Category: bangla

  • ভার্চুয়াল বৈঠকে আ’লীগ নেতাদের যে কু পরামর্শ দিলেন বেনজীর

    ভার্চুয়াল বৈঠকে আ’লীগ নেতাদের যে কু পরামর্শ দিলেন বেনজীর

    সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজির আহমেদের একটি কথোপকথন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভার্চুয়াল বৈঠকে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশে তিনি বিভিন্ন মন্তব্য করেন।

    ওই আলোচনায় বেনজির আহমেদ বলেন,“আপনারা যখন (আওয়ামী লীগ) সংগঠিত হবেন, তখন পুলিশের উপস্থিতি আপনাদের সামনে থাকবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।

    তিনি আরও বলেন, “বিএনপি, এরশাদ সরকারের আমলে অনেক এমপি পুলিশের মধ্যে তাদের লোক ঢুকিয়েছিল। এসব লোক এখনও পুলিশে রয়েছেন, যারা নিজেদের পার্টির সঙ্গে যুক্ত এবং রাজনৈতিক কাজে সক্রিয়।”

    বেনজির বলেন, এই ধরনের পুলিশ সদস্যদের এখনও অনেকেই তাদের কাজে সক্রিয় এবং রাজনৈতিক অবস্থান নিতে প্রস্তুত।

  • আ.লীগকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত আসছে : আসিফ মাহমুদ

    আ.লীগকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত আসছে : আসিফ মাহমুদ

    রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে বর্তমান সরকার শিগগিরই পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন (এলজিআরডি) ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

    শুক্রবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) বার্তা সংস্থা বাসসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান তিনি।

    উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, এটা অত্যন্ত ইতিবাচক যে, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও এক ধরনের ‘ঐকমত্য’ তৈরি হচ্ছে। দেশের মানুষ তৎকালীন ক্ষমতাসীন ওই দলের অগণতান্ত্রিক এবং একগুয়েমি মনোভাব ও কার্যকলাপ মেনে নিতে পারেনি বলেই ৫ আগস্টের আগে ও পরে তাদের মধ্যে দলটি নিষিদ্ধ করার বিষয়ে ‘ঐকমত্য’ প্রতিষ্ঠিত হয়। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এমন ঐকমত্য তৈরি হলে সরকারের জন্য যে কোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা সহজ হবে।

    এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, সাধারণ মানুষ কিংবা রাজনৈতিক দল; যে বা যারাই হই না কোন, আমরা এ দেশের জনগণকে ‘রিপ্রেজেন্ট’ করি। ফলে, ৫ আগস্টের পরে জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা ও চাওয়ার জায়গা আছে, সেগুলোকে প্রাধান্য দেওয়াটাই আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। সে জায়গা থেকে বিএনপির পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের যে দাবি উঠেছে, আমি বিষয়টিকে সাধুবাদ জানাতে চাই।

    আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, বিচারিক প্রক্রিয়া ছাড়াও ৪টি আইন রয়েছে, যেখানে সরকার নির্বাহী আদেশে যে কোনো দলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। তবে, এটার লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্কটা (আইনি কাঠামো) কী হবে, এ বিষয়ে সরকার এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।

    তিনি বলেন, বিচারিক প্রক্রিয়ায় স্বাভাবিকভাবেই জুলাই আগস্টের গণহত্যার সঙ্গে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হওয়ার কথা। সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগকে দলীয়ভাবে নিষিদ্ধ করা, নিবন্ধন বাতিল করাসহ যেকোনো ব্যবস্থা সরকার গ্রহণ করতে পারে। তবে বিষয়টি যেহেতু আইনের বাস্তয়নের সঙ্গে যুক্ত, সেক্ষেত্রে সরকার প্রয়োজনীয় সকল প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই আওয়া লীগ নিষিদ্ধ করার বিষয়ে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসবে।

    উপদেষ্টা আরও বলেন, আমি আশ্বস্ত করতে চাই, বাংলাদশের জনগণের চাওয়ার প্রতিফলন ঘটাতে সরকার এ ব্যাপারে দ্রুতই পদক্ষেপ নেবে।

  • গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ সম্পাদক অন্তর নিখোঁজ

    গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ সম্পাদক অন্তর নিখোঁজ

    গণঅধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতা বিষয়ক সহ সম্পাদক পটুয়াখালীর কলাপাড়ার লোন্দা গ্রামের বাসিন্দা রবিউল আউয়াল অন্তর (৩০) বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাত থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। তিনি কলাপাড়া পৌরশহরের নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে রাতে বাড়িতে যাচ্ছিলেন। এরপর থেকে তার খোঁজ পাচ্ছেন না স্বজনরা।

    কলাপাড়া থানা পুলিশ তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি কলাপাড়া-পটুয়াখালী সড়কের পায়রা পোর্ট ফোরলেন ও সিক্সলেন সড়কের মাঝ বরাবর রজপাড়া মাদ্রাসা সংলগ্ন সড়ক থেকে পার্কিং করা অবস্থায় উদ্ধার করেছে। এর কিছু দূর থেকে একটি হেলমেটও উদ্ধার করা হয়েছে।

    এ ঘটনায় কলাপাড়া থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। অন্তরের বড় ভাই তুষার আল মামুন পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ছয় কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। তিনি জানান, কলাপাড়া পৌর শহরের ডিজিটাল প্রিন্টিং প্রেস ‘গ্রাফিক্স ওয়াল’ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে গতকাল রাত ১১টার দিকে বাড়িতে ফিরছিল অন্তর। গভীর রাতে থানার কল পেয়ে বিষয়টি জানতে পারি।

    সরকারি চাল চুরির দায়ে ইউপি চেয়ারম্যান হাজতে
    অন্তরের বাবা সোলায়মান বলেন, আমার ছেলে পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ক্ষতিপূরণ আদায়, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের চাকরিসহ আট দফা দাবি আদায়ে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে আসছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠায় রয়েছি।

    ঢাকার সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের আইন ও বিচার বিভাগের শিক্ষার্থী বনি আমিন সিফাত এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে রবিউল আউয়াল অন্তরকে দ্রুত খুঁজে বের করার দাবি জানান।

    এ বিষয়ে কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল ইসলাম বলেন, মোটরসাইকেলটি সেখানে পার্কিং করা দেখে পায়রা পোর্ট ফোরলেন সড়কের নিরাপত্তা কর্মীরা থানায় অবহিত করলে পুলিশ গিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় সেটি উদ্ধার করে। মোটরসাইকেলের সামনে রবিউল আউয়াল অন্তর লেখা রয়েছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি।

  • বিশেষ দায়িত্বে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ১০ নেতা!

    বিশেষ দায়িত্বে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ১০ নেতা!

    সম্প্রতি দেশকে অস্থিতিশীল করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে আটক হয়েছেন অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন একই অভিযোগে আটক হয়েছেন আরেক অভিনেত্রী সোহানা সাবা। কিন্তু আসলে কোন ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত তারা।

    বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন। অভিযোগ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত তিনি। ঠিক একদিন পরেই একই অভিযোগে আটক হয়েছেন আরেক অভিনেত্রী সোহানা সাবা। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ডিবি কার্যালয়ে তাঁদের দুজনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

    বিদেশের মাটিতে দেশকে অস্থিতিশীল করার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। সম্প্রতি এমন সংক্রান্ত একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদন সামনে আসার পর রীতিমতো তোলপাড় সামাজিক মাধ্যমে।

    জানা গেছে চক্রান্তের অংশ হিসেবে গত ১৫ জানুয়ারি কলকাতায় এ নিয়ে বৈঠক হয়। বৈঠকে রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে অস্থির করে তুলতে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয় আওয়ামী লীগের ১০ নেতা কর্মীকে।

