Category: bangla

  • সরকারি কর্মচারীদের বেতন সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ হারে বাড়ানোর সুপারিশ

    সরকারি কর্মচারীদের বেতন সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ হারে বাড়ানোর সুপারিশ

    সরকারি কর্মচারীদের স্থায়ী বেতন কমিশন গঠন করে তার মাধ্যমে প্রতি বছর ৫ শতাংশ হারে বেতন বাড়ানোর সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। আজ বুধবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী। এরপর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে।

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে দেশের মুদ্রাস্ফীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রদত্ত ইনডেক্স বিশ্লেষণ করে মূল বেতন প্রতি বছর বেতন বাড়ানো যেতে পারে। তবে তা ৫ শতাংশের বেশি হবে না। এ উদ্দেশে একটি স্থায়ী বেতন কমিশন গঠন করার সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন।

    রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশকে ৪টি প্রদেশে ভাগ করার সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে আলাদা বিভাগ করার সুপারিশের পাশাপাশি ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ নিয়ে গ্রেটার সিটি ঢাকা ক্যাপিটাল সিটি গঠনের সুপারিশ করেছে কমিশন।

    সরকারি কর্মচারীরা ১৫ বছর চাকরি করার পর স্বেচ্ছায় চাকরি ছাড়লে তাদের পেনশনসহ সব ধরনের অবসর সুবিধা দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি বাধ্যতামূলক অবসর বা ওএসডিতে পাঠানোর বিধান বাতিলের প্রস্তাব করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন।

    এছাড়া ইমিগ্রেশনের জন্য পুলিশের আলাদা ইউনিট গঠনের সুপারিশ ও পাবলিক সার্ভিস পৃথক করে তিনটি পাবলিক সার্ভিস কমিশন গঠনের প্রস্তাবও করা হয়েছে।

    এদিকে বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিচার বিভাগ কোনো দিনও স্বাধীন ছিল না, তাই কমিশন পুরোপুরি স্বাধীন করার প্রস্তাব দিয়েছে। স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস নিয়োগের সুপারিশ করেছে কমিশন।

    এছাড়া স্বতন্ত্র তদন্ত সংস্থা গঠনের সুপারিশ করেছে বিচার সংস্কার কমিশন। পুলিশি তদন্ত অনেক সময় রাজনৈতিক হয়ে থাকে এজন্য এটা দরকার বলে জানানো হয়।

    ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট উপজেলা পর্যন্ত নেয়ার সুপারিশ, আর বিভাগীয় পর্যায়ে সুপ্রিম কোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ নিয়ে যাওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

  • চবিতে শেখ হাসিনা হলের নামফলক ভাঙতে ছাত্রীদের বাধা

    চবিতে শেখ হাসিনা হলের নামফলক ভাঙতে ছাত্রীদের বাধা

    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শেখ হাসিনা হলের নামফলক ভাঙতে যাওয়া শিক্ষার্থীদেরকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হলটির ছাত্রীদের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি ঢাকা মে ই লের ক্যাম্পাস প্রতিনিধি রেদোয়ান আহমেদকে মারধর ও সমকালের ক্যাম্পাস প্রতিনিধি এস এম মাহফুজের ফোনও কেড়ে নেন তারা।

    বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে শেখ হাসিনা হলের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

    এ বিষয়ে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করে চবি সাংবাদিক সমিতির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, চবির শেখ হাসিনা হলের মেয়েরা পেশাগত দায়িত্বপালনরত অবস্থায় একজন সাংবাদিকের হাত থেকে ফোন ছিনিয়ে নেওয়া ও কয়েকজন সাংবাদিকের গায়ে হাত তোলার সাহস দেখালেন। এই ধরনের কাজ ছাত্রলীগ করতো। আপনাদের ভেতরে সেই ছাত্রলীগের ছায়া দেখতে পেলাম।

    ক্ষোভ প্রকাশ করে চবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আজহার বলেন, অভ্যুত্থানের পরে নতুন করে কেবল ছেলেদের হলগুলোতেই অ্যালটমেন্ট দেওয়া হয়েছে। মেয়েদের হলগুলোতে শুধু আসন খালি থাকা সাপেক্ষে সামান্য কিছু নতুন শিক্ষার্থী উঠানো হয়। গতরাতে সাংবাদিকদের ওপর শেখ হাসিনা হলের মেয়েদের আক্রমণ, হেনস্তা এবং মোবাইল কেড়ে নেওয়ার ঘটনাই প্রমাণ করে যে, তারা পুরোনো বলয়ে এখনো হলে অবস্থান করছে। আমরা জড়িতদের ভিডিও ও ছবি সংগ্রহ করে পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করছি।

    এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর নাজমুল হোসেন বলেন, গতরাতের শেখ হাসিনা হলের ছাত্রী ও শিক্ষার্থীদের বাগবিতণ্ডা বিষয়ে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সঙ্গে বসে যথাযথ সিন্ধান্ত নেব। আর সাংবাদিক মারধর ও ফোন কেড়ে নেওয়া স্বাধীন সাংবাদিকতা পেশার জন্য হুমকিস্বরূপ। ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা লিখিত অভিযোগ দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী জড়িতদের শাস্তি দেওয়া হবে।

    প্রসঙ্গত, ‘লং মার্চ টু ধানমন্ডি-৩২’ কর্মসূচির ঘোষণার পর সারাদেশে শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনার মুর‌্যাল-নামফলক ভাঙেন বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে চবি শিক্ষার্থীরা শেখ হাসিনা হলের নামফলক ও নৌকার স্থাপনা ভাঙতে গেলে হলের ছাত্রীদের বাধার সম্মুখীন হন। এ সময় এক সাংবাদিককে মারধর ও একজনের ফোন কেড়ে নেন হলটির ছাত্রীরা।

  • ৩২ নম্বরের বাড়ি ভাঙচুর নিয়ে যা বলছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম

    ৩২ নম্বরের বাড়ি ভাঙচুর নিয়ে যা বলছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম

    আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে গুরুত্ব পেয়েছে ধানমন্ডিতে অবস্থিত ৩২ নম্বর বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা। বিবিসি, রয়টার্স, দ্য গার্ডিয়ান, টিআরটি ওয়ার্ল্ড, আরব নিউজ, এবিসি নিউজ, আনাদোলু এজেন্সি, সিএনএন, এপিসহ বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে উঠে এসেছে ৩২ নম্বর ভাঙচুরের খবর।

    জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে ভারতে অবস্থান নেওয়া স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার ভাষণ দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয় দেশের ছাত্র-জনতাসহ তরুণ প্রজন্ম। ফলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত শেখ মুজিবুর রহমানের ৩২ নম্বর বাড়ি ভাঙার উদ্যোগ নেন তারা। কারণ এই ভবনকে তারা ফ্যাসিবাদের আইকন হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

    ঘোষণা অনুযায়ী বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টায় কর্মসূচি থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে সেখানে জড়ো হতে থাকে ছাত্র-জনতা। সেখানে জড়ো হয়ে তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। একপর্যায়ে রাত ৮টার কিছু আগে ৩২ নম্বরের ওই বাড়িতে ঢুকে পড়ে ছাত্র-জনতা।

    এরপর ভাঙতে শুরু করে বাড়ি। একটা সময় আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয় বাড়ি। এরপর বুলডোজার মেশিন দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া শুরু হয়। শুধু এই বাড়িটিই নয়। শেখ মুজিব ও তার পরিবারের সদস্যদের বাড়ি ও ম্যুরাল ভেঙে দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের প্রায় সব জায়গাতেই। যা বেশ গুরুত্ব সহকারে প্রচার করেছে অন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলো।

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা গণমাধ্যম সিএনএন তাদের শিরোনাম করেছে, ‘বাংলাদেশের বিক্ষোভকারীরা নির্বাসিত সাবেক নেত্রী শেখ হাসিনার বাড়ি ধ্বংস করেছে।’ এরপর তাদের প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, প্রতিবেশী ভারতে নির্বাসিত থেকে দলের সমর্থকদের উদ্দেশে হাসিনার একটি বক্তৃতা দেওয়াকে কেন্দ্র করে এই হামলার সূত্রপাত। ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহে ১৫ বছরের শাসন শেষে পালিয়ে যান তিনি। তার বিরুদ্ধে ভিন্নমত দমন করার অভিযোগ রয়েছে।

