Category: bangla

  • যে কারণে হাসিনাসহ সব বাংলাদেশিকে ভারত থেকে বের করে দেওয়ার আহ্বান!

    যে কারণে হাসিনাসহ সব বাংলাদেশিকে ভারত থেকে বের করে দেওয়ার আহ্বান!

    গত বছরের ৫ আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই নানা কারণে প্রতিবেশি দেশটির সাথে টানাপড়েন চলছে কূটনৈতিক সম্পর্কে।

    এবার বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সব বাংলাদেশিকে ভারত থেকে বের করে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির শিবসেনা এমপি সঞ্জয় রাউত। খবর হিন্দুস্তান টাইমস ও এএনআই।

    মুম্বাই পুলিশের তথ্যমতে, বলিউড তারকা সাইফ আলি খানের ওপর হামলাকারী একজন বাংলাদেশি। এমন ঘোষণার পর ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে সোমবার এ দাবি করেন এই শিবসেনা এমপি।

    সঞ্জয় রাউত বলেন, ভারত থেকে সব বাংলাদেশিকে তাড়িয়ে দেওয়া উচিত। এটা শুরু হওয়া উচিত বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দিয়ে। যাকে এ দেশে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগ দাবি করেন তিনি।

    সাইফ আলি খানের ওপর হামলাকারী সম্পর্কে প্রশ্ন রেখে সঞ্জয় রাউত বলেন, কে বলেছে তিনি বাংলাদেশি? বিজেপি? তারা দাবি করছে সাইফ আলি খানের ওপর হামলা একটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র কী? একজন অভিনেতার ওপর ছুরি দিয়ে হামলা হয়েছে। তার নেপথ্যের রহস্য কী, জনগণকে সত্যটা বলা উচিত। যদি হামলাকারী বাংলাদেশি হন, তাহলে এর জন্য দায়ী কেন্দ্রীয় সরকার। এটা অমিত শাহের দায় এবং এজন্য তার পদত্যাগ করা উচিত।

    সঞ্জয় রাউত আরও বলেন, সব বাংলাদেশিকে ভারত থেকে বের করে দেওয়া উচিত। আর এটা শুরু হওয়া উচিত শেখ হাসিনাকে দিয়ে। তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। তারা শুধুই আতঙ্ক সৃষ্টি করছেন।

    তিনি বলেন, যখনই আমরা পার্লামেন্টে বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে কথা বলতে চাই, তখনই বিজেপি আমাদের থামিয়ে দেয়। এ ক্ষেত্রে তারা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের কথা বলে। এর কারণ, মুম্বাই মিউনিসিপ্যাল নির্বাচন।

    গত ১৬ জানুয়ারি বান্দ্রায় নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তের হামলার শিকার হন জনপ্রিয় বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খান। এ সময় তার ঘাড়ে ও মেরুদণ্ডে ছুরিকাঘাত করা হয়। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন তিনি।

    সাইফ আলি খানের ওপর ছুরি হামলার অভিযোগে মুম্বাই পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম শেহজাদকে আটক করে রিমান্ডে নিয়েছে। পুলিশ বলেছে, তার বাড়ি বাংলাদেশের ঝালকাঠিতে। কিন্তু শেহজাদের আইনজীবীর দাবি, তিনি বাংলাদেশি নন, ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে মুম্বাই পুলিশ।

  • সমন্বয়ক রাফির ওপর হামলা, থানায় অভিযোগ

    সমন্বয়ক রাফির ওপর হামলা, থানায় অভিযোগ

    রাউজানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভায় বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। চট্টগ্রাম জেলা সমন্বয়ক খান তালাত মাহামুদ রাফি ও রাসেল আহমেদের উপস্থিতিতে সোমবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।

    জানা যায়, রাউজান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে বিকেলে রাউজান উপজেলা অডিটোরিয়ামে গণ-অভ্যুত্থান-উত্তর বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনাসভা ও মতবিনিময়সভার আয়োজন করা হয়। এ অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা সমন্বয়ক খান তালাত মাহামুদ রাফি ও রাসেল আহমেদ।

    এ ছাড়া রাউজানের সমন্বয়ক, জেলার নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
    অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে সমন্বয়ক দাবি করা ১২-১৫ জন হলে ঢুকে রাফির সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। এ সময় আরেক পক্ষ আপত্তি তুললে দুই পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

    এ ঘটনায় রাতেই রাউজান থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। সমন্বয়ক রাফির ওপর হামলা হয়েছে, এমনটা দাবি করা হয়েছে অভিযোগে। রাউজান থানার ওসি এ কে এম সফিকুল আলম চৌধুরী অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    রাউজানের ছাত্র প্রতিনিধি (সমন্বয়ক হিসেবে পরিচিত) এম আবেদীন সাজিদ বলেন, আবদুল্লাহ আল হামিদ নামে একজন পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে।

    তারা ছাত্রলীগ ও সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজানের সদস্য।

  • খেলার মাঠে আবারও মুখোমুখি হতে পারেন সাকিব-তামিম

    খেলার মাঠে আবারও মুখোমুখি হতে পারেন সাকিব-তামিম

    জাতীয় দলের অধ্যায় শেষ দুজনেরই। সব ধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন তামিম ইকবাল। সাকিব আল হাসান ওয়ানডে থেকে অবসরে না গেলেও সার্বিক পরিস্থিতিতে বলা যায়, তার জন্য বন্ধ জাতীয় দলের দরজা। মাঠের ক্রিকেটে একসঙ্গে খেলার আর সুযোগ নেই সাকিব-তামিমের।

    এবারের বিপিএলেও নেই সাকিব। তবে ভক্তদের জন্য সুখবর হলো—বাংলাদেশ ক্রিকেটের দুই মহাতারকা আবারও একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মুখোমুখি হতে পারেন। সম্প্রতি ‘লিজেন্ড নাইন্টি’ ক্রিকেট লিগে নাম লিখিয়েছেন তামিম। যে লিগে আগে থেকেই আছেন সাকিব। ভারতের রায়পুরে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই টুর্নামেন্ট।

    টুর্নামেন্টে তামিমকে দলে ভিড়িয়েছে বিগ বয়েজ। সাকিব খেলবেন দুবাই জায়ান্টসের হয়ে। লিজেন্ডস লিগে সুযোগ পাওয়ার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিশ্চিত করেছেন তামিম।

    লিজেন্ড নাইন্টির পেজে তামিম বলেন, ‘আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমি লিজেন্ড নাইন্টির অংশ হতে যাচ্ছি। আমি বিগ বয়েজের হয়ে খেলব। ৬ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি আমাকে দেখা যাবে অন্য কিংবদন্তিদের সঙ্গে। লিজেন্ডারি একটি ব্যাপার হতে যাচ্ছে এটি।’

    এতেই তৈরি হয়েছে সাকিব-তামিমের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা। তবে সেটি কবে কখন, তা এখনও জানা যায়নি।

  • হোয়াইট হাউজ থেকে বেরিয়ে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় যান কমলা হ্যারিস

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবারের এই শপথ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দ্বিতীয় মেয়াদে দেশটির রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসলেন তিনি। ওয়াশিংটন ডিসির কংগ্রেস ভবনের ভেতরে ক্যাপিটল রোটুন্ডায় তিনি শপথ নেন।

    ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনসহ বেশ কয়েকজন সাবেক প্রেসিডেন্ট ও তাদের ফার্স্ট লেডিরা। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী ও সদ্য বিদায়ী ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস।

    অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগদানের পর হোয়াইট হাউজ থেকে বেরিয়ে নিজ রাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ার সাধারণ জীবনে ফিরে গেছেন কমলা। এ সময় লস অ্যাঞ্জেলেসে পৌঁছে তিনি দু’টি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় যান।

    দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার সাম্প্রতিক ভয়াবহ দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য খাবার বিতরণ করতে প্রথমে তিনি ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনে যান। ওই দাবানলে ২৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন ও হাজার হাজার ঘরবাড়ি পুড়ে গেছে।

    এরপর কমলা দমকল বাহিনীর কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন, যারা প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে দাবানলের আগুন নিভিয়েছিলেন।

    শোনা যাচ্ছে, নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে ভাবার জন্য কিছুটা সময় নেবেন কমলা। অনেকেই ধারণা করছেন, হয়তো তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর পদে প্রার্থী হতে পারেন। অথবা তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন। তবে এখনো তিনি এসব বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।

  • ভারতের সঙ্গে করা গোপন চুক্তি ফাঁ’স!

    ভারতের সঙ্গে করা গোপন চুক্তি ফাঁ’স!

    ২০০৭ সালের এক এগারোর সময়, বাংলাদেশে সেনাবাহিনী সমর্থিত একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদের নেতৃত্বে এই সরকার দেশের রাজনৈতিক উত্তেজনা প্রশমিত করার উদ্যোগ নেয়। কিন্তু সেই সময়ের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড এবং ভারতের সঙ্গে একটি চুক্তি বাংলাদেশি রাজনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলে।

    চুক্তির গুরুত্বপূর্ণ দিকসমূহভারতের সঙ্গে এই চুক্তি অনুযায়ী চারটি মূল বিষয় আলোচনায় উঠে আসে:

    আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনা

    চুক্তির অন্যতম শর্ত ছিল ভারতের সমর্থনে আওয়ামী লীগকে পুনরায় ক্ষমতায় আনা।জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধ

    জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে ইসলামী রাজনৈতিক শক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করা।যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু

    যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম শুরু করা, যা ইসলামী দলের রাজনৈতিক প্রভাব হ্রাস করার উদ্দেশ্যে গৃহীত হয়েছিল।

    মইন ইউ আহমেদকে রাষ্ট্রপতি করার প্রতিশ্রুতি

    মইন ইউ আহমেদকে রাষ্ট্রপতি করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল চুক্তির বিনিময়ে।এক এগারোর রাজনৈতিক পরিণতিএই চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশে রাজনৈতিক ভারসাম্যের পরিবর্তন ঘটে। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ জয় এবং জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপির ক্রমবর্ধমান সংকট সেই পরিবর্তনের প্রতিফলন।

    ভারত ও পশ্চিমা প্রভাবনির্বাচনে পশ্চিমা শক্তি এবং ভারতের কৌশলগত ভূমিকা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। বিএনপির ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন ঠেকানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়, যা এই চুক্তির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বলে ধারণা করা হয়।

    মইন ইউ আহমেদের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক ভূমিকাচুক্তির অংশ হিসেবে রাষ্ট্রপতির পদে যাওয়ার সুযোগ তৈরির কথা থাকলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। তবে এই ঘটনাগুলো তার সামগ্রিক রাজনৈতিক প্রভাব এবং তৎকালীন সরকার পরিচালনায় ভারতের ভূমিকার বিষয়টি প্রকাশ করে।

    বিতর্ক ও প্রতিক্রিয়াএ ঘটনা বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিতর্কের জন্ম দেয়। জাতীয় স্বার্থে বিদেশি প্রভাবের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা এবং এক এগারোর সময়ের সিদ্ধান্তগুলোর সঠিকতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এই চুক্তি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়।

  • ঢাকায় বৈষম্যবিরোধীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ,আহত ছয় জন

    ঢাকায় বৈষম্যবিরোধীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ,আহত ছয় জন

    রাজধানীর ডেমরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই পক্ষের মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় অফিসে মানববন্ধনের সময় দুটি পক্ষের হাতাহাতি ও বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন ছয় জন। তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

    মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর বাংলা মোটরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

    আহতরা হলেন, আসিফ (২১), মোছা. জান্নাতুল মীম (২২), মো. আবরার (২৩), আল-আমিন (২৩), মো. ইমরান (২৩) ও মাসুদ (২২)।

    বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানান, সোমবার ডেমরায় মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজকে তারা মানববন্ধনের উদ্যোগ নেন। এসময় তাদের বাঁধা দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় অফিস থেকে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়। এসময় হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে।

    বিক্ষোভকারীদের দাবি, ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রিফাত রশিদ।

    নিরাপদ-মানবিক দেশ গড়তে যুদ্ধ চলবে: জামায়াত আমিরনিরাপদ-মানবিক দেশ গড়তে যুদ্ধ চলবে: জামায়াত আমির
    এদিকে কেন্দ্রীয় অফিসের নিচে বিক্ষোভ করার সময় ঘটনাস্থলে আসেন সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি উপস্থিত শিক্ষার্থীদের বক্তব্য শোনেন। তবে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেন নাই।

  • পুতুলকে ডব্লিউএইচও থেকে অপসারণে অনলাইনে স্বাক্ষর গ্রহণ চলছে, ব্যাপক সাড়া

    পুতুলকে ডব্লিউএইচও থেকে অপসারণে অনলাইনে স্বাক্ষর গ্রহণ চলছে, ব্যাপক সাড়া

    পুতুলকে ডব্লিউএইচও থেকে অপসারণে অনলাইনে স্বাক্ষর গ্রহণ চলছে, ব্যাপক সাড়া

    ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার কন্যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে হু থেকে অপসারণের পক্ষে একটি পিটিশন ক্যাম্পেইন চালু করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে পুতুলকে জরুরি অপসারণের দাবিতে খোলা পিটিশনটিতে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেল পর্যন্ত প্রায় ২৪শ মানুষ সাইন করেছেন।

    গত ১৩ জানুয়ারি বিশ্বের বৃহত্তম পিটিশন প্ল্যাটফর্ম চেঞ্জ ডট ওআরজি-তে পিটিশন ক্যাম্পেইনটি চালু করেছে মুক্ত, গণতান্ত্রিক এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশের জন্য কাজ করা মানবাধিকার কর্মীদের প্ল্যাটফর্ম ‘অ্যাক্ট নাও বাংলাদেশ’।

    পিটিশনের লিংক শেয়ার করে প্ল্যাটফর্মটি ফেসবুকে লিখেছে, দয়া করে স্বাক্ষর করুন এবং শেয়ার করুন! মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত শাসনব্যবস্থার অধীনে নীতিমালা সমর্থন দেয়ার কারণে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে হু থেকে অপসারণের দাবিতে আমাদের সাথে যোগ দিন।বিশ্ব স্বাস্থ্য নেতৃত্বে সততা এবং নিরপেক্ষতা বজায় রাখার জন্য আমাদের আবেদনে স্বাক্ষর করুন।
    পিটিশনের কারণ বর্ণনা করে বলা হয়েছে, আমরা নিম্নস্বাক্ষরকারীরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালকের পদ থেকে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে জরুরি পুনর্মূল্যায়ন এবং অপসারণের আহ্বান জানাচ্ছি। তার মা বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নীতির প্রতি তার প্রকাশ্য সমর্থন নিয়ে গভীর উদ্বেগের প্রেক্ষিতে এই অনুরোধ জানানো হচ্ছে। হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত, যা হু এর নীতির সাথে স্বার্থের গভীর সংঘাত তৈরি করে।

    পিটিশনের পটভূমিতে উল্লেখ করা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের সাথে জড়িত ছিল। বিশেষ করে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহের সময়। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের উপর সরকারের সহিংস দমনের ফলে অসংখ্য আহত ও মৃত্যু ঘটে, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হয়।

    পিটিশনে কয়েকটি উদ্বেগ তুলে ধরে বলা হয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল মায়ের দমনমূলক কর্মকাণ্ডে সরাসরি সমর্থন দিয়েছেন। এই কর্মকাণ্ডের প্রতি তার সোচ্চার সমর্থন হু-এর নিরপেক্ষতা এবং মানবতার নীতির সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক।

  • ‘ফ্যাসিবাদের পক্ষে যে কলম লিখবে আমরা সেই কলম ভেঙে দেব’

    ‘ফ্যাসিবাদের পক্ষে যে কলম লিখবে আমরা সেই কলম ভেঙে দেব’

    মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) নারায়ণগঞ্জের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের প্রচারণা ও লিফলেট বিতরণের সময় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

    হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আপনারা যদি তরুণ প্রজন্মের কথা বুঝতে ব্যর্থ হন তাহলে আওয়ামী লীগের মতোই আপনাদের পরিণতি হবে। আমাদের পরবর্তী বাংলাদেশ হবে অতীতের রাজনীতির অভিজ্ঞতা ও তরুণ প্রজন্মের মনোভাবের সংমিশ্রণে। এখানে যদি তরুণদের মাইনাস করার চিন্তা থাকে তাহলে আমরা বলতে চাই, এ আন্দোলনে যত ক্রিয়াশীল ও ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ছিল তারা সবাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে এসে এ ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছি।

    তিনি বলেন, আমরা বারবার বলেছি, সবার আগে আওয়ামী লীগের বিচার হতে হবে। যে-সব টকশোজীবী ও বুদ্ধিজীবী এখন আওয়ামী লীগের মানবাধিকারের জন্য সরব হয়েছেন, আপনারাই এতদিন ফ্যাসিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন।

    তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্র আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের জন্য বিভিন্ন প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমরা বিপ্লবী শক্তি, আমাদের হারানোর কিছু নেই। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন হবে কিনা সেটা এখন সিদ্ধান্ত নেয়ার কিছু নেই। আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন হবে কিনা তার সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে ৫ আগস্ট।

    হাসনাত বলেন, যারা আওয়ামী লীগের রাজনীতির পুনর্বাসন করতে চান তাদের বলতে চাই, আওয়ামী লীগের রাজনীতি পুনর্বাসিত হবে কিনা সেটা প্রশ্ন নয়। তাদের প্রত্যেককে বিচারের আওতায় আনতে হবে। বিচারের আগে যারা পুনর্বাসনের কথা বলবে, যারা বলবে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না, আমরা ধরে নেব আওয়ামী লীগ যে জাহেলিয়াতের রাজনীতি কায়েম করেছিল তারাও তার দোসর ছিল।

    তিনি আরও বলেন, আমাদের রাস্তায় নেমে রক্ত দিতে হয়েছে। ভয়কে জয় করতে হয়েছে। আমাদের যে প্রতিহিংসার রাজনীতি তা তরুণদের যুগের পর যুগ আশাহত করেছে। রাজনৈতিক কাঠামো আমাদের নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। এ ক্ষোভ থেকেই আমরা ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়েছি।

    হাসনাত বলেন, আমাদের আল্টিমেটাম ১৫ তারিখ পর্যন্ত। অন্তর্বর্তী সরকার আমাদের কমিটমেন্ট দিয়েছে সব রাজনৈতিক দলের ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে প্রক্লেমেশন করা হবে। তবে দুঃখজনক হলো আমরা এখনও কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে দেখিনি। আমাদের উপদেষ্টাদের বলতে চাই, আপনারা আমাদের প্রতিনিধিত্ব করছেন। আপনাদের যদি মনে হয় এখানে কোনো বাধা আছে সেটা জনগণের কাছে প্রকাশ করুন। আমরা আবারও রাস্তায় নেমে আসবো।

    সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল

  • আজহারীর মাহফিল থেকে ২২ নারী আটক, নেপথ্যে যে কারণ

    আজহারীর মাহফিল থেকে ২২ নারী আটক, নেপথ্যে যে কারণ

    জনপ্রিয় ইসলামী বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারীর লালমনিরহাটের মাহফিলে মোবাইল ফোন এবং নারীদের স্বর্ণের অলঙ্কার চুরির ঘটনায় সদর থানায় ১১টি জিডি হয়েছে। এসব ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ২২ নারীসহ ২৩ জন আটক হয়েছেন।

    শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুর নবী।

    তিনি বলেন, ‘বিশাল জনসমুদ্রের মাঝে ঢুকে আটক অভিযুক্তরা চুরির ঘটনা ঘটায়। তাদের জনগণ আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। চুরির ঘটনায় ২২ নারী ও একজন পুরুষ থানায় আটক আছে। এর মধ্যে মোবাইল ফোন চুরির ঘটনায় আটটি ও স্বর্ণালংকার চুরির ঘটনায় তিনটি জিডি করা হয়েছে।’

    মাহফিলে অংশ নেওয়া ভুক্তভোগীরা জানায়, অতিরিক্ত ভিড়ের মাঝে সংঘবদ্ধ চোর চক্র কৌশলে মোবাইল, টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নেয়। অনেকেই কিছু বুঝে ওঠার আগেই চুরির শিকার হন।

    এর আগে, এদিন দুপুরে লালমনিরহাটের আয়োজনে রেলওয়ে সোহরাওয়ার্দী মাঠে জোহরের নামাজের পর এক ঘণ্টা বয়ান করেন ড. মিজানুর রহমান আজহারী। এ সময় লালমনিরহাট শহর ও তার আশপাশের এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়।

  • ‘শুধুমাত্র লিপস্টিক দেওয়া একটা ছবি দেখে এতকিছু বিচার করে ফেললেন’

    ‘শুধুমাত্র লিপস্টিক দেওয়া একটা ছবি দেখে এতকিছু বিচার করে ফেললেন’

    গত ১৫ জানুয়ারি আলোচিত নারী উদ্যোক্তা রোবাইয়াত ফাতিমা তনির স্বামী শাহাদাৎ হোসাইন ব্যাংককে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। প্রায় ১০১ দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পরে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তিনি।

    শাহাদাৎ হোসাইনের মৃত্যুর পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেটিজেনরা যেমন শোকপ্রকাশ করেছেন, তেমনই একদল বিভিন্নভাবে তনিকে কটাক্ষ করেছেন। যার সূত্রপাত হাসপাতালে স্বামীর সঙ্গে তোলা তার একটি ছবিকে কেন্দ্র করে।

    যেখানে বেডে শুয়ে থাকা স্বামীর পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে তনিকে। সেই ছবিকে কেন্দ্র করেই নিন্দুকেরা এই নারী উদ্যোক্তাকে নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন।

    বিষয়টি নিয়ে শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে ফেসবুকে এক দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন রোবাইয়াত ফাতিমা তনি। যেই স্ট্যাটাসের সঙ্গে আলোচিত ছবিটি জুড়ে দিয়েছেন তিনি।

    পাঠকদের জন্য তনির সেই স্ট্যাটাস হুবহু তুলে ধরা হলো-
    ‘মিশন সাকসেসফুল’ এই ছবিটা পোস্ট করে যারা এসব লিখেছেন, আমি জানতে চাই কি মিশন সাকসেসফুল? একটা প্রমাণ দেখাতে পারলে ফেসবুকে আর চেহারা দেখাবো না। হিংসুটে লোকদের কাজ হচ্ছে অন্যের পেছনে পরে থাকা।

    আমার স্বামী ১০১ দিন লাইফ সাপোর্টে ছিল, প্রথমদিকে আমি বেশিরভাগ সময় ব্যাংককে থাকতাম, কিন্তু Bumrungard Hospital-এ প্রতিদিন ১০-১২ লাখ টাকা বিল দিতে যেয়ে আমার অর্থনৈতিক অবস্থা কি হতে পারে এটা যেকোনো শিক্ষিত মানুষকে মনে হয় না বুঝাতে হবে।

    এরপর হাসপাতালে আমার হাজব্যান্ডের সাথে ২৪ ঘণ্টা থাকার জন্য স্পেশাল আইসিইউ নার্স আলাদা করে এ্যপয়েন্টেড করে প্রতি সপ্তাহে বাংলাদেশ-ব্যাংকক আসা যাওয়া শুরু করি। কারণ আমাকে সবকিছু ঠিক রাখতে হবে, এছাড়া এত বড় অংকের বিল মেটানো সম্ভব নয়।

    এর মধ্যে ফেসবুকে মানুষের নানা রকম উপদেশ, ভূয়া নিউজ, ট্রল এসব কিছু তো আছেই, অনেকে আমাকে ডিরেক্টলি পর্যন্ত বলছে লাইফ সাপোর্ট খুলে দেন। কত বড় অসভ্য হলে এসব তারা করতে/ বলতে পারছে!

    এরপরে ছবির প্রসঙ্গে টেনে তনি লিখেছেন, ডিসেম্বরের ২৮ তারিখ আমি সানভী এবং সারফারাজকে ব্যাংকক নিয়ে যাই, তারা যেন বছরের প্রথমদিন তাদের ড্যাডির সাথে কাটাতে পারে। এই ছবিটা বছরের প্রথম দিনের সকালে উঠে রেডি হয়ে প্রথমে হাসপাতালে তাদের ড্যাডিকে দেখে ঘুরতে নিয়ে যাই।

    আমি যখন ব্যাংককে একা থাকতাম তখন বেশিরভাগ সময় হাসপাতালেই থাকতাম, কিন্তু বাচ্চাদের তো সারাক্ষণ আইসিইউতে রাখা যায় না, আবার ওদের সামনে কান্নাও করা যায় না, ওরা অনেক ছোট আর সারফারাজ তো কিছুই বুঝে না, ওদেরকে সব কিছু নরমাল বুঝাতে হয়।

    এছাড়া আমি যে প্রফেশনে আছি, আমাকে অনেক প্রেজেন্টেবল হয়ে ক্যামেরার সামনে আসতে হয়, শুধুমাত্র লিপস্টিক দেয়া একটা ছবি দেখে এত কিছু জাজ করে ফেললেন?

    আপনাদের কোনো ধারণা আছে ব্যাংককে ট্রিটমেন্ট করতে কত টাকা খরচ হয়? আর মেন্টালি ফিজিক্যালি কতটা স্ট্রাগল করতে হয়েছে আমাকে। আজকে ঢাকা তো কালকে ব্যাংকক, যেটা অনেকের কাছে স্বপ্নের মতো। হাজব্যান্ড, হাসপাতাল বিল, বাচ্চা, পরিবার, বিজনেস সব টেনশন আমাকে একা নিতে হয়েছে, আপনাদেরকে নয়!

    নিজেকে প্রশ্ন করে দেখেন তো, আপনার হাজব্যান্ড বা ওয়াইফ কোমাতে চলে গেলে কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে শুধুমাত্র আল্লাহর উপর বিশ্বাস করে কোনো মিরাক্কেলের আশায় আমার মতো এমন স্টেপ নিতে পারবেন তো? তাও আবার ওয়ার্ল্ডের সেরা হাসপাতালগুলোর একটিতে।

    অঢেল টাকা থাকলেও অনেকে এত সাহস দেখায় না, মানুষটার ভালবাসার গভীরতা এত বেশি ছিল প্রয়োজনে নিজের জীবনটাই দিতে পারতাম।

    সেই শুরু থেকেই সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেক যুদ্ধ করে নিজের অবস্থান তৈরি করতে হয়েছে, আমি লোভী এই কথা বলে হয়তো সারাজীবন কিছু অকর্মা লোক নিজের মনের জ্বালায় নিজেই জ্বলে পুড়ে মরবে, আমাকে আটকাইতে পারেনি আর পারবেও না ইনশাল্লাহ।

    হয়তো আগামী ১/২ দিনের মধ্যে আমাকে কাজ শুরু করতে হবে, কিছু ফালতু মানুষ নিজের মনের বিষ মেটাতে অনেক কথা বলবে অনেক ফতোয়া দিবে, কিন্তু আমার এতে কিছুই আসে যায় না, বিগত বছরে আমি যে পরিমান ধাক্কা খেয়েছি, এখন সব সামলে উঠতে হবে, অনেক অনেক রেস্পন্সসিবিলিটি আমার, শত শত মানুষের দায়িত্ব আমার, আমার ছেলে-মেয়ে, মা, ভাই-বোন সবাইকে ভালো রাখতে হবে, তাই এই দুই চারটা বিষাক্ত মানুষ কি বললো তাতে আমার একটা চুলও ছেড়া যাবে না।

    আল্লাহ জানেন আমি কি কি করেছি, আর আমার মনের মধ্যে কি চলছে। যারা এসব বলে তারা আমার সামনে এসে একটা কথা বলার যোগ্যতা রাখে না, অথবা নিজের মনে নিজের থেকে আমাকে অনেক বড় কিছু মনে করে, তাই এত গভীরভাবে আমাকে ফলো করে।

    আরেকটা কথা, যারা আমার নেক্সট বিয়ে নিয়ে চিন্তা করে মরে যাচ্ছেন তাদেরকে বলতে চাই, আমাকে নিয়ে যত ভাবেন যদি নিজেকে নিয়ে যদি এর ৫০%ও ভাবতেন তাহলে আমাকে নিয়ে ভাবার সময় পেতেন না।

    আমি অনেক ভাগ্যবতী এমন একজন মানুষকে আমার স্বামী হিসেবে পেয়েছি, যার ভালোবাসা আমাকে সারাজীবন বাচিঁয়ে রাখবে ইনশাল্লাহ। আমার জীবন চলার জন্য আল্লাহর রহমত আর সাহায্য ছাড়া অন্য কারো প্রয়োজন নেই, আমি যথেষ্ট কেপাবল আলহামদুলিল্লাহ।

    ছেলে মেয়ে দুইটাকে আমার স্বামীল আদর্শে বড় করতে চাই, আমি বিশ্বাস করি আমার স্বামী পরপারে আমার জন্য অপেক্ষা করবে, তাই জীবনের শেষদিন পর্যন্ত সাদাদ রহমানের ওয়াইফ, এই পরিচয়টা প্রাউডলি বহন করতে চাই।

    নিশ্চয়ই আল্লাহতায়ালা উত্তম পরিকল্পনাকারী। তবে নিজের উপর অগাধ বিশ্বাস আর অনেক কন্ট্রোল আছে আমার। তাই আমাকে নিয়ে বেকার চিন্তা করা থামান। আমার প্রফেশন, আমার পোশাক, আমার লাইফস্টাইল সর্বোপরি আমার কর্মের জবাব আমি আল্লাহকে দিবো। ধর্মকে ব্যাবহার করে বিভিন্ন ফতোয়া দিয়ে মানুষকে হ্যারাসমেন্ট করা বন্ধ করেন। ,
    আর আমাকে কিছু বলতে ইচ্ছে করলে সাহস করে আমার সামনে আইসেন হাতে কলমে বুঝিয়ে দিবো। আমি ভন্ডামি করতে পারি না, আজকে বোরখা, কালকে হিজাব তার পরদিন ওয়েস্টার্ন এইসব আমি পারি না। বাস্তব জীবনে আমি যেমন ক্যামেরার সামনেও তাই।

    আর সব মানুষকে খুশি করা আমার কাজ না, আমি যেমন অমনি যাদের আমাকে ভালো লাগে আলহামদুলিল্লাহ, যাদের লাগে না তারা আমাকে বা আমার পেইজ আনফলো বা ব্লক করে দিতে পারেন। আপনাদের কেউ দাওয়াত দেয়নি আমাকে দেখার জন্য, দেখবেন আবার হিংসাও করবেন, আমার তো কিছু করার নেই।

    আমার জীবনটা আয়নার মতো পরিস্কার, আমি যেমন অমনি থাকবো ইনশাল্লাহ। জীবনে আমার খারাপ সময়গুলো আমাকেই পার কর‍তে হয়েছে, তাই আমি মানষিকভাবে অসম্ভব শক্তিশালী একজন মানুষ। সময় সবকিছুর উচিৎ জবাব দিয়ে দিবে ইনশাল্লাহ।

    জীবন অনেক ছোট। আল্লার রহমতে ছোট্ট এই জীবনে অনেক ভালোবাসার মানুষ, অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী পেয়েছি, আপনাদের দোয়ায় আমার জীবন চলে যাবে ইনশাল্লাহ।