    সূত্র জানায়, গত জানুয়ারি কলকাতায় অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে কেউ উপস্থিত ছিলেন সশরীরে। আবার কেউ কেউ যুক্ত ছিলেন ভার্চুয়ালি। তারা হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, অসীম কুমার উকিল, অধ্যাপিকা অপু উকিল, ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট, সাবেক এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা গোলাম রাব্বানী, আল নাহিয়ান খান জয়, লেখক ভট্টাচার্য, ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন , সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনানসহ আওয়ামী লিগের বেশ কিছু নেতা কর্মীরা।

    ওই গোপন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, আলোচিত আলো আসবে গ্রুপের অ্যাডমিন ও চিত্রনায়িকা সোহানা সাবা এবং অভিনেত্রী ও গায়িকা মেহের আফরোজ শাওন ।জানা গেছে, ওই বৈঠকে আলোচনার মূল বিষয় ছিল বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাকে কীভাবে অস্থিতিশীল করা যায়, সেই মিটিংয়ে উপস্থিত থাকার অভিযোগেই মূলত পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয় ওই দুই অভিনেত্রীকে। মূলত এই দুই অভিনেত্রী আওয়ামী সুবিধাভোগী।

    গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন হলে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে সামাজিক মাধ্যমে সোচ্চার হন তাঁরা। এর আগে জুলাই আন্দোলনের সময় আলো আসবে নামে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেও সক্রিয় ছিলেন অভিনেত্রী সোহানা সাবা। সেই গ্রুপে আন্দোলনরত ছাত্রদের দমন করতে আঁকা হয়েছিল নীল নকশা ।

  • জনসম্মুখে জবাই করার হুমকি নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার

    জনসম্মুখে জবাই করার হুমকি নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার

    জনসম্মুখে জবাই করার হুমকি নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার
    গত ১৬ জুলাই ক্যাম্পাস থেকে পালিয়ে যান আসাদুল্লা-হিল-গালিব। ফাইল ছবি

    ধানমণ্ডি ৩২ ভাঙার সঙ্গে জড়িতদের জনসম্মুখে জবাই করার হুমকি দিয়েছেন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল গালিব।

    বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে তার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ হুমকি দেন। তার এমন হুমকির পর ব্যাপক প্রতিক্রিয়া জানান শিক্ষার্থীরা।

    গালিব তার পোস্টে লিখেছেন, ‘মহান আল্লাহ তায়ালার কসম, ধানমণ্ডি ৩২ এ যারা আঘাত হেনেছে এবং বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা ও জাতীয় চার নেতার স্মৃতিফলক যারা ভাঙ্গার স্পর্ধা দেখাচ্ছিস তাদের প্রত্যেককে চিহ্নিত করে জনসম্মুখে জবাই করা হবে।

    এই দিন দিন নয় আরো দিন আছে, এই দিনেরে নিয়ে যাব সেই দিনের কাছে।’

    তিনি আরো লিখেছেন, ‘সবাই নিজের মনকে প্রশ্ন করুন, আপনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে না বিপক্ষে? জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।’

    তার এই পোস্ট করার পরপরই শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন মন্তব্য করতে শুরু করেন। এস এম সালমান সাব্বির নামে এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, ‘মুজিবকে যারা হত্যা করেছে তারা সবাই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলো।

    শরীফ মো. সাদাত নামে একজন লিখেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী বয়ান আর জবাই করার হুমকিতে কাজ হবে নাহ! ছাত্রসমাজ জেগেছে!’

    সাইফুল্লাহ সাইফ নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, ‘তুই জবাই করতে আসবি আর অন্যরা তোরে আদর করবে? পাঠা কোথাকার? শত আকাম করেও কোনো অনুশোচনা নাই। এর মধ্যে আবার হুমকি! তুই তোর বাপের পোলা হইলে কোথায় আছিস বল, পোলাপান যাবে। তুই তাদের জবাই করিস। শুধু বল কোথায় আছিস।

    এম এইচ মেহরাব নামে আরেক শিক্ষার্থী লিখেছেন, ‘তোর মতো নেড়ি কুত্তার হুমকি মানায় না। ক্যাম্পাস থেকে কিভাবে পালায় গেছিস দেখেছি।’

    এ বিষয়ে জানতে আসাদুল্লা-হিল-গালিবকে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

    জানা যায়, আসাদুল্লা-হিল গালিব রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। গত ১৬ জুলাই কোটা সংস্কার দাবিতে আন্দোলনরত বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া খেয়ে ক্যাম্পাস থেকে পালিয়ে যান তিনি।

  • ঢাকায় আজহারীর মাহফিল, ব্যাপক আয়োজন

    ঢাকায় আজহারীর মাহফিল, ব্যাপক আয়োজন

    বিভাগভিত্তিক মাহফিলের অংশ হিসেবে ঢাকার নবাবগঞ্জে মাহফিল করবেন জনপ্রিয় ইসলামিক বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী। এই মাহফিলে আসার জন্য ভক্ত ও মুসল্লিদের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

    শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে স্ট্যাটাস দিয়ে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আগামীকাল শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) তার মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান তিনি।

    স্ট্যাটাসে মিজানুর রহমান আজহারী লিখেছেন, ‘ঢাকা বিভাগের বন্ধুরা, ইনশাআল্লাহ আগামীকাল থাকছি ঢাকার নবাবগঞ্জে, বারুয়াখালী তাফসির মাহফিল ময়দানে। বারুয়াখালী মাহফিল পরিচালনা কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে। আসুন, দেখা হবে, কথা হবে।’

    মাহফিল পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. শাহজাহান শিকদার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকার নবাবগঞ্জ থানার বারুয়াখালী গ্রামে ৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে তাফসিরুল কোরআন মাহফিল। মাহফিলে প্রধান বক্তা থাকবেন জনপ্রিয় ইসলামি স্কলার ও গবেষক মিজানুর রহমান আজহারী।

    মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক। দোহার-নবাবগঞ্জসহ ঢাকা ও মানিকগঞ্জের বরেণ্য ব্যক্তিরা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। সাইমুমসহ বিভিন্ন শিল্পীগোষ্ঠীর সদস্যরা সংগীত পরিবেশন করবেন। আয়োজকদের ধারণা, মাহফিলে ১৫ লাখ মানুষের সমাগম হতে পারে।

    মাহফিলকে ঘিরে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ চলছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এক হাজার একর কৃষিজমির বিশাল বিলকে মাহফিলের ময়দান বানানো হয়েছে। শেষ হয়েছে মঞ্চ, হেলিপ্যাড ও মূল প্যান্ডেল তৈরির কাজ। অজুখানা ও টয়লেট নির্মাণের কাজ চলছে। মূল প্যান্ডেল ছাড়াও নারী শ্রোতাদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন স্থানে সাতটি মাঠ প্রস্তুত করা হয়েছে।

    আরও জানা গেছে, গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য ১২টি মাঠ নির্ধারণ করা হয়েছে। অনুষ্ঠান সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে ৩০টি এলইডি মনিটর থাকবে। দূরদূরান্ত থেকে আসা মুসল্লিদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে রাখা হয়েছে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প। ছয়টি অ্যাম্বুলেন্স থাকবে রোগী পরিবহনের জন্য। মোবাইল নেটওয়ার্ক ঠিক রাখতে বসানো হয়েছে ভ্রাম্যমাণ মোবাইল টাওয়ার।

    নিরাপত্তা বিষয়ে কমিটি জানায়, ঐতিহাসিক এ মাহফিলকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দিতে নিয়োজিত থাকবেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য। ৩০টি পয়েন্টে গাড়ি কন্ট্রোল করতে নিয়োজিত থাকবে ট্রাফিক পুলিশ। অগ্নিনিরাপত্তার জন্য ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট নিয়োজিত থাকবে। নিরাপত্তা রক্ষায় সেনাবাহিনী ও আনসার সদস্যদেরও উপস্থিত থাকতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

    তারা জানায়, মাহফিলকে সফল করতে কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবেন। নারী শ্রোতাদের প্যান্ডেলে থাকবেন নারী পুলিশ সদস্য। এলাকার সব শ্রেণি-পেশার মানুষ এ মাহফিল সফল করতে কাজ করে যাচ্ছেন।

  • সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বৃদ্ধি: জানুন কার কত বাড়ছে

    সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বৃদ্ধি: জানুন কার কত বাড়ছে

    নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য এবার প্রথমবারের মতো গ্রেড অনুযায়ী মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে যারা নিম্ন গ্রেডে চাকরি করেন, তারা বেশি হারে ভাতা পাবেন, আর উচ্চ গ্রেডের কর্মকর্তারা কম হারে মহার্ঘ ভাতা পাবেন।

    অর্থ মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে একটি প্রস্তাবের খসড়া চূড়ান্ত করেছে, যা প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। প্রস্তাব অনুযায়ী:

    ১ থেকে ৩ গ্রেড: মূল বেতনের ১০%

    ৪ থেকে ১০ গ্রেড: মূল বেতনের ২০%

    ১১ থেকে ২০ গ্রেড: মূল বেতনের ২৫%

    এছাড়া, সর্বনিম্ন বেতন বৃদ্ধি হবে ৪,০০০ টাকা, এবং সর্বোচ্চ বেতন বাড়বে ৭,৮০০ টাকা। কোনো চাকরিজীবী ৪,০০০ টাকার কম মহার্ঘ ভাতা পাবেন না।

    মহার্ঘ ভাতা কার্যকর হওয়ার পর আগের সরকারের দেওয়া ৫ শতাংশ বিশেষ প্রণোদনা সুবিধাটি আর বহাল থাকবে না। পেনশনভোগী কর্মকর্তারাও এই ভাতা পাবেন।

    এছাড়া, অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজস্ব খাতে ব্যয় কমিয়ে রাখা অত্যন্ত কঠিন, ফলে উন্নয়ন বাজেট কমিয়ে বর্ধিত বেতনভাতা দেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ফেব্রুয়ারি মাসের বেতনের সঙ্গেই মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হতে পারে।

    জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান নিশ্চিত করেছেন যে, এই অর্থবছরে কর্মচারীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করা হবে। তবে, মহার্ঘ ভাতার পরিমাণ সম্পর্কে কিছু জানাননি তিনি।

  • ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ভয়াবহ গোপন আস্তানার সন্ধান, যা যা পাওয়া গেলো সেই আস্তানায়

    ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ভয়াবহ গোপন আস্তানার সন্ধান, যা যা পাওয়া গেলো সেই আস্তানায়

    ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ির নিচে পাঁচতলা ভবনের সন্ধান পাওয়ার দাবি করেছেন ছাত্র-জনতা।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, মাটির নিচে বেশ কয়েকটি কক্ষ রয়েছে, যেগুলো রহস্যজনকভাবে পানিতে পরিপূর্ণ। সেখানে পাওয়া গিয়েছে ভাঙা হেলমেট, ব্রাশ স্যান্ডেল সহ অনেক কিছুই। তিন তলা অব্দি যাওয়া যাচ্ছে- এর নিচে পানি দিয়ে পূর্ণ করে রাখা!

    বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকে বাড়িটিতে ব্যাপক ভাঙচুরের চালানো হয়। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেও সেখানে মানুষের ভিড় ছিল। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘বাড়ির নিচে আমরা কয়েকটি কক্ষের সন্ধান পেয়েছি, কিন্তু সেখানে প্রবেশ করা সম্ভব হয়নি, কারণ পুরো জায়গাটি পানিতে ভরা। এটা খুবই সন্দেহজনক। কি আছে এই আন্ডারগ্রাউন্ডে? জানা যাবে আগামীকাল সকালে!

    সেখানে উপস্থিত আরেক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘এ বাড়ির নিচতলার পাঁচতলা কাঠামোতে আওয়ামী লীগ তাদের নিজস্ব বাহিনী দিয়ে আরেকটি আয়নাঘর তৈরি করেছে।’ দেশের রাজনীতিতে ঘটনাবহুল ৫ তারিখ ছাত্র-জনতার দাবি, এ গোপন কাঠামো আয়নাঘর হতে পারে, যেখানে গোপনে নির্যাতন চালাত শেখ হাসিনার বাহিনী।

    ডিজিএফআই, ডিবি আয়না ঘরের আড়ালে হাসিনা দল আওয়ামী লীগ আরেক নতুন আয়না ঘর তৈরি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। এ নিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, তদন্তের মাধ্যমে এর সত্যতা যাচাই করা দরকার।

  • সাভারে চেয়ারম্যানের বাড়িতে ভাঙচুর, স্থানীয়দের ধাওয়ায় ৩ ছাত্র আহত

    সাভারে চেয়ারম্যানের বাড়িতে ভাঙচুর, স্থানীয়দের ধাওয়ায় ৩ ছাত্র আহত

    সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজিবের বাড়িতে ভাঙচুর করতে আসে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। এ সময় স্থানীয়রা ধাওয়া দিলে ছাত্র-জনতা বাড়ি না ভেঙেই চলে যায়। এ সময় অন্তত তিনজন ছাত্র আহত হয়েছেন।

    বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সাভারের তেঁতুলঝড়া ইউনিয়নের হেমায়েতপুরের ‘রাজ মঞ্জিল’ নামে সাবেক চেয়ারম্যানের পৈত্রিক বাস ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছাত্র-জনতারা কয়েক শতাধিক লোক বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে আসে। তখন উত্তেজিত ছাত্র-জনতা রাজ মঞ্জিলের প্রধান ফটক ভেঙে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে। সেসময় স্থানীয় এলাকাবাসী ছাত্র-জনতাদের থামানোর জন্য সামনে এগিয়ে আসে। কিন্তু ছাত্ররা ভাঙচুর করতে চাইলে স্থানীয় লোকজন ছাত্রদের ধাওয়া করে। এসময় তিনজন আহত হন। পরে তিনজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধারে চিকিৎসার জন্য সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে আসে।

    সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তৌহিদ আল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে তিনজন চিকিৎসা নিতে এসেছিল। তাদের মধ্যে একজনের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার প্রেরণ করা হয়েছে।

    সাভার মডেল থানার ট্যানানি ফাঁড়ির ইনচার্জ আমির হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, সাবেক চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার কথা শুনেছি। তবে বেশি কিছু জানি না।

  • মধ্যরাতে ঢাবিতে বঙ্গবন্ধু হলের নাম পরিবর্তন

    মধ্যরাতে ঢাবিতে বঙ্গবন্ধু হলের নাম পরিবর্তন

    ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি ধ্বংসের পর এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে নাম পরিবর্তন করে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল নামকরণ করে শিক্ষার্থীরা।

    বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীরা গণস্বাক্ষর গ্রহণ করে এই নতুন নাম নির্ধারণ করেন ।

    শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের ব্যানারে জাতীয় উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার কথাকে কেন্দ্র করে বিক্ষুব্ধ জনতা ধানমন্ডির ৩২ নাম্বার বাড়িকে ধ্বংস করে দেওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করে এবং সেখানে ভাঙচুর ও বুলডোজার ও ক্রেন দিয়ে ধ্বংস করা হয়।

    এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের পুরাতন বিল্ডিংয়ে থাকা নামটি হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে তুলে ফেলে সেখানে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল নামকরণ করেন।

    শিক্ষার্থীরা বলেন, যারা আমাদের ভাইকে হত্যা করেছে , অনেককে আহত করেছে সেসব ফ্যাসিস্টের কোন চিহ্ন এই ক্যাম্পাসে থাকবে না। এখন থেকে এই হলের নাম জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল।

    এসময় সেই হলের শিক্ষার্থীরা গণস্বাক্ষর গ্রহণ করে অধিকাংশের মতের ভিত্তিতে এই নতুন নামকরণ করা হয়। অন্যদিকে, বিজয় একাত্তর হল ও অমর একুশে হলের ফলকে থাকা শেখ হাসিনার নাম শিক্ষার্থীরা মুছে ফেলে।