    ব্রিটিশ খ্যাতনামা গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান তার শিরোনাম করেছে, ‘বাংলাদেশি বিক্ষোভকারীরা স্বাধীনতার প্রতীক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর পারিবারিক বাড়ি ধ্বংস করেছে’। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, এই বাড়িটি থেকেই শেখ হাসিনার বাবা পাকিস্তান ভাঙনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে পরবর্তীতে কর্তৃত্ববাদের সাথে যোগসূত্র থাকার কারণে তার বাড়িতে আক্রমণ করা হয়।

    ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি তাদের প্রতিবেদনের শিরোনাম করেছে, ‘বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে’। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, শুধু শেখ হাসিনাই নয়, তার পরিবার ও রাজনৈতিক দলের অনেক নেতাদের বাড়িতেও আগুন দেওয়া হয়েছে।

    যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক খ্যাতনামা গণমাধ্যম রয়টার্স তাদের প্রতিবেদনের শিরোনাম করেছে, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাবার বাড়ি উচ্ছেদ করেছে বিক্ষোভকারীরা’। সংবাদ মাধ্যমটি তাদের প্রতিবেদনে লিখেছে, ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সমর্থকদের অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি জ্বালাময়ী বক্তৃতা দেন। যে কারণে এই হামলার সূত্রপাত।

    তুরস্কের অন্যতম গণমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড তাদের শিরোনাম করেছে, ‘ভারতে থেকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ বাংলাদেশে প্রতিবাদের ঝড় তুলেছে’।

    যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম এপি তাদের শিরোনাম করেছে, ‘বাংলাদেশি বিক্ষোভকারীরা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাড়িতে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে’। যেখানে লেখা হয়েছে, ‘প্রতিবেশী ভারতে নির্বাসিত থেকে সমর্থকদের উদ্দেশে হাসিনার একটি বক্তৃতা দিয়ে হামলার সূত্রপাত হয়। ১৫ বছরের শাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন একটি তীব্র বিদ্রোহের সময় গত বছর পালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।

    তুরস্কের গণমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি তাদের প্রতিবেদনের শিরোনামে লিখেছে, ‘ভারত থেকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লাইভ ভাষণ বাংলাদেশে প্রতিবাদের সূত্রপাত করেছে’। তারা তাদের প্রতিবেদনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের কোড করে লিখেছে, বিদ্যমান দলগুলো ‘দেশের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পড়তে ব্যর্থ হয়েছে’।

    যুক্তরাষ্ট্রের এবিসি নিউজ তাদের শিরোনাম করেছে, ‘বাংলাদেশি বিক্ষোভকারীরা নির্বাসিত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জড়িত একটি বাড়িতে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে।’ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের হাজার হাজার বিক্ষোভকারী নির্বাসিত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তার পরিবারের বাড়ি ধ্বংস করে। যা দেশের স্বাধীনতার প্রতীক হয়ে এসেছিল। তবে বিক্ষোভকারীদের দাবি, কর্তৃত্ববাদের সূত্রপাত হয়েছিল এই বাড়িটিতেই।

    সৌদি আরবের অন্যতম গণমাধ্যম আরব নিউজ তাদের শিরোনাম করেছে, ‘বাংলাদেশি বিক্ষোভকারীরা নির্বাসিত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে যুক্ত একটি বাড়িতে তাণ্ডব ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে’।

    এ ছাড়া ভারত ও পাকিস্তানের গণমাধ্যমগুলোসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বিষয়টি ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে।

  • শেখ হাসিনাকে থামান, ফের দিল্লিকে ঢাকার বার্তা

    শেখ হাসিনাকে থামান, ফের দিল্লিকে ঢাকার বার্তা

    ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও মানবতাবিরোধী অপরাধে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি শেখ হাসিনা যেন বক্তব্য না দেন, সেজন্য ঢাকার ভারতীয় ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে ডেকে প্রতিবাদ নোট দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ তথ্য জানান অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

    তৌহিদ হোসেন বলেন, ভারতকে আমরা লিখিতভাবে অনুরোধ করেছি শেখ হাসিনাকে সংযম করার জন্য, যেন উনি এ ধরনের বক্তব্য না দেন; যেটা বাংলাদেশের বিপক্ষে যাচ্ছে। আমরা এটার কোনো জবাব পাইনি এখনও। গত কয়েকদিনের কার্যকলাপের কারণে আজ আরেকবার তাদের প্রতিবাদ নোট দিয়েছি। ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতকে ডেকে প্রদিবাদ নোটটি দিয়েছি এবং আমরা আবারও অনুরোধ করেছি, যেন তাকে থামানো হয়। ‘কারণ তার যে বক্তব্য প্রধানত মিথ্যা। উনি যেসব কথা উল্লেখ করছেন সেটা এক ধরনের অস্থিশীলতা উসকে দিচ্ছে বাংলাদেশে। এজন্য আমরা অনুরোধ করেছি এই অনুশীলনটা বন্ধ করার জন্য।

    প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনাকে ফেরত পেতে কূটনৈতিক পত্র দিয়েছে বাংলাদেশ। সরকারের পক্ষ থেকে বার বার বলা হয়েছে এতে কাজ না হলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

    তাহলে সরকার পরবর্তী পদক্ষেপ কখন যাবে এমন প্রশ্নে তৌহিদ হোসেন বলেন, ভারতকে আমরা অনুরোধ করেই যাচ্ছি তাকে যেন এ ধরনের বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করা হয়। আমরা দেখব, কি ঘটে এবং কতটুকু তারা পদক্ষেপ নেন সেই অনুযায়ী আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।

    ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে কারও কাছ থেকে সহযোগিতা বা মদদ পাচ্ছেন কিনা-জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, এটার জবাব দেওয়া আমার পক্ষে কঠিন। আমার মনে হয় ভারতীয়তা আরও ভালো জবাব দিতে পারবেন। তারা আমাদের জানিয়েছেন, তারা তাকে কোনো প্ল্যাটফর্ম দিচ্ছেন না। কিন্তু উনি প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে এটা করছেন এবং যে প্লাটফর্ম ব্যবহার করছেন সেগুলো আন্তর্জাতিক, আমেরিকা ভিত্তিক ইত্যাদি। এটা হলো ভারতের অবস্থান।

  • বরিশালে শেখ মুজিবের ভাস্কর্য ও পার্ক ভাঙল জনতা

    বরিশালে শেখ মুজিবের ভাস্কর্য ও পার্ক ভাঙল জনতা

    বরিশাল প্রেসক্লাবের সামনে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ও চৌমাথা লেকের পাড়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহান আরা পার্ক ভেঙে ফেলছে ছাত্র-জনতা। এ সময় তাদের আওয়ামী লীগ বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে এ দুটি স্থাপনায় উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করা হয়।

    ভাঙচুরকারী শিক্ষার্থী হাফেজ মাসুম বিল্লাহ বলেন, প্রেসক্লাবের সামনে এটি খুনি হাসিনার পিতার ভাস্কর্য। যেটাকে আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা তাদের পিতা মনে করতো। একটি মুসলিম কান্ট্রিতে এমন ভাস্কর্য বা অনৈতিক কাজ। ৪শ কোটি টাকার একটা প্রকল্প নিয়ে, মানুষের পকেট থেকে টাকা চুরি করে এই ভাস্কর্য নির্মাণ করেছে। আমরা চাচ্ছি না নতুন প্রজন্ম এই ভাস্কর্যের মাধ্যমে প্রভাবিত হোক। স্বাধীন দেশে কোনো ভাস্কর্য বা আর্টিফিসিয়াল কিছুই থাকবে না।

    তিনি বলেন, তারা যে মুক্তিযুদ্ধ করেছে তা ভাস্কর্য দিয়ে হয় না। আওয়ামী লীগ যে স্বৈরশাসক ছিল তাদের যত বাড়িঘর, ভাস্কর্য আছে তা নিশ্চিহ্ন করে ভারত বা দিল্লিতে তাদের দাদাদের দেশে পাঠিয়ে দিতে চাই। আওয়ামী লীগের কোনো অস্তিত্ব এই দেশে রাখতে চাই না।

    ভাঙচুরে অংশ নেওয়া এক ছাত্রী বলেন, আমরা চাই না মুজিববাদ বাংলাদেশে থাকুক। দ্যাটস ফিনিশ। আর কিছু না।

    গতকাল রাতে সাদিক আব্দুল্লাহ ও আমির হোসেন আমুর বাসভবন ভাঙচুরে উল্লেখজনক জনতা উপস্থিত থাকলেও প্রেসক্লাবে ভাস্কর্য ভাঙচুরে হাতেগোনা ৭/৮ জনকে দেখা গেছে। একইভাবে সিএন্ডবি রোডের চৌমাথা এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহান আরা পার্ক ভেঙে ফেলা হচ্ছে বুলডোজার দিয়ে। অল্প সংখ্যক জনতা নেতৃত্ব দিয়ে বিকেল ৩টার দিকে পার্কটি উচ্ছেদ শুরু করে।

    তরিকুল ইসলাম নামে একজন বলেন, সড়ক ও জনপথের জমি দখল করে সাদিক আব্দুল্লাহ তার মায়ের নামে পার্ক গড়ে তুলেছিল। দীর্ঘদিন ধরে এই পার্কটি নিয়ে আপত্তি ছিল স্থানীয়দের। পার্কটি ছাত্র-জনতা আজকে উচ্ছেদ করছে। আমরা আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চাই। আর কোনো দিন বাংলার বুকে আওয়ামী লীগ মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না।

    এ সময় ‘চব্বিশের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার, একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার, আওয়ামী লীগের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’ ইত্যাদি শ্লোগান দিতে শোনা গেছে কয়েকজনকে।

    এদিকে কারও বাড়ি ভাঙচুর বা উচ্ছেদের সেঙ্গ ছাত্রদল জড়িত নয় বলে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গণমাধ্যমে বার্তা দেওয়ার পর স্থানীয় নেতৃবৃন্দও জানিয়েছেন গতকাল রাত থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত কোনো ঘটনার সঙ্গে ছাত্রদল জড়িত নয়। কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা দিলে তারা বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন। যদিও এ বিষয়ে কেউ নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি।

  • একুশে পদক পাচ্ছেন অভ্র’র মেহেদী হাসান খান

    একুশে পদক পাচ্ছেন অভ্র’র মেহেদী হাসান খান

    বাংলা ভাষার ডিজিটাল বিপ্লবের এক যোদ্ধা মেহেদী হাসান খান। অভ্র কিবোর্ডের আবিষ্কারক এই প্রতিভাবান প্রোগ্রামার এবং চিকিৎসক এবার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে একুশে পদক পাচ্ছেন। বাংলা ভাষায় লেখাকে সহজতর করার জন্য তার অবদান অবিস্মরণীয়।

    এক প্রতিভাবান উদ্ভাবকের যাত্রা
    মেহেদী হাসান খানের জন্ম ঢাকায়। তিনি আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে মাধ্যমিক এবং নটর ডেম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করেন।

    তার সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের প্রতি ঝোঁক ছিল ছোটবেলা থেকেই। ২০০৩ সালে তিনি ইউনিকোড ও এএনএসআই সমর্থিত বাংলা লেখার জন্য ফ্রি ও ওপেন সোর্স সফটওয়্যার অভ্র কিবোর্ড তৈরি করেন।

    অভ্র কিবোর্ডের সৃষ্টি ও সংগ্রাম

    ২০০৩ সালের বইমেলায় বায়োস নামক একটি সংগঠনের প্রদর্শনী দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন মেহেদী হাসান। তখনই তার মনে উদ্ভব হয় একটি সহজতর বাংলা লেখার সফটওয়্যার তৈরির চিন্তা। সেই চিন্তাই পরবর্তীতে বাস্তবে রূপ নেয় অভ্র কিবোর্ডের মাধ্যমে।

    শুরুর দিকে, ইউনিকোডভিত্তিক বাংলা লেখার জন্য উপযুক্ত সফটওয়্যার না থাকায় তিনি নিজেই একটি সমাধান তৈরির সিদ্ধান্ত নেন। প্রথমে মাইক্রোসফট ডট নেট ফ্রেমওয়ার্ক ব্যবহার করে একটি প্রোটোটাইপ তৈরি করেন। কিন্তু সেটি বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়। অবশেষে, ক্ল্যাসিক ভিজ্যুয়াল বেসিকের ওপর ভিত্তি করে নতুন একটি সংস্করণ তৈরি করেন, যা বাংলা লেখার জন্য আদর্শ হয়ে ওঠে।

    ২০০৩ সালের ২৬ মার্চ প্রথমবারের মতো অভ্র কী-বোর্ড উন্মুক্ত করা হয়। পরবর্তীতে ২০০৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ওমিক্রনল্যাব থেকে এটি মুক্তি দেওয়া হয়। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির কাজেও অভ্র ব্যবহার করেছে।

    প্রভাব ও জনপ্রিয়তা
    অভ্র সফটওয়্যারের কারণে কম্পিউটারে বাংলা লেখা সহজ হয়েছে। এর ফলে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত সবাই এটি ব্যবহার করতে শুরু করে। অভ্র’র অন্যতম জনপ্রিয়তা এর ওপেন সোর্স প্রকৃতি এবং কাস্টম লেআউট সুবিধার জন্য।

    অভ্র টিমের সদস্যদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন রিফাত উন নবী, সিয়াম রুপালী ফন্টের জনক সিয়াম, সারিম, ভারতের নিপন এবং মেহেদীর সহধর্মিণী সুমাইয়া নাজমুন। তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অভ্র আজকের অবস্থানে পৌঁছেছে।

    পুরস্কার ও স্বীকৃতি
    অভ্র কী-বোর্ডের জন্য ২০১১ সালে মেহেদী হাসান খান তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিশেষ অবদানের জন্য বেসিস পুরস্কার পান। ২০২৫ সালে একুশে পদকের স্বীকৃতি তার দীর্ঘ পরিশ্রমের ফল।

    অভ্র বনাম বিজয়
    অভ্র কিবোর্ড বিজয়ের তুলনায় অধিক ব্যবহারকারী-বান্ধব এবং ওপেন সোর্স হওয়ায় বেশি জনপ্রিয়তা পায়। এটি ফ্রি হওয়ায় ব্যবহারকারীরা সহজেই ব্যবহার করতে পারেন। অপরদিকে বিজয় কিবোর্ড নির্দিষ্ট লাইসেন্সের আওতায় থাকে।

  • বঞ্চিত অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের কী সুখবর দিলেন সিনিয়র সচিব

    বঞ্চিত অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের কী সুখবর দিলেন সিনিয়র সচিব

    আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে জনপ্রশাসনে বঞ্চিত ৭৬৪ জন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে আর্থিক সুবিধা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান।

    বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে এক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।

    তিনি লিখেছেন, বঞ্চিত অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের জন্য সুসংবাদ। অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের জন্য গঠিত বঞ্চনা নিরসন কমিটির (বণিক) প্রতিবেদনের আলোকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রেরিত সামারি মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে।

    আরও লেখেন, সচিব পদে : ১১৯ জন, গ্রেড-১ পদে: ৪১ জন, অতিরিক্ত সচিব পদে: ৫২৮ জন, যুগ্মসচিব পদে: ৭২ জন এবং উপসচিব পদে: ৪ জনের অনুমোদিত সামারি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এর হস্তগত হয়েছে। পদভিত্তিক আলাদা আলাদা জিও জারি করে দ্রুত বকেয়া টাকা প্রাপ্তির জিও জারি করা হবে।

    উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের আমলে ২০০৯ সাল থেকে গত ৪ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে সরকারি চাকরিতে নানাভাবে বঞ্চনার শিকার এবং এ সময়ের মধ্যে অবসরে যাওয়া কর্মকর্তাদের আবেদন পর্যালোচনা করে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য বঞ্চনা নিরসন কমিটি (বণিক) কমিটি গঠন করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

    আওয়ামী লীগ সরকারের সময় পদ পদবি ও পদোন্নতি বঞ্চিত অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের প্রতিকার পেতে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আবেদন করার পরামর্শ দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

    জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ে এক হাজার ৫৪০টি আবেদন জমা পড়েছিল। এর মধ্যে ১৯টি আবেদন ছিল মৃত কর্মকর্তার পরিবারের পক্ষ থেকে। কমিটি আবেদন যাচাইবাছাই শেষে সুপারিশ তৈরি করে গত ১০ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেয়। এরপর তা অনুমোদনের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়।

  • ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে মিলল রহস্যময় আয়নাঘরের খোঁজ!

    ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে মিলল রহস্যময় আয়নাঘরের খোঁজ!

    গতকাল রাত থেকেই ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। শেখ হাসিনার ভাষণকে কেন্দ্র করে বিক্ষুব্ধ জনতা ভবনটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর সেখানে গরু জবাই করে জেয়াফতের আয়োজন করেছেন।

    তবে এরই মধ্যে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে উপস্থিত স্থানীয় বাসিন্দা ও উৎসুক জনতা একটি অদ্ভুত দাবি তুলেছেন—তাদের মতে, ওই ভবনের বেসমেন্টে একটি আয়নাঘর তৈরি করা হচ্ছিল।

    স্থানীয়দের দাবি, বেসমেন্টে কিছু গোপন কার্যক্রম চলছিল, যা অনেকের কাছে সন্দেহজনক মনে হচ্ছে। যদিও বেসমেন্টে কার পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে, তবে সেখানে আরও একটি সিঁড়ি দেখতে পাওয়া গেছে, যা প্রশ্ন তুলছে। বিক্ষুব্ধ ছাত্রজনতা ও স্থানীয়রা মনে করছেন, সিঁড়িটি সম্ভবত আরো গভীরে চলে গেছে, যেখানে কিছু বিশেষ বা রহস্যময় কার্যক্রম চলতে পারে।

    এছাড়া, কিছু স্থানীয় বাসিন্দা মজা করে বলছেন, “এটা হয়তো একটি আয়নাঘর হতে পারে, তবে হয়তো এখানে অন্য কিছুই চলছে।” তাদের মতে, এমন সন্দেহজনক কার্যক্রমের তদন্ত হওয়া উচিত এবং তা উন্মোচিত হওয়া প্রয়োজন।

    অতীতে গণঅভ্যুত্থান বা রাজনৈতিক আন্দোলনের সময়ও আয়নাঘর সম্পর্কে কথাবার্তা শোনা গেছে। তবে, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের নতুন ভবনের বেসমেন্টে সত্যিই কোনো গোপন আয়নাঘর তৈরি হচ্ছিল কিনা, তা নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি। এখন পর্যন্ত এই রহস্যময় ঘটনাটি স্থানীয় জনগণের মধ্যে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে, তবে পরিস্থিতি সম্পর্কে আরও তথ্য পাওয়া না গেলে এর সত্যতা সম্পর্কে কিছু বলা কঠিন।

  • এবার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে ভুয়া ডক্টরেট ডিগ্রি কেনার অভিযোগ

    এবার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে ভুয়া ডক্টরেট ডিগ্রি কেনার অভিযোগ

    এবার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে শত শত কোটি টাকা অপচয় করে বিদেশ ভ্রমণ ও ভুয়া ডক্টরেট ডিগ্রি কেনার অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

    তিনি জানান, দুদকের গোয়েন্দা অনুসন্ধানে অভিযোগের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ার পর প্রকাশ্যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদেশ সফরে গেলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজ ভাড়া করতেন সরকারি টাকায়। নিয়ে যেতেন সফরসঙ্গীদের বিশাল বহর। টানা ১৬ বছর ক্ষমতায় থাকাকালে প্রায় প্রতি জাতিসংঘের অধিবেশনে সরকার প্রধান হিসেবে যোগ দিয়েছেন তিনি। প্রতিবারই নিউইয়র্ক নিয়ে যেতেন বিশাল বহর। শেখ হাসিনা ২০১৫ সালে ২২৭ জনের একটি দল নিয়ে নিউইয়র্কে ৭০তম সাধারণ অধিবেশন এবং টেকসই উন্নয়ন বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে যান। ২০১৪ সালে ৬৯তম সাধারণ অধিবেশনে এই সংখ্যা ছিল ১৭৮ এবং ২০১৩ সালে এই সংখ্যা ছিল ১৩৪।

    অন্যদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভুয়া ডক্টরেট সংগ্রহ করেছেন। দেশের সরকারি টাকা লবিস্ট এর পিছনে ব্যয় করে মানদন্ড ভংগ করে সংগ্রহকৃত উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ভুয়া ডক্টরেট হলো-ভারতের ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়, বেলজিয়ামের ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয় অব ব্রাসেলস, ভারতের বিশ্ব-ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। জানা যায় তিনি যে সকল পদক ও ডিগ্রী সংগ্রহ করেছেন তার প্রায় সবগুলোর পিছনে প্রচুর খরচ বা জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী চুক্তির বিনিময়ে বাগিয়ে নিয়েছেন।

  • ধানমন্ডি ৩২ বাড়ি ভাঙচুরের জন্য যাকে দায়ী করলেন অন্তর্বর্তী সরকার

    ধানমন্ডি ৩২ বাড়ি ভাঙচুরের জন্য যাকে দায়ী করলেন অন্তর্বর্তী সরকার

    ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকার। সরকার এ ঘটনার জন্য পলাতক শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্যকেই দায়ী করেছেন। সরকার জানায়, গত জুলাই মাসে অভ্যুত্থান নিয়ে শেখ হাসিনার মন্তব্যের ফলে জনগণের মধ্যে ক্রোধ সৃষ্টি হয়েছিল, যার ফলস্বরূপ এই সহিংস ঘটনা ঘটেছে।

    অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, গত ছয় মাসে ৩২ নম্বর বাড়িটিতে কোনো ধরনের আক্রমণ, ধংসযজ্ঞ হয়নি। গতকাল রাতে এটি ঘটেছে পলাতক শেখ হাসিনার বক্তব্য ঘিরে যার দুটো অংশ আছে।

    একটা অংশ হলো, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা আত্মদান করেছেন শেখ হাসিনা তাদেরকে অপমান করেছেন, অবমাননা করেছেন। শহিদের মৃত্যু সম্পর্কিত অবান্তর, আজগুবি ও বিদ্বেষমূলক কথা বলে পলাতক শেখ হাসিনা জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে অবজ্ঞা করেছেন ও অশ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

    দ্বিতীয়ত, শেখ হাসিনা দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও অমানবিক প্রক্রিয়ায় নিপীড়ন চালিয়ে ক্ষমতায় থাকাকালীন যে সুরে কথা বলতেন গণঅভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে যাওয়ার পরেও তিনি একই হুমকি-ধামকির সুরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে, গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া প্রতিটি মানুষের বিরুদ্ধে কথা বলে চলেছেন, হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। শেখ হাসিনা দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির হুমকি দিয়েছেন।

    বিবৃতিতে আরো বলা হয়, মানুষের মনে জুলাই গণহত্যা নিয়ে যে ক্ষত রয়েছে সে ক্ষততে শেখ হাসিনা একের পর এক আঘাত করে চলছেন। তার এই সহিংস আচরণের প্রতিক্রিয়া হিসেবে ৩২ নম্বরের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

    অন্তর্বর্তী সরকার দেশ ও জনগণের জানমালের রক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্ক আছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বাত্মকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার যথাযথ চেষ্টা করছে। মানবতাবিরোধী অপরাধে একজন ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি শেখ হাসিনা বক্তব্য দেয়া থেকে বিরত থাকলে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়ানো সম্ভব।

    সরকার আশা করে, ভারত যেন তার ভূখণ্ডকে বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে এমন কাজে ব্যবহৃত হতে না দেয় এবং শেখ হাসিনাকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ না দেয়। অন্তর্বর্তী সরকার ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি চায় না।

    জুলাই হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত ছিল তাদের বিচারকাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। এই বিচার নিশ্চিত করে গণহত্যাকারীদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কী কী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া যায় তা সরকার খতিয়ে দেখবে।