থেকে তাপমাত্রা কমে একটানা পাঁচ-ছয় দিন শীত কিছুটা বেশি অনুভূত হতে পারে।

    আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান গতকাল মঙ্গলবার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আগামী দুই-তিন দিন তাপমাত্রা বাড়া বা কমার তেমন উল্লেখযোগ্য প্রবণতা নেই। কখনো কিছুটা বাড়তে পারে, আবার কখনো কমতে পারে। তবে আগামী শনিবার থেকে দিনের তাপমাত্রা কমার একটা প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। ফলে তখন শীতের অনুভূতি বাড়তে পারে।’

    হাফিজুর রহমান বলেন, শনিবার থেকে পরের সপ্তাহজুড়ে শীত কিছুটা বেশি থাকতে পারে।

    কোনো কোনো অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহও হতে পারে। তবে শৈত্যপ্রবাহ সম্পর্কে এখনই নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয়। দেশের উত্তরাঞ্চলে কুয়াশা কিছুটা বেশি থাকতে পারে।

  • মহিলাদের জন্য সংসদে কোন সংরক্ষিত আসন চাই না : মুফতি ফয়জুল করীম

    মহিলাদের জন্য সংসদে কোন সংরক্ষিত আসন চাই না : মুফতি ফয়জুল করীম

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে ৫০৫টি আসনের প্রস্তাব করা হয়েছে। যার মধ্যে ১০৫ আসন আনুপাতিক হারে উচ্চকক্ষ, ৩০০ আসন নিম্ন কক্ষ ও ১০০ আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত বলা হয়েছে।

    তিনি বলেন, আমরা কোটা বিরোধী আন্দোলন করেছিলাম কোন সংরক্ষিত থাকবে না। তাই মহিলাদের জন্য সংসদে কোন সংরক্ষিত আসন চাই না। মহিলাদের জন্য আমরা সাধারণ নির্বাচন চাই। মহিলাদের সমান অধিকারের কথা বলে তাদের জন্য সংরক্ষিত আসন রাখা মানে তাদেরকে অপমান করা।

    শায়খে চরমোনাই বলেন, মহিলাদেরকে অযোগ্য মনে করে এটা করা হয়। মহিলাদেরকে অযোগ্য মনে করবেন না। তাদেরকে লড়তে দিন,সংরক্ষিত আসন আমরা চাই না। মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসন করার অর্থ তাদেরকে দুর্বল করা। কোন মহিলা লড়াই করতে পারবে না এমন প্রস্তাব আমরা করলে প্রশ্ন করা যেত আমি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসন চাই না। আমি চাই সকলে সরাসরি ভোটে লড়াই করবে।

    আজ বুধবার রাজধানীর পুরানা পল্টনের একটি হোটেলে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশের নব নির্বাচিত কেন্দ্রীয় কমিটির শপথ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    তড়িঘড়ি করে নির্বাচন প্রসঙ্গে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর বলেন,
    সংস্কারের পূর্বে কোন নির্বাচন দেওয়া হলে সে নির্বাচন ব্যর্থ হবে। ছাত্র জনতা ও আমরা জীবনের
    মায়া ত্যাগ করে রাস্তায় ঝাপিয়ে পড়েছিলাম। আমাদের রক্ত ও ত্যাগের উপরে ফ্যাসিস্ট বাংলাদেশ থেকে হটতে বাধ্য হলেও এখন আবার নব্য ফ্যাসিস্ট বাংলাদেশকে দখল করেছে।

    এক চাঁদাবাদ তাড়িয়ে আরেক চাঁদাবাজকে বসানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী জেনারেল আলহাজ কে এম বিল্লাল হোসেনের পরিচালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, শহিদুল ইসলাম কবির, মাওলানা ছিদ্দিকুর রহমান ও মুফতী মোস্তফা কামাল।

  • বাঁধভাঙা উল্লাসে মেতেছেন ফিলিস্তিনিরা

    বাঁধভাঙা উল্লাসে মেতেছেন ফিলিস্তিনিরা

    ফিলিস্তিনে ১৫ মাসের ইসরায়েলি বর্বরতার পর এলো যুদ্ধবিরতির ঘোষণা। কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় বুধবার দোহায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির বিষয়ে চুক্তি করেছে হামাস ও নেতানিয়াহু প্রশাসন। এমন খবরে পুরো ফিলিস্তিন উপত্যকাজুড়ে চলছে বাসিন্দাদের উল্লাস।

    যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে হামাস-ইসরায়েল— মধ্যস্ততাকারীদের এই সুসংবাদ প্রকাশের সাথে সাথে রাস্তায় নামেন গাজাবাসী। খান ইউনিসসহ পুরো গাজায় চলছে উল্লসিত জনতার উৎসব। দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন স্লোগান। নেচে গেয়ে দিনটি উপভোগ করছে শিশুরাও। পোড়ানো হচ্ছে আতশবাজিও।

    এর আগে, বাংলাদেশ সময় বুধবার রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতির চুক্তির বিষয়টি জানান, কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান আল থানি। ঘোষণায় তিনি বলেছেন, হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির চুক্তি করেছে। ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার অনুমোদিত চুক্তিটি রোববার থেকে কার্যকর হবে।

    যদিও কাতারের প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগেই আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বরাত দিয়ে যুদ্ধবিরতির সংবাদ প্রকাশ করে গণমাধ্যমগুলো। মূলত এর পর থেকেই উচ্ছ্বাসে ভেঙে পড়েন ফিলিস্তিনের নাগরিকরা।

  • আওয়ামী লীগের সাথে বৈঠক করবে জাতিসংঘ, কী বার্তা দেয়?

    আওয়ামী লীগের সাথে বৈঠক করবে জাতিসংঘ, কী বার্তা দেয়?

    জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি মূল্যায়নে বাংলাদেশ সফরে এসেছে জাতিসংঘের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। এই প্রতিনিধি দল আগামী ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশটিতে অবস্থান করবে।

    সফরের প্রথম দিনে নির্বাচন কমিশনের সাথে বৈঠক সম্পন্ন করেছে তারা। জাতিসংঘের ঢাকাস্থ আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস বলেছেন, নির্বাচন কবে হবে তা নির্ধারণ করবে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো। জাতিসংঘ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করবে না।

    ২০১৪ সালের একতরফা নির্বাচনের পর জাতিসংঘ বাংলাদেশে নির্বাচন কমিশনের সাথে সহযোগিতা বন্ধ করে দেয়। ২০১৮ সালের নির্বাচনে সীমিত সহায়তা করলেও আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতিসংঘ পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে কারিগরি সহায়তা প্রদান এবং তথ্য সংগ্রহকারীদের সরঞ্জাম সরবরাহে প্রস্তুত তারা।

    পতনের পর দেশে অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে দ্রুত নতুন নির্বাচনের আলোচনা চলছে। বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস জানিয়েছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর বা আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।

    জাতিসংঘের প্রতিনিধি দল বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে বৈঠকের অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথেও আলোচনায় বসার কথা রয়েছে। এই বৈঠকগুলোতে তারা রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত জানার পাশাপাশি আগামী নির্বাচনে জাতিসংঘের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করবে।

  • সীমান্ত থেকে সাবেক সেনা কর্ম*কর্তাকে আটক করলেন বিএসএফ

    সীমান্ত থেকে সাবেক সেনা কর্ম*কর্তাকে আটক করলেন বিএসএফ

    ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী সীমান্তে অনুপ্রবেশের পর শেখ আলিমুর রহমান (৪৫) নামের এক সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে আটক করেছে বিএসএফ। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের বেউরঝাড়ী সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

    ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল তানজীর আহমেদ এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আগামীকাল দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পতাকা বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। আমরা আশা করছি, সেখানে সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে ফেরত পাওয়া যাবে।’

    ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবির মিডিয়া সেল জানিয়েছে, বিএসএফের হাতে আটক সাবেক সেনা কর্মকর্তা শেখ আলিমুর রহমান খুলনা জেলার বাসিন্দা। তার বাবার নাম ডা. রহমান। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৫৭ কোর্সের লেফটেন্যান্ট পদে কর্মরত থাকা অবস্থায় অবসর গ্রহণ করেন তিনি।

    আজ বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে ঠাকুরগাঁও বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের বেউরঝাড়ী সীমান্তের ৩৮০ মেইন পিলার থেকে আনুমানিক ৩০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করলে বড় বিল্লা বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে ধরে নিয়ে যায়। আটক সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে ভারতের গোয়ালপুকুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

    এদিকে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী বলছে, সীমান্ত এলাকায় কদিন ধরে ভবঘুরের মতো ঘোরাফেরা করছিলেন শেখ আলিমুর রহমান। গতকাল মঙ্গলবার তিনি সীমান্তের নাগর নদী পার হয়ে অপর পারে চলে যান। সেখান থেকে বিএসএফ সদস্যরা তাকে ধরে নিয়ে যায়।

  • ছাত্র আন্দোলনে আহতদের মধ্যে ১০০ জন পুলিশের চাকরি পাচ্ছে

    ছাত্র আন্দোলনে আহতদের মধ্যে ১০০ জন পুলিশের চাকরি পাচ্ছে

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের মধ্য থেকে কিছু সংখ্যককে পুলিশের চাকরি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

    তিনি বলেন, আপনারা জানেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় অনেকে নিহত এবং আহত হয়েছে। যারা আহত হয়েছেন তাদের কর্মসংস্থানের একটা ব্যবস্থা কীভাবে করা যায় সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। যারা আহত হয়েছে তাদের পুলিশে চাকরি দেওয়ার বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আপাতত ১০০ জন আহতকে দিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি, পরবর্তী সময়ে আমরা এই সংখ্যাটা আরও বাড়াব।

    মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে সিআইডির প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

    তিনি বলেন, আমরা আপাতত পুলিশে শুরু করছি, পরবর্তী সময়ে আমার মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা সব ডিপার্টমেন্টে এটা করে দেব।

    স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিগত সরকারের আমলে সবথেকে বড় সমস্যা ছিল মানিলন্ডারিং। এটা নিয়ে আমি সিআইডি প্রধানকে ইন্সট্রাকশন দিয়েছি। বলেছি, দ্রুত বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে রিজার্ভ চুরির ঘটনার প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য।

    তিনি বলেন, তদন্তের নামে সময়ক্ষেপণ লাভ নেই। আমি একটা রিপোর্ট চাই যে কারা কারা মানিলন্ডারিংয়ের সঙ্গে জড়িত, সেটা আমি সিআইডিকে বলেছি। যদি তদন্তের নামে দুই তিন বছর চলে যায় তাহলে এটার কোনো কার্যকারিতা থাকে না।

    জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ট্রাফিকের একটা সমস্যা রয়ে গেছে। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে আমরা এক হাজার ছাত্রকে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে প্রপোজাল পাঠিয়েছিলাম। এখন পর্যন্ত ৪০০ জন শিক্ষার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমরা আরও একটি প্রপোজাল পাঠিয়েছিলাম যে বিভিন্ন বাহিনীতে যারা অবসরে গিয়েছেন তাদের নিয়োগ দিয়ে ট্রাফিক শৃঙ্খলায় নিয়োজিত করা।

    তবে অবসরপ্রাপ্তরা এই বিষয়ে রেসপন্স খুব কম দিয়েছেন। আমি ভেবেছিলাম তারা অনেকে আসতে চাইবে, কিন্তু ওই রকম সংখ্যা আমরা পাইনি। তবে আমরা আপাতত ৫০-৬০ জনের মতো পেয়েছি। তবে চেয়েছিলাম অন্তত ৫০০ জন দিয়ে শুরু করি।

    শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার সঙ্গে ট্রাফিকিংয়ের বিষয়টা কেমন হবে প্রশ্ন করা হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তারা যেন পড়াশোনা ঠিক রাখতে পারে সেজন্য তাদের আমরা সময়টা কম দিয়েছি। তারা যেন পড়াশোনাও করতে পারে এবং ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণেও কাজ করতে পারে সেই ব্যবস্থা করেছি। একটা সম্মাননিও দেওয়া হচ্ছে। রাস্তায় তারা ২-৩ ঘণ্টা কাজ করবে।

  • এক নামে কয়টি সিম কেনা যায়?

    এক নামে কয়টি সিম কেনা যায়?

    বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ঘোষণা অনুযায়ী, একটি এনআইডির বিপরীতে সর্বোচ্চ ১৫টি সিম নিবন্ধন করা যায়। অর্থাৎ আপনি চাইলে আপনার নামে ১৫টি সিম কিনতে পারবেন। এর বাইরে নতুন করে সিম কেনার সুযোগ নেই। তবে আপনি চাইলে পুরনো সিমের নিবন্ধন বাতিল করতে পারবেন।

    নতুন করে সিম কেনার আগে আপনার উচিত নিজের নামে কয়টি সিম নিবন্ধন আছে তা দেখে নেওয়ার।

    simনিজের নামে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন হয়েছে জানার উপায়

    সিম রেজিস্ট্রেশনের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি প্রয়োজন। নিজের নামে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে, এই তথ্যটি জানা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আপনার নামে রেজিস্ট্রেশনকৃত সিম অন্য কেউ ব্যবহার করতে পারে। এক্ষেত্রে অপরাধমূলক কাজে তা ব্যবহৃত হলে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। আপনার অজান্তে অনেকেই সিম রেজিস্ট্রেশন করে নিতে পারেন। তাই সমস্যায় পড়ার আগে সাবধানতা জরুরি।

    বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এর ঘোষণা অনুযায়ী, একটি জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে সর্বোচ্চ ১৫টি সিম নিবন্ধন করা যায়।

    simব্যবহার করছেন না কিন্তু আপনার নামে নিবন্ধিত, এমন অপ্রয়োজনীয় সিম সহজেই বাতিল করতে পারবেন। এজন্য ওই সিম অপারেটরের কাস্টমার কেয়ারে যেয়ে তা বাতিল করতে পারবেন। কিন্তু তার আগে ওই সিমের নম্বর জানা জরুরি। চলুন জেনে নিই সিম নিবন্ধন যাচাই করার উপায়।

    সিম রেজিস্ট্রেশন যাচাই করবেন যেভাবে

    গ্রামীণ, রবি, এয়ারটেল, বাংলালিংক এবং টেলিটক, যেকোনো সিম থেকেই নিজের নামে নিবন্ধিত হওয়া সিমের সংখ্যা জানতে পারবেন। এক্ষেত্রে কোনো টাকার প্রয়োজন নেই।

    প্রথমে মোবাইল থেকে *১৬০০১# ডায়াল করুন। এরপর ফিরতি মেসেজে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরের শেষের চারটি সংখ্যা চাওয়া হবে। সেখানে শেষের চারটি সংখ্যা দিয়ে সেন্ড করুন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, যেই সিম থেকে জানতে চাচ্ছেন বা কোডটি ডায়াল করছেন তা অবশ্যই একই জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা থাকতে হবে।

    sim cardফিরতি মেসেজেই ওই জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা নম্বরের তালিকা দেয়া হবে। সেই তালিকায় সব নম্বর দেওয়া হবে। কিন্তু নম্বরগুলো সম্পূর্ণ দেওয়া হয় না। এক্ষেত্রে প্রতিটি নম্বরের শুরুর তিন ডিজিট এবং শেষের তিন ডিজিট দেখানো হয